Tag: West Bengal

West Bengal

  • Narendra Modi: “রাজ্যে দুর্নীতির দোকান খুলে বসেছে তৃণমূল,” বীরভূমে ভোট প্রচারে বিস্ফোরক মোদি

    Narendra Modi: “রাজ্যে দুর্নীতির দোকান খুলে বসেছে তৃণমূল,” বীরভূমে ভোট প্রচারে বিস্ফোরক মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই রাজ্যে দুর্নীতির দোকান খুলে বসেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতারা দুর্নীতিতে রেকর্ড করেছে। শুক্রবার বোলপুরে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহা ও বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে বক্তব্য রাখতে এসে রাজ্যের শাসক দলকে এভাবেই তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়েও তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সন্দেশখালি যে ঘটনা ঘটেছে তা তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা সবকিছু জানত।

    ছোটদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল (Narendra Modi)

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, তৃণমূলের তোলাবাজি চলতে দেব না। এটা মোদীর গ্যারান্টি। সমস্ত লুঠ, সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত হবেই। বাংলার বিকাশের জন্য সব বুথে বিজেপিকে জেতাতে হবে। প্রিয়া সাহা, দেবতনু ভট্টাচার্যকে জেতাতে হবে। তাঁরা যে ভোট পাবেন তাতে মোদির শক্তি বাড়বে। প্রতিটা ভোট মোদির খাতায় যাবে। তিনি বলেন, শিক্ষকরা ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ তৈরি করে। তৃণমূল তাতেও দুর্নীতি করেছে। শিক্ষকদের চাকরি তো গিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে ছোটদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার।

    আরও পড়ুন: “নামটা শাহজাহান বলেই কি বাঁচানোর চেষ্টা!,” সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    দেশে তৃণমূল ১৫টি আসন, কংগ্রেস ৫০টি আসন পাবে!

    এদিন নদিয়ার তেহট্টের শ্যামনগরে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রানিমা অমৃতা রায় ও রানাঘাটের দলীয় প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। মঞ্চে উঠে প্রায় ২৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন মোদি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি (Narendra Modi) বলেন, গোটা দেশজুড়ে তৃণমূল ১৫টির বেশি আসন পাবে না। আর কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, কংগ্রেসের যা অবস্থা তাতে হাফ সেঞ্চুরি পার করতে পারবে না কংগ্রেস। সেই কারণে এ বছর একমাত্র সরকার গড়তে পারে বিজেপির এনডিএ সরকার। পাশাপাশি বাম মোর্চার লাল ঝান্ডা বিলীন হয়ে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ সরকার এলে দেশে আরও উন্নয়ন হবে। তৃণমূল যেভাবে তোলাবাজি করেছে আর মহিলাদের ওপর অত্যাচার করেছে, তাতে এবার সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে সাজা দিতে চায়। গ্রাম কিংবা শহর সবাই একই কথা বলছে, এইবার মোদি সরকার। তিনি বলেন, কৃষ্ণনগর এবং রানাঘাটের সাধারণ মানুষকে গ্যারান্টি দিচ্ছি, যেখানে যেখানে তৃণমূল তোলাবাজি করেছে সেই টাকার হিসাব নেওয়া হবে। সেই টাকা সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সিএএ নিয়েও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, তৃণমূল যতই চেষ্টা করুক সিএএ লাগু হওয়া থেকে আটকাতে পারবে না। সাধারণ মানুষ তাদের প্রাপ্য অধিকার পাবে। তিনি বলেন, তৃণমূল কখনও সাংবিধান মেনে কাজ করে না।

    হুমায়ুন কবীরের সমালোচনা করলেন মোদি

    দুদিন আগে মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ রয়েছি। আর তোমরা ৩০ শতাংশ রয়েছ। মনে করলে দুঘণ্টার মধ্যে ভাগীরথীর জলে ফেলে দিতে পারি। নাম না করে হিন্দুদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। এদিন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, তৃণমূল বিধায়ক প্রকাশ্যে হিন্দুদের জলে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এই রাজ্যে হিন্দুদের কী অবস্থা। এটা একজন বিধায়কের মুখে ভাষা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ৮টি জটিল অস্ত্রোপচারেও বাদ গিয়েছে ডান হাত! তবুও মাধ্যমিকে সফল শান্তিপুরের শুভজিৎ

