Tag: West Bengal

West Bengal

  • Siliguri: শিলিগুড়িতে ধরাশায়ী গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র! অধিকাংশ ওয়ার্ডে বাজিমাত করল বিজেপি

    Siliguri: শিলিগুড়িতে ধরাশায়ী গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র! অধিকাংশ ওয়ার্ডে বাজিমাত করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী না হয়েও দুটি লোকসভা আসনে পরাজিত শিলিগুড়ির (Siliguri) মেয়র তথা তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। এর পরেও শিলিগুড়ির মেয়র পদে থাকার ক্ষেত্রে গৌতম দেবের নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। শুধু গৌতম দেবের ওয়ার্ড নয়, গোটা শিলিগুড়ি পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে বাজিমাত করেছে বিজেপি।

    প্রার্থী না হয়েও কেন পরাজিত গৌতম দেব? (Siliguri)

    দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার ৩৩টি ওয়ার্ড। আর জলপাইগুড়ি লোকসভার অধীনে রয়েছে ১৪ টি ওয়ার্ড। শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূলের দখলে থাকার পরেও ৪৬ টি ওয়ার্ডে বিজেপি বিপুল ভোটে লিড নিয়েছে। দার্জিলিং আসনে পুরসভার ৩৩  টি ওয়ার্ডে  গতবার ৬৫ হাজার ৪৮৬ ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবার তা বেড়ে ৬৬ হাজার ৯ ভোট হয়েছে। এরমধ্যে মেয়রের নিজের পাড়া ও ডেপুটি মেয়রের ওয়ার্ডও রয়েছে। একমাত্র ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সামান্য কিছু ভোটে তৃণমূল প্রার্থী লিড নিয়েছেন। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি আসনে শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ১৪ টি ওয়ার্ডেও একই অবস্থা। মেয়র গৌতম দেবের নিজের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডেও তৃণমূল প্রার্থী পিছিয়ে রয়েছেন। এই ১৪ টি ওয়ার্ড ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। এই এলাকায় দলের নির্বাচনী দায়িত্বে ছিলেন গৌতম দেব। এই বিধানসভা এলাকায় তিনি এর আগে ১০ বছর বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। তারপরেও এবার এই বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ৭২ হাজার ২৪৫ ভোটে লিড নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, নদিয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    পুরসভা চালাতে ব্যর্থ মেয়র!

    মেয়র গৌতম দেব ও তাঁর কাউন্সিলারদের ব্যর্থতা ও ব্যবহারের জন্যই শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের এই ভরাডুবি বলে মনে করছেন দলের একাংশ। তৃণমূলের এক জেলা নেতা বলেন, “মেয়র হয়ে গৌতম দেব  নিজের সুবিধা ও প্রচার ছাড়া তিনি কিছু বোঝেন না। এবার নিজের মতো করে বিক্ষিপ্তভাবে ভোটের প্রচার করেছেন। কতটা প্রচার করছেন তা দেখানোর জন্য সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন। আর্থিক সঙ্কটের কারণে শহরে পরিষেবা যখন ব্যাহত হচ্ছে, তখন তিনি কোটি কোটি টাকা খরচ করে পুরসভার ঝাঁ চকচকে নতুন ভবন তৈরি করেছেন। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর চেম্বারের অনুকরণে নিজের চেম্বার বানিয়েছেন। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর ব্যবহার ভালো নয়। তৃণমূল কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এসবের কারণেই এই ভরাডুবি। ” দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও নির্বাচনে গৌতম দেবের ভূমিকা নিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে রিপোর্ট দিচ্ছে।

    কী বলছেন মেয়র তৃণমূল নেতা গৌতম দেব?

