Tag: West Bengal

West Bengal

  • Lok Sabha Election 2024: এলাকায় পানীয় জলের অভাব! প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা

    Lok Sabha Election 2024: এলাকায় পানীয় জলের অভাব! প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় পানীয় জলের অভাব! লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিদায়ী সাংসদ। কার্যত দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটা বিস্তৃত এলাকায় তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে। শাসক দল এই সমস্যাকে উপেক্ষা করেছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। তাই এবার জয়নগরের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদকে সামনে পেয়ে এলাকার মানুষ ক্ষোভ উগরে দেন। পাল্টা জল সঙ্কটকে অতরিক্ত গরম বলে উষ্ণায়নকে দুষলেন তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ (Lok Sabha Election 2024)

    গত ১০ বছরে এলাকার সাংসদকে চোখে দেখেননি কেউ। রবিবার সকালে হরিনারায়ণপুরে ভোট প্রচারে (Lok Sabha Election 2024) ভোট চাইতে গেলে এলাকার মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন প্রতিমা মণ্ডল। এলাকায় মানুষের তীব্র জলের কষ্ট, নেই রাস্তায় লাইটের ব্যবস্থা। এই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে ছিলেন অপর আরেক তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। কিন্তু অভিযোগ করার সময় এই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এমনকী বিষয় শেষ পর্যন্ত হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। এরপর প্রতিমা নিজে দুই পক্ষকে সরিয়ে গোলমাল সামাল দেন।

    আবার স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাত কয়াল বলেন, “আমার পাড়ায় একটা আলো নেই। টিপকলের জল আসে না। আমাদের এখানে এক ফোঁটা জলই আসে না। সাংসদ এলাকায় এসেছেন ১০ বছর পরে। ভোটের সময় কাছে পেয়ে তাই সমস্যার কথা তাঁকে বললাম।” আবার আরেক গৃহবধূ বলেন, “এলাকায় কোনও কাজ হয়নি। আমাদের জল একান্ত প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুনঃ এবার যোগ্য শিক্ষকদের পাশে বিজেপি, আইনি সহায়তা দিতে গঠন হল লিগ্যাল সেল

    কী বললেন প্রতিমা?

    এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনে প্রতিমা বলেন,“জলের সমস্যা শুধু এই রাজ্যের সমস্যা নয়, সারা দেশ এবং বিশ্বের মধ্যে এই জলের সঙ্কট রয়েছে। বিশ্বউষ্ণায়নের জন্য তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ছে। ভূগর্ভের জল অনেকটা নেমে গিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) আচরণ বিধি আছে তাই ইচ্ছে থাকলেও নলকূপ বসানো যাবে না। আবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে মানুষের জন্য কাজ করব। এখন পিএইচ থেকে জল বাড়িতে বাড়িতে দেওয়ার কথা বলছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghatal: পানীয় জলের যন্ত্রণায় ভুগছে ঘাটাল! ভোটের মুখে দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঘাটালের ৩০ পরিবারের

    Ghatal: পানীয় জলের যন্ত্রণায় ভুগছে ঘাটাল! ভোটের মুখে দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঘাটালের ৩০ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূর্যের তেজে পুড়ছে গোটা বাংলা। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে জল সংকটে ভুগছে ঘাটাল। তাপমাত্রার পারদ যখন প্রায় ৪০ ডিগ্রি পার করেছে তখন পানীয় জলের সংকটে (Ghatal Water Crisis) নাজেহাল হচ্ছে ঘাটালের (Ghatal) গ্রামবাসী। প্রবল দাবদহের মধ্যে তীব্র পানীয় জলের সঙ্কটে ঘাটালের বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের দন্দিপুর বক্সী পাড়া এলাকার ৩০ পরিবার। 

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিদায়ী সাংসদ দেবকে বিষয়টি একাধিকবার জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি। তাতেই গ্রামে (Ghatal) বিক্ষোভের আঁচ। এলাকার লোকজনের দাবি, আজ নয়, দীর্ঘ ছয় মাসের বেশি সময় ধরে একই অবস্থা এলাকার। কিছুদিন আগেই এলাকায় প্রচারে এসেছেন ঘাটালের দুবারের সাংসদ তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী দেব। তাঁর কাছে জলের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন এলাকার মহিলারা। কিন্তু তারপরেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা। 

