Tag: West Bengal

West Bengal

  • Sandeshkhali news: সন্দেশখালির ‘ভুয়ো ভিডিও’ প্রসঙ্গে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপির গঙ্গাধর

    Sandeshkhali news: সন্দেশখালির ‘ভুয়ো ভিডিও’ প্রসঙ্গে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপির গঙ্গাধর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে সন্দেশখালি। এবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali news) ভাইরাল হওয়া ‘ভুয়ো ভিডিও’ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল। অভিযোগ, তাঁর ছবি ব্যবহার করে ‘ভুয়ো’ ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। তার পর তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সমাজমাধ্যমে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলার অনুমতি চেয়েছেন গঙ্গাধর। অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালির যে ভিডিও ভাইরাল (sandeshkhali viral video) হয়েছিল তাতে স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে দেখা গিয়েছিল। ভিডিওতে দেখা যায়, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের কাছে তিনি নিজে স্বীকার করছেন, সন্দেশখালির আন্দোলন সাজানো। টাকার বিনিময়ে সেখানকার মহিলারা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং অত্যাচারের ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভিডিওতে বিজেপি নেতা গঙ্গাধরকে বলতে শোনা গেছিল, “বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন অভিযোগকারী মহিলাদের। সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই সাজানো। ২০০০ টাকা দিয়ে তাদের ভুয়ো অভিযোগ করতে বলা হয়েছিল।” এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে। 

    কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ গঙ্গাধর

    এবার সেই ভিডিও ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন গঙ্গাধর। যদিও বিষয়টি নিয়ে ইতমধ্যেই সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তাঁরা। তাই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার জন্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে আবেদন জানান। এই বিষয়ে বিচারপতি বলেন, “কী করে সিবিআই সরাসরি এই ভাবে মামলা নেবে? তাছাড়া সন্দেশখালির সব মামলা এখন ডিভিশন বেঞ্চে। মামলা দায়ের হোক। সোমবার শোনা হবে।” 

    আরও পড়ুন: ভোটের মধ্যেই হুগলিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে আয়কর হানা

    বিজেপির দাবি 

    এ প্রসঙ্গে যদিও ভিডিওটিকে প্রথম থেকেই ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। তৃণমূল ভুয়ো ভিডিও তৈরি করে সন্দেশখালি (Sandeshkhali news) নিয়ে মানুষের ক্ষোভ কমানোর চেষ্টায় রয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rekha Patra: গরিবের মেয়ে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সম্পত্তি কত জানেন?

    Rekha Patra: গরিবের মেয়ে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সম্পত্তি কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন সন্দেশখালির প্রতিবাদী চরিত্র গরিবের মেয়ে রেখা পাত্র (Rekha Patra)। বিজেপির কাছে এই কেন্দ্র ভীষণ আকর্ষণীয়। সম্প্রতি সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের ঘটনায় সারা দেশ ব্যাপি ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তৃণমূলনেতা শেখ শাহজান এবং তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকায়। লোকসভা ভোটে গতকাল নিজের কেন্দ্রে মনোনয়ন করেছেন রেখা পাত্র। মনোনয়ন অনুযায়ী তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কত আসুন জেনে নিই।

    সাধারণ একজন গৃহবধূ (Rekha Patra)

    নিজের মনোনয়নে রেখা পাত্র (Rekha Patra) জানিয়েছেন, তিনি নিজে সাধারণ একজন গৃহবধূ। তাঁর স্বামী সন্দীপ পাত্র। তিনি নিজে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন তাঁর স্বামী। নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে রেখা আরও জানিয়েছেন, উত্তর বউঠাকুরানি এফপি বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করেছেন ২০০৩ সালে। এটাই তাঁর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা।

    নগদ অর্থ কত?

