Tag: West Bengal

West Bengal

  • Srirampur:  নিয়মের বেড়াজালে বন্ধ হয়ে গেল শ্রীরামপুর-কলকাতা ৯৮ বছরের পুরানো ৩ নম্বর বাসরুট

    Srirampur: নিয়মের বেড়াজালে বন্ধ হয়ে গেল শ্রীরামপুর-কলকাতা ৯৮ বছরের পুরানো ৩ নম্বর বাসরুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দুবছর হলেই হয়তো সেঞ্চুরির সেলিব্রেশন করতে পারতেন বাসরুটের কর্মীরা। অনেক প্রবীণ মানুষের কাছে বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে শ্রীরামপুর (Srirampur) -কলকাতা বাসরুট। কিন্তু, সেঞ্চুরির দরজায় দাঁড়িয়েও সেঞ্চুরি করার স্বপ্ন আর পূরণ হল না এই বাসরুটের। ৯৮ বছর ধরে চলা এই বাসরুটে বন্ধ হয়ে গেল বাস চলাচল।

    কবে শুরু হয়েছিল এই বাসরুট?(Srirampur)

    জানা গিয়েছে, ১৯২৬ সালে হুগলির শ্রীরামপুর (Srirampur) থেকে কলকাতার বাগবাজার পর্যন্ত লম্বা রুটে প্রথম পরিষেবা চালু হয়েছিল ৩ নম্বর রুটের। গত কয়েক বছর ধরেই অবশ্য এই রুটে বাসের সংখ্যা নিয়মিত ভাবে কমতে শুরু করেছিল। রুটে যাঁদের বাস চলত, সেই বাসের (Bus) মালিকরা নতুন করে আর এই রুটে বাস নামিয়ে ব্যবসা চালাতে রাজি হননি। সে জন্যই কয়েক বছর আগেও যাত্রীদের যে বাস পাওয়ার জন্য মাত্র তিন-চার মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হত না, পরে সেই বাসের দেখা পাওয়াই কঠিন হত। বাসের বয়স ১৫ হলে তা আর রাস্তায় নামানো যাবে না – প্রশাসনের এমন নির্দেশের পর বন্ধ হল ৩ নম্বর রুটের একমাত্র বাসটি। ১০০ বছর পূর্ণ হতে যখন আর মাত্র দু’বছর বাকি, তখনই বন্ধ হয়ে গেল এই রুটে চলা শেষ বাসটির চাকা। কলকাতা, শহরতলি এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার বাস পরিষেবা নিয়ে কাজ করে কলকাতা বাস-ও-পিডিয়া নামে একটি সংগঠন। প্রধানত বাসপ্রেমীরা মিলেই এই সংগঠন তৈরি করেছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে অনিকেত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২০০৮-এও ওই রুটে ৬৯টি বাস চলত। সেই সংখ্যা কমতে শুরু করে ২০১৮ সালে ২২-এ এসে দাঁড়ায়। শেষ কয়েক বছর একটি মাত্র বাস চলত। সেই বাসটিও এ বার স্ক্র্যাপ হয়ে যাবে – এত লম্বা একটা রুট পুরো বন্ধ হয়ে গেল।”

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম

    বাস মালিকরা কী বললেন?

    ৩ নম্বর রুটের শেষ বাসটির মালিক ছিলেন সুদীপ গোস্বামী। তিনি বলেন, “রুট ছিল শ্রীরামপুর (Srirampur) থেকে কলকাতার বাগবাজার। এত লম্বা রুটে কেউ যেতেন না। আমাদের প্রায় সব যাত্রীই ছিলেন শর্ট রুটের। কিন্তু, গত কয়েক বছরে অটো এবং টোটোর সংখ্যা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, শ্রীরামপুর থেকে বালি পর্যন্ত অংশে জিটি রোড মাঝে মধ্যে এতটাই সরু যে বাস চালানো অত্যন্ত কঠিন। ফলে দীর্ঘ সময়ে যানজটে আটকে থাকতে হত।” বেসরকারি বাসমালিকদের সংগঠন, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গত চার বছরে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় ৪০টির কাছাকাছি বাসরুট বন্ধ হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে আমরা এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন রুট বাঁচানোর জন্য কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে দেখিনি।’ বাসমালিকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, “অটো বা টোটোর হওয়া উচিত ছিল ‘লাস্ট পয়েন্ট অফ কানেকটিভিটি’ অর্থাৎ, অটো-টোটোর বাড়ি থেকে বাস চলার পথ পর্যন্ত চলবে। তবে এখন অটো-টোটোও বাসের প্রতিযোগী হয়ে পড়েছে। তারই প্রভাবে পর পর বাসরুট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘জ্যোতিপ্রিয় রেশন কেলেঙ্কারির রিং মাস্টার, দুর্নীতির গঙ্গাসাগার’, আদালতে দাবি ইডির

