Tag: West Bengal

West Bengal

  • BJP: “মহিলাদের বলছি মুড়ো ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকবেন”, নাম না করে স্বপনকে হুমকি কাকলির

    BJP: “মহিলাদের বলছি মুড়ো ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকবেন”, নাম না করে স্বপনকে হুমকি কাকলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখানকার মহিলাদের বলছি মুড়ো ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকবেন। নাম না করে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। আগামী ১ জুন শেষ দফার নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। ইতিমধ্যে রাজ্যে প্রচারে এসেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্দেশখালির ইস্যু নিয়ে মমতার সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি। পাল্টা মমতাও বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। এরপর একধাপ এগিয়ে উস্কানি মূলক ভাষণদেন কাকালি।

    ঠিক কী বললেন কাকলি (Lok Sabha Election 2024)?

    রাজ্যে ভোট (Lok Sabha Election 2024) আবহে শেষ মুহূর্তে নির্বাচন প্রচার যখন জমজমাট, ঠিক সেই সময়ে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে উস্কানি মূলক মন্তব্য করেন। তিনি বিধাননগরে ভোটের প্রচারে গিয়ে বলেন, “এখানকার মহিলাদের বলছি মুড়ো ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকবেন।” সেই সঙ্গে একাধিক ইস্যু যেমন-দ্রব্যমূল্য, বেকারত্ব ইত্যাদি বিষয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি।

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূল প্রার্থীর এই উক্তিতে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার দারুণ ভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছেন। তিনি পাল্টা তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “যাঁরা চুরি করেছে তাঁরাই ঝাঁটার বাড়ি খাবে। তৃণমূল প্রার্থী মূলত প্রচারে নেই। নিজে ভোটে (Lok Sabha Election 2024) হারবেন বলেই এই ধরনের কথা বলছেন। এটা উস্কানি এবং হিংসা ছড়ানোর অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই না। আগামী ৪ জুন বোঝা যাবে মানুষ ঠিক কাকে চান।”

    আরও পড়ুনঃ “করোনা থেকে ভয়ঙ্কর তৃণমূল বাহিনী”, ভোটের আগে ক্ষোভ প্রকাশ নির্যাতিতা বধূর

    আগেও হুমকির নিদান তৃণমূলের

    উল্লেখ্য আগেও একাধিক তৃণমূল নেতা বিজেপি প্রার্থীদের ভোট(Lok Sabha Election 2024) চাইতে গেলে উস্কানি মূলক মন্তব্য করে বির্তকে জড়িয়েছেন। গত বিধানসভার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার নিদান দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার এই লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া প্রার্থী সুভাষ সরকারকে গাছে বেঁধে রাখার উস্কানি মূলক মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: “মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন নিউ বারাকপুরের দেবপ্রসাদ

    CAA: “মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন নিউ বারাকপুরের দেবপ্রসাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দফা ভোটের আগেই রাজ্যে চালু হয়ে গেল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বুধবার থেকে নাগরিকত্ব (CAA) শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারও অনেকে নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়েছেন। যাঁরা শংসাপত্র পেয়েছেন, তাঁরা মূলত নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা।

    রাজ্যে প্রথম দফায় ৮ জন নাগরিকত্ব পেয়েছেন (CAA)

    শেষ দফায় বারাসত, বসিরহাট, দমদম, জয়নগরের মতো আসনে ভোটগ্রহণ রয়েছে। এই সব কেন্দ্রে মতুয়া পরিবারের বসবাস রয়েছে। যাদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। বুধবার এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি প্রথম দফার যোগ্য আবেদনকারীদের নাগরিকত্বের আবেদন মঞ্জুর করেছে। যোগ্যদের শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফায় মোট ৮ জন নাগরিকত্ব (CAA) পেলেন। তারমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৭ জন রয়েছেন। আর নদিয়া জেলায় একজন রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কেরলে ঢুকে পড়ল বর্ষা, কয়েক দিনেই পৌঁছবে উত্তর-পূর্ব ভারতে

