Tag: West Bengal

West Bengal

  • Sandeshkhali: ভোট শেষে রণক্ষেত্র সন্দেশখালি, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, রাস্তা অবরোধ

    Sandeshkhali: ভোট শেষে রণক্ষেত্র সন্দেশখালি, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের শেষ বেলায় সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)  নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূলের চোখ রাঙানির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় মহিলারা। দীর্ঘদিনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইতে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে এদিন দফায় দফায় তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali) 

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগে আটক ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। পরে, বাসন্তী হাইওয়েতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। গ্রামবাসীদের দাবি, ধৃত ব্যক্তি নির্দোষ। প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিশ সেই বিক্ষোভ হঠাতে গেলে, ইটবৃষ্টি শুরু হয় এলাকায়। কার্যত খণ্ডযুদ্ধের আকার নেয় চেহারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল, তা জানতে চান তিনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়, আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই তাঁরা এই পদক্ষেপ করেছেন। যদিও সেই যুক্তি মানতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী।

    শাহজাহান বাহিনীর দোসর হয়েছে পুলিশ!

    সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) । তার মধ্যেই বেলা যত গড়াতে থাকে ততই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। স্থানীয় মহিলাদের একাংশের দাবি, শেখ শাহজাহানের বাহিনী এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে। তাদেরই দোসর হয়েছে পুলিশ। তবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় জনতা। দুপুরে ফের ইটবৃষ্টি হয়। পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এদিন সন্দেশখালির রাস্তায় বেরিয়ে আসেন মহিলারা। তাঁদের দাবি, পুলিশ আমাদের দিকে ইঁট ছুঁড়ছিল। তার আঘাতে এক মহিলা আহত হন। তবে পুলিশ এই অভিযোগ মানতে চায়নি। পুলিশের দাবি, পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন ওই মহিলা।

    পুলিশকে ধমক দেন বিজেপি প্রার্থী!

    এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় চলে আসেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। তিনি পুলিশকে সামনে দেখেই চিৎকার শুরু করে দেন। তিনি বলেন, লজ্জা করছে না আপনাদের। আপনারা মুখ্যমন্ত্রীর কেনা গোলামের মতো কাজ করছেন। এখন আপনারা মুখ লুকানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু জনতা আপনাদের আসল রূপ ধরে ফেলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: বরানগরে কার্যালয় ভাঙচুর, রক্ত ঝরল কর্মীর, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী, হাত গুটিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী!

    Baranagar: বরানগরে কার্যালয় ভাঙচুর, রক্ত ঝরল কর্মীর, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী, হাত গুটিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল বরানগর। বিভিন্ন বুথে তৃণমূলের বহিরাগতদের দাপাদাপি লেগেই ছিল। বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ছিল। ভোটের শেষ বেলায় বরানগরে (Baranagar) বিজেপির পাটি অফিসে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী বরানগর বিধানসভা উপ নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    বরানগরে কার্যালয় ভাঙচুর, রক্ত ঝরল কর্মীর, আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী (Baranagar)

    এদিন বরানগরে (Baranagar) বিজেপির কার্যালয়ে কয়েকজন কর্মী-সমর্থক বসেছিলেন। আচমকা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে ছুটতে ছুটতে এসে  পার্টি অফিসের ভিতরে  ঢোকেন। এরপরই পার্টি অফিসে থাকা কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর  করা হয় আসবাবপত্র।  মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি কর্মীর। অন্যদিকে, বরানগরের রবীন্দ্র ভবনে ১০২ নম্বর বুথে এদিন ভুয়ো ভোটারকে তাড়া করেন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। আলমবাজারে ভুয়ো ভোটার ধরার পরই তৃণমূলীদের হাতে আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। বরানগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী অপদার্থ!

