Tag: West Bengal

West Bengal

  • Hooghly: হুগলিতে বিজেপির এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা, টাকা ছড়াচ্ছে আইপ্যাক, অভিযোগ লকেটের

    Hooghly: হুগলিতে বিজেপির এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা, টাকা ছড়াচ্ছে আইপ্যাক, অভিযোগ লকেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই রাজ্যে পঞ্চম দফা নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত ঝামেলার মধ্যে দিয়ে লোকসভার নির্বাচন শুরু হয়েছে। একাধিক বুথ কেন্দ্রে শাসক দলের নেতা-কর্মীরা ভয় দেখাচ্ছে বলে বিজেপি অভিযোগ করেছে। এদিকে হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ার বালিপুর মেলাতলা হাইস্কুলে বুথ নম্বর ২৬১তে বিজেপির এজেন্টকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি অভিযোগ জানিয়েছে। একই ভাবে খানাকুলের বালিপুর ২৫৯ এবং ২৬০ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টদের গায়ের জোরে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হুগলি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এলাকায় আইপ্যাক টাকা নিয়ে ভোট কেনার অভিযোগে সরব হয়েছেন।

    ঠিক কী বলেছেন লকেট (Hooghly)?

    বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Hooghly) তৃণমূলের আইপ্যাকের বিরুদ্ধে ভোটের আগেরদিন রাত থেকেই এলাকায় টাকা নিয়ে ভোট কেনার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, “রবিবার আইপ্যাকের জনা ২০ ছেলে ঢুকেছে এলাকায়। খবর এসেছে ওরা থলে ব্যাগে টাকা নিয়ে ঢুকেছে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে আছে। আজকের দিন ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করবে। তবে ওদের হাতে কিছুই নেই।” ভোটের দিন সোমবার সকাল থেকেই ভোটের ময়দানে তিনি। নিজের জয় নিয়ে এই বিজেপি প্রার্থী ভীষণ আশাবাদী। একই ভাবে রচনাকে নিশানা করে তিনি বলেন, “সক্রিয় রাজনীতি করতে গেলে রচনাকে বিজেপিতে যোগদান করতে হবে।” আবার তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত, আমরাও প্রস্তুত। আমাদের প্রধান বিরোধিতা হল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এখানে কে অভিজ্ঞ, কে অনভিজ্ঞ, কে সিনেমা করে, কে কী করে তা বিষয় নয়। মানুষের জন্য আমি সবসময় থাকার চেষ্টা করেছি। তবে আমাদের বিজেপি পোলিং এজেন্টের গায়ে হাত পড়লে সেভাবেই ট্রিটমেন্ট করব।”

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি কর্মীদের ওপর ধারাল অস্ত্রের কোপ, বিক্ষিপ্ত অশান্তি পঞ্চম দফায়

    পাল্টা রচনার বক্তব্য

    লকেটের অভিযোগকে অস্বীকার করে তৃণমূল প্রার্থী (Hooghly) রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আইপ্যাকের কাছে এক পয়সাও নেই। দেড় মাস ধরে খেটে কাজ করছি। ভোটের দিনের আবহাওয়া বেশ সুন্দর। গরম ততটা নেই। রোদের কষ্ট অনেক কম। সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। সবাইকে বলেছি শান্ত ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে। মাথা গরম করার সময় নয়। কেউ এসে উচ্চস্বরে কথা বললে আমরা রসগোল্লা খাইয়ে দেবো। আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি। মানুষ আমাদের পাশে থাকবে। জয় নিয়ে আমি আশাবাদী।”

    ডোমজুড়ে উত্তেজনা

    শ্রীরামপুর (Hooghly) লোকসভার ডোমজুড়ে বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দেবীপাড়ায় বিজেপির ওই কার্যালয়ে টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তেড়ে যায়। বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আবার মগরায় এক বুথকর্মীকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মগরা উত্তম চন্দ্র হাই স্কুলের ২৮৭ এবং ২৮৮ নম্বর বুথ থেকে কৃষ্ণা দত্ত নামে বুথকর্মীকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলকর্মী এক যুবকের বিরুদ্ধে।আবার ধনিয়াখালিতে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। তৃণমূল নেত্রী অসীমা পাত্র, বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন। পাল্টা তৃণমূল নেত্রীকে ‘চোর চোর’ স্লোগান দেন লকেট। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: “হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে বসে থাকতে পারি না”, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা কার্তিক মহারাজের