    শিলিগুড়ির (Siliguri) মেয়র বলেন, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র ২০০৯ সাল থেকে বিজেপির দখলে রয়েছে। এই আসনে আমরা কেন ভালো ভোট জোগাড় করতে পারছি না তা বুঝতে পারছি না। কেন এরকম বারবার হচ্ছে তা পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। জলপাইগুড়ি সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ফল নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পরকীয়া সন্দেহে গৃহবধূকে মাথা ন্যাড়া করে বিবস্ত্র অবস্থায় বেধড়ক মারধর

    South 24 Parganas: পরকীয়া সন্দেহে গৃহবধূকে মাথা ন্যাড়া করে বিবস্ত্র অবস্থায় বেধড়ক মারধর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরকীয়া সন্দেহে গৃহবধূকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ফেলে মাথা ন্যাড়া করে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এমনকী গোটা শরীরের লঙ্কা ঘষে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মধ্যযুগীয় বর্বরতার নৃশংস ছবি ধরা পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) হারুর পয়েন্ট কোস্টাল থানার বউবাজার এলাকায়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার প্রতিবেশী হচ্ছেন বিপুল বিশ্বাস নামে অভিযুক্ত হামলাকারী। মূলত ঘটনার সূত্রপাত বেশ কিছুদিন আগে বিপুলবাবুর সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের কোনও একটি বিষয় নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। ওই বিপুল বিশ্বাসের ছেলে কিছুদিন আগেই আত্মহত্যা করেন। ওই আক্রান্ত গৃহবধূর সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল, এমনটাই অনুমান করেন বিপুলবাবু ও তাঁর পরিবারের লোকজন। গত কয়েকদিন ধরেই তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। গত ৩ মে বিপুল বিশ্বাস ওই গৃহবধূকে জোর করে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসেন। তাঁর পরিবারের পাঁচ থেকে সাত জন মিলে ওই বধূকে পরকীয়া সন্দেহে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি তাঁর মাথা ন্যাড়া করে জুতোর মালা পরিয়ে দেন। রাস্তার পাশে খুঁটিতে বেঁধে সারা শরীরে লঙ্কা ঘষে দেন। এমনকী যৌনাঙ্গে লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে দেন বলে অভিযোগ।  ইতিমধ্যেই গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন গোটা এলাকার (South 24 Parganas)  মানুষ। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে গোটা গ্রাম।

    আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, নদিয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার ৭

    পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পরই এই ঘটনায় কাকদ্বীপ (South 24 Parganas) হারুর পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ পাঁচজন মহিলা সহ দুজন পুরুষকে গ্রেফতার করেছে। তাদের আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। কীভাবে প্রতিবেশীরা সন্দেহের বসে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, নদিয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    Nadia: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, নদিয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত। এবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাপড়া থানার দোয়ের বাজার এলাকায়। মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম মোসলেম শেখ (৩০)।

    গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, কোন্দল প্রকাশ্যে (Nadia)

    সদ্য লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। কৃষ্ণনগর (Nadia) লোকসভা কেন্দ্রে পুনরায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। আর লোকসভা ভোটের ফলাফলের ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাপড়া থানার হাটরা এলাকার বাসিন্দা মোসলেম শেখ দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় তৃণমূল রাজনীতি দলের সঙ্গে যুক্ত। চলতি লোকসভা নির্বাচনে তিনি দলের হয়ে এলাকায় লড়াই করেছেন। পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার রাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বাড়ি থেকে তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে, চাপড়া থানার দোয়ের বাজার ভগবানপুর এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বলে পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চাপড়া থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৮ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, কারা কারা উপস্থিত থাকবেন জানেন?

    মৃতের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য?

    এ বিষয়ে মৃত মোসলেম শেখের স্ত্রী রহিমা বিবি বলেন, ওই এলাকারই কিছু তৃণমূল দুষ্কৃতী আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারাই গুলি করে খুন করে স্বামীকে। এবছর তৃণমূলের হয়ে লোকসভা নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল আমার স্বামী। তারপরও  তাকে খুন করা হল। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    চাপড়া (Nadia) তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জেবের শেখ বলেন, আমাদের দলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র জয়লাভ করার কারণে আমাদের একটি বিজয় মিছিল ছিল। আমি সেখানেই খবর পাই এই খুনের ঘটনার কথা। মৃত মোসলেম শেখ আমাদের দলেরই কর্মী ছিল। তবে, কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল এখন সেটা স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: সিএএ-এর ওপর ভর করে বনগাঁয় বিজেপির বাজিমাত, শান্তনুতেই ফের আস্থা মতুয়াদের

