Tag: West Bengal

West Bengal

  • Dilip Ghosh: “অত্যাচার করে টাকা দিলেও মানুষ আর ভোট দেবে না”, তৃণমূলকে তোপ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “অত্যাচার করে টাকা দিলেও মানুষ আর ভোট দেবে না”, তৃণমূলকে তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগে আসতে তিনটে কাঠের সেতু পার করতে হয়েছে।  ৭৫ বছর পার হয়ে গেছে কেন আরামবাগের মানুষ পাকা  সেতু পায় নি? খানকুলে ভোট প্রচারে এসে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে রোড শো দিলীপের (Dilip Ghosh)

    আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অরূপ কান্তি দিগার এর সমর্থন খানাকুল বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী প্রচার করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দলীয় প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের নিয়ে  রোড শো করার পাশাপাশি পায়ে হেঁটে ও জনসংযোগ করেন বিজেপি নেতা। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র সম্পর্কে বিজেপি নেতা জানান, আরামবাগ কেন্দ্রটি গতবারে অল্প ভোটের ব্যবধানে  আমাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখানকার মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের চালাকী করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবারে আমরা প্রচুর ভোটে জিতবো। এখানকার লোক ও চাইছেন। তাই আমরা ও জোড় লাগিয়েছি।

    তৃণমূলের সভায় লোক হচ্ছে না!

    বিজেপি নেতা (Dilip Ghosh) আরও বলেন, মোদি যখন টাকা পাঠাচ্ছেন তখন সেতু তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। আরামবাগে আমরা জিতলে সমস্ত সেতু বানাবো। মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী টেনশনে সব জায়গায় যাচ্ছেন। কিন্তু, তৃণমূলের সভায় লোক হচ্ছে না। গান গাওয়া লোকেদেরও আনছেন, তাতেও লোক হচ্ছে না কারণ, মানুষ তৃণমূলকে রিজেক্ট করে দিয়েছে। মানুষের ওপর অত্যাচার করে ৫০০ টাকা দিয়ে ভোট চাইলে মানুষ আর ভোট দেবে না।

    সন্দেশখালিতে সিবিআই ক্যাম্প নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ

    সন্দেশখালিতে সিবিআই এর ক্যাম্প অফিস তৈরি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, এখনও শাহজাহানের লোকেরা সন্দেশখালিতে ভয় দেখাচ্ছে। যাতে মানুষ ভোট দিতে না পারে, তাই অপরাধীদের ধরতে হবে, সাহস দিতে হবে সেই জন্যে যা করার করতে হবে। আর শাহজাহান যে অপকর্ম করেছে, এলাকার মানুষ ওই শিবিরে গিয়ে সহজেই অভিযোগ জানাতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dev: চাকরি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত দেবের প্রতিনিধি, টাকা ফেরত পেলেন অভিযোগকারী

    Dev: চাকরি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত দেবের প্রতিনিধি, টাকা ফেরত পেলেন অভিযোগকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ দেবের (Dev) প্রতিনিধি রামপদ মান্নাকে আশা কর্মীর চাকরির জন্য ২ লক্ষ দিয়েছিলেন ঘাটালের ক্ষীরপাই এলাকার বাসিন্দা গঙ্গেশ সাঁতরা। মেয়ে মৌসুমী সাঁতরার চাকরির জন্য তিনটি কিস্তিতে সেই টাকা দিয়েছিলেন। ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্মী সত্য ঘোষের মাধ্যমে রামপদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল। কিন্তু দেড় বছর হয়ে গেলেও চাকরি পাননি মৌসুমী। তা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টেও মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হতেই অভিযোগকারী দাবি করলেন, ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা তিনি ফেরত পেয়ে গিয়েছেন।

    ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন অভিযোগকারী

    চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চেয়েছিলেন। তা-ও পাননি। এই অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন গঙ্গেশ। হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চেও মামলা হয়। ভোটের আবহে এই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হয় ঘাটালের রাজনীতি। শোরগোলের মধ্যেই শুক্রবার গঙ্গেশ দাবি করলেন, চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত পেয়েছেন তিনি। ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আমি হাতে পেয়েছি। আমি খুবই খুশি।  বাড়ির সকলেই খুশি।’ কিন্তু টাকা ফেরত দিলেন কে? গঙ্গেশের দাবি, সত্য ঘোষই তাঁর টাকা ফেরত দিয়ে গিয়েছেন। মৌসুমীর স্বামী নির্মল হাজরাও বলেন, “সত্য ঘোষ আমাদের টাকা ফেরত দিয়ে গিয়েছেন। আমাদের আর কোনও অভিযোগ নেই। আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি চলছে।”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে থেকেই অভিযোগ শুনবে সিবিআই, চালু হল অস্থায়ী শিবির

    দেবের (Dev) প্রতিনিধি কী বললেন?