    প্রথম দফায় কারা পেলেন নাগরিকত্ব

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ৭ জন রয়েছেন। এরমধ্যে মৃণালকান্তি দাস ও তাঁর স্ত্রী শর্বরী দাস রয়েছেন। তাঁদের বাড়ি উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটি। অনলাইনে কিছুদিন আগেই তিনি আবেদন করেছিলেন। বুধবারই নাগরিকত্ব পাওয়ার কাগজ তাঁরা হাতে পান। নিউ বারাকপুর লেলিনগড় এলাকার বাসিন্দা দেবপ্রসাদ গায়েনও বুধবার নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়েছেন। গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর কেষ্টনগরের বাসিন্দা শান্তিলতা বিশ্বাস বৃহস্পতিবার নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পান। এছাড়া নাগরিকত্ব পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন অনির্বাণ নন্দী, নিলয় ঘোষ এবং অর্ণব ঘোষ। প্রত্যেকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। আর নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ভীমপুর আশানগরের বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডলও বুধবার নাগরিকত্বের (CAA) কাগজ হাতে পেয়েছেন।

    মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম জানালেন সকলেই

    দেবপ্রসাদ গায়েন নামে এক যুবক বলেন, ১৫ দিন আগে আমি অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। বুধবার আমি কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। এতদিন পর এই দেশের নাগরিক (CAA) হতে পেরে আমরা চরম খুশি। মোদিজি যে গ্যারান্টি দেন, তা রাখেন। আমাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনা তাঁর জ্বলন্ত উদাহরণ। মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম জানাই। আমি সকলকেই বলতে চাই, যাঁরা এখনও সিএএ নিয়ে ভাবছেন, তাঁরা অনলাইনে আবেদন করুন। মোদিজির ওপর ভরসা রাখুন, হতাশ হবেন না। ঠাকুরনগরের বাসিন্দা তারক বিশ্বাস বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে আবেদন করেছিলাম। স্ত্রী কাগজ হাতে পেয়ে গিয়েছে। আমি খুব শীঘ্রই পেয়ে যাব। শান্তনু ঠাকুর আর নরেন্দ্র মোদিকে হাজার কোটি প্রণাম জানাই। তাঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব আমরা।

    মমতাকে আক্রমণ করলেন সুকান্ত

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যে কবে থেকে নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হবে, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই ধোঁয়াশা কাটিয়ে দিয়েছে। এর থেকে স্পষ্ট সিএএ (CAA) রূপায়ণ হতে দেব না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যতই দাবি করুন না কেন, তিনি যে এ বিষয়ে কিছু করতে পারবেন না তা স্পষ্ট হয়ে গেল। এক-এক করে যারা আবেদন করেছেন তাঁরা সকলেই নাগরিকত্ব পাবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “করোনা থেকে ভয়ঙ্কর তৃণমূল বাহিনী”, ভোটের আগে ক্ষোভ প্রকাশ নির্যাতিতা বধূর

    Sandeshkhali: “করোনা থেকে ভয়ঙ্কর তৃণমূল বাহিনী”, ভোটের আগে ক্ষোভ প্রকাশ নির্যাতিতা বধূর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা থেকে ভয়ঙ্কর তৃণমূল বাহিনী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই ভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা গ্রামের গৃহবধূ। ভোটের মরশুমে তৃণমূল কিছু ভূয়ো ভিডিও প্রকাশ করায় এলাকার মহিলারা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। গ্রামের মহিলাদের দাবি, অত্যাচারের কথা মিথ্যা নয়, আমাদের কণ্ঠস্বরের উপর অন্যের কণ্ঠস্বর বাসনো হয়েছে। ইতি মধ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে দেশের প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালিতে মা-বোনদের উপর অত্যাচারের কথা নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র নিশানা করেছেন। এক বেসরকারি সাংবাদ মাধ্যমকে অত্যাচারের শিকার এক বধূ নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেন।

    কী বললেন গৃহবধূ (Sandeshkhali)?

