Tag: West Bengal

West Bengal

  • Siliguri: অবশেষে ফিরলেন মহারাজরা! রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলে শাসকদল ঘনিষ্ঠ মাফিয়ার নাম

    Siliguri: অবশেষে ফিরলেন মহারাজরা! রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলে শাসকদল ঘনিষ্ঠ মাফিয়ার নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের ঘনিষ্ঠ ধীমান নামে এক জমি মাফিয়া শিলিগুড়িতে (Siliguri) রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের চেষ্টার মূল পান্ডা। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাইছে না। এদিকে ঘটনার চারদিন পর বৃহস্পতিবার সেভক রোডে রামকৃষ্ণ মিশনের সেবক হাউসে ফিরে আসেন মহারাজরা।

     কে এই ধীমান? (Siliguri)

    পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ধীমান নামে জনৈক জমি মাফিয়া কলকাতার বাসিন্দা। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে তার ওঠাবসা। সেই সুবাদে রাজ্য পুলিশকর্তাদের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাই পুলিশ প্রশাসনকে হাতের পুতুল করে তিনি শিলিগুড়িতে অনেকদিন ধরেই জমির অবৈধ কারবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আর জমির এই অবৈধ করাবারের সুবিধার জন্য শিলিগুড়িতে (Siliguri) তিনি একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন। মাঝে মধ্যে সেখানে এসে থাকেন।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    কেন রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের চেষ্টা?

    আইনি জটিলতা, পারিবারিক কলহ থাকা জমির ওপর নজর ধীমান নামে ওই ব্যক্তির। শিলিগুড়িতে তাঁর একাধিক এজেন্ট বা গুন্ডা রয়েছে। তাদের দিয়েই জমি দখল নেওয়া হয়। রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের কাজে তিনি প্রদীপ রায়কে ব্যবহার করেছিলেন। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাসিন্দাদের ভয় দেখিয়ে, প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে জমির দখল নেওয়া হয়। শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরের প্রাণকেন্দ্র সেভক রোডের ধারে যেখানে রামকৃষ্ণ মিশনের জমি রয়েছে সেখানে এক কাঠা জমির দাম কোটি টাকারও বেশি। রামকৃষ্ণ মিশনের এখানে প্রায় দু’একর জমি রয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে এই জমির মোট মূল্য ১০০কোটি টাকারও বেশি। পুলিশ জানিয়েছে এই জমিটি রামকৃষ্ণ মিশনের।

    ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের একাংশের মদত রয়েছে!

    শিলিগুড়ি (Siliguri) মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি দীপক সরকার বলেন, জমিটি প্রথমে টুকরে সিং বলে এক ব্যক্তির ছিল। তিনি ওই জমি হরদওয়াল সিং গিল নামে আরেকজনের কাছে বিক্রি করেন। হারদওয়াল সিং গিল পরেওই জমি এসকে রায় নামে একজনকে বিক্রি করেন। সেই ব্যক্তির উত্তরাধিকার না থাকায় জমিটি রামকৃষ্ণ মিশনকে দান করেন। তবে, মিউটেশন না হওয়ায় সরকারি নথিতে জমিটির মালিক এখনও টুকরে সিংকে দেখাচ্ছে। এখানেই প্রশ্ন, এতদিন পর কীভাবে প্রদীপ রায় ও সঙ্গীরা এখবর পেল। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফরের একাংশ  এধরনের জটিল জমির খবর জমি মাফিয়াদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ধীমান নামে জনৈক ব্যক্তি এই ধরনের জমির খোঁজে থাকেন। 

