Tag: West Bengal

West Bengal

  • Child Death: রেমাল দুর্যোগে হাসপাতালে বন্ধ জেনারেটর, দেওয়া গেল না অক্সিজেন-নেবুলাইজার, মৃত্যু সদ্যোজাতের!

    Child Death: রেমাল দুর্যোগে হাসপাতালে বন্ধ জেনারেটর, দেওয়া গেল না অক্সিজেন-নেবুলাইজার, মৃত্যু সদ্যোজাতের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেমালের তাণ্ডবে বাংলার উপকূলবর্তী একলা ব্যাপক দুর্যোগের কবলে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের দিনেই সদ্যোজাতের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। সদ্যোজাতের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাওয়া যায়নি কোনও ডাক্তার। একই ভাবে বিদ্যুৎ না থাকার জন্য চালানো যায়নি জেনারেটর। আর তাই অক্সিজেন ও নেবুলাইজার দেওয়া সম্ভব হয়নি। আর এর ফলে মৃত্যু হয় শিশুর (Child Death)। ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে। মৃত শিশুর নাম তুলিকা মোহতা। সুন্দরবন হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃত শিশুর পরিবার।

    পরিবারের অভিযোগ (Child Death)

    সোমবার সকালে সাগরের খানসাহেব আবাদ এলাকার শিবশঙ্কর মোহতা এক মাসের নিজের সদ্যোজাত কন্যাকে ভর্তি করেছিলেন। তিনি বলেন, “হাসপাতলের এক কর্মী জানান দুর্যোগের কারণে বিদ্যুৎ নেই। অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব নয়। বাইরে থেকে অক্সিজেন কিনে আনতে বলেন, সঙ্গে এই কথাও জানানো হয় কিনে আনলেও দিতে সময় লাগবে। অনেক ডাকাডাকির প্রায় আধ ঘণ্টা পরে চিকিৎসক গিয়ে শিশুটির চিকিৎসা শুরু করে। এরপর অক্সিজেন এবং নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য চালানো হয় জেনারেটর। কিন্তু ততক্ষণে আমার শিশুর মৃত্যু (Child Death) হয়ে যায়। বিনা চিকিৎসায় সন্তান মারা গেল আমার সন্তান।” ইতিমধ্যেই সদ্যজাত মৃত শিশুর পিতা লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপারের কাছে। ঝড়ের মধ্যে প্রশাসনের গাফিলতির জন্য মৃত্যু হয়েছে শিশুর। শিশুর মা কান্না করতে করতে এই অভিযোগ তোলেন। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার পক্ষ থেকে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে মৃত্যুর তদন্ত যাবেন।

    আরও পড়ুনঃ বাংলা-হিন্দি-ইংরেজি ভাষায় ৮০টি কবিতা বলে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল কান্দির কন্যা

    স্বাস্থ্য আধিকারিকের বক্তব্য

    সাগর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক অংশুমান বসু জানিয়েছেন, “ঘটনা খুবই দুঃখজনক, আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে দেখা হবে। যদি কেউ দোষী থাকেন তাহলে অবশ্যই শাস্তির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” আবার ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলা আধিকারিক জয়ন্ত সুকুল বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি বাচ্চাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নেবুলাইজারের গ্যাস দিতে দেরি হয়েছিল শুনলাম। এরপর শিশুর মৃত্যু (Child Death) হয়। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Inner Conflict: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! পূর্ব বর্ধমানে জখম ৫

    TMC Inner Conflict: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! পূর্ব বর্ধমানে জখম ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি চতুর্থ দফায় ভোট পর্ব মিটেছে বর্ধমানে। আর ভোট মিটতেই এবার প্রকাশ্যে এলো তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Inner Conflict)। পূর্ব বর্ধমানের (East Bardhaman) খণ্ডঘোষ এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, ব্লক সভাপতির সঙ্গে বিধায়কের বিরোধের জেরে সোমবার রাতে খণ্ডঘোষের উখরিদের শেরপাড়ায় মারধরের ঘটনায় জখম হন পাঁচ জন। ঘটনার পরে তাদের ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জখম পাঁচ জনের মধ্যে উখরিদ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সেখ হাবিবুর রহমান, তার ছেলে সেখ মেহবুব রহমান ওরফে আকাশ ও ভাইপো সেখ মাইনুল রহমান রয়েছেন। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (TMC Inner Conflict)