    Lok Sabha Election 2024: “হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে বসে থাকতে পারি না”, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা কার্তিক মহারাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Lok Sabha Election 2024) আবহের মধ্যে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবমাননাকর মন্তব্য করার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে এসে এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন। এই মন্তব্যের জন্য কার্তিক মহারাজের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবিবার তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? (Lok Sabha Election 2024)

    শনিবার এক নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’ সব সাধু সমান নয়। বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি উনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতিকরছেন। দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি কে কে করছেন।’

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে সরব

    রবিবার বেলডাঙা ভারত সেবাশ্রম সংঘ আশ্রম সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি তাঁর কানে এসেছে বলে জানিয়েছেন কার্তিক মহারাজ ওরফে স্বামী প্রদীপ্তানন্দ। নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) সভায় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে রবিবার ধিক্কার জানিয়ে বেলডাঙায় মিছিল করেন কার্তিক মহারাজের ভক্তরা। ভারত সেবাশ্রম সংঘের উদ্যোগে একটি ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করা হয়। বেলডাঙ্গা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ থেকে ছাপখানা হয়ে নেতাজি পার্ক হয়ে হরিমতি হয়ে আবার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে শেষ হয়। ওই মন্তব্যেক মমতাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ করতে চলেছেন মহারাজের অনুগামী ও ভক্তরা।

    হিন্দুদের ওপর আক্রমণ এলে আমি চুপ করে বসে থাকতে পারি না

    রবিবার সংবাদমাধ্যমকে বেলডাঙা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান কার্তিক মহারাজ জানিয়েছেন, ‘আমি কোথাও এরকম কোনও কথা বলিনি যে তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না। মুখ্যমন্ত্রী কার কাছে এসব শুনেছেন আমি জানি না। আমি তো রাজনীতির লোকই নই। আর্তের সেবা করা আমার কাজ। কিন্তু আমি একজন হিন্দু। আর হিন্দুদের ওপর আক্রমণ এলে আমি চুপ করে বসে থাকতে পারি না। রেজিনগরে ওনার দলের বিধায়ক যখন বললেন ২ ঘণ্টার মধ্যে হিন্দুদের ভাগিরথীতে ভাসিয়ে দেব তখন উনি কোনও প্রতিবাদ করেননি কেন? ঈশ্বর ওনাকে চৈতন্য দিন।’

    মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ মোদির

    এই মন্তব্যের জন্য কার্তিক মহারাজের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবিবার তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “ভোটে যে তৃণমূল সরকার বাংলার মানুষকে ভয় দেখায়, হুমকি দেয়, হিংসা করায় তারা এবার সব সীমা পার করে দিয়েছে। আজ দেশ ও দুনিয়ায় ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ সেবা ও সদাচারের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। তারা ভারতের নাম উজ্জ্বল করে। কিন্তু, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রমের সন্ন্যাসীদের খোলাখুলি হুমকি দিচ্ছেন। খোলাখুলি হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। দুনিয়াজুড়ে এই মিশনের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ অনুগামী থাকেন। আর এদের উদ্দেশ শুধুমাত্র মানুষের সেবা করা। বাংলার সরকার তাদের দিকে আঙুল উঠিয়ে তাদের নাম নিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এই দুঃসাহস কেবলমাত্র নিজের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে। সেই লক্ষ্যে তৃণমূল এত নীচে নেমে গিয়েছে। এদের বাংলার মানুষের কোনও চিন্তা নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভাবাবেগের কোনও চিন্তা নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mallikarjun Kharge: বিধানভবনে মল্লিকার্জুনের ছবিতে দেওয়া হল কালি! অধীরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট?

