Tag: West Bengal

West Bengal

  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি, জয়ী প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি, জয়ী প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা রাজ্যে বিজেপির বেশ কিছু আসন সংখ্যা কমলেও জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি। ভোটের ফল ঘোষণার পরই জলপাইগুড়িতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। লোকসভার প্রায় সবকটি বিধানসভা এলাকাতেই বিজেপি তাদের জয়ের ধারা বজায় রেখেছে।

    আবির খেলায় মেতে ওঠেন (Jalpaiguri)

    ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও এই আসন জয় লাভ করেছিল বিজেপি। এবারও সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মানুষ বিজেপির ওপরই ভরসা রাখলেন এবারেও। ৮৬ হাজারের ও বেশি ভোটে জয়লাভ করেছেন বিজেপির প্রার্থী জয়ন্ত রায়।  বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, “সাংসদ হিসেবে গত পাঁচ বছরে এলাকার জন্য প্রচুর কাজ করেছেন তিনি। যেমন, বেশ কিছু ট্রেনের স্টপেজের ব্যবস্থা করেছেন। পাশাপাশি সমস্ত রেলস্টেশনগুলিকে উচ্চ মানের পরিকাঠামো তৈরি এবং যাত্রীদের বিভিন্ন সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। জলপাইগুড়ি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজে উন্নিত হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই, জলপাইগুড়ির মানুষ এবারও জয়ন্ত রায় কে দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন।” এবারও দলীয় প্রার্থী জয়লাভ করার পর কর্মীরা আবির খেলায় মেতে ওঠেন।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম-সন্দেশখালিতে বিজেপির জয়, নত মস্তকে প্রণাম জানালেন শুভেন্দু

     জয়ী প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব

    এলাকায় নানা উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করে সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে প্রমাণ করেছেন জয়ন্তবাবু। আর তাতেই সাধারণ মানুষও তাঁকে আশীর্বাদ করেছেন। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। জেলার প্রতিটি প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন। পাশাপাশি প্রত্যেকটি এলাকার সমস্যা শুনে তা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে দিল্লি তলব করেছেন। বুধবারই তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। সূত্রের খবর, এবার তিনি কেন্দ্রের মন্ত্রীসভায় স্থান পেতে চলেছেন। সেই কারণেই তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যদি তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় জায়গা পান, তাহলে এই এলাকার আরও উন্নতি হবে বলে আশা এলাকাবাসীর।

    জলপাইগুড়ির আরও বেশি উন্নয়ন করা আমার একমাত্র লক্ষ্য

    দ্বিতীয়বার জয়ী হয়ে জয়ন্ত রায় বলেন, গত পাঁচ বছর আমি জেলাবাসীর (Jalpaiguri) সঙ্গে ছিলাম। তাঁদের কথা রাখার চেষ্টা করেছি। তাঁরা ফের আমার ওপর আস্থা রাখাই আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। আগামীদিনে জলপাইগুড়ির আরও বেশি উন্নয়ন করা আমার একমাত্র লক্ষ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    Post Poll Violence: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল (Post Poll Violence) ঘোষণা হয়েছে। তৃণমূল ২৯টি আসনে জয়ের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ছাড়া করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুষ্কৃতীরা লাঠি, বন্দুক, বাঁশ নিয়ে বাসিন্দাদেরকে হুমকি দিচ্ছে অনবরত। আক্রান্ত বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, “তৃণমূল হুমকি দিয়ে বলে গিয়েছে, এলাকায় থাকতে গেলে বিজেপি করা যাবে না।” অপর দিকে ক্যানিংয়ে বিজেপি নেত্রীর মায়ের চোখ মেরে ফাটিয়ে দিল তৃণমূল। উল্লেখ্য ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিরোধীরা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল।

    ক্যানিংয়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা (Post Poll Violence)

    মঙ্গলবার রাতে ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ (Post Poll Violence) করেছে। গুরুতর জখম হয়েছেন বিজেপি নেত্রীর স্বামী অসীম কুমার দাস ও মা অনিতা সিনহা। হামলার পর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। বিজেপি নেত্রী বলেন, “রাত নটার পর অস্ত্র হাতে হামলা চালায় ওরা। হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। এর আগেও হামলা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও রেখেছিলাম। আমি সে সময় বাড়িতে ছিলাম না, তখনই হামলা হয় আমার মা ও স্বামীর ওপর। ইতিমধ্যে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি।”