    অবশেষে সেবকে রামকৃষ্ণ মিশনে ফিরলেন মহারাজ

    বৃহস্পতিবার রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ ভক্তিনগর থানার আইসি’র নেতৃত্বে মিশনের ভেতরে প্রবেশ করেন। মিশনের জমির দ্বায়িত্ব মহারাজের হাতে তুলে দেওয়া হয়।  জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক শিব প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, সেবক হাউস থেকে ফের আগের মতো আমাদের মিশনের বিভিন্ন কাজ শুরু করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী খুন, জেলাশাসকের থেকে রিপোর্ট চাইল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী খুন, জেলাশাসকের থেকে রিপোর্ট চাইল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফায় আগামী ২৫ মে তমলুকে ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024)। আর তার আগে নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ-জানতে চাইল নির্বাচন কমিশন। কী কারণে মৃত্যু? সে বিষয়েও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিল কমিশন। একইসঙ্গে অশান্তি প্রবণ অঞ্চলে রুট মার্চ করানোরও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    ভোটের আবহে (Lok Sabha Election 2024) বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকায় একটি হামলার ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতে এলাকায় হামলা চালায়। এক মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুন করা হয়। রথীবালা আড়ি নামে ওই বিজেপি (BJP) কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কোপ চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। মাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন রথীবালার পুত্র সঞ্জয় আড়িও। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। জখমদের তৎক্ষণাৎ নিয়ে যাওয়া হয় নন্দীগ্রাম (Nandigram) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এসপিকে ঘটনাস্থলে যেতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভোটব্যাঙ্ক! তৃণমূল জমানায় ওবিসি হয়েছিল যারা, খারিজ করেছে হাইকোর্ট, দেখুন তালিকা

    রিপোর্ট তলব কমিশনের 

    যদিও এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই এই খুন। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম (Nandigram) এলাকায় প্রচারের শেষ দিন বৃহস্পতিবারই। আর ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে প্রচারের শেষ দিনে এই অশান্তির ঘটনায় এবার রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কমিশন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramkrisha Mission: রামকৃষ্ণ মিশনে হামলাকারীর ছবিতে মিলল পুলিশকর্তা-তৃণমূল নেতার যোগ!

    Ramkrisha Mission: রামকৃষ্ণ মিশনে হামলাকারীর ছবিতে মিলল পুলিশকর্তা-তৃণমূল নেতার যোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramkrisha Mission) হামলার ঘটনায় যুক্ত প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে শুভম মাহাতোর সঙ্গে ভক্তিনগর থানার প্রাক্তন আইসির ছবি ভাইরালের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। আবার এই শুভেমের সঙ্গে এলাকার তৃণমূল নেতা, ডেপুটি মেয়রের ছবি সমানে এসেছে। ছবিকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাহলে কি এই হামলার ঘটনায় তৃণমূলের যোগ স্পষ্ট হল? এই প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে ঘোরাফেরা করছে।

    পুলিশের সঙ্গে মাফিয়াদের যোগ (Ramkrisha Mission)?

    ছবিতে দেখা গিয়েছে শুভমের সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার এবং ভক্তি নগর থানার আইসি অমরেন্দ্র সিং। জমি বেচাকেন এবং জবর দখলের কাজ কি একটি যৌথ প্রয়াস? রাজনীতির একাংশের মানুষের মধ্যে এমন প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ হলেন সমাজে আইনের রক্ষক। আবার জমি দখলকারী মাফিয়াদের সঙ্গে যদি পুলিশ আধিকারিকের ছবি দেখা যায়, তাহলে আইন রক্ষকদের দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramkrisha Mission) হামলাকারীদের মধ্যে ধৃত ৫ জনের মধ্যে একজন শুভম। আবার ভাইরাল হওয়া ছবির মধ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং পুলিশ অফিসারের উপাস্থিতে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি প্রশাসন-শাসকদলের পরোক্ষ মদত এই হামলার পিছনে রয়েছে? এলাকার মানুষের মনে ঠিক এমনই প্রশ্ন উঠছে। তবে ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের দাবি, “নেতাদের সঙ্গে বহু মানুষ এসে ছবি তোলেন। কিন্তু দলের সঙ্গে শুভমের কোনও যোগ নেই।”

    আরও পড়ুনঃ “গরু পাচারের টাকা ঢুকেছে দেবের অ্যাকাউন্টে”, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    একাধিক প্রশ্ন পুলিশের বিরুদ্ধে

