Tag: West Bengal

West Bengal

  • Cyclone Remal: রেমালের থাবা ! দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত

    Cyclone Remal: রেমালের থাবা ! দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী শনিবার মথুরাপুর লোকসভায় রয়েছে সপ্তম দফার শেষ ভোট। ভোট প্রচারের ব্যস্ততার পরিবর্তে রেমাল আছড়ে পড়ার পর সোমবার সকালে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত। কারণ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Cyclone Remal) কারণে একাধিক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। কারও ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে, কোথাও নদীবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। দুর্গতদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি প্রার্থী।  

    দুর্গতদের পাশে বিজেপি প্রার্থী (Cyclone Remal)

    রবিবার রাত সাড়ে দশটা থেকে রাত সাড়ে বারোটায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal) ল্যান্ডফল করেছে। বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও সাগর আইল্যান্ডের মাঝে মোংলা বন্দরের দক্ষিণ পশ্চিমে ঘূর্ণিঝড় ল্যান্ডফল করেছে। ল্যান্ডফলের সময় এর গতিবেগ ছিল ১৩৫ কিমি প্রতি ঘন্টায়। বাংলার ওপর দিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। তার ওপরে ভরা কোটাল। প্লাবিত ফ্রেজারগঞ্জ। জল ঢুকেছে নীচু এলাকায়। যে কোনও মুহূর্তেই ভাঙতে পারে বাঁধ। আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দারা। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার একাধিক অঞ্চল বিদ্যুৎহীন। মূলত বিভিন্ন জায়গায় ইলেকট্রিক তারের ওপর গাছ পড়ে যাওয়াতেই এই সমস্যা। তাই, সকাল থেকেই পুরসভার কর্মীরা নানান জায়গায় গাছ কাটার কাজ করছেন। মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত নামখানার ফেজারগঞ্জ এলাকার সহ বিভিন্ন জায়গায় নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন। দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাদের পাশে থাকার বার্তা দেন। যত শীঘ্রই সম্ভব সেই নদী বাঁধ সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা তিনি জানান। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার লালুয়া রায়দিঘি সহ বিভিন্ন এলাকায় এদিন সকাল থেকে দুর্গতদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।

    আরও পড়ুন: সকালেও ঝোড়ো হাওয়ার দাপট, সঙ্গে ভারী বৃষ্টি, রেমালের রেশ সোমেও

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত বলেন, দুর্যোগ মাথায় নিয়ে এদিন সকালে ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায় যাই। দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলি। তৃণমূলের দুর্নীতির কারণে বাঁধ সংস্কারের স্থায়ী সমাধান হয়নি। এবারও রেমালের (Cyclone Remal) দাপটে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমরা দুর্গতদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছি। দুর্গতদের পাশে আমরা সবসময় রয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kartik Maharaj: কার্তিক মহারাজ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি! নৈহাটিতে মিছিল করলেন সাধু-সন্তরা

    Kartik Maharaj: কার্তিক মহারাজ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি! নৈহাটিতে মিছিল করলেন সাধু-সন্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট আবহের মধ্যে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে (Kartik Maharaj) উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবমাননাকর মন্তব্য করার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে এসে এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন। এই মন্তব্যের জন্য কার্তিক মহারাজের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবিবার তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুদিন আগেই কলকাতার রাজপথে খালি পায়ে সাধুসন্তরা মিছিল করেন। রবিবার নৈহাটি শহরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে সাধু-সন্তরা মিছিল করেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।

    ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? (Kartik Maharaj)

    শনিবার এক নির্বাচনী সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’ সব সাধু সমান নয়। বহরমপুরের একজন মহারাজ (Kartik Maharaj) আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি উনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতিকরছেন। দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি কে কে করছেন।’