    Shantanu Thakur: সিএএ-এর ওপর ভর করে বনগাঁয় বিজেপির বাজিমাত, শান্তনুতেই ফের আস্থা মতুয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে অন্যতম ইস্যু ছিল সিএএ কার্যকরী করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিক সভা মঞ্চে বার বার সিএএ-র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) সিএএ কার্যকরী করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। শেষ দফা ভোটের আগেই রাজ্যে একাধিক শরনার্থী নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেয়ে যান। এরপরই তাঁরা কুর্ণিশ জানান প্রধানমন্ত্রীকে। আস্থা রাখেন বিজেপির ওপর। আর এই সিএএ-এর ওপর ভর করেই বনগাঁ আসনে বাজিমাত করলেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। পরপর দু’বার জয় পেলেন শান্তনু।

    সিএএ-এর ওপর ভর করে বিজেপির বাজিমাত (Shantanu Thakur)

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তনুর (Shantanu Thakur) প্রাপ্য ভোট ৭ লক্ষ ১৯ হাজার ৫০৫। ৭৩ হাজারেরও বেশি ভোটে প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসকে হারিয়েছেন তিনি। বিশ্বজিৎ দাস পেয়েছেন ৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮১২ ভোট। জানা গিয়েছে, গণনার প্রথম কয়েক দফায় ভালই লড়াই দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আর ধরে রাখতে পারেননি। এমনিতেই বনগাঁ কেন্দ্রে বড় ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট। আর মতুয়া গড়ে মুখ শান্তনু ঠাকুর, যিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের আবহেই সিএএ কার্যকর করে কেন্দ্রীয় সরকার। মতুয়া গড়ে উচ্ছ্বাসের ঝড় বয়ে যায়। বিজ্ঞপ্তি জারি ও আবেদনের ভিত্তিতে নাগরিকত্বও পেয়েছেন অনেকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেটা শান্তনুর জয়ে বড় প্রভাব ফেলেছে। তৃণমূলের অনেকেই মনে করছেন, বামেদের একাংশের ভোট বিজেপির দিকে গিয়েছে। এটাও তৃণমূলের হারের কারণ। গত পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। সেই সবই শান্তনুকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি, জয়ী প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব

    জয়ী হওয়ার পর কী বললেন শান্তনু?

    জয়ের বিষয়ে শান্তনু (Shantanu Thakur) বলেন, গত পাঁচ বছর আমি এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম। এছাড়া এবার আমাদের অন্যতম ইস্যু ছিল, সিএএ কার্যকরী করা। আমরা সেটা করে দেখিয়ে দিয়েছি। আমরা যে ভাঁওতা দিই না, তা মানুষ বিশ্বাস করেছেন। তাই, আমার ওপর তাঁরা ফের আস্থা রেখেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: কাউন্সিলর থেকে প্রার্থী হয়েই বিজেপির সাংসদ, কার্তিকের ওপর আস্থা রায়গঞ্জবাসীর

    Raiganj: কাউন্সিলর থেকে প্রার্থী হয়েই বিজেপির সাংসদ, কার্তিকের ওপর আস্থা রায়গঞ্জবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে (Raiganj) ফের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি। গতবার এই আসনে দেবশ্রী চৌধুরীকে প্রার্থী করে পদ্ম ফুটিয়েছিল বিজেপি। তবে, এবার সেখানে দেবশ্রী না দাঁড়ালেও বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের হাত ধরে আসন ধরে রাখল পদ্ম শিবির। তাঁর কাছে পরাজিত হলেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের কৃষ্ণ কল্যাণী।

    রায়গঞ্জে অনেক উন্নয়ন হবে, দাবি বিজেপি কর্মীদের (Raiganj)

    বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির হাত ধরে ছাত্র রাজনীতি করেছেন তিনি। প্রিয়রঞ্জন রাজনীতিতে থাকাকালীনই কালিয়াগঞ্জ পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। তাঁর যোগ্য শিষ্য হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে কার্তিক ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এরপর কালিয়াগঞ্জ পুরসভার তৃণমূলের বোর্ডে চেয়ারম্যান হন তিনি। প্রথম থেকেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। এরপর ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দিলে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে তিনিও যোগ দেন বিজেপিতে।  শেষ পুরসভা (Raiganj) নির্বাচনেও কার্তিক জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি-র টিকিটে। কাউন্সিলর হন কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের। এরপর সরাসরি সেখান থেকে তাঁকে সাংসদ পদের জন্য প্রার্থী করে বিজেপি। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, আমাদের সাংসদ রায়গঞ্জের জন্য অনেক উন্নয়ন করবেন।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি, জয়ী প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব

    কত ভোটে জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী?

