Tag: West Bengal

West Bengal

  • Dev: “কেশপুরে ১০ দিনের মধ্যে খুন হবে বিজেপি, ফাঁসানো হবে তৃণমূলকে!”, দেবের মন্তব্যে পাল্টা এফআইআর হিরণের

    Dev: “কেশপুরে ১০ দিনের মধ্যে খুন হবে বিজেপি, ফাঁসানো হবে তৃণমূলকে!”, দেবের মন্তব্যে পাল্টা এফআইআর হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিজেপি কর্মীর একটা খুন হতে পারে কেশপুরে। আর এই খুনের দায় চাপানো হতে পারে তৃণমূলের উপরে। কিন্তু রাজ্যের তৃতীয় দফা নির্বাচনের পর কেন এমন ইঙ্গিত দিলেন ঘাটাল লোকসভা তৃণমূল প্রার্থী দেব (Dev)? অপরে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় নির্বাচনের পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। ঠিক এর মধ্যেও তৃণমূল নেতার মুখে খুনের ইঙ্গিত! ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    ঠিক কী বলেছেন দেব (Dev)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে তৃণমূল প্রার্থী দেব বললেন, “আগামী ১০ থেকে ২০ মে-র মধ্যে কেশপুরে খুন হতে পারেন এক বিজেপি কর্মী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তাঁর দলের কর্মীরা ষড়যন্ত্র করে খুন করতে পারেন। এই খুনের দায় তৃণমূলের উপর চাপানোর ষড়যন্ত্র চলছে। বিজেপির প্রার্থী হিরণ এবং দল যে ভাবে ঘটাল লোকসভায় জেতার জন্য পড়ে রয়েছেন তাতে কেশপুরে একটা বড় ঘটনা ঘটতে চলেছে। নিজের লোককে মেরে আমাদের লোকজনকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। গত দশ বছর ধরে এলাকাকে আমি শান্ত করে রেখেছি। সন্ত্রাস করার চেষ্টা হতে পারে তাই কমিশন এবং সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়ে রাখলাম।”

    আরও পড়ুনঃ “সুপ্রিম কোর্টে আমার নাম নিয়ে দুই গালে চড় খেয়ে এসেছে”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত দেব!

    এদিকে বিজেপি প্রার্থী হিরণ পাল্টা দেবকে আক্রমণ করে বলেছেন, “আমরা এফআইআর করব। আমি কেশপুরের বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বলছি, সবাই নিশ্চিন্তে থাকুন। কারও দম নেই যে খুন করবে। তৃণমূল খুনের পরিকল্পনা করছে।”দেবের বিরুদ্ধে গরু পাচারের অভিযোগ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগে থেকেই ছিল। একাধিক বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে হাজিরা দিয়ে তলব করেছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দেবের সিনেমায় গরুপাচারের টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। গরু পাচারের টাকা এনামূলের মাধ্যমে এসেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। একই ভাবে এই ঘটাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণও ধারাবাহিক ভাবে গরু পাচার বিষয়ে দেবকে আক্রমণ করেছেন। তাহলে কী দেব নিজের জন সমর্থন কমে গেছে বুঝতে পেরে আগাম বিস্ফোরক বা উস্কানি মূলক মন্তব্য করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন? অবশ্য রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মানুষ এমনটাই মনে করছেন।  তাঁর মন্তব্যে রাজনৈতিক হিংসার ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।          

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: “সুপ্রিম কোর্টে আমার নাম নিয়ে দুই গালে চড় খেয়ে এসেছে”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Ganguly: “সুপ্রিম কোর্টে আমার নাম নিয়ে দুই গালে চড় খেয়ে এসেছে”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রীম কোর্টে এসএসসি মামলা শুনানিতে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নাম ওঠায় তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন এই প্রাক্তন বিচারপতি। মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালা সুপ্রিম কোর্টে উঠলে কয়েকজন আইনজীবী অভিজিৎবাবুর নাম নিয়ে তাঁর রায়কে পক্ষপাতদুষ্ট বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু এই নাম নেওয়ায় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। পাল্টা বিজেপি প্রার্থী এই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তৃণমূলের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে আমার নাম নিয়ে দুই গালে চড় খেয়ে এসেছে।”

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি (Abhijit Ganguly)?

    মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের বেঞ্চে এসএসসি মামলার শুনানি ছিল। শুনানির সময় কিছু তৃণমূল সমর্থিত আইনজীবীর পক্ষ থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নাম তোলা হয়। এমনকী তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন এই বিষয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়। এখানেই থেমে থাকেননি আইনজীবীরা, প্রয়োজনে এই প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থীকে শাস্তি দেওয়ার দাবিও করা হয়। এমন কথা শুনেই তীব্র ভর্ৎসনার মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা মূল বিষয় থেকে সরে যাচ্ছি। এখানে কোনও প্রাক্তন বিচারপতির আচরণ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে না।”

    আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর চাপেই চাকরিহারাদের পাশে এসএসসি, তোপ শুভেন্দুর

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য

    ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “আজ তৃণমূলের উকিলরা আমার নাম করে সুপ্রিম কোর্টে বলতে গিয়েছিল, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলে একজন ছিলেন, তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তখন প্রধান বিচারপতি তাঁদের মুখের ওপরে বলে দিয়েছেন, কাদা ছোড়াছুড়িত জায়গা এটা নয়। এখানে কাদা ছুড়বেন না। এতে তৃণমূলের খুব মন খারাপ হয়েছে। কারণ চোরগুলোকে আমিই ধরা শুরু করেছিলাম।”

    এদিন শুনানিতে ২৫৭৫৩ জনের চাকরি খারিজের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদলত। চাকরিতে এখন বহাল থাকবেন। একই সঙ্গে অযোগ্যদের বেতন ফেরতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদলাত। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে যোগ্য এবং অযোগ্যদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারলে সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের প্রয়োজন নেই।     

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রীর চাপেই চাকরিহারাদের পাশে এসএসসি, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রীর চাপেই চাকরিহারাদের পাশে এসএসসি, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রধানমন্ত্রীদের চাপেই এসএসসির চাকরিহারাদের মধ্যে যোগ্য শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছে এসএসসি কমিশন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঠিক এই ভাবেই আক্রমণ করলেন নির্বাচনী সভা থেকে। গতকাল মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে প্রচারেও গিয়ে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোপ দাগেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    আবার মঙ্গলবার দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৬ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের ওপরে স্থগিতাদেশ বজায় রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য-অযোগ্য মিলিয়ে মোট ২৫৭৫৩ জনের চাকরি আপাতত বাতিল হচ্ছে না। তবে কেউ অযোগ্য বলে বিবেচিত হলে ওই সময়কালে পাওয়া বেতন সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে।

    ঠিক কি বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    পূর্ব বর্ধমানের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বিজেপি যোগ্য চাকরিহারাদের পাশে থাকবে। তাঁদের জন্য বিজেপি বিশেষ লিগাল সেল এবং পোর্টাল খুলবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই সব কিছু করা হচ্ছে। ঠিক তারপরই এসএসসি সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের সংখ্যা জানিয়েছেন। তবে আদলাতের পর্যবেক্ষণ নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে ২ মে ২০২২ সালে যাঁরা মন্ত্রীসভার বৈঠকে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে ছিলেন তাঁদের সবার জেলা থাকা উচিত।”

    আরও পড়ুনঃপ্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনে তারকারাও সমানভাবে দায়ী, জানাল দেশের শীর্ষ আদালত

    প্রধানমন্ত্রী কী বলেছিলেন?