    দেবের প্রতিশ্রুতি (Dev) 

    এ প্রসঙ্গে এলাকার (Ghatal) বাসিন্দা অনিমা বক্সি বলেছেন, “কার্তিক মাস থেকে জল নেই। সবাইকে বলেছি। কেউ কিছু শোনেনি। দেবও কদিন আগে এসেছিল। ওকেও বলেছিলাম আমরা। এখন তো এদিক ওদিক থেকে জল এনে কোনওরকমে কাজ চালাচ্ছি।” আর এক মহিলা বলেন, “৬ মাস ধরে জল নেই। বাধ্য হয়ে পুকুরের জল ব্যবহার করছি।” যদিও দেব (Dev) 
    প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইলেকশনের পর কাজ হয়ে যাবে।   

    আরও পড়ুন: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটেও ব্যাপক দুর্নীতি! পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার

    জল সংকটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী (Ghatal) 

    জানা গেছে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে গ্রামে হয়েছিল সজল ধারার কাজ। তবে সূত্রের খবর, বিদ্যুতের বিল সময় মতো না দেওয়ায় সেই সংযোগও বিচ্ছিন হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই আবার এলাকায় পিএইচইর পাইপ লাইনের ট্যাপ কল বসেছে। কিন্তু, জল এখনও আসেনি তাতে। ফলে সমস্যার (Ghatal Water Crisis)সমাধান কিছুতেই হচ্ছে না। এদিকে জল সংকটে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ বেড়ে চলেছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপর। 
    বিষয়টি নিয়ে বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত রায়ের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি আবার বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে দুষছেন। তবে তাঁর আশ্বাস সমস্যার সমাধান দ্রুত হবে। জল পাবে এলাকার মানুষ। কিন্তু, এলাকার (Ghatal) মানুষের দাবি, প্রতিশ্রুতি অনেক পেয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BJP West Bengal: এবার যোগ্য শিক্ষকদের পাশে বিজেপি, আইনি সহায়তা দিতে গঠন করা হল লিগ্যাল সেল

    BJP West Bengal: এবার যোগ্য শিক্ষকদের পাশে বিজেপি, আইনি সহায়তা দিতে গঠন করা হল লিগ্যাল সেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার যোগ্য অথচ চাকরি হারাদের পাশে বিজেপি (BJP West Bengal)। যোগ্য শিক্ষক কিন্তু নিজের চাকরি খুইয়েছেন, এমন শিক্ষকদের আইনি সহায়তা দেবে রাজ্য বিজেপি। আদালতে আইনি লড়াই করার জন্য বিজেপির তরফে তৈরি করা হল লিগ্যাল সেল। পাঁচ সদস্যকে নিয়ে এই সেল গঠন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী বুধবার থেকে চালু করা হবে একটি বিশেষ পোর্টাল।

    করা কারা রয়েছেন এই সেলে (BJP West Bengal)?

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএসসিতে চাকরি হারা শিক্ষকদের মধ্যে যোগ্য শিক্ষকদের আইনি সাহায্য দিতে বিজেপি (BJP West Bengal) রাজ্য স্তরে পাঁচ সদস্যের লিগ্যাল সেল গঠন করেছে। এই সেলের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী তীলক মিত্র, রাহুল সরকার, কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়, সহশ্রাংশু ভট্টাচার্য এবং সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়। আগামী বুধবার থেকে যোগ্য শিক্ষকদের জন্য একটি পোর্টাল খোলা হচ্ছে। নিজের নিজের অভিযোগের কথা জানিয়ে আইনি সহায়তা পেতে পারেন ভুক্তভুগীরা। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।

    বিজেপির বক্তব্য

    রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপির (BJP West Bengal) যে লিগাল সেল রয়েছে, তার পক্ষ থেকে আমরা আজ পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করেছি। একটি পোর্টাল আগামী বুধবার থেকে খোলা হবে। যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে এবং যাঁরা নিজেদের যোগ্য মনে করছেন তাঁরা সকলে এই পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন। নিজের নিজের নাম নথিভুক্ত করে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। দরকার হলে আমরা হাইকোর্টে এবং সুপ্রিম কোর্টে সকলকে সহযোগিতা করব। তবে আইনি খরচ বিজেপির পক্ষ থেকে বহন করা হবে।”

    আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে চালু হবে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’

    মোদি সহায়তা কেন্দ্রের কথা বলে ছিলেন

    রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ায় সরব হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি রাজ্যের নির্বাচন প্রচারে এসে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে অনেক যোগ্য প্রার্থী মুশকিলে পড়েছেন। বাংলার বিজেপি (BJP West Bengal) সভাপতিকে বলেছি যোগ্যদের সহযোগিতা করতে জেলা স্তরে লিগাল সেল এবং একটি সোশ্যাল মিডিয়ার টিম এবং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে।” এবার প্রধানমন্ত্রীর কথায় এই পরিষেবা চালু করল বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Illegal Tree Cutting: বেআইনিভাবে কাটা হয়েছে হাজার হাজার গাছ, সব দেখেও নির্বিকার প্রশাসন!

    Illegal Tree Cutting: বেআইনিভাবে কাটা হয়েছে হাজার হাজার গাছ, সব দেখেও নির্বিকার প্রশাসন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তার পাশেই পড়ে রয়েছে সারি সারি কাটা গাছ। এ ছবি দেখে বিস্মিত হবেন আপনিও। যখন তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছে গোটা রাজ্যবাসী। বারে বারে বলা হচ্ছে বেশি করে গাছ লাগান। তখন এমন ছবি সত্যিই ভাবিয়ে তোলে প্রত্যেককে। এ ছবি অন্য কোথাও নয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ (Kakdwip) বিধানসভার মধুসূদন পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত নম্বর শিবকালী এলাকার ঘটনা। 

    প্রতিবাদ জানাতে গেলেই হুমকি

    রাস্তার পাশে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এইভাবে ১০০০ এরও বেশি গাছ কাটা (Illegal Tree Cutting) হয়েছে। কিন্তু কাটলো কারা? এলাকার মানুষের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশেই রাস্তা হওয়ার দোহাই দিয়ে এই ভাবেই হাজার হাজার গাছ কাটা হয়েছে। এর বেশি আর কিছুই জানে না এলাকার মানুষজন। বেশি কিছু বলতে গেলেই তাদের ওপর হুমকি আসছে বলেও জানান তারা। 

    নির্বিকার প্রশাসন (Illegal Tree Cutting) 

    তবে এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সম্পূর্ণ ঘটনা অস্বীকার করে যান। শরীর খারাপের দোহাই দিয়ে তিনি জানান, তিনি নাকি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। অন্যদিকে এ ঘটনা এলাকার মানুষজন প্রশাসনকে জানাতে গেলে অপরাধীদের বেশ কয়েকজনকে আটক করলেও পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে চালু হবে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’

    মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থীর হুঁশিয়ারি 

    তবে এই বিষয় নিয়ে শাসক দল ও প্রশাসনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী। তিনি বলেন, “শাসকদলের মদত ও প্রশাসনের মদত ছাড়া এমন কাজ (Illegal Tree Cutting) হতেই পারে না। স্থানীয় পঞ্চায়েত অথবা প্রশাসন এই বিষয়টা কি জানতো না? সমস্তটা জেনেও টাকার লোভে চুপ করেছিল।” এই বিষয়ে দোষীরা শাস্তি না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।   
    অন্যদিকে এই বিষয় নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনদপ্তর (Forest department) এর আধিকারিক মিলন মন্ডল কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানায় এই বিষয়ে আমাদের নজরে এসেছে আমরা পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রশাসনকে জানিয়েছি। 
    তবে প্রশ্ন উঠছে পদক্ষেপ নিলেও কি ফিরে পাওয়া যাবে এই হাজার হাজার গাছ? কেন সবটা জানা সত্ত্বেও প্রশাসন প্রথম থেকে পদক্ষেপ নিল না? যখন তীব্র তাপপ্রবাহে বেশি করে গাছ লাগানোর কথা বলা হচ্ছে, তখনই ১০০০ এরও বেশি গাছ নিধন (Illegal Tree Cutting) করা হলো। আগামী দিনে আরও ভয়ংকর দিন দেখতে হবে না তো মানুষকে? 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে চালু হবে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’