    মধ্যমগ্রামে বাড়ি ভাঙচুর

    ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রায় ১০-১২টি বাড়ি ভাঙচুর (Post Poll Violence) হয়েছে মধ্যমগ্রাম বিধানসভার নেতাজী পল্লী এলাকায়। গতকাল রাতে ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তিদারের জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর এই এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হাতে লোহার রড বাস বন্দুক নিয়ে তাণ্ডব চালায়। বিজেপির কার্যালয়ের সাটারে লাগাতার লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে এবং সেই সঙ্গে ওই বাড়ি ভাঙচুর চালায় গুন্ডারা। কখনও মহিলাদের বন্দুকের নল ঠেকিয়ে দেওয়া হয় হুমকি। আবার কখনও বিজেপি করার অপরাধে লাগাতার কিল ঘুষি চড় মারে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে। বাহিনী চলে যাবার পরে আবার দুষ্কৃতীরা এসে তাণ্ডব চালায়, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি দত্তপুকুর থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুনঃ গণনার পর রাতভর চলল বারাকপুর-নৈহাটি-ভাটপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    নিউটাউনে বাড়ি ভাঙচুর

    ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) এবার নিউটানে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাংচুর হয়েছে। অভিযোগ মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে নিউটাউনের বিবেকানন্দ পল্লী এলাকায় এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় ১২ থেকে ১৪ জন পাথর, লাঠি ও মদের বোতল নিয়ে হামলা চালায়। শুধু তাই নয় ২টি বাইক ভাঙচুর করা হয়। মদের বোতল মেরে বাড়ির জানলার কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনায় বিজেপির মূল অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: গণনার পর রাতভর চলল বারাকপুর-নৈহাটি-ভাটপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Post Poll Violence: গণনার পর রাতভর চলল বারাকপুর-নৈহাটি-ভাটপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত (Post Poll Violence) ভাটপাড়া সহ গোটা বারাকপুর। ফলাফল ঘোষণার পর গভীর রাত পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর চলে অত্যাচার। যথেষ্টই আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এই ঘটনার পর এলাকায় মোতায়েন হয়েছে পুলিশ।

    নৈহাটিতে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)

    গতকাল মঙ্গলবার লোকসভার ভোটের ফলাফলে এক তরফা জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর বারাকপুরের বাবুনগরে সারারাত বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ (Post Poll Violence) চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বিজেপি কর্মীদের বাড়ির দরজা, জানালা ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। কাচের জিনিস থেকে শুরু করে চেয়ার, টেবিল এবং দরকারি জিনিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। আবার নৈহাটিতে বিজেপির মহিলা কর্মী অনিন্দিতার বাড়িতে তৃণমূলের গুন্ডারা হামলা চালিয়েছে। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। বিজেপি কর্মী রাজু শ্রীবাস্তবের গাড়ি টিএমসির গুন্ডারা ভেঙে দিয়েছে। বিজেপি কর্মী শুভেন্দু চ্যাটার্জির বাবা এবং জেঠি মাকে তৃণমূলের আশ্রিত গুন্ডারা যেমন ছোটন দাস, আশিস শাউ এবং অন্যান্যরা পিটিয়েছে৷

    ভাটপাড়ায় হিংসা

    আবার ভাটপাড়ার তালা কলোনির এক সাধারণ ভোটারের বাড়িতে চারটি বোমা মারা (Post Poll Violence) হয়। বাড়ির মা বলেছেন, “বড় ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। ভয়ে ছেলেকে মাসির বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। ছোট ছেলে বাড়িতে রয়েছে কিন্তু তাঁকেও মারবে বলে সংবাদ মাধ্যমের সামনে হুমকি দিয়ে গিয়েছে। অত্যন্ত আতঙ্কের মধ্যে আমরা রয়েছি।”

    অর্জুনের বক্তব্য

    বিজেপি নেতা অর্জুন সিং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন, “আমি নির্বাচন কমিশন এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহজিকে এই আক্রমণগুলি (Post Poll Violence) বন্ধ করতে এবং বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জীবন, সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।”