    প্রাক্তন আইসির সঙ্গে শুভমের ছবির কোনও ব্যাখ্যা পুলিশ দেয়নি। আবার রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramkrisha Mission) হামলার সঙ্গে যুক্ত প্রধান অভিযুক্ত প্রদীপ রায়কে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কেন তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়নি কেসে? উল্টে প্রদীপ রায় মিশন থেকে চলে যাওয়া এক সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। এই সব প্রশ্নের উত্তর পুলিশ ঠিক করে দিতে পারেনি। আবার পুলিশ নিজেই তদন্ত করে জানিয়েছে, জমির প্রকৃত মালিক মিশন। প্রদীপ জমির মালিক নয়। ফলে তারপরে কেন এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত? এই প্রশ্ন আরও জোরাল হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “গরু পাচারের টাকা ঢুকেছে দেবের অ্যাকাউন্টে”, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “গরু পাচারের টাকা ঢুকেছে দেবের অ্যাকাউন্টে”, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের নাম আগেই জড়িয়েছিল। এই নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে তলব করেছিল। হাজিরাও দিয়েছিলে দেব। এবার এনামুলের ডায়রির পাতা পোস্ট করে বোমা ফাটালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গরু পাচারের টাকা দেবের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে, এই বিষয়টি সামনে আসতেই ষষ্ঠদফা নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ‘দেবের কীর্তি’! (Suvendu Adhikari)

    বৃহস্পতিবার সকালে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তাঁর এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছিলেন। তার ক্যাপশন ছিল ‘দেবের কীর্তি’। তাতে দেখা যাচ্ছে, ‘আরণ্যক ট্রেডার্স’ নামে একটি সংস্থার লেজ়ার অ্যাকাউন্ট। তার ওপরে রয়েছে অন্য একটি সংস্থার নাম। তার শুধুমাত্র ‘ভেনচার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ অংশটি শুভেন্দুর পোস্টে দৃশ্যমান। পুরো নাম স্পষ্ট নয়। ওই লেজ়ার অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুযায়ী, ‘আরণ্যক ট্রেডার্স’ এবং ‘ভেনচার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ লেখা সংস্থার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ২০১৬ সালের ২৪ এবং ২৫ নভেম্বর ২৫ লক্ষ টাকা করে মোট ৫০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। অন্য একটি জায়গায় দেখা যাচ্ছে, একটি ডায়েরির পাতায় হাতে লেখা ‘দেব মোবাইল: ৭২ হাজার টাকা’ এবং ‘দেব ঘড়ি: ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা’। পাশেই একটি পাতায় ছাপানো অক্ষরে ইংরেজিতে লেখা ‘দেব মোবাইল অ্যান্ড দেব ওয়াচ’। শুভেন্দু বলেন, যে ডায়েরির পাতা আমি পোস্ট করেছি, তা এনামুল হকের। এনামুল গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। আবার হিরণ দাবি করেছেন, ‘আরণ্যক ট্রেডার্স’ এনামুলেরই সংস্থা। এনামুলের সংস্থা থেকে দেবের সংস্থার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছিল।

    দেবের কীর্তি:

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    দেব কী বললেন?

    পাল্টা দেব এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “ও শুভেন্দুদা, তুমি নাকি কোথায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছ, হিরণের পাল্লায় পড়ে তোমাকে তো কাউন্সিলরে নামিয়ে দিচ্ছে। ভালবাসি বলে বললাম, আমিও জানি তুমি আমাকে ভালবাসো। আর রইল কথা গরু চুরির টাকা, তোমার কোলের ছেলে হিরো হিরণ, সে-ও পিন্টু মণ্ডলের থেকে টাকা নিয়েছে, তা হলে উনিও কি গরু চোর?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • OBC status in WB: ভোটব্যাঙ্ক! তৃণমূল জমানায় ওবিসি হয়েছিল যারা, খারিজ করেছে হাইকোর্ট, দেখুন তালিকা