    Dakshin Dinajpur: উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে চালু হবে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’ (আইসিপি)-এর জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা প্রশাসনের হাতে এসেছে। তাতে এই প্রশ্ন উঠেছে এবার গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। গত সোমবার কেন্দ্রীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনকে হিলিতে ‘আইসিপি’র জন্য জমি কিনতে ২১ কোটি টাকা পাঠিয়েছে বলে জানান আধিকারিকেরা। হিলিতে ২৫ একর জমিতে ওই সুসংহত স্থলবন্দরের পরিকাঠামো গড়ে ওঠার কথা। উত্তরবঙ্গের মধ্যে হিলিতেই প্রথম এই প্রক্রিয়া শুরু হল। এখন রাজ্যের মধ্যে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’ বা সুসংহত স্থলবন্দর চালু রয়েছে কেবল উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোলে।

    কম দামে মিলবে ‘পদ্মার ইলিশ’ (Dakshin Dinajpur)

    বর্ষার সময় ‘পদ্মার ইলিশ’ পেট্রাপোল (আইসিপি) হয়ে প্রায় সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার পথ ঘুরে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি পৌঁছতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার জন্যই দাম অনেকটা বেড়ে যায়। হিলি (Dakshin Dinajpur) স্থলবন্দর তৈরী হলে পদ্মার ইলিশ এপথে শিলিগুড়ি পৌঁছবে অন্তত ২৫০ কিলোমিটার কম পথ পাড়ি দিয়ে। কেবল ইলিশ নয়, ব্যবসায়ীদের দাবি, আরও বেশ কিছু সামগ্রী বাংলাদেশ থেকে আমদানি শুরু হবে, তেমনই বহু জিনিসের রফতানি বাড়বে। স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত সহজ হবে।

    ব্যবসায়ী সংগঠনের বক্তব্য

    হিলি (Dakshin Dinajpur) রফতানি ব্যবসায়ী সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক ধীরাজ অধিকারী বলেন, “হিলিতে আইসিপি-র দাবি দীর্ঘদিনের। হিলিতে আন্তর্জাতিক ব্যবসা অনেকটাই কমে গিয়েছে। আইসিপি হলে, যদি কিছুটা বাড়ে।” প্রশাসন সূত্রে খবর, হিলি স্থলবন্দরের জন্য প্রথমে জমি চাওয়া হয়েছিল ১০০ বিঘা। কিন্তু অতটা জমি নেই বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়। এখন তার চেয়ে কিছুটা কম জমিতেই (প্রায় ৭৫ বিঘা) হিলি সুসংহত স্থলবন্দর তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে ওই জমি জেলা প্রশাসনের কিনে দেওয়ার কথা।

    হিলি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত আইসিপি-র কথা জানতে পেরে, প্রচুর জমিদাতা জমি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে হিলিতে স্থলবন্দর রয়েছে। যদিও যাত্রীদের জন্য সেখানে সুবিধা কম। পণ্য পরিবহণের ব্যবস্থা থাকলেও হিমঘর, পণ্যের মান পরীক্ষা বা যাচাইয়ের (টেস্টিং ল্যাব) সুযোগ নেই। রাস্তায় খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় শুল্ক বিভাগের আধিকারিকদের। সুসংহত স্থলবন্দর চালু হলে, তাতে মিশে যাবে বর্তমানে হিলি স্থলবন্দরের পুরনো সব ব্যবস্থা। সঙ্গে একছাতার তলায় মিলবে আরও বাড়তি ও আধুনিক পরিষেবা।

    আরও পড়ুনঃ ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটেও ব্যাপক দুর্নীতি! পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার

    জেলা শাসকের বক্তব্য

    দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, “অসুসংহত স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ টাকা দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখন নির্বাচনের জন্য আদর্শ আচরণবিধি চালু রয়েছে। তা শেষ হলেই, জমি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: ফের রাজ্যে মোদি! সভা করবেন হাওড়া ও সিঙ্গুরে