    Nadia: ৮টি জটিল অস্ত্রোপচারেও বাদ গিয়েছে ডান হাত! তবুও মাধ্যমিকে সফল শান্তিপুরের শুভজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮টি জটিল অস্ত্রোপচারে ডানহাত বাদ গেলেও মনের জোরে মাধ্যমিক দিয়ে সফল ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে শান্তিপুরের শুভজিৎ বিশ্বাস। তার সাফল্যে পরিবার এবং এলাকায় খুশির আবহ। মনের জোরে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সাফল্যের নজির গড়ল নদিয়ার (Nadia) এই কৃতী সন্তান। তার বাবা কলকাতায় জন মজুররের কাজ করেন। মা লোকের বাড়িতে কাজ করেন। কোনও রকমে সংসার চালান, তাই আর্থিক অবস্থা ভালো না হবার কারণে মাসির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে শুভজিৎ। তবে দীর্ঘ প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে ২০২৪ এর মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ায় খুশি নদিয়ার (Nadia) শুভজিৎ ও তার পরিবার।

    হাতে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল (Nadia)

    ছোটবেলায় হাতে সাইকেল পড়ে যাওয়ায় গুরুতর আহত হয় হাত। তারপর কালের নিয়মে দিনের পর দিন অসুস্থ থাকার পর, হঠাৎই হাতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরবর্তীতে চিকিৎসকেরা জানান তার হাত কেটে বাদ দিতে হবে। তারপরেই বেঙ্গালুরুতে গিয়ে সমস্ত চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না থাকার কারণে ফিরে আসতে হয় বাড়িতে। তারপর কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্র প্রচার করে বাদ যায় ডান হাত। ঘটনায় রীতিমতো মনোবল ভেঙে পড়ে ২০২৪ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুভজিৎ বিশ্বাসের। 

    শুভজিৎ-এর বক্তব্য

    নদিয়ার (Nadia) ছাত্র শুভজিৎ কথায়, “যখন হাত কাটা যায়, তখন মনোবল ভেঙে পড়ে আমার। কীভাবে পরীক্ষা দেব! তারপর বাবা-মায়ের আর্থিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অদম্য জেদ চলে আসে আমার মাথায়। নিজের মনের জোরে বাম হাত দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তারপর দীর্ঘ দেড় মাসের প্রখর অনুশীলনে বাম হাতে লেখা অভ্যাস করে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসি। তবে আমি ভেবেছিলাম পরীক্ষায় পাশ করতে পারব না। কারণ জটিল অস্ত্রোপচার, তারপর হাত বাদ যাওয়া এবং হাতে সময় কম থাকার কারণে পড়াশুনা একদম হয়নি। পরীক্ষার প্রশ্ন হয়েছিল অনেকটা কঠিন, যেটুকু পড়াশোনা করেছি, তাতে করে পাশ করাটা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু বাড়িতে পরিবারের সহযোগিতা এবং মনের অদম্য জেদ আমাকে সফলতার পথে নিয়ে গেছে। রাজ্য সরকারের কাছে কাতর আবেদন শুভজিৎ-এর (Nadia) যে যদি রাজ্য সরকার তার পড়াশোনার জন্য এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আর্থিক কিংবা কোনও রকম সাহায্য করে, তাহলে খুবই উপকৃত হবে পরিবার।

    আরও পড়ুনঃভোটের মুখে বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    পরিবারের বক্তব্য

    অপরদিকে শুভজিৎ-এর বাবা ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস বলেন, “দীর্ঘ চার বছর ছেলেকে স্কুলে পাঠাতে পারেনি। তার হাতের অস্ত্রোপচারের কারণে পরীক্ষার আগে ডান হাতটা বাদ যাওয়ায় অনেকটাই ভেঙে পড়েছিল পরিবারের সকলে। শুভজিৎ-এর ইচ্ছা ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে, তাই আমরা যথাসাধ্য তার মনবল বাড়িয়ে (Nadia) তাকে পরীক্ষায় বসার জন্য সহযোগিতা করেছি। তারপর সাফল্য আসে, তবে ওর রেজাল্ট যাই হোক না কেন, পাস করেছে এত প্রতিকূলতার মধ্যেও, এটাই আমাদের কাছে বড় পাওনা। তবে রাজ্য সরকার যদি একটুখানি পরিবারের দিকে মুখ তুলে চায়, তাহলে উচ্চশিক্ষার জন্য শুভজিৎ-এর অনেকটাই সুবিধে হবে। এখন দেখার, রাজ্য সরকার এই দুস্থ পরিবারের পাশে কতটা দাঁড়ায়? নাকি অন্ধকারেই ভবিষ্যত কাটাতে হবে শুভজিৎ-এর পরিবারকে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বৃষ্টিতে ভিজবে শহর, পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের

    Weather Update: বৃষ্টিতে ভিজবে শহর, পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে তীব্র গরম থেকে মুক্তির অপেক্ষায় রাজ্যবাসী। রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরশুর পর থেকে তাপপ্রবাহের কবলের বাইরে চলে যাবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। দহনজ্বালা থেকে মুক্তি পাবে দক্ষিণবঙ্গ। এতদিনে স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া (Weather Update) দফতর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সোমবার রাজ্যের সব জেলায় বৃষ্টির (Rain fall) সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায় আগামিকাল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার কলকাতাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। 

    কোথায় কোথায় বৃষ্টির পূর্বাভাস? (Weather Update) 

    সোমবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি মাত্রায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি চলতে পারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও শনিবার থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) দেওয়া হয়েছে। হাওড়া, হুগলি ছাড়াও পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার থেকেই হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর ২৪ পরগনায়। 

    দহনজ্বালা থেকে মুক্তি দক্ষিণবঙ্গে 

    আবহাওয়া দফতর মনে করছে, এই বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে। তবে এখনই নিস্তার মিলবে না ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও বীরভূমে। শনিবার পর্যন্ত চলবে তীব্র তাপপ্রবাহ। কিন্তু রবিবারের পর গোটা রাজ্যেই ৪০ ডিগ্রির নীচে নামবে পারদ (Weather Update)। এমনই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

    আরও পড়ুন: গিলগিট বালতিস্তানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! খাদ থেকে বাস গড়িয়ে মৃত ২০, আহত ২১

    শহরের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update) 

    কলকাতায় (Kolkata) শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে যা ৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

    তবে এই বৃষ্টি তাপপ্রবাহ কে পরবর্তী কতদিন ঠেকিয়ে রাখতে পারবে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে উষ্ণ এবং জলীয় হাওয়ার সংঘাতে কতটা ঘন মেঘ তৈরি হচ্ছে তার ওপর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপি করায় ৬ বছর ধরে রাস্তা বন্ধ! অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে

    South 24 Parganas: বিজেপি করায় ৬ বছর ধরে রাস্তা বন্ধ! অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলকে ভোট না দেওয়াই কাল হয়েছে! বিজেপি করার অপরাধে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়েছে গত ছয় বছর ধরে। বারে বারে জানিও মিলছেনা সুরাহা। প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেস করলেও পরে বিজেপি দলের সাথে যোগ দেন মাধব চন্দ্র পড়ুয়া, আর সেটাই ছিল তাঁর সব থেকে বড় দোষ। আর এই কারণেই দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতের রাস্তা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন তাঁর। চরম বিপাকে এখন পরিবার। ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে।

    বিজেপি কর্মীর বক্তব্য (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার কাকদ্বীপ বিধানসভার রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন বাজার এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা বিজেপির সমর্থক মাধব চন্দ্র পড়ুয়া। “বর্ষাকালেই এক কোমর জল থেকে স্ত্রী পুত্রকে নিয়ে কখনও লোকের বাঁশ বাগান কখনো জল ঝাপিয়ে মাঠের মধ্য থেকে যাতায়াত করতে হচ্ছে, এমনকী এখনও পর্যন্ত বাড়িতে বিদ্যুতের আলোও পৌঁছায়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত, প্রশাসন, শাসক দলকে জানিও কোনও কাজ হচ্ছে না”, এমনই অভিযোগ মাধব চন্দ্র পড়ুয়ার। বিজেপি করার অপরাধে এই দুর্ভোগান্তি চলছে। তিনি আরও বলেন, “জায়গার মালিকের কাছ থেকেই রাস্তা সহ বাস্তু জায়গা কিনে বসতবাড়ি করে বসবাস শুরু করি প্রায় ১১ বছর আগে থেকে। এমনকী দলিলে উল্লেখিত নিজের কেনা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছি।” আবার মাধব চন্দ্রের স্ত্রী পার্বতী পড়ুয়া বলেন, “শাসক দলকে ভোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় আমার স্বামীকে। আর তারপর থেকেই চরম হেনস্থা শিকার হচ্ছে পরিবারের সকলে। দেওয়া হচ্ছে না চলাচলের রাস্তা এবং বিদ্যুৎ সংযোগ।”

    আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকের কৃতী পড়ুয়ারা কেউ শিক্ষক হতে চাইছেন না! কেন জানেন?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলা (South 24 Parganas) তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি প্রদীপ ঘোষ বলেন, “এই ঘটনার সাথে শাসক দল কোনও ভাবেই যুক্ত নয় সম্পূর্ণটাই পারিবারিক বিষয়, তিনি কার থেকে জায়গা কিনেছেন কী করেছেন তাঁর নিজের ব্যাপার।” তবে প্রশ্ন উঠছে কোর্টের অর্ডার থাকা সত্ত্বেও কেন রাস্তা করতে দেওয়া হচ্ছে না মাধব চন্দ্র পড়ুয়াকে? বিজেপি করাই কি তার অপরাধ যে কারণে এতদিন ধরে রাস্তা হোক বা বিদ্যুৎ কোনও কিছুই পাচ্ছে না ওই স্থানীয় বাসিন্দা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Result 2024: মাধ্যমিকের কৃতী পড়ুয়ারা কেউ শিক্ষক হতে চাইছেন না! কেন জানেন?

    Madhyamik Result 2024: মাধ্যমিকের কৃতী পড়ুয়ারা কেউ শিক্ষক হতে চাইছেন না! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদর্শ শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন একটা সময়ে প্রত্যকে মেধাবী পড়ুয়ারা দেখত। কিন্তু বর্তমানে ছবিটা অনেক বদলে গিয়েছে। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি শুধু এই রাজ্যের আলোচনার বিষয় নয়। ভোটের প্রচারে জাতীয় স্তরে বাংলার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি এখন সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। গতকাল রাজ্যে মাধ্যমিক (Madhyamik Result 2024) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ঝোঁক বেশি। এমন কী বাবা-মা শিক্ষকের পেশায় নিযুক্ত থাকলেও সন্তান আর চায় না শিক্ষক হতে। কিন্তু কেন এই ভাবনার উদয়?

    শিক্ষক নয় ডাক্তার হতে চায় ছাত্রী (Madhyamik Result 2024)

    এবার মধ্যমিকে (Madhyamik Result 2024) সম্ভাব্য নবম হয়েছে বাঁকুড়ার মেয়ে। নাম অরুণিমা চট্টোপাধ্যায়। কাটজুড়িডাঙা মিলনপল্লির বাসিন্দা এই ছাত্রী। এই কৃতী ছাত্রী বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। অরুণিমা নিজের ইচ্ছে প্রকাশ করে বলে, “আমার বাবা-মা দুইজনেই শিক্ষকতা করেন। এক সময় আমি নিজে ভাবতাম শিক্ষিকা হবো। কিন্তু যা রাজ্যের পরিস্থিতি, এই পেশাতে স্বচ্ছ নিয়োগ কীভাবে সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই আগামী দিনে ডাক্তারি পড়ারা কথা ভাবছি।” অপর দিকে অরুণিমার মা বলেন, “মেয়ে এক সময়ে শিক্ষিকাই হতে চেয়েছিল। এখন তা আর চাইছে না। যে পথেই যাক, আমাদের সমর্থন থাকবে!”

    আরও পড়ুনঃ রাস্তার কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, ফের প্রচারে বেরিয়ে তোপের মুখে শতাব্দী

    ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করতে চায় পড়ুয়া

    আবার এই জেলার মাধ্যমিকের (Madhyamik Result 2024) মেধা তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে তিনজন পড়ুয়া। তাদের মধ্যে বাঁকুড়া জেলা স্কুলে ছাত্র শৌভিক দত্ত বলে যে চিকিৎসক হতে চায় সে। শৌভিকের বাবা সেচ দফতরের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ারের কাজ করেন, মা গৃহবধূ। নিজে ভূগোল, জীববিজ্ঞনে একশে একশ পেয়েছে। এই কৃতী ছাত্র নিজে চিকিৎসক হতে চায়। আবার তালড্যাংরা ফুলমতী হাই স্কুলের সৌমিক খাঁ মাধ্যমিকে দশম স্থানের অধিকারী হয়েছে। তার বাবা তালড্যাংরা গ্রামীণ হাসপাতলের ফার্মাসিস্ট। মা ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্স। সৌমিক নিজে আগামী দিনে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করতে চায়। আবার দশমস্থানে থাকা বাঁকুড়ার গড়রাইপুর হাই স্কুলের সৌম্যদীপ মণ্ডলের ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে। এই পথেই তার পড়াশুনার ইচ্ছে রয়েছে। সৌম্যদীপের বাবা একজন শিক্ষক এবং মা হলেন গৃহবধূ। ফলে মাধ্যমিক উত্তীর্ণরা যে আর শিক্ষকতার দিকে যেতে চাইছে না, তার পিছনে রাজ্যের দুর্নীতি একটা বড় কারণ বলে মনে করছেন একাংশের মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: সৎ চাকরিহারাদের জন্য সুকান্তকে লিগ্যাল ও সোশ্যাল মিডিয়া সেল খোলার নির্দেশ দিলেন মোদি

    Narendra Modi: সৎ চাকরিহারাদের জন্য সুকান্তকে লিগ্যাল ও সোশ্যাল মিডিয়া সেল খোলার নির্দেশ দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারকে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবার জনসভা থেকে দুর্নীতি ইস্যু প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতিতে এত টাকা মিলেছে, মেশিনও গুনতে গুনতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। সৎ চাকরিহারাদের পাশে বিজেপি রয়েছে। এটা মোদির গ্যারান্টি।”

    লিগ্যাল সেল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম খোলার নির্দেশ মোদির (Narendra Modi)

    সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। এবার চাকরি হারানো যে শিক্ষকদের নথি ঠিক আছে, তাদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, ‘আমরা জানি শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে পীড়িতদের জীবন কতটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আমাদের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এখানে রয়েছেন, তাঁকে আমার পরামর্শ, এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেক নির্দোষ মানুষও রয়েছেন। যাঁরা সত্যিই শিক্ষকের চাকরির দাবিদার, তাঁরা বাকিদের পাপের কারণে, সমস্যায় পড়েছেন। আমি রাজ্য সভাপতিকে বলেছি, যাঁরা সৎ তাঁদের কী ভাবে আমরা দলের পক্ষ থেকে সাহায্য করতে পারি! আমি বলেছি, প্রদেশ স্তরে একটি লিগ্যাল সেল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম খোলা হোক। এতে যাঁরা সঠিক নথিপত্র থাকার পরেও সমস্যায় পড়েছেন, তাঁদের সুবিধা হবে এবং তাঁদের ন্যায় দিতে সম্পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে।’

    আরও পড়ুন: “নামটা শাহজাহান বলেই কি বাঁচানোর চেষ্টা!,” সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    সৎ চাকরিহারাদের ন্যায় দিতে কাজ করবে রাজ্য ইউনিট, মোদির গ্যারান্টি

    এই প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আরও বলেন, ‘আমরা সৎ-দের পাশে থাকব। নির্বাচন চলতে থাকুক, কিন্তু বাংলার ইউনিট এই কাজ করবে। যাঁরা দোষ করেছেন তাঁরা সাজা পাবেন। কিন্তু, অনেক সৎ মানুষ রয়েছেন, যাঁদের কাছে আসল উপযুক্ত ডিগ্রি রয়েছে, তাঁরাও ফেঁসে গিয়েছেন। যাঁরা সৎ, তাঁদের ন্যায় দিতে রাজ্য ইউনিট কাজ করবে, এটা মোদির গ্যারান্টি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: রাস্তার কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, ফের প্রচারে বেরিয়ে তোপের মুখে শতাব্দী

    Lok Sabha Election 2024: রাস্তার কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, ফের প্রচারে বেরিয়ে তোপের মুখে শতাব্দী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তার কাজের মান নিয়ে ফের তোপের মুখে শতাব্দী রায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিউড়ি ১ ব্লকের আলুন্দা পঞ্চায়েতে নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে এবং মানুষের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলিকে পূরণ না করার অভিযোগে আগেও সরব হয়েছেন জেলার মানুষ। যদিও এদিনের অভিযোগের কথা গুরুত্ব দিতে নারাজ ছিল এই তৃণমূল প্রার্থী। পাল্টা এলাকার মানুষের দাবি ভোটে বোঝাবো।

    প্রচারে ফের তোপের মুখে (Lok Sabha Election 2024)!