    আরও পড়ুন: সকালেও ঝোড়ো হাওয়ার দাপট, সঙ্গে ভারী বৃষ্টি, রেমালের রেশ সোমেও

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি

    কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) ইস্যুতে নৈহাটি শহরে মিছিলে হেঁটে সাধু সন্তরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানালেন। সেই সঙ্গে শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের ওপর দুষ্কৃতী হামলার প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে নৈহাটির গৌরীপুর চৌমাথা থেকে মিছিল করেন সাধু-সন্তরা। এই মিছিল থেকে স্বামী আত্মপ্রকাশানন্দ সরস্বতী বলেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বার্তা পাঠাতে চাই সাধু-সন্ন্যাসীদের অপমান ও হিন্দুদের ওপর অপমান সহ্য করব না। মুখ্যমন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি ক্ষমা না চাইলে বাংলার মানুষ এবং সমস্ত সাধু সন্তরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে। কেননা মুখ্যমন্ত্রী অল্প সংখ্যক ভোট ব্যাংকের দিকে তাকিয়ে বিশাল হিন্দুসমাজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করছেন। সাধু সন্তদের টার্গেট করে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের আমরা দাবি জানাচ্ছি। হিন্দু জাগরন মঞ্চ বারাকপুর জেলার পক্ষ থেকে এই মিছিল নৈহাটির বড়মা মন্দিরের কাছে গিয়ে শেষ হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Remal: প্লাবিত ফ্রেজারগঞ্জ, জল ঢুকেছে নীচু এলাকায়, ভাঙল গাছ, দাপট দেখাল রেমাল

    Cyclone Remal: প্লাবিত ফ্রেজারগঞ্জ, জল ঢুকেছে নীচু এলাকায়, ভাঙল গাছ, দাপট দেখাল রেমাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Cyclone Remal) দাপট দেখল বাংলা। রাতভর বৃষ্টিতে জল যন্ত্রণা। জায়গায় জায়গায় জমে গিয়েছে জল। আজ, সোমবারও দিনভর ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে, দুর্যোগ বাড়বে বই কমবে না। আর ঝড়ের দাপটে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় রাস্তায় একাধিক গাছ ভেঙে পড়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।

    প্লাবিত ফ্রেজারগঞ্জ, জল ঢুকেছে নীচু এলাকায় (Cyclone Remal)

     রবিবার রাত সাড়ে দশটা থেকে রাত সাড়ে বারোটায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal) ল্যান্ডফল করেছে। বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও সাগর আইল্যান্ডের মাঝে মোংলা বন্দরের দক্ষিণ পশ্চিমে ঘূর্ণিঝড় ল্যান্ডফল করেছে। ল্যান্ডফলের সময় এর গতিবেগ ছিল ১৩৫ কিমি প্রতি ঘন্টায়। বাংলার ওপর দিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। তার ওপরে ভরা কোটাল। প্লাবিত ফ্রেজারগঞ্জ। জল ঢুকেছে নীচু এলাকায়। যে কোনও মুহূর্তেই ভাঙতে পারে বাঁধ। আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দারা। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার একাধিক অঞ্চল বিদ্যুৎহীন। মূলত বিভিন্ন জায়গায় ইলেকট্রিক তারের ওপর গাছ পড়ে যাওয়াতেই এই সমস্যা। তাই সকাল থেকেই পুরসভার কর্মীরা নানান জায়গায় গাছ কাটার কাজ করছেন।

    আরও পড়ুন: সকালেও ঝোড়ো হাওয়ার দাপট, সঙ্গে ভারী বৃষ্টি, রেমালের রেশ সোমেও

    কুলতলিতে ৫৪টি ত্রাণ শিবির

    প্রবল বৃষ্টি, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট চলছে। সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টির সঙ্গে ওলটপালট হাওয়ায় নাকাল সুন্দরবন, কুলতলি, গোসাবা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Remal) দিনভর দুর্যোগ চলবে। প্রস্তুত ব্লক প্রশাসনও। রাস্তার ওপর ভেঙে পড়েছে বিশালাকার গাছ। জেসিবি দিয়ে গাছ সরানোর কাজ তো চলছেই। এরইমধ্যে আবার দুর্ভোগের চিত্রও দেখা গিয়েছে। কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার কৈখালি ইংলিশ মডেল স্কুলের আশ্রয় শিবিরে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে। সেখানে আলোর ব্যবস্থা, পানীয় জল ও খাবারের যথাযথ ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ। এই অব্যবস্থার কারণে ক্ষুব্ধ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া অসহায় মানুষ। কুলতলিতে এখন পর্যন্ত ৫৪ টি আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    একাধিক গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ, দুর্ভোগ

