Tag: West Bengal

West Bengal

  • CBI Raids: পূর্ব মেদিনীপুরে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই

    CBI Raids: পূর্ব মেদিনীপুরে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চম দফা নির্বাচনের আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই (CBI Raids) হানা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ভোটপরবর্তী মামলায় তদন্তে এই হানা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার মারিশদা থানা এলাকায় এই তল্লাশি করা হয়। তবে সিবিআইয়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেনারাও ছিলেন। ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়। আগামী ২৫ মে এই কেন্দ্রে লোকসভার ভোট। ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই অভিযানের জল কোথায় গড়ায় তাই এখন দেখার।

    সিবিআই সূত্রে খবর (CBI Raids)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৫টা নাগাদ কাঁথি থেকে ১৪ কিমি দূরে মারিশদা থানা এলাকায় ভাজাচাউলির সিজুয়া গ্রামে পৌঁছে সিবিআই (CBI Raids) তল্লাশি শুরু করে। তদন্তকারী অফিসারদের একটি দল তৃণমূলনেতা দেবব্রত পাণ্ডার বাড়িতে যায়। কিন্তু তিনি বাড়িতে না থাকায় তাঁর মেয়েকে অনেক সময় ধরে জিজ্ঞাসবাদ করে সিবিআই। অপর আরেকটি দল ইছাঘেরা গ্রামের তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধান বুদ্ধদেব মাইতির বাড়িতে হানা দেয়। তবে সেখানেও বুদ্ধদেবকে পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে বুদ্ধদেবকে না পেলেও বাবা নন্দদুলাল মাইতি, স্ত্রী সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের ভোটের কার্ড, আধার কার্ড নথিপত্র সংগ্রহ  করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে এই খুনের মামলায় ৩০ জন তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল সিবিআই (CBI Raids)। কিন্তু অনেক তৃণমূল নেতা হাজিরা দেয়নি। অপর দিকে তৃণমূল নেতা নন্দুলাল বলেন, “সকালে আমার বাড়িতে বড় বাহিনী নিয়ে ঢুকে পড়ে সিবিআই। আমার স্ত্রী, মেয়ে, বৌমাকে ধরে টানাটানি শুরু করে। আমি আগেও ওদের জানিয়েছি, আমার ছেলে বাইরে থাকে। আমরা কেউ এই ঘটনায় অভিযুক্ত নই। আমাদের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই।”

    আরও পড়ুনঃ “যে ব্যক্তি যত আক্রমণ করতে পারে, সে তৃণমূলের তত বড় নেতা”, কল্যাণকে আক্রমণ মিঠুনের

    কী ঘটেছিল?

    ২০২১ সালের ৩০ মার্চ বিধানসভার নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের ভোট গ্রহণের আগে কাঁথি-৩ ব্লকে জনমেজয় দুলই নামে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। মারিশদা থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। মৃত এই বিজেপি কর্মীর ছেলে হাইকোর্টে অভিযোগ করে সিবিআই (CBI Raids) তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে এরপর এই তদন্ত শুরু হয়।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: “যে ব্যক্তি যত আক্রমণ করতে পারে, সে তৃণমূলের তত বড় নেতা”, কল্যাণকে আক্রমণ মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: “যে ব্যক্তি যত আক্রমণ করতে পারে, সে তৃণমূলের তত বড় নেতা”, কল্যাণকে আক্রমণ মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার নিশানা করলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। “যে ব্যক্তি যত আক্রমণ করতে পারেন সেই ব্যক্তি তত বড় তৃণমূলের নেতা, ঠিক এই ভাষায় কটাক্ষ করেন মিঠুন। বৃহস্পতিবার হাওড়া ডোমজুড়ে বিজেপি প্রার্থী কবীর শঙ্কর বোসের প্রচারে নেমে তৃণমূলকে তোপ দাগেন তিনি।  

    কী বললেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)?