    আরও পড়ুনঃ পুনর্গণনা ধোপে টিকল না, বালুরঘাটে জয়ী হলেন সুকান্ত

    হিংসার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন পার্থ

    ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) হিংসা আবার শুরু হয়েছে বারাকপুর জুড়ে। বিজেপির দাবি, জাতীয় হিউম্যান রাইটস কমিশন-এর রিপোর্টে ২০২১ সালের ভোট-পরবর্তী হিংসার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিক, তিনি আবার সক্রিয়। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর নির্দেশে আবার বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raju Bista: দার্জিলিংয়ে বিজয়রথ বিজেপির, প্রায় দুলক্ষ ভোটে জয়ী হলেন রাজু বিস্তা

    Raju Bista: দার্জিলিংয়ে বিজয়রথ বিজেপির, প্রায় দুলক্ষ ভোটে জয়ী হলেন রাজু বিস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিং বিজেপিকে চায়। এবারের লোকসভা নির্বাচনের রেজাল্টে সেটাই প্রমাণ করল। পরপর চারবার দার্জিলিং আসনে জিতল বিজেপি। পরপর দু’বার জিতলেন রাজু বিস্তা (Raju Bista) । এবার রাজু বিস্তা ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫২৫ ভোট জয়ী হয়েছেন। আর তার এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে আর একটি দিক উঠে এল, যে পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমল গুরুঙ্গ এখনও প্রাসঙ্গিক।

    উন্নয়নের জয় (Raju Bista)

    এই জয় দার্জিলিং কেন্দ্রের পাহাড় ও  সমতল মানুষের জয়,  উন্নয়নের জয় বলে জানিয়েছেন রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ উন্নয়ন চায়। সে কারণেই এখানে মানুষ বিজেপিকে জিতিয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো সামান্য ভাতার ওপর ভরসা করেনি। এখানকার মানুষ সচেতন বলেই তাঁরা এই সাহস দেখিয়েছেন। তাঁদের শ্রদ্ধা করি। এতে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। গত লোকসভা নির্বাচনে চার লাখেরও বেশি ভোটেন ব্যবধানে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। এবার তার লড়াই কঠিন ছিল। ব্যবধান কমবে জানতেন রাজু বিস্তা (Raju Bista)। পাহাড়ের শাসকদল অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতন্ত্রের মোর্চার সঙ্গে জোট করে লড়েছিল তৃণমূল। অনিত থাপার কাঁধে ভর দিয়ে পাহাড়ের বিপুল ভোটে লিড পাওয়ার আশায় ছিল তৃণমূল। এর পাশাপাশি কংগ্রেস প্রার্থী মুণিশ তামাংকে পাহাড়ে অজয় এডওয়ার্ডের দল হামরো পার্টি সমর্থন করোছিল। তার থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কার্শিয়াং বিজেপির বিধায়ক বিষ্ণু প্রসাদ শর্মার নির্দল প্রার্থী হওয়া। এতে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে এবার পাহাড়ের ভোট ভাগাভাগি হবে। তাতে রাজু বিস্তার ব্যবধান কমবে। এতকিছুর পরেও রাজু বিস্তা পাহাড় থেকে প্রায় এক লক্ষ ভোটে লিড পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে পাহাড়ে বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেসকে তারা চায় না। পাহাড়ের মানুষ উন্নয়নের জন্য বিজেপিকেই ভরসা করে। 

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম-সন্দেশখালিতে বিজেপির জয়, নত মস্তকে প্রণাম জানালেন শুভেন্দু

    অনিতের চাপ বাড়াল বিমল গুরুঙ্গ

    অনিত থাপা জিটিএর দায়িত্বে রয়েছেন। দার্জিলিং পুরসভাও তাঁর দখলে। পাহাড়ের পঞ্চায়েতও অনিত থাপার দলের দখলে। সব মিলিয়ে পাহাড়ে অনিত থাপাই শেষ কথা হয়ে উঠেছিলেন। বিমল গুরুঙ্গ পাহাড়ের রাজনীতি থেকে হারিয়ে গিয়েছে, সেই প্রচারও ছিল। কিন্তু, এবারের লোকসভা ভোটে কালিম্পংয়ে রাজু (Raju Bista) ২৩৬৩২ ভোটে  লিড পেয়েছেন। দার্জিলিঙে ৩১৩৪৫, কার্শিয়াংয়ে ৩৮৫০৮ ভোটে লিড পেয়েছেন। এবার রাজু বিস্তাকে সমর্থন করেছিলেন বিমল গুরুঙ্গ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, পাহাড়ে অনিত থাপাকে পিছনে ফেলে রাজু বিস্তার লিড পাওয়ার ক্ষেত্রে বিমল গুরুংয়ের সমর্থন একটা ফ্যাক্টর। কার্যত বিমলের কাছে হেরে গেলেন অনিত থাপা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: “পরিশ্রম করেছি, সফল হতে পারিনি”, ভোটে হেরে বললেন দিলীপ ঘোষ