    গঙ্গেশের টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে অবশ্য কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন রামপদ। তিনি বলেন, “আমি জানি না কার থেকে কে টাকা নিয়েছিল আর কে কাকে ফেরত দিয়েছে। আমার নাম করে কেউ কিছু করেছে কি না, সেটা জানব কী করে! ওই ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানা নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ফের মহিলাদের বিক্ষোভ, তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের দাবি

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ফের মহিলাদের বিক্ষোভ, তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগে এক আন্দোলনকারী মহিলাকে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে মুখে ঢেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা নিয়ে দিনভর উত্তেজনা ছিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। থানায় তৃণমূল নেতাদের নামে অভিযোগও জমা পড়ে। এবার সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই শুক্রবারও আন্দোলনকারী মহিলারা সন্দেশখালির বেড়মজুর এলাকায় বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    সন্দেশখালিতে ফের বিক্ষোভ (Sandeshkhali)

    শুক্রবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর বটতলা এলাকায়। পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করলেন গ্রামের মহিলারা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, “দিনের পর দিন পুলিশ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নানান ধরনের জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে জেলে ভরছে। অথচ যে সমস্ত তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দিনের পর এলাকায় অত্যাচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। অভিযুক্তদের আড়াল করতে পুলিশ নিরীহ মানুষের ওপর মিথ্যা মামলা চাপাচ্ছে। অন্যদিকে রাত হলেই বাড়িতে হানা দিচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।” অবিলম্বে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারী মহিলারা।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে থেকেই অভিযোগ শুনবে সিবিআই, চালু হল অস্থায়ী শিবির

    তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের দাবি

    ঘটনা সূত্রপাত, বুধবার রাতে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এক প্রতিবাদী মহিলাকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবারই থানায় অভিযোগও দায়ের করেন ওই মহিলা। পুলিশ ইতিমধ্যেই তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষার পর বসিরহাট আদালতে তাঁর গোপন জবানবন্দি নিয়েছে। তারপরও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হয়নি কেন, এই প্রশ্ন তুলে এদিন সন্দেশখালির বেড়মজুর বটতলা এলাকার মহিলারা বিক্ষোভ শুরু করেন। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপি এলাকায় নতুন করে গোলমাল তৈরি করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: দেগঙ্গায় নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিজেপির নেতা-কর্মীরা

    Lok Sabha Election 2024: দেগঙ্গায় নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিজেপির নেতা-কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের হুমকির মুখে পড়লেন বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। শুধু তাই নয় এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। আক্রন্ত বিজেপি কর্মীদের পক্ষ থেকে সামজিক মাধ্যমে সেই ভিডিও বিনিময় করায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (Lok Sabha Election 2024) দেগঙ্গায়।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছে (Lok Sabha Election 2024)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার (Lok Sabha Election 2024) ২ নম্বর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি চন্দনা দাস অভিযোগ করে জানিয়েছেন, “বেড়াচাঁপা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইয়াজপুর দাসপাড়া এলাকায় বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলাম আমরা। এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আকতারুল মোল্লা প্রথমে হুমকি দেন। এরপর তিনি বলেন, এখানে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি। তাই বেরিয়ে যান। এরপর আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর জনমুখী প্রকল্পের কথা প্রচার করতে গেলে আমাদের আটকে দেওয়া হয়। এরপর হার্মাদ বাহিনী আমাদের ঘিরে ধরে মারধর করে। গাড়িতে করা হয় ব্যাপক ভাঙচুর। কোনও ক্রমে আমরা পালিয়ে প্রাণে বাঁচি। ইতিমধ্যে আমরা দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”