    ED: ‘জ্যোতিপ্রিয় রেশন কেলেঙ্কারির রিং মাস্টার, দুর্নীতির গঙ্গাসাগার’, আদালতে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক নেতা জামিন পেয়েছেন। তিহাড় থেকে ছাড়া পেয়ে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। মানিক ভট্টাচার্য, শান্তনু-কুন্তল, জীবনকৃষ্ণ সাহা, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এখন খোলা আকাশের নীচে। রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বাকিবুর রহমানেরও জামিন হয়ে গিয়েছে। তবে অনেক চেষ্টা করেও জেলের বাইরে আসতে পারেননি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উলটে শনিবার ছিল জামিন বিষয়ক মামলার শুনানি। সেখানে আদালতে ইডি (ED) অফিসাররা জামিনের বিরোধিতা করে জ্যোতিপ্রিয়কে দুর্নীতির গঙ্গাসাগর বলে উল্লেখ করলেন।

    ইডির আইনজীবী কী বললেন?(ED)

    এদিন ইডির (ED) আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriyo Mallick) হলেন দুর্নীতির গঙ্গাসাগর। এই দুর্নীতিকে যদি পাখির মতো ওপর থেকে দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে, গঙ্গাসাগরে যেমন নদীর বিভিন্ন শাখা প্রশাখা এসে মেশে, তেমনই দুর্নীতির একাধিক শাখা গিয়ে মিশেছে মন্ত্রীর কাছে। তদন্ত করতে গিয়ে এই সব দেখা গিয়েছে। এই দুর্নীতি চালনা করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়ই। জামিনএই দুর্নীতি চালনা করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়ই। জামিন পেলে পুরো মামলাটিকে প্রভাবিত করতে পারেন।” এখানেই শেষ নয়, আদালতে ইডির আইনজীবী এও বলেছেন, “বালুই এই রেশন কেলেঙ্কারির রিং মাস্টার। রেশন দুর্নীতি পরিচালনা করছেন তিনি।” কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে যে সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ভুয়ো সংস্থায় দুর্নীতির টাকা গিয়েছে সব কিছু গিয়েই সেই জ্যোতিপ্রিয়র দিকে ইঙ্গিত করছে। আদালতে বালুকে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে চিহ্নিত করে ইডির দাবি, সামনে না এসে পিছন থেকে দুর্নীতির সব টাকা নিজের পকেটে পুরেছেন জ্যোতিপ্রিয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

    উল্লেখ্য, আদালতে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে একাধিকবার রেশন দুর্নীতির জামিনের আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। কিন্তু প্রতিবারই বালুর আবেদনে আপত্তি জানিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি (ED)। এর আগে অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘ সময় এসএসকেএম হাসপাতালে কাটিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর সেই অসুস্থতা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। পরে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে এদিন ফের বালুর জামিন মামলা আদালতে উঠতেই ফের বিরোধিতা করলেন ইডি আধিকারিকরা। এতে কি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর জামিন পাওয়া আরও চাপ হয়ে গেল? তা বলবে সময়ই। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Passport: খামে তেহট্টের ঠিকানায় একসঙ্গে ৫৫টি পাসপোর্ট! পোস্ট অফিসের জল গড়াল থানায়

    Passport: খামে তেহট্টের ঠিকানায় একসঙ্গে ৫৫টি পাসপোর্ট! পোস্ট অফিসের জল গড়াল থানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাল পাসপোর্ট (Passport) নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। সীমান্ত এলাকায় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে জাল পাসপোর্ট চক্রের হদিশ মিলেছে। ইতিমধ্যেই সমরেশ বিশ্বাস সহ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই আবহে এবার টিটাগড় পোস্ট অফিসের বাক্সে মিলল খাম খোলা অবস্থায় ৫৫টি পাসপোর্ট। পোস্ট অফিসের কর্মীদের নজরে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়।

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Passport)

    জানা গিয়েছে, টিটাগড় (Titagar) পোস্ট অফিসের বাইরে থাকা বাক্সে কে বা কারা ওই পাসপোর্টগুলি (Passport) একটি খামের মধ্যে রেখে চলে গিয়েছে। পোস্ট অফিসের কর্মীরা সেই খাম নিয়ে এসে দেখেন খামের মুখটি ঠিক মতো করে সিল করা নেই। এরপর সিল করতে গিয়ে একটি পাসপোর্ট বেরিয়ে আসে। খাম খুলতেই বাকি ৫৪টি পাসপোর্ট বেরিয়ে আসে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পাসপোর্টগুলি জাল না আসল তা তদন্ত সাপেক্ষ। তবে, সব পাসপোর্ট প্রাপকের ঠিকানা নদিয়ার তেহট্ট এলাকা। সেখানকার বিভিন্ন গ্রামের ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, পাসপোর্টগুলি সবই পুরানো। ফলে, একসঙ্গে এত পাসপোর্ট কেন পাঠানো হচ্ছিল, এর পিছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে তেহট্ট এলাকায় যাদের নামে পাসপোর্টগুলি রয়েছে, তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কারণ, যেভাবে জাল পাসপোর্ট চক্র রাজ্যজুড়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, সেই চক্রের সঙ্গে টিটাগড়ের ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। তবে, এই ঘটনার বিষয়ে পোস্ট অফিসের কর্মীরা কেউ মুখ খুলতে চাননি। তাঁরা শুধু জানিয়েছেন, সমস্ত কিছু পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি ওপর মহলে জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন’’, মানচিত্র বিতর্কে বাংলাদেশকে সতর্ক করল দিল্লি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে ধৃত দুই জঙ্গি মণিরুল-আব্বাস কী কাজ করত? চালচলন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে ধৃত দুই জঙ্গি মণিরুল-আব্বাস কী কাজ করত? চালচলন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অশান্তির আবহেই বাংলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে গ্রেফতার করা হয় মণিরুল শেখ, মহম্মদ আব্বাস আলি নামে দুই জঙ্গিকে। এই দুজনকে ঘিরেই এখন বাড়ছে সন্দেহ। তাদের চালচলন, কারবার খুব একটা সুবিধের ছিল না বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে তাদের যোগ পাওয়া গিয়েছে। আর এবার একে একে সামনে আসছে তাদের কার্যকলাপের কথা।