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এই বধূ নিজের ঘরের ভিতরে জানালার ভিতর থেকে বলেন, “ভয়ের মধ্যে রয়েছি। এখন তৃণমূল বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। গুন্ডাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গিয়েছে। ভোটের মধ্যে এসে বলছে সরকারি সুবিধা দেবো। ঘর দেবে, কাজের টাকা দেবে ইত্যাদির প্রলোভন দিচ্ছে। শেখ শাহজাহান না থাকলে কী হবে, তার থেকেও বড় দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায়। আমার স্বামীকে মিথ্যা কেসে ফাঁসানো হয়েছে। একটা দুটো নয় পাঁচ পাঁচটা কেস দিয়েছে। এখন ভোটের অপেক্ষায় আছি। আমাদের লড়াই চোখের জলের লড়াই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা ডেকেছিলাম, তিনি নিজে এসে আমাদের কথা শোনেননি। তাঁর নির্দেশে এই এলাকায় তৃণমূল অত্যাচার করেছে। তিনি এবার বলেছেন জিতলে আসবেন। কিন্তু যখন আমাদের দরকার তখন তিনি আসেননি।”

    আরও পড়ুনঃ ফের ইডির জেরার মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা, এবার তলব রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে

    আর কী বললেন বধূ?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অত্যচারের শিকার এই গ্রামের বধূ আরও বলেন, “একটা সময়ে অনেকেই তৃণমূল করত এলাকায়, তৃণমূল বাহিনীর দৌরাত্ম্য আমারা দেখেছি। করোনা ভাইরাসের থেকেও ভয়ঙ্কর তৃণমূল। উত্তম-শিবুদের ভয়ে মানুষ ভয়ে ভয়ে থাকতেন। যখন তখন বাড়ির (Sandeshkhali) মহিলাদের ডেকে নিয়ে যেত ওরা। থানায় গেলে পুলিশ বলত দাদার কাছে যান, অনেক মানুষকে অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। রাজ্যের পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। আমরা কোনও দিন ভোট দিতে পারিনি। গত বিধানসভা ভোটের সময় আমরা বাড়ি থেকে অন্যত্র লুকিয়ে ছিলাম। ওরা বলত দাদা ডাকালেই যেতে হবে, যখন ইচ্ছে তখন তুলে নিয়ে যেত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ভাঙড়ে একই দিনে স্থানীয় তৃণমূল নেতার সভা, শুভেন্দুর সভাকে বাতিল করল প্রশাসন

    Suvendu Adhikari: ভাঙড়ে একই দিনে স্থানীয় তৃণমূল নেতার সভা, শুভেন্দুর সভাকে বাতিল করল প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সপ্তম দফা ভোটের প্রচার জমে উঠেছে। আগামী ১ জুলাই শেষ পর্বের ভোট গ্রহণ হবে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দিনে আশোকনগর, যাদবপুর, কাকদ্বীপে তিনটি জনসভা এবং কোলকাতায় একটি রোডশো করেছেন। তাঁর ভোটের প্রচার ছিল দারুণ জমজমাট। এই প্রচারের মধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ভাঙড়ে একটি সভা করার কথা ছিল বুধবার। কিন্তু সেই সভাকে অনুমতি দিল না প্রশাসন। ঘটনায় প্রশাসন এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে বিজেপি।

    বিজেপির অভিযোগ (Suvendu Adhikari)

    ভাঙড়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভা বাতিল করায় বিজেপি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, রাজনৈতিক প্রতি হিংসার কারণে এই সভাকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা যে স্থানীয় তৃণমূল নেতার একই দিনে সভা রয়েছে। তাই সেই জন্য বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সম্পূর্ণ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গভীর চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছে বিজেপি। ভাঙড়ে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সভা করলে মানুষ তৃণমূলের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে, আর তাই শাসক দলের মনে বিজেপিকে ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে সভা স্থগিত হলেও নির্ধারিত সময়ে সভাস্থলে শুভেন্দু যাবেন এবং এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

    আরও পড়ুনঃ “মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস!” আরামবাগে বাড়ি ভাঙচুর নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    আইন শৃঙ্খলার সমস্যা

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক ভাবে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। ৫ জন মানুষের রাজনৈতিক হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। একাধিক সময়ে বোমা, গুলি, বন্দুকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগের তির ছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একটি খুনের মামলায় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবার একাধিক পুলিশ আধিকারিকদের বদল হয়েছে। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশাসনের তরফ থেকে সভায় অনুমতি না দেওয়ার পিছনে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ভোটের বাজারে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভা বাতিল হওয়ায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: পরিকাঠামো নেই, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা নেশামুক্তি কেন্দ্রে ঘটছে মৃত্যু, সরব বিজেপি