    PM Narendra Modi: ফের রাজ্যে মোদি! সভা করবেন হাওড়া ও সিঙ্গুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যে ভোটপ্রচারে (Lok Sabha Election 2024) আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সঙ্গে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। সবে লোকসভা ভোটের দুদফা মিটেছে। বাংলার ৪২ টি আসনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের ৬ কেন্দ্রে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। আগামী ৭ মে উত্তরে দুই আসনের সঙ্গে ভোটগ্রহণ শুরু দক্ষিণবঙ্গেও। আর তার আগে ফের বঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। 

    হাওড়ায় জনসভা মোদির (PM Narendra Modi)

    রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী শনিবার হাওড়ায় জনসভা করবেন মোদি। ওই দিন মোদির সভামঞ্চে উপস্থিত থাকবেন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী এবং উলুবেড়িয়ার বিজেপি প্রার্থী অরুণ উদয় চৌধুরী। 

    সিঙ্গুরে সভা মোদির  

    বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী শনিবার কলকাতাতেই রাত্রিবাস করবেন মোদি। তার পরের দিনই হুগলি জেলার সিঙ্গুরে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। আগামী ২০ মে হুগলির তিন লোকসভা কেন্দ্রেই ভোট। ওই দিনই নির্বাচন হবে হাওড়া এবং উলুবেড়িয়া কেন্দ্রেও। তার আগে জমি আন্দোলনের জন্য সংবাদ শিরোনামে থাকা সদা আলোচ্য এলাকা সিঙ্গুরে সভা করতে চলেছেন মোদি (PM Narendra Modi)। ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগর, হুগলির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং শ্রীরামপুরের প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু। 
    প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ আরামবাগে সভা করেছিলেন মোদি। এরপর গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। রাজভবনে রাত্রিবাস করে শুক্রবার তিনি (PM Narendra Modi) বর্ধমান, কৃষ্ণনগর এবং বোলপুরে সভা করেন। আর এর এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের হাওড়ায় জনসভা করবেন মোদি।   
    উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) তুলনায় চব্বিশের নির্বাচনে বেশি আসন পেতে জোরকদমে চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। চলতি লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির হয়ে প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ একাধিক শীর্ষ নেতারা। ভোট প্রচারে এসে একাধিক প্রচার সভা থেকে সন্দেশখালি কাণ্ড সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন মোদি। এবার উত্তরের পর দক্ষিণবঙ্গের প্রচারে আসছেন মোদি। এবারে যে পাঁচটি কেন্দ্রের প্রার্থীদের জন্য মোদি সভা করবেন, সেগুলির মধ্যে এক মাত্র হুগলি বাদে বাকি কেন্দ্রগুলিতে গত বার জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। এ বার এই পাঁচটি আসনের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে জয়ের সম্ভাবনা দেখছে বিজেপি। মোদির প্রচার ওই কেন্দ্রগুলির কর্মীদের উজ্জীবিত করবে বলেই মনে করছে বিজেপি।  

    আরও পড়ুন: ৫০-৬০ কিমি বেগে আসছে কালবৈশাখী ঝড়, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কতা জারি দক্ষিণবঙ্গে 

    দিলীপ ঘোষের সমর্থনে জনসভা শাহর 

    মোদির (PM Narendra Modi) পাশাপাশি রাজ্যে একের পর এক নির্বাচনী জনসভা করছেন শাহও। বিজেপি সূত্রে খবর আগামী সোমবার তিনি (Amit Shah) বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সমর্থনে সভা করবেন। ওই সভায় দিলীপের পাশাপাশি উপস্থিত থাকতে পারেন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী আলুয়ালিয়াও। উল্লেখ্য এর আগে গত মঙ্গলবার বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে সভা করেন শাহ। আর এবার দিলীপ ঘোষের সমর্থনে সভা করতে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটেও ব্যাপক দুর্নীতি! পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার

    Calcutta High Court: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটেও ব্যাপক দুর্নীতি! পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে শিক্ষক নিয়োগে যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। ১৭ বার বেআইনি কাজে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। আর তাই যোগ্য-অযোগ্যদের পার্থক্য করতে না পারায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটা বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট মামলায় একই সমস্যার বিষয় এসেছে বিচারপতি রাজ শেখর মান্থার এজলাসে। এই মামলায় বিচারপতি সিবিআই-এর রিপোর্টে অনেক বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। এই মামলায়ও টেটে পাশ করা এবং ফেল করা প্রার্থীদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। ফলে বিচারপতির প্রশ্ন টেটের পরীক্ষা কি আদৌ বৈধ ছিল?