    আরও পড়ুনঃ নিয়োগ-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত দেব! অডিও প্রকাশ করে মারাত্মক অভিযোগ হিরণের

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপির অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে দেগঙ্গা (Lok Sabha Election 2024) বিধানসভার তৃণমূল নির্বাচনী কমিটির সদস্য তুষার কান্তি দাস বলেন, “এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে একটা প্রচার অভিযান চালানো হয়েছিল ঠিক। কিন্তু প্রচারে এসে তাঁরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অপপ্রচার করছিলেন। তৃণমূল সরকারের দেওয়া প্রকল্প সম্পর্কে কুৎসা করা হচ্ছিল। এই জন্য তৃণমূলের স্থানীয় সদস্যরা প্রতিবাদ করেছিলেন। তবে মারধর বা হুমকির কোনও রকম ঘটনা ঘটেনি। লোকসভার ভোটে বিজেপি হার বুঝতে পেরেই এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nirmala Sitharaman: “বড় শিল্প তো আসেই না”- ব্যর্থতার অভিযোগে সরকারকে বিঁধলেন নির্মলা

    Nirmala Sitharaman: “বড় শিল্প তো আসেই না”- ব্যর্থতার অভিযোগে সরকারকে বিঁধলেন নির্মলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহে কলকাতায় দাঁড়িয়ে সরকারকে ব্যর্থতার অভিযোগে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতায় দাঁড়িয়ে শিল্পায়নের প্রসঙ্গ তুলে পূর্বতন বাম এবং বর্তমান তৃণমূল সরকারকে একাধারে ব্যর্থতার অভিযোগে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। 

    সীতারামনের মন্তব্য  (Nirmala Sitharaman)

    এদিন এক সংগঠনের আয়োজিত নাগরিক সম্মেলনে যোগ দিতে কলকাতায় আসেন নির্মলা। সেখানেই সীতারামনের দাবি করেন, এক সময় বাংলা শিল্পের নিরিখে দেশের প্রথম সারির রাজ্যগুলির অন্যতম হিসেবে গণ্য হত। কিন্তু গত ৫০ বছরে পরিস্থিতি লাগাতার অবনতির দিকে অগ্রসর হয়েছে। যদিও বর্তমান সরকারকে একটু বেশি দুষলেন নির্মলা। তিনি বলেন, “শিল্পের হাল এখন বামফ্রন্ট জমানার থেকেও অনেক বেশি খারাপ হয়েছে। বড় শিল্প তো আসেই না। বরং যারা ছিল তাদের অনেকে রাজ্য ছেড়ে চলে যাচ্ছে।” এছাড়াও এদিন  তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, তোলাবাজি এবং গুন্ডাগিরির অভিযোগ তুলে তাঁর মন্তব্য, এই সব কারণেই বড় সংস্থা থাকছে না। শিল্প তৈরির অনুকূল পরিবেশই নেই। 

    সন্দেশখালি ইস্যুতেও আক্রমণ  

    এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপির অন্যতম অস্ত্র সন্দেশখালি (Sandeshkhali Issues)। নারী নির্যাতনের অভিযোগ থেকে ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে এই এলাকার নাম। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি ইস্যুতেও আক্রমণ শানান নির্মলা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বলেন, “সন্দেশখালিতে ভিক্টিম শেমিং করছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও করেছেন। পার্ক স্ট্রিটের সময়।’’

    মূলধন তৈরির নিরিখেও পিছিয়ে রাজ্য 

    মূলধন তৈরির নিরিখেও রাজ্য পিছিয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন নির্মলা (Nirmala Sitharaman)। তাঁর দাবি, এখানে এক সময়ে মূলধন সৃষ্টির হার ছিল ৬.৭%। এখন তা ২.৬%। এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধির এটি অন্যতম কারণ। 

    আরও পড়ুন: ১৫ দিনে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে, চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    কুণাল ঘোষের মন্তব্য