    গতবার এই আসনে পদ্ম ফুটলেও জয় ছিনিয়ে আনতে মরিয়া ছিল তৃণমূল। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া কৃষ্ণকল্যাণীকে প্রার্থী করে তৃণমূল। প্রশ্ন ওঠে, কৃষ্ণকল্যাণীর বারবার দলবদল মেনে নেয়নি রায়গঞ্জের (Raiganj) মানুষ? কারণ একসময় তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। পরে ফের দলবদল করে আসেন তৃণমূলে। ফলে কৃষ্ণ কল্যাণীর ওপর আস্থা রাখতে না পেরেই বিজেপি প্রার্থীর ওপর আস্থা রাখলেন  রায়গঞ্জবাসী। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির কার্তিক চন্দ্র পাল পেয়েছেন ৫,৬০৮,৯৭। আর তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪,৯২৭,০০। ৬৮ হাজার ভোটে জয়ী হন। তাঁর জয়ের খবর পাওয়ার পরই কর্মীরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। কার্তিকবাবু বলেন, এবারও বিজেপির ওপর আস্থা রাখাই আমি সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এই জয় মানুষের জয়। রায়গঞ্জবাসীর জন্য আরও অনেক বেশি করে কাজ করতে পারি, এটাই আমার লক্ষ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: তৃণমূলের ‘ভেল্কিবাজ’, ‘বেইমান’, ‘চোর’ অপবাদকে উপেক্ষা করে ভোটে জয়ী খগেন মুর্মু

    Election Result 2024: তৃণমূলের ‘ভেল্কিবাজ’, ‘বেইমান’, ‘চোর’ অপবাদকে উপেক্ষা করে ভোটে জয়ী খগেন মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে সবুজ আবির খেলার মধ্যেই গেরুয়া আবির নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য, উত্তর মালদা থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী (Election Result 2024) হয়েছেন খগেন মুর্মু। প্রথম থেকেই তাঁর রাজনৈতিক লড়াই ছিল ব্যাপক জোরদার। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে ৭৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে আরেকবার পদ্মফুল ফোটালেন মালদায়। উত্তরবঙ্গে বিজেপির এই জয়ে ব্যাপক উল্লাস।

    জয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস (Election Result 2024)

    লোকসভা ভোটের প্রচারে তৃণমূলের কাছ থেকে ভেল্কিবাজ, বেইমান, চোরের মতো বাক্যবাণ শুনতে হয়েছিল খগেন মুর্মুকে। তাঁকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূলের বড় বড় নেতারাও কুমন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু সকল প্রতিকূলতার মধ্যে নিজের রাজনৈতিক লড়াইকে তীব্র করে জনমতকে সঠিক ভাবে প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তিনি। উত্তর মালদার সাধারণ মানুষ, কেন্দ্রে তৃতীয় বারের জন্য বিজেপি সরকার গড়তে জনাদেশ (Election Result 2024) দিয়েছেন তাঁর পক্ষে। তাঁকে ঘিরে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই বারে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী মোস্তাক আলম, আইএসএফ প্রার্থী হয়েছিলেন মহম্মদ সোহেল।

    আরও পড়ুনঃ ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    আগের বারের মার্জিন ছিল ৮০ হাজার

    ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে, মালদা উত্তর থেকে জয়ী  হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছিলেন প্রায় ৮০ হাজার ভোটে। তাঁর গত লোকসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ৭ হাজার ৭৯৮। তৃণমূলের মৌসম পেয়েছিলেন ৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৫১৭। ওই বছর কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করেছিলেন ইশা খান চৌধুরী। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩ লক্ষ ৪ হাজার ৯৬৪। আর সিপিএমের বিশ্বনাথ ঘোষ পেয়েছিলেন ৫০ হাজার ৩১৫ ভোট। এইবারে জয় (Election Result 2024) করে, বিজেপি আরও একবার প্রমাণ করল উত্তরবঙ্গের অন্যতম শক্তিশালী কেন্দ্র উত্তর মালাদা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মনোজের ওপর আস্থা রাখলেন আলিপুরদুয়ারবাসী, শহরাঞ্চলে বাজিমাত করল বিজেপি