    মেহবুব রহমানের দাবী তারা খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগের অনুগামী। সেই জন্য ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলামের (ফাগুন) নির্দেশে তার অনুগামীরা হঠাৎই আক্রমণ করে। মেহবুব রহমান জানান, তারা গ্রামের শেরপাড়ায় বসে ছিলেন। সেই সময় হঠাৎই ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলামের নির্দেশে একদল লোক মোটরবাইকে এসে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের হাতে ছিল রড লাঠি ও টাঙ্গি। 

    গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণ 

    জানা গিয়েছে, ব্লক সভাপতির ভাই ও ছেলে এলাকায় ঠিকাদারি করছে। অপার্থিব ইসলামের সঙ্গে অঞ্চল সভাপতির দ্বন্দ্বের (TMC Inner Conflict) কারণ এই ঠিকাদারি নিয়েই। গোটা ব্লকের সব ঠিকাদারি কাজ করবে অপার্থিব ইসলামের ছেলে ও ভাইপো। আর সেটা নিয়ে বাধা দেওয়াতেই অশান্তির সূত্রপাত।   

    স্থানীয় বাসিন্দার বক্তব্য  

    এ ঘটনায় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আলি হোসেন মণ্ডল বলেন, “বিধায়কের গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্লক সভাপতি অনুগামীদের দ্বন্দ্বের (TMC Inner Conflict) জন্যই গ্রামে মারপিট ও অশান্তি হয়। শেরপাড়ায় অতর্কিতে হামলা চালায় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির লোকজন। জখম পাঁচজনকে প্রথমে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় খণ্ডঘোষ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখান থেকে প্রথমে তিনজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই বিষয়ে বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় নি। অন্যদিকে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি অপার্থিব ইসলামের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, “এই ঘটনার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আর গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Inner Conflict) বা বিবাদের কোন বিষয়ই নয়।”

    আরও পড়ুন: “বয়স্ক সাংসদ পোজ দিয়ে জল নিকাশির চেষ্টায়”, সৌগতকে খোঁচা শুভেন্দুর

    বিজেপির দাবি 

    অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “এখানকার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Conflict) দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। বিভিন্ন অবৈধ কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের নিজেদের মধ্যেই কাটমানি, ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে লড়াই আছে। আর এই দুই দলের মধ্যে টেন্ডার নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে দ্বন্দ চলছিল। সেই দ্বন্দ্বের কারণেই গতকাল সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটে। গোটা ঘটনায় এলাকার মানুষ যথেষ্ট ভাবে আতঙ্কিত।” এছাড়াও এদিন তিনি গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসন ও তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্বকে দায়ী করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বাংলা-হিন্দি-ইংরেজি ভাষায় ৮০টি কবিতা বলে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল কান্দির কন্যা

    Murshidabad: বাংলা-হিন্দি-ইংরেজি ভাষায় ৮০টি কবিতা বলে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল কান্দির কন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দুইবছর ১১ মাস বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল কান্দির (Murshidabad) শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের কন্যা শিশু ঋতু সরকার। ওই কন্যা শিশু অতি অল্প সময়ে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষার ৮০টি কবিতা বলতে পারে। এছাড়াও ৮০টি সাধারণ জ্ঞানের উত্তর সহ ৩০ ধরনের শাক-সবজী, ৩৫ ধরনের ফলের নাম বলতে-লিখতে পারে। এছাড়াও ৪০ ধরনেরর গাড়ির নাম, ৪৫টি ফুলের নাম, ৩৬টি পশু ও ৩০টি পাখীর নাম সহ বিভিন্ন বিষয়ে বলতে-লিখতে পারদর্শিনী এই কন্যা।

    পরিবারের বক্তব্য (Murshidabad)

    মঙ্গলবার, ডাকযোগে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে তার বাড়িতে (Murshidabad) শংসাপত্র এসে পৌঁছায়। এরপর পরিবারে খুশি নেমে আসে। কন্যার বাবা রাজু সরকার কাশ্মীরে বিএসএফ জওয়ান হিসেবে কর্মরত। কন্যার মা মধুশ্রী মোদক সরকার বলেন, “মেয়ের বয়স প্রায় তিন বছর। ওর পারদর্শিতাই আমরা চরম খুশি। আগামীতে আরও বড় কিছু করে দেখানোর জন্য মেয়েকে সেভাবেই তৈরি করছি আমরা। আমার মেয়ের এই পারদর্শিতার নমুনা ভিডিও করে বেশ কিছুদিন আগে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে পাঠিয়ে ছিলাম। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে মেয়ের নাম ওঠায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।” এই বিষয়টি জানাজানি হতেই ঋতুদের পরিবারসহ গোটা এলাকায় নেমেছে খুশির হাওয়া।