    নির্মলার মন্তব্যের প্রসঙ্গে তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘নির্মলা সীতারামন যে পরিবেশে থাকেন, সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব নয়। এখানে গত ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বিকল্প অর্থনৈতিক ভাবনা প্রতিষ্ঠা করেছেন। শুধু শিল্প লগ্নি হয়নি, তার বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বহু মানুষ যুক্ত হয়েছেন।’’  কুণালের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিকে মূল্যায়ন করতে করোনার সময় লকডাউন চলাকালীন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের আর্থিক অবস্থার সঙ্গে এ রাজ্যের তুলনা করলেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) তা বুঝতে পারতেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ ভোট, পঞ্চম দফায় রাজ্যে বাড়ল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা

    Lok Sabha Election 2024: লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ ভোট, পঞ্চম দফায় রাজ্যে বাড়ল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত রাজ্যে প্রথম চার দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) শেষ হয়েছে। বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি ছাড়া প্রায় নির্বিঘ্নেই কেটেছে নির্বাচন। বাকি রয়েছে এখনো পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম দফার ভোট। তাই ভোটে যাতে কোনরকম অশান্তির ছবি না উঠে আসে তার জন্য আরো আটোসাঁটো নিরাপত্তায় রাজ্যকে মুড়ছে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে প্রথম চার দফার থেকে আরো বেশি পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন হবে বাকি তিন দফার ভোটে।

    ধাপে ধাপে বারবে বাহিনীর সংখ্যা 

    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়ছে পঞ্চম দফা থেকে। বাংলায় শেষ তিন দফায় (Lok Sabha Election 2024) কমিশনের প্রস্তাবিত বাহিনীর থেকেও অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানা গেছে। পঞ্চম দফার পর ষষ্ঠ দফায় তা আরও বাড়বে। আর সপ্তম তথা শেষ দফায় আরও বৃদ্ধি করা হবে বাহিনী।

    কী কারনে এই সিদ্ধান্ত? 

    চতুর্থ দফার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) বিক্ষিপ্ত কিছু হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে৷ আর তার জেরেই পঞ্চম দফায় বাড়ানো হলো কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলিতে ৮৫ শতাংশ এবং আরামবাগে ৮৭ শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর। মূলত সেই কারণেই পঞ্চম দফা ভোটের আগে বাড়ানো হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আগে বাহিনী ছিল ৭৬২ কোম্পানি৷ আর এবার থাকছে ৭৯৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ অর্থাৎ রাজ্যে আরও অতিরিক্ত ৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। এই ৩৭ সংখ্যার মধ্যে ২০ কোম্পানি আসছে মণিপুর থেকে, ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে মধ্যপ্রদেশ থেকে। প্রসঙ্গত পঞ্চম দফায় মোট ৫৬৭ সেকশন কিউআরটি থাকবে বলে খবর কমিশন সূত্রে। 

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানি শরণার্থীরা পেলেন ভারতীয় নাগরিকত্ব, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

    পঞ্চম দফা থেকে ভোট (Lok Sabha Election 2024) শুরু হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে৷ আগামী সোমবার অর্থাৎ ২০ মে রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন। হাওড়া, হুগলি, উলুবেরিয়া, বনগাঁ, ব্যারাকপুর, শ্রীরামপুর ও আরামবাগ এই সাতটি আসনে নির্বাচন হবে পঞ্চম দফায়৷ যেহেতু এবার কেন্দ্রের সংখ্যা  বেশি তাই সেই অনুয়ায়ী শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়তে চলেছে কমিশন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ১৫ দিনে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে, চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Siliguri: ১৫ দিনে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে, চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ দিনে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যুতে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। রাজ্যের তৃণমূল সরকার মাতৃত্বকালীন মৃত্যু কমিয়ে আনার জন্য বার বার কৃতিত্বের দাবি করে। এভাবে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের সেই দাবি জোর ধাক্কা খেয়েছে বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তরবঙ্গের একমাত্র রেফারেল সেন্টার ৫৫ বছরের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। 

     প্রশ্নের মুখে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (Siliguri)

    উত্তরবঙ্গ (Siliguri) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে  দীর্ঘদিন ধরে নানান অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, জুনিয়র ডাক্তারদের দিয়ে চলছে প্রসূতি বিভাগ। অনেক সময় নার্সরা প্রসব করান। দুপুরের পর থেকে সিনিয়র ডাক্তারদের দেখা মেলে না। গত ১ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ১০ জন প্রসূতির মৃত্যুতে এই অভিযোগগুলিই সামনে চলে এসেছে। দু’সপ্তাহে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার দিকটি দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে থেকেই অভিযোগ শুনবে সিবিআই, চালু হল অস্থায়ী শিবির

