Tag: West Bengal

West Bengal

  • Abhijit Ganguly: “স্ট্রংরুমে ঢুকে ইভিএমে কারচুপি করার চেষ্টা করেছিল আইপ্যাক”, বিস্ফোরক অভিজিৎ

    Abhijit Ganguly: “স্ট্রংরুমে ঢুকে ইভিএমে কারচুপি করার চেষ্টা করেছিল আইপ্যাক”, বিস্ফোরক অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের কয়েকটি নজরকাড়া কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তমলুক। ষষ্ঠ দফায় এই কেন্দ্রে ভোট হয়ে গিয়েছে। সমস্ত ইভিএম রয়েছে এখন স্ট্রংরুমে। সেই স্ট্রংরুমে ঢুকে ইভিএমে কারচুপি করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল এবং আইপ্যাকের  বিরুদ্ধে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজেপি কর্মীদের তৎপরতায় তা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) ঘটনাস্থলে গিয়ে সরব হন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Abhijit Ganguly)

    তমলুক কেন্দ্রের জন্য কোলাঘাট কেটিপিপি হাইস্কুলে স্ট্রংরুম করা হয়েছে। সেই স্কুলের পিছনের এলাকায় থাকা বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাতে গাড়িতে করে কয়েকজন দুষ্কৃতী হাতে ওয়াকি টকি নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। তারপরেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ওই গাড়িতে থাকা মানুষজনকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। সেই খবর যায় স্থানীয় থানায়। এরপর কোলাঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। পরে, গাড়িতে করে ঘুরতে থাকা মানুষজন এলাকা ছেড়ে চলে যায়। বিজেপির অভিযোগ, সেই গাড়িতে আইপ্যাকের লোকজন ছিল। তারা স্ট্রং রুমে ঢুকে ইভিএম বদলে দেওয়ার সুযোগ খুঁজছিল। তাই সেখানে স্কুলের পিছন দিকের এলাকায় ঘুরঘুর করছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সেই অভিযুক্তদের সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। এই সব ঘটনার মাঝেই সেখানে পৌঁছে যান তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)।

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

     স্ট্রংরুমে ঢুকে ইভিএমে কারচুপি করার চেষ্টা করেছিল আইপ্যাক!

    বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “আইপ্যাকের লোকেরাই সেখানে এসেছিল অশান্তি করতে। ইভিএমে কারচুপি করার চেষ্টা করেছিল তারা। সঙ্গে তৃণমূলও ছিল।” এদিকে এই ঘটনার জেরে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। প্রসঙ্গত, এর আগে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ, হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়, বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংও আইপ্যাকের বিরুদ্ধে ইভিএম বদলের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছিলেন। এদিকে আইপ্যাকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেন, একুশের বিধানসভা ভোটে গণনা কেন্দ্রে আইপ্যাকের লোক ঢুকে পড়েছিল। এভাবে বাংলায় ৪০ থেকে ৫০টি বিধানসভা আসন কারচুপি করে তৃণমূলকে জেতানো হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে চলছে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ, কোন কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী কারা?

    Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে চলছে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ, কোন কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সপ্তম দফা লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) ভোট গ্রহণ পর্ব। এই পর্বে রাজ্যে মোট ৯টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলি হল উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, দমদম, বারাসত, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর, বসিরহাট, জয়নগর এবং যাদবপুর। কমিশন কড়া নির্দেশিকা দিয়েছে ওয়েব কাস্টিং নিয়ে। ভোট গ্রহণের সময় ওয়েব কাস্টিংয়ের ক্যামেরা বন্ধ হলে ভোট গ্রহণও বন্ধ হয়ে যাবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে ব্যাপক মাত্রায় মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। 

    আসুন জেনে নিই কোন কেন্দ্রে প্রার্থী কারা (Lok Sabha Election 2024)

    উত্তর কলকাতা

    উত্তর কলকাতা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024) হলেন তিনবারের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে শেষ লোকসভা নির্বাচনে একাই ৫০% ভোট পেয়েছিলেন সুদীপ। বিজেপির রাহুল সিনহা ৩৭% ভোট পান। বিজেপির এই বারের প্রার্থী তাপস রায়, এবং কংগ্রেস-বাম সমর্থিত প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য।