    বিচারপতির প্রশ্ন কী (Calcutta High Court)?

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজ শেখর মান্থা জানতে চেয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কি কখনও আলাদা করে আদলাতে পাশ এবং ফেল করা প্রার্থীদের তালিকা জমা দিয়েছে? না দিলে তালিকা জমা দেওয়ার সম্ভাবনা কতটা রয়েছে? তিনি আরও জানতে চান, যাদের টেটের ফলাফলে ভূয়ো ওয়েবসাইটে নাম দেখানো হয়েছে, যারা ভূয়ো ইমেলে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছে তাদের কি যোগ্য বলে গণ্য করা হবে? বিচারপতি অবশ্য এখনই কোনও রায় দেননি। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে কিছু প্রশ্ন করেন। আগামী জুন মাসে এই মামলার ফের শুনানি হবে।

    চাকরিপ্রার্থী আইনজীবীদের বক্তব্য

    এই বিষয়ে চাকরিপ্রার্থী আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “কারা টেট পাশ করে ছিল এবং কারা টেট পাশ করেনি এই বিষয়ে পর্ষদের কাছে কোনও উত্তর নেই। এখনও পর্যন্ত পৃথক করে দেখাতে পারেনি কোর্টে (Calcutta High Court)। তবে যাদের কাছে উত্তরপত্রের প্রতিলিপি আছে তাদের পাশ-ফেল নিয়ে সন্দেহ থাকার কথা নয়।”

    আরও পড়ুনঃ ৫০-৬০ কিমি বেগে আসছে কালবৈশাখী ঝড়, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কতা জারি দক্ষিণবঙ্গে

    ওএমআর শিট পাওয়া যাচ্ছেনা!

    ২০১৬, ২০২০, ২০২২ সালের নিযুক্ত শিক্ষকেরা অনেকেই ২০১৪ সালের টেটে পাশ করেছিল। আদলাতে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, উত্তরপত্রের ওএমআর শিট পাওয়া যাচ্ছেনা। পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন যে পর্ষদ যে বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানিকে উত্তরপত্র দেখার দায়িত্ব দিয়েছিল, সেই উত্তরপত্র স্ক্যানে গোলমাল হয়েছে। এই কোম্পানি কেন উত্তরপত্র স্ক্যান করে পর্ষদের সরকারি ইমেলে না পাঠিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের ইমেলে পাঠিয়ে ছিল? ফলে দুর্নীতি ছত্রে ছত্রে হয়েছে অনুমান করা হচ্ছে। তাই ২০১৪ সালের টেটের রায় শেষ পর্যন্ত কোন পথে এগিয়ে যায় তাই এখন দেখার।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Viral Video: বিকৃত করা হয়েছে গলার স্বর! অভিষেকের বিরুদ্ধে সিবিআইকে চিঠি সন্দেশখালির গঙ্গাধরের

    Sandeshkhali Viral Video: বিকৃত করা হয়েছে গলার স্বর! অভিষেকের বিরুদ্ধে সিবিআইকে চিঠি সন্দেশখালির গঙ্গাধরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে সন্দেশখালি। শনিবার সকাল থেকে সন্দেশখালির একটি স্টিং অপারেশনের ভিডিও (Sandeshkhali Viral Video) ঘিরে শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। আর এবার সেই ভিডিওকেই সামনে রেখে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে সিবিআইকে (CBI ) চিঠি দিলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেতা। ইতিমধ্যেই সিবিআইকে মেল করে এটি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা। সন্দেশখালির ঘটনায় যেহেতু সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে, সেই কারণে এই প্রসঙ্গটি নিয়ে সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছেন সন্দেশখালি-২ মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল (Gangadhor Koyal)।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Sandeshkhali Viral Video) 

    ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে গঙ্গাধর কয়াল তাঁর অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন আইপ্যাক সংস্থার নাম। দুপাতার চিঠি লিখেছেন তিনি। গঙ্গাধর কয়াল বলেন, “ভিডিওটি চক্রান্ত। আইপ্যাক ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এআই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মুখ ও গলার আওয়াজের বিকৃতি ঘটিয়ে এটা করেছে। আইপ্যাক ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

    ঠিক কী ছিল ভাইরাল ভিডিওতে?  