    Election Result 2024: “পরিশ্রম করেছি, সফল হতে পারিনি”, ভোটে হেরে বললেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই বার বিজেপির ঝুলিতে এসেছিল ১৮টি আসন। এইবারে ২০২৪ সালে নিজের জেতা কেন্দ্র মেদিনীপুর ছেড়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে ভোটে হেরেছেন (Election Result 2024) তিনি। বিজেপি পেয়েছে ১২টি আসন। নিজে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমি লড়াই করেছি, পরিশ্রম করেছি, সফল হতে পারিনি।” অপরে বর্তমান বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “পার্টির মধ্যে অবশ্যই আলোচনা করব। রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায় তো আমারই। কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্যই হয়তো হেরে গেলেন দিলীপদা।”

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ (Election Result 2024)?

    নিজের কেন্দ্রে লোকসভা ভোটে হেরে (Election Result 2024) গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যখন বিজেপিতে আসি তখন পার্টি নতুন ছিল, আমি নতুন ছিলাম। কিন্তু পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এখন সারা ভারতে বিজেপির ফল খারাপ হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সামনে ছিলেন, তাঁর ফলও আগের মতো ভাল হয়নি। আমি লড়াই করেছি, পরিশ্রম করেছিল। সফল হতে পারিনি, এটাই বলব। রাজনীতিতে ওঠানামা চলতে থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টি কোথায় ছিল, নীচে চলে গিয়েছিল। আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন, সরকারও গঠন করেছেন। লোকসভায় হেরেছেন, আবার উঠেছেন। আপডাউন মেনে নিতে হবে। বিশ্লেষণ করতে হবে। তবে পার্টির ভূমিকা থাকে। কিন্তু কার ভূমিকা ছিল আমি জানি না। পার্টি বলেছে আমি শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মী। আমাকে পার্টি নির্বাচনে লড়াই করতে বলেছে। আমি লড়াই করেছি।”

    আরও পড়ুনঃপুনর্গণনা ধোপে টিকল না, বালুরঘাটে জয়ী হলেন সুকান্ত

    কী বললেন সুকান্ত

    বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট কেন্দ্রের জয়ী সাংসদ বিজেপির ফলাফল (Election Result 2024) নিয়ে বলেছেন, “পার্টির মধ্যে অবশ্যই আলোচনা করব। রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায় তো আমার রয়েছে। তবে সব সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারিনি। কিন্তু দায় তো আমাকেই নিতে হবে। আমি পিছু পা হব না। সিদ্ধান্ত হয়তো অন্য কেউ নেবে। তবে দায় আমাকেই নিতে হবে। আমার বিশ্বাস ছিল দিলীপদা জিতে যাবেন। তিনি আমাদের সকলের নেতা। আমরা সকলকে শ্রদ্ধা করি। তাঁর কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্যই হয়ত হেরে গেলেন।” আবার নিশীথ প্রমাণিকের হার সম্পর্কে বলেছেন, “কোনও কারণে হয়তো হেরে গিয়েছেন, তবে ভেবে ছিলাম জয়ী হবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: পুনর্গণনা ধোপে টিকল না, বালুরঘাটে জয়ী হলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: পুনর্গণনা ধোপে টিকল না, বালুরঘাটে জয়ী হলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুনর্গণনা ধোপে টিকল না। বালুরঘাটে জয়ের ধারা বজায় রাখল বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দ্বিতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হলেন। যদিও তাঁর এই জয় নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত প্রচুর টালবাহানা হয়েছে। তৃণমূলের নির্দেশ মেনে ফের গণনা হয়েছে। তবে, শেষ হাসি হেসেছেন সুকান্ত।