    পেঁয়াজের বীজের ব্যবসার আড়ালে জঙ্গি কার্যকলাপ! (Murshidabad)

    তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা (Murshidabad) জানতে পেরেছেন, ধৃত মণিরুল প্রায়ই অসম যেত। সে অসম থেকে পেঁয়াজের বীজ নিয়ে আসত। সেগুলো এলাকার কৃষকদের দিত। কিন্তু সেই ব্যবসার আড়ালেই যে কী চলত, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। অনুমান করা হচ্ছে, সামনে পেঁয়াজের কারবার বলে মনে হলেও আদতে তার পিছনে ছিল অন্য গল্প। অসম থেকে প্রায়ই লোক আসত মণিরুলের বাড়িতে। অসম থেকে ধৃত নূর ইসলাম ও মুজিবুর রহমানের আনাগোনা ছিল মুর্শিদাবাদে। আব্বাসের সহযোগী মণিরুল এলাকায় পাম্প সারাইয়ের কাজের পাশাপাশি পেঁয়াজের বীজের ব্যবসা করত। আরও জানা গিয়েছে, মণিরুল ও আব্বাসের মধ্যে একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল। সেখানে তাদের বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া হত। মাস দুয়েক আগে বাংলাদেশ থেকে স্লিপার সেলের এক সদস্য মুর্শিদাবাদে এসেছিল বলেও অনুমান করা হচ্ছে। সুতির সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের প্রবেশ করেছিল তারা। তাদের কাছে বৈধ কোনও নথি ছিল না। সুতি এলাকায় তাদের বৈঠক হয়েছে। তিন দিন ছিল বাংলাদেশের ওই স্লিপার সেল।

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর আক্রমণ চলছেই বাংলাদেশে, ফের তিন মন্দিরে হামলা, ভাঙা হল ৮ মূর্তি

    মাদ্রাসায় ভাষণ-বই বিলি করত আব্বাস

    মণিরুলের (Militant) পাশাপাশি গ্রেফতার হওয়া আব্বাসের (Murshidabad) কার্যকলাপও ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। সামাজিক মাধ্যম বা মাদ্রাসার মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভাষণ দিত। বই বিলি করত। প্রশ্ন উঠছে, আব্বাস কি তবে সাধারণ মানুষকে এই জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করত? এই জেলাতেই কি মডিউল বানানোর ছক কষছিল আব্বাস? ধৃত মণিরুলের সঙ্গে আব্বাসের যোগাযোগ হয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার মধ্যে দিয়ে। মণিরুল তার ছেলেকে আব্বাসের মাদ্রাসায় ভর্তি করেছিল। আব্বাস হরিহরপাড়ার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় তার নিজস্ব লিঙ্ক তৈরি করেছিল বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। লিঙ্কম্যান হিসেবে জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা আব্বাসের কার্যকলাপ ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। যে বইগুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলি জঙ্গির কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। ফলে মাদ্রাসায় কী শিক্ষা দেওয়া হত? সেটাই এখন ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। এই আব্বাস আলি এর আগে নারী পাচার চক্রেও জড়িত ছিল। এই এলাকাতেই জাল সিমের একটি চক্র চলছিল বলেও অভিযোগ। এখানকার সিম পাকিস্তানে ব্যবহৃত হত, এমন তথ্যও উঠে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘চিকেন্স নেক’ কবজা করে ভারতে নাশকতার ছক ছিল বাংলাদেশি জঙ্গিদের! জেরায় মিলল তথ্য