    Mallikarjun Kharge: বিধানভবনে মল্লিকার্জুনের ছবিতে দেওয়া হল কালি! অধীরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের টানাপড়নের মধ্যেই রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে নিশানা করলেন কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge)। এরপর রাজ্য-রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। রবিবার কলকাতার বিধান ভবনে মল্লিকার্জুনের ছবিতে কালি লেপে দেওয়া হল। কংগ্রেসের অবশ্য অভিযোগ তৃণমূল এই কাজ করেছে। পাল্টা তৃণমূল পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বেগতিক বুঝে কালি দেওয়া ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দ্রুত। একই সঙ্গে দুধ দিয়ে ধোয়া হল ছবি সহ হোর্ডিং।

    কীভাবে ঘটল (Mallikarjun Kharge)?

    কলকাতার বিধান ভবনের দেওয়ালে কংগ্রেসের তিনটি হোর্ডিং লাগানো ছিল। সেখানে কংগ্রেস হাইকমান্ড তথা জাতীয় কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) মুখে কালি লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ছবির নিচে লিখে দেওয়া হয় ‘তৃণমূলের দালাল’। প্রথমে কেউ না দেখতে পেলেও পরে দেখতে পেয়ে শোরগোল পড়ে যায়। কংগ্রেস কর্মীরা দ্রুত কালি দেওয়া ছবি সরিয়ে দেন। কালি মুছে দাগগুলিকে ধুয়ে দেওয়া হয় দুধ দিয়ে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

    কী বলেছেন অধীর?

    শনিবার মমতা নির্বাচনী প্রচার সভাতে বলেছিলেন, “বাইরে থেকে সমর্থন করব। ইন্ডি জোট আমি তৈরি করেছি। আমি জোটে থাকব। অনেকে আমাকে ভুল বুঝেছেন। সর্ব ভারতীয় স্তরে বিরোধী জোটে আমি আছি।” কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “মমতাকে আমরা কোনও ভাবে খাতির করতে পারব না। এই বাংলায় এই মহিলা আমাদের শেষ করেছে। আমি সমর্থন করতে পারিনা। আমার কোনও দ্বিমত নেই। এই লড়াই আমাদের নৈতিকতার। আমিও দলের পদাতিক সৈনিক।” এরপর জোট নিয়ে অধীরকে নিশানা করেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge)।

    আরও পড়ুনঃ শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ, মে মাসের শেষেই ইডি-সিবিআই-এর চার্জশিট

    মল্লিকার্জুন খাড়্গের বক্তব্য কী ছিল?

    জোট প্রসঙ্গে মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) বলেছেন, “মমতা জোটে আছেন, এটা নিশ্চিত। অধীর নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দল রয়েছে, হাইকমান্ড রয়েছে। আমরা যা করব তাই দলের সিদ্ধান্ত। যা বলব মানতে হবে। কেউ যদি মানতে না পারেন তাহলে রাস্তা খোলা বেরিয়ে যেতে পারেন।” এরপর বিধানভবনে কালি দেওয়া হয় মল্লিকার্জুন খাড়্গের ছবিতে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Humayun Kabir: ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের জের! হুমায়ুনকে সেন্সর করল কমিশন

    Humayun Kabir: ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের জের! হুমায়ুনকে সেন্সর করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহেই ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ককে সতর্কবার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। আসলে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কাজিপাড়ায় এক দলীয় কর্মিসভায় হুমায়ুন কবিরের (Humayun Kabir) এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এবার হুমায়ুন কবিরকে সেন্সর করল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সাফ জানিয়ে দিল, এই ধরনের মন্তব্য থেকে আগামী দিনে তাঁকে বিরত থাকতে হবে।

     কী বলেছিলেন হুমায়ুন? 

    এক কর্মিসভায় হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) বলতে শোনা যায়, ‘‘২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথীতে না ফেলতে পারি তাহলে রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ। এখানে রামনগরে তোমরা বেশি আছো বলে কাজিপাড়ার মসজিদ ভাঙবে? আর বাকি এলাকায় মুসলিম ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনও দিন হবে না, বিজেপিকে আমি বলছি।’’

    কেন এই সিদ্ধান্ত? 