    পুনর্গণনার পরও জয়ী হলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    মঙ্গলবার বালুরঘাট লোকসভা আসনে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সারাদিন চলছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। মোট ১৮ রাউন্ড গণনা হয়েছে। ১৮ রাউন্ড গণনা শেষে ১০ হাজার ৩৮৬  ভোটে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রশাসন থেকে প্রার্থীদের ভোটের সংখ্যা ঘোষণা করেন। তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ৫৬৪৬১০। আর বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৫৭৪৯৯৬ । রাত এগারোটার পর গঙ্গারামপুর বিধানসভার ২৫টি বুথে পুনর্গণনা চেয়েছিল তৃণমূল। সেখানে দশটা বুথে পুনর্গণনা শুরু হয়। তৃণমূলের দাবি, এই বিধানসভা এলাকায় ভালো ফল করেছেন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। রাত এগারোটার পর শুরু হয় পুনর্গণনা। রাত প্রায় দেড়টার দিকে জয়ী ঘোষণা করা হয় বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে। সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। কাউন্টিং সেন্টার ছাড়ার আগে তিনটি বিধানসভা এলাকার সমস্ত ইভিএম পরীক্ষা করার দাবি তোলেন তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। সুকান্ত মজুমদার জয়ের পর কাউন্টিং সেন্টার থেকে বেরিয়ে এই জয়কে জেলার মানুষের উদ্দেশ্যে সমর্পণ করেন।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম-সন্দেশখালিতে বিজেপির জয়, নত মস্তকে প্রণাম জানালেন শুভেন্দু

    বালুরঘাটে আরও উন্নয়ন করব

    সুকাম্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) জয়ের পর আবির খেলে ও বাজি ফাটিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। জয়ের পর সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম আমি জিতব। আর জিতলামও। আমার এই জয় জেলার মানুষের জন্য। আমার জয় দেখে তৃণমূল পুনর্গণনা করেন। গভীর রাত পর্যন্ত পুনর্গণনা হবার পরও আমি ১০ হাজার ৩৮৬  ভোটে জয়ী হয়। আমি আমার এই লোকসভাতে আরও উন্নয়ন করব।

    ইভিএমে কারচুপি!

    এই বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলেন, রাজনীতিতে হার জিত থাকবে। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে তপন, গঙ্গারামপুর, বালুরঘাট এই তিনটি বিধানসভার ইভিএম পরীক্ষা করার দাবি তুলছি। আমার মনে হয়, এই ইভিএমগুলিতে কোনও কারচুপি করে রেখেছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Weather: উত্তরে ভারী বৃষ্টি আর দক্ষিণে চরম অস্বস্তি! আবারও ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ

    West Bengal Weather: উত্তরে ভারী বৃষ্টি আর দক্ষিণে চরম অস্বস্তি! আবারও ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরে ভারী বৃষ্টি আর দক্ষিণবঙ্গে চরম অস্বস্তি। হ্যাঁ সম্প্রতি আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এমনটাই জানা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাস বইলেও উইকেন্ডের আগে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। আর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির (West Bengal Weather) প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের আট জেলায় আবারও বাড়বে গরম ও অস্বস্তি। 

    দক্ষিণের আবহাওয়া (West Bengal Weather) 

    সকাল থেকে অস্বস্তিকর গরম। তবে বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে ঝড়বৃষ্টিতে (Weather Forecast of Bengal) মিলতে পারে স্বস্তি। কিন্তু আগামীকাল থেকে ফের বাড়বে গরম আর কমবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। ফলে দক্ষিণবঙ্গে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়াই থাকবে আগামী কয়েকদিন। পূর্বাভাস অনুযায়ী বুধবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে কলকাতা সহ বাকি জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বুধে বৃষ্টির পর বৃহস্পতি ও শুক্রবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম,পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে এইসব জেলাগুলিতে পাল্লা দিয়ে বাড়বে অস্বস্তি। 

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস অব্যহত

    দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি পরিস্থিতি অব্যাহত। বুধ এবং বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ (West Bengal Weather) আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বিশেষত, উপরের দিকের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং, কালিম্পঙ, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে অধিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ এরপর শুক্রবার থেকে রবিবার অর্থাৎ ৭, ৮ এবং ৯ তারিখ সার্বিকভাবে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে উত্তরবঙ্গে। তবে দু-একটি জায়গায় বৃষ্টির (Weather Forecast of Bengal) পরিমাণ বেশি থাকবে।   

    আরও পড়ুন: অভিনব ভাবনা! রেল কোচের মধ্যেই তৈরি হল রেস্তরাঁ, কোথায়? জানুন

    দক্ষিণে কবে আসবে বর্ষা? 