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের ইটাগড়িয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে পৌঁছালে স্থানীয় কয়েকজন যুবক, তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী বলেন সিউড়ি-সাঁইথিয়া রাস্তা সারাইয়ের ক্ষেত্রে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে তোপ দাগেন। এখনেই শেষ নয়, রাস্তার পিচ তুলে নিয়ে দেখান বলেও জানা গিয়েছে। এলাকার মানুষের আরও অভিযোগ ছিল, দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থায় ছিল এই রাস্তা। কিছু দিন আগে পূর্ত দফতর কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু এই কাজ নিয়ম মেনে করা হচ্ছে না। আবার স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াকুবউদ্দিন বলেন, “রাস্তায় পিচ কি কখনও হাতে করে তুলে দেওয়া যায়? এই কাজে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা তাঁকে বললাম। কোনও কাজ হবে না বলে মনে করছি। ভোটে আমরাও বোঝাবো।”

    পূর্ত দফতরের বক্তব্য

    পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উৎপল চৌধুরী বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় মানুষেরা নানা কারণে কাজ আটকে রেখেছেন, না হলে কাজ কয়েক মাস আগেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। যেখানে কাজ হয়ে গিয়েছে সেখানে কোনও ত্রুটি নেই।”

    আরও পড়ুনঃ “নামটা শাহজাহান বলেই কী বাঁচানোর চেষ্টা!,” সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    তৃণমূলের বক্তব্য

    আবার তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখন জেলায় প্রচুর তাপমাত্রা রয়েছে। ফলে নতুন কাজ হওয়া রাস্তায় পিচ কিছুটা নরম হয়ে গিয়েছে। ফলে ভুল ত্রুটি ধরতে যাওয়াটা ঠিক নয়।” অবশ্য শতাব্দী যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে মানুষের এই অভিযোগ বা তোপকে মানতে নারাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “নামটা শাহজাহান বলেই কি বাঁচানোর চেষ্টা!,” সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    Narendra Modi: “নামটা শাহজাহান বলেই কি বাঁচানোর চেষ্টা!,” সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক তৃণমূলের বড় ভরসা। তাই, রাম নবমীতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখায় না। এমনই বক্তব্য বিরোধীদের। এবার তৃতীয় দফার ভোটের আগে রাজ্যে এসে সেই সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবার বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের দক্ষিণ বর্ধমান সাই কমপ্লেক্স মাঠে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। বর্ধমান-দুর্গাপুরে এবারের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে সভা করার পাশাপাশি অসীম সরকারের হয়েও প্রচার করেছেন তিনি।

    ‘নামটা শাহজাহান বলেই কী বাঁচানোর চেষ্টা?'(Narendra Modi)

    এদিন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “সন্দেশখালিতে আমাদের দলিত বোনেদের সঙ্গে কত বড় অপরাধ হয়েছে। গোটা দেশ তদন্ত চাইছে। তৃণমূল অপরাধীদের বাঁচাতে চাইছে। আমি তৃণমূলকে প্রশ্ন করতে চাই অপরাধীর নাম শাহজাহান শেখ বলেই কী বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে?” পাশাপাশি তিনি বলেন,”জয় শ্রী রাম বললে ওদের আপত্তি আছে। জয় শ্রী রাম বললে ওদের জ্বর এসে যায়। ওদের রাম মন্দিরের নির্মাণে আপত্তি আছে। রাম নবমীর শোভাযাত্রায় আপত্তি আছে।’ওরা শুধু ভোটের জন্য দেশভাগ করতে চায় ‘তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস কোনও রাজ্যের কী অবস্থা করতে পারে তা আপনারা ভাল করে জানেন। পাশেই ত্রিপুরাকে ধ্বংস করে রেখে দিয়েছে বামেরা। গত পাঁচ বছরে ত্রিপুরার জীবন বদলে দিয়েছে বিজেপি। ওরা শুধু ভোটের জন্য সমাজকে ভাগ করতে চায়। দেশকে ভাগ করতে চায়।”