    এর আগে ওই মন্তব্যের জন্য আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে বলে হুমায়ুনকে (Humayun Kabir) শোকজ করা হয়েছিল। সেই শোকজের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে এবার তাঁকে সেন্সর করার সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।

    নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ বিজেপির (Humayun Kabir) 

    বিতর্কিত মন্তব্যটিকে ইস্যু করে নির্বাচন কমিশনে আগেই নালিশ জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া। বিজেপির অভিযোগ ছিল ওই মন্তব্যের মাধ্যমে বিরোধী দলের কর্মীদের ও সাধারণ ভোটারদের মনে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা হয়েছে। বিজেপির সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১০ মে হুমায়ুন কবিরকে শোকজ করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেদিন কর্মিসভার মন্তব্যের জন্য জবাব তলব করা হয়েছিল তৃণমূল বিধায়কের থেকে। শোকজ নোটিশের জবাবও দিয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। 

    আরও পড়ুন: মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ! চোরাশিকারিদের হাতে খুন বনরক্ষী

    হুমায়ুনের বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় কমিশন

    হুমায়ুনের (Humayun Kabir) বক্তব্য ছিল, তাঁর বক্তব্যের একটি অংশকে তুলে এমনভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে, যাতে সেটি ভীতি সঞ্চারক ও আদর্শ আচরণবিধি ভাঙার সামিল বলে মনে হয়। যদিও হুমায়ুনের সেই বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় নির্বাচন কমিশন। তাই এবার ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ককে সতর্ক করে দিল কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Sahajahan: শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ, মে মাসের শেষেই ইডি-সিবিআই-এর চার্জশিট

    Sheikh Sahajahan: শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ, মে মাসের শেষেই ইডি-সিবিআই-এর চার্জশিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আবহেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Sahajahan) আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, মে মাসের শেষেই সন্দেশখালির এই নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করতে চলেছে ইডি এবং সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দুই সংস্থাই এবার সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে শাহজাহানের নাম দিতে চলেছে। একই ভাবে এই তৃণমূল নেতার সঙ্গে অভিযুক্তের তালিকায় নাম থাকবে শেখ আলমগীর, দিদার মোল্লা এবং শিবু হাজরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে ফের একবার আলোড়ন ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে।

    চলতি মাসের শেষেই চার্জশিট (Sheikh Sahajahan)

    সিবিআই তদন্তকারী সংস্থা কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার ৯০ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা করতে হয়। শেখ শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) গ্রেফতারের ২৭ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেওয়ার কথা। তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষেই সিবিআই চার্জশিট জমা করবে। আবার ইডি, কাউকে গ্রেফতার করার ৬০ দিনের মাথায় চার্জশিট দাখিল করতে হয়। এবার এই মাসের ৩১ তারিখ শেষ হচ্ছে সেই মিয়াদের দিন। তাই মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে চার্জশিট জমা করতেই হবে। আর তাই রাজনৈতিক মহল মনে করছেন রাজ্যের শেষ দফায় ভোট সন্দেশখালি, তাই নির্বাচনী আবহে এই চার্জশিট একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ “ইমামরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা?” মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    ঘটনার সূত্রপাত ৫ জানুয়ারি

    গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ইডির আধিকারিকদের উপর আক্রমণ করে শাহজাহান (Sheikh Sahajahan) বাহিনী। ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেনা জওয়ান আহত হন মারের আঘাতে। সেই সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের গাড়িকেও ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকেই শাহজাহান পলাতক হন। ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় ন্যাজাট থানার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অপর দিকে সন্দেশখালির মহিলারা যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সরব হন। শাহজানের অনুগামী উত্তম-শিবু, সিরাজ, জিয়াউদ্দিনের মতো দুষ্কৃতীরা জোর করে চাষের জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করেছে। একই ভাবে বেছে বেছে হিন্দু মহিলাদের তৃণমূল পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর যৌন শোষণ চালাতো। এমনকি কম বয়সী সুন্দরী বাড়ির বউদের এলাকাকে থেকে দূরে বা কোনও অন্য রাজ্যের রাখতে বাধ্য হতেন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে সিবিআই ক্যাম্প করে মানুষের অভিযোগদায়ের করেছে। অপর দিকে রেশন দুর্নীতির কালো টাকাকে সাদা করার ক্ষেত্রে শাহজাহানের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে মনে করছে ইডি। বেআইনি কাজ, দুর্নীতি, নারী নির্যাতন, জমি দখল, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ ধারায় চার্জশিট গঠন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Poachers in Sundarbans: মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ! চোরাশিকারিদের হাতে খুন বনরক্ষী