    Bangladesh: ‘চিকেন্স নেক’ কবজা করে ভারতে নাশকতার ছক ছিল বাংলাদেশি জঙ্গিদের! জেরায় মিলল তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) জেল থেকে পলাতক জঙ্গিরা কি ভারতে? বাংলাদেশে অস্থিরতার মধ্যেই ভারতে ধরা পড়েছে আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি)-র ৮ জঙ্গি। জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার শাখা সংগঠন বাংলাদেশের ‘আনসারুল্লা বাংলা’। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি করিডর, যা চিকেন্স নেক নাম পরিচিত, সেটাই ছিল আল কায়দার শাখা সংগঠনের টার্গেট! বাংলা, অসম, কেরল থেকে ৮ জঙ্গি গ্রেফতারে এমনটাই সন্দেহ গোয়েন্দাদের। পুলিশ সূত্রে খবর, অগাস্টে বাংলাদেশে অস্থিরতার শুরু। নভেম্বরে ভারতে মহম্মদ শাদ রদির অনুপ্রবেশ। কেরল থেকে গ্রেফতার মহম্মদ শাদ রদি, বাংলাদেশের রাজশাহির বাসিন্দা। আনসারুল্লা বাংলার প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির ঘনিষ্ঠ ইসরাতের নির্দেশেই অনুপ্রবেশ। এছাড়া মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার মণিরুল শেখ, মহম্মদ আব্বাস আলি নামে দুই জঙ্গি।

    বাংলাদেশ থেকে স্লিপার সেল নিয়ন্ত্রণ! (Bangladesh)

    শিলিগুড়ির এই করিডর অর্থাৎ যাকে ‘চিকেন্স নেক’ বলা হয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে পূর্ব তথা দেশের বাকি অংশের যোগসূত্র স্থাপন করে। সেই করিডর ব্যবহার করেই ওপার বাংলার (Bangladesh) জঙ্গিরা (Militant) এপার বাংলায় জঙ্গি কার্যকলাপ করতে চাইছে। এমনটাই জানান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। গোপনে অস্ত্র সংগ্রহ এবং স্লিপার সেলের মাধ্যমে ভারত-বিরোধী কাজে সক্রিয় হয়ে উঠতেই ওই অংশটি ব্যবহার করার চেষ্টা হচ্ছে। সুপ্রতীম জানিয়েছেন, অসম পুলিশ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ মিলে এই তদন্ত করছে। ধৃতদের জেরা করে এবং যে জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে আপাতত এইটুকু বলা যায় যে, ওপার বাংলা থেকেই এপার বাংলায় স্লিপার সেল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। একই সঙ্গে, জামাত এবং এবিটি’র মতো জঙ্গি সংগঠন ফের একবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে। সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলায় অনুপ্রবেশ করার চেষ্টাও জারি রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর আক্রমণ চলছেই বাংলাদেশে, ফের তিন মন্দিরে হামলা, ভাঙা হল ৮ মূর্তি

    জঙ্গি মডিউল তৈরির ছক

    সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ থেকে যাদের পাকড়াও করা হয়েছে তারা হল আব্বাস আলি ও মণিরুল শেখ। ধৃতদের কাছ ছেকে উদ্ধার হয়েছে কয়েকটি মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, নথিপত্র। সেগুলি সবই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সবকিছু পর্যবেক্ষণের পরে পুলিশের স্পষ্ট ধারনা দুজনেই এই রাজ্যে জঙ্গি মডিউল তৈরির ছক কষেছিল। অসম ও বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক কষছিল ধৃত জঙ্গিরা। বাংলাদেশ (Bangladesh) ও পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মহম্মদ শাদ রদির। বাজেয়াপ্ত ৪টি পেনড্রাইভ, বাংলাদেশি সার্টিফিকেট-সহ একাধিক ভারত-বিরোধী নথি। আরএসএস-এর কয়েকজনকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল, দাবি অসম পুলিশ সূত্রের। বাংলাদেশের পরিস্থিতি যতই অশান্ত হচ্ছে, মৌলবাদী- কট্টরপন্থীদের দাপট যত বাড়ছে, ততই পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে! পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো নথি দিয়ে তৈরি পাসপোর্ট বাংলাদেশিদের হাতে যাওয়া, বাংলাদেশি জঙ্গির ধরা পড়া, পরপর এই ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ-আতঙ্ক চরমে উঠছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘নেপাল-ভুটান সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়ে চিন্তিত নয় ভারত ’, কেন বললেন শাহ?

    Amit Shah: ‘নেপাল-ভুটান সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়ে চিন্তিত নয় ভারত ’, কেন বললেন শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের হুমকি, হুঁশিয়ারিকে গুরুত্বই দিতে চাইছে না ভারত। শুক্রবার শিলিগুড়িতে এসএসবি (সশস্ত্র সীমা বল)-র অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে একটি শব্দও ব্যয় করলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নেপাল এবং ভুটান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ নিয়ে ভারত যে একেবারেই চিন্তিত নয়, তাও জানালেন তিনি। তবে সেটাও সম্ভব হয়েছে সশস্ত্র সীমা বলের জন্য। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী। মাওবাদী কার্যকলাপ প্রতিহত করা থেকে মানব পাচারকারীদের পাকড়াও, এসএসবি বা সশস্ত্র সীমা বলের জন্যই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে এবং হচ্ছে। শাহের কথায়, “শুধু ২০২৪ সালেই চার হাজার পাচারকারীকে পাকড়াও করেছে এসএসবি। উদ্ধার হয়েছে ১৬ হাজার কেজি মাদক।”