    Alipurduar: মনোজের ওপর আস্থা রাখলেন আলিপুরদুয়ারবাসী, শহরাঞ্চলে বাজিমাত করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ফের বাজিমাত করল বিজেপি। ২০১৯ এ প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে আলিপুরদুয়ারের এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী জন বারলা। এবার জয়ের মার্জিন কমলেও এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞার ওপর আস্থা রেখেছেন আলিপুরদুয়ারবাসী।

    শহরাঞ্চলে বাজিমাত করেছে বিজেপি (Alipurduar)

    চা বলয়ের মধ্যে মাদারিরহাট বিধানসভা এলাকায় রয়েছে মানোজ টিগ্গার বাড়ি। গত লোকসভায় ৪৩ হাজার ৮৩৮ ভোটের ব্যবধানে  তৃণমূল প্রার্থীর থেকে এগিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। এবারে বিজেপি প্রার্থী প্রায় ৯০০০ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। তবে, তৃণমূলের ভোট আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। একইভাবে কালচিনি, ফালাকাটা বিধানসভায় গত লোকসভার তুলনায় চা বলয়ে ভোটের ব্যবধান কমিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক চা বলয়ে জোরদার টক্কর দিলেও পুরসভাসহ শহরাঞ্চলের ভোটে খারাপ ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদল সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ও ফালাকাটা পুরসভার সবকটি ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। অথচ গত প্রায় দু বছর আগে পুরসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টি তে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হন। ফালাকাটায় ১৮ টি ওয়ার্ডের সবকটি ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে এসেছিল। আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ার দুই পুরসভার ফল খারাপ হওয়ার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে বলে দলের আন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপির বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকে শাসকদলে যোগদান করিয়েও আলিপুরদুয়ার বিধানসভা এলাকায় বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারেনি তৃণমূল।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি, জয়ী প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব

     উন্নয়ন করা আমার একমাত্র লক্ষ্য

    বিজেপি সাংসদ (Alipurduar) মনোজ টিগ্গা বলেন, মানুষ ফের বিজেপির ওপর আস্থা রেখেছেন। সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তবে, গতবারের তুলনায় আমাদের জয়ের ব্যবধান কমেছে। চা বলয়ে মূলত আমাদের ভোট কিছুটা কমেছে। তবে, এরজন্য কাউকে দায়ী না করে চা বলয়ে কেন ভোট কমল, সেটা আমরা দলগতভাবে বসে আলোচনা করে কারণ খুঁজে বের করতে হবে। জেলার আরও উন্নয়ন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: প্রেমের ফাঁদ পাতা বাংলাদেশে! হিন্দুদের নিয়ে গিয়ে চলছে ইসলামে দীক্ষিতকরণ

    Love Jihad: প্রেমের ফাঁদ পাতা বাংলাদেশে! হিন্দুদের নিয়ে গিয়ে চলছে ইসলামে দীক্ষিতকরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অপহরণ করে বাংলাদেশে নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে হিন্দু নারী-পুরুষ-শিশুদের। পরে জোর করে তাঁদের করা হচ্ছে মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তকরণ (Love Jihad)। জানা গিয়েছে, পাচারকারীরা নানা অছিলায় হিন্দু তরুণীদের নিয়ে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে। সেখানেই চলছে জোর করে ধর্মান্তকরণ। সম্প্রতি এমনই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় তাজ্জব প্রশাসন।

    অপহৃত হিন্দু কিশোরী (Love Jihad)

    কিছু দিন আগেই বাংলাদেশের সিপাহিজেলা থেকে অপহৃত হয় বছর পনেরোর এক হিন্দু কিশোরী। জনৈক সাব্বির আহমেদ ও তার বাবা তাকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। এর পরেই বাংলাদেশ প্রশাসন বর্ডার গার্ডকে (বিবিজি) এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়। ভারত থেকে অপহৃত মহিলা কিংবা তরুণীকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় পাকড়াও করার নির্দেশও দেওয়া হয়। বিবিজিকে এই নির্দেশ দেওয়া হলেও, স্থানীয় ম্যারেজ রেজিস্ট্রার এবং আদালতকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়নি। তার জেরেই বন্ধ হয়নি তরুণী অপহরণ কিংবা জোর করে ধর্মান্তকরণ (Love Jihad)। ফলশ্রুতি হিসেবে বাংলাদেশে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে লভ জিহাদ ও হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তকরণ।