    আরও পড়ুনঃ মালদায় বারোমাসি কাটিমন আম চাষ করে দিশা দেখাচ্ছেন রাজীব রাজবংশী

    জিনিস ধরে রাখার ক্ষমতা বেশি কন্যার

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ছোট্ট কন্যার পিছনে সব সময় খেলার ছলে ঘুমাবার আগে নিয়মিতভাবে তাকে শিখাতে হতো। এমনিতেই বাচ্চারা পড়াশুনা করতে চায় না, তার উপরে প্রতিটি বাচ্চার মোবাইল দেখার একটা প্রবণতা আছে আর সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে যেমন খেলার সময় নিয়ে খেলা করতে করতে, পিছন পিছন ঘুরে ঘুরে তাকে সমস্ত ফল-ফুল, পাখি-জীবজন্তুর নাম ঠিকানা সমস্ত কিছু শেখানো হয়েছে। প্রসঙ্গে মা মধুশ্রী মোদক সরকার বলেন, “একটা বিষয়ে লক্ষ্য রাখতাম মেয়ের যে কোনও জিনিস ধরে রাখার ক্ষমতা অনেক বেশি এবং সেগুলি আয়ত্তে আনতে তার বেশি সময় লাগত না।” ঋতুর বাবা বর্তমানে কাশ্মীরে কর্মরত আছেন বিএসএফ সৈনিক হিসেবে। তিনি বছরে একবার বাড়িতে (Murshidabad) আসেন কিন্তু মেয়ের ব্যাপারে সবসময় কথা বলেন এবং তিনি যেকোনও ব্যাপারে উৎসাহ দান করে থাকেন। আগামী দিনে যাতে মেয়ে পড়াশুনা-খেলায় আরও উন্নতি সাধন করতে পারে সে বিষয়ে তাকে এখন থেকেই পড়াশুনো এবং খেলা, এই দুই বিষয়ে অনুশীলনের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় বারোমাসি কাটিমন আম চাষ করে দিশা দেখাচ্ছেন রাজীব রাজবংশী

    Malda: মালদায় বারোমাসি কাটিমন আম চাষ করে দিশা দেখাচ্ছেন রাজীব রাজবংশী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারোমাসি নতুন প্রজাতির কাটিমন আম চাষ করে মালদায় দিশা দেখাচ্ছেন মালদার (Malda) রাজীব রাজবংশী। বারোমাসি আম বলতে যা বোঝায়, কাটিমন তার থেকে আলাদা। বারোমাসি আমে দেখা গেছে বছরে দু’‌বার আম পাওয়া যায়। কিন্তু কাটিমনের ক্ষেত্রে বছরের প্রায় সবদিনই গাছে আম পাওয়া যায়। একদিনও গাছ ফাঁকা থাকার ব্যাপার নেই। অর্থাৎ আম বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছের বাকি জায়গায় মুকুল আসতে শুরু করে। এই মকুল থেকে দানা হয়ে আম বড় হতে শুরু করলে আবার বের হয় মুকুল। বছরের সবসময় এভাবেই চলতে থাকে। আবার স্বাদে যেমন মিষ্টি তেমনই সুগন্ধিযুক্ত।

    এক বিঘা জমিতে ১০০ টির বেশি গাছ (Malda)

    অসময়ের এমন প্রজাতির আম চাষ করে নজির তৈরি করেছেন রাজীব রাজবংশী। নিজের ১ বিঘা জমিতে ১০০টির ওপর গাছ রোপন করেছেন। এখন ফল পেতে শুরু করেছেন তিনি। রাজীবের বাড়ি মালদার (Malda) গাজোল ব্লকের পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলবাড়ি গ্রামে। ২০২০ সাল নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের এক চ্যানেলে তিনি কাটিমন আমের চাষ দেখে অনুপ্রাণিত হন। তখন মালদায় সেই অর্থে চাষাবাদ শুরুই হয়নি। অবশেষে তিনি নদিয়ার ট্র‌্যাডিশনাল নার্সারি থেকে ১০৫টি চারা কিনে নিয়ে আসেন। দু’‌বছরের মাথায় মুকুল আসতে শুরু করে। মুকুল ধরার পর প্রায় সাড়ে ৩ মাস সময় লাগে আম পরিণত হতে। আমের আকারও বেশ। খানিকটা বড় আকৃতির ৩টি আমেই ১ কেজির মতো হয়। আবার ছোট আকার হলে ৪-‌৫ টিতে প্রায় ১ কেজি। গাছের পরিচর্যা বলতে বছরে দু’‌বার গোবর সার ও পান্না পরিমাণ মতো দিতে হয়। বৃষ্টির সময় ছত্রাকনাশক এবং রোগ অনুযায়ী কীটনাশক স্প্রে করলেই চলে। তবে নতুন পাতা আসার সময় কীটনাশক বেশি দরকার হয়।

    আরও পড়ুনঃরেমাল বিপর্যয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু! কলাগাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত বাবা-ছেলে!