    কী বললেন শাহ?(Amit Shah)

    সশস্ত্র সীমা বলের ৬১তম প্রতিষ্ঠা দিবসে শুক্রবার এসএসবি-র শিলিগুড়ি (Siliguri) হেডকোয়ার্টারে উপস্থিত ছিলেন শাহ। মাওবাদী মোকাবিলায় সশস্ত্র সীমা বলের প্রশংসা করে তিনি (Amit Shah) বলেন, “বন্ধ সীমান্তে কাজ করা অনেকটা সুবিধার। সেই সীমান্ত দিয়ে কেউ পারাপার করতে পারে না। কিন্তু, যেখানে মুক্ত সীমান্ত রয়েছে, সেখানে জওয়ানদের কাজ অনেকটা কঠিন এবং জটিলও। সে দিক থেকে এসএসবি যে ভূমিকা পালন করছে, তা সত্যিই অনস্বীকার্য। আমার বলতে দ্বিধা নেই যে, আমরা আমাদের প্রতিবেশী দুই দেশ নেপাল এবং ভুটানের সীমান্ত নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নই।”বস্তুত, নেপাল এবং ভুটানের প্রায় ২,৪৫০ কিলোমিটার সীমান্তে ‘নো ম্যান্ডস ল্যান্ডে’ জ়িরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে এসএসবি। শাহ জানান, গত তিন বছরে ১১০০ অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে সশস্ত্র সীমা বল। ১০০০ একরের বেশি জমি জবরদখল মুক্ত করেছে তারা। চার হাজারের বেশি পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৮১ জন মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছেন জওয়ানেরা। অভিযানে ৮০১ জনকে পাচারের আগেই উদ্ধার করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে ২৩১ জন নাবালক-নাবালিকা।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    শিলিগুড়ি করিডর ভৌগোলিক ভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ

    শিলিগুড়ি করিডর এবং জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “শিলিগুড়ি করিডর ভৌগোলিক ভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিলিগুড়িতে এসএসবির হেডকোয়ার্টার থাকায় তা আমাদের অনেকটাই নিশ্চিন্ত করেছে। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের প্রতিরোধে দারুণ ভূমিকা নিয়েছে এসএসবি।” শাহ জানান, ৬০০-র বেশি মাওবাদীকে গ্রেফতার করা, ১৫ জন মাওবাদী নেতাকে ‘এনকাউন্টার’ করতে সমর্থ হয়েছেন সশস্ত্র সীমা বলের জওয়ানেরা। একই ভাবে ১৯ সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে সশস্ত্র সীমা বলের জওয়ানদের হাতে। এছাড়া বিহারকে মাওবাদী মুক্ত করার ক্ষেত্রেও এসএসবি বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন শাহ।

    পেট্রাপোলে বিএসএফ জওয়ানদের জন্য তৈরি ভবনের উদ্বোধন

    শিলিগুড়ি থেকে উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে কর্মরত বিএসএফ জওয়ানদের জন্য একটি আধুনিক ভবনের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, সাড়ে তিন একর জমির ওপরে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট চারটি ভবন তৈরি হয়েছে। ওই ভবন উদ্বোধনের সময়ে পেট্রাপোল সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার, বনগাঁর কাউন্সিলর দেবদাস মণ্ডল-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: এবার ভারতে ঢুকে অত্যাচার বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের, মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত দুই চাষি!

    Murshidabad: এবার ভারতে ঢুকে অত্যাচার বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের, মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত দুই চাষি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিল। এবার সেটাই বাস্তবে ঘটল। বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা সীমান্ত এলাকায় হামলা চালাতে শুরু করল। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিতলার নির্মল চরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আক্রান্ত হয়েছেন ২ ভারতীয় চাষি। মাঠে কাজ করার সময় বাংলাদেশের (Bangladesh) দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এর আগে নদিয়া জেলায় গেদে সীমান্ত এলাকায় তারকাঁটার ভিতরে থাকা জমিতে চাষ করতে গিয়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হুমকির মুখে পড়েন ভারতীয়রা। এমনকী জমি থেকে ফসলও কেটে নেওয়া হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Murshidabad)