    কী বলছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ

    হাসপাতালের (Siliguri) অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার (মেডিক্যাল) ডাঃ নন্দন কুমার বন্দোপাধ্যায় বলেন, ১৫ দিনে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যু উদ্বেগজনক। যে দশজন মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে  ইসলামপুর থেকে ২ জন,   জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ২ এবং ফাঁসিদেওয়া, মাটিগাড়া ও শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে একজন করে প্রসূতি সঙ্কটজনক অবস্থায় রেফার হয়ে এসেছিলেন। এদের কারও কিডনির, কারও হার্টের সমস্যা এবং অন্যান্য জটিলতা  ছিল। তাই তাদের প্রয়োজনীয় সব রকম  চিকিৎসার পরিষেবা দেওয়ার পরও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ফেসিলিটি নোডাল অফিসার ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, প্রসূতিদের শুরুতেই দেখা উচিত, কারও কিডনির অসুখ, লিভারের সমস্যা রয়েছে কিনা বা অন্য কোনও জটিল রোগব্যাধিতে আক্রান্ত কিনা প্রসূতিরা সেটা প্রথমেই নির্ণয় করা প্রয়োজন। চিকিৎসার একদম নীচু স্তরে যাতে প্রসূতিদের এই দিকগুলির ওপর নজর দেওয়া হয় সে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ওয়াকিবহাল করা হবে।

     প্রসূতিদের চিকিৎসায় গাফিলতি?

    রাজ্যের তৃণমূল সরকার দাবি করে, ব্লক থেকে জেলা, সব সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামোর উন্নয়ন করে এবং সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখজনকভাবে কমিয়ে আনা হয়েছে। গর্ভবতী মহিলাদের প্রথম থেকেই সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীরা দেখভাল করেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন। প্রসূতিদের অহেতুক রেফারও বন্ধ করা হয়েছে। তাহলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে তাদের সঙ্কটজনক অবস্থায় রেফার করা হল কেন? শুরুতে  চিকিৎসা ও অন্যান্য ব্যবস্থায় গাফিলতি ছিল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: তৃণমূল নেতার মদতেই সক্রিয় মাফিয়ারা, রমরমিয়ে চলছে বালি-পাথর পাচার

    Jalpaiguri: তৃণমূল নেতার মদতেই সক্রিয় মাফিয়ারা, রমরমিয়ে চলছে বালি-পাথর পাচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা যেন বালি -পাথর মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ভোট পার হতেই ফের সক্রিয় বালি-পাথর মাফিয়ারা। এই মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য এতটাই যে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের মারধর, তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর সহ প্রাণে মারার হুমকিও দিচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই বেআইনি কারবার চলছে। ভূ-ততত্ত্ববিদদের আশঙ্কা,  বালি -পাথর উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনই যদি লাগাম না টানা হয় তাহলে আগামীদিনে ভয়ংকর বিপর্যয়ের মুখে পড়বে গোটা ডুয়ার্স সহ গোটা জলপাইগুড়ি জেলা।

    মাফিয়াদের হাতে বার বার আক্রান্ত প্রশাসনের কর্মীরা (Jalpaiguri)

    বৃহস্পতিবারও বালি,পাথর বোঝাই ওভারলোডিং ডাম্পারের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ধূপগুড়ির (Jalpaiguri)  ভূমি রাজস্ব দফতরের এক রেভিনিউ অফিসার। দিন দুয়েক আগেও অবৈধ বালি  পাচার করা রুখতে গিয়ে ময়নাগুড়ির এক রেভিনিউ আধিকারিককে বালি মাফিয়ারা মারধর ও তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। সব কিছু জেনেও প্রশাসন এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি এই মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, মাল ব্লকের লিস, ঘিষ সহ বিভিন্ন নদী থেকে সারাদিন বালি এবং পাথর উত্তোলন করে চলেছে একদল বালি ও পাথর মাফিয়া। অভিযোগ, মাফিয়ারা পাহাড়ের গা ঘেষে বিভিন্ন মেশিন বসিয়ে পাহাড় কেটে পাথর নিয়ে পাচার করছেন। দিনভর নদীতে বালি উত্তোলন করে রাতে শুরু হয় তার পাচার। রাত বাড়তেই মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি থেকে কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তার দখল নেয় বালি ও পাথর বোঝাই ডাম্পার। যে এলাকা থেকে বালি ও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে প্রকাশ্যেই তা দেখা যাচ্ছে। প্রশাসন এখানে ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করছেন। প্রতিদিন কয়েকশ গাড়ি বালি এবং পাথর পাচার করছে তারা।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে থেকেই অভিযোগ শুনবে সিবিআই, চালু হল অস্থায়ী শিবির