    Balurghat: পরিকাঠামো নেই, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা নেশামুক্তি কেন্দ্রে ঘটছে মৃত্যু, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও আবাসিককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে উত্তাল হয়েছে, আবার কখনও নেশামুক্তি কেন্দ্রে দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তেতে উঠেছে এলাকা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) জেলা জুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রচুর। তবুও, প্রশাসন কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ। নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে এবার সরব হয়েছেন বিজেপির বিধায়ক সত্যেন রায়। কোন লাইসেন্সের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে এসব নেশামুক্তি কেন্দ্র, কে দিয়েছে অনুমতি, কিছুই জানা যায় না। স্বাস্থ্য দফতর, সমাজকল্যাণ দফতর থেকে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে এই অভিযোগ ঘুরপাক খায়। এসব নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে এবার সরব হয়েছেন গঙ্গারামপুরের বিজেপির বিধায়ক সত্যেন রায়।

    নেশামুক্তির পরিকাঠামো নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (Balurghat)

    এক সরকারি আধিকারিক বলেন, একটি দোতলা বা তিনতলা বাড়ি, সেখানে ঝাঁ চকচকে অফিস ঘরে মাদক নিয়ে সচেতনতার প্রচার সংক্রান্ত ইংরেজিতে লেখা পোস্টার বা ছবি। তাতেই চালু হয়ে যাচ্ছে নেশামুক্তি কেন্দ্র। সঙ্গে রয়েছে সংস্থার নাম আর ফোন নম্বর। মৌখিক প্রচারেই মাদকাসক্তদের পরিবারের যাতায়াত শুরু হয় সেখানে। মাসে মাসে মোটা টাকা রোজগার করছে সংস্থাগুলি। ভিতরে কী পরিকাঠামো রয়েছে, সেখানে কোনও চিকিৎসক আছেন কিনা, রোগীর পরিবার সেসব বিষয়ে কিছুই জানতে পারেন না। এমনকী রোগীর সঙ্গে নিয়মিত দেখা করানোর কথা থাকলেও তা মানা হয় না। এই গোপনীয়তার সুযোগেই বাড়ছে অপরাধ। প্রায়শই কেন্দ্রগুলি থেকে রোগীমৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    নেশামুক্তি কেন্দ্রে ঘটছে রোগীমৃত্যু!

    মাসকয়েক আগে বালুরঘাট হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনের রাস্তায় একটি মৃতদেহ পড়ে থাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। কারা দেহ ফেলে গিয়েছিল, তার তদন্ত শুরু করতেই জানা যায়, পতিরামের একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে মৃত এক আবাসিককে সেখানে ফেলে গিয়েছিল কর্তৃপক্ষই। ওই ঘটনার তদন্ত শেষ না হতেই গত শনিবার আরও একটি কেন্দ্রে এক আবাসিকের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই অসুস্থ আবাসিককে বালুরঘাট (Balurghat) হাসপাতালে ভর্তি না করে রায়গঞ্জের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এতেই উঠেছে প্রশ্ন।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় জানাচ্ছেন, ‘জেলায় অনেক নেশামুক্তি কেন্দ্র আছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি। খবর এসেছে, বহু কেন্দ্রে রোগীদের মারধর, অত্যাচার করা হয়। নেই কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা ফার্মাসিস্ট। আবাসিকদের বেঘোরে প্রাণ যাচ্ছে। এসব কেন্দ্র বন্ধ হোক।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: বিষ জল পান করছেন শিলিগুড়িবাসী! আন্দোলনে নামার হুমকি বিজেপির

    Siliguri: বিষ জল পান করছেন শিলিগুড়িবাসী! আন্দোলনে নামার হুমকি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়রের অপদার্থতায় ১৫ দিন ধরে বিষ জল পান করলেন শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরবাসী। এমনই অভিযোগ বিজেপির। পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জল পান না করার জন্য মেয়রের আবেদনে এই বিষয়টি সামনে এসেছে। বুধবার শিলিগুড়ি পুরসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে মেয়র গৌতম দেব স্বীকার করেন, প্রায় গত ১৫ দিন ধরে যে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়েছে তা দূষিত। পিএইচই থেকে দেওয়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই জল ভয়ঙ্কর মাত্রায় দূষিত। অক্সিজেন কম। তাই এই জল যেন এখন থেকে আর কেউ পান না করেন।