    বাংলাদেশের পরিস্থিতি যতই অশান্ত হচ্ছে, মৌলবাদী-কট্টরপন্থীদের দাপট যত বাড়ছে, ততই পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। বাংলাদেশের জেল থেকে জঙ্গি পালানো, একাধিক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে বাংলাদেশ প্রশাসনের মুক্তি দেওয়া, পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো নথি দিয়ে তৈরি পাসপোর্ট বাংলাদেশিদের হাতে যাওয়া, বাংলাদেশি জঙ্গির ধরা পড়া, পরপর এই ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ-আতঙ্ক চরমে উঠছে। এই আবহের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের রানিতলা (Murshidabad) থানার নির্মলচরে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে ২ ভারতীয় চাষিকে বেধড়ক মারধর করে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, একাধিক ব্যক্তি সীমান্তবর্তী এলাকায় জমি দেখাশোনার কাজ করছিলেন। সেই সময় বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা এসে তাঁদের ওপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে বিএসএফ। চাষিরা বলেন, এই এলাকায় সীমান্তে কোনও কাঁটাতার নেই। ফলে ওপারের দুষকৃতীরা ভারতীয় ভূখণ্ডে আমাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার এলাকায় গিয়ে বিএসএফের সঙ্গে কথা বলেন স্থানীয় বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    গ্রামবাসীদের কী বক্তব্য?

    গ্রামবাসীদের (Murshidabad) অভিযোগ, “বেশ কিছু জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। কারণ এই সীমান্তে কিছু কিছু এলাকা অবহেলিতভাবে পড়ে রয়েছে। কাঁটাতারের বেড়াও নেই। বাংলাদেশিরা সেই জায়গা দিয়ে ঢুকে ভারতীয় কৃষকদের ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে। গরু দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Militant: অসম-বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক? মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ২  জঙ্গি

    Militant: অসম-বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক? মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ২ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের পরিস্থিতি যতই অশান্ত হচ্ছে, মৌলবাদী-কট্টরপন্থীদের দাপট যত বাড়ছে, ততই পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। বাংলাদেশের জেল থেকে জঙ্গি (Militant) পালানো, একাধিক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে বাংলাদেশ প্রশাসনের মুক্তি দেওয়া, পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো নথি দিয়ে তৈরি পাসপোর্ট বাংলাদেশিদের হাতে যাওয়া, বাংলাদেশি জঙ্গির ধরা পড়া, পরপর এই ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ-আতঙ্ক চরমে উঠছে। এই আবহের মধ্যে গত দুদিনে ৮ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ধৃত ৮ জনের মধ্যে ২ জন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বাসিন্দা। মহম্মদ আব্বাস আলি হরিহরপাড়ার বাসিন্দা। মগুরার বাসিন্দা মিনারুল শেখ।

    ধৃতরা কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর? (Militant)

    ধৃত মণিরুল শেখ ও মহম্মদ আব্বাস আলি, জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলার (Militant) সদস্য বলে অনুমান পুলিশের। জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার শাখা সংগঠন বাংলাদেশের ‘আনসারুল্লা বাংলা’। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির সহযোগী মহম্মদ ফারহান ইশরাকের নির্দেশেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকে একটি টিম। যার মধ্যে অন্যতম অসম পুলিশের জালে ধরা পড়া মহম্মদ শাদ রদি ওরফে শব শেখ। ধৃত শাদ রাদি বাংলাদেশের রাজশাহির বাসিন্দা। অগাস্টে বাংলাদেশে অস্থিরতার শুরু, নভেম্বরে ভারতে পাঠানো হয় মহম্মদ শাদ রাদিকে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    অসম ও বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক!

    অসম ও বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক কষছিল ধৃত জঙ্গি। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গির (Militant) সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মহম্মদ শাদ রাদির। ধৃতদের থেকে উদ্ধার ৪টি পেনড্রাইভ, বাংলাদেশি সার্টিফিকেট সহ একাধিক ভারত বিরোধী নথি। আরএসএস-এর কয়েকজনকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল, দাবি অসম পুলিশ সূত্রের। ধৃতদের বিরুদ্ধে UAPA ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদে ধৃত জঙ্গির প্রতিবেশী বলেছেন, ‘‘ও তো বলল আমি বাচ্চা ছেলে পড়াব। তাই বলে নিয়েছে। দিনে পড়ত। রাতে চলে যেত।’’ ১০ ডিসেম্বর অসম পুলিশের এসটিএফের কাছে গোপন সূত্র মারফত খবর আসে। আধিকারিকরা জানতে পারেন, বাংলাদেশ থেকে নাশকতা চালানোর জন্য ভারতে ঢুকেছে বেশ কিছু জঙ্গি। এরপরই শুরু হয় ‘অপারেশন প্রঘাত’, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর বাংলা, কেরল ও অসমে অভিযান চালায় অসম পুলিশের এসটিএফ। এরপরই জালে ধরা পড়ে ৮ জঙ্গি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Passport: জঙ্গিদের হাতে অনায়াসে কি চলে যাচ্ছে পাসপোর্ট? বিরাট আশঙ্কা গোয়েন্দাদের