    গত শুক্রবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নদিয়া, বীরভূম এবং বর্ধমানে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় এসএসসি নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি নির্বাচনী প্রচার সভায় বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যাঁরা অকারণে সাজার কবলে পড়েছেন তাঁদের জীবন লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। আমি রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে পরামর্শ দিতে চাই, দুর্নীতির মধ্যে অনেক যোগ্য রয়েছেন। বাকিদের পাপ এই নির্দোষরা ভোগ করছেন। সৎ এবং যোগ্যদের পাশে পার্টি দাঁড়াবে। আমি রাজ্য বিজেপিকে বলছি, রাজ্য স্তরে একটি লিগাল সেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম তৈরী করতে হবে। দুর্নীতির শিকার হওয়া প্রার্থীদের পাশে থাকা দরকার।” এই প্রসঙ্গে মোদি আরও বলেন, “যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্থ তাঁদের সাজা হোক। কিন্তু অনেক সৎ মানুষ আছেন যাঁদের কাছে আসল ডিগ্রি রয়েছে এখন তাঁরা ফেঁসে গিয়েছেন। সৎ লোকেদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি কাজ করবে, এটা মোদীর গ্যারান্টি”। এবার মোদির বক্তব্যকে হাতিয়ার করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ফের রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন এদিন।

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “স্টিং ভিডিওটি পুরোটাই সাজানো,” বলছেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারাই

    Sandeshkhali: “স্টিং ভিডিওটি পুরোটাই সাজানো,” বলছেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিজেপি নেতার স্টিং ভিডিও নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ভিডিও সামনে আসার পর থেকেই বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র থেকে শুরু করে রাজ্যস্তরের নেতারা একে ফেক ভিডিও বলেছেন। এই আবহের মধ্যে সন্দেশখালির নির্যাতিতারা স্টিং ভিডিওকে পুরো ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

    স্টিং ভিডিওটি পুরোটাই সাজানো (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনার পর থেকেই নির্যাতিতারা রাজ্য জুড়ে বিজেপির সভা মঞ্চে গিয়ে তৃণমূলের অত্যাচারের কাহিনি তুলে ধরেছেন। শাহজাহান বাহিনী মহিলাদের ওপর কীভাবে অত্যাচার করেছে তা নির্যাতিতাদের মুখে রাজ্যবাসী শুনেছেন। উত্তরবঙ্গ-সহ একাধিক জেলায় বিজেপির প্রচারে থাকার পরে সন্দেশখালির নির্যাতিতারা ঝাড়গ্রামে এসেছেন। তাঁরা তাঁদের অত্যাচারের কাহিনি শোনাচ্ছেন ও জাগ্রত করছেন অন্য মহিলাদের। ভোট আবহের মধ্যে সম্প্রতি সন্দেশখালিতে বিজেপি নেতার স্টিং-ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিওতে বিজেপি নেতার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শুভেন্দুর পরিকল্পনাতেই টাকার বিনিময়ে সন্দেশখালির মেয়েদের দিয়ে নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ করানো হয়েছে। তবে, শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে দাবি করেছেন, ভিডিওটি ডিপফেক প্রযুক্তিতে তৈরি হয়ে থাকতে পারে। ওই ভিডিও প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামে এসে সন্দেশখালির নির্যাতিতারাও বলেন, “ওই স্টিং ভিডিওটি পুরোটাই সাজানো। তৃণমূলের মন্ত্রীরা চোর। মেয়েদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। হাজার হাজার মহিলা কি মিথ্যা কথা বলছেন?” কারণ, সন্দেশখালির নির্যাতিতারা শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন। ফলে, তাঁদের এই বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে ভিডিও তৈরি করে হারানো মাটি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে।

    আরও পড়ুন: “রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    কী বললেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী?

    বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী পুষ্প চেট্যালের বক্তব্য, “সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতাদের ওপর কী ধরনের অত্যাচার হয়েছে তা তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মহিলাদের শোনাচ্ছেন। এক হাজার টাকার লক্ষ্মীর ভান্ডারের পরিণতি মহিলারা শুনছেন। মহিলারা জেগে উঠছেন। এসব ফেক ভিডিও দেখিয়ে তৃণমূলের কোনও লাভ হবে না। মহিলা ভোট আমাদের পক্ষেই থাকবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফায় ভোটের হার ৬১.৪৫%, প্রথম সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফায় ভোটের হার ৬১.৪৫%, প্রথম সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে ভারতের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) তৃতীয় ধাপ। ৭ মে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের ১০ রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৯৩ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় পর্যায়ে (third phase of Lok Sabha polls) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬১.৪৫%। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ভোটের সময় অশান্তির অভিযোগ ওঠানো হয়েছিল, কিন্তু সে রাজ্যেও নির্বিঘ্নেই মিটেছে তৃতীয় পর্ব।

    তৃতীয় দফায় যে ৯৩টি আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪টির পাশাপাশি গুজরাতের ২৫, কর্নাটকের ১৪, মহারাষ্ট্রের ১১টি, উত্তরপ্রদেশের ১০টি, মধ্যপ্রদেশের ৯টি, ছত্তিশগড়ের ৭টি, বিহারের ৫টি, অসমের ৪টি, গোয়ার ২টি, দাদরা ও নগর হভেলীর ১টি এবং দমন ও দিউয়ের ১টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। 

    তৃতীয় দফায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোট (Lok Sabha Election 2024) 

    লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় পর্বে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৬১.৪৫% ভোট পড়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিহারে ৫৬.০১%, ছত্তিশগড়ে ৬৬.৮৭%, মহারাষ্ট্রে ৫৩.৪০%, অসমে ৭৫.২৬%, গোয়ায় ৭৪.২৭%, কর্নাটকে ৬৬.০৫%, মধ্যপ্রদেশে ৫৫.১৩%, উত্তরপ্রদেশে ৬২.২৮%, পশ্চিমবঙ্গে ৭৩.৯৩% এবং গুজরাটে ৫৫.২২% ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। 

    উল্লেখ্য বড় বড় রাজ্যগুলিতে যেখানে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) হার অত্যধিক পরিমাণে কম, সেখানে কার্যত উলটো পথে হাঁটছে বাংলা। প্রথম তিন দফাতেই অসম ও গোয়ার পর বাংলায় ভোটের হার অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। পাশাপাশি মহিলা ভোটারের হারও পুরুষদের তুলনায় বেশি। 

    কোন দফায় কত ভোট পড়ল? 

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা তথ্য অনুযায়ী, ৬১.৪৫% ভোট পড়েছে তৃতীয় পর্বে। ২০১৯ সালে যে পরিসংখ্যান ছিল ৬৭.৩৩ শতাংশ। এবারের প্রথম দফার নির্বাচনে ১০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024) হয়। ভোটের হার ছিল ৬৬.১৪%। আর দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৬৬.৭১%।

    আরও পড়ুন: নির্বিঘ্নেই সাঙ্গ তৃতীয় দফার ভোট, তৃণমূলের গা-জোয়ারি দেখল বাংলা

    সব মিলিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) ১১ কোটির বেশি ভোটার দেশের ১ হাজার ৩৫১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করেছে। এবার ভারতের ৫৪৩ আসনে নির্বাচন হবে সাত ধাপে। চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। শুরু হয়েছে ১৯ এপ্রিল। শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: নির্বিঘ্নেই সাঙ্গ তৃতীয় দফার ভোট, তৃণমূলের গা-জোয়ারি দেখল বাংলা

    Lok Sabha Elections 2024: নির্বিঘ্নেই সাঙ্গ তৃতীয় দফার ভোট, তৃণমূলের গা-জোয়ারি দেখল বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটামুটি নির্বিঘ্নেই শেষ হল তৃতীয় দফার নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। আজ, ৭ মে নির্বাচন হয়েছে দেশের ৯৩টি লোকসভা কেন্দ্রে। কমিশন সূত্রে খবর, বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে প্রায় ৬০.১৯ শতাংশ। মতদানের হারের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি-শাসিত অসম। সব চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে এই রাজ্যে। এখানে বিকেল ৫টি অবধি ভোট পড়েছে ৭৪.৮৬ শতাংশ।