    অপহৃত ১১ জন গ্রেফতার

    এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে বলে ২০২০ সালে বাংলাদেশের কিছু মিডিয়া খবর করে। সেই সংবাদ প্রতিবেদনের লিঙ্ক শেয়ার করা নিষিদ্ধ করে দেয় ফেসবুক, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘনের অজুহাতে। বাংলাদের নামী দৈনিক ‘যুগান্তর’ ও নিউজ পোর্টাল ‘জাগো নিউজ’ একটি প্রতিবেদনে জানায়, রামগঞ্জ উপজিলার লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে স্থানীয় পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১১ জন ভারতীয় নাগরিককে। এদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে অপহরণ করে নিয়ে আসা হয়েছিল, করা হয়েছিল ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তকরণও। মৌলবাদী ঘৃণা প্রচারক মিজানুর রহমান আজহারি স্বয়ং ধর্মান্তকরণের অনুষ্ঠান করেছিল। এই প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছিল, ২০০৬ সালে মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে নিখোঁজ হয়ে যায় স্থানীয় কাউন্সিল সদস্য ফতেমা বেগম ও মোজিবল হকের ছেলে মনির হোসেন।

    ওপার বাংলার মনির এপারে এসে শঙ্কর!

    পশ্চিমবঙ্গে এসে সে যোগ দিয়েছিল তবলিঘি জামাতে। শঙ্কর অধিকারী নাম নিয়ে দিব্যি সে বাস করছিল এপার বাংলায়। এখানেই সে এক হিন্দু তরুণীকে বিয়ে করে। এক দশকেরও বেশি সময় এ দেশে বসবাস করার পর মনির ও তাঁর স্ত্রী ফাঁদে পড়ে তবলিঘি জামাতের। ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। জামাতের তরফে মনির ওরফে শঙ্করের সঙ্গে বাংলাদেশের এক ব্যক্তির পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশি এই নাগরিক মনিরকে হিন্দু তরুণী ও মহিলাদের বাংলাদেশের পাচারের অফার দেয়। তাঁদের ইসলামে দীক্ষিত করাতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। তার বিনিময়ে মনিরকে ওই বাংলাদেশি মোটা টাকা মিলবে বলেও টোপ দেয়। টোপ গেলে মনির। জানা গিয়েছে, এ রাজ্যের ছ’জন মহিলা, যাঁদের অধিকাংশই তার স্ত্রীর (যিনি আদতে হিন্দু) আত্মীয়, তাঁদের ভিসা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে। মনিরের স্ত্রী ও দুই সন্তানকেও পাঠানো হয় তাঁদের সঙ্গে। সেখানে তাঁদের প্রত্যেককেই জোর করে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত করা হয়।

    লভ জিহাদের ফাঁদ

    ‘যুগান্তরে’র অন্য এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচাং উপজিলার হিন্দু মহিলা করফুল সরকারকে লভ জিহাদের ফাঁদে ফেলে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হয়। সে পড়েছিল কাজল মিঞার খপ্পরে। প্রেমের জালে (Love Jihad) জড়িয়ে তাঁকে মুসলমান করার পর ফের হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন করফুল। এতেই খেপে যান স্থানীয় মুসলমান নেতারা। তাঁকে তাঁর বাবার বাড়ির বাইরে বসবাস করতে বাধ্য করেন। শর্ত দেওয়া হয়, তাঁর বাবা-সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের হিন্দু ধর্ম ছেড়ে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হলে, তবেই মিলবে এক সঙ্গে বসবাসের অনুমতি।

    হিন্দু পরিবারকে মুসলমান হতে চিঠি!