    OBC status in WB: ভোটব্যাঙ্ক! তৃণমূল জমানায় ওবিসি হয়েছিল যারা, খারিজ করেছে হাইকোর্ট, দেখুন তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের। ২০১০ সাল থেকে জারি করা সমস্ত ওবিসি (OBC status in WB) সার্টিফিকেট বাতিল বলে সম্প্রতি নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) রায় দিয়ে জানিয়েছে, ‘এই আদালত মনে করছে যে মুসলিমদের ৭৭টি শ্রেণিকে অনগ্রসর বলে চিহ্নিত করার বিষয়টি সার্বিকভাবে পুরো সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক। রাজনৈতিক স্বার্থে ওই সম্প্রদায়গুলিকে যে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়নি, তা নিয়ে আদালত যে সন্দেহ-মুক্ত, তা নয়। যে যে ঘটনার রেশ ধরে (ওই) ৭৭টি শ্রেণিকে ওবিসি তকমা দেওয়ার হয়েছিল, তা দেখে এটা স্পষ্ট যে (ওই শ্রেণিগুলিকে) ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল।’

    পশ্চিমবঙ্গে মোট কতগুলি সম্প্রদায় ওবিসি তালিকাভুক্ত?

    পশ্চিমবঙ্গে ওবিসির (OBC status in WB) তালিকায় ১৭৯টি সম্প্রদায়কে রাখা হয়েছে। তাদের আবার দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ক্যাটেগরি এ হল— অতি অনগ্রসর এবং ক্যাটেগরি বি হল অনগ্রসর। ক্যাটেগরি এতে রয়েছে ৮৩টি জাতি, যাদের মধ্যে আবার ৭৩টি জাতি মুসলিম। যেমন বৈদ্য মুসলিম, ব্যাপারী মুসলিম, মুসলিম ছুতোর মিস্ত্রি, মুসলিম দফাদার, গায়েন মুসলিম, মুসলিম জমাদার, মুসলিম কালান্দার, মুসলিম কসাই, মুসলিম মাঝি, খানসামা ইত্যাদি। অন্যদিকে ক্যাটেগরি বি তালিকায় থাকা ৯৮টি জাতির মধ্যে ৪৫টি মুসলিম। এই তালিকায় যারা রয়েছেন তারা হলেন বৈশ্য কাপালি, বংশী বর্মণ, বারুজীবী, চিত্রকর, দেওয়ান, কর্মকার, কুর্মি, মালাকার, ময়রা, গোয়ালা, তেলি ইত্যাদি।

    কী কী সুবিধা মেলে?

    যে সকল নাগরিকদের ওবিসি (OBC status in WB)  সার্টিফিকেট রয়েছে তারা সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার জন্য সংরক্ষণের সুবিধা পেয়ে থাকেন। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মোট ১৭ শতাংশ ওবিসি সংরক্ষণ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। যাদের মধ্যে ১০% ক্যাটাগরি এ এবং ৭% ক্যাটাগরি বি-র। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রেও যাদের ওবিসি সার্টিফিকেট রয়েছে তারা অতিরিক্ত সুবিধা পান। উদাহরণ দিয়ে বলা যেতে পারে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ওবিসি সম্প্রদায়ের মহিলারা বেশি টাকা পান, এছাড়াও কেন্দ্র সরকারের উজ্জ্বলা যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায়। 

    হাইকোর্টের রায়ে কোন কোন শ্রেণির উল্লেখ রয়েছে?