    Passport: জঙ্গিদের হাতে অনায়াসে কি চলে যাচ্ছে পাসপোর্ট? বিরাট আশঙ্কা গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাস কলকাতাতেও জাল পাসপোর্ট (Passport) চক্রের সন্ধান চলছে। পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক জেলায় সক্রিয় রয়েছে এই চক্র। দালাল চক্রের মাধ্যমে বিভিন্ন কাগজপত্র জোগাড় করে খুব সহজেই মিলছে পাসপোর্ট। ভারতের পাসপোর্ট পেতে রাজ্যজুড়ে যে কী কী জাল ছড়ানো হয়েছে, সেই তথ্য ক্রমশ সামনে আসছে। এমনকী, পাসপোর্ট অফিসের আধিকারিকরাও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাঁরাই বলছেন, জঙ্গিরা  (Militant) এসেও পাসপোর্ট তৈরি করে নিয়ে যেতে পারেন অনায়াসে। বিশেষ করে মালদায় যে পরিমাণ পাসপোর্ট তৈরি হচ্ছে, তা রীতিমতো আতঙ্কের। তাহলে কি পাসপোর্ট অফিসে জঙ্গিরা অনায়াসে যাতায়াত করছে, এই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।

    মালদায় এক বছরে কত পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে? (Passport)

    জঙ্গি বা অনুপ্রবেশকারীরা অনায়াসেই ডকুমেন্টস জমা দিয়ে যেতে পারেন পাসপোর্ট (Passport) অফিসে। সেই সব ডকুমেন্টস জাল কি না, সেই তথ্য খতিয়ে দেখার পরিকাঠামোই নেই। বিস্ফোরক দাবি মালদা জেলার পাসপোর্ট দফতরের আধিকারিকদের। জাল পাসপোর্টও ধরা পড়ছে বারবার। দালাল চক্র সক্রিয়! এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে মালদার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে। সন্দেহজনকভাবে মালদায় পাসপোর্টের জন্যে আবেদনপত্র জমা পড়ার সংখ্যা অনেক বেশি। গত বছরে ১৬ হাজার পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এত বেশি পাসপোর্ট কেন তৈরি হচ্ছে মালদায়? মালদার পাসপোর্ট দফতরের ইনচার্জ অরুণ কুমার সরকার জানিয়েছেন, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড ঠিক থাকলে তাঁরা পাসপোর্ট দিতে বাধ্য হন। ওই ব্যক্তি কোথাকার বাসিন্দা, কীভাবে আধার কার্ড পেলেন, কতদিন ধরে ভারতে আছেন, এই সব জানার কোনও উপায় বা পরিকাঠামো নেই তাঁদের কাছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    জাল নথি দিয়ে পাসপোর্ট!

    জানা গিয়েছে, সবথেকে বেশি পাসপোর্ট (Passport) তৈরি হচ্ছে হজ করতে যাওয়ার জন্য। সেই সংখ্যাও ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। এছাড়াও চিকিৎসা ও পড়াশোনার নামে পাসপোর্ট করতে আসছেন অনেকেই। তবে সব ক্ষেত্রেই জাল বা অবৈধ ডকুমেন্টস দেওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। সূত্রের খবর, সেই কারণেই আবেদনকারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দারা। অন্যদিকে, রাজ্যের গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মালদার বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক, হবিবপুরে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে এপারে এসে পাসপোর্ট তৈরি করে নিচ্ছেন অনেকে। দেখা যাচ্ছে মাত্র কয়েকদিন আগে ভোটার, আধার, প্যান কার্ড তৈরি করেও পাসপোর্ট পেয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। এবার রাজ্য গোয়েন্দা দফতর আবেদনকারীদের কাছ থেকে ১৯৭১ সালের আগের নথি দেখতে চাইছে। পাসপোর্ট হয়ে গিয়েছে, এমন কয়েকজন ব্যাক্তির খতিয়ে দেখতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দাদের। জানা যায়, অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ভারতে এসে সব পরিচয়পত্র এমনকী পাসপোর্টও বানিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। সেইসব পাসপোর্ট আটকে রাখার জন্যেও ডিআইবি-র তরফ থেকে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। শতাধিক আবেদনকারীরর আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিস্তর গরমিল দেখা গিয়েছে।

    হাসিনা সরকারের পতনের পর ১ হাজার পাসপোর্ট ইস্যু!

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ভুয়ো নথিতে তৈরি হয়েছে অসংখ্য জাল পাসপোর্ট। চার মাসে ভুয়ো নথিতে হাজার পাসপোর্ট (Passport) তৈরি হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। চলতি বছরের অগাস্ট থেকে নভেম্বর ভুয়ো নথির ভিত্তিতে প্রায় হাজার পাসপোর্ট ইস্যু। বনগাঁ ও বসিরহাট পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র থেকেও পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি প্রায় ৯০০-১০০০ পাসপোর্ট তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে ভুয়ো নথি। হাসিনা সরকার পতনের পর এই পাসপোর্ট গুলো ইস্যু হয়েছে, তদন্তে মিলেছে তথ্য। কাদের হাতে গেল এই পাসপোর্ট শুরু হয়েছে খোঁজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Fake Passport: পোস্ট অফিস কর্মীকে হাত করে রাজ্যে সক্রিয় জাল পাসপোর্ট চক্র, কী করে আড়ালে চলছিল দুষ্কর্ম?