    জেলা তৃণমূল নেতার মদতেই চলছে এই কারবার!

    একটি সূত্রের খবর, শাসক দলের এক জেলা (Jalpaiguri) নেতার সক্রিয় মদতে এই পাচার চলছে। শুধু তাই নয় তাঁর মাথায় রাজ্যের এক মন্ত্রীর হাত আছে বলেও জানা  গিয়েছে। ওই জেলা নেতার বেশ কয়েকটি ডাম্পার, আর্থ মুভারসহ বিভিন্ন রকম খনন করার যন্ত্র রয়েছে। সেইসব যন্ত্রপাতি নদী বক্ষে নামিয়ে দিয়ে খনন করা হয়। যা কিনা পুরোপুরি বেআইনি। কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধবে কে? কার সাধ্য আছে? মাথায় যে মন্ত্রীর হাত রয়েছে। তাই মালবাজার থানা, ক্রান্তি থানা, ময়নাগুড়ি থানা এলাকা পেড়িয়ে বুক চিতিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছে যাচ্ছে গাড়ি গুলি। রাতে পাচারের বড় সুবিধা সেই সময় রাস্তায় শুধু পুলিশ থাকে, ভূমি ও রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা থাকে না। তাই রাতের সময়টাকেই বেছে নেয় পাচারকারীরা।

    পাচারে যুক্ত তৃণমূলের লোকজন, স্বীকার শাসক দলের নেতার

    এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তমাল ঘোষ বলেন, এই পাচারের ব্যবসায় আমাদের দলের লোক সরাসরি জড়িত। দলের এক জেলা কমিটির সদস্যের সক্রিয়তায় এই পাচার চক্র চলে। তিনি এখন বালি পাথরের মাফিয়ায় পরিণত হয়েছেন। যার ফলে দল বিপাকে পড়ছে। অন্যদিকে, এই বিষয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, গোটা পাচার চক্র চলছে তৃণমূলের মদতে। তাই সরকারি আধিকারিকদের গায়ে হাত তোলার সাহস পায় মাফিয়ারা। আর পুলিশ তাদের দেখতেই পায়না। তাই পাচারকারীরাও বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • DEV: নিয়োগ-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত দেব! অডিও প্রকাশ করে মারাত্মক অভিযোগ হিরণের

    DEV: নিয়োগ-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত দেব! অডিও প্রকাশ করে মারাত্মক অভিযোগ হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চমদফা নির্বাচনের আগে ফের আরও এক অডিও ভাইরাল হয়েছে। এবার ঘটনার কেন্দ্রে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। এই লোকসভা কেন্দ্রের দুইজন তারকা প্রার্থী। এক দিকে বিজেপির হিরণ চট্টোপাধ্যায় এবং অপরে তৃণমূলের প্রার্থী দেব। একটি অডিও (DEV) এবার প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপি প্রার্থী। যদিও মাধ্যম এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি। হিরণের দাবি, চাকরির জন্য ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছে এক মহিলা। দেব-ঘনিষ্ঠ এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। চাকরি না মেলায় এবার টাকা ফেরত চান ওঁই মহিলা। মহিলার সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ এই ভিডিওতে উঠে এসেছে। ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ভিডিওর বক্তব্য (DEV)

    হিরণ যে অডিও (DEV Video) টি সামনে এনেছেন তাতে রয়েছে-

    মহিলাঃ দেব দা কেমন আছেন?

    দেবঃ ভালো আছি, তুমি কেমন আছো?