    দক্ষিণ কলকাতা

    দক্ষিণ কলকাতা বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী। তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন মালা রায়। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রের মোট ৫৬ ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি ২৬টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল।

    দমদম

    দমদম কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন আগের বারের বিদায়ী সাংসদ সৌগত রায়। তিনি ২০০৯ সালে সিপিএম থেকে ছিনিয়ে নেন এই আসনটি। আবার বরানগর বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। অপরে এই কেন্দ্রে বিজেপির পক্ষ থেকে লোকসভার (Lok Sabha Election 2024)  প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত এবং বরানগর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ।

    বারাসত

    বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কাকালি ঘোষ দস্তিদার। তিনি একই কেন্দ্রের টানা তিনবারের সাংসদ ছিলেন। বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন স্বপন মজুমদার এবং বাম প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।

    ডায়মন্ড হারবার

    ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে ৭.৯০ লাখ ভোটে জায়ী হয়েছিলেন তিনি। অপর দিকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। আবার বাম প্রার্থী প্রতীর উর রহমান।

    মথুরাপুর

    মথুরাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন আশোক পুরকায়স্থ। অপরে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন বাপি হালদার।

    বসিরহাট

    বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন প্রতিবাদী চরিত্র রেখা পাত্র, তৃণমূলের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম এবং সিপিএম প্রার্থী নীরাপদ সর্দার।

    জয়নগর

    জয়নগর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন প্রতিমা মণ্ডল। বিজেপ প্রার্থী হয়েছেন আশোক কাণ্ডারী।

    যাদবপুর

    যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন সায়নী ঘোষ, বিজেপির অনির্বাণ গাঙ্গুলি এবং সিপিএমের প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুনঃভোটের আগে আরও চাপে তৃণমূল, আরাবুল ঘনিষ্ঠ ইব্রাহিম মোল্লা গ্রেফতার

    কত বাহিনী এই পর্বে?

    সপ্তমদফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) গ্রহণে রাজ্যে বাহিনী মোতায়েনে বিশেষ জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সবরকম অশান্তিকে আটকাতে মোট ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু কলকাতাতেই মোতায়েন করা হয়েছে ২৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বারাসতে থাকছে ৮১ কোম্পানি, বারাকপুরে ৮১ কোম্পানি আর বারুইপুরে থাকছে ১৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্যদিকে বসিরহাটে ১১৬ কোম্পানি, ডায়মন্ডহারবারে ১১০ কোম্পানি, সুন্দরবনে ১১৪ কোম্পানি, বিধাননগরে ৫৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। অবাদ নির্বাচন করাই কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্য। আগামী ৪ তারিখ হবে ভোট গণনা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: বিষ জল ইস্যুতে বিজেপির আন্দোলনে ধুন্ধুমার, মেয়রের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলার হুমকি শঙ্করের

    Siliguri: বিষ জল ইস্যুতে বিজেপির আন্দোলনে ধুন্ধুমার, মেয়রের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলার হুমকি শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২০ দিন ধরে বিষ জল পান করানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল পরিচালিত শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার বিরুদ্ধে। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার আন্দোলনে নামে বিজেপি। সেই আন্দোলন আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। আর তা নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দেয় এলাকায়।

    বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি (Siliguri)

    পুরসভার জল কেলেঙ্কারিতে বৃহস্পতিবার থেকে শিলিগুড়িতে (Siliguri) পানীয় জলের হাহাকার। এর প্রতিবাদ জানাতে শুক্রবার পুরসভা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটি। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি কাউন্সিলর অমিত জৈনের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল পুরসভার গেটের সামনে হাজির হয়। ঘটনাস্থলে থাকা বিশাল পুলিশ বাহিনী মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে। অভিযোগ, পুলিশ বলপূর্বক এই মিছিল আটকাতে গেলে বিজেপির কাউন্সিলর, নেতা, কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    কেন পুরসভা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপি?