    শনিবার সকালেই একটি ভিডিও ভাইরাল (Sandeshkhali Viral Video) হয় সমাজমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, গঙ্গাধর কয়াল জনৈক একজনকে জানাচ্ছেন, সন্দেশখালির ঘটনা ‘সাজানো’। অর্থের বিনিময়ে মহিলাদের ধর্ষণের অভিযোগ লেখানোর কথা বলা হয়েছে। ওই ভিডিওতে এক মহিলাকেও দেখা গিয়েছে সেই কথা স্বীকার করে নিতে।

    আরও পড়ুন: পেঁয়াজ রফতানিতে উঠল নিষেধাজ্ঞা, আরোপ হল ন্যূনতম রফতানি মূল্য

    গঙ্গাধর কয়ালের বক্তব্য (Gangadhor Koyal)

    এ প্রসঙ্গে গঙ্গাধর জানিয়েছেন, ‘‘এই চক্রান্ত করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইপ্যাক সংস্থা। সন্দেশখালির মা-বোনেদের আন্দোলন, আমাকে এবং আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কলঙ্কিত করার জন্য।’’ আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালির তদন্তে নেমে অভিযোগ জানানোর জন্য একটি ইমেল আইডি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে খুলে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। শনিবার রাতে ওই ইমেল আইডিতে অভিযোগ জানিয়েছেন গঙ্গাধর।
    গঙ্গাধরের অভিযোগ, “‘উইলিয়ামস’ (Williams) নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। সেখানে এমনভাবে ভিডিওটি (Sandeshkhali Viral Video) বিকৃত করা হয়েছে, যেখানে ভিডিও ক্লিপের সঙ্গে লিপ মুভমেন্ট স্পষ্ট নয়। বক্তার মুখ অন্ধকারে রাখা হয়েছে। অডিও কোয়ালিটি স্পষ্ট নয়। ৩ মে ইউটিউব চ্যানেলটি খোলা হয়েছে। আর ইউটিউব চ্যানেলটি থেকে একটি মাত্রই ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে সম্মানহানি করতেই ইউটিউব চ্যানেল খুলে এই ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। সিবিআই তদন্ত করলে সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।”

    যদিও এ প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) মন্তব্য, “সিবিআই ইডি কী করবে? আমাকে জেলে ঢোকাবে? সত্যি কথা বলার জন্য যদি জেলে ঢোকায়, ঢোকাক।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ৫০-৬০ কিমি বেগে আসছে কালবৈশাখী ঝড়, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কতা জারি দক্ষিণবঙ্গে

    Weather Update: ৫০-৬০ কিমি বেগে আসছে কালবৈশাখী ঝড়, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কতা জারি দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫০-৬০ কিমি বেগে কালবৈশাখী ঝড়, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। দক্ষিণবঙ্গে সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। রবিবার কলকাতা সহ সব জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। সোমাবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের ৮ জেলায় হতে পারে এই কালবৈশাখী ঝড়। ইতিমধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে আগামী বুধবার পর্যন্ত যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার কলকাতা–সহ দক্ষিণের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, এবং নদিয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সোমবার থেকেই বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে এই বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে আবার ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    বাড়তি সতর্কতাজারি

    ঝড়ে হাওয়ার (Weather Update) কারণে ইতিমধ্যে আবহাওয়া দফতর থেকে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৬ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত উপকূল এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে একই সঙ্গে। সমুদ্রের জলস্তরের উচ্চতা 0.৫ থেকে ১.২ মিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার পর্যন্ত সমুদ্রে যাওয়ার বিষয়ে করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রার কারণে দক্ষিণবঙ্গে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। কলকাতায় তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৩ ডিগ্রি। কলাইকুণ্ডাতে তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছিল ৪৫ ডিগ্রি। গরম থেকে বাঁচতে এই বৃষ্টির সম্ভাবনা মানুষকে অনেকটাই স্বস্তি দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ পেঁয়াজ রফতানিতে উঠল নিষেধাজ্ঞা, আরোপ হল ন্যূনতম রফতানি মূল্য