    বিজেপির তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, “যে মহিলাদের অপামান করতে পারবে সে তৃণমূলের আরও বড় নেতা। এই পার্টির একটা দুর্দান্ত জ্ঞান আছে জানেন? মুসলমান ভাই-বোনেরা কেবলমাত্র ভোট ব্যাঙ্ক। দুর্নীতি হল ভোট ব্যাঙ্ক। যে দুর্নীতি করে সেই এই পার্টির মেম্বার। যে যত বড় দুর্নীতি করবে সে বড় লিডার। আবার কোনও মহিলাকে যে বেশি অপমান করবে সে আরও বড় নেতা। তৃণমূলের কাছে লিডারদের ব্যাঙ্ক রয়েছে। এখন আপনারা সাধারণ মানুষ ভাবুন কাদের ভোট দেবেন?”

    কল্যাণকে তোপ

    মহাগুরু (Mithun Chakraborty) তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে বলেন, “এখানকার তৃণমূল নেতাকে মায়ের পুজো করতে করতে কাঁদতে দেখি। আর মায়ের স্বামী শিবকে এত অপমান করা হল তাঁর মুখে কথা শুনতে পেলাম না। আরেক জন নেত্রী মহুয়া বলেছিলেন মা কালী মদ খান, মাতাল, কিন্তু তাঁর চোখ দিয়ে এক ফোঁটা জল পড়ল না। কী অদ্ভূত তাঁর ভালোবাসা।”

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যে এক দিনে বাজ পড়ে মৃত ১৩! শোকের ছায়া পরিবারে

    কল্যাণের বক্তব্য

    এই পরিপ্রেক্ষিতে মিঠুনকে (Mithun Chakraborty), কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, “শ্রীরামপুরের সঙ্গে কবীরের কী সম্পর্ক? ২৩ হাজার ভোটে হেরেছিলেন। এই এলাকার মানুষের সঙ্গে রাজনৈতিক সমাজিক যোগ নেই। নিজের পরিচয় কিছু নেই। প্রাক্তন শ্বশুর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙ্গিয়ে চলেছেন। এটা কি পরিচয় হতে পারে। আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতবেন অর্জুন”, রোড শোয়ে ভিড় দেখে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতবেন অর্জুন”, রোড শোয়ে ভিড় দেখে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে  অর্জুন সিং জয়ী হয়ে দিল্লি যাবেন। ভোটের ফলাফলের পর আওয়াজ বন্ধ হবে অভিষেকের দাবি সুকান্ত মজুমদারের। হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন, তারপরেই বারাকপুর কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে প্রচারে ঝড় তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এমনিতেই এই লোকসভায় তৃণমূল বিজেপি, বাম সকলেই চুটিয়ে প্রচার করছে। বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রধানমন্ত্রীর পর আবারও প্রার্থীর প্রচারে এলেন হেভিওয়েট নেতা।

    অর্জুনের সমর্থনে রোড শো (Sukanta Majumdar)

    বারাকপুরের দলীয় প্রার্থী অর্জুন সিংকে সঙ্গে নিয়ে হুড খোলা গাড়িতে চেপে রোড শো করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন তিনি দলীয় প্রার্থীকে পাশে নিয়ে পলতা বাসস্ট্যান্ড থেকে রোড-শো শুরু করেন। এরপর ঘোষপাড়া রোড ধরে লালকুঠি,বারাকপুর স্টেশন হয়ে এস এন ব্যানার্জ্জী রোড ধরে চিড়িয়া মোড়ে গিয়ে রোড শো শেষ করেন। এদিন রাস্তার দুধারে ভিড় উপচে পড়ে। মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পলতা, বারাকপুর সর্বত্র রাস্তায় জনগনের ভিড়ের কারণে রাস্তায় যান চলাচল বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ হয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: জেরক্সের দোকানে জাল আধার-ভোটার কার্ড সক্রিয়, সিমবক্স উদ্ধারে জঙ্গি যোগ!