    হাসনাবাদ থেকে নেবুখালি রোড ও একাধিক গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্বরূপকাটি বাজার, আমবেড়িয়া, বাঁকড়া বাজারসহ একাধিক  জায়গায় ইলেকট্রিক পোস্ট ভেঙে গেছে , ১১ হাজার লাইনের ইলেকট্রিক পোস্ট ভেঙে ও তার ছিড়ে গেছে। দক্ষিণ হিঙ্গলগঞ্জ অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হয়েছে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির। ইতিমধ্যে এই ত্রাণ শিবিরে প্রায় পাঁচ থেকে সাত জন উপস্থিত হয়েছেন। পাশাপাশি একজন বৃদ্ধ এবং তিনজন ছোট বাচ্চাও রয়েছে। নদীর তীরবর্তী এলাকায় দুর্বল মাটির বাড়ি থাকার জন্য তাঁরা এই ত্রাণ শিবিরে এসেছেন।

    পাহাড়ে হড়পা বানের শঙ্কা

    ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে আগামী বুধবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলায়। আজ নদিয়া-মুর্শিদাবাদে ব‍্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। কলকাতা ও দুই ২৪ পরগণায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে দুর্যোগ থেকে কিছুটা রেহাই পাবে দক্ষিণবঙ্গ। অন্যদিকে, রাত থেকেই বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে। আজ, সোমবার পাহাড় ও ডুয়ার্সে লাল-কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অল্প সময়ে বেশি পরিমাণ বৃষ্টিতে পাহাড়ি নদীতে হড়পা বানের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Remal Update: রাতেই ল্যান্ডফল রেমালের, রাজ্যে কোন কোন জেলায় জারি হল লাল সতর্কতা?

    Cyclone Remal Update: রাতেই ল্যান্ডফল রেমালের, রাজ্যে কোন কোন জেলায় জারি হল লাল সতর্কতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেমাল এখন পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে। ক্যানিংয়ের ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে রেমাল (Cyclone Remal Update)। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ ছ’ঘণ্টায় তার গতিবেগ রয়েছে ১৩ কিলোমিটার। বাংলাদেশের মোংলা থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে রয়েছে। বাংলাদেশের খেপুপাড়ার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে। রবিবার রাতে বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবে বাংলাদেশের মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিমে আছড়ে পড়তে পারে। সে সময়ে তার গতি থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। সাময়িকভাবে দমকা হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছতে পারে ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্তও।

    রেমালের প্রভাবে দক্ষিণের কোন কোন জেলায় জারি লাল সতর্কতা? (Cyclone Remal Update)

    এই রেমাল (Cyclone Remal Update) ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানে জারি কমলা সতর্কতা। সোমবার নদিয়া, মুর্শিদাবাদে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে জারি লাল সতর্কতা। কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও ভারী বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    উত্তরের জেলাতেও জারি লাল সতর্কতা

    ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Remal Update) প্রভাবে সোমবার মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। জারি কমলা সতর্কতা। কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়িতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। জারি হলুদ সতর্কতা। মঙ্গলবার কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। দার্জিলিং, কালিম্পং, দুই দিনাজপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেখানে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। সোম এবং মঙ্গলবার মালদা এবং দুই দিনাজপুরে বৃষ্টির সঙ্গে ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উত্তাল হবে সমুদ্র। ঢেউয়ের উচ্চতাও হবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। মৎস্যজীবীদের সোমবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে বারণ করেছে আলিপুর হাওয়া অফিস।

    ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া

    দুই ২৪ পরগনায় ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Remal Update) কারণে রবিবার বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি সাময়িক ভাবে হতে পারে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। এ ছাড়া, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানেও ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। তবে তার গতি অপেক্ষাকৃত কম থাকবে। ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। নদিয়া, মুর্শিদাবাদে সোমবার হাওয়ার গতি বেড়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার হতে পারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানে ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ফের জমি দখল! ১০ লক্ষ টাকা দাবি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ জমি মাফিয়ার, দায়ের হল অভিযোগ

    Siliguri: ফের জমি দখল! ১০ লক্ষ টাকা দাবি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ জমি মাফিয়ার, দায়ের হল অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা চুরি, গরু চুরির মতোই জমি দখলের ভয়ঙ্কর দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছেন শিলিগুড়ির (Siliguri) তৃণমূল নেতারা। সম্প্রতি জমি দখলের চেষ্টায় শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনার পর এমনই অভিযোগ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তার পরপরই একই এলাকায় ফের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জমি মাফিয়াদের এই দাপটের পিছনে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের যুক্ত থাকার অভিযোগ জোরালো হয়েছে।

    ফের জমি দখল! ১০ লক্ষ টাকা দাবি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ জমি মাফিয়ার (Siliguri)

    এবার জমি দখলের অভিযোগ করলেন সুব্রত ছেত্রী নামে এক ব্যক্তি। রামকৃষ্ণ মিশন কাণ্ডে শোরগোল পড়ে যাওয়ায় পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব চাপে পড়ে গিয়েছে। আর তাতেই সাহস পাচ্ছেন জমিহারারা। এ রকমই একজন সুব্রত ছেত্রী। ভক্তিনগর থানার ঢিলছোড়া দূরত্বে ১৯৯৩ সালে তিনি পাঁচ কাঠা জমি কিনেছিলেন। তার অভিযোগ, জমি মাফিয়ারা সেই জমি দখল করে নিয়ে তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। সেই টাকা দিলেই তারা জমি ফেরত দেবে। সেই মতো অনলাইনে কিছু টাকা দেওয়ার পর বাকি টাকা আর তিনি দিতে পারেননি। তাই জমিও ফেরত পাননি তিনি। সুব্রত ছেত্রী বলেন, থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, গিয়ে দেখি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা থানার আইসির ঘরে বসে গল্প গুজব করছে। তাই ভয়ে চলে এসেছিলাম। কিন্তু, রামকৃষ্ণ মিশনের ঘটনার পর সাহস পাই। আবার থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি। প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে, আইনজীবীর মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ সেই অভিযোগ নেয়।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    তৃণমূল ক্ষমতায় আসতে জমি মাফিয়াদের দাপট বেড়েছে!

    শিলিগুড়ি (Siliguri) সেবক রোড এলাকা থেকে শুরু করে ইস্টার্ন বাইপাস পর্যন্ত একরের পর একর জমি মাফিয়ারা দখল করে নিয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা ও পুলিশ প্রশাসনের মদত রয়েছে বলেই জমি মাফিয়ারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। থানায় বসে জমি মাফিয়াদের আড্ডা মারার ঘটনায় সেটাই প্রমাণ হয় বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল।

    সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির

    বিজেপির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল নেতারা বড় জমি মাফিয়া। ডাবগ্রাম-ফুলবাডি বিধানসভা এলাকায় একসময় শিলিগুড়ির এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা জমির অবৈধ কারবার নিয়ন্ত্রণ করতেন। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে আর দেখা যায় না। কিন্তু, তাঁর অনুগামীরা বসে নেই। রামকৃষ্ণ মিশনের ঘটনায় সেটাই প্রমাণ হয়েছে। আমরা চাই এনিয়ে সিবিআই তদন্ত হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Remal Cyclone: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’! বাংলায় প্রস্তুত ১৪টি এনডিআরএফের টিম