    রেখা (Rekha Patra) তাঁর হলফ নামায় নিজের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে জানিয়েছেন, তাঁর হাতে মাত্র নগদ টাকা রয়েছে তিন হাজার টাকা। তবে নির্বাচনী অ্যাকাউন্ট সহ তাঁর আরও দুটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ওই দুটি অ্যাকাউন্টের মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ১০ হাজার ৭৬৪.৫৪ টাকা। তবে এছাড়া তাঁর হাতে নগদ অর্থ নেই। আবার স্বামী সন্দীপ পাত্রের নামে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৬৯২ টাকা। রেখা পাত্র অথবা স্বামীর কাছে এর বাইরে কোনও টাকা নেই। নগদ টাকা ছাড়া ফিক্সড ডিপোজিট, অলংকার নেই। সেই সঙ্গে কোনও যানবাহন নেই বলে জানিয়েছেন রেখা।

    আরও পড়ুনঃভোটের মধ্যেই হুগলিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে আয়কর হানা

    স্থাবর সম্পত্তি কত?

    রেখা পাত্র (Rekha Patra) এবং তাঁর স্বামীর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হল দুই জনের নামে কোনও চাষের জমি নেই। এছাড়াও অচাষযোগ্য জমিও নেই। তাঁদের কোনও পাকা বাড়ি বা কোনও ঋণ নেই। সব মিলিয়ে স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ শূন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Income tax raid: ভোটের মধ্যেই হুগলিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে আয়কর হানা

    Income tax raid: ভোটের মধ্যেই হুগলিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে আয়কর হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করতেই হুগলিতে আয়কর দফতরের (Income tax raid) হানা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য বিজেপির নির্দেশেই এই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অপরে বিজেপি নেত্রী লকেট অবশ্য জানিয়েছেন দুর্নীতি করলে কেউ ছাড় পাবে না। ভোটের মধ্যে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে।

    মগড়া ও বাঁশবেড়িয়ায় আয়করের হানা (Income tax raid)

    শুক্রবার সকালে হুগলির মগড়া ও বাঁশবেড়িয়ার তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী কমল দাস, বৈদ্যনাথ সাহা, সত্যরঞ্জন শীল, দিলপ্রীত সিংহ, অভিজিৎ ঘটক সহ একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এবং অফিসে হানা (Income tax raid) দিয়েছে আয়কর দফতর। আয়কর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। উল্লেখ্য গত ৩ এপ্রিল তারিখে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। এই ব্যবসায়ীরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছিল। এরপর থেকেই হানা বলে মনে করা হচ্ছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় জেলার হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, “ব্যবসা করা কী অপরাধ? নাকি তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ হওয়ায় অপরাধ? বিজেপির নেত্রী আগেই বলে রেখেছেন ইডি কোথায় যাবে। এছাড়াও আয়কর দফতর (Income tax raid) কোথায় যাবে এই কথাই ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সমস্ত এজেন্সি এখন বিজেপির হয়ে কাজ করছে।”

    আরও পড়ুনঃ “শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর তুলে নিতে বলেছিল পুলিশ”, বিস্ফোরক রেখা পাত্র

    কী বললেন লকেট?

    আয়কর দফতরের (Income tax raid) হানা প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সিন্ডিকেট তোলাবাজি চলছে। যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের ছাড়া যাবে না। দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন না খাবো, না খেতে দেবো। আমরা তাঁর সৈনিক। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে। রাজ্যের দুর্নীতি, গুন্ডাগিরি, মাফিয়ারাজ চলছে রাজ্যে। এই অপ শাসনের শেষ দেখতে চাই। দুর্নীতির করলে কেউ ছাড় পাবন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: গরমে  ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    Siliguri: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমের মধ্যে শুক্রবার থেকে আগামী ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শহর শিলিগুড়ি (Siliguri)। পুরসভার তরফে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সে কথা জানানো হয়েছে। ফলে, চরম দুর্ভোগের আশঙ্কা শহরবাসীর। পুর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন পুরবাসী।

    কেন জল সঙ্কট? (Siliguri)

    তিস্তা মহানন্দা ক্যানেল থেকে শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জল নেওয়া হয়। গত পুজোর আগে সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে গজলডোবার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শুক্রবার থেকে সেই বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হবে। বাঁধ মেরামত করার জন্য গজলডোবা ব্যারেজের সব স্লুইস গেট খুলে জলস্তর নামানো হয়েছে। এই তাই বাঁধ মেরামত চলাকালীন তিস্তা থেকে আর জল পাওয়া যাবে না।

      মেয়র কী সাফাই দিলেন?