    কেন দূষিত জল সরবরাহ করা হল? (Siliguri)

    গজলডোবায় তিস্তার বাঁধ মেরামতে জন্য শিলিগুড়ি (Siliguri) পানীয় জল প্রকল্পে তিস্তার জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু, শহরবাসী যাতে জলকষ্টে না পড়েন তারজন্য মহানন্দা নদীর জল সরবরাহ করে কাজ করা হচ্ছিল। সেই জলের নমূনা পিএইচই কলকাতায় পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট এসেছে, এই ভয়ঙ্কর মাত্রায় দূষিত, এই জল পানের অযোগ্য। এখন প্রশ্ন হল, পরীক্ষা না করে কেন মহানন্দার জল নেওয়া হল? অনেক আগেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, রাজ্যের ভয়ঙ্কর দূষিত নদীগুলির মধ্যে মহানন্দা প্রথম তিনে রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, আগে কেন পরীক্ষা করে দেখা হল না?

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

     কী বলছেন মেয়র?

    মেয়র গৌতম দেব বলেন, শহরবাসী (Siliguri) যাতে জলকষ্টে না পড়েন তার জন্য মহানন্দার জল নিয়ে পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এই জলের নমুনা জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর থেকে কলকাতায় পাঠানো হয়। রিপোর্ট আসতে পাঁচ-ছ’দিন সময় লাগে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরই আমরা শহরবাসীকে এই জল পান না করার আবেদন জানাচ্ছি।

    দূষিত জল পান করে বাড়ছে পেটের রোগ!

    গত দুই সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করে পেটে ব্যথা। সেই সঙ্গে বমি ও পাতলা পায়খানা হচ্ছে। শিলিগুড়ি (Siliguri) হাসপাতালে এই ধরনের সমস্যা নিয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এদিন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা নৌকাঘাটের চম্পা রায়, শান্তিনগরের জবা ঘোষ বলেন, আমরা সারা বছর পুরসভার জল খাই। কিন্তু, গত দু’সপ্তাহ ধরে এই জল খাওয়ার পর থেকে আমরা দেখছি হঠাৎ করে পেটে কামড় দিচ্ছে, তারপর ব্যথা। কখনও কখনও পাতলা পায়খানা হচ্ছে। তাই হাসপাতালে এসেছি। 

    বিষ জল পান করছেন শিলিগুড়িবাসী

    বিজেপির শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, মেয়রের অযোগ্যতাতে এই জিনিস ঘটেছে। শিলিগুড়ি মানুষ আজ ভয়ঙ্কর ঝুঁকির মুখে। এনিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। এনিয়ে মেয়রকে জবাবদিহি করতে হবে। যদি তিনি সন্তোষজনক উত্তর না দেন এবং এই বিষ জল পানের ফলে শহরের বিপর্যয় দেখা যায়, তাহলে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আগামীদিনে চরম আন্দোলন নামব। মানুষের জীবন নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা আমরা বরদাস্ত করব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: “মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস!” আরামবাগে বাড়ি ভাঙচুর নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Arambagh: “মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস!” আরামবাগে বাড়ি ভাঙচুর নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ জুন রাজ্যের সপ্তম দফা লোকসভার নির্বাচন। এর মধ্যেই শাসকদল তৃণমূলের দ্বারা আক্রান্ত হলেন এক বিজেপি কর্মী। এইবার আক্রমণের শিকার হলেন, আরামবাগের (Arambagh) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির সংখ্যালঘু বুথ সভাপতি। মূল অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীরা রাতে বাড়িতে ঢুকে হুমকি দেওয়া দেয় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে আক্রমণের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে আক্রান্তের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগার।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Arambagh)?