    চাসাট্টি (চাষা), বেলদার মুসলিম, খোট্টা (মুসলিম), সর্দার (মুসলিম), নিকারি, মহলদার, ঢুকরে (মুসলিম), বসনি (মুসলিম),  আবদাল (মুসলিম), কান (মুসলিম), টুটিয়া (মুসলিম), গায়েন (মুসলিম), ভাটিয়া মুসলিম, মিদ্যে (মুসলিম), মল্লিক (মুসলিম),  কালান্দর (মুসলিম), লস্কর (মুসলিম),বৈদ্য (মুসলিম), জমাদার (মুসলিম), ছুতোর মিস্ত্রি (মুসলিম), দফাদার (মুসলিম), মাল (মুসলিম), পাটনি/মাজি (মুসলিম), মুচি-চামার (মুসলিম), নেহারিয়া, মুসলিম হালদার, শিউলি (মুসলিম), মুসলিম মণ্ডল, মুসলিম সাঁপুই, মুসলিম বিশ্বাস, মুসলিম মালি, ঘোসি, দর্জি/ওস্তাগর/ইদ্রিসি, রাজমিস্ত্রি, ভাতিয়ারা, মোল্লা, ঢালি (মুসলিম), তালপাখা বেনিয়া, মুসলিম পিয়াদা, মুসলিম বারুজীবী/বারুই, ব্যাপারি মুসলিম, পেঞ্চি, ভাঙ্গি (মুসলিম), ধাত্রী/দাই (মুসলিম), ঘরামি (মুসলিম), ঘোরখান (মুসলিম), গোলদার (মুসলিম), হালসানা (মুসলিম), কয়াল (মুসলিম), নাইয়া (মুসলিম), শিকারি (মুসলিম), আদলদার (মুসলিম), আখান/আকান/আকুঞ্জি (মুসলিম), বাগ (মুসলিম), চাপরাশি (মুসলিম), চুরিহার (মুসলিম), দপতরি (মুসলিম), দেওয়ান (মুসলিম), ধবক (মুসলিম), গাজি (মুসলিম), খান (মুসলিম), কোলু (মুসলিম), মাজি (হিন্দু), মালিতা/মালিতা/মালিত্য (মুসলিম), মিস্ত্রি (মুসলিম), পাইক (মুসলিম), পৈলান (মুসলিম), পুরকাইত (মুসলিম), সানা (মুসলিম), সারাং (মুসলিম), সরকার (মুসলিম),  শাহ (ফকির), শাহ, শা (মুসলিম), সাহাজি (মুসলিম), ফকির, তরফদার (মুসলিম), গাভারা, মৌলি (মুসলিম), সেপাই (মুসলিম)। 

    আরও পড়ুন: ২ দশক ধরে চলা ব্রিটেনের স্বাস্থ্য কেলেঙ্কারির আসল সত্য প্রকাশ্যে! কী ঘটেছিল?

    ২০১০ সাল থেকে আর কোন কোন শ্রেণিকে ‘ওবিসি’ ঘোষণা করা হয়েছিল?

    শেখ, বায়েন (মুসলিম), ভুঁইয়া (মুসলিম), বোরা (মুসলিম), গোরে (মুসলিম), হাতি (মুসলিম), জাটুয়া (মুসলিম), খন্দেকার বা খঙ্কর (মুসলিম), পাহার (মুসলিম), রাফতান (মুসলিম), বরাদি (মুসলিম), দালাল (মুসলিম), হোসেন গোয়ালা (মুসলিম), খালাসি (মুসলিম), কিচনি (মুসলিম), মুক্তি/মুফতি (মুসলিম), কালাল/ইরাকি, কালোয়ার, আট্ট (মুসলিম), খানসামা, সরলা/সারওয়ালা (মুসলিম), বাগানি (মুসলিম), ভাণ্ডারী (মুসলিম), হাওয়াইকার (মুসলিম), খাজনক্রিয়া / খাজনক্রিয়া (মুসলিম), কাথা (মুসলিম), মুদি/মেহদি (মুসলিম), সাহানা (মুসলিম), কাজি (মুসলিম), কোতল (মুসলিম), গুরুং, হাজারি (মুসলিম), লায়েক (মুসলিম), খাস, শিকদার (মুসলিম), চৌধুরী (মুসলিম), বৈরাগী/বৈষ্ণব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: ভোটের জন্য বন্ধ রাখা হল ছাতনার ৩০০ বছরের ঐতিহাসিক ‘রানীর গাজন’

    Bankura: ভোটের জন্য বন্ধ রাখা হল ছাতনার ৩০০ বছরের ঐতিহাসিক ‘রানীর গাজন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর বাঁকুড়ায় (Bankura) পালিত হয় ঐতিহাসিক রানীর গাজন। এই উৎসব প্রত্যেকবার বাংলায় ১১ জ্যৈষ্ঠ ছাতনা রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে আয়োজন হয়ে থাকে। অত্যন্ত প্রাচীন এবং মর্যাদাপূর্ণ উৎসব হিসাবে মান্যতা দেওয়া হয়। কিন্তু এই বছর ওই দিন পড়েছে ২৫ মে। আবার ওই দিনই হল ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণের দিন। প্রশাসনের অনুরোধে ওই দিনে গাজন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