    মেয়র গৌতম দেব বলেন, গজলডোবায় তিস্তা ব্যারেজে বাঁধ মেরামতির কাজ করতেই হবে।  না হলে এই বর্ষায়  বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে যাবে। প্রচুর মানুষ  ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। সেই বিপর্যয় এড়ানোর জন্যই এই বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে। তবে, মানুষ যাতে নির্জলা না থাকে তারজন্য শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় ২১ টি জলের ট্যাঙ্ক রাখা থাকবে। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের তরফে ১ লক্ষ জলের পাউচ বিলি করা হবে। তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতি দেখা দিত না। বামেরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার সময় শিলিগুড়ির পানীয় জল প্রকল্পের বিকল্প জলাধার তৈরি করেনি। বিকল্প জলাধার থাকলে এধরনের পরিস্থিতির জন্য আগাম জল ধরে রেখে তা দিয়ে সমস্যার সমাধান করা যেত।

    আরও পড়ুন: “নৈহাটিতে সব থেকে বেশি ভোটে হারবে তৃণমূল,” ঘোষণা অর্জুনের

    জল সঙ্কটের জন্য দায়ী তৃণমূল, বলছে  বিজেপি

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপি কাউন্সিলর অমিত জৈন এই পরিস্থিতির জন্য মেয়রের অযোগ্যতাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, গত একমাস ধরে শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জলের সঙ্কট চলছে। ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য মেয়র ও তাঁর কাউন্সিলররা কাজ করেননি। সেই ব্যর্থতাকে আড়াল করতে তিস্তা বাঁধ মেরামতকে অজুহাত করা হচ্ছে। ছ’মাস আগে কেন বাঁধ মেরামত করা হল না? কেন্দ্রীয় সরকার অম্রুত-২ প্রকল্পে শিলিগুড়ি পুরসভার জল প্রকল্পের জন্য টাকা অনুমোদন করেছে। সেই টাকা পেয়েও মেয়র কাজ শুরু করতে পারেনি। একাধিকবার টেন্ডার ডেকেও বিডার পাওয়া যায়নি। ২০১১ সাল থেকে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।  গৌতম বাবু ১০ বছর মন্ত্রী ছিলেন। তাহলে তিনি নিজের শহরের জন্য পানীয় জল প্রকল্পের ব্যাপারে উদ্যোগ নেননি কেন? আসলে রাজনীতি, দলবাজি করার করতে গিয়ে তিনি  শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জল সমস্যাকে জটিল করেছেন। তার জেরে এখন তীব্র গরমে শহরবাসীকে জলকষ্টে থাকতে হচ্ছে।  তিনদিনের মধ্যে যদি শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক না হয়, তাহলে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাস্তায় নামব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে বেধড়ক মার খেল পুলিশ, জখম ১৩ জন, শোরগোল