    উত্তরবঙ্গে তড়িঘড়ি বর্ষা ঢুকে পড়লেও আপাতত তা থমকে। গত ৩১ মে থেকে একই জায়গায় মৌসুমী অক্ষরেখা। ফলে এ সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণে মৌসুমী বায়ু আসার সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা (West Bengal Weather)  আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি দক্ষিণবঙ্গে আসতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। 
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রাম-সন্দেশখালিতে বিজেপির জয়, নত মস্তকে প্রণাম জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রাম-সন্দেশখালিতে বিজেপির জয়, নত মস্তকে প্রণাম জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল ঘোষণার আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, তমলুক এবং কাঁথিতে দলীয় প্রার্থীরা জয়ী হয়ে নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করবেন। মঙ্গলবার ফল ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যায়, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানুষ বিরোধী দলনেতার কথার ওপর আস্থা রেখেছেন। আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আন্দোলনের ভূমি হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রামেও বিজেপির প্রার্থী লিড পেয়েছেন। একইসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট লোকসভা আসনে জয়লাভ না পেলেও সন্দেশখালি বিধানসভার মানুষ বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের ওপর আস্থা রেখেছেন। আর রাজ্যে আন্দোলনের ভূমি হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রাম এবং সন্দেশখালিতে বিজেপির ওপর আস্থা রাখাই দুই বিধানসভার মানুষকে নত মস্তকে প্রণাম জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    সন্দেশখালির বাসিন্দাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    সন্দেশখালি নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ট্যুইট করেন, “সন্দেশখালির মানুষকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিশেষ করে সেই সমস্ত সাহসী শক্তি স্বরূপাদের যাঁরা দৃঢ়ভাবে শ্রীমতী রেখা পাত্রের পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন। যাঁরা বসিরহাট সংসদীয় ক্ষেত্রের সন্দেশখালি বিধানসভায় রেখা পাত্রকে লিড দিয়েছেন।”

    <p

    নন্দীগ্রাম সবসময় স্বৈরাচারি বাহিনীকে প্রত্যাখান করেছে

    নন্দীগ্রামের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে অন্য আরেকটি ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লেখেন, “নন্দীগ্রামের মানুষকে আমি নতমস্তকে প্রণাম ও আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই যাঁরা বারবার আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। নন্দীগ্রাম ২০২১ সালে আমার সমর্থনে ভোট দিয়েছিল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়ে ছিল। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১টিতে জিতেছিল বিজেপি। সেই সঙ্গে জয় এসেছিল নন্দীগ্রাম ব্লকের ১ ও ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতেও। দলীয় প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তমলুক লোকসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন তখন নন্দীগ্রাম তাঁকে ৮২০০ ভোটে লিড দিয়েছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে নিজের হার নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা বলছেন। ওখানে কোনও রকম ম্যানিপুলেশনের ঘটনা ঘটেনি। আসলে নন্দীগ্রাম সবসময় স্বৈরাচারি বাহিনীকে প্রত্যাখান করে এসেছে। অদূর ভবিষ্যতেও নন্দীগ্রামের মানুষ পশ্চিমবঙ্গের বাকি এলাকার মানুষদের অনুপ্রাণিত করবেন।”

    <p

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর জয়! আবির মেখে বাজি ফাটিয়ে উল্লাস করলেন বিজেপি কর্মীরা

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর জয়! আবির মেখে বাজি ফাটিয়ে উল্লাস করলেন বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) জয় নিয়ে দিনভর টানাপোড়েন চলল। রাজ্যের অন্যান্য কেন্দ্রে ফল ঘোষণা করা হলেও এই কেন্দ্রে অজানা কারণে রাত দশটা পর্যন্ত ফল ঘোষণা করেনি প্রশাসন। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করলেন বিজেপি প্রার্থী।

    সুকান্তর জয়! আবির মেখে বাজি ফাটিয়ে উল্লাস করলেন বিজেপি কর্মীরা (Sukanta Majumdar)

    এদিন গণনার প্রথমদিকে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) এগিয়ে থাকলেও পরে তৃণমূল প্রার্থী এগিয়ে যান। পঞ্চম রাউন্ড শেষে বালুরঘাট লোকসভা আসনে ২ হাজার ৪৮১ ভোটে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। তারপর নবম রাউন্ডে বালুরঘাট লোকসভা আসনে দশ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে যান বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। রাত দশটা নাগাদ ১৮ রাউন্ড শেষে প্রায় ১০ হাজার ভোটে সুকান্ত এগিয়ে রয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার জয়ী হয়ে গিয়েছে ভেবে এদিন বিকেলের দিকে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা নরেন্দ্র মোদির মুখোশ পরে আবির খেলায় মেতে ওঠেন। বাজি ফাটিয়ে উল্লাস করেন। গোটা জেলার মানুষ মেতে ওঠেন জয়ের উল্লাসে।