    Fake Passport: পোস্ট অফিস কর্মীকে হাত করে রাজ্যে সক্রিয় জাল পাসপোর্ট চক্র, কী করে আড়ালে চলছিল দুষ্কর্ম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট বা পঞ্চসায়র ডাকঘরই নয়, ভুয়ো পাসপোর্ট- চক্রের (Fake Passport) সঙ্গে যোগসূত্র মিলেছে রাজ্যের আরও বেশ কয়েকটি ডাকঘরের। সেগুলি কলকাতার উপকণ্ঠে অবস্থিত। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ধৃত ডাককর্মী সমরেশ বিশ্বাসের চক্রের হাত ধরে শেষ পাঁচ বছরে প্রায় তিন হাজার ভুয়ো ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে। এই খবর সামনে আসতেই জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক মহলে। উদ্বেগ বেড়েছে আম-নাগরিকদের মধ্যে।

    তল্লাশিতে কী কী মিলল? (Fake Passport)

    এই পাসপোর্ট চক্রের (Fake Passport) ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সমরেশ বিশ্বাস এবং তার ছেলে রিপন বিশ্বাস আগে থেকে আর এক অভিযুক্ত দীপঙ্কর দাসের মাধ্যমে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের পাসপোর্টের জন্য ভুয়ো পরিচয়পত্র, অর্থাৎ আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, এমনকী জন্মের শংসাপত্র তৈরি করাত। এর পরে সেগুলি দিয়ে ডাকঘরের পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে আবেদন জমা দেওয়া হত। এক পুলিশ অফিসার জানান, সংশ্লিষ্ট আবেদনপত্রগুলি এতটুকু যাচাই না করেই জমা নিয়ে নিত এই মামলায় ধৃত তারকনাথ সেনের মতো ডাকঘরের কর্মীরা। ফলে, কোনও রকম পরীক্ষ নিরীক্ষা ছাড়াই জমা পড়ে যেত ভুয়ো নথি ও তথ্য। প্রসঙ্গত, বসিরহাট ডাকঘরের কর্মী তারককেও ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ধৃত দীপঙ্কর দাস যার নির্দেশে ভুয়ো নথি তৈরি করত, সেই ব্যক্তির খোঁজে বুধ এবং বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ-সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। ওই ব্যক্তির ভাড়া করা অফিস থেকেই মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়েছিল প্রচুর জাল নথি, নথি তৈরিতে ব্যবহৃত কম্পিউটার, প্রিন্টার ও অন্য সামগ্রী। মিলেছিল দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সিল, ৩৬টি ভারতীয় পাসপোর্টের ফোটোকপি এবং শেনগেন ও ব্রিটেনের ভিসা।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    কীভাবে জাল করা হত পাসপোর্ট?

    জাল পাসপোর্ট (Fake Passport) তৈরি করে কীভাবেই বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে সেই পাসপোর্ট? প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পোস্ট অফিসের (Post Office) কিছু লোকজন এর সঙ্গে জড়িত আছে। ওরা কেমিকেল দিয়ে পাসপোর্টের যে আসল খাম সেটা খুলে ফেলছে। তারপর তার ভিতরে নকল পাসপোর্ট ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই জাল পাসপোর্ট সুনির্দিষ্ট জায়গায় লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যাদের দিচ্ছে তাদের কিন্তু ওরা চেনে না।” এখানেই শেষ নয়। সত্যজিতবাবু প্রশ্ন তুলছেন পাসপোর্ট অফিস থেকে শুরু করে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। এমনকী ভুয়ো পাসপোর্ট পেতে এখানকার স্থানীয়রাও সাহায্য করছে বলে দাবি তাঁর। বলছেন, ‘‘কেউ নিয়ে যাচ্ছে সঙ্গে করে। অন্য ব্যক্তিকে দেখিয়ে বলছে এ আমাদের এখানে ২৫ বছর ধরে রয়েছে। অথচ সে এখানে ছিলই না। হয়ত বাংলাদেশ বা পাকিস্তান থেকে এসেছে। তারাই ভিড়ের মধ্যে মিশে যাচ্ছে।”

    পাসপোর্ট চক্রের সিংহভাগ জাল কোথায় ছিল?

    সূত্রের খবর, সমরেশের পাসপোর্ট চক্রের (Fake Passport) সিংহভাগ জাল ছড়িয়েছিল দুই চব্বিশ পরগনা, নদিয়ার মতো জেলাতে। তবে তার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন জায়গাতেই তাঁদের গতিবিধি নজরে এসেছে। তবে এই তিন জেলার ডাক বিভাগের অফিসার, কর্মী, পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের অফিসাররাও এখন কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল বিভাগের গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছেন। যারা এই সমস্ত পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন তাঁরা এখন কোথায় রয়েছেন তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, এই সমস্ত পাসপোর্ট ব্যবহার করে অনেকে বিদেশেও পাড়ি দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share