    South 24 Parganas: মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে বেধড়ক মার খেল পুলিশ, জখম ১৩ জন, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসামাজিক কাজকর্ম রুখতে পুলিশের ওপর মানুষের সব থেকে বেশি আস্থা। সেই অসামাজিক কাজকর্ম রুখতে গিয়ে মাদক কারবারীদের হাতে বেধড়ক মার খেতে হল পুলিশকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুর থানার বৃন্দাখালি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকও আক্রান্ত হয়েছেন। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ কর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    বৃহস্পতিবার বিকালে বারুইপুর থানার (South 24 Parganas) পুলিশের কাছে খবর আসে বৃন্দাখালি গ্রামপঞ্চায়েতের একটি বাড়িতে প্রচুর মাদক মজুত করা রয়েছে। মজুত থাকা মাদক উদ্ধার করতেই বারুইপুর থানার পুলিশের একটি বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। অভিযোগ, মাদক কারবারীর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময়ই আচমকা একদল দুষ্কৃতী পুলিশ কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। লাঠি, বাঁশ, রড, বটি নিয়ে হামলা চালানো হয়। হামলা চালানোর পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীকে ঘিরে ফেলে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে ১২-১৩ জন পুলিশ আক্রান্ত হন। শাবল, লাঠি নিয়ে তাড়া করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের তালিকায় ৪ জন সাব-ইন্সপেক্টর, ৩ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব- ইন্সপেক্টর-সহ মোট ১৩ জন পুলিশ কর্মী রয়েছেন। এরপর সন্ধ্যায় এসডিপিও বারুইপুর অতীশ বিশ্বাস ও আইসি বারুইপুর সৌম্যজিৎ রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আহত পুলিশ কর্মীদের উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: “নৈহাটিতে সব থেকে বেশি ভোটে হারবে তৃণমূল,” ঘোষণা অর্জুনের

    হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি স্থানীয়দের

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বহুদিন ধরে এই এলাকায় মাদক কারবার চলে। বহুবার অভিযোগ করেও কোনও কাজ হয়নি। পুলিশের একাংশের মদতেই এসব কারবার চলত। মাদক কারবারীদের প্রশয় দেওয়ার উচিত শিক্ষা পুলিশ পেল। তবে, পুলিশই আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। কারণ, মাদক কারবারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে যাবে। অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর তুলে নিতে বলেছিল পুলিশ”, বিস্ফোরক রেখা পাত্র

    Sandeshkhali: “শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর তুলে নিতে বলেছিল পুলিশ”, বিস্ফোরক রেখা পাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হলেন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। উল্লেখ্য সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) নারী নির্যাতন এবং জমি জবর দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী নারী চরিত্র ছিলেন এই রেখা। তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন, “পুলিশ শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর তুলে নিতে বলেছিল।” সম্প্রতি দেশ  জুড়ে সন্দেশখালির ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল। দেশের প্রধানমন্ত্রী সরব হয়েছেন তৃণমূলের এই অপ শাসনের বিরুদ্ধে। 

    ঠিক কী বললেন রেখা (Sandeshkhali)?

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) প্রসঙ্গে রেখা পাত্র এবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “আমরা যখন আন্দোলন করেছিলাম, সেই সময় পুলিশ আমাকে থানায় ডেকে শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর তুলে নিতে বলেছিল। পুলিশ আরও বলে দরখাস্ত লিখে জমা দিন যে শাহজাহান কোনও দুর্নীতি করেননি, সন্দেশখালিতে কোনও রকম জোরজুলুম করেনি তৃণমূল। আমাদের আন্দোলন তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। একটা পুরাতন ভিডিও নিয়ে এখন আমাদের আন্দোলনকে অসম্মান করছে তৃণমূল। সন্দেশখালির মা-বোনকে অসম্মান করেছে তৃণমূল।” এই মন্তব্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে রাজ্য জুড়ে।

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান

    এবার নির্বাচনের মধ্যেই সুন্দরবনে তৃণমূলে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের যোগেশগঞ্জ পঞ্চায়েতের সিপিএম ও টিএমসি থেকে ১৫০ থেকে ২০০ পরিবার যোগ দিলেন বিজেপিতে। তার মধ্যে অন্যতম টিএমসির প্রথম সারির নেতা পলাশ হাউলি রয়েছেন। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মেয়ে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের হাত ধরে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করলেন তাঁরা। সদ্য দল ত্যাগী নেতারা বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কাজের উন্নয়নের জন্য আমরা যোগ দিলাম। বৃহত্তর দল বিজেপিকে আমরা সমর্থন করে আগামী দিনে সুস্থ ভারত গড়তে চাই। পাশাপাশি বলেন বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে একের পর এক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে তাই বাধ্য হয়ে আমরা তৃণমূলক ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করলাম। তৃণমূল দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় বিজেপির হাত শক্ত হল বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