    গত বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে শিলিগুড়ির (Siliguri) মেয়র গৌতম দেব ঘোষণা করেন, দুই সপ্তাহ ধরে শিলিগুড়ি শহরে পুরসভা থেকে যে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়েছে তা ভয়ঙ্কর মাত্রায় দূষিত। সেই জল যেন আর কেউ পান না করেন। মেয়রের মুখ থেকে একথা শোনার পর শহরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সেই সঙ্গে দেখা দেয় পানীয় জলের হাহাকার। পুরসভার এই দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজ এবং  মানুষকে বিপদে ফেলে দেওয়ায় প্রতিবাদ জানাতে এদিন পুরসভা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপি।

    মেয়রের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলার হুমকি

    পরিস্থিতি সামাল দিতে শিলিগুড়ি (Siliguri) জুড়ে যে জল দেওয়া হচ্ছে তার শুদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, মেয়র গৌতম দেবকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। তৃণমূলের মেয়র মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। জল মানে জীবন। তিনি মানুষকে দূষিত জল পান করিয়েছেন। এটা ভয়ঙ্কর অপরাধ। এখন পাউচে, পুরসভার ট্যাঙ্কে যে জল দেওয়া হচ্ছে তার শুদ্ধতা নিয়েও আমাদের সন্দেহ রয়েছে। কেননা নোংরা জলের ট্যাঙ্কে জল দেওয়া হচ্ছে। নোংরা ফেলার গাড়ি করে জলের পাউচ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মেয়রকে এই অধিকার কে দিয়েছে? আমাদের প্রশ্ন, মহানন্দার জল ব্যবহার করার আগেই কেন নমুনা পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়নি। তিনি দূষিত জল মানুষকে খাওয়ানোর পর নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠান। এটা ক্ষমাহীন অপরাধ। গৌতম দেবের আর মেয়রের চেয়ারে বসার অধিকার নেই। অবিলম্বে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। এখন সত্যের মুখোমুখি হতে তিনি ভয় পাচ্ছেন। মেয়রের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhangar: ভোটের আগে আরও চাপে তৃণমূল, আরাবুল ঘনিষ্ঠ ইব্রাহিম মোল্লা গ্রেফতার

    Bhangar: ভোটের আগে আরও চাপে তৃণমূল, আরাবুল ঘনিষ্ঠ ইব্রাহিম মোল্লা গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র আর একদিন পর শনিবারেই লোকসভার সপ্তম দফার ভোট গ্রহণ পর্ব। খুনের মামলায় আগে থেকেই জেলে রয়েছেন প্রতাপশালী তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙড়ের (Bhangar) আরও এক প্রভাবশালী নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই তৃণমূল নেতার নাম ইব্রাহিম মোল্লা ওরফে বাপি। জানা গিয়েছে তিনি খুনের মামলায় অভিযুক্ত। ভোটের আগে এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    খুনের পরিকল্পনায় অভিযুক্ত (Bhangar)

    বাপি ওরফে ইব্রাহিম মোল্লা ভগবানপুর (Bhangar) এলাকার অঞ্চল সভাপতি। প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। প্রাক্তন প্রধান রেজিনা খতুনের স্বামী এই বাপির বিরুদ্ধে খুনের পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে খাইরুল ইসলামকে খুনের পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। এই খাইরুল ইসলাম আবার শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার দিন তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

    আরও পড়ুনঃ রেখা পাত্র এবং আরও ৫ বিজেপি কর্মীকে স্বস্তি দিয়ে জামিনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    সিবিআই তলব করলে হাজিরা দেননি শওকত

    রাজ্যের শেষ পর্বের লোকসভার প্রস্তুতি বেশ জমজমাট। কমিশনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার বিষয়ে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ওপর দিকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভাঙড় (Bhangar)। গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ পর্বের প্রচারে সব দল ঝাপিয়ে পড়েছিল। আইএসএফের অনেক কর্মী, শওকত মোল্লার হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করতে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সমর্থন করে বাহবা দিয়েছিলেন এবং ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। কিন্তু ইতিমধ্যে বুধবার ফের একবার কয়লাকাণ্ডে সিবিআই তলব করলে হাজিরা দেননি শওকত। ওপর দিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভাঙড়ে সভা করতে গেলে প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। পাল্টা বসিরহাটের সভা থেকে শুভেন্দু নিশানা করে বলেন যে শাহজাহান জেলে গিয়েছেন, এবার ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ব্যাগ গোছাচ্ছেন। সব চোরেদের জেলেই যেতে হবে।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA:  “ভগবানতুল্য মোদি সরকার”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন ঠাকুরনগরের শান্তিলতা