    বাংলাদেশের এক প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামিম আহমেদ। সে-ও এক হিন্দু তরুণীকে অপহরণ করে বিয়ে করে জোর করে দীক্ষিত করে মুসলমান ধর্মে। পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করায় গ্রেফতার করা হয় শামিমকে। ২০২৩ সালের অগাস্টে কয়েকজন মুসলমান ঐশী বণিক নামে এক হিন্দু তরুণীকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে বাধ্য করে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নামকরা বাংলা দৈনিক ‘ইত্তেফাকে’র একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, সে দেশের কয়েকজন মুসলমান মাগুরা জেলার ৫০টি হিন্দু পরিবারকে মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হতে হবে বলে চিঠি দেয়। ওই ঘটনায় চারজন মুসলমানকে গ্রেফতার করেছিল বাংলাদেশের প্রশাসন। যদিও তারা প্রত্যেকেই জামিন পেয়ে যায়।

    অন্য একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সৌদি আরবে ৩ লাখ ৪৭ হাজার হিন্দুকে ইসলামি গ্রুপের তরফে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার টোপ দেওয়া হয়। ৩ লাখ ৪৭ হাজার হিন্দু ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন বলে ভুয়ো খবরও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তান এবং আরও কয়েকটি দেশেও রমরমিয়ে চলছে জোর করে ধর্মান্তকরণের ব্যবসা।

    আর পড়ুন: রেকর্ড গড়ল বিজেপি, বিরোধীশূন্য মধ্যপ্রদেশ পদ্মময়

    বাংলাদেশেরই আর একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ক্রমাগত চাপের কাছে নতি স্বীকার করে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের মাদারিপুরের হিন্দু দম্পতি অশোক মিত্র ও তাঁর স্ত্রী পার্বতী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এই মাসেই জনৈক সাগরিকা দাস লভ জিহাদের খপ্পরে পড়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে বাধ্য হন। চেন্নাই পুলিশ কীভাবে আন্তর্জাতিক লভ জিহাদের একটি ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছিল, সে খবর ফাঁস করে বাংলাদেশের নিউজ পোর্টাল ‘বাংলা ট্রিবিউন’।

    ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ হিসেবে, তখন জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল অনেক হিন্দু পরিবার। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪ বছর আগে। যদিও আজও সেই ট্র্যাডিশন সমানে (Love Jihad) চলছে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Adhir Chowdhury: হারের পর কি রাজনীতি ছাড়ছেন অধীর? কী বললেন সাংবাদিক সম্মেলনে?

    Adhir Chowdhury: হারের পর কি রাজনীতি ছাড়ছেন অধীর? কী বললেন সাংবাদিক সম্মেলনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুর লোকসভার পাঁচ বারের সাংসদ ছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। টানা ২৫ বছর ধরে দিল্লি, বহরমপুরে রাজনৈতিক জীবন কাটিয়েছেন। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্রে তৃণমূলের কাছে পারাজিত হয়েছেন তিনি। যদিও নির্বাচনের আগে ঘোষণা করেছিলেন যে, হেরে গেলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। একইভাবে, ইন্ডি জোট নিয়ে এই রাজ্যে মমতাকে সমর্থন করার বিষয়ে দলের সঙ্গে মতান্তর হয়েছিল তাঁর। পাল্টা দলের জাতীয় সভাপতির কাছ থেকে দল ছেড়ে গেলে কিছুই যাবে আসবে না এমন মন্তব্য শুনতে হয়েছিল। কিন্তু অধীর নিজের ভাবনায় স্থির ছিলেন।

    পরাজয়ের পর কী বললেন অধীর (Adhir Chowdhury)?

    নিজের পরাজয়ের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে অধীর (Adhir Chowdhury) বলেন, “হেরে যাওয়া মানে হেরেই যাওয়া। আমার কোনও অভিযোগ নেই। আমি আমার কথা থেকে সরে আসিনি। আমার সিদ্ধান্ত আমি স্পষ্ট করে জানাব। আপনারা জানেন এখানে কোনও ভোট হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে সমীকরণ বদলে গিয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী, রাহুল গান্ধীকেও নির্বাচনে হারতে হয়েছিল। আমিও ভোটে হেরেছি। মানুষ আমাকে ভোট দেননি এটাই সত্য। আমিও মানুষের রায় মেনে নিলাম।”

    আরও পড়ুনঃ ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    আর কী বললেন?