    বাংলায় ভোটের হার (Lok Sabha Elections 2024)

    এদিন ভোট হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের চারটি আসনেও (Lok Sabha Elections 2024)। কমিশন সূত্রে খবর, বিকেল ৫টা পর্যন্ত মালদহ উত্তরে ভোট পড়েছে ৭৩.৩০ শতাংশ। এই সময়ের মধ্যে মালদহ দক্ষিণে পোলিং হয়েছে ৭৩.৬৮ শতাংশ। জঙ্গিপুরে ভোট দানের হার ৭২.১৩ শতাংশ। মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৭৬.৪৯ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের চার কেন্দ্রে সামগ্রিক ভোটদানের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ। এদিন উপনির্বাচন হয়েছে ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রেও। সেখানে ভোটদানের হার ৭৩.৬৮ শতাংশ।

    অভিযোগের পাহাড়

    এই দফায় বাংলার চার কেন্দ্র মিলিয়ে কমিশনের কাছে সব মিলিয়ে জমা পড়ছে ৪৩৩টি অভিযোগ। এর মধ্যে দলগতভাবে অভিযোগ জমা পড়েছে ২৫৩টি। সব চেয়ে বেশি অভিযোগ করেছে সিপিএম। তারা অভিযোগ করেছে ১৬৩টি। কংগ্রেসের অভিযোগের সংখ্যা ২৯টি, বিজেপির ২৭টি এবং তৃণমূলের ১৮টি। এই দফায়ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া নাজিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫৯ নম্বর বুথে এক ভোটারের ভোট দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ। বিষয়টি স্বীকারও করে নিয়েছেন ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার সেলিম রেজা বিশ্বাস।

    আরও পড়ুুন: “গিয়ে দেখি, পুলিশের সামনেই ছাপ্পা মারছে তৃণমূল”, মুর্শিদাবাদে তিক্ত অভিজ্ঞতা ভোটারের!

    মালদহের চাঁচলে আবার বোমা মারার হুমকি দিয়ে তুলে দেওয়া বিজেপির সহায়তা বুথ। কাঠগড়ায় তৃণমূল। চাঁচল বিধানসভার মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুমসাডাঙি ২২১ নম্বর বুথের ঘটনা। বিজেপি কর্মী শঙ্কর দাসের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাবু সরকার দলবল নিয়ে এসে বোমা মারার হুমকি দিয়ে তাঁদের ক্যাম্প তুলে দেয়। মালদহ দক্ষিণের শামসেরগঞ্জের জোতশালীর ১২৫ ও ১২৬ নম্বর বুথে অশান্তি বাঁধানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোট দিতে আসা কংগ্রেসের এক বৃদ্ধ সমর্থককে মেরে পা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শামসেরগঞ্জেরই ২১৯ নম্বর বুথেও। হামলা হয়েছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তিনটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দিকে। যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে তৃণমূল (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ভাটপাড়ায় সভা করতে আসছেন নরেন্দ্র মোদি, মাঠ খুঁড়ে দিল তৃণমূল! নালিশ অর্জুনের

    Narendra Modi: ভাটপাড়ায় সভা করতে আসছেন নরেন্দ্র মোদি, মাঠ খুঁড়ে দিল তৃণমূল! নালিশ অর্জুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর লোকসভায় দলীয় প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে আসছেন নরেন্দ্র মোদি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১২ ই মে বারাকপুর লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং এর সমর্থনে ভাটপাড়া পুরসভার জিলিপি মাঠে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আসার প্রস্তাবিত সেই মাঠ খুঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই অর্জুন সিং বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী সভা করার প্রস্তাবিত মাঠ পরিদর্শন করতে যান। তিনি বলেন, পুরসভার পক্ষ থেকে সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আপাতত তাদের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    ভাটপাড়ার মাঠ খুঁড়ে দেওয়া হয়েছে (Narendra Modi)

    ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় দলীয় প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে ভাটপাড়া জিলিপি মাঠে জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এবারও সেই মাঠকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে বাছাই করা হয়েছে। নিয়ম মেনে দলের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু, আচমকাই তৃণমূল পরিচালিত ভাটপাড়া পুরসভার পক্ষ থেকে গোটা মাঠটি খুঁড়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সামনে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার অর্জুন সিং দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে জিলিপি মাঠ পরিদর্শনে যান। বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী আসবেন সেটা জেনেই পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল এই কাজ করেছে। আসলে বিজেপির প্রতি মানুষেরই আস্থা দেখে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। কারণ, প্রতিদিনই তৃণমূল ছেড়ে দলে দলে মানুষ বিজেপিতে যোগদান করছে। আর সেই আতঙ্ক থেকেই ওরা এসব করছে। বিনয় মণ্ডল নামে দলীয় কর্মীকে তৃণমূলের লোকজন বেধড়ক মারধর করেছে। আমরা থানায় অভিযোগে জানিয়েছি। তৃণমূলের এই ধরনের নোংরামীকে সমর্থন করা যায় না।

    আরও পড়ুন: বুথে গিয়ে হতবাক! প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ মুর্শিদাবাদের বিজেপি প্রার্থীর

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    জগদ্দল বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ভাটপাড়া জগদ্দল এলাকার হাজার হাজার ছেলেমেয়ে ওই মাঠে খেলা করে। মাঠের সংস্কার করার খুবই প্রয়োজন ছিল। তাই পুরসভার পক্ষ থেকে আমরা মাঠ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এখন শুনছি ওই মাঠে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আসছেন। আমরা আপাতত কাজ বন্ধ রেখেছি। প্রধানমন্ত্রী আসার আগে পর্যন্ত মাঠ আমরা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার সমস্ত রকম চেষ্টা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না নেতা–মন্ত্রীরা‌! কড়া সিদ্ধান্ত কমিশনের

    Election Commission: রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না নেতা–মন্ত্রীরা‌! কড়া সিদ্ধান্ত কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রবীন্দ্র জয়ন্তী (Rabindra Jayanti)। আপামর বাঙালির কাছে এই দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এবছর ভোটের আবহের মধ্যেই পড়েছে রবীন্দ্র জয়ন্তী। আর সেই কারনেই এবার রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানেও রাশ টানল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থাকতে পারবেন না বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। কেবল মুখ্যসচিব-সহ সরকারি স্তরের আধিকারিকরা সরকারিভাবে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করতে পারবেন।

    কমিশনের নির্দেশ (Election Commission)

    ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে সাধারণ বাঙালি, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে নেতা–মন্ত্রীরা কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকেন। কিন্তু এবার কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে বা রবীন্দ্র জয়ন্তীর কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না নেতা–মন্ত্রীরা। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী বুধবার রবীন্দ্র সদনে থাকতে পারবেন না। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীও এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না বলেই জানিয়েছে কমিশন (Election Commission)। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত?

    প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছরের মত এই বছরও রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠান হবে রবীন্দ্র সদনে। প্রত্যেক বছরের এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের মন্ত্রীরা। তবে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নির্দেশে এবার সেটি আর হচ্ছে না। কমিশন আরও জানিয়েছে, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির ছবি রবীন্দ্র জয়ন্তী সংক্রান্ত ব্যানার বা হোর্ডিং ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী আচরণ বিধি জারি থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। 

    আরও পড়ুন:সিট বেল্ট বেঁধেও মহাকাশে যাওয়া হল না! শেষ মুহূর্তে বাতিল সুনীতার মহাকাশযাত্রা