    CAA: “ভগবানতুল্য মোদি সরকার”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন ঠাকুরনগরের শান্তিলতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে অন্য দেশ থেকে ভারতে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী ভোটের প্রচারে বাংলায় এসে প্রকাশ্য সভায় বার বার ঘোষণা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে সিএএ-তে (CAA) আবেদন করেছিলেন শরনার্থীরা। শেষ দফা ভোটের আগেই বাংলায় ৮ জনকে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। আর এই সিএএ নিয়ে বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর জোর সওয়াল করেছিলেন। এবার নাগরিকত্বের শংসাপত্র পাওয়ার তালিকায় বনগাঁর ঠাকুরনগরের একজন রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে চরম খুশি পরিবারের সদস্যরা।

    কথা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী, ভগবানতুল্য মোদি সরকার (CAA)

    নিয়ম অনুযায়ী, ‘ধর্মীয় শরণার্থী’ বলে ভারতে আশ্রয়প্রার্থী হলে তবেই সিএএ (CAA) মারফত নাগরিকত্ব পাওয়ার কথা। সেই মতো নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটার ঠাকুরনগরের শান্তিলতা বিশ্বাস। তাঁর স্বামী তারক বিশ্বাস মাস দেড়েক আগে হৃদয়পুরের এক সাইবার ক্যাফে থেকে অনলাইন আবেদন করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের বাংলাদেশের খুলনায় বাড়ি। তারকবাবু বলেন, “হিন্দুদের ওপর সেখানে অত্যাচার হত। হিন্দু মেয়েদের কোনও নিরাপত্তা ছিল না। স্বাধীনভাবে আমরা চলাফেরা করতে পারতাম না। আমাদের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে। চরম আতঙ্কে ছিলাম। মুসলিমদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ৩৭ বছর আগে আমরা খুলনা ছেড়ে ভারতে চলে আসি। মোদিজির ভাষণ শুনে দেড় মাস আগে পোর্টালে আবেদন করি। বারাসত মুখ্য ডাকঘরে শুনানি হয়। আমার স্ত্রী শংসাপত্র পেলেও আমি এখনও তা পাইনি। আসলে শুনানির সময়ে অফিসার বলেছেন, বাংলাদেশে জন্মের নথি জমা দিলেই নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে যাব। সেটা জমা দেওয়ার চেষ্টা করছি।” নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেয়ে শান্তিলতা বিশ্বাস বলেন, “এতদিন আমরা উদ্বেগে ছিলাম। মোদিজি কথা রেখেছেন। ভগবানতুল্য মোদি সরকার। আমার মতো যারা বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছে তাঁদের সকলকে আবেদন করতে বলব।”

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    কী বললেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি?

    অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা বিদায়ী কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলার অনেক উদ্বাস্তু মানুষ ইতিমধ্যে নাগরিকত্বের (CAA) শংসাপত্র পেয়েছেন। বাকিরাও পাবেন। প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দেন, তা পালন করেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal BJP leaders: আরও ২৮ রাজ্য বিজেপি নেতাকে ‘এক্স’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা, অনুমোদন কেন্দ্রের

    West Bengal BJP leaders: আরও ২৮ রাজ্য বিজেপি নেতাকে ‘এক্স’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা, অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী শনিবার ১ জুন রাজ্যে রয়েছে শেষ তথা সপ্তম দফার ভোট। বারাসত, দমদম, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিন ও কলকাতা উত্তর এই ৯ কেন্দ্রে ভোট রয়েছে শেষ দফায়। আর এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আরও ২৮ জন বিজেপি নেতাকে (West Bengal BJP leaders) ‘এক্স’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা (‘X’ category security) দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জানা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালি, দুই ২৪ পরগণা, মেদিনীপুরের বিজেপি নেতা কর্মীদের এই নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি বিজেপি নেতাদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিশেষ নিরাপত্তা দিচ্ছে। রাজ্যে বর্তমানে ১২৫ জনের থেকে বেশি বিজেপি নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীকে কেন্দ্রের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। 

    এক্স ক্যাটেগরি নিরাপত্তার আওতায় কারা? 