    সাংবাদিক সম্মেলন করে অধীর (Adhir Chowdhury) আরও বলেন, “আমরা এই নির্বাচনে এটা কখনই বলিনি সারা পশ্চিমবঙ্গে জয়ী হব। কিন্তু আমাদের যেখানে যেখানে সম্ভব ছিল আমরা চেষ্টা করেছি। আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে লড়াই করেছি। তবে হ্যাঁ, এখন পরাজয় স্বীকার করছি। ইউসুফ পাঠানকে আমি অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। বঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষের উপর চরম আঘাত আসতে চলেছে। মোদি কখনই ৪০০ সিট পাবেন না বলে আমরা আগেই জানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু কিছু সংবাদ মাধ্যম মোদির হয়ে প্রচার করেছে। রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা আমাদের আরও শক্তিশালী করেছে। কঠোর পরিশ্রম এবং মানুষের বিশ্বাস আমাদের বড় জয়ের দিকে নিয়ে গিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sealdah Division: সপ্তাহান্তে শিয়ালদা ডিভিশনে বাতিল বহু ট্রেন! আবারও যাত্রী-ভোগান্তির আশঙ্কা

    Sealdah Division: সপ্তাহান্তে শিয়ালদা ডিভিশনে বাতিল বহু ট্রেন! আবারও যাত্রী-ভোগান্তির আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই আবারও যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা শিয়ালদা ডিভিশনে (Sealdah Division)। বাতিল হতে পারে বহু ট্রেন। ৭ জুন অর্থাৎ শুক্রবার থেকে তিনদিন ট্রেন বাতিলের পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব রেল। মঙ্গলবার ভোটের ফল প্রকাশ হতেই আলোচনায় বসেন রেলকর্তারা। আগামী শুক্রবার থেকে টানা তিনদিনে বেশ বহু ট্রেন বাতিলের (Local train cancelled) পাশাপাশি বহু ট্রেনের যাত্রাপথেও কাটছাঁট করা হবে।

    কী কারণে ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত? 

    শিয়ালদা মেইন এবং বনগাঁ শাখায় প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ সহ ইন্টারলকিংয়ের কাজের পরিকল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই করছিল রেল। তবে এতদিন ধরে ভোট চলার কারণে যাত্রী হয়রানির কথা ভেবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হয়নি। তবে এবার ভোট মিটতেই সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। বুধবার রেলের কর্তারা বৈঠক করেছেন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কাজের জন্য মেগা পাওয়ার ব্লক করা হবে। সেই কারণে শিয়ালদা ডিভিশনের (Sealdah Division) বেশ কিছু শাখায় বহু ট্রেন বাতিল (Local train cancelled) থাকবে।

    পূর্ব রেল সূত্রের খবর, ১২ কোচের ট্রেন চালানোর জন্য প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ করা হবে। এর পাশাপাশি রেল চলাচলকে আরও মসৃণ করতে ইন্টারলকিংয়ের কাজ করা হবে। তার জন্য শিয়ালদা মেইন এবং বনগাঁ শাখায় পাওয়ার ব্লক করা হবে। ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই কাজ হবে।  এই সমস্ত কারণে শিয়ালদা ডিভিশনে (Sealdah Division) প্রচুর সংখ্যক ট্রেন বাতিল (Local train cancelled) করা হবে। এছাড়া বহু ট্রেন দমদম এবং বিধাননগর পর্যন্ত চলতে পারে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিলেন পদত্যাগপত্র

    সড়ক পথে অতিরিক্ত যান চালানোর আবেদন 

    রেলের এই সিদ্ধান্তে সপ্তাহের শেষে টানা তিন দিন শিয়ালদা মেন (Sealdah Division) ও বনগাঁ শাখার যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে। তাই যাত্রী দুর্ভোগ এড়াতে সড়ক পথে অতিরিক্ত যান চালানোর জন্য সরকারের কাছে রেলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হবে। একইসঙ্গে এ প্রসঙ্গে রেলের তরফে তরফে জানানো হয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণ কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত রেল লাইন রক্ষণাবেক্ষণ করলে বড়সড় মেরামতি এবং যন্ত্রাংশ পাল্টানোর প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। সেক্ষেত্রে যাত্রী হয়রানি কমানো সম্ভব হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share