    বরানগরে (Baranagar) পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সজল ঘোষ। তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে গর্জে উঠে বলেন, আমাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালাবে। বুথ দখল করবে। সবকিছু লুট করবে তৃণমূল, তাহলে আপনাদের থেকে আমাদের কী সুবিধা হচ্ছে? আপনারা তো ওখানে উপস্থিত ছিলেন। আপনার একজন তো পালিয়েও গেল! ‘কী করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী? কী বলবেন আপনি?’ কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিক কোনও মুখ খোলেননি। পরে, সজলবাবু বলেন, সেন্ট্রাল বাহিনী অপদার্থ।

    বুথের সামনে তৃণমূলের জমায়েত!

    এদিন সকাল থেকেই বরানগর জুড়ে বুথে বরিরাগতরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। বেলা বাড়তেই বুথের বাইরে তৃণমূল কর্মীদের জমায়েত বাড়তে থাকে। জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিকেসি কলেজের বুথের কাছেই তৃণমূল বেআইনিভাবে জমায়েত করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত সেখানে গেলে তৃণমূলের বাহিনী তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে প্রতিবেশীদের মিষ্টি বিলি করলেন শান্তিপুরের শ্রীকৃষ্ণ সরকার

    CAA: নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে প্রতিবেশীদের মিষ্টি বিলি করলেন শান্তিপুরের শ্রীকৃষ্ণ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদিজির ভাষণ শুনে ভরসা করে কিছুদিন আগে সিএএ (CAA) পোর্টালে আবেদন করেছিলেন নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতের আরপাড়া গ্রামের শ্রীকৃষ্ণ সরকার।  নাগরিকত্বের শংসাপত্র তিনি হাতে পেয়েছেন। আর শংসাপত্র হাতে পেয়ে তিনি বেজায় খুশি। নিজে হাতে মিষ্টি বিলি করলেন প্রতিবেশীদের।

    এলাকায় মিষ্টি বিলি করলেন সরকার পরিবার (CAA)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীকৃষ্ণবাবুর বয়স বর্তমানে ষাটের  কাছাকাছি। প্রায় ৫০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে মায়ের হাত ধরে দুই ভাই এবং এক বোনকে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণবাবু ভারতে এসেছিলেন। মুসলিমদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাঁরা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হন। শান্তিপুরে বাড়ি এবং চাষবাসের জন্য কিছুটা জমি কিনে তাঁরা বসবাস করতে শুরু করেন। পরে, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড সব পরিচয়পত্র হয় তাঁদের। সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর তাঁরা যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় ছিলেন।  ভরসা রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। অনলাইন পোর্টালে আবেদনের মাত্র এক মাসের মধ্যেই হাতে পেয়ে গেলেন নাগরিকত্বের শংসাপত্র। শংসাপত্র (CAA) হাতে পেয়ে সরকার পরিবারের পক্ষ থেকে একই এলাকায় বাড়ি প্রাক্তন সাংসদ এবং বর্তমান রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার সহ আরএসএস এবং বিজেপি কর্মকর্তা সহ সকল নাগরিকদের মিষ্টি বিলি করা হয়।

    মোদি সরকারের জন্য মাথা উঁচু করে এবার বাঁচব

    শ্রীকৃষ্ণবাবু বলেন, নিজে আবেদন করে দেখে নিলাম কোনও আইনি সমস্যা বা দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি আছে কিনা। ১৭ মে আবেদন করেছিলাম। এত অল্প সময়ের মধ্যে আমি শংসাপত্র (CAA) হাতে পাব তা আশা করিনি। এটা অত্যন্ত সহজ এবং আইনি কোনও জটিলতা নেই। সকলকে আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেব। কারণ, এই মোদি সরকার কখনও তার নাগরিকদের সমস্যায় ফেলবে না। তবে, যে দেশে বাস করব সেই দেশের অনুমতি সহ থাকাই নিরাপদ। মোদি সরকারের জন্য এই দেশে মাথা উঁচু করে এবার বাঁচব।

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন,  আফগানিস্তান পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা নাগরিকদের খুব সহজ পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় সরকার এই নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু করেছে। যা অতীতে কোনও রাজনৈতিক দল করতে পারেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ভোট লুট করল তৃণমূল! ভাঙচুর করা হল বাইক, রক্ত ঝরল বিজেপি নেতা-কর্মীর