    উল্লেখ্য, এর আগে উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়কে এক্স ক্যাটেগরির নিরাপত্তা (‘X’ category security) দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়েছেন উত্তর কলকাতা বিজেপির জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষও। এছাড়াও বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে এক্স ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর এবার শেষ দফা ভোটের আগে রাজ্যের আরও ২৮ জন বিজেপি নেতা-কর্মীদের (West Bengal BJP leaders) এক্স ক্যাটেগরি সুরক্ষা প্রদানে অনুমোদন দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন: কয়লা কারবারের সঙ্গেও যুক্ত ‘সন্দেশখালির ত্রাস’? শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন তথ্য ফাঁস ইডির

    প্রাণের ঝুঁকি এড়াতে নিরাপত্তা প্রদান

    যদিও আগে থেকেই বিজেপির সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক ও রাজ্য স্তরের নেতাদের এক্স ক্যাটেগরির নিরাপত্তা (‘X’ category security) দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচন যত এগোচ্ছে, ততই বিভিন্ন জায়গা থেকে কমবেশি রাজনৈতিক উত্তেজনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ইতিমধ্যেই প্রথম ছয় দফার ভোট শেষ হয়েছে। বাকি আর এক দফা। এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে বিজেপি প্রার্থীদের (West Bengal BJP leaders) নতুন করে এই নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রত্যেকের প্রাণের ঝুঁকি ও তাঁদের উপর আক্রমণ আসতে পারে আশঙ্কা করে এই নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। 
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hiran Chaterjee: “কেশপুরে দুশোটি বুথে ভোট লুট করেছে তৃূণমূল, আদালতে যাব”, হুঁশিয়ারি হিরণের

    Hiran Chaterjee: “কেশপুরে দুশোটি বুথে ভোট লুট করেছে তৃূণমূল, আদালতে যাব”, হুঁশিয়ারি হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের দিন কেশপুরে দফায় দফায় তৃণমূলীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chaterjee)। বহু বুথে তাঁকে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। বিজেপির এজেন্টও ছিল না বহু বুথে। ভোট শেষে কেশপুরে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। কেশপুরকে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি স্ট্রংরুম পরিদর্শনে গিয়ে কেশপুরের প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন হিরণ।

    ২০০টি বুথে ভোট লুট, আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত (Hiran Chaterjee)

    ঘাটাল রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে ঘাটাল লোকসভার স্ট্রং রুম। সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে হিরণ (Hiran Chaterjee) বলেন, “কেশপুরের অন্তত ২০০ টি বুথে বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। সেই সব বুথে তৃণমূল ছাপ্পা মেরেছে। কমিশনে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কেশপুরের সেই সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি। তৃণমূলের হাত ধরে তা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। ভোটের লুঠের জন্য আমরা ফের ভোটের দাবি জানিয়েছিলাম। এবার আদালতের দ্বারস্থ হব।” জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে ঘাটাল লোকসভা থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দেব ওরফে দীপক অধিকারী। বিজেপির বক্তব্য, দেবের এই লিডের সিংহভাগই জোগান দিয়েছিল কেশপুর। বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও এবারেও কেশপুরের ভোটে সকাল থেকে তৃণমূল পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বাহিনীকে বিভ্রান্ত করে বুথের পর বুথে ভোট লুট করেছে। এবার সুবিচার চাইতে আদালতে যাবে বিজেপি। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের বিধানসভা ভোটে এই কেশপুর থেকেই সিপিএম প্রার্থী প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। যা নিয়ে সে সময় সিপিএমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছিল তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল।

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    কী বললেন দেব?