    ১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতবেন অর্জুন

    বর্নাঢ্য মিছিল শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, রোড শোয়ে ভিড় উপচে পড়েছে। এর থেকেই প্রমাণ গতবার অর্জুন সিং ১৪ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। এবার ১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করে অর্জুন সিং দিল্লি যাবেন। রাজ্য সভাপতি দাবি, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এখন বড় বড় কথা বলছেন। ভোটের ফলাফল বের হলে তাঁর মুখ দিয়ে আওয়াজ বের হবে না। কারণ, মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ফল, বের হলেই তা টের পাবে। তাছাড়া রাজ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিশানায় অনেক ধেঁরে ইঁদুর আছে। তার মধ্যে একটা মোটাসোটা ইঁদুর এবার জেলে যাবে। তবে,সেটা কে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। তাঁর কথায়,বাংলায় তৃণমূল সরকার আর থাকবে না। শীঘ্রই বিদায় নেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: রাজ্যে এক দিনে বাজ পড়ে মৃত ১৩! শোকের ছায়া পরিবারে

    Malda: রাজ্যে এক দিনে বাজ পড়ে মৃত ১৩! শোকের ছায়া পরিবারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যে আচমকা ঝড়বৃষ্টি এবং বজ্রপাতে রাজ্যে মৃত্যু হল ১৩ জনের। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। এর মধ্যে মালদায় (Malda) মৃত ১১ জন এবং মুর্শিদবাদ-জলপাইগুড়িতে ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনায় পরিবারে ব্যাপক শোকের ছায়া। মালদা জেলা শাসক নিতিনি সিংহানিয়া জানিয়েছেন, “মৃতদের পরিবারকে দুই লক্ষ করে টাকা দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি তরফ থেকে সবরকম সাহায্য করা হবে।”

    আচামকা বাজ পড়ে মৃত্যু (Malda)

    মালদায় (Malda) মৃতদের মধ্যে দুই জন স্কুলের ছাত্র। মালাদার মৃত ১১ জনের মধ্যে তিন জনের বাড়ি পুরাতন মালদা থানার সাহাপুরে। অপর আরও দুই জনের বাড়ি গাজোল থানার আদিনা এবং রতুয়া থানার বালুপুর এলাকায়। বাকিদের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর এবং ইংরেজ বাজার থানা এলাকায়। মৃত দেহগুলিকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য আনার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। মৃতদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর শোক প্রকাশ

    মালদায় (Malda) বজ্রপাতের ফলে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা ইতিমধ্যে নিজের এক্সহ্যান্ডেল শোক প্রকাশ করেছেন। পরিবারগুলিকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম, চন্দন সাহানি (৪০), রাজা মৃধা (১৬), মনোজিৎ মণ্ডল (২১), অসিত সাহা (১৯), সুমিত্রা মণ্ডল (৪৬), পঙ্কজ মণ্ডল (২৩), নয়ন রায় (২৩), প্রিয়াঙ্কা সিংহ রায় (২০), রানা শেখ (৮), আতুল মণ্ডল (৬৫) এবং সাবারুল শেখ (১১)।

    আরও পড়ুনঃ জেরক্সের দোকানে জাল আধার-ভোটার কার্ড সক্রিয়, সিমবক্স উদ্ধারে জঙ্গি যোগ!

    পরিবারের বক্তব্য

    পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকার মৃত মনোজিৎ মণ্ডলের দাদা সঞ্জীব মণ্ডল বলেছেন, “গতকাল আমার ভাই সহ আরও তিনজন ভাটরা এলাকায় ধানের জমিতে কাজ করছিল। বৃষ্টির জন্য একটি গাছের তলায় আশ্রয় নিয়েছিল তারা। কিন্তু বৃষ্টির মধ্যে আচমকা বাজ পড়তে শুরু করে। এরপর বাজের তীব্রতায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাদের।” আবার গাজলে মৃতদের সম্পর্কে জানা গিয়েছে আমবাগান দিয়ে ফেরার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় অসিত সাহার। রতুয়া থানার বালুপুরে গৃহবধূ সুমিত্রা জমিতে ধান কাটতে গেলে বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: জেরক্সের দোকানে সক্রিয় জাল আধার-ভোটার কার্ড চক্র, সিমবক্স উদ্ধারে জঙ্গি যোগ!