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ভোট লুট করল তৃণমূল! ভাঙচুর করা হল বাইক, রক্ত ঝরল বিজেপি নেতা-কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দফা ভোটে দেশবাসীর নজর রয়েছে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। বসিরহাট লোকসভার এই বিধানসভায় শুক্রবার রাত থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচার করার অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। শনিবার সকাল থেকেও সন্দেশখালি এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাশাপাশি বসিরহাট লোকসভার হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এদিন সকাল থেকে বিজেপি কর্মী-এজেন্টদের ওপর হামলা চালানো হয়।

    সন্দেশখালিতে ভাঙচুর করা হল বাইক, রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর (Sandeshkhali)

    ভোটের আগের রাতে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) । ফের একবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন গ্রামবাসীরা। পাল্টা টহল দেওয়ার সময় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশের ছদ্মবেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। বিজেপির এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে, শনিবার ভোট শুরু হতেই ফের অশান্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির বয়রামারি এলাকায় এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এলাকায় ন্যাজাট থানার ওসি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির বয়রামারির একটি বুথে তৃণমূল ছাপ্পা ভোট করছিল। বিজেপি কর্মী গিয়ে তার প্রতিবাদ করেন। এরপরই তাঁর ওপর বেপরোয়াভাবে হামলা চালানো হয়।

    মিনাখাঁয় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর

    এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাটি ঘটেছে মিনাখাঁ বিধানসভার কালিনগর গ্রামের ৫৫ নম্বর বুথে। বিজেপি কর্মী  মনত মণ্ডল বলেন, আমি পঞ্চান্ন নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্ট বসিয়ে বাড়িতে ফিরছিলাম। ঠিক সেই সময় আমাকে মারধর করে তৃণমূলের লোকজন। অন্যদিকে, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে হাড়োয়া এক নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বলেন, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র হেরে যাবেন। তাই, বিজেপি মিথ্যা নাটক করছে। তৃণমূল কোনওদিন মারামারির রাজনীতি করে না। জানা গিয়েছে, আহত বিজেপি কর্মীর হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।  

    হিঙ্গলগঞ্জে আক্রান্ত বিজেপি নেতা

    হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দেয়নি তৃণমূল। হিঙ্গলগঞ্জের মণ্ডল সভাপতি পুষ্পেন্দু রায় একাধিক বুথে এজেন্ট বসাতে গেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মীও। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত বিজেপি নেতাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজন বিজেপি কর্মীর চোট গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: খড়দায় বিজেপি নেতাকে মার, গাড়়ি ভাঙচুর, বরানগরে সন্ত্রাস তৃণমূলের

    Baranagar: খড়দায় বিজেপি নেতাকে মার, গাড়়ি ভাঙচুর, বরানগরে সন্ত্রাস তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দমদম লোকসভা ভোটের পাশাপাশি বিধানসভা উপনির্বাচনও রয়েছে বরানগরে (Baranagar)। আর এই বিধানসভায় লাগামছাড়া সন্ত্রাস করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দেয়নি। সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এমনকী কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। পাশাপাশি এই লোকসভার খড়দায় বিজেপি নেতাকে মারধর করে গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    বিজেপি এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা! (Baranagar)