    বিজেপি প্রার্থীর (Hiran Chaterjee) আনা অভিযোগকে অবশ্য গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেব বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ভোট হয়েছে, তাতেও সন্ত্রাসের কথা বললে হাস্যকর!” যদিও ভোট শেষে জয় নিশ্চিত বুঝে দেব দলীয় কর্মীদের নিয়ে সবুজ আবিরও খেলেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: কয়লা কারবারের সঙ্গেও যুক্ত ‘সন্দেশখালির ত্রাস’? শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন তথ্য ফাঁস ইডির

    Sheikh Shahjahan: কয়লা কারবারের সঙ্গেও যুক্ত ‘সন্দেশখালির ত্রাস’? শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন তথ্য ফাঁস ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে ‘সন্দেশখালির ত্রাস’ শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি, এলাকায় অত্যাচারের অভিযোগের পাশাপাশি এ বার শাহজাহানের নতুন কীর্তি প্রকাশ করল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, শাহজাহান কয়লার কারবারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

    কয়লার কারবারে শাহজাহান যোগ (Sheikh Shahjahan)

    ইডির তদন্তে জানা গিয়েছে, কয়লার কারবারে শাহজাহান যোগের প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। শাহজাহান বেআইনি ভাবে কয়লা থেকেও তোলা আদায় করতেন বলে অভিযোগ। কয়লার জোগানে শাহজাহান এবং তাঁর দলবলকে টাকা দিতে হত। কর হিসাবেই ওই টাকা তাঁরা নিতেন বলে অভিযোগ। এছাড়াও শাহজাহান শেখ সাবিনা ফিশার সাপ্লায়ার, শেখ সাবিনা মাছের আড়তের মাধ্যমেও দুর্নীতি করেছেন বলে ইডির (ED) অভিযোগ। মার্কেট থেকে কমিশন এবং ভাড়া বাবদ টাকা তুলতেন তিনি। এ ছাড়াও অভিযোগের তালিকায় রয়েছে ইটভাটার দুর্নীতি। ইডির চার্জশিটেও তার উল্লেখ আছে বলে সূত্রের খবর। এ ছাড়া, জমি সংক্রান্ত যে কোনও লেনদেনের ক্ষেত্রেও শাহজাহানেরা টাকা তুলতেন বলে জানতে পেরেছে ইডি। সম্প্রতি এলাকায় তদন্তে গিয়ে শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ও তার সাগরেদদের আরও সম্পত্তির খবর জানতে পারে তদন্তকারীরা। এ ব্যাপারে তদন্তকারী সংস্থার কাছে কয়েকজন অভিযোগও জমা করেছিল। এবার তদন্তে নেমে সে বিষয়েই আদালতে চার্জশিট দাখিল করল ইডি (ED)।

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট দাখিল 

    বৃহস্পতিবার কলকাতার সিবিআই আদালতে ইডির তরফে নতুন করে অতিরিক্ত চার্জশিট দাখিল করা হল। ইডির দাবি, জমি-ভেড়ি দখল, জোর করে টাকা আদায়-সহ বিভিন্নভাবে সন্দেশখালিতে অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল শাহজাহান, তার ভাই এসকে আলমগীর, শিব প্রসাদ হাজরা এবং দিদার বক্স মোল্লা। এর আগে গত ২৭ মে আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানিয়েছিল, জমি দখল এবং তোলাবাজি করে প্রায় ২৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তবে এই সম্পত্তির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে তখনই জানিয়েছিলেন আধিকারিকরা। এদিন জমা দেওয়া অতিরিক্ত চার্জশিটে তদন্তকারী সংস্থার (ED) দাবি, শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গোদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৮৮.২০ কোটি টাকা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রেখা পাত্র এবং  আরও ৫ বিজেপি কর্মীকে স্বস্তি দিয়ে জামিনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রেখা পাত্র এবং আরও ৫ বিজেপি কর্মীকে স্বস্তি দিয়ে জামিনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ জুন  শনিবার সপ্তম দফা অর্থাৎ শেষ দফার নির্বাচন। গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে লোকসভার নির্বাচনী শেষ প্রচার। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিরাট স্বস্তি পেলেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র এবং ৫ বিজেপি কর্মী। গতকাল তাঁদের সকলকে জামিনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য সন্দেশখালি নারী নির্যাতনের মূলচক্রী তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রধান প্রতিবাদী চরিত্র ছিলেন রেখা পাত্র। তাঁকেই বসিরহাট লোকসভার প্রার্থী করে বিজেপি বিরাট চমক দিয়েছে।