    আম চাষির বক্তব্য

    মালদার (Malda) চাষি রাজীব রাজবংশী এই আম চাষ সম্পর্কে বলেন, “কাটিমন আম চাষ বেশ লাভজনক আম চাষ। লক্ষণভোগ আমের মতো সুগন্ধিযুক্ত এবং মিষ্টিতে আম্রপালির মতো। সারা বছর এই আম চাষ করা যায়। বারমাস হয়ে থাকে কিন্তু বারমাসি থেকে মিষ্টি বেশি হয়। আমের আকৃতি বেশ বড় হয়। আমের লাভ জনক ব্যবসায় এই আমের চাষ বেশ কার্যকরী। সকলে চাইলে চাষ করতে পারেন।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বয়স্ক সাংসদ পোজ দিয়ে জল নিকাশির চেষ্টায়”, সৌগতকে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বয়স্ক সাংসদ পোজ দিয়ে জল নিকাশির চেষ্টায়”, সৌগতকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী শনিবারই শহরে সপ্তম দফা তথা ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের শেষ দফার ভোট রয়েছে। কিন্তু তার আগেই রবিবার মধ্যরাতে রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে শহর ও শহরতলী। একটানা বৃষ্টির প্রভাবে জলমগ্ন হয়েছে কলকাতার একাধিক এলাকা। আর সেই আবহেই এবার তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের (Sougata Roy) জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন নিয়ে খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    শুভেন্দুর বক্তব্য (Suvendu Adhikari)

    দমদম লোকসভা কেন্দ্রে সাংসদ পদে হ্যাটট্রিক করেছেন সৌগত। এবারও সেই এলাকায় তৃণমূলের প্রার্থী তিনি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তাঁর এলাকার জলমগ্ন পরিস্থিতির অবস্থা নিয়েই কার্যত খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর বক্তব্য, সৌগতর (Sougata Roy) কাজ দেখে মনে হচ্ছে, তৃণমূলে তিনি নব্য। শুভেন্দু বলেন, ”১৫ বছর ধরে সাংসদ। ১৫ বছর ধরে পুরসভার ক্ষমতায়। ১৩ বছর ধরে রাজ্যে ক্ষমতায়। কিন্তু নির্বাচনের আগে, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কারণে, জল জমে যাওয়ায় বাঁশ দিয়ে কি খোঁচাচ্ছেন উনিই জানেন! বাঁশটা কিন্তু ভোটারদের চিনিয়ে দিলেন, ১ জুন আপনার জন্য তোলা থাকল।” এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে এদিন এমনই মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর পোস্টের ক্যাপশনে শুভেন্দু ‘দুর্বল চিত্রনাট্য’ ও ‘কাঁচা অভিনেতা’ বলে কটাক্ষ করেছেন। সঙ্গে আরও লিখেছেন, ‘বয়স্ক সাংসদ পোজ দিয়ে জল নিকাশির চেষ্টায়।’ 

    ভোট বলেই কি সাংসদের এমন তৎপরতা?- উঠছে প্রশ্ন 

    প্রসঙ্গত, এদিন ঘূর্ণিঝড়ের পরে এলাকা পরিদর্শনে বের হন তৃণমূল প্রার্থী (Sougata Roy)। কখনও সটান পে লোডারের চালকের সিটে বসে পড়ছেন বছর ৭৬-এর সৌগত, আবার কখনও ধুতি গুটিয়ে নর্দমায় বাঁশ নিয়ে জলে জোর খোঁচাখুচি করছেন। আর ভোটের আগে তাঁর এই চিত্রকেই ‘চিত্রনাট্য’ বলে বর্ণনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।   
    অন্যদিকে সৌগত রায়ের (Sougata Roy) এমন কর্মকাণ্ডে প্রশ্ন উঠেছে, ভোট বলেই কি সাংসদের এমন তৎপরতা? যদিও শুধু সৌগত নয়, পে লোডারে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছে বরানগর উপ নির্বাচনে এবারের তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।  
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Remal: নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকল গ্রামে, সন্দেশখালিতে দুর্গতদের পাশে রেখা পাত্র