    রাজবাড়ির বিজ্ঞাপন (Bankura)

    জানা গিয়েছে, ভোটের দিনেই ছাতনার রানির গাজনের (Bankura) অনুষ্ঠান পড়ায় এবার তা বন্ধ রাখা হবে। রাজবাড়ির বর্তমান প্রতিনিধি প্রদীপ সিংহদেও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই সংবাদ সকলকে জানিয়েছেন। তবে ধর্মীয়রীতি, পরম্পরা, লোকাচার অক্ষুণ্ণ থাকবে। জান গিয়েছে, রানী আনন্দকুমারী এই অনুষ্ঠানের প্রবর্তন করেছিলেন।

    রাজবাড়ির বক্তব্য

    ছাতনা (Bankura) রাজবাড়ির বর্তমান রাজা প্রদীপ সিংহদেও বলেন, “আনুমানিক ৩০০ বছর পুরানো এই গাজন। নির্জন থাকার কারণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে রীতি মেনেই ২৪ তারিখ সমস্ত কাজ করা হবে।” বাঁকুড়ার নানাবিধ লোকসংস্কৃতির উপাদানের মধ্যে গাজন হল একটি গুরুত্বপূর্ণ লোক উৎসব। এই গাজনকে উপভোগ করার জন্য আবার পরের বছরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম! জ্বলল বাড়ি-দোকান, পালিত হল বন্‌ধ

    তিনশ বছরের পুরাতন এই গাজন

    আজকের দিনে রাজতন্ত্র না থাকলেও রাজার প্রবর্তিত ধর্মীয় লোকাচার এখনও অক্ষত। বাঁকুড়া (Bankura) জেলার পশ্চিম সীমান্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল ছাতনা। সবুজ বনে ঘেরা ছাতনা রাজবাড়ির মা মৃন্ময়ীর দুর্গামন্দির। একসময় সামন্তভূমের রাজধানী আজ থেকে প্রায় তিনশো বছর আগে এই মন্দির তৈরি করেছিলেন তৎকালীন রানি আনন্দ কুমারী। রানির হাত ধরে শুরু হয়েছিল গাজন। প্রতি বছর এই গাজনে ভিড় জমান হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু ষষ্ঠ দফার নির্বাচন থাকায় এই বছর গাজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এলাকার মানুষ এই নিয়ে মনে বিষাদের ছায়া। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panihati: পোস্টাল ব্যালট ভোটে কারচুপি! বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panihati: পোস্টাল ব্যালট ভোটে কারচুপি! বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের আগে প্রবীণদের পোস্টাল ভোটে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি (Panihati) এলাকায়। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা যে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাতে পারে তা কেউ ভাবতেই পারেনি। এমনই দাবি গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। বুধবার অকল্পনীয় সেই ঘটনার সাক্ষীই হলেই উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।  

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Panihati)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার পানিহাটি (Panihati) পুরসভা এলাকার অমরাবতীতে প্রবীণ নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পোস্টাল ভোটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করছিলেন সেক্টর অফিসারের নেতৃত্বে প্রশাসনিক আধিকারিক। সেই সময় সিনিয়র সিটিজেনদের ব্যালট ভোট নিয়ে বেআইনি হচ্ছে বলে বিজেপির সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা- কর্মীরা। বিজেপি কর্মীরা কথা বলতে গেলে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় পানিহাটির অমরাবতী এলাকায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভুয়ো এজেন্টের মাধ্যমে পোস্টাল ভোট করানোর অভিযোগ তুলে সেক্টর অফিসারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার (Panihati) চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, বিজেপি বহিরাগত লোকজনদের নিয়ে এসে ওই এলাকায় পোস্টাল ব্যালটে ভোট করার চেষ্টা করছে। আমরা কোনও ভুয়ো এজেন্ট দিইনি। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে বিজেপি ভোটের আগে রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে। আমরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই এই গন্ডগোল হয়েছে। বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, পোস্টাল ব্যালটে কারচুপি করে জিততে চাইছে তৃণমূল। কারণ, মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলেই ওরা এখন এসব করে নিজেদের পক্ষে ভোট করতে চাইছে।  ভুয়ো এজেন্টের নামে সই করে ফলস ভোট দেওয়াচ্ছে তৃণমূল। এসব আমরা ধরে ফেলি। বাধা দিতে গেলেই ওরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম! জ্বলল বাড়ি-দোকান, পালিত হল বন্‌ধ