    Siliguri: জেরক্সের দোকানে সক্রিয় জাল আধার-ভোটার কার্ড চক্র, সিমবক্স উদ্ধারে জঙ্গি যোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে (Siliguri) ফের জাল আধার ও ভোটার কার্ড তৈরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সাব্বির আলি। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকার ফুলবাড়ির জোটিয়াকালিতে একটি জেরক্সের দোকানে পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও গোয়েন্দা শাখা অভিযান চালায়। সেখান থেকে বেশকিছু জাল আধার ও ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স  সহ এই নকল নথি তৈরির সামগ্রী উদ্ধার হয়। এই দোকান থেকে তিনটি সিমবক্স পাওয়া গিয়েছে। যা ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে।

    সিম বক্স উদ্ধারে জঙ্গি যোগ! (Siliguri)

    শিলিগুড়ি (Siliguri) শহর  লাগোয়া ভারত-নেপাল সীমান্ত দিয়ে বারবার অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতারের ঘটনায় শিলিগুড়িতে জাল আধার ও ভোটার কার্ড তৈরির দিকটি অনেক আগেই সামনে এসেছে। এজন্য গ্রেফতারও হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। তার পরেও যে শিলিগুড়িতে জাল আধার কার্ড ভোটার কার্ড তৈরি চক্র নিষ্ক্রিয় করা যায়নি তা প্রমাণ হল বৃহস্পতিবার ফুলবাড়িতে। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা জানিয়েছে, অপরাধমূলক কাজের জন্য সিম বক্স ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক টেলিফোন করা হয়। সিম বক্সে টেলিফোন করা হলে তা ধরা পড়ে না। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত কাছে থাকায়  গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান জোটিয়াকালি থেকে সিম বক্সে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হত।  জঙ্গি কার্যকলাপের দিকটিও অস্বীকার করছে না রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে এই সিম বক্সের কারবার চলে আসাটা উদ্বেগজনক বলে মনে করছে গোয়েন্দা পুলিশ।

     কী বলছে পুলিশ?

    পুলিশ জানিয়েছে, দেশের নিরাপত্তার কারণে জানা দরকার, ধৃত  সাব্বির আলি সিম বক্স কেন বসিয়েছিল, কোথা থেকে সে পেয়েছে এবং এর মাধ্যমে কে বা কারা কোথায় কোথায় ফোন করত। আন্তর্জাতিক বিষয়ে এসব জানার জন্য সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং আর্মি-ইন্টেলিজিন্সের সাহায্য প্রয়োজন। তাই তাদেরকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে।

    প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য পুলিশ ও গোয়ান্দাদের ভূমিকা নিয়ে

    জাল আধার ও ভোটার কার্ড তৈরি ঘটনার সঙ্গে সিম বক্সের কারবার  সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় রাজ্য পুলিশ ও গোয়েন্দাদের নজরদারি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, এই সীমান্ত এলাকায় যে ধরনের নজরদারি থাকা প্রয়োজন তা নেই। সেই সুযোগেই দিনের পর দিন জাল আধার, ভোটার কার্ড তৈরির পাশাপাশি সিম বক্স বসিয়ে এই কারবার চলছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: “বাঘকে কখনও খাঁচায় বন্দি করা যায় না”, অভিষেকের কটাক্ষের কড়়া জবাব দিলেন অর্জুন

    Arjun Singh: “বাঘকে কখনও খাঁচায় বন্দি করা যায় না”, অভিষেকের কটাক্ষের কড়়া জবাব দিলেন অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার বারাকপুরে রোড শো করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অর্জুন সিংকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অর্জুনকে দলে নিয়ে ভেজা বিড়াল করে খাঁচায় বন্দি করে রেখেছিল তৃণমূল। তাই শান্ত ছিল বারাকপুর। অভিষেকের এই কটাক্ষের কড়া জবাব দিলেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, আমি সবসময় শের ছিলাম।আছি  এবং থাকবো। বাঘকে কখনও খাঁচায় বন্দি করা যায় না। 

    অভিষেকের কটাক্ষের কড়া জবাব দিলেন অর্জুন (Arjun Singh) 

    অর্জুন বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, আমি যখন তৃণমূলে ছিলাম তখন  আমি ওদের চোখে খুব ভালো ছেলে ছিলাম। আর তৃণমূল দল ছাড়তেই আমি খারাপ ছেলে হয়ে গিয়েছি।মানুষ এর  জবাব দেবে। বারাকপুর শান্ত থাকা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন,  কয়েক মাস আগে  পুলিশ কমিশনারের অফিস থেকে বেশ কিছুটা দূরেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলেকে খুন  করে  দুষ্কৃতীরা।    বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে  প্রায় ১০ জন  খুন হয়েছেন। আমার  প্রশ্ন, তাহলে বারাকপুর শান্ত ছিল কোথায়। আসলে এই ধরনের কথা বলে  মানুষের কাছে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্য তারও কমে যাচ্ছে। তৃণমূল দলটা দুর্নীতিগ্রস্ত। সমস্ত মানুষ তা জানে। আমার বিরুদ্ধে এসব কটাক্ষ করে কোনও লাভ হবে না। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে রাজনীতি করি না। আমাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ রয়েছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে গিয়ে দল করি। মানুষের আশীর্বাদ সবসময় আমার পাশে রয়েছে। ফলে, এই ধরনের কটাক্ষ পিসি-ভাইপো যত আমাকে করবে তত তৃণমূলের অবস্থা আরো করুন হবে। 

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে কেশপুরে বিজেপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে মার, স্বরূপনগরে আক্রান্ত কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মন্ত্রীর  করার প্রস্তাব 

    অর্জুন (Arjun Singh) আরও বলেন, আমি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় অভিষেক আমাকে অনেক অনুরোধ করেছিল। নবান্নের ডেকে আমাকে দমদম, আসানসোল সহ একাধিক লোকসভায় দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। এমনকী বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি সেই সময় তৃণমূলের কাছে ভালো ছেলে ছিলাম। আর এখন বিজেপি করছি বলে আমি খারাপ হয়ে গিয়েছি।। ভোটের দিন প্রমাণ হয়ে যাবে কে খারাপ কে ভালো, মানুষ কার সঙ্গে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বিজেপি করার অপরাধ! কল-পুকুরের সামনে কড়া পাহাড়া, ভোটের দিন থেকে বন্ধ পানীয় জল

    Birbhum: বিজেপি করার অপরাধ! কল-পুকুরের সামনে কড়া পাহাড়া, ভোটের দিন থেকে বন্ধ পানীয় জল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার মোদির ওপর আস্থা রেখে বিজেপি দল করেন। বহু চেষ্টা করেও তৃণমূলে ফেরাতে পারেননি এলাকার শাসক দলের মাতব্বররা। আর তাই, নির্বাচনের দিন থেকে গ্রামে জল নিতে দেওয়া  হচ্ছে না বিজেপি পরিবারগুলিকে। এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজারে।

    পুকুর-কল পাহাড়া দিচ্ছে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা (Birbhum)

    বিজেপি সমর্থক গ্রামবাসীদের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর সন্দেশখালির মতো করে দেওয়া হবে ইলামবাজারের (Birbhum) মুর্গাবনি গ্রামকে। এমনই হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। ইলামবাজারের মুর্গাবনি গ্রামে ভোটের দিন থেকেই বিজেপি করার অপরাধে ৩০ টি পরিবারকে পানীয় জল নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গ্রামে বিক্ষোভ দেখান ওই পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা বিজেপি করি। তাই নির্বাচনের পর দিনই থেকেই তাঁদের ওপর নিগ্রহ করা হচ্ছে। এমনকী গ্রামের কল থেকে তাঁদের জল নিতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি। অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ রবি মুর্মুর নেতৃত্বে এলাকায় তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। অভিযোগ সকাল থেকে পানীয় জলের জায়গাগুলিতে বসে থাকছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এলাকার পুকুরগুলিতেও পাহার দিচ্ছেন তাঁরা। পাঁচ দিন ধরে তীব্র জলকষ্টে ভুগছে এই এলাকার বিজেপি সমর্থকদের পরিবারগুলি।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে কেশপুরে বিজেপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে মার, স্বরূপনগরে আক্রান্ত কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “বরাবর এই এলাকায় বিজেপি জিতে এসেছে। তাই ওদের এত রাগ। জলও বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকী প্রশাসনের সামনেই হুমকি দিচ্ছে, পানীয় জল দেব না। দ্বিতীয় সন্দেশখালি করে দেব।” স্থানীয় তৃণমূলের নেতা রবি মুর্মু বলেন, “এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। সুপরিকল্পিতভাবে মিথ্যা বলছে। কারোর জল বন্ধ করা হয়নি। আদিবাসীদের বিষয়। এখন পায়ের তলার মাটি হারিয়ে যাচ্ছে, তাই বিজেপি এই ধরনের অভিযোগ করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ত্রিকোণ প্রেমে অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে মার খেল পুলিশ!

    Birbhum: ত্রিকোণ প্রেমে অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে মার খেল পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তি থামাতে গিয়ে গ্রামবাসী হাতে বেধড়ক মারধর খেল পুলিশ। প্রায় ৮-১০ জন পুলিশের একটিদল মারের কবলে পড়েছেন। রক্তাক্ত হয়েছেন পুলিশের এক এএসআই। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও তিনজন পুলিশ আধিকারিক। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বীরভূমে (Birbhum)।

    রাজ্যে একাধিক জায়গায় পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। বারাকপুর লোকসভা এলাকার আমতলাতে কিছু দিন আগে পুলিশ কর্মীদের উপর আক্রমণ করেছিল তৃণমূল। আবার কয়েক বছর আগে কালিয়াচক, কালিয়াগঞ্জ এবং ভাবানীপুরে পুলিশ নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছিল। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনীতির একাংশের মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা?

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার এমন ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুর থানার বাজিতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাথাই গ্রামে। এলাকাবাসীর আক্রমণের হাত থেকে কোনও ক্রমে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায় পুলিশ। কর্তব্যরত অবস্থায় এই মার খাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। আহত পুলিশ কর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে জখম এএসআইয়ের মাথায় ২৮টি সেলাই পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃদ্রুত বদলে যাচ্ছে তিস্তা নদীর গতিপথ, চিন্তার ভাঁজ সেচ দফতরে!

    পুলিশ সূত্রে খবর

    পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন সকালে পাথাই গ্রামে ত্রিকোণ প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি এবং উত্তেজনার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল এলাকায়। এই উত্তেজনার খবর পেয়ে মল্লারপুর থানা (Birbhum) থেকে পুলিশ বাহিনী পৌঁছায় গ্রামে। স্থানীয় এলাকাবাসীর খবর শুনে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করতে গেলে এলাকায় তুমুল ঝামেলা শুরু হয়। পুলিশের সঙ্গে বাধে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষ। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে গ্রামবাসীরা পাল্টা লাঠি নিয়ে চড়াও হন। এরপর ৮-১০ জন পুলিশ ব্যাপক ভাবে মারে আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয়। ইতিমধ্যে বেশ কিছু অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাল্টা গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ প্ররোচনা দিয়ে আগেই হামলা চালিয়েছিল, ফলে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: “স্ট্রংরুমে সিসি ক্যামেরা বন্ধ, পঞ্চায়েত ভোটের মতো তৃণমূল কারচুপি করবে!” আশঙ্কা বিজেপি প্রার্থীর

    Ranaghat: “স্ট্রংরুমে সিসি ক্যামেরা বন্ধ, পঞ্চায়েত ভোটের মতো তৃণমূল কারচুপি করবে!” আশঙ্কা বিজেপি প্রার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানাঘাট (Ranaghat) কলেজে স্ট্রংরুমে বন্ধ সিসিটিভি! পঞ্চায়েত ভোটের মতো কারচুপির ছায়া দেখছে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। যদিও ক্যামেরা বন্ধ নিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। ভোট মিটে যাওয়ার পর অভিযোগ পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    স্ট্রংরুমের পাঁচটি সিসিটিভি ক্যামেরায় বন্ধ (Ranaghat)

    গত ১৩ই এপ্রিল ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে নদিয়ার রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রে। এই ভোট গ্রহণের ইভিএম এবং ভি ভি প্যাড  রানাঘাট কলেজের স্ট্রংরুমে রাখা হয়েছে। করা হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে, বুধবার রাতে সিসিটিভি বন্ধ নিয়ে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেরই প্রার্থী এদিন স্ট্রংরুম পরিদর্শন করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী বলেন, আরও-র অনুমতি ছাড়া মহকুমা শাসক কী কারণে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে স্ট্রং রুমে যেতে দিয়েছিলেন। তার কিছুক্ষণ আগে যদিও তৃণমূল প্রার্থী স্ট্রংরুমের কাছে এসেছিলেন এবং সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে তাঁর কাছে খবর যেতেই তিনি এসে উপস্থিত হন রানাঘাট কলেজে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন জগন্নাথ সরকারকে যখন ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল তখন স্ট্রংরুমের পাঁচটি সিসিটিভি ক্যামেরায় বন্ধ ছিল। আর এখানেই তার সন্দেহ মহকুমা শাসক কোনও ফন্দি এঁটেছেন বিজেপির সঙ্গে। তবে এই চিত্র নতুন নয় উত্তরপ্রদেশেও এ চিত্র দেখা গিয়েছে বলে তৃণমূল প্রার্থীর দাবি।

    আরও পড়ুন: দ্রুত বদলে যাচ্ছে তিস্তা নদীর গতিপথ, চিন্তার ভাঁজ সেচ দফতরে!

    স্ট্রংরুমে সিসি ক্যামেরা বন্ধ, তৃণমূল কারচুপি করবে! আশঙ্কা বিজেপি প্রার্থীর

    পাল্টা অভিযোগ করেছেন রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীও রয়েছে সংখ্যায় কম। আমাকে জানানো হয়েছিল, প্রার্থীদের কে যেতে দেওয়া হবে স্ট্রংরুমে। তখন তার জন্য সময় বরাদ্দ করেনি কোনও আধিকারিক। পরবর্তীতে  স্ট্রং রুমে যাওয়ার কথা জানালে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয় আমাকে। পরবর্তীতে আমি যখন আদালতে যাওয়ার হুমকি দিই, তখন আমাকে স্ট্রংরুমের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। গিয়ে দেখেন স্ট্রং রুমের পাঁচটি সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ। আর তাতেই আমার সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। পঞ্চায়েত ভোটে হারা প্রার্থীকে প্রশাসনের মদতে জিতিয়েছে, এবারও সেরকমই অভিসন্ধি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে, কমিশনের উচিত স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সক্রিয় করা। যদিও শাসকবিরোধী দুই শিবিরের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manteswar: ভোটের পরেই দিলীপ ঘোষের বুথ এজেন্ট খুন! বিজেপির তির তৃণমূল দুষ্কৃতীর দিকে

    Manteswar: ভোটের পরেই দিলীপ ঘোষের বুথ এজেন্ট খুন! বিজেপির তির তৃণমূল দুষ্কৃতীর দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চতুর্থ দফা নির্বাচন শেষ হয়েছে। পঞ্চমদফার নির্বাচনী প্রচারে জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজ্য। এবার এই সময়েই দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের মন্তেশ্বরে (Manteswar) দিলীপ ঘোষের বুথ এজেন্টের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে। বিজেপির দাবি তৃণমূল দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। অবশ্য এই রাজ্যে ভোট পরবর্তী কালে রাজনৈতিক খুনের ঘটনা নতুন নয়, কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচন ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর একাধিক বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের খুনের ঘটনায় চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছিল রাজ্যে। 

    মৃতের পরিচয় (Manteswar)

    গত ১৩ মে সোমবার লোকসভা ভোটের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের বুথ এজেন্ট ছিলেন অভিজিৎ রায়। তিনি মন্তেশ্বরের (Manteswar) ১৬৮ নম্বর বুথে বিজেপির বুথের দায়িত্বে ছিলেন। আজ বৃহস্পতি বার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মাটির দেওয়ালে ঠেস দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ফেলা ছিল দেহ। তাঁর দেহে ছিল না জামা, পরনে কেবল অন্তর্বাস, গালায় ক্ষতচিহ্ন। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ভোটের আগের দিন অভিজিৎ রায়কে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়েছিল। এই ভোটে বিজেপি জয় লাভ করবে, তাই ভয় পেয়ে পরিকল্পনা করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ দ্রুত বদলে যাচ্ছে তিস্তা নদীর গতিপথ, চিন্তার ভাঁজ সেচ দফতরে!

    স্থানীয় বিজেপি নেতার বক্তব্য

    বর্ধমান জেলার (Manteswar) এক বিজেপির নেতার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে এই খুনের পিছনে তৃণমূল কর্মীরা রয়েছে। এই এলাকার তৃণমূল নেতা তোতা খান, সাবির খান একদিন আগেই হুমকি দিয়েছিল। এবারে মানুষ ভোটটা দিতে পেরেছে এটা বড় বিষয়। তৃণমূল হারবে জেনেই এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।” তবে ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share