    Cyclone Remal: নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকল গ্রামে, সন্দেশখালিতে দুর্গতদের পাশে রেখা পাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেওয়া ঘূর্ণিঝড় রবিবার রাতেই আছড়ে পড়েছে বাংলার বুকে। সুন্দরবনের ওপর দিয়ে দুই ২৪ পরগনা ছুঁয়ে  তা চলে গেছে বাংলাদেশের দিকে। সেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal) হাত ধরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি এলাকায় রবিবার রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার রাতে ঝড়টি বাংলাদেশের দিকে চলে গেলেও সোমবার সকাল থেকেই খবর আসতে থাকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকাতেও ব্যাপক ক্ষতি করেছে রেমাল।

    শিয়ালদা- হাসনাবাদ শাখাতেও ট্রেন চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগ (Cyclone Remal)

    রেমালের (Cyclone Remal) দাপটে একাধিক গাছ উপড়ে পড়তে শুরু করে। ফলে, ভোরের আলো ফুটতেই বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গিয়ে গাছ কেটে জনজীবন স্বাভাবিক করার কাজ শুরু করে। রেমাল-দুর্যোগে শিয়ালদা- হাসনাবাদ শাখাতেও ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন লাইনের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে ট্রেন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের শিকার হন হাজার হাজার ট্রেন যাত্রী। রেমালের প্রভাবে অতি বর্ষণে হিঙ্গলগঞ্জে ৬টি নদীবাঁধের বেহাল দশা হয়। রূপমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌড়েশ্বর নদীর বাঁধকে প্লাস্টিক দিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন গ্রামবাসীরা। আর এই ঘটনাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামের মানুষ। 

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে সোমবার বিকেলেও বৃষ্টি শহরে, কবে কাটবে দুর্যোগ?

    সন্দেশখালিতে দুর্গতদের পাশে রেখা পাত্র

    এই ঘটনার পরেই সোমবার বিকেলে ঝড় বৃষ্টি (Cyclone Remal) মাথায় করে সন্দেশখালির খুলনা এলাকার অসহায় মানুষদের কাছে ছুটে যান এবারে বসিরহাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র।এদিন তিনি সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের অসহায় অবস্থার কথা শোনেন। পাশাপাশি এদিন তিনি নদীবাঁধের যা বর্তমান অবস্থা হয়েছে তা ক্ষতিও দেখেন এলাকায় গিয়ে। সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। আর ঝড়ে যাদের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র।

    নদী বাঁধ কাটছে তৃণমূল!

    এদিন উত্তর আখড়াতলা এলাকায় বেতনী নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামের মধ্যে জল ঢুকতে শুরু করে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসী। প্রথম পর্যায়ে গ্রামের ছেলেরা গিয়ে নদীর বাঁধ ভাঙ্গন রোখার চেষ্টা করেন। ততক্ষণে গ্রামের মধ্যে জল প্রবেশ করে আতঙ্কে নদীপাড়ে এসে ভিড় জমায় গোটা গ্রামবাসী। এদিকেই নদী বাঁধ ভাঙ্গন নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। এই প্রসঙ্গে বসিরহাট সংগঠনিক জেলার বিজেপির ইনচার্জ শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি বিস্তীর্ণ এলাকায় নদীর বাঁধ তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেটে দেওয়া হচ্ছে। আর এই বাঁধ কেটে দিয়ে সংস্কার করার আশ্বাস দিয়ে মানুষজনকে তাঁদের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Remal: দিনভর রেমালের দাপাদাপি! হাওড়ায় জলমগ্ন রেললাইন, ব্যাহত পরিষেবা, দুর্ভোগ

    Cyclone Remal: দিনভর রেমালের দাপাদাপি! হাওড়ায় জলমগ্ন রেললাইন, ব্যাহত পরিষেবা, দুর্ভোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনভর দাপট দেখাল ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal) । সোমবার  সকাল থেকে অঝোরে বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ার কারণে ব্যাহত হয়েছে রেল পরিষেবাও। সকাল থেকে হাওড়া-শিয়ালদা শাখায় ট্রেন দেরিতে চলছে। আর এবার নাগাড়ে বর্ষণে ব্যাহত হাওড়া স্টেশনের দক্ষিণ পূর্ব রেলের ট্রেন চলাচলাও।