    Nandigram: বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম! জ্বলল বাড়ি-দোকান, পালিত হল বন্‌ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম (Nandigram)। জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাড়ি-ঘর দোকান, ভাঙচুর-বিক্ষোভের আঁচে উত্তপ্ত এলাকা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাতে না যায় তাই নন্দীগ্রাম থানা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে এলাকায়। একই সঙ্গে রয়েছে পুলিশ। আজ সোনাচূড়া, মনসা বাজার এলাকয় বিজেপির পক্ষ থেকে বন্‌ধ পালিত হয়। অপর দিকে বিকেল পাঁচটায় সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী।

    সকাল থেকেই উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম (Nandigram)

    ২৫ মে শনিবার ভোট, আজই নন্দীগ্রামে (Nandigram) নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন। কিন্তু ইতিমধ্যে এক বিজেপি কর্মী মহিলাকে খুনের ঘটনায় বিজেপি ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছে এলাকায়। মূল অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। খুনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভের আচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা নন্দীগ্রাম জুড়ে। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাড়ি-ঘর, দোকান। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১০০ কোম্পানির উপর বাহিনীকে এলাকায় মজুত করা হয়েছে। আরও ফোর্স নামানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ব্যানার লাগাতে গিয়ে তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়। এরপর বিজেপি সমর্থিত মহিলাকে খুন করা হয়। তবে এই খুনের পিছনে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানি মূলক ভাষণকেই বিজেপি দায়ী করেছে। এরপর বিজেপি আজ প্রতিবাদে বন্‌ধ ডাকা হয়।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন, “একজন মহিলাকে নন্দীগ্রামে (Nandigram) খুন করা হয়েছে। আমি গুন্ডাদের কীভাবে সোজা করতে হয় তা আমি জানি। কেষ্ট, শাহজাহানরা কোথায়? সব কিছুর বদল হবে। একজন মাঝ বয়সী মহিলাকে মেরে দিলে বদলা অবশ্যই হবে।” নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ“নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    কী বলেছিলেন অভিষেক?

    তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক প্রচার সভায় বলেছিলেন, “নন্দীগ্রাম (Nandigram) ১ নম্বর ব্লকে সোনাচূড়া, হরিপুর, গোকুলনগর, ভেকুটিয়া আর আর দু’নম্বর ব্লকের বয়ালনগর ১, বয়াল ২ এই জায়গায় যাঁরা মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি তাঁদের তালিকা আমার কাছে রয়েছে। এর পরিণতি খুব খারাপ হবে সতর্ক করলাম। কোনও বাবা বাঁচাবে না। কেউ বাঁচাবে না।” আবার তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, “অভিষেক কোনও প্ররোচনা দেননি। আক্রমণের কথা তিনি বলেননি। বিজেপির পতাকা বাঁধার লোক নেই ওই এলাকায়।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি বৈধতার নথি জমা দিতে বলে রাজ্যের শিক্ষকদের হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে ঠিক এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গতকাল বুধবার তিনি বলেন, “নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদেরদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা। যোগ্যদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অযোগ্য শিক্ষকদেরদের বাঁচাতে চাইছে তৃণমূল।”