    আরও পড়ুনঃ দুর্গ রক্ষা বোসের! অস্থায়ী কর্মীদের কাজের পর্যালোচনা শুরু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বহরমপুরের মতো বারাকপুরের সিপি-আইসিকেও সরানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বহরমপুরের মতো বারাকপুরের সিপি-আইসিকেও সরানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁথির বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর উপর হামলা করতে গিয়েছিল গামলা হয়ে ফিরে এসেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। যেমন করে বহরমপুর থানার আইসিকে সরানো হয়েছে ঠিক একই ভাবেই বারাকপুরের সিপি এবং অনেক আইসি কেও সরানো হবে। অর্জুন সিং-এর নির্বাচনী প্রচারে বারাকপুরে এসে ঠিক এমন ভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই নির্বাচনী প্রচারে প্রাকৃতিক বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে মানুষের ঢল নেমেছে রাস্তায়। গেরুয়া বেলুন এবং পাতকায় গোটা রাস্তা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এই সভা থেকে দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র নিশানা করেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং-এর সমর্থনে মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে এই মিছিল জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। নৈহাটি সাহেব কলোনি মোড় থেকে শুরু করে সেই মিছিল শেষ হয় নৈহাটির বড় মায়ের মন্দিরে। বিজেপি প্রার্থীর জয় এবং মঙ্গল কামনায় বড় মার মন্দিরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পুজোও দেন। এরপর তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে একযোগে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “কয়লা, বালি, মদ, চাকরি চুরির টাকা আকাশে রেখেছে পিসি ভাইপো। ছোট ছোট শেখ শাহ্‌জাহান সব বিধানসভার মধ্যেই রয়েছে। বহরমপুরের মতো বারাকপুর, রামপুরহাট থানার আইসিকে অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়া উচিত। বিজেপি প্রার্থীদের হামলা করতে গেলে তৃণমূল গামলা হয়ে ফিরে আসবে।”

    আরও পড়ুনঃভক্তদের জন্য সুখবর! অক্ষয় তৃতীয়ায় খুলছে কেদারনাথের দরজা

    আর কী বলেছিলেন

    একই ভাবে বারাসতে রেখা পাত্র এবং স্বপন মজুমদারের সমর্থনে এদিন রোড শো করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “স্বপন মজুমদার হলেন মতুয়া সমাজের প্রতিনিধি। অত্যন্ত যোগ্য ব্যক্তি। মতুয়া সমাজের বিষয় নিয়ে তিনি সর্বত্র সরব। তাছাড়া রেখা পাত্র হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত প্রার্থী। সন্দেশখালি আন্দোলনের শক্তি স্বরূপা হলেন রেখা। দুই জনই জয়ী হবেন। সন্দেশখালির ভিডিও হল ভাইপো এবং আইপ্যাকের করা। ধন্যবাদ জানাই চোর ভাইপোকে আরেকবার সন্দেশখালিকে তুলে ধরার জন্য। বিজেপি জয়ী হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: “নৈহাটিতে সব থেকে বেশি ভোটে হারবে তৃণমূল,” ঘোষণা অর্জুনের

    Arjun Singh: “নৈহাটিতে সব থেকে বেশি ভোটে হারবে তৃণমূল,” ঘোষণা অর্জুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই অর্জুন (Arjun Singh) গড়ে বারাকপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান পর্ব লেগেই রয়েছে। বৃহস্পতিবারই তৃণমূল প্রার্থীর খাসতালুক নৈহাটিতে তৃণমূলে ফের ধস নামল। তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করলেন। বারাকপুরে ভোটের আগে তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়িয়েই চলেছে বিজেপি।