    Poachers in Sundarbans: মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ! চোরাশিকারিদের হাতে খুন বনরক্ষী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোরাশিকারীদের (Poachers in Sundarbans) হাতে খুন বনদফতরের কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের নেতিধোপানি ক্যাম্পের কাছে। বন দফতর সূত্রে খবর, রাতে টহল দেওয়ার সময় হরিণশিকারিদের আক্রমণের মুখে পড়ে বনকর্মীদের একটি দল। সেই সময় কুপিয়ে খুন করা হয় এক বনকর্মীকে। ইতিমধ্যেই তাঁর দেহ উদ্ধার করে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে দেহ। 

    ঠিক কী ঘটছিল? (Poachers in Sundarbans) 

    জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যে বেলা বোট নিয়ে টহল দিতে বেরিয়েছিলেন বনকর্মী অমলেন্দু হালদার। সঙ্গে ছিলেন আরও তিন বনকর্মী ও বোটের দুই কর্মী। সেই সময় বাংলাদেশের দিক থেকে হেতালবাড়ি জঙ্গলে ঢোকে চোরাশিকারিদের নৌকা। বিষয়টি নজরে আসার পরই চোরাশিকারিদের বাধা দিতে যান অমলেন্দু । এরপর চোরাশিকারিদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় তাঁর। তখনই দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বনদফতরের ওই কর্মীর। প্রাণে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দেন বাকি কর্মীরা। কিন্তু এরপর অন্ধকারে আর অমলেন্দুর দেহর খোঁজ মেলেনি। চোরাশিকারিদেরও নাগাল পাননি বন দফতরের কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত রবিবার ভোরে নেতিধোপানি ক্যাম্পের কাছ থেকে অমলেন্দুর দেহ উদ্ধার হয়। 

    খুনের মামলা দায়ের 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অমলেন্দুকে কুড়ুল জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোও হয়েছে। তাঁর মাথায় গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। বন দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে কোথা থেকে এসেছিলেন চোরাশিকারিরা (Poachers in Sundarbans), ঠিক কী ঘটেছিল, কারাই বা এর নেপথ্যে রয়েছে, সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: “যে বাংলায় সরস্বতীর পুজো হয়, সেখানে তৃণমূল শিক্ষায় চুরি করে”, বঙ্গে ভোটপ্রচারে আক্রমণ মোদির

    এ প্রসঙ্গে এসডিপিও রামকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘বনকর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ (Poachers in Sundarbans) দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এইটুকু পরিষ্কার যে, গুলি চলেনি। দেহে গুলি লাগার চিহ্ন নেই। ধারালো কিছুর আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “যে বাংলায় সরস্বতীর পুজো হয়, সেখানে তৃণমূল শিক্ষায় চুরি করে”, বঙ্গে ভোটপ্রচারে আক্রমণ মোদির

    Narendra Modi: “যে বাংলায় সরস্বতীর পুজো হয়, সেখানে তৃণমূল শিক্ষায় চুরি করে”, বঙ্গে ভোটপ্রচারে আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় এখন ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আবহ। ২৫ মে, ষষ্ঠ দফায় ভোট রয়েছে পুরুলিয়ায়। আর তার আগে পুরুলিয়ায় বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় মাহাতোর সমর্থনে বাংলায় আরও একবার ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর এদিনও মঞ্চে উঠে দুর্নীতি, টাকা উদ্ধার, শেখ শাহজাহান সহ একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী। 

    সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মোদি (Narendra Modi)

    এদিন মোদি সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘শাহজাহানকে বাঁচাতে সন্দেশখালির মহিলাদের দোষী বলছে। তাঁদের চরিত্র নিয়ে আঙুল তুলছে। ওঁদের জন্য যে ভাষায় কথা বলছে, তার জবাব বাংলার সব মহিলা দেবেন। ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মাধ্যমে জবাব দেবেন। তৃণমূলকে বরবাদ করবেন।’’পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, সন্দেশখালিতে যে পাপ হয়েছে, তাতে বাংলার মহিলাদের ভাবাতে বাধ্য করছে। এসসি, এসটি পরিবারের লোকদের তো তৃণমূল মানুষই ভাবে না। 