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রাজ্যের মমতার সরকারকে তোপ দেগে বলেন, “শিক্ষকদেরকে এখন ২ শ্রেণীতে ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। আমাদের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর কথা অনুসারে শিক্ষক ও ব্যতিক্রমী শিক্ষক। এসএসসি আদালতে গিয়ে বলেছে প্রায় ৮ হাজার অযোগ্য শিক্ষক রয়েছে। এই অযোগ্যদের বাঁচাতে গিয়ে গোটা রাজ্যের ১ লক্ষ ৩০ হাজার শিক্ষককে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁদের কাছ থেকে নথি চাওয়া হচ্ছে। সেই জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুসারে আগামী ২৭ মের মধ্যে চাকরি সংক্রান্ত নথি জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে দেওয়া দিতে হবে। যাঁরা আজ থেকে ৩০-৩৫ বছর আগে চাকরি পেয়ছেন তাঁদের কাছ থেকে নথি চাওয়ার মানে কী? এমন কী কিছু শিক্ষক, যাঁরা কয়েক বছরের মধ্যে অবসর নেবেন তাঁদের কাছেও তথ্য চাওয়া হচ্ছে। যোগ্যদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অযোগ্যদের বাঁচাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    ভোট পরবর্তী হিংসা হাওড়ায়! বিজেপির কর্মীর বাড়িতে পড়ল পর পর বোমা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    আর কী বললেন?

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমার প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষা দফতরের কাছে এই তথ্য তো থাকা উচিত। এসএসসি-র সুপারিশ পত্র চাওয়া উচিত। ত্রিশ বছর আগে এসএসসি ছিল না। সেই সময় কমিটির মাধ্যামে চাকরি হত। কমিটি চিঠি পাঠাত। সেই চিঠি এখন খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। অযোগ্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। বার বার সকল শিক্ষকদের হেয় এবং অপমান করা হচ্ছে। তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। সিপিএম যদি চাকরি দেওয়া নিয়ে দুর্নীতি করে থাকে সেগুলিকে বার করুক। সিপিএম ধোয়া তুলসি পাতা নয়। সিপিএমের লোকগুলি এখন তৃণমূলের গিয়েছে।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: লেপার্ডের চামড়া পাচার! গ্রেফতার হলেন দুই তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

    Murshidabad: লেপার্ডের চামড়া পাচার! গ্রেফতার হলেন দুই তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেপার্ডের চামড়া সহ গ্রেফতার হলেন দুই তৃণমূল নেতা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) মতিঝিল এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে  পড়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো এবং বহরমপুর উত্তর-দক্ষিণ রেঞ্জের বনদফতরের যৌথ অভিযানে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থানার মতিঝিল পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন একটি বেসরকারি হোটেল থেকে লেপার্ডের চামড়া সহ দুজনকে আটক করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৮৮ সেন্টিমিটার লম্বা পূর্ণবয়স্ক একটি লেপার্ডের চামড়া। ধৃত দুজনকে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বনদফতর। তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষন আইনের ৯, ৩৯, ৪০(বি) সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম সাবিরুল ইসলাম ও মাসারুল মণ্ডল। দুজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদ থানার গুধিয়া এলাকায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাদের কাছে কী করে এই চামড়া এল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পাচার করার জন্য তাঁরা মজুত করেছিলেন কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্ত সাবিরুল ইসলাম তেতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান আকরুমা বিবির স্বামী। অন্যদিকে সাবিরুলের ভাই মাসারুল। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগদান করেন তাঁরা। লোকসভা নির্বাচনের মাস কয়েক আগে আবু তাহের খানের হাত ধরে আবারও তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন সাবিরুল সহ তার অনুগামীরা। দুই ভাই কোথা থেকে সেই লেপার্ডের চামড়া আনছিলেন এবং কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ এবং বনদফতর। বুধবার ধৃতদের লালবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে অতিরিক্ত বিচারক সুমন দাস ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপির মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) (দক্ষিণ) জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, তৃণমূল দলটাই চোরের দল। তাই, ওই দলের নেতারা তো চোর হবে। গরু, সোনা, কয়লা পাচারে অভিযুক্ত তৃণমূল। এবার চামড়়া পাচারে যুক্ত এই দল। এই দলের কাছে থেকে এর বাইরে আর কী আশা করা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share