    আগেও দেখা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে রাজ্য সরকারকে শর্তসাপেক্ষে ‘‌বাংলা দিবস’‌ পালনের অনুমতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। পয়লা বৈশাখ পালন করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ছিল, সেই অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে থাকবেন শুধুমাত্র সরকারি অফিসাররাই। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট ছিল রাজ্যে। তার আগে ১৪ এপ্রিল ছিল পয়লা বৈশাখ। কিন্তু তাতেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। এমনকী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল বিজ্ঞাপন ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও। আর পয়লা বৈশাখের পর এবার নিষেধাজ্ঞা জারি হল রবীন্দ্র জয়ন্তী (Rabindra Jayanti) পালনের ক্ষেত্রেও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির জবাব দিতে পাল্টা ভিডিও পোস্ট বিরোধী দলনেতার, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির জবাব দিতে পাল্টা ভিডিও পোস্ট বিরোধী দলনেতার, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি ভয় মুক্ত অবাধ নির্বাচন হয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম হারবে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে। কারণ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাতে সাধারণ মানুষকে জতুগৃহ করে রেখেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে ভোট লুট করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও মানুষ নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আছে মামলা আর হামলা। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই তৃণমূলকে তুলোধনা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কোনও কর্মীর মাথা ফাটলে দায়িত্ব আমার (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, মথুরাপুর থানার ওসি আজ হাইকোর্টে শোকজ খেয়েছে। ভাইপোর পি এ কে চুরির টাকা দিয়ে মথুরাপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বাপি হালদার টিকিট নিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর স্ত্রীর চাকরি গিয়েছে আর ৪ তারিখে আপনি গো হারা হারবেন। অন্যদিকে তিনি জানান, এক তারিখ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট রয়েছে, আমি সকাল পাঁচটা থেকে জেগে থাকবো। প্রত্যেকটি বুথ স্তরের কর্মীদেরকে বলবো যেখানেই সিসিটিভির তার ছেড়ে দেবে ক্যামেরার মুখ ঘুরিয়ে দেবে অথবা গন্ডগোল করার চেষ্টা করবে সঙ্গে সঙ্গে ছবি তুলে আমাকে পাঠাবেন আমি পদক্ষেপ নেব। অন্যদিকে, তিনি এও বলেন, কোনও কর্মীর মাথা ফাটলে সেই দায়িত্ব আমার, আমি চৌকিদারের ভূমিকা পালন করব।

    সন্দেশখালির ভিডি ‘ডিপ ফেক’ ভিডিও

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বক্তব্য, সন্দেশখালির ভিডিও শুধু ‘ফেক’ই নয়, ‘ডিপ ফেক’ ভিডিও। আর সন্দেশখালির গঙ্গাধর কয়ালের ‘ডিপ ফেক’ ভিডিও প্রসঙ্গে জুড়ল ক্রিকেটার বিরাট কোহলি, সচিন তেন্ডুলকারের নাম। আর সে নাম শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে বিরাট কোহলির ভিডিও রয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, ৩২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিওটি ডিপ ফেক প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এবং ডিপফেকের যুগে প্রযুক্তিকে তো ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছেই। নাম না করে আই প্যাকের কথাও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেক্ষেত্রে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিঁধেছেন তিনি।

    Every invention has two aspects, it can be used in a positive sense but its misuse can’t be ruled out either.

    In the age of Artificial Intelligence (AI), Deepfake and what not, crooks are misusing the technology for their vested interests.