    পাম্প চালিয়ে রেল লাইনের জল নামানোর চেষ্টা, বহু ট্রেন বাতিল (Cyclone Remal)

    রেমালের দাপটে (Cyclone Remal) টিকিয়াপাড়া রেল ওয়ার্ডে রেল লাইনের ওপর জল উঠে গিয়েছে। সেই কারণে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোট ছয়টি লোকাল ট্রেন এখনও পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে টিকিয়াপাড়া রেল ইয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ার কারণে। ৩৮৪৩৩ হাওড়া-পাঁশকুড়া লোকাল, ৩৮৪৪৮ পাঁশকুড়া-হাওড়া লোকাল, ৩৮৩১৭ হাওড়া-মেচেদা লোকাল, ৩৮৩০৪ মেচেদা- হাওড়া লোকাল, ৩৮৪২৫ হাওড়া-পাঁশকুড়া লোকাল এবং ৩৮৪৪০ পাঁশকুড়া-হাওড়া লোকাল এদিনের জন্য বাতিল রাখার সিদ্ধান্ত মেওয়া হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে। বাতিল রয়েছে আপ দিঘা ও ডাউন তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসও। যদিও এছাড়া আর কোনও দূরপাল্লার ট্রেন এখনও পর্যন্ত বাতিল করা হয়নি। দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই পাম্প চালিয়ে রেল লাইনের ওপর থেকে জল নামানোর চেষ্টা শুরু করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে সোমবার বিকেলেও বৃষ্টি শহরে, কবে কাটবে দুর্যোগ?

    শেওড়াফুলি-তারকেশ্বর লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ

    সোমবার দুপুরে বন্ধ হয়ে গেল শেওড়াফুলি-তারকেশ্বর লাইনের ট্রেন চলাচল। এই লাইনে ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে জি টি রোডও। জানা গিয়েছে, রেমালের (Cyclone Remal) জেরে ঝড় হওয়ায় নসিবপুর স্টেশনের কাছে একটি বাঁশগাছ হেলে পড়েছে। ট্রেনের রোডও। জানা গিয়েছে, রেমালের জেরে ঝড় হওয়ায় নসিবপুর স্টেশনের কাছে একটি বাঁশগাছ হেলে পড়েছে। ট্রেনের ওভারহেড তারে ঠেকে রয়েছে সেটি। সেই কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়েছে। দুপুরের পর থেকে আপ লাইনে কোনও ট্রেন এগোতে পারছে না।শেওড়াফুলি চার নম্বর রেল গেটে দাঁড়িয়ে আছে একটি আপ লাইনের ট্রেন। ফলে গেট খোলা যাচ্ছে না। গেট বন্ধ থাকায় শেওড়াফুলিতে জিটি রোড স্তব্ধ গিয়েছে। কতক্ষণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে, তা বুঝতে পারছেন না রেল যাত্রী থেকে পথচলতি মানুষ। ডাউন লাইনে ট্রেন চলছে স্বাভাবিক গতিত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন ট্রেনের কর্মীরা।

     ট্রেন বাতিলের জেরে দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা

    রেলের তরফে আগেই বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। পরে ঝড়ের প্রভাবে আরও বেশি কিছু লাইনে পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, রীতিমতো দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। পরে, রেমাল-এর ধাক্কা সামলে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল শুর হয় সোমবার সকালে। শিয়ালদা ও হাওড়া থেকে একে একে সব লোকার ট্রেন এবার ছাড়তে শুরু করে। তবে, শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় বাতিল করা হল একাধিক ট্রেন। ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, ক্যানিং, বজবজ, হাসনাবাদ, মাঝেরহাট- হাসনাবাদ, বনগাঁ সহ একাধিক লাইনে ৪৬টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Remal: ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে সোমবার বিকেলেও বৃষ্টি শহরে, কবে কাটবে দুর্যোগ?

    Cyclone Remal: ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে সোমবার বিকেলেও বৃষ্টি শহরে, কবে কাটবে দুর্যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অঝোরে বৃষ্টি (Rain in Kolkata) হচ্ছে শহর কলকাতায়। রবিবার দুপুর থেকে শুরু হয়ে সোমবার বিকেল এখনও থামার নাম নেই। ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Cyclone Remal) প্রভাবে সপ্তাহের প্রথম দিনে কার্যত অবরুদ্ধ শহর। ঘর বন্দি সাধারণ মানুষ। যাঁরা বেরিয়েছেন, তাঁরা দুর্ভোগের শিকার। উত্তর কলকাতার বেশিরভাগ এলাকাই কার্যত জলে ভাসছে। ক্যামাকস্ট্রিট, বালিগঞ্জ, পার্ক সার্কাস সহ জলমগ্ন শহরের একাধিক এলাকা।  