    বরানগরের (Baranagar) বনহুগলিতে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বুথের মধ্যে তৃণমূলের এক বহিরাগত ঢুকে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেন। যদিও তিনি নিজেকে সৌগত রায়ের এজেন্ট বলে দাবি করেন। তবে, এজেন্টের কোনও পরিচয় পত্র তিনি দেখাতে পারেননি। সংবাদ মাধ্যম তাঁকে ঘিরে ধরতেই তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর এই বিষয় নিয়ে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে। পরে, বুথের ভিতরেই বিজেপি প্রার্থীকে নানাভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূলের এক কর্মী। তাঁর সঙ্গে সজলবাবু বচসায় জড়িয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, বিজেপির এজেন্ট বসতে না দেওয়ার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বুথ চত্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে এক সাংবাদিক আক্রান্ত হন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    বিজেপি প্রার্থী (Baranagar) সজল ঘোষ বলেন, “ফর্মে স্ট্যাম্পের কথা কোথাও লেখা নেই। আর তৃণমূলের লোকজন স্ট্যাম্প ছাড়া ঢুকতে দেবে না। প্রিসাইডিং অফিসার মেনে নিচ্ছেন। তৃণমূলের লোকজন বাধা দিচ্ছে। তবে, যিনি আমাকে বাধা দিয়েছেন তিনি তৃণমূলের বহিরাগত। তাঁর নিজের কোনও কাগজ নেই। আমরা চেপে ধরতেই তিনি পালিয়ে যান। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে এসব হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এখানেই শেষ নয়। ওই একই বুথে রাজ্য পুলিশকে দেখা গেল ভিতরে। আঙুল উঁচিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেন। যদিও পুলিশ আধিকারিক জানান ভিতরে সব ঠিক আছে কি না জানার জন্য গিয়েছিলেন।

    খড়দায় বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর

    দমদম লোকসভা কেন্দ্রের খড়দা বিধানসভার বিলকান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের লেলিনগড় ২৩৭ নম্বর বুথে বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলির সহ-সভাপতি শেখ রমজান আলিকে বাঁশ দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁর গাড়িও ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।  এই ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপির উত্তর কলকাতা শহরতলির সহ-সভাপতি সেখ রমজান আলি বলেন, আমি দলীয় ক্যাম্পে বসেছিলাম। তৃণমূলের ছেলেরা এসে আমাকে বেধড়ক পেটায়। আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট আর বাঁশ দিয়ে আমাকে পিটিয়েছে। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত বলেন, হেরে যাবে বুঝতে পেরেই তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে।

    বরানগরে আক্রান্ত বাম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য

    বাম প্রার্থীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে, শনিবার বরানগর (Baranagar) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র কলেজের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যান। সেখানেই বরানগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তনু মজুমদারের সঙ্গে হাতাহাতি হয় তাঁর। দু’জনকে নিরস্ত করতে দৌড়ে আসেন দু’দলের কর্মী-সমর্থকেরা। তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, আমি বনহুগলি এলাকার ওই বুথ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমাকে দেখেই নাকি ‘চোর-চিটিংবাজ’ বলে চিৎকার করেন কাউন্সিলর এবং তাঁর অনুগামীরা। আমায় দেখে কাউন্সিলর বললেন, আপনি এখানে কেন? আমি পাল্টা বললাম আমি তো প্রার্থী, কিন্তু আপনি এখানে কেন? এখান থেকে চলে যান বলে ওরা হামলা চালায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    Lok Sabha Election 2024: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দফা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বাংলায় রক্ত ঝরল বিরোধীদের। কোথাও বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হল। বুথে এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতার মেয়েকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সবক্ষেত্রেই অভিযুক্ত তৃণমূল। ফলে, শনিবার সপ্তম দফা ভোটে সকাল থেকে একাধিক লোকসভা কেন্দ্র উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

    ভাঙড়ে অশান্তি! (Lok Sabha Election 2024)

     শনিবার মধ্যরাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। তৃণমূল- আইএসফ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মূলত, পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। ঝামেলায় এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে। অভিযোগ আইএসএফের দিকে। পাল্টা দলীয় পতাকা লাগাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে আইএসএফ। শনিবার সকালেও উত্তেজনা ছিল এলাকায়। আইএসএফও-এর দাবি, তাদের কর্মীরাও আহত হয়েছেন। তাদেরও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ দিকে, ভোটের রাতে দলীয় প্রার্থী নুর আলম খানের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ আইএসএফের। সেই ভাঙা গাড়ি নিয়ে রাতেই ভাঙড় থানায় যান তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। রাতভর ভাঙরের বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালেই ভোটকে (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্র করে আইএসএফ-তৃণমূল খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। এ বার ঘটনাস্থল ভাঙড়ের ফুলবাড়ি এলাকায়। অভিযোগ, বুথে এজেন্ট বসাতে গেলে আইএসএফ কর্মীদের ওপর আক্রমণ করে তৃণমূল। উল্টোদিকে, আইএসএফের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ভোট-হিংসায় রাশ টানতে ফলাফলের পরেও রাজ্যে মোতায়েন থাকবে বাহিনী, জানাল কমিশন