    মহিলাঃ একদম ভালো আছি দাদা। দেবদা (DEV) একটা ছোট বিষয় ছিল। সমস্যার সমাধান হচ্ছে না, তাই ফোন করতে বাধ্য হলাম। রাম আমার কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। চাকরি দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু দেয়নি। আমি কোনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। সমস্যার সমাধান চাই।

    দেবঃ বিষয়টি আমি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।

    আরও পড়ুনঃপূর্ব মেদিনীপুরে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই

    দেবের বক্তব্য

    তৃণমূল প্রার্থী দেব এই বিষয়ে বলেন, “মহিলার কণ্ঠস্বর (DEV Video) এডিট করা হয়েছে। বিজেপি ভোটের মুখে অপপ্রচার করছে। এই সব কাজের ভিত্তি নেই, মিথ্যা। দরকার হলে এবার মামলা করব।” অপর দিকে তৃণমূল নেতা এবং দেব ঘনিষ্ঠ রামপদ মান্না বলেছেন, “এটা বিজেপির চক্রান্ত, ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” আবার বিজেপি প্রার্থী হিরণ বলেন, “দেব সবটাই জানেন, চাকরি বিক্রি করার একটা চক্র চলছে। মানুষ সাহস করে মুখ খুলছে। তৃণমূলের সর্বত্র স্তরে দুর্নীতি ঢুকে রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে থেকেই অভিযোগ শুনবে সিবিআই, চালু হল অস্থায়ী শিবির

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে থেকেই অভিযোগ শুনবে সিবিআই, চালু হল অস্থায়ী শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই তদন্তের জন্য একাধিকবার সন্দেশখালিতে  (Sandeshkhali) গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। অভিযোগকারীদের মধ্যে কয়েকজনের বাড়ি গিয়ে কথা বলা এবং জমি সংক্রান্ত নথিপত্রও খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। কিছুদিন আগে সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করে তদন্তকারী সংস্থা। এবার সন্দেশখালি নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ শুনতে সেখানেই অস্থায়ী শিবির বা ক্যাম্প অফিস তৈরি করল সিবিআই।

    অস্থায়ী শিবির চালু করল সিবিআই (Sandeshkhali)

     কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) থেকেই এ বার তদন্ত করবেন সিবিআই আধিকারিকেরা। ধামাখালিতে একটি ব্যাঙ্কের কাছে অস্থায়ী শিবির করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে সন্দেশখালি নিয়ে যে অভিযোগগুলি জমা পড়েছে, সেগুলি খতিয়ে দেখার কাজ হবে ওই অস্থায়ী শিবিরে। এর পাশাপাশি সেখানে অভিযোগকারীদের সঙ্গে সরাসরি কথাও বলবেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই অস্থায়ী শিবিরে অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য  কলকাতার সিবিআই দফতর থেকে কয়েকজন আধিকারিক সন্দেশখালি পৌঁছে গিয়েছেন। এসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকও সন্দেশখালি যান। অস্থায়ী শিবিরে অনেক সহজেই এলাকার মানুষ তাঁদের অভাব অভিযোগ জানাতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: জেরক্সের দোকানে জাল আধার-ভোটার কার্ড সক্রিয়, সিমবক্স উদ্ধারে জঙ্গি যোগ!

    অনলাইনে অভিযোগও জমা নেওয়া হবে

    সিবিআইয়ের ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইমেলের মাধ্যমে অভিযোগ জমা নেওয়াও বন্ধ করছে না তারা। তবে, গ্রামের মানুষ যাতে সহজে অভিযোগ জানাতে পারেন, তাই সেখানেই অস্থায়ী শিবির খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি। গত ১০ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নারী নির্যাতন এবং জমি সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। অভিযোগ জানাতে অনলাইন পোর্টাল খুলতে বলা হয়। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়, সন্দেশখালির নিগৃহীতেরা কী ভাবে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানাবেন, তা সন্দেশখালি জুড়ে প্রচার করতে হবে রাজ্য সরকারকে। সেই মতো প্রচার করা হয়েছিল। সিবিআই দফতরে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছিল। ইতিমধ্যে একাধিকবার সিবিআই আধিকারিকরা সন্দেশখালিতে গিয়ে তদন্ত করেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখেন। এবার অস্থায়ী শিবির করেই এই কাজ করবে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share