    ৬ মে অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছিল তৃণমূল (Calcutta High Court)

    গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু লোকসভার মধ্যেই আরেকবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালিতে। গত ৬ মে অস্ত্র নিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব হামলা করেছিল। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেও কাউকে গ্রেফতার করেনি। প্রতিবাদে থানার সামনে বসে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপির কর্মীরা। এরপর এক অভিযুক্তের বাড়িতে ৪০-৫০ জন মিলে লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে। এমনকী মারধরের ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনাকে ঘিরে পুলিশ পাল্টা রেখা পাত্র এবং আরও কিছু বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর মামলায় জামিন নিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় বিজেপি। অবশেষে স্বস্তি মিলেছে হাইকোর্টে।

    আইনজীবীর বক্তব্য

    মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছে। প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। মূল অভিযুক্তরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। আবার যে ব্যক্তির বাড়িতে মারধর করা হয়েছে সেই ঘটনায় এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি। তাই যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাঁদেরকে স্বস্তি দিয়ে আদালতে (Calcutta High Court) জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। রেখা পাত্রের সঙ্গে আরও পাঁচ সঙ্গীর নাম হল অজিত সর্দার, গীতা বর, সুপ্রকাশ মণ্ডল, উৎপল মাইতি এবং সুদেব দে। প্রত্যেকেই জামিন পেয়েছেন।”

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এইদিন জামিন দেওয়ার সময় বক্তব্য ছিল, “অস্ত্র নিয়ে হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে যে এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারি হয়নি সেটাও দুর্ভাগ্যজনক বিষয়।” দ্রুত এই বিষয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে রেখা পাত্র এবং আরও ৫ বিজপি কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআরের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • South 24 Parganas: চুরির অপবাদে আশ্রমে স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে খুন, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, রণক্ষেত্র এলাকা

    South 24 Parganas: চুরির অপবাদে আশ্রমে স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে খুন, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, রণক্ষেত্র এলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুরির অভিযোগে এক নাবালককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুরে। অভিযোগ, বারুইপুরে একটি আশ্রমের ভিতরে পবিত্র সর্দার নামে ওই ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে, তার মৃত্যু হয়। সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বারুইপুরের (South 24 Parganas) উত্তরভাগে মামাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ওই স্কুল ছাত্র। সেখানে স্থানীয় একটি আশ্রমে চুরির অভিযোগ ওঠে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে। এরপর তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আশ্রমের কয়েকজন যুবক। সেখানে বিচারের নামে তাকে হাত পা বেঁধে নৃশংসভাবে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কিশোরকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার রাতে মৃত কিশোরের দেহ এসে পৌঁছয় ওই আশ্রম চত্বরে। তাতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় জনতা। কয়েকশো মানুষ উত্তরভাগের দমদমা এলাকায় ওই আশ্রমের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বারুইপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি ক্যানিং থানার পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে।

    ছাত্রের মামার কী বক্তব্য?

    ছাত্রের মামা বলেন, চুরির অভিযোগ মিথ্যা। আসলে ওই আশ্রমে (South 24 Parganas) অসামাজিক কাজ কর্ম চলে। সেব্যাপারে কিছু জেনে ফেলেছিল আমার ভাগ্নে। ভাগ্নেকে মারধর করা হচ্ছে শুনে আমি আশ্রমে গেলে আমাকে মারধর করে অভিযুক্তরা। পরে, তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাধা দেওয়া হয়। মৃত্যুর পর আশ্রমের বিরুদ্ধে বারুইপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে, এব্যাপারে আশ্রমের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share