    জলে ফেলা হল ইভিএম

    কাশীপুরের বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সেখানে যান কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তাপস রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ ও ধাক্কাধাক্কি করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কুলতলিতে বিজেপিসহ বিরোধীদের ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপরই রাগে ইভিএম জলে ফেলে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। ক্যানিং গোলাবাড়ি বাজারে বিরোধী দলের ভোটারদের ভোট দিতে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় এক সংবাদ কর্মী গুরুতর আহত হন। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    জয়নগরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ

    জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের কুলতলি বিধানসভার মেরিগঞ্জ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪০ এবং ৪১ নম্বর বুথে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। আহত ৬ জন। বিজেপির ২ জন এবং তৃণমূলের ১ জন কর্মীকে আহত অবস্থায় কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    বিজেপি নেতার মেয়ের ওপর হামলা

    বারাসাত লোকসভার কদম্বগাছিতে উত্তেজনা। বিজেপির বুথ সভাপতির মেয়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়ড়া শিবতলা এলাকার ঘটনা। আক্রান্ত ওই নাবালিকাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAPF: ভোট-হিংসায় রাশ টানতে ফলাফলের পরেও রাজ্যে মোতায়েন থাকবে বাহিনী, জানাল কমিশন

    CAPF: ভোট-হিংসায় রাশ টানতে ফলাফলের পরেও রাজ্যে মোতায়েন থাকবে বাহিনী, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য গোটা দেশে খ্যাতি রয়েছে বাংলার! বিরোধীদের এহেন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেই হিংসা ঠেকাতে রাজ্যে মোতায়েন থাকবে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (CAPF)। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বাহিনী থাকবে ৬ জুন পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে ফল বের হবে ৪ জুন।

    রাজ্য চলছে শেষ দফার নির্বাচন (CAPF)

    পয়লা জুন, শনিবার লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে দেশের বিভিন্ন আসনে। রাজ্যের ৯টি আসনেও চলছে নির্বাচন। ১৭ হাজার ৪৭০টি বুথে চলছে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে ৩ হাজার ৭৪৮টি। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে ৯৬৭ কোম্পানি। ৩৩ হাজার ২৯২ জন রাজ্য পুলিশ কর্মীও মোতায়েন করা হয়েছে নির্বাচনে (CAPF)। কমিশন জানিয়েছে, সপ্তম তথা শেষ দফায় সাধারণ পর্যবেক্ষক রয়েছেন ১০জন। পুলিশ পর্যবেক্ষক ৫জন। খরচ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ১১ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কমিশনে জমা পড়েছে ৪০ হাজার ৪৬২টি অভিযোগ। এর মধ্যে ৩৫ হাজার ৯৮৬টি অভিযোগের ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন।

    বিধানসভা নির্বাচনে হিংসা

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের স্মৃতি এখনও ফিকে হয়ে যায়নি। সেই নির্বাচনে বাংলার বিভিন্ন পকেটে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। ভোট মিটে যাওয়ার পরেও বিরোধীদের ওপর অত্যাচার হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছিল। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনেও ভোট হয়ে যাওয়ার পর কয়েকটি কেন্দ্রে অশান্তি হয়েছে বলে জেনেছে কমিশন। রাজনৈতিক মহলের মতে, তার পরেই ভোটের ফল বেরনোর দু’দিন পর পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

    আর পড়ুন: “পুলিশ গ্রিন করিডর করে টাকা এনেছে”, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে যে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে, তার মধ্যে সিআরপিএফ-ই ১১৫ কোম্পানি, বিএসএফ ১১৮ কোম্পানি, সিআইএসএফ ৭১ কোম্পানি, আইটিবিপি ৩৬ কোম্পানি, এসএসবি ৬০ কোম্পানি। এদিকে, শেষ দফার নির্বাচনে ওয়েবকাস্টিংয়ের ওপর আরও বেশি করে জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণ পর্বে ক্যামেরা নিয়ে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলেও প্রিসাইডিং অফিসারদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে (CAPF)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: “পুলিশ গ্রিন করিডর করে টাকা এনেছে”, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী

    Alipurduar: “পুলিশ গ্রিন করিডর করে টাকা এনেছে”, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনার আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞা। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করেই শাসক দলকে নিশানা করেন তিনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে টাকার খেলার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর এই অভিযোগকে কেন্দ্র রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পুলিশ গ্রিন করিডর করে টাকা নিয়ে এসেছে! (Alipurduar)

    শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মাদারিহাটের (Alipurduar) বিধায়ক তথা এবারের লোকসভা ভোটের বিজেপির প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞা বলেন, “গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা চলছে। এই টাকা কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে এক ব্যবসায়ীর কাছে আসে। তারপর পুলিশ গ্রিন করিডর করে আলিপুরদুয়ারে আনে। আমাদের কাছে খবর আছে, আলিপুরদুয়ারের এক ব্যবসায়ীর কাছে কলকাতা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা এসেছে। এর আগে তৃণমূলের দুই নেতা কলকাতায় গিয়েছিলেন। এরপরই মঙ্গল-বুধবার নাগাদ পুলিশের সহযোগিতায় আলিপুরদুয়ারে টাকা আনা হয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, এই টাকা ব্যবহার করে তৃণমূল আলিপুরদুয়ার আসনটি জেতার চেষ্টা করছে।” পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী আরও বলেন, “আলিপুরদুয়ারের এডিএম (জেলা পরিষদ) গত পঞ্চায়েত ভোটে  বেআইনিভাবে পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিতে শাসক দলকে জেতানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাই আগামী ৪ জুন উনি গণনাতে ওই আধিকারিক থাকলে সঠিকভাবে গণনা হবে না।”

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “আসলে বিজেপি আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) হারবে বুঝেই এসব কথা বলছে। আমি বিজেপির নেতাদের মনে করিয়ে দিতে চাই , ইডি তো বিজেপির পকেটে থাকে। তাদের নেতাদের নির্দেশ শুনেই ওরা কাজ করে। তা এটাও জানাক ইডিকে। ওরা টাকা বাজেয়াপ্ত করুক। আসলে টাকার গল্পটা কিছুই নয়, এটা হচ্ছে হার স্বীকার করে নেওয়া। ওরা আলিপুরদুয়ারে হারতে চলেছে বুঝে আগাম একটা গীত গেয়ে রাখল। তৃণমূল এসব করে না। কারণ, তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Khardah: ভোটের আগের দিন খড়দায় বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পাঠানো হল সাদা থান! শোরগোল

    Khardah: ভোটের আগের দিন খড়দায় বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পাঠানো হল সাদা থান! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই দমদম লোকসভায় ভোট। তার ঠিক আগের দিন এই লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভা খড়দায় (Khardah) বিজেপি কর্মীর বাড়ির সামনে সাদা থান ফেলে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। বিজেপি কর্মীর পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগও করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)

    শুক্রবার খড়দা (Khardah) পুরসভা এলাকার পূর্ব কল্যাণনগর এলাকায় বিজেপি কর্মী পিন্টু পালের বাড়ির সামনে সাদা থান রেখে চলে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এদিন  সকালে ঘুম থেকে উঠে সাদা থান থেকে বাড়ির লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিজেপি কর্মী পিন্টু পাল বলেন, আমি সক্রিয়ভাবে বিজেপি করি। গত বিধানসভা নির্বাচনেও আমার ওপর হামলা চালিয়েছিল তৃণমূল। কোনও ক্রমে দলীয় কর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে প্রাণে বাঁচান। আসলে এসব করে ভোটের দিন যাতে বুথের কাজ আমি না করি, সেই জন্যই তৃণমূল ভয় দেখাচ্ছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। বিজেপি কর্মীর স্ত্রী অপর্ণা পাল বলেন, সকালে উঠে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি সামনে একটা সাদা থান আর তার ওপরে কালো পলিথিন ব্যাগে কিছু রাখা আছে। ভয় পেয়ে যাই। আমার স্বামী বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানায়। প্রথমে ভেবেছিলাম পলিথিনের মধ্যে বোমা রাখা আছে। কিন্তু, পরে দেখা যায় বোমার মতো দেখতে সুতলির গোলা রাখা ছিল। সকালে উঠে এসব দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। আমরা চাই, দোষীদের গ্রেফতার করা হোক।