    আরও পড়ুন: পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থী সুভাষের র‍্যালির ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মোদিকে লাঠি মারা, গুলি করার কথা বলছে  

    বর্ধমানের মানুষকে মোদির (Narendra Modi) বার্তা, “ধান উৎপাদনে বর্ধমানের রমরমা চাই। শিল্প নগরী হিসেবে গোটা বিশ্বে নাম ছড়াক দুর্গাপুর। মহিলাদের রোজগার বাড়াতে চাই।” তিনি বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, “আমি মজা করার জন্য জন্মাইনি। আমি নিজের জন্য বাঁচতে চাই না। আমি আপনাদের সকলের পায়ের ধূলো মাথায় নিয়ে আপনাদের সেবার সংকল্প নিয়েছি। এই মহান ভারত মাতার ১৪০ কোটি দেশবাসীর সেবার জন্য ব্রতী হয়েছি। মোদির একটাই স্বপ্ন, “আপনাদের স্বপ্ন পূরণ করা। আমার জন্য আপনারাই আমার পরিবার। আমার ভারত, আমার পরিবার। আর তৃণমূল, কংগ্রেস, বাম কী করছে? আমাকে ঘৃণা করছে। ওরা বলছে মোদিকে লাঠি মারো, গুলি করো, তাতে আমি ভয় পাই না! যাঁরা ভয় পায় তাঁদের দলে থাকি না।”

    ১০ বছরে ২৫ কোটি লোক দারিদ্রসীমার ওপরে

    প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) দাবি, ‘গত ১০ বছরে ২৫ কোটি লোক দারিদ্রসীমার ওপরে গিয়েছেন, এটা আনন্দের। পরের ৫ বছরে সবাইকে দারিদ্রসীমার উপরে তুলতে চাই’। রাজ্যের সরকার যেখানে বারবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আসছে, সেখানে বাংলার মানুষকে মোদির ‘গ্যারান্টি’, ‘উন্নত ভারত হলে বাংলাও তার থেকে বাইরে থাকবে না’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: প্রচারে হামলার পর এবার রেখা পাত্রর নামে লেখা একাধিক দেওয়াল মুছে দিল তৃণমূল, শোরগোল

    Basirhat: প্রচারে হামলার পর এবার রেখা পাত্রর নামে লেখা একাধিক দেওয়াল মুছে দিল তৃণমূল, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট (Basirhat) কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে নানাভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করে চলেছে তৃণমূল। এমনিতেই বসিরহাটের সব বিধানসভা এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী। এর আগে তাঁকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে, তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এবার তাঁর নামে থাকা একাধিক দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট লোকসভার হাড়োয়া বিধানসভার ফলতি বেলিয়াঘাটা পঞ্চায়েতের বোকুন্ডু ঘোষপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Basirhat)

    বিজেপি প্রার্থী (Basirhat) রেখা পাত্রের সমর্থনে লেখা দেওয়াল রাতের অন্ধকারে সাদা চুন দিয়ে মুছে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে যায় শাসন থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, চারদিন আগে ফলতি বেলিয়াঘাটা বোকুন্ড ঘোষ পাড়া এলাকায় টাকি রোডের ধারে রেখা পাত্রের সমর্থনে সাত জায়গায় দেওয়াল লেখা হয়েছিল। শুক্রবার ভোররাতে মুখ বাঁধা অবস্থায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সেই দেওয়ালগুলোতে সাদা চুন দিয়ে মুছে দিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, ওই এলাকায় তৃণমূল নেতা মেহেদি হাসানের নেতৃত্বে সন্ত্রাস চলে। বুথ বুথে ওরা ছাপ্পা মারে। এই এলাকায় এখন বিজেপি সংগঠন মজবুত হয়েছে। তাই, রাতের অন্ধকারে এভাবে সব দেওয়াল ওরা মুছে দিয়েছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছি। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, কোনও দেওয়াল লিখন মোছা হয়নি। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    আরও পড়ুন: পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থী সুভাষের র‍্যালির ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল

    প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে বসিরহাটের (Basirhat) রাজেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়িডাঙ্গা এলাকায় বিজেপির দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। এই ঘটনায় কালিদাস বাসার নামে এক বিজেপি কর্মী জখম হন। এরপরই খড়িডাঙ্গা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী প্রচারে করতে গেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mumbai Hospital: মুম্বই হাসপাতালে ফোনের টর্চ ব্যবহার করে প্রসব, মা ও শিশুর মৃত্যু!