    কী বলছে হাওয়া অফিস

    আলিপুরের তরফে জানানো হয়েছে, শক্তি খুইয়ে ক্রমশ উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রেমাল (Cyclone Remal)। প্রতি ঘণ্টায় ঝড়টির গতিবেগ মাত্র ১৫ কিলোমিটার। সোমবার বিকেলের দিকে ঝড়টি আরও খানিকটা শক্তি কমিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। রাতের দিকে গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পূর্বে অগ্রসর হয়ে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যের মধ্যবর্তী জেলাগুলির উপর দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্যোগ ঘটাবে রেমাল।

    কবে কমবে বৃষ্টি

    আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ অংশে ভারী থেকে অতিভারী (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির (Rain in Kolkata) কারণে সোমবার সারা দিন গেরুয়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনায়। ভারী বৃষ্টির কারণে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং দুই মেদিনীপুরে। তবে উপকূলবর্তী জেলাগুলির তুলনায় এবার দক্ষিণবঙ্গের উপর দিকের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির (Cyclone Remal) প্রাবল্য বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মঙ্গলবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    পুনরায় চালু মেট্রো পরিষেবা

    ট্রেন ও বিমান পরিষেবার মতোই রেমালের জেরে আংশিক ব্যাহত হয় মেট্রো পরিষেবা। সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে মেট্রো চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় বহু যাত্রীদের। এদিন সকালে প্রায় ৪ ঘণ্টা ১৫ মিনিট বন্ধ ছিল পরিষেবা। এদিন পার্ক স্ট্রিট এবং এসপ্ল্যানেড স্টেশনের মধ্যবর্তী ট্র্যাকগুলিতে জল জমার খবর সামনে আসে। এরফলে আংশিকভাবে বিঘ্নিত হয় পরিষেবা। সকাল ৭টা ৫১ মিনিট নাগাদ দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরিশ পার্ক এবং কবি সুভাষ থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার পর্যন্ত মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মধ্যবর্তী স্টেশনগুলিতে মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকার ফলে বিপাকে পড়েন বহু যাত্রী। এরপর ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হয় এবং কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো চলাচল শুরু হয়। 

    আরও পড়ুন:রেমালের প্রকোপে প্রায় দশ ঘণ্টা পর শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় চলল ট্রেন

    রাস্তায় যানবাহন কম

    এদিন ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। একাধিক রাস্তায় গাছ পড়ে থাকার কারণে গাড়ির গতি স্লথ ছিল। তার উপর বৃষ্টি (Rain in Kolkata)। সুযোগ বুঝে অ্যাপ ক্যাবগুলিও ভাড়া বাড়িয়েছিল কয়েকগুণ। রাস্তাঘাটে এদিন বাস এবং ট্যাক্সির সংখ্যাও ছিল হাতে গোনা। শেয়ার ক্যাবগুলিও এদিন চড়া দাম হাঁকিয় পরিস্থিতির সুযোগ নেয়, অভিযোগ যাত্রীদের।

    বেশি বৃষ্টি বেহালা-বালিগঞ্জে

    ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Cyclone Remal) দাপটে রবিবার রাতে শহরে নানা জায়গায় রাস্তায় ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের তার। শহরের একাধিক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ায় অবরুদ্ধ বিভিন্ন রাস্তা। কলকাতা পুরসভার  হিসেব অনুযায়ী সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বেহালা ও বালিগঞ্জে। কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা পুরসভা গাছ সরানোর কাজ চালাচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে ভেঙে পড়া গাছ সরাতে বেগ পেতে হচ্ছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: পঞ্চায়েতের পাঠানো ট্যাঙ্কের জল খেয়ে ২০ জন অসুস্থ, সরব বিজেপি

    Bankura: পঞ্চায়েতের পাঠানো ট্যাঙ্কের জল খেয়ে ২০ জন অসুস্থ, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এলাকায় পাইপ লাইন বসানো হয়েছে। তবে, এখনও পানীয় জল পরিষেবা শুরু হয়নি। এমনিতেই টিউবওয়েল থেকে জল ঠিক মতো বের না হওয়ায় জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে বাঁকুড়ার (Bankura) সিমলাপাল ব্লকের লক্ষ্মীসাগর এলাকায়। আর জলের পরিষেবা দিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পাঠানো পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো। সেই জল খেয়ে বিপত্তি।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bankura)