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, খড়দায় (Khardah) দলীয় কোন্দলে ছন্নছাড়া অবস্থা তৃণমূলের। দুর্নীতির জন্য তৃণমূল থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এখন আমাদের যেসব কর্মী বুক দিয়ে বুথ রক্ষা করবেন, তাঁদের এভাবে ভয় দেখিয়ে বুথে যাতে না যান তারজন্য এসব করছে তৃণমূল। কিন্তু, এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ আমাদের পক্ষে রয়েছে। তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, বিজেপির এখানে কোনও ভোট নেই। তাই, এসব করে ভোটের আগে ওরা নাটক করছে। আমরা চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বের করুক। কারণ, তৃণমূল এরকম নোংরামো করে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: ডাইনি সন্দেহে দুই কানে শিক ঢুকিয়ে অর্ধনগ্ন করে নির্যাতন মহিলাকে, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Malda: ডাইনি সন্দেহে দুই কানে শিক ঢুকিয়ে অর্ধনগ্ন করে নির্যাতন মহিলাকে, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যার দীর্ঘদিন ধরেই শরীর খারাপ। নানা প্রকার ওষুধ খেয়েও কোনও রকম ভালো হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না। তাই সন্দেহ হয় গ্রামেরই এক মহিলার ওপর। সমস্ত রাগ গিয়ে পরে ওঁই মহিলার ওপর। গুজব রটে যায় এই মহিলা নাকি ডাইনি! এরপর শুরু হয় ব্যাপক অত্যাচার। মহিলার দুই কানে লোহার শিক ঢুকিয়ে অর্ধনগ্ন করে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত সদস্যা এবং তাঁর স্বামীকে। ঘটনা ঘটেছে মালদায় (Malda)।

    পুলিশ সূত্রে খবর (Malda)

    ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মালদার (Malda) এই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা অনেক দিন ধরে অসুস্থ। কিন্তু এই অসুস্থতার সন্দেহে দায়ী করা হয় ওই নির্যাতিতা মহিলাকে। এরপর কিছু তৃণমূল কর্মীরা মহিলাকে পাশের গ্রামের এক তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিবেশী আরও এক মহিলাকে। এরপর তান্ত্রিক অনেক সময় ধরে তুকতাক করে নির্যাতিতা মহিলার দুই কানে শিক ঢুকিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে তাঁকে ডাইনি অপবাদ দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় তার ওপর ব্যাপক অত্যাচার, মারধর। বর্তমানে নির্যাতনের শিকার মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তান্ত্রিকসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে স্থানীয় (Malda) পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি।

    নির্যাতিতার বক্তব্য

    নির্যাতনের শিকার ওই মহিলা (Malda) বলেছেন, “তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী এবং দলের লোকজন আমাকে ব্যাপক মারধর করেছে। আমার গলা টিপে ধরে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। পাশের প্রতিবেশী বাঁচাতে গেলে আমাদের দুইজনকেই অর্ধনগ্ন করে মারধর করা হয়। মারে আমরা ব্যাপক আহত হয়েছি। আমি ন্যায় বিচার চাই।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে আরও চাপে তৃণমূল, আরাবুল ঘনিষ্ঠ ইব্রাহিম মোল্লা গ্রেফতার

    বিজেপি-তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়ে মালদার (Malda) বিজেপি বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেছেন, “ঘটনায় তৃণমূল নেতা জড়িত রয়েছেন বলেই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করে আড়াল করতে চাইছেন।” অপর দিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি দিলীপ হেমব্রম বলেছেন, “এ ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা কোনও ভাবে জড়িত নন, যদি জড়িত থাকেন তাহলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share