    Mumbai Hospital: মুম্বই হাসপাতালে ফোনের টর্চ ব্যবহার করে প্রসব, মা ও শিশুর মৃত্যু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হাসপাতালে (Mumbai Hospital) ফোনের টর্চ ব্যবহার করে প্রসব করায় মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের তরফে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ইতিমধ্যে মুম্বই নাগরিক সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে ঘটনার। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। অপরে পরিবারের সদস্যরা কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ করায় অবশেষে বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন (বিএমসি) অবশেষে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    দেশের আর্থিক রাজধানীতে ঘটনা (Mumbai Hospital)?

    জানা গিয়েছে, মুম্বই হাসপাতালের (Mumbai Hospital) ডাক্তারেরা সেলফোন টর্চ ব্যবহার করে সিজারিয়ান ডেলিভারি অর্থাৎ সন্তান প্রসাব করার পরেই গর্ভবতী মা এবং তার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি যথেষ্ট মর্মান্তিক। কিন্তু দেশের আর্থিক রাজধানী মুম্বই শহরে ভারতের সবচেয়ে ধনী নাগরিক সংস্থা বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন দ্বারা পরিচালিত হয় এই হাসপাতাল। এই সংস্থা যার বাজেট ৫২০০০ কোটির বেশি। এখানে স্বাস্থ্যের জন্য বরাদ্দকৃত পরিমাণ ১২ শতাংশ বা ৬,২৫০ কোটি টাকা। এই রকম একটি জায়গায় এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। পরিবারে তীব্র শোকের ছায়া।

    পরিবারের অভিযোগ

    খুসরুদ্দিন আনসারি, যিনি বিশেষভাবে সক্ষম এবং একটি পা নেই। তাঁর ২৬ বছর বয়সী স্ত্রী সাহিদুনকে তাঁর প্রসবের জন্য মুম্বই (Mumbai Hospital) সুষমা স্বরাজ মাতৃসদনে ভর্তি করান। এই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল মাত্র ১১ মাস। পরিবারের মূল অভিযোগ, সোমবার প্রসূতি রুমে বিদ্যুৎ চলে যায় এবং তিন ঘণ্টা জেনারেটর চালু হয়নি। তারা জানান, মা ও সন্তানের মৃত্যুর পরও অন্ধকারে আরেকটি প্রসব করানো হয়। ২৯ এপ্রিল সকাল ৭ টায় স্ত্রী সাহিদুনকে প্রসবের জন্য হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে সারাদিন রেখে দেওয়া হয়। পরে রাত ৮টা পর্যন্ত পরিবারকে বলা হয়েছিল সবকিছু ঠিক আছে। এমনকী প্রসব স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু পরিবারের লোকজন তার সাথে দেখা করতে গিয়ে দেখেন সে রক্তে ঢেকে আছে।

    আরও পড়ুনঃ পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থী সুভাষের র‍্যালির ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    স্বামীর বক্তব্য

    মৃত সাহিদুনের স্বামী আনসারি বলেন, “প্রসবের জন্য স্বাক্ষর নিতে এসে বলা হয় সব ঠিক আছে, একটি সি-সেকশন প্রয়োজন। তখনই বিদ্যুৎ চলে যায়, কিন্তু তখনও এই হাসপাতাল আমাদের অন্য হাসপাতালে (Mumbai Hospital) পাঠায়নি। এরপর অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ফোনের টর্চের সাহায্যে ডেলিভারি করে, কিন্তু ততক্ষণে আমার শিশুটি মারা গিয়েছে। ডাক্তার তখনও বলেছিল মা বেঁচে যাবে। এরপর আমাদের সাইন হাসপাতালে রেফার করে দেয় কিন্তু ততক্ষণে আমার স্ত্রীও মারা গিয়েছেন। সেখানেও অক্সিজেন পাওয়া যায়নি। আজ আমি যেমন কষ্ট পাচ্ছি, ডাক্তার ও স্টাফদের কষ্ট হওয়া উচিত, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। এই হাসপাতাল বন্ধ করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share