    তিনশো কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে (Arjun Singh)

    বৃহস্পতিবার রাতে নৈহাটির সাহেব কলোনির মোড় থেকে পদযাত্রা শুরুর আগে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুমিত ঘোষ-সহ তিনশো জন কর্মী তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিলেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন বারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh)। কয়েকদিন আগেই এই নৈহাটিতেই যুব তৃণমূলের নেতা সহ বহু কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তার আগেই ভাটপাড়ার তৃণমূলের দাপুটে নেতা কয়েকশো কর্মী-সমর্থক নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। ফলে, ভোটের আগে একের পর এক যোগদান হওয়ায় ভোটের মধ্যে অর্জুন গড়ে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি অনেকটাই বাড়ল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। আগামীদিনে আরও যোগদান করবে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।

    যোগদান নিয়ে কী বললেন অর্জুন?

    বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন,  যাঁরা আদি তৃণমূল, শুরু থেকে তৃণমূল করেছেন, তৃণমূলের জন্য জেল খেটেছেন আজ তাঁদেরই দলে কোনও পাত্তা নেই। মিটিং মিছিলে ডাক পান না। এখন কয়েকজনকে লোক দেখানো করে ডাকছে, তাঁরা বুঝে গিয়েছে ভোট পর্যন্ত তাঁদের গুরুত্ব। তারপর আবার নব্যরা দাদাগিরি করে বেড়াবে। মানুষ আর তৃণমূলকে মেনে নিতে পারছে না। এবার নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। তৃণমূল কংগ্রেস সবথেকে বেশি নৈহাটিতে হারবে। পার্থ ভৌমিক যে কুকর্ম করেছেন তার ফল এখানকার মানুষ বুঝিয়ে দেবেন। নৈহাটিতে, জগদ্দলে তৃণমূলে ধস নেমেছে। শেষ দিন যখন জাল গোটাবো সেদিন দেখবেন কোনও মাছ আর ওদিকে নেই। সব এদিকে চলে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: সৌমেন্দুর রোড শোয়ের আগে বোমাবাজি, তৃণমূলকে দায়ী করে রাস্তা অবরোধ করল বিজেপি

    BJP: সৌমেন্দুর রোড শোয়ের আগে বোমাবাজি, তৃণমূলকে দায়ী করে রাস্তা অবরোধ করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগেই বিজেপির (BJP) রোড শোয়ের আগে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর দুই ব্লকের আড়গোয়াল থেকে ইটাবেড়িয়া এলাকায়। বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BJP)

    ভগবানপুরে বিজেপির (BJP) মিছিলের আগে বোমা ছোড়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভগবানপুর দুই ব্লকের আড়গোয়াল থেকে ইটাবেড়িয়া যাওয়ার সময় সৌমেন্দু অধিকারীর রোড শোর অদূরে রাস্তায় বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। আচমকা বোমের আওয়াজে মিছিলে থাকা কর্মী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলেই অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। এলাকা যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। পরে ক্ষোভে তৃণমূল ও পুলিশকে এরজন্য দায়ী করে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করে। জানা যাচ্ছে, ভগবানপুর বিধানসভা এলাকা ও পটাশপুর থানা এলাকায় বোমাবাজির ঘটনাটি ঘটেছে। বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর রোড শো যাওয়ার আগেই বোম ছোড়া হয় বলে অভিযোগ প্রার্থীর। সৌমেন্দুর গাড়ি বেশ কিছুটা দূরে একটু ফাঁকা দেখেই বোমা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, পরিকল্পিতভাবেই তৃণমূল এই কাজ করেছে। মিছিলের ওপর  বোমা ছোড়া হলে বড় বিপদ হতে পারত। অবিলম্বের অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে।