    আরও পড়ুন: তমলুকে জয়ী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কাঁথিতেও ফুটল পদ্ম, ব্যাপক উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের

    প্রশাসন হারানোর চক্রান্ত করছে

    এদিকে গণনা হয়ে যাওয়ার পরেও শংসাপত্র দিতে দেরি করছে জেলা প্রশাসন। এমনই অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে যেহেতু বালুরঘাটে তৃণমূল কংগ্রেস জিতে গেছে বলে ঘোষণা করেছেন, সেই কারণেই প্রশাসন আমাকে শংসাপত্র দিতে গড়িমসি করছে। আমাকে নানা কৌশলে হারানোর চক্রান্ত করছে। তবে, দলীয় এজেন্টের মাধ্যমে যে সব প্রাপ্ত রেজাল্ট সিট আমার কাছে এসেছে, তাতে আমি জয়লাভ করেছি। প্রশাসনের কাছে আমি আবেদন করছি, দ্রুত গণনা শেষ করে জয়ের সার্টিফিকেট আমার হাতে তুলে দেওয়া হোক। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, আমরাই জিতব। আর নরেন্দ্র মোদি হবেন প্রধানমন্ত্রী। সুকান্ত মজুমদারের জয় নিশ্চিত। তাই আমরা সেই আনন্দে আবির ও বাজি ফাটিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: রানাঘাটে ফের বাজিমাত করল বিজেপি, জগন্নাথ জয়ী হতেই উল্লাসে মেতে উঠলেন দলীয় কর্মীরা

    Ranaghat: রানাঘাটে ফের বাজিমাত করল বিজেপি, জগন্নাথ জয়ী হতেই উল্লাসে মেতে উঠলেন দলীয় কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে বিজেপি পুনরায় পরাজিত হলেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলেন নদিয়ার রানাঘাট (Ranaghat) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। এদিন সকালে প্রথম থেকেই বিজেপি প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। পরে, কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও জগন্নাথ ফের তৃণমূল প্রার্থীর থেকে এগিয়ে যায়। কয়েক রাউন্ডের পর থেকে বিজেপি প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান ক্রমশ বাড়তে থাকে। রাত সাড়ে নটা পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি এগিয়েছিলেন।

    আবির খেলায় মেতে উঠলেন বিজেপি কর্মীরা (Ranaghat)

    রানাঘাট (Ranaghat) কেন্দ্র নিয়ে দীর্ঘ জল্পনা চলছিল। একদা বিজেপির বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী দল ছাড়ার পর তৃণমূল তাঁকে রানাঘাট কেন্দ্রে জগন্নাথের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে। মতুয়া সমাজের আধিপত্য রয়েছে মুকুটমণির ওপর। সেই কারণেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছিল, গত বছরের তুলনায় এ বছর রানাঘাট কেন্দ্রে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। এই আসন নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা ছিল। তবে, ভোটের কয়েকদিন আগে তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী বিজেপিতে যোগ দিয়ে জগন্নাথ সরকারকে জয়ের পক্ষে সওয়াল করেন। কিন্তু, সব জল্পনা উড়িয়ে আবারও গেরুয়া আবিরে মেতে উঠল রানাঘাট লোকসভা এলাকা। এদিন জয়ের পর দলীয় কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় মিছিল করেন। কর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতড়ণ করা হয়।

    আরও পড়ুন: তমলুকে জয়ী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কাঁথিতেও ফুটল পদ্ম, ব্যাপক উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের

    সাধারণ মানুষকে উৎসর্গ করলেন জয়

     এ বিষয়ে রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, এই জয় সাধারণ মানুষের জয়। এই জয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়। তৃণমূল গোটা রাজ্য জুড়ে যে লাগাম ছাড়া দুর্নীতি করেছে, সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ রায় দিয়েছেন। তাই, আমি মানুষকে এই জয়ের কারণ হিসেবে করজোড়ে প্রণাম জানাই। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে প্রার্থী তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকে সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। গত পাঁচ বছরে যে উন্নয়ন আমি গোটা লোকসভা কেন্দ্রে করেছি, আগামী পাঁচ বছরও মানুষের জন্য কাজ করে যাব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share