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে খোঁচা মোদির

    কেবল সন্দেশখালির প্রসঙ্গই নয় এদিন প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) মুখে উঠে এল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘‘তোলাবাজি, চুরি করা তৃণমূল সরকারের বিচার, আচার। যে বাংলায় সরস্বতীর পুজো হয়, সেখানে তৃণমূল শিক্ষায় চুরি করে। শিক্ষক নিয়োগে হাজার হাজার যুবকের ভবিষ্যৎ বরবাদ করেছে। সকলকে ধারে ডুবিয়েছে। বাংলার গ্রামে আজ শিক্ষক নেই। বাচ্চাদের ভবিষ্যৎও চুরি করেছে। তৃণমূল, কংগ্রেস একই।’’
    এছাড়াও তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি (Narendra Modi)বলেন, ‘‘তৃণমূল ও কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক আপনারা নন। তাই ওদের আপনাদের জন্য একটুও কোনও দরদ নেই। তৃণমূল মিথ্যা বলছে, যে মা মাটি মানুষের রক্ষা করবে। আজ তৃণমূল মা মাটি মানুষেরও ভক্ষক হয়েছে। বাংলার মানুষের ভরসা তৃণমূলের ওপর থেকে চলে গিয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: কল্যাণের বাড়ির সামনে ‘হায় হায়’ স্লোগান! বিক্ষোভে সামিল মহিলারা

    জনসমুদ্র দেখে আপ্লুত মোদি

    উল্লেখ্য, এদিন পুরুলিয়ায় অগণিত জনসমুদ্র দেখে আপ্লুত হন মোদি (Narendra Modi)। কপ্টার থেকে নেমে তিনি চলে গিয়েছিলেন জনসমুদ্র দেখতে। তিনি বলেন, ‘‘এত লোক দেখে দর্শন করতে চলে গেছিলাম। বিকশিত ভারত, আত্মনির্ভর ভারতের জন্য আশীর্বাদ চাইতে এসেছি। দিল্লির এসি ঘরে বসে সব হিসাব করে। এখানে এসে দেখে, ৪ জুন কী হবে?’’এছাড়াও এদিন মোদি বলেন, ‘‘পুরুলিয়া, জঙ্গলমহল বিজেপিকে অসীম স্নেহ দিয়েছে। আজ মোদি আপনাদের থেকে শুধু ভোট (Lok Sabha Election 2024) চাইতে আসেননি। বরং সবার কাছে আশীর্বাদ চাইতে এসেছি। ৪ জুন আর বেশি দিন বাকি নেই।  মোদী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের  পোল খুলে ফেলেছে।’’ 
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ শুরু রাজ্যে, জেনে নিন ৭ কেন্দ্রের প্রার্থী কারা?

    Lok Sabha Election 2024: পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ শুরু রাজ্যে, জেনে নিন ৭ কেন্দ্রের প্রার্থী কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) পঞ্চম দফায় রাজ্যে মোট ৭টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। সেই কেন্দ্রগুলি হল-হুগলি, আরামবাগ, শ্রীরামপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, বনগাঁ ও বারাকপুর। সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। মোতায়েন করা হয়েছে মোট ৬১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। থাকছে ২৫ হাজার ৫১৪ জন রাজ্য পুলিশ। স্পর্শকাতর বুথগুলিতে রয়েছে কমিশনের বিশেষ নজর।

    কোন কেন্দ্রে প্রার্থী কে কে (Lok Sabha Election 2024)?