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা

    উত্তরবঙ্গেও একই সঙ্গে বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। তবে সোমবারেও কোনও কোনও জেলায় তাপপ্রবাহের অস্বস্তি থাকবে। বিকেলে দিকে ঠান্ডা হাওয়া এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panihati: পানিহাটির অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন পুরসভার চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Panihati: পানিহাটির অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন পুরসভার চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন দমদম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। পানীয় জলের সঙ্কটের জন্য তৃণমূল পরিচালিত পুর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছিলেন বাসিন্দারা। এবার সেই বোর্ডেরই পুরপ্রধান পানিহাটি (Panihati) পুরসভার সামগ্রিক অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি করলেন। ভোটের আগে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    পানিহাটি অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন চেয়ারম্যান (Panihati)

    পানিহাটি (Panihati) পুরসভায় ওয়ার্ডের সংখ্যা ৩৫টি। গত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ বোর্ড মিটিং। পানীয় জল, জঞ্জাল, বিদ্যুৎ, নিকাশি নিয়ে মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। তার ওপর ঠিকাদারদের প্রায় ১৫ কোটি টাকার মতো বকেয়া থাকায় তারাও কোনও কাজে হাত দিচ্ছেন না। ফলে, থমকে উন্নয়নের কাজ। একপ্রকার অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে পানিহাটি জুড়ে। এই অবস্থার মধ্যে চেয়ারম্যানকে সরানোর জন্য কাউন্সিলরদের একটা অংশ সরব হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুরবোর্ড ক্ষমতায় থাকার পরও কোনও কাজ হচ্ছে না। আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে শহর। পানীয় জলের সঙ্কট তো রয়েছে। এই অবস্থা কাটিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসুক আমরা চাই। অন্যদিকে,পানিহাটি (Panihati) পুরসভার সামগ্রিক অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি করলেন।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল নেতার নির্দেশে বাড়িতে মজুত বোমা তৈরির মশলা-আগ্নেয়াস্ত্র”, জানালো ধৃত দুষ্কৃতী

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    মানুষের ক্ষোভ যখন দিনে দিনে বাড়ছে তখন পুরপ্রধানের চেয়ারে বসে পানিহাটির (Panihati) সামগ্রিক অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি করলেন পুরপ্রধান মলয় রায়। তিনি বললেন, ঠিকাদারদের যে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে বলা হচ্ছে সেই কাজ হয়েছে ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ওই কাজ করা হয়েছিল। যার বেশিরভাগই হয়েছিল কোনওরকম টেন্ডার, ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়া। স্বপক্ষে কাগজপত্রও ঠিকঠাক নেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে বিপুল পরিমাণ ওই টাকার কাজ কিভাবে হলো? যদিও তা নিয়ে খোলসা না করলেও পুরো প্রক্রিয়াটার পিছনে কারোর না কারোর মদত ছিল বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান। তিনি বলেন, ‘ আমি পুরপ্রধানের চেয়ারে বসার পর থেকে সমান্তরাল প্রশাসন চালানো হচ্ছে। বোর্ড মিটিং ডাকলে কাউন্সিলরদের একটা অংশ ইচ্ছাকৃত ভাবে হাজির হচ্ছেন না। যাতে বোর্ড মিটিং না হয়। ঠিকাদাররা কাজ করতে চাইছেন না।

    পানিহাটির বিধায়ক কী বললেন?

    পানিহাটির (Panihati) বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘ প্রথমত আমি পুরসভা দেখিনা। তার ওপর চেয়ারম্যান তো অসুস্থ।আর সেকারণে দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব তাকে পদত্যাগ করতে বললেও তিনি করেননি। তবে আমি নির্বাচনের মুখে মুখ খুলতে চাইনা। কাউকে চটাতেও চাইনা। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে পুরসভা চালানোর দায়িত্ব পুরপ্রধানের। উনি যদি নিজের ব্যর্থতাকে তদন্ত দিয়ে ঢাকতে চান করবেন’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share