Tag: West Bengal

West Bengal

  • Unemployed Workers: শ্রমিক দিবসেই কর্মহীন শয়ে শয়ে শ্রমিক

    Unemployed Workers: শ্রমিক দিবসেই কর্মহীন শয়ে শয়ে শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বন্ধ হয়ে গেল আরও একটি চা বাগান (Tea Garden)। শ্রমিক দিবসের দিনই কাজ হারালো প্রায় হাজারের কাছাকাছি শ্রমিক। ফলে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কর্মহীন শ্রমিকদের (Unemployed Workers) কপালে। মে দিবসের দিন সকালেই ডুয়ার্সের (Dooars) এক চা বাগানে কাজ বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে চা বাগানের মালিক কর্তৃপক্ষ। আর তার জেরেই মে দিবসে কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় ৮৩০ জন শ্রমিক।  

    ঠিক কী ঘটেছিল (Unemployed Workers)?

    জানা গিয়েছে, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই পাওনাগন্ডা নিয়ে শ্রমিক-মালিক অসন্তোষ চলছিল। পিএফ, গ্র্যাচুইটির মতো বিভিন্ন পাওনা বাকি ছিল। শুধু তাই নয়, শ্রমিকদের ৩ পাক্ষিক সপ্তাহের মজুরিও বকেয়া ছিল বলে অভিযোগ। যার জেরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কর্মরত শ্রমিকরা। এরপর ২৭ এপ্রিল নিজেদের বকেয়া অর্থ বুঝতে চেয়ে শ্রমিকদের (Unemployed Workers) একাংশ বানারহাট থানায় গিয়ে অবস্থানে শামিল হন। বানারহাট বিডিও অফিসে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও ডাকা হয়। তবে মালিকপক্ষের কেউ উপস্থিত না থাকায় সেই বৈঠক ভেস্তে যায়। কিন্তু মালিকপক্ষের তরফে একটি চিঠি দিয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়, মঙ্গলবার বকেয়া মজুরির এক কিস্তির টাকা তাঁরা মিটিয়ে দেবেন। সেই টাকা গতকাল দিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরই রাত্রিবেলা কর্মবিরতির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পুলিশ-প্রশাসনকেও মালিক পক্ষ জানিয়ে দেয় নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা। বাগানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা। এরপর সকালে শ্রমিকরা কাজে এসে দেখেন বাগানে তালা ঝুলছে।

    চা শ্রমিক নেতার বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে চা শ্রমিক নেতা অজয় মাহালি বলেন, “কোন সমস্যা থাকলে মালিকপক্ষ তা আলোচনার মাধ্যমে মেটাতে পারতেন। সেটা না করে শ্রমিক দিবসের ঠিক আগের রাতে এভাবে বাগান বন্ধ করে চলে যাওয়ার ঘটনার ঘোর নিন্দা জানাই। হাজার শ্রমিক কর্মহীন (Unemployed Workers)।”

    আরও পড়ুন: জানেন কি কেন পালন করা হয় মে দিবস? কোন ইতিহাস লুকিয়ে এই দিনটিতে!

    মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তার পরেই এল কাজ বন্ধের নোটিশ

    প্রসঙ্গত, শ্রমিক দিবস (International labour day) উপলক্ষে সকালেই মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুখ্যমন্ত্রী তার শুভেচ্ছা বার্তায় লেখেন,”আমাদের সকল শ্রমিক (Unemployed Workers) ভাই বোনকে জানাই আন্তর্জাতিক  শ্রমিক দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা। শ্রমিকরা আমাদের সমাজের সম্পদ। তাদের নিয়ে আমরা গর্বিত। আমি সব সময় তাদের পাশে থাকি। বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনার মত যুগান্তকারী প্রকল্প চালু করা থেকে, কেন্দ্রের কাছ থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত