Tag: West Bengal

West Bengal

  • West Bengal Weather: স্বস্তির দিন ফুরিয়ে আসছে! আবার গরমে নাজেহাল হবে বাংলা

    West Bengal Weather: স্বস্তির দিন ফুরিয়ে আসছে! আবার গরমে নাজেহাল হবে বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : স্বস্তির দিন ফুরিয়ে আসছে। আবার বাড়বে গরম। নাজেহাল হবে বাংলা। এপ্রিলের শুরু থেকেই অসহ্য গরমে বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো প্রতীক্ষায় ছিল মানুষ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর অবশ্য পূর্বাভাস দিয়েছিল গত সপ্তাহ থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। সেই মতোই নামে বৃষ্টি। ফলে তীব্র দহনের পর স্বস্তি এনে দিয়েছিল সেই বৃষ্টি। গত কয়েক দিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির প্রায় সর্বত্রই কমবেশি ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাবে একধাক্কায় কমেছে অনেকটা তাপমাত্রা। কিন্তু বৃষ্টির এই স্বস্তি সাময়িক ছিল। আলিপুর আহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামীকাল সোমবার ১৩ মে থেকে আহাওয়ার (West Bengal Weather) কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।  ধীরে ধীরে চড়তে শুরু করবে পারদ। সর্বত্রই তিন থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে নীচেই রয়েছে তাপমাত্রা। বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়। 

    কোথায় কোথায় বৃষ্টির পূর্বাভাস? (West Bengal Weather) 

    দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ অংশেই হলুদ সতর্কতা থাকছে। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রাজ্যের (West Bengal Weather) বাকি জেলাগুলিতেও থাকছে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে সেখানে ঝোড়ো হাওয়ার গতি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার থাকবে। তবে কলকাতা (Kolkata Weather), হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে রবিবারের পর আর ঝড়বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই।
    অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও রয়েছে ঝড়বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা। উত্তরবঙ্গে বজ্রপাতের তীব্রতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া কোনও কোনও জায়গায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় কিছু কিছু স্থানে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেকারণে ওই জেলাগুলিতে জারি থাকছে হলুদ সতর্কতা।  

    আরও পড়ুন: অনুব্রতের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা! কটাক্ষ বিরোধীদের

    কলকাতার আবহাওয়া (Kolkata Weather)

    রবিবার সকাল থেকেই কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। যদিও বেলা বাড়লে সম্পূর্ণ মেঘলা আকাশের দেখা মিলেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বিকেলের দিকে শহরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইবে। এরপর সোমবার থেকে আবার ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হবে তাপমাত্রার পারদ। তবে রবিবারে শহর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি কম। আর দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.৭ ডিগ্রি কিম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা! কটাক্ষ বিরোধীদের

    Anubrata Mondal: অনুব্রতের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা! কটাক্ষ বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Bribhum) জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)বোলপুরের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’-এর পতাকা। অনুব্রত জেলবন্দি থাকলেও পুলিশের নিরাপত্তাতেই রয়েছে দাপুটে এই তৃণমূল নেতার বাড়ি। কিন্তু তার মধ্যেই শনিবার সকালে দেখা গেল অন্য ছবি। পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেও অনুব্রতর বাড়ির ছাদে উড়ল গেরুয়া পতাকা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। 

    কে লাগাল পতাকা? (Anubrata Mondal)

    এক বছরের বেশির সময় বোলপুরের এই বাড়িতে নেই অনুব্রত (Anubrata Mondal) ও তাঁর কন্যা সুকন্যা। তিহাড় জেলে বন্দি তারা। তাঁর স্ত্রী গত হয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে। তবে কে লাগাল পতাকা? আগে একটা সময় ওই বাড়ির নীচে লাইন পড়ত মানুষের। এখন ফাঁকা পড়ে বাড়ি। নিরাপত্তারক্ষীরাই পাহারা দেন। মাঝে মাঝে আত্মীয়স্বজনরা আসেন। এছাড়া বাড়ির কাজের লোকেরাও মাঝে মধ্যে এসে ঘর পরিষ্কার করেন। তা ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার নেই ওই বাড়িতে। বেশিরভাগ সময়েই তালবন্ধই হয়ে পড়ে থাকে। তালে  ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা ছাদের মাথায় কে লাগিয়ে গেল তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। নিরপত্তারক্ষীরাও জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না।    
    সম্প্রতি বীরভূমে (Bribhum) ভোট প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেষ্ট (Anubrata Mondal) ও তার মেয়েকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যাতে সে তৃণমূল করতে না পারে…আমি আপনাদের বলছি, দেখে নেবেন ভোটের পর ওদের ছেড়ে দেবে।”

     বিরোধীদের দাবি

    এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমের মতো বিরোধীদের দাবি, বিজেপির সঙ্গে তলায় তলায় বোঝাপড়া রয়েছে তৃণমূল নেতাদের। তারই প্রকাশ হল ছাদের পতাকায়। বীরভূম (Bribhum) সিপিএম এর জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “ওদের সম্মতিতে এটা ঘটেছে। আমার কাছে যা খবর আছে তাতে মনে হয় ওদের পরিবারের লোকেরা তলে তলে বিজেপি করছে। এখন তৃণমূলের যা অবস্থান তাতে রাম নবমীর পতাকা ওরাই ঝোলাবে। আগে থেকে সবাই বুঝতে পারছেন যে, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেই বেরোনোর ছাড়পত্র পাওয়া যাচ্ছে। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরাও যোগাযোগ রাখছেন। ফলে অনুব্রত (Anubrata Mondal) যদি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বেরিয়ে আসেন, তা হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।” অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা জয়দেব মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আগেই বোলপুর এসে অধীর চৌধুরী বলে গিয়েছিলেন যে, অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) জেল থেকে বের হতে গেলে হাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে বেরোতে হবে। ফলে সে রকম কোনও ঘটনা ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।”

    আরও পড়ুন: “সকলে টাকা পায়, আমি কেন পাই না?”, ভোটপ্রচারে নেমে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী!

    যদিও  এপ্রসঙ্গে দলের মুখপাত্র জামশেদ আলি খান বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ। ফলে তাঁর বাড়িতে যদি জয় শ্রীরামের পতাকা ওড়ে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর রাম তো কারও একার নয়, বাড়িতে রামের পতাকা ঝুলবে, এতে অবাক হওয়ার কী আছে?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Satabdi Roy: “সকলে টাকা পায়, আমি কেন পাই না?”, ভোটপ্রচারে নেমে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী!

    Satabdi Roy: “সকলে টাকা পায়, আমি কেন পাই না?”, ভোটপ্রচারে নেমে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দফার ভোট (Lok Sabha Vote 2024) ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। সামনেই রয়েছে চতুর্থ দফার ভোট। আর চতুর্থ দফার ভোটে অন্যান্য কেন্দ্রের সঙ্গে ভোট রয়েছে বীরভূমেও। তাই ভোটপ্রচারের শেষ দিনে ঝড় তুলেছিলেন বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। কিন্তু, থমকাতে হল মগদমনগরের রাস্তায়। বিদায়ী সাংসদ এবং লোকসভার প্রার্থী শতাব্দীকে সামনে পেয়ে একের পর এক দাবি শোনাতে থাকেন গ্রামের মহিলারা।

    শতাব্দীকে ঘিরে আবারও বিক্ষোভ (Satabdi Roy)

    বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল প্রার্থী তথা তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায়। এবারের লোকসভা ভোটেও তৃণমূল তাঁকেই প্রার্থী করেছে। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ভোটের ময়দানে প্রচারে নেমে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বিদায়ী সাংসদকে (Satabdi Roy)। আর এবারও ঘটল সেই একই ঘটনা। প্রচারে নামতেই তাঁকে ছেঁকে ধরলেন গ্রামবাসীরা।

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ 

    উল্লেখ্য চতুর্থ দফার ভোট (Lok Sabha Vote 2024) প্রচারের আগে শনিবার প্রচারে নামেন শতাব্দী। কিন্তু মহম্মদবাজার ব্লক এলাকার মগদমনগর গ্রামে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাকে (Satabdi Roy)। পানীয় জলের সমস্যা, এলাকায় উন্নয়নে খামতি, রাস্তাঘাট খারাপ-সহ একাধিক অভিযোগ শুনতে তাঁকে। যদিও সকলেরই অভিযোগ মোটামুটি এক—পানীয় জলের সমস্যা। সঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা না পাওয়ার অভিযোগও উঠল। কেউ কেউ অভিযোগ করলেন, বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন না। 
    এ প্রসঙ্গে,স্থানীয় বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী পিয়া সর্দার বলেন, “সকলে টাকা পায়, আমি কেন টাকা পাই না? আমার স্কুলের সকলে টাকা পায়, অথচ আমি ক্লাস সিক্স থেকে টাকা পাই না। ওনাকে বললাম সেটাই। উনি তো কিছুই বললেন না।” অন্যদিকে এলাকার আরেক মহিলার অভিযোগ, “দিদি (Satabdi Roy)কিছু শোনেই না। কথাই বলতে পারলাম না। আমাদের কথা শুনবে না তো কার কথা শুনবে? কিছুই পাইনি আমরা।”
    যদিও এই বিক্ষোভের পরিস্থিতি এলাকার নেতারা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বিক্ষোভের সময় গাড়ি থেকে নামেননি শতাব্দী (Satabdi Roy)। গাড়িতে সামনের সিটে বসে ছিলেন তিনি।  জানলা দিয়ে মুখ বার করে সবাইকে শান্ত হওয়ার আবেদন করেন তিনি। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও কথা বলেননি শতাব্দী। তার পর গাড়ির জানলা দিয়ে সবাইকে হাতজোড় করে নমস্কার জানিয়ে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান। 

    আরও পড়ুন: রাস্তার কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, ফের প্রচারে বেরিয়ে তোপের মুখে শতাব্দী

    রাস্তা ও জল নিয়েই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ

    এর আগেও প্রচারে নেমে গ্রামবাসীদের প্রচুর অভিযোগ শুনতে হয়েছিল শতাব্দী রায়কে (Satabdi Roy)। রাস্তা ও জল নিয়েই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলির দিকে। যেখানেই গেছেন শতাব্দীকে সামনে পেয়ে রীতিমতো অভিযোগের ডালা সাজিয়ে ধরেছেন গ্রামবাসীরা। আবাসন প্রকল্পে ন্যায্য প্রাপকেরা বঞ্চিত হয়েছেন এই অভিযোগও এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যার কথা বললেও এই সমস্যার সুরাহা হয়নি এলাকায়। বহু গ্রামে ইটের রাস্তা রয়েছে, নেই কোনও পাকা রাস্তা,এমনও অভিযোগ রয়েছে।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panihati: ভোটের মুখে পানীয় জলের দাবিতে পানিহাটিতে অনশনে নামল পুরবাসী, চাপে তৃণমূল!

    Panihati: ভোটের মুখে পানীয় জলের দাবিতে পানিহাটিতে অনশনে নামল পুরবাসী, চাপে তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। পানীয় জলের দাবিতে পানিহাটি (Panihati) পুরসভার বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। ভোটের আগে মুখ পুড়েছিল তৃণমূলের। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে নামলেন পুরসভার বাসিন্দারা। আর এই ঘটনায় জোর ধাক্কা খাবে তৃণমূল। এমনটাই মনে করছে বিজেপি।

    পানীয় জলের দাবিতে অনশনে বাসিন্দারা (Panihati)

    দরবার করেও মিলছে না পানীয় জল। নিরুপায় এলাকাবাসী জলের দাবিতে এবার আমরণ অনশন শুরু করলেন। ঘটনাস্থল পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুনীত বন্দ্যোপাধ্যায় রোড। পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে শনিবার থেকে তারা লেপ কম্বল নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন। লোকসভা ভোটের মুখে এহেন অনশন ঘিরে ফের প্রকাশ্যে এসেছে পানিহাটি পুরসভার বেআব্রু চিত্র। শাসক দলকে বেকায়দায় ফেলতে বিরোধীদের কটাক্ষ, যদি মানুষকে পরিষেবাই দিতে না পারে তাহলে পুরসভা রেখে লাভ কি? বরঞ্চ পুরসভাটাই তুলে দিক। গত মাসের ১৯ ও ২০ তারিখ পরপর দুদিন পানীয় জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ঘোলা গার্লস হাইস্কুল সংলগ্ন সুনিত বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের বাসিন্দারা। পানিহাটি পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের শুধু ওই এলাকায় নয়, মহম্মদ কালাচাঁদ রোড, পূর্বাঞ্চল, দ্বারিক বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের বাসিন্দারা গত কয়েক মাস ধরে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন। সমস্যায় পড়েছেন বিস্তীর্ণ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এমন অবস্থা হয়েছে খাওয়ার জল থেকে স্নান, কাপড়া কাচার জলও কিনতে হচ্ছে। স্থানীয় পুরসভা থেকে দিদিকে বলো এমনকী ঘোলা থানাতে  বিষয়টি জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। তাই এবার আমরণ অনশনের পথ বেছে নিলেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় ক্লাবের মঞ্চে তাবু খাটিয়ে তারা অনশন শুরু করেছেন। বাসিন্দাদের আন্দোলনে সামিল হয়েছেন ওই ক্লাবের সদস্যরাও। যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রয়োজনীয় লিখিত আশ্বাস তারা পাচ্ছেন ততক্ষণ তারা অনশন চালিয়ে যাবেন। তাতে তাদের মৃত্যু হলে হবে।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের নাকি বাড়ি-গাড়ি নেই! সোনা-ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কত জানেন?

    চেয়ারম্যান-বিধায়ক একে অপরের দিকে দায় ঠেলতে ব্যস্ত

    মানুষ সমস্যায় পড়লেও সমস্যার সমাধান না করে পানিহাটির (Panihati) পুরপ্রধান মলয় রায় ও বিধায়ক নির্মল ঘোষ একে অপরের ঘাড়ে দায় ঠেলতে ব্যস্ত। বিধায়ক বলছেন, ‘পুরপ্রধানের অসুস্থতার কারণে সমস্যার দিকে তিনি নজর দিতে পারছেন না। এবার আমাকেই হস্তক্ষেপ করতে হবে। আমি অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলবো’। আবার পুরপ্রধান বলছেন, ‘ বিধায়ক আমার অসুস্থতার কথা বলে আদতে পুরসভা এবং দলকে বিড়ম্বনায় ফেলছেন। কিন্তু ব্যর্থতা কোথায় তা খুঁজে বের করছেন না’। যা শুনে বাসিন্দারা বলছেন, ‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়’। বিরোধীদের কটাক্ষ, আসলে সমস্যার মেটানোর নামে তৃণমূলেরই একপক্ষ অপর পক্ষকে দোষারোপ করে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে টিকে থাকতে চাইছে। যার ফল ভুগছে সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: “প্রতারক মুকুটমণিকে একটাও ভোট দেবেন না”, আর্জি তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রীর

    Ranaghat: “প্রতারক মুকুটমণিকে একটাও ভোট দেবেন না”, আর্জি তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রতারক মুকুটমণিকে একটাও ভোট দেবেন না।” শনিবার বিকালে রানাঘাটে (Ranaghat) মহাগুরুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে ভোটারদের কাছে এমনই আর্জি জানালেন তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। ভোটের আগেই মুকুটমণি অধিকারীর স্ত্রীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘটনায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে শাসক দল। তৃণমূল প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    মিঠুনের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান (Ranaghat)

    রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রের লোকসভা নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগে বড়সড় চমক দিল বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর স্ত্রী বিজেপিতে যোগদান করলেন। বলিউড সুপারস্টার তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর হাত ধরে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। শনিবার শেষ মুহূর্তের প্রচারে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে ভোট প্রচারে আসেন বিজেপির তারকা ক্যাম্পেনার তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন হেলিকপ্টারে আসার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তিনি সড়ক পথেই নদিয়ার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তাহেরপুরের নেতাজি মাঠে আসেন। সেখানে জগন্নাথ সরকারের হয়ে ভোট প্রচার করেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেই মঞ্চ থেকেই রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের উপস্থিতিতে মিঠুন চক্রবর্তীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। যদিও কিছুদিন আগে মুকুটমণি অধিকারীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের একটি কথা উঠে আসে এবং সূত্র মারফত জানা যায় সেই বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে। এখনও পর্যন্ত খাতায়-কলমে তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীরই স্ত্রী হচ্ছেন স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। তাই ভোটের আগে তৃণমূল প্রার্থী স্ত্রীকে বিজেপিতে যোগদান করিয়ে এক বড়সড় চমক দিল বিজেপি।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের নাকি বাড়ি-গাড়ি নেই! সোনা-ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কত জানেন?

    বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী কী বললেন?

    এদিন মঞ্চ থেকেই স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী বলেন, আমি নিজের ইচ্ছেতেই বিজেপিতে যোগদান করেছি। মুকুটমণি লোভী। তাঁকে ভোট দিলে প্রতারিত হবেন। বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে ভোট দিন। এলাকার উন্নয়ন হবে। যদিও এদিনের এই সভা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সুযোগ-সুবিধা এবং প্রকল্পের কথাও জানান বিজেপি নেতা তথা তারকা ক্যাম্পেনার মিঠুন চক্রবর্তী। তবে, শেষ প্রচারের আগে নতুন চমক এনে ভোট বাক্সে অনেকটাই প্রভাব ফেলবে বিজেপি এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: আজ চতুর্থ দফায় রাজ্যে কোন কোন কেন্দ্রে ভোট, প্রার্থী কারা? জেনে নিন

    Lok Sabha Election 2024: আজ চতুর্থ দফায় রাজ্যে কোন কোন কেন্দ্রে ভোট, প্রার্থী কারা? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ লোকসভা নির্বাচনে চতুর্থদফা ভোট (Lok Sabha Election 2024) গ্রহণ হবে। এই পর্বে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর, নদিয়ার কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট, বীরভূম জেলার বোলপুর ও বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমানের বর্ধমান-দুর্গাপুর ও আসানসোলে ভোটগ্রহণ হবে। ইতি মধ্যে রাজ্যে গত তিন দফায় শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে।

    কোন কেন্দ্রে কে কে প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024)

    বহরমপুর-অধীর চৌধুরী (কংগ্রেস)-ইউসুফ পাঠান (তৃণমূল কংগ্রেস)-নির্মল কুমার সাহা (বিজেপি)

    কৃষ্ণনগর-মহুয়া মৈত্র (তৃণমূল কংগ্রেস)-অমৃতা রায় (বিজেপি)-এস এম সাদি (সিপিএম)

    রাণাঘাট-মুকুটমণি অধিকারী (তৃণমূল কংগ্রেস), জগন্নাথ সরকার (বিজেপি)-অলোকেশ দাস (সিপিএম)

    বর্ধমান পূর্ব-শর্মিলা সরকার (তৃণমূল কংগ্রেস), অসীম সরকার (বিজেপি)-নীরব খাঁ (সিপিএম)

    বর্ধমান-দুর্গাপুর-কীর্তি আজাদ (তৃণমূল কংগ্রেস),দিলীপ ঘোষ (বিজেপি),সুকৃতি ঘোষাল (সিপিএম)

    আসানসোল-শত্রুঘ্ন সিনহা (তৃণমূল কংগ্রেস)-এসএস আহলুওয়ালিয়া (বিজেপি)-জাহানারা খান (সিপিএম)

    বোলপুর-অসিত কুমার মাল (তৃণমূল কংগ্রেস), পিয়া সাহা (বিজেপি), শ্যামলী প্রধান (সিপিএম)

    বীরভূম-শতাব্দী রায় (তৃণমূল কংগ্রেস), মিল্টন রশিদ (কংগ্রেস), দেবতনু ভট্টাচার্য (বিজেপি)

    একনজরে চতুর্থ দফায় হেভিওয়েট প্রার্থীরা

    অধীর চৌধুরী- কংগ্রেস – বহরমপুর (পশ্চিমবঙ্গ)

    অখিলেশ যাদব – সমাজবাদী পার্টি- কনৌজ (উত্তরপ্রদেশ)

    মহুয়া মৈত্র – তৃণমূল কংগ্রেস- কৃষ্ণনগর (পশ্চিমবঙ্গ)

    দিলীপ ঘোষ- বিজেপি- বর্ধমান দুর্গাপুর (পশ্চিমবঙ্গ)

    শত্রুঘ্ন সিংহ – তৃণমূল কংগ্রেস- আসানসোল (পশ্চিমবঙ্গ)

    সোমবার চতুর্থ দফায় বাংলার জন্য কত বাহিনী

    চতুর্থ দফায় (Lok Sabha Election 2024) রাজ্যের মোট ১৫,৫০৭টি বুথে ভোট গ্রহণ হবে। রাজ্যের এই পর্বে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন বেশ তৎপর। বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে মোট ১৫২ কোম্পানি। বীরভূমে ১৩১ কোম্পানি, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটে ৮৮ কোম্পানি, কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলায় ৮১ কোম্পানি, মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় ৭৩ কোম্পানি, রানাঘাট পুলিশ জেলায় ৫৪ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

    আরও পড়ুনঃ “এটাও জেতা সিট, তাই লক্ষাধিক মার্জিনে জিততে চাই”, শেষ বেলার প্রচারে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ

    এই পর্বে মোট স্পর্শ কাতর বুথ

    এই পর্বে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মোট স্পর্শ কাতর বুথের সংখ্যা হল ৩৬০০। তবে কমিশন বীরভূম এবং মুর্শিদবাদে বিশেষ নজর দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্পর্শকাতর বুথের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বোলপুর। সেখানকার ৬৫৯টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে বীরভূমের ৬৪০টি বুথ, বহরমপুরের ৫৫৮টি বুথ, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে ৪২২টি বুথ, রানাঘাটের ৪১০টি বুথ, কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের ৩৩৮টি বুথ, আসানসোলের ৩১৯টি বুথ, বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের ৩০১টি বুথকে স্পর্শকাতর বুথ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ালো তৃণমূল নেতার, শোরগোল

    Malda: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ালো তৃণমূল নেতার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় নাম জড়ালো তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেনের। টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে টাকা ফিরিয়ে না দিতে চাওয়ার অভিযোগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়েছে মালদার (Malda) গাজোল ব্লকে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Malda)

    অভিযোগকারীর নাম সুকুমার বালো। তাঁর বাড়ি গাজলের (Malda) শংকরপুর এলাকায়। তিনি বলেন, আমার স্ত্রীকে ২০১৬ সালে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে গাজলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন আমার কাছ থেকে ১২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নেয়। প্রাথমিক চাকরি পদে নিয়োগের নিয়োগ পত্র দেওয়া হয় আমাকে। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে গাজোলের একটি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন আমার স্ত্রী। তারপর দুই সপ্তাহ পর এসআই অফিস থেকে নিয়োগ পত্রটি দেখতে চাওয়া হয় এবং সেখানেই এসআই অফিস জানিয়ে দেন নিয়োগপত্রটি নকল। তাই, সেটি বাতিল করা হয়েছে। তারপর টাকা ফেরতের জন্য গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেনের কাছে আমরা যাই। প্রথমে, টাকা দিতে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে তিনি একটি চেক দেন। কিন্তু, সেই চেক ব্যাংকে জমা দিলে সেই চেক বাউন্স হয়। আমরা সেই বিষয়ে তাকে জানিয়েছি। কিন্তু, তিনি আমাদের টাকা দেননি। অবশেষে মালদা জেলা আদালতে আমরা আদালত মামলা করি। মালদা জেলা আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেয়। অভিযুক্ত মোজাম্মেল হোসেনকে টাকা ফেরতের জন্য জেলা আদালত নির্দেশ দেন। তারপরেও আদালতের নির্দেশকে না মেনে টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আমরা আবারও জেলা আদালতের দ্বারস্থ হই। পাশাপাশি টাকা চাইতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের নাকি বাড়ি-গাড়ি নেই! সোনা-ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কত জানেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন গাজল (Malda) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন। তিনি বলেন, সুকুমার বালো বলে আমি কাউকে চিনি না। এটা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। আমার নাম কে বদনাম করার জন্য এসব করা হচ্ছে। আইন সবার জন্য। যিনি অভিযোগ করেছেন সে ক্ষেত্রে তিনি যদি আমার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন তাহলে আমিও তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দ্বারস্থ হব।

    বিজেপি বিধায়ক কী বললেন?

    গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময়ী দেব বর্মন বলেন, আদালতের নির্দেশের পরও তৃণমূল নেতা টাকা ফেরত দিচ্ছে না। ফলে, অবিলম্বে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hiranmoy Chattopadhyay: প্রচারের মাঝেই আচমকা সেলুনে বিজেপি প্রার্থী, ৮২ দিন পর চুল কেটে চর্চায় হিরণ

    Hiranmoy Chattopadhyay: প্রচারের মাঝেই আচমকা সেলুনে বিজেপি প্রার্থী, ৮২ দিন পর চুল কেটে চর্চায় হিরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের প্রচারে সারাদিন ব্যাপক ব্যস্ততায় প্রচার অভিযানে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiranmoy Chattopadhyay)। দলীয় কর্মসূচি, রোড শো, পথসভা, জনসভা ইত্যাদির চাপে ঠিক নেই স্নান-খাওয়ার সময়। এমনকী চুল কাটারও সময়ও পাননি তিনি। অবশেষে নির্বাচনী ব্যস্ততার মধ্যে আজ ৮২ দিন পর চুল কেটে চাঞ্চল্য ফেলে দিলেন এই প্রার্থী। আজ দাসপুরের হরিরামপুরে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন হিরণ। সেখানেই হঠাৎ এলাকার একটি সেলুনে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর সেখানে কেটে ফেললেন নিজের চুল-দাড়ি। বিজেপির এই তারকা প্রার্থী হিরণকে দেখতে পেয়ে বেজায় খুশি সেলুনের মালিক রতন নাপিত। এলাকায় এই নিয়ে ভোটের প্রচার জমে উঠেছে।

    অভিনব ভোট প্রচার (Hiranmoy Chattopadhyay)

    ঘটালের প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiranmoy Chattopadhyay) নাপিতের দোকানে গেলে আসে পাশের অনেক মানুষ তাঁকে দেখার জন্য ভিড় জমান। দোকানের নাপিত বলেন, “আগে এত বড় মাপের কেউ আমাদের এই দোকানে আসেননি। খুব ভালো লাগছে।” ইতিমধ্যে তাঁকে দেখতে আসা প্রার্থীরা জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে শুরু করে। অনেকেই তাঁকে ফুলের মালা পড়িয়ে দেন। উল্লেখ্য একই ভাবে নির্বাচনী প্রচারে অভিনব প্রচার করে তাক লাগিয়েছিলেন দক্ষিণ মালদার প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র। তিনি দোকানে সবজি বিক্রি করে, চায়ের দোকানে চা বানিয়ে চমক দিয়ে ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ পুলিশকে পেটানোর অভিযোগে গেফতার ৭ তৃণমূল কর্মী, শোরগোল

    কী বললেন হিরণ?

    এদিন চুল কেটে নাপিতকে ১০০ টাকা দেন হিরণ (Hiranmoy Chattopadhyay)। তারপরে বলেন, “আজ ৮২ দিন পর চুল দাড়ি কাটলাম। নির্বাচনের ব্যস্তার জন্য চুল কাটা হয়নি। ৮২ দিন ধরে হেঁটে চলেছি। সকাল ৯ টা থেকে রাত্রি ১১ টা পর্যন্ত প্রচার কাজে থাকি। এই জায়গা দিয়ে যাচ্ছিলাম তাই রতনদা বললেন আমার দোকান দেখে যান। ওর ডাকেই আজ ঢুকে পড়লাম। আগে তো মাটিতে ইটে বসে চুল কাটাতাম। আমি কোনও বড় মানুষ নই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HS Result 2024: রোগে বেঁকে গিয়েছে শিরদাঁড়া, উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৮২ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়েছেন জয়দীপ

    HS Result 2024: রোগে বেঁকে গিয়েছে শিরদাঁড়া, উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৮২ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়েছেন জয়দীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিকের পরেই শরীরে বাসা বেঁধেছিল বিরল রোগ। বেঁকে যাচ্ছিল শিরদাঁড়া। থাবা চওড়া করছিল অ্যানকোলাইসিস স্পন্ডেলাইটিস। যার ফলে পড়াশোনা ভুলতে বসেছিল বালুরঘাটের জয়দীপ সামন্ত। কিন্তু, শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এবার উচ্চমাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট (HS Result 2024) করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সকলকে।

    জয়দীপের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮২ (HS Result 2024)

    মার্কশিট অনুয়ায়ী, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮২। বালুরঘাট হাইস্কুলে প্রথম (HS Result 2024)। এমনকী জেলার মধ্যেও সম্ভাব্য প্রথম বলেই জানা গিয়েছে। মাত্র ৫ নম্বরের জন্য রাজ্যের দশজনের মেধাতালিকায় আসতে পারেনি জয়দীপ। জয়দীপের ইচ্ছে বড় হয়ে আইএএস অফিসার হওয়ার। কাজ করতে চান দেশের জন্য। বালুরঘাট শহরের উত্তরায়ণ ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি জয়দীপের। ছোট থেকেই এলাকায় মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিত তিনি। মাধ্যমিকে পেয়েছিলেন ৬৬০ নম্বর। কিন্তু, মাধ্যমিকের পর থেকে শরীরে বাসা বাঁধে অ্যানকোলাইসিস স্পন্ডেলাইটিস। বেঁকে যাচ্ছিল গোটা শরীর। সোজা হয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতাটাই যেন ধীরে ধীরে উবে যাচ্ছিল। নানা জায়গায় দেখানো হয় ডাক্তার। চলতে থাকে চিকিৎসা। এরইমধ্যে দুয়ারে কড়া নাড়তে থাকে উচ্চমাধ্যমিক। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গী করেই উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় বসেন জয়দীপ। শেষে উচ্চমাধ্যমিক। আসে ৪৮২ নম্বর। বাংলায় পেয়েছেন ৯৫, ইংরেজিতে ৯৭, ইতিহাসে ৯৩, ভুগোলে ৯৮, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৭, দর্শনে ৯৫ নম্বর পেয়েছেন। তাঁর এই তাক লাগানো রেজাল্টে স্বভাবতই খুশি পরিবারের সদস্যরা। খুশি বালুরঘাট হাইস্কুলের শিক্ষকেরাও। খুশির হাওয়া বন্ধু মহলেও।

    বড় হয়ে আইএএস হওয়ার স্বপ্ন

    জয়দীপ বলেন,আমি উচ্চ মাধ্যমিকে মাত্র ৫ নম্বরের জন্য রাজ্যের দশজনের মেধাতালিকায় (HS Result 2024) আসতে পারিনি। মোবাইলের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। পড়াশোনার একঘেয়েমি কাটাতে আমি মোবাইলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিষয় দেখতাম। দিনে ১০ ঘণ্টাও পড়েছি। গত চার বছর ধরে ইউপিএসসি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার বড় হয়ে আইএএস অফিসার হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। আমি দেশের জন্য কাজ করতে চায়। জদীপের বাবা অসিত সামন্ত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তিনি বলেন, ‘বেলুড়ে ইতিহাসে সাম্মানিক স্নাতক নিয়ে পড়ার ইচ্ছে তার। সে যেভাবে এগোতে চায়। তাতেই আমরা তার সঙ্গে আছি। তার এখনও ফিজিওথেরাপি চলছে।’

    ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জের! তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ কমিশনের

    বালুরঘাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কী বললেন?

    বালুরঘাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সৃজিৎ সাহা বলেন, ‘ইচ্ছাশক্তির ওপর ভর করে তার এই অভাবনীয় ফল শুধু পড়ুয়াদের নয় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে আমাকে ও অন্য শিক্ষকদেরও। তিন বছর আগেও জয়দীপের উচ্চতা ছয় ফিটের উপরে ছিল। কিন্তু তার মেরুদন্ড বেঁকে যাওয়ায় এখন উচ্চতা কয়েক ইঞ্চি কমে এসেছে। প্রথম প্রথম হাঁটতে পারলেও এখন আর ঠিকমতো হাঁটতে পারে না। অনেক সরঞ্জাম ও টোটোকে সঙ্গী করে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে কোনও অজুহাত ছাড়াই সে স্কুলে পৌঁছে যেত। তার লড়াইকে কুর্নিশ জানাই।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: পুলিশকে পেটানোর অভিযোগে গেফতার ৭ তৃণমূল কর্মী, শোরগোল

    Murshidabad: পুলিশকে পেটানোর অভিযোগে গেফতার ৭ তৃণমূল কর্মী, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ কর্মীকে এবার মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইতি মধ্যে ৭ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) রানিনগর থানা এলাকায়। শাসক দলের অভিযোগ, অবশ্য দুই পক্ষের কথা না শুনে কেবল মাত্র বাম-কংগ্রেসের কথা শুনেছিলেন পুলিশ। রাজ্যে এই নির্বাচনী আবহের মধ্যে যে পুলিশকে বিরোধীরা দলদাস বলে থাকে, সেই পুলিশ এখন তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত। তাহলে কি পুলিশের উপর বিশ্বাস রাখছে না তৃণমূল? ফলে রাজনীতির একাংশের মানুষ বলছেন পুলিশ যদি নিজেই সুরক্ষিত না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষকে কীভাবে নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Murshidabad)?

    কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মারধর করার ঘটনায় মোট সাত জন পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা ঘটেছে রানিনগর (Murshidabad) থানার মালিবাড়ি-১ অঞ্চলের মরিচা নিচু পাড়া এলাকায়। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং তাঁর ভাইয়ের নেতৃত্বে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল। তাতে একজন এএসআই, একজন কনস্টেবল এবং একজন সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হন।

    ঠিক কীভাবে ঘটল ঘটনা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৭ মে লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার দিন রানিনগরের (Murshidabad) আমিরাবাদ এলাকায় এক মহিলা তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অভিযোগে বাম-কংগ্রেস জোটের সমর্থকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ওই মহিলা রানিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে পুলিশ মরিচা-নিচুপাড়া গ্রামে গেলে পুলিশ দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন কিন্তু শাসক দল তৃণমূলের অভিযোগ ছিল বাম-কংগ্রেসের কথা বেশি গুরুত্ব দিয়েছে পুলিশ। এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে প্রথমে আটক এবং এরপর তৃণমূলের কর্মীরা চড়াও হয়।

    আরও পড়ুনঃ অভিষেকের নাকি বাড়ি-গাড়ি নেই! সোনা-ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কত জানেন?

    পুলিশের বক্তব্য

    এরপর খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী গ্রামে আটকে থাকা পুলিশ কর্মীদের উদ্ধার করতে ছুটে যায়। পুলিশের বক্তব্য তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ করেছিল পুলিশের উপর। বিক্ষোভ সামলাতে এরপর লাঠিচার্জ করা হয়। ঠিক তারপর শুরু করা হয় গ্রেফতার। অবশ্য স্থানীয় (Murshidabad) তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির আলম বলেন, “পুলিশ সিপিএম এবং কংগ্রেসের দালালি করছে। আমরা এই অন্যায়ের সুবিচার চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share