    হুগলিতে (Arambagh) বিজেপির আক্রান্ত সংখ্যালঘু বুথ সভাপতির নাম হল মইউদ্দিন মল্লিক। তিনি বলেন, “আমি নির্বাচনের দিনে বুথে বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করেছিলাম। আর ভোট মিটে যাওয়ার পর থেকে আমাকে অনেকবার হুমকির মধ্যে পড়তে হয়। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার রাতে আমার বাড়িতে এসে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। এরপর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় পরিবারকে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। আমাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস!” এই ঘটনার প্রতি নিন্দা জানিয়ে বিজেপির প্রার্থী অরূপকান্তি দিগার তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “হারের ভয়ে তৃণমূল এই আচরণ করছে। তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের জনমত ভোটে প্রকাশ পাবে।”

    আরও পড়ুনঃ সপ্তম দফা ভোটের আগে উত্তপ্ত জয়নগর, গুলি-বোমার আঘাতে আহত এক ব্যক্তি!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই প্রেক্ষিতে আরমাবাগের (Arambagh) তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুরের বিষয়কে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়। স্থানীয় তৃণমূলের নেতা শেখ মহম্মদ বলেন, “শুনেছি এই হামলার কথা। মদ্যপ অবস্থায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপির অপর আরেক এজেন্ট। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে এই সমস্ত করছে দুষ্কৃতীরা। তবে তৃণমূলের কেউ এই কাজে যুক্ত নয়।”  

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার ও বুধবারে নির্বাচনী প্রচার করেন রাজ্যে। অপর দিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় ভোটের প্রচার করেন। শেষ দফা প্রচারে নির্বাচনী প্রচার রাজ্যে জমে উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Eastern Railway: ট্রেনের টয়লেটে বের হবে না দুর্গন্ধ! নয়া ডিভাইস বসছে হাওড়া-শিয়ালদা ডিভিশনে

    Eastern Railway: ট্রেনের টয়লেটে বের হবে না দুর্গন্ধ! নয়া ডিভাইস বসছে হাওড়া-শিয়ালদা ডিভিশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক্সপ্রেস ট্রেনে টয়লেটের অব্যবস্থা নিয়ে অনেকবার যাত্রীরা অভিযোগ করে থাকেন। এবার সেই সমস্যা অনেকটাই মিটতে চলেছে। এবার ফুরফুরে হবে ট্রেনের টয়লেট। বের হবে না দুর্গন্ধ। এমনই উদ্যোগ নিয়ে ভারতীয় রেল। পূর্ব রেলের (Eastern Railway) ট্রেনের টয়লেটে বিশেষ ধরনের ডিভাইস যুক্ত করা হচ্ছে। এর আগে মুম্বই জোনের ট্রেনের টয়লেটে এই ধরনের ডিভাইস চালু ছিল। সেখানে সফল হওয়ার পর এবার পূর্ব রেলও এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। নতুন এই ডিভাইসের নাম দেওয়া হয়েছে গন্ধভেদ (আইওটি ভিত্তিক রিয়েল টাইম হাইজিন মনিটরিং সিস্টেম)। হাওড়া-শিয়ালদা ডিভিশনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে কাজ করবে এই ডিভাইস? (Eastern Railway)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্য রেলওয়ের (মুম্বই জোন) কয়েকটি স্টেশন টয়লেটে এই সিস্টেম চালু করা হয়েছিল। সেখানে সফল হওয়ার পর, রেলওয়ে (Eastern Railway) বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী পূর্ব রেলের একাধিক ট্রেনে নতুন এই উদ্যোগ কার্যকরী হতে চলেছে। হাওড়া ডিভিশনের ৩টি ট্রেন, শিয়ালদা ডিভিশনের ৩টি ট্রেন, আসানসোল ডিভিশনের ২টি ট্রেন এবং মালদা ডিভিশনের ২টি ট্রেনে গন্ধভেদ ডিভাইস পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে চলেছে। এই ডিভাইসের মাধ্যমে ট্রেনের শৌচাগারটি কী পরিস্থিতিতে রয়েছে সেটা পর্যালোচনা করবে। সেই অনুসারে সংকেত পাঠানো হবে। সাফাইকর্মীর কাছে সেই সংকেত যাবে। সেই অনুসারে সাফাই কর্মীরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    গন্ধভেদ ডিভাইসে কী কী সেন্সর রয়েছে জানেন?