    Remal Cyclone: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’! বাংলায় প্রস্তুত ১৪টি এনডিআরএফের টিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Remal Cyclone)! বাংলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ১৪ টি বিপর্যয় মোকাবেলা টিম। ঠিক এমনটাই জানালেন বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর পূর্ব ক্ষেত্রের কমান্ডার। ইতিমধ্যে দুপুর থেকেই বৃষ্টি পড়ছে কলকাতায়। সমুদ্র উপকূলবর্তী দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। ইতিমধ্যে ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি বইতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে।

    সুন্দরবন এলাকায় মানুষজন নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। জিনিসপত্র, গরু, বাছুর, ছাগল, মোষ, হাঁস, মুরগী নিয়ে নিকটবর্তী ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এই ঝড়ের আতঙ্কে পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কট বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

    কী জানিয়েছন এনডিআরএফের কমান্ডার (Remal Cyclone)?

    রাজ্যের বঙ্গোপসাগরের তৈরি গভীর নিম্নচাপ এখন রেমাল (Remal Cyclone) নাম নিয়ে সুন্দরবন সহ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়বে। বিপর্যয়ের মোকাবেলায় ইতিমধ্যে এনডিআরএফের বাহিনী নেমে পড়েছে। এনডিআরএফের পূর্বক্ষেত্রের কমান্ডার গুরমিন্দর সিং জানিয়েছেন, “আজ মধ্য রাতের মধ্যে রেমাল সমুদ্রউপকূলের ভূখণ্ডের উপর আছড়ে পড়বে। আইএমডির সর্তকবার্তা অনুযায়ী ঝড়ের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় জানা গিয়েছে ১২০-১৩০ কিমি হবে। ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হবে। ব্যাপক ভাবে ঝড় বৃষ্টি হবে। তবে সুপার সাইক্লোন বা আমফানের মতো হবে না। দুর্গত মানুষদের ইতিমধ্যে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃভোট আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    আর কী বললেন?

    এনডিআরএফের কমান্ডার এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “রাত ১২টা নাগাদ আছড়ে পড়বে রেমাল (Remal Cyclone)। কাঁচা বাঁধ রয়েছে এমন এলাকায় ১৪টি এনডিআরএফের টিম মোয়াতেন করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২টি করে টিম পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে, একটি করে হাওড়া ও হুগলিতে টিম রাখা হয়েছে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা, সুন্দরবনের সাগর সংগলগ্ন এলাকার বেশকিছু অংশে এনডিআরএফ টিম মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা জায়গায় জায়গায় মাইকিং করেছি। এলাকার বিপন্ন মানুষদের দ্রুত সরানো হবে শিবিরে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে যাঁদের বাড়ি কাঁচা তাঁরা যেন দ্রুত পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেন। ত্রিপল, দড়ি সহ নানা সরঞ্জামের আয়োজন করা হয়েছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kartik Maharaj: “আমার সমাজ-সংস্কৃতির জন্য লড়ব, তাতে মৃত্যু হলে হবে”, মমতাকে তোপ কার্তিক মহারাজের

    Kartik Maharaj: “আমার সমাজ-সংস্কৃতির জন্য লড়ব, তাতে মৃত্যু হলে হবে”, মমতাকে তোপ কার্তিক মহারাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের সন্ন্যাসীদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় বাংলার সন্ত-সাধু সমাজ মোটেই ভালো চোখে নেননি। মমতা গোঘাটের জনসভা থেকে ইসকন, রামকৃষ্ণ এবং ভারতসেবা আশ্রমের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj) নাম করে বলেন, “বুথে তৃণমূল এজেন্ট”-দের বসতে না দেওয়ার হুমকি দিয়ে রাজনীতি করছেন তিনি। প্রতিবাদে বঙ্গীয় সন্ত সমাজের উদ্যোগে খালি পায়ে ২৪ মে বাগবাজার থেকে বিবেকানন্দ রোড পর্যন্ত প্রতিবাদ সভা করেন। সভার একদিন পর একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়ে কার্তিক মহারাজ মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এবং একাধিক বিষয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “আমার সমাজ-সংস্কৃতির জন্য লড়ব, তাতে মৃত্যু হলে হবে।”

    হুমায়ুকে শো-কজ কেন করেনি মমতা (Kartik Maharaj)?