    এই পর্বের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) ৭টি কেন্দ্রের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীসংখ্যা রয়েছে বনগাঁয় ১৫, বারাকপুরে ১৪, হাওড়াতে ১৪, উলুবেড়িয়াতে ১২, শ্রীরামপুরে ১১, হুগলিতে ১২ জন এবং আরামবাগে ১০ জন। মোট প্রার্থী রয়েছেন ৮৮ জন। গত শনিবার বিকেলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রচার শেষ করেছিল। ভোটারদের মন জয় করতে সবারই প্রচার ছিল বেশ জমজমাট। 

    এরাজ্যের ৭টি কেন্দ্রে মূল প্রার্থীরা হলেন-

    ১. হুগলি-লকেট চট্টোপাধ্যায় (বিজেপি), রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল কংগ্রেস) ও মনোদীপ ঘোষ (সিপিএম)

    ২. শ্রীরামপুর-কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল কংগ্রেস), দীপ্সিতা ধর (সিপিএম) ও কবীরশঙ্কর বসু (বিজেপি)

    ৩. আরামবাগ-মিতালী বাগ (তৃণমূল কংগ্রেস), বিপ্লবকুমার মৈত্র (সিপিএম) ও অরূপকান্তি দিগর (বিজেপি)

    ৪. হাওড়া-প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল কংগ্রেস), রথীন চক্রবর্তী (বিজেপি) ও সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় (সিপিএম)

    ৫. উলুবেড়িয়া-সাজদা আহমেদ (তৃণমূল কংগ্রেস), আজহার মল্লিক (কংগ্রেস), অরুণউদয় পালচৌধুরী (বিজেপি)

    ৬. বনগাঁ-প্রদীপকুমার বিশ্বাস (কংগ্রেস), বিশ্বজিৎ দাস ( তৃণমূল কংগ্রেস) ও শান্তনু ঠাকুর (বিজেপি)

    ৭. বারাকপুর-অর্জুন সিংস (বিজেপি), পার্থ ভৌমিক (তৃণমূল কংগ্রেস) ও দেবদূত ঘোষ (সিপিএম)

    আরও পড়ুনঃ“ইমামরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা?” মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মোট ভোটকেন্দ্র কত?

    এই পর্বের নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) সাত কেন্দ্রে ১৩,১৮১টি ভোটকেন্দ্র থাকছে। সাতটি লোকসভা কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ৭৭১১টি স্পর্শকাতর কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে বনগাঁয় ৫৫০টি, ১০৬৯টি বারাকপুরে, ৬০৫টি হাওড়াতে। পঞ্চম দফার ভোটে সোমবার ১০০ শতাংশ বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। মোট ৯৩টি মডেল পোলিং স্টেশন থাকছে। সেই সঙ্গে মহিলা পরিচালিত ১৪৬০ ভোটকেন্দ্র থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: “ইমামরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা?” মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Mamata Banerjee: “ইমামরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা?” মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চমদফা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসীকে আক্রমণ করলেন। সাধুদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতা, কার্তিক মহারাজ সম্পর্কে বলেন, “তিনি সরাসরি রাজনীতি করছেন।” পাল্টা মহারাজ এই দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলে অস্বীকার করেছেন। একই ভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মমতার মন্তব্যের বিরুদ্ধে ‘ইমামদের রাজনীতি’ করার কথা বলে পাল্টা নিশানা করেন।

    ঠিক কী বলেছেন মমতা (Mamata Banerjee)?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শনিবার আরামবাগে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে সাধুদের একাংশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন, “কেউ কেউ করেন না। সব সাধু সমান হন না। বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি তিনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেবেন না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতি করছেন। দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি কে কে করছেন।” এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “আসানসোলে একটি রামকৃষ্ণ মিশন আছে। সিপিএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল সেই সময় আমি পুরো সমর্থন করে ছিলাম, ইসকনকেও আমি ৭০০ একর জমি দিয়েছি। কিন্তু দিল্লি থেকে নির্দেশ আসে বলে বিজেপি-কে ভোট দেওয়ার জন্য বলো কেন করবেন সাধুসন্তরা এই কাজ? কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশনকে সবাই শ্রদ্ধা করেন। তাঁদের কাছে একটা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ আছে। ওঁদের আমি ভালবাসাতে পারি। কিন্তু ওঁরা ভোট দেয় না কখনও। আমি কেন তাহলে ওদের ভোট দিতে বলব। তবে কেউ কেউ ভায়োলেট করছে, সবাই নয়।”