    রেল (Eastern Railway) সূত্রে জানা গিয়েছে, যন্ত্রটিতে ব্যবহৃত গন্ধ সেন্সর অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইড, মিথেন, ট্রাইমিথাইল অ্যামাইন, মিথাইল মারক্যাপ্টান, ইথানল ইত্যাদি শনাক্ত করে। আরেকটি সেন্সর টোটাল ভোলাটাইল অর্গানিক যৌগ শনাক্ত করে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য সমানভাবে ক্ষতিকর। জীবাণুনাশক ও এয়ার ফ্রেশনারের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ শনাক্ত করার সেন্সরও রয়েছে ডিভাইসটিতে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টয়লেটে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা সনাক্ত করা অপরিহার্য। ‘গন্ধভেদ’ যন্ত্রটি এই প্যারামিটারগুলিও পর্যবেক্ষণ করবে। পরীক্ষায় সফল হওয়ার পরে, ট্রেনের শৌচাগারগুলির স্বয়ংক্রিয় স্বাস্থ্যবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য পূর্ব রেলওয়েতে ধীরে ধীরে এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha election 2024: ষষ্ঠ দফায় কোন কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়ল? তথ্য প্রকাশ কমিশনের

    Lok Sabha election 2024: ষষ্ঠ দফায় কোন কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়ল? তথ্য প্রকাশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের (Lok Sabha election 2024) প্রথম ছয় দফার ভোট শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে শেষ তথা সপ্তম দফার ভোট। আর ভোটের এই আবহে বাকি পাঁচ দফার মত এবার ষষ্ঠ দফায় দেশ জুড়ে কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেই তথ্য প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। গত ২৫ মে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে দেশ জুড়ে। এর মধ্যে বিহারের ৮টি, হরিয়ানার ১০টি, জম্মু ও কাশ্মীরের ১টি, ঝাড়খণ্ডের ৪টি, দিল্লির ৭টি, ওডিশার ৬টি, উত্তর প্রদেশের ১৪টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন হয়েছে। 
    নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে সারা দেশ জুড়ে আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৫৮টি আসনে ভোট (Lok Sabha election 2024) দানের হার ৬৩.৩৭ শতাংশ। ষষ্ঠ দফায় ১১,১৩,১৬,৬০ জন ভোটারের মধ্যে ৭,০৫,৪৪,৯৩৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পুরুষ ভোটারদের হার ৬১.৯৫ শতাংশ, মহিলা ভোটারদের হার ৬৪.৯৫ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটের হার ১৮.৬৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। 

    রাজ্যের কোন কেন্দ্রে কত ভোট পড়ল? 

    তবে শুধু ভোট দানের হারই নয় একইসঙ্গে কোন কেন্দ্রে কত ভোট (Lok Sabha election 2024) পড়েছে, রবিবার সে তথ্যও প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার ষষ্ঠ দফায় রাজ্যের আট কেন্দ্রে ভোট পড়ার গড় হার ৮২.৭১ শতাংশ। এবার আট কেন্দ্রের মধ্যে শীর্ষে বিষ্ণুপুর। সেখানে ভোট পড়েছে ৮৫.৯১ শতাংশ। বিষ্ণুপুরের পরেই আছে তমলুক। সেখানে ভোটের হার ৮৪.৭৯ শতাংশ। কাঁথির ভোটের হার ৮৪.৭৭ শতাংশ। ঝাড়গ্রামে এবার ৮৩.৪৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। ঘাটালে ভোট পড়েছে ৮২.১৭ শতাংশ। মেদিনীপুরে ভোটের হার ৮১.৫৬ শতাংশ। বাঁকুড়ায় ভোটের হার ৮০.৭৫ শতাংশ। তবে পুরুলিয়ায় ভোটের হার সর্বনিম্ন। সেখানে এবার ভোট পড়েছে ৭৮.৩৯ শতাংশ।   

    দেশের কোন রাজ্যে কত ভোট পড়ল? (Lok Sabha election 2024)