    রাজ্যের মমতার সরকারের বিরুদ্ধে ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সুর চড়িয়েছেন। মমতার বিরুদ্ধে মুসলমান তোষণ এবং ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) মমতাকে নিশানা করে বলেন, “বাংলার মানুষ আমায় চেনে, গোটা বাংলার মানুষ আমার পিছনে রয়েছে। বহরমপুরের মানুষ জানেন কার্তিক মহারাজ কেমন। মমতা রাজ্যের প্রধান। পুলিশ, আইন সবই ওঁর পক্ষে। ওঁর আঁতে ঘা লেগেছে। আমি নিজে ১২টা স্কুল চালাই, যেখানে ৮০ শতাংশ মুসলিম ভাইরা পড়াশুনা করে। আমাদের সেবা প্রতিষ্ঠান সব সময় সেবা কাজ করে থাকে। সাহায্যের সময় ধর্ম, রাজনীতি কিছু দেখি না আমরা। আমাদের কাছে আমাদের সংস্কৃতি-ধর্ম আগে। তাই আমাকে কথা বলতেই হয়। আমাকে নিয়ে এত কথা বলেছেন মমতা, অথচ হুমায়ুন অত বড় কথা বললেন, কিন্তু পার্টি থেকে কোনও রকম শোকজ করা হয়নি। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি বলেছিলেন ‘আমরা ৭০ শতাংশ, ওরা ৩০ শতাংশ, ভাসিয়ে দেব’। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন না কেন মমতা? তবে আমি ডন নই যে আমার ৫০০ ছেলে রয়েছে। একা আমাকে নয়, রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন সবাইকেই আক্রমণ করেছেন মমতা।”

    আরও পড়ুনঃ বসিরহাটে তৃণমূলে ফাটল! “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”, ঊষারানীকে হুমকি মমতার

    চক্রান্ত দেশভাগের আগে থেকে চলছে

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) বলেন, “দেশ বিভাজনের আগে থেকেই বাংলায় চক্রান্ত চলছে। শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের ওপর আক্রমণ হল, সেটা কেন হল? ইসকনের ওপরও আক্রমণ করা হয়েছে। আমি কার্তিক মহারাজ, আমি আমার ধর্ম, আমার সমাজ, সংস্কৃতির জন্য লড়ব। তাতে আমার মৃত্যু হলে হবে। রাজনীতির সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক আজ নতুন নয়। দীর্ঘ দশকের পর দশক ধরেই দেখা গেছে ধর্ম, বর্ণের ওপর নির্ভর করে প্রার্থী দেওয়া হয়। এমনকী বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় ভোটের আবহে। কিন্তু এবারের লোকসভা ভোটের শুরুতেই কংগ্রেসের ইস্তেহারকে মুসলিম লীগের ইস্তেহার বলে প্রধানমন্ত্রী যেমন আক্রমণ করেছিলেন, তেমন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও শোনা গেছে রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘের মতো প্রতিষ্ঠানের রাজনীতির অভিযোগ। ভারতে নুন ছাড়া তরকারির মতো ধর্ম ছাড়া রাজনীতি হয় কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: বসিরহাটে তৃণমূলে ফাটল! “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”, ঊষারানীকে হুমকি মমতার

    Mamata Banerjee: বসিরহাটে তৃণমূলে ফাটল! “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”, ঊষারানীকে হুমকি মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার সপ্তম দফায় ভোট বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের। এই কেন্দ্রে মধ্যে রয়েছে সন্দেশখালি। নারী নির্যাতন, হিন্দু মহিলাদের বেছে বেছে ধর্ষণ, জোর করে জমি দখল সহ একাধিক ইস্যুতে সাধারণ মহিলাদের ক্ষোভের আগুনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। বিজেপির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী নির্যাতিতা মহিলাদের পাশে না দাঁড়িয়ে পক্ষাবলম্বন করেছিলেন শেখ শাহজাহানের। ইতিমধ্যে প্রতিবাদী মুখ বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের প্রচার ব্যাপক জমজমাট হয়ে উঠেছে এলাকায়। কিন্তু এই কেন্দ্রে ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরাসরি তাঁর দলের বিধায়ক ঊষারানী মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন। তিনি হাড়োয়ায় নির্বাচনী সভা থেকে দলের বিধায়ককে হুমকি দিয়ে বলেন, “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”।

    ঠিক কি বললেন মমতা (Mamata Banerjee)?