    বাঁকুড়ার (Bankura) সিমলাপাল ব্লকের লক্ষ্মীসাগর দাসপাড়া পানীয় জলের সমস্যার কারণে স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত থেকে ট্যাঙ্কারে পানীয় জল পাঠিয়েছিল। সেই জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন প্রায় ২০ জন। এরইমধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভোটের দিন স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েতের তরফে ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়। সেখান থেকেই জলপান করেন গ্রামের লোকেরা। অভিযোগ, সেই জল খেয়েই অসুস্থ হতে শুরু করেন লোকজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, বমির উপসর্গ দেখা হয়। একজন বা দুজন নয়। এলাকায় ওই জল যাঁরা খেয়েছেন, তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে, পঞ্চায়েতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: রেমালে বিপর্যস্ত হাওড়া, জলমগ্ন নিচু এলাকা, বেহাল জনজীবন! নামখানায় মৃত ১

    পঞ্চায়েতের পাঠানো ট্যাঙ্কের জল খেয়ে ২০ জন অসুস্থ

    হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক গ্রামবাসী বলেন, “পঞ্চায়েতের পাঠানো ট্যাঙ্কের জল খেয়ে এরকম হয়েছে। ট্যাঙ্কের জল আসে এখানে। ওই জল খেয়ে ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি। বমি, পায়খানা, পেটে ব্যথা। বাচ্চাদেরও হয়েছে।” জানা গিয়েছে, একের পর এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের সিমলাপাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনজনের অবস্থার অবনতি হলে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এলাকার বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, পাইপ লাইন থাকলেও জলের বালাই নেই। ভোটের আগে জলের ট্যাঙ্কার এনে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাতেই এমন কাণ্ড! আমরা এই ঘটনার তদন্ত দাবি করছি। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কেউ কোনও কথা বলতে চাননি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: “বিজেপি নেতা গ্রামে এলে পিছমোড়া করে বেঁধে রাখুন”, নিদান তৃণমূল নেতার

    Lok Sabha Election 2024: “বিজেপি নেতা গ্রামে এলে পিছমোড়া করে বেঁধে রাখুন”, নিদান তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও শেষ দফা ভোট (Lok Sabha Election 2024) বাকি রয়েছে। ১ জুন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। সপ্তমদফা ভোটের আগে বিজেপির জেলা সভাপতিকে তীব্র আক্রমণ করলেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল প্রার্থী? (Lok Sabha Election 2024)

    গত ২০ মে বনগাঁ লোকসভায় ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন মালিদা ১১৭ নম্বর বুথে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হয়। হামলা এবং পাল্টা হামলার জেরে দুপক্ষের কর্মী-সমর্থক জখম হন। তবে, তৃণমূলের হামলায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হন। জখম কর্মীদের দেখতে গিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদ করেছিলেন। কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শাসক দলকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। বিজেপির জেলা সভাপতি ঘুরে যাওয়ার পর আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে যান তৃণমূল প্রার্থী তথা বনগাঁর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। ভোটপ্রচারে বেরিয়ে তাঁর মতো তৃণমূল নেতার মুখে শোনা গেল বিতর্কিত মন্তব্য। তিনি বলেন, “বিজেপির জেলা সভাপতি গ্রামে এলে পিছমোড়া করে তাঁকে বেঁধে রাখবেন।” কর্মীদের এই নিদান দেওয়ায় তৃণমূলের জেলা সভাপতির সমালোচনায় মুখর হয়েছে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন: রেমালে বিপর্যস্ত হাওড়া, জলমগ্ন নিচু এলাকা, বেহাল জনজীবন! নামখানায় মৃত ১

    বিজেপির জেলা সভাপতি কী বললেন?

    যদিও এ নিয়ে বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডলও পাল্টা এক হাত নেন বিশ্বজিৎ দাসকে। তিনি বলেন, তৃণমূলের কাজ হল হুমকি দিয়ে ভয় দেখানো। এসব বলে কোনও লাভ নেই। মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। সেটা ওরা বুঝতে পেরেছে। তাই, এই ধরনের আওয়াজ দিচ্ছে। আমি দলীয় কর্মীদের ওপর হামলার পর ওই এলাকা. গিয়েছিলাম। আবারও যাব। আমি ওইসব হুমকি কে ভয় পাই না। তবে, এটুকু বলতে পারি, ৪ জুনের পর সাধারণ মানুষই বিশ্বজিৎ দাসকে বেঁধে রাখবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share