    পাল্টা বক্তব্য কার্তিক মহারাজের

    ভারতসেবাশ্রম সঙ্ঘের স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ অর্থাৎ কার্তিক মহারাজ, মমতার (Mamata Banerjee), বক্তব্যের অভিযোগকে অস্বীকার করে বলেছেন, “আমি কোনও জায়গায় এই রকম বক্তব্য রাখিনি। আমার পক্ষে বলা অসম্ভব। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের লোক নই। আমি একজন সন্ন্যাসী, তবে হিন্দু ধর্মের উপর যখন আঘাত আসে আমি প্রতিবাদ করি। আমাদের উপর আঘাত আসলে আমাদের অনুগামীরা নানা ভাবে প্রতিবাদ করে থাকেন। তবে এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আমাদের ভক্তরা হাইকোর্টে যাবেন, মামলাও দায়ের করবেন।”

    আরও পড়ুনঃ কাকদ্বীপে গায়ের জোরে জমি দখল করে টোটো স্ট্যান্ড! অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতার (Mamata Banerjee) এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেন, “ইমামেরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা? বিজেপির কোনও মঞ্চে তাঁরা ছিলেন না। তাঁরা বাংলায় সনাতন হিন্দুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ করবেন। বিজেপি নুপুর শর্মাকে সাসপেন্ড করে কিন্তু মমতা হুমায়ুন কবীরের কথা চুপ করে শোনেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyan Banerjee: কল্যাণের বাড়ির সামনে ‘হায় হায়’ স্লোগান! বিক্ষোভে সামিল মহিলারা

    Kalyan Banerjee: কল্যাণের বাড়ির সামনে ‘হায় হায়’ স্লোগান! বিক্ষোভে সামিল মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার পঞ্চম দফার ভোট রয়েছে শ্রীরামপুরে। তাই শনিবার ছিল শেষ বেলার প্রচার। কিন্তু আচমকাই শনিবার বিকেলে শ্রীরামপুরের (Sreerampur) তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) আবাসনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    শনিবার প্রচার পর্ব শেষ করে নিজের ফ্ল্যাটে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন শ্রীরামপুরের (Sreerampur) বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। ঠিক সেই সময়েই আবাসনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘হায় হায়’ স্লোগান তুলে প্রতিবাদে সামিল একদল মহিলা। 

    কী কারণে এই বিক্ষোভ?

    মহিলাদের অভিযোগ, মহিলাদের সম্পর্কে আপত্তিকর কথাবার্তা বলছেন তৃণমূল প্রার্থী (Kalyan Banerjee)। সেই কারণেই তাঁরা এই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে আসেননি তাঁরা। বিক্ষোভকারী এক মহিলা বলেন, ‘‘তিনি মহিলাদের সম্পর্কে বিভিন্ন রকম কথা বলে যাচ্ছেন। তাঁকে কে এই অধিকার দিয়েছে? মহিলাদের সম্পর্কে তিনি যে মন্তব্যগুলি করছেন, সেটা বন্ধ করা হোক।’’ বিক্ষোভরত মহিলাদের দাবি, তৃণমূল প্রার্থী যেন মহিলাদের কাছে ক্ষমা চান তাঁর মন্তব্যের জন্য। 

    আরও পড়ুন: প্রচারের শেষ বেলায় রচনা আর ধোঁয়া দেখার ‘রিস্ক’ নিলেন না!

    কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য (Kalyan Banerjee) 

    এ প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বাম-বিজেপি আঁতাতের অভিযোগ উস্কে দিয়েছেন। কল্যাণের বক্তব্য, ‘‘আমার মনে হয়, বিজেপি ও সিপিএম মিলে আমার উপর যে কোনও মুহূর্তে হামলা করতে পারে। সেলিমের সঙ্গে বিজেপির অসম্ভব ভাল সেট। সেলিম এখানে আসার পর থেকে বিভিন্ন রকমের ঘটনা ঘটছে। ওঁর সঙ্গে কবীরশংকর বোসেরও কথা হয়েছে। ওঁরা মিলিতভাবে আমার উপর আক্রমণ করতে পারে।’’ 
    অন্যদিকে আবার এ প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী কবীরশংকর বোস পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন,‘‘ইন্ডিয়া জোটে কে আছে! তৃণমূল ও সিপিএম। বিজেপিকে ওঁরা ভয় পেয়ে গিয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share