    এদিন নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতা (Mamata Banerjee) দলের কর্মী-নেতা-বিধায়কদের কোন্দলকে আরও স্পষ্ট করে দেন। তিনি নিজের দলের মিনাখাঁর বিধায়ক উষারানী এবং তাঁর স্বামী মৃত্যঞ্জয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। কার্যত সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “পায়ে ধরে ক্ষমা না চাইলে কোনও জায়গা নেই দলে। তৃণমূলের এমএলএ থাকবেন আর মিটিংয়ে আসবেন না তা করা চলবে না। যতক্ষুণ ক্ষমা না চেয়ে পা ধরবে, ততক্ষুণ মুক্তি নেই। আপনি স্বামীকে নিয়ে দল বিক্রি করে দেবেন এমনটা দলে চলবে না। এটা মানবো না। তৃণমূল নেতা তৈরি করে, একটা যাবে তো লক্ষ নেতা তৈরি হবে। ব্লকে যারা আছে, জেলার যারা আছে তাদের তুলে ধরব।”

    আরও পড়ুনঃ ভোট আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    বিধায়ককে বাদ রেখে টিম গঠন

    এদিন দলের মধ্যে প্রকাশ্যে এই বিস্ফোরক মন্তব্যে ভোটের আগে একটা বড় ফাটল নজরে এসেছে। একই ভাবে এই বিধায়কে বাদ দিয়ে বিশেষ টিম গঠন করে দেন মমতা (Mamata Banerjee)। উল্লেখ্য ঊষারানী বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছেন বলে তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করে ছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এসএসসিতে গ্রুপ সিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাঁর মেয়ে। কিন্তু নিয়োগ বেআইনি হওয়ায় চাকরি বাতিল হয়েছে। মেয়ে ডি-র দাবিতে মিছলে যোগ দিয়েছিলেন। তাতেও শাসক দলের রোষানলে পড়তে হয়েছিল। অপর দিকে সন্দেশখালির বিজেপির প্রার্থী হিসাবে প্রধানমন্ত্রী রেখা পাত্রকে চয়ন করেছিলেন। ফলে বসিরহাটে শাসক দলের কোন্দলে বিজেপি কতটা বাজিমাত করবে সেই দিকেই নজর এখন ওয়াকিবহল মহলের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।   

  • Abhijit Ganguly: ভোট আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: ভোট আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভোটের মধ্যেই প্রতিবাদ ধর্নায় বসলেন তমলুক বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। গতকাল শনিবার ছিল রাজ্যে ষষ্ঠ দফা নির্বাচন। এই পর্বে ছিল তমলুক, কাঁথি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বিষ্ণুপুর, মেদিনীপুর কেন্দ্র। একাধিক কেন্দ্রে পুলিশ সরাসরি তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছে বলে অভিযোগ করে ধর্নায় বসলেন এই প্রাক্তন বিচারপতি। তিনি স্পষ্ট ভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশ তৃণমূলকে জয়ী করতে জুলুমবাজি করেছে।” সেই সঙ্গে একাধিক জায়গায় তাঁকে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল। উল্লেখ্য এই বিচারপতির রায়ে শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় একাধিক তৃণমূল নেতা-বিধায়ক-মন্ত্রী জেলে গিয়েছেন। একই ভাবে রেশন দুর্নীতি, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একাধিক বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ছিলেন তিনি।

    কী বললেন অভিজিৎ (Abhijit Ganguly)?

    ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দার সেক্রেটারির বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। এরপর সেখানে প্রতিবাদ করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) ধর্নায় বসেন। তিনি ধর্নায় বসে বলেন, “ময়নার পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা গৌতম গুরু নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। তাঁকে অপহরণ করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাত থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি তাঁর স্ত্রীর কাছে অভিযোগ পেয়ে বাড়িতে যাই। এখন গৌতমের বাড়িতে বসেই ধর্না বিক্ষোভ করব।”

    আরও পড়ুনঃ মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আছড়ে পড়বে ‘রেমাল’! গোসাবা-হিঙ্গলগঞ্জ-দিঘায় প্রস্তুত বিপর্যয় বাহিনী

    মূল অভিযোগ কী?

    ময়নার এই অঞ্চলটি তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়েছে। পুলিশ, অশোক দিন্দার সেক্রেটারির বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) অর্ডার দেখতে চান। পুলিশ সেরকম কোনও তথ্য দিতে পারেনি। ফলে তাঁর দাবি, এই ঘটনা পুলিশের অত্যাচার, ক্ষমতার অপব্যবাহার এবং জুলুমের সমতুল্য। এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ধর্নায় বসেন এই বিজেপি প্রার্থী। ভোটের মধ্যে এই ধর্না রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ইতি মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: গণনাকেন্দ্রে ১০ ঘণ্টা কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নিদান দিলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: গণনাকেন্দ্রে ১০ ঘণ্টা কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নিদান দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনাকেন্দ্রে দশ ঘণ্টা মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে। এই ১০ ঘণ্টা দলীয় কর্মীদের। সেই সময় অন্য কিছু করা যাবে না। এমনকী দরকার হলে জল- বিস্কুট খেয়ে পড়ে থাকতে হবে। এমনই নির্দেশ দলীয় কর্মীদের দিলেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    আগামী ৪ জুন লোকসভা আসনের গণনা। বালুরঘাট কলেজে করা হয়েছে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রংরুম। সাতটি বিধানসভার ইভিএম রাখা হয়েছে সেখানে। এবারে প্রায় ১৮ রাউন্ড ভোটগণনা হবে। প্রায় প্রত্যেক রাউন্ডে ১৪টি টেবিলে গণনা হবে। এই গণনাকেন্দ্রের অন্যতম বড় ভূমিকা দলীয় কাউন্টিং এজেন্ট। বিজেপির তরফে ১১০জন কাউন্টিং এজেন্টকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। তবে, এবারের গণনাকেন্দ্রে যারা ইংরেজি জানেন ও অঙ্কে সাবলীল তাঁদেরকে কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে রাখছে বিজেপি। বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে দলীয় নেতৃত্ব ও কর্মীদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। যেখানে সুকান্ত’র পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ অন্য বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ও কর্মীরা। সেখানেই সুকান্ত দলীয় কর্মীদের গণনাকেন্দ্রের কাজ কী, তা খাতায় কলমে শেখান।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    গণনাকেন্দ্রে কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নিদান দিলেন সুকান্ত

    বৈঠকে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের কথা অনুযায়ী এবারে প্রায় ১০ ঘন্টা ধরে গণনা হবে। এই ১০ ঘণ্টায় কোনওভাবেই কাউন্টিং হল ছাড়া যাবে না। প্রয়োজনে চকোলেট ও জল খেয়ে মাঠে পড়ে থাকতে। বিগতদিনে দেখা গিয়েছিল, তৃণমূল গণনাকেন্দ্রে গন্ডগোল করার চেষ্টা করেছিল। এমনকী ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল গণনাকেন্দ্রের ব্যালট বক্স লুট করেছিল। তাই এবার সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। মাটি কামড়ে আমি ও দলীয় কর্মীরা গণনাকেন্দ্রে পড়ে থাকব।’ যদিও তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকির দাবি, ‘গণনাকেন্দ্রে কারচুপি তৃণমূল নয়, বিজেপি করে। এরা ইভিএমেও কারচুপি করে। হেরে গেলে তখন তৃণমূলের উপর দোষ চাপায় বিজেপি। এটা ওদের পুরানো অভ্যাস।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share