    আরও পড়ুন: “গরিব বাড়ির মেয়ে রেখাকে দেখে ভয় পাচ্ছেন পিসি-ভাইপো”, তোপ শুভেন্দুর

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাইছি। আর তৃণমূল পায়ে পা লাগিয়ে এভাবে ঝামেলা করতে চাইছে। আমাদের মিছিলের আগে বোমা ছোড়া হল কেন? আসলে তৃণমূল ভয় পেয়েই এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে আমার মনে হয়। ভোটের মুখে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করছে। নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে এর জন্য পদক্ষেপ করার কথা বলব। এটা মেনে নেওয়া যায় না। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, বিজেপি নিজেরা এসব করে এখন তৃণমূলের ওপর দায় চাপাচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করলেই প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • June Malia: জুন মালিয়া পেয়েছেন ২ কোটি! ১৫ কোটির কাজের খতিয়ান, রিপোর্ট কার্ড মিথ্যা বলছে বিজেপি

    June Malia: জুন মালিয়া পেয়েছেন ২ কোটি! ১৫ কোটির কাজের খতিয়ান, রিপোর্ট কার্ড মিথ্যা বলছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক হিসেবে তিনি কতটা যোগ্য তার প্রমাণ দিতে রিপোর্ট কার্ড তৈরি করেছেন মেদিনীপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া (June Malia)। বিধায়ক হিসেবে তিনি এলাকায় কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, তা সবই উল্লেখ করা রয়েছে রিপোর্ট কার্ডে, তা জনসমক্ষে পেশ করা হচ্ছে। কিন্তু, জুন মালিয়ার রিপোর্ট কার্ড নিয়েই উঠল প্রশ্ন তুলল বিজেপি। বিজেপির বক্তব্য, মিথ্যা রিপোর্ট কার্ড পেশ করেছেন জুন মালিয়া। ভোটের আগে রিপোর্ট কার্ডকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি।

     ১৫ কোটির কাজ করেছে বিধায়ক! (June Malia)

    মেদিনীপুর পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ড ও দুটি ব্লক নিয়ে মেদিনীপুর বিধানসভা। গত তিন বছর ধরে মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়ক জুন মালিয়া (June Malia) । গত তিন বছরে তিনি তাঁর বিধানসভা এলাকায় কী কাজ করতে পেরেছেন, তার একটা হিসাব তুলে ধরেছেন এই রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে। তিনি কী কী কাজ করেছেন, তার হিসাব তুলে ধরেছেন একটি পুস্তিকা আকারে। আর সেখানে ১৫ কোটির বেশি হিসাব দেখানো হয়েছে, যা মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকায় কাজ করা হয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: “গরিব বাড়ির মেয়ে রেখাকে দেখে ভয় পাচ্ছেন পিসি-ভাইপো”, তোপ শুভেন্দুর

    রিপোর্ট কার্ড ভুল! সরব বিজেপি

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা মুখপাত্র অরূপ দাসের অভিযোগ, একজন বিধায়ক (June Malia) গত তিন বছরে কত কোটি টাকা পান সরকারিভাবে? নিয়ম অনুযায়ী, তিনি পাবেন তিন বছরে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা, কীভাবে বিধায়ক গত তিন বছরে প্রায় ১৫ কোটি টাকারও বেশি হিসাব দেখাচ্ছেন তিনি। আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিজের প্রকল্প হিসাবে দেখাচ্ছেন জুন। মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকায় যে সমস্ত জায়গায় সরকারি কাজ  মেদিনীপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা মেদিনীপুর পুরসভা, পঞ্চায়েত করেছে সেই কাজও নিজের বিধায়ক তহবিলের কাজ বলে চালাচ্ছেন বিধায়ক। ভুল রিপোর্ট কার্ড তৈরি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি শুধু অভিযোগই করতে জানে। তারা কাজ করতে জানে না। আমাদের সৎ সাহস রয়েছে, তাই আমরা রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছি। বিধায়ক (June Malia) তাঁর তত্ত্বাবধানে এই সমস্ত কাজ করিয়েছেন তারই হিসাব দিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share