    অন্যদিকে কমিশনের (Election Commission) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে রেকর্ড ভোট পড়েছে। সেখানে ভোটের হার ৫৮.৬৯ শতাংশ। হরিয়ানায় ভোট পড়েছে ৬৪.৮০ শতাংশ৷ ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে যথাক্রমে ৭৪.৪৫ শতাংশ এবং ৬৫.৩৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।  
    কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, ষষ্ঠ দফায় পুরুষদের তুলনায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি ছিল। যেমন বিহারে মহিলা ভোটারের হার ৬২.৯৫ শতাংশ এবং পুরুষ ভোটারের হার ৫১.৯৫ শতাংশ। একইভাবে উত্তর প্রদেশে মহিলা ভোটারের হার ৫১.৩১ শতাংশ ও পুরুষ ভোটারের হার ৫৭.১২ শতাংশ। বিহার, উত্তর প্রদেশের মত পশ্চিমবঙ্গের ছবিও এক। এ রাজ্যে মহিলা ভোটারের হার ৮৩.৮৩ শতাংশ ও পুরুষ ভোটারের হার ৮১.৬২ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: পড়াশোনা শেষ হলেই ছাড়তে হবে হস্টেল! কড়া নির্দেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    তবে কমিশন তার বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে যে, এই ভোটদানের হারের মধ্যে পোস্টাল ব্যালট অন্তর্ভুক্ত নয়। চূড়ান্ত ভোটদানের ফলাফল ৪ জুন পোস্টাল ব্যালট গণনা এবং মোট ভোট (Lok Sabha election 2024) গণনার সাথে যুক্ত হওয়ার পরে জানা যাবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: সপ্তম দফা ভোটের আগে উত্তপ্ত জয়নগর, চলল গুলি-বোমা, আহত এক

    Lok Sabha Election 2024: সপ্তম দফা ভোটের আগে উত্তপ্ত জয়নগর, চলল গুলি-বোমা, আহত এক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সপ্তমদফা লোকসভা নির্বাচন জমে উঠেছে কিন্তু এর মধ্যে একাধিক জায়গায় অশান্তির খবর উঠে এসেছে। ভোটের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জয়নগর (Lok Sabha Election 2024)। এলাকার গড়দেওয়ান গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি করেছে দুষ্কৃতীরা। এরপর থেকেই চলছে একালায় পুলিশের টহল। গুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটার। আবার একেবারে যেন সিনেমার দৃশ্য! তখনও স্কুটিতে যুবক। এক যুবক গুলি বিদ্ধ না হলেও পিঠ এবং বুকের পাশ ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। আর্তনাদ চিৎকার শুনতে পেয়েছেন পথ চলতি মানুষ। ঘটনা ঘটেছে নদিয়াতে। ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। 

    জয়নগরে গুলি (Lok Sabha Election 2024)!

    জানা গিয়েছে, গড়দেওয়ান পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তপন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি মোড়ে বসে নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) ভোটার স্লিপ গোছানোর কাজ করছিলেন। কিন্তু আচমকা দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। অল্পের জন্য গুলি লাগেনি গায়ে। গুলির শব্দ শুনে দোকানে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানে ধাওয়া করে বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। বোমার ঘায়ে গুরুতর যখম হন তিনি। বোমা-গুলির শব্দে এলাকার মানুষ ছুটে আসেন, এরপর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের নিমপীঠ রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতাল কেন্দ্রে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।

    বুকের পাশ ছুঁয়ে যায় গুলি (Lok Sabha Election 2024)

    জানা গিয়েছে নদিয়ায় গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম অজয় মাহাতো। বাড়ি কল্যাণী থানার চরজাজিরা এলাকায়। তিনি বলেন, “আমি স্কুটি করে যাচ্ছিলাম, আচমকা পিছন থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুলি বুকের পাশ ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। কে মারল কিছুই বুঝতে পারিনি। কেন মারল তাও আমরা বুঝতে পারছি না। ওরা কতজন ছিল তাও বুঝতে পারছি না। সবটাই পিছন থেকে করেছে।” কিন্তু রাজ্যে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আবাহে কারা এই ভাবে গুলি করল তা নিয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারলাম না। এরপর তাঁকে স্থানীয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

    আরও পড়ুনঃ পড়াশোনা শেষ হলেই ছাড়তে হবে হস্টেল! কড়া নির্দেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    ১ জুন সপ্তম দফা ভোট

    রাজ্যে আগামী ১ জুন সপ্তম দফা অর্থাৎ শেষ দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024)। রাজনৈতিক লড়াই নিয়ে ইতিমধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছিল এই জেলায়। একাধিক বার শাসক দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, কোন্দল, ঝগড়া, হত্যা ইত্যাদি ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। এখন শেষ দফা লোকসভা নির্বাচনে কমিশন কী ভূমিকা পালন করে তাই  দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share