    Deepfake videos of renowned… pic.twitter.com/RaREW6jnbx

    মমতাকে তোপ

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘মেদিনীপুর আর জঙ্গলমহলের ভোট হয়ে যাবে ২৫ তারিখ। একেবারে আমি পড়ব এখানে। আমি ২৬ তারিখ পাথরপ্রতিমায় সভা করব। কাকদ্বীপ, মন্দিরবাজার, রায়দিঘি, কুলপি, সবার সঙ্গে দেখা করে যাব। ওই দিন সবাইকে আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে যাব। ভোটের দিন ভোর ৫টা থেকে আমি জেগে থাকব। শুধু বুথ নম্বর, পোলিং স্টেশনের নাম আর থানার নাম দিয়ে আমাকে শুধু পাঠাতে থাকবেন। এমন মার হবে, এবারের ভোট বুঝিয়ে দেব আমরা’। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পালটা গদ্দার বলে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘পিসি কালকে বলছে, পিসি – ভাইপো বলছে। নাম বলুক দেখে নেব। ক’দিন আগে আমাকে গদ্দার বলেছিল। আপনি তো সব থেকে বড় গদ্দার।আপনাকে চিনিয়েছে রাজীব গান্ধী, আপনি কংগ্রেসকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। আপনাকে আশ্রয় দিয়েছে অটল বিহারী বাজপেয়ী, আপনি বাজপেয়ীকে ছুরি মেরেছেন’। পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, ‘আপনি বলেছেন, পিসি আর ভাইপোর নাম বলুন, হ্যাঁ আমি বলছি। পিসির নাম মমতা ব্যানার্জি, ভাইপোর নাম অভিষেক ব্যানার্জি। আপনার কী ক্ষমতা আছে করে নিন’। তিনি আরও বলেন, এই জেলায় রোহিঙ্গাদের ঢোকাচ্ছে তৃণমূল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshhkhali Incident: ফের সন্দেশখালিতে সিবিআই! কার বাড়িতে ঢুকল এবার?

    Sandeshhkhali Incident: ফের সন্দেশখালিতে সিবিআই! কার বাড়িতে ঢুকল এবার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও গুলি, বন্দুক উদ্ধার আবার কখনও স্টিং অপারেশন। সপ্তাহে অন্তত একবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। সেই জানুয়ারি মাস থেকে সংবাদ শিরোনামে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার এই প্রত্যন্ত এলাকা। সোমবার ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল হাজির হয়েছে সন্দেশখালিতে। এবার জমি মাফিয়ার খপ্পড়ে পড়া দিনু মন্ডল ও হান্নান গাজির বাড়িতে উপস্থিত হন সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তকারী দলের সদস্যরা।

    দিনু মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই

    এদিন সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল ন্যাজাট থানার শিরিষতলায় দীনু মণ্ডলের বাড়িতে উপস্থিত হন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর শেখ শাহজাহানদের দল বলের বিরুদ্ধে বলপূর্বক (Sandeshkhali Incident) জমি দখলের অভিযোগ ছিল। এর মধ্যে একটি অভিযোগ করেছিলেন দীনু মন্ডল। এদিন তাঁর বাড়িতে জমি সংক্রান্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হন তদন্তকারিরা। স্থানীয় সূত্রে খবর কাগজপত্র দেখানোর পর দিনু মন্ডল নিজের জমিও ঘুরিয়ে দেখান সিবিআই আধিকারিকদের।

    আরও পড়ুন: ভোটের আবহে ২৩টি দেশের ৭৫ জন প্রতিনিধি ভারতে এলেন

    হান্নান গাজির বাড়িতেও সিবিআই

    উল্লেখ্য বসিরহাটে (Basirhat) জমি দখল মামলার তদন্তভার বর্তমানে রয়েছে সিবিআই আধিকারিকদের হাতে। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর ইমেলের মাধ্যমে বলপূর্বক জমি দখলের (Sandeshkhali Incident)  অভিযোগ জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এদিন ন্যাজাট থানার ঝুপখালি এলাকার হান্নান গাজি নামে এক ব্যক্তির বাড়িতেও উপস্থিত হন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানেও জমি জমা দখল সংক্রান্ত অভিযোগ ছিল। অভিযোগ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারিরা। গত মাসে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন এবং জমি সংক্রান্ত মামলার তদন্তভার সিবিআইকে গ্রহণ করতে হবে। এরপর অনলাইনে পোর্টাল খুলে ই-মেল মারফত অভিযোগ গ্রহণ শুরু হয়। প্রায় একশোর কাছাকছি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই সমস্ত অভিযোগের তদন্ত নেমেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। গত বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি কাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট মুখ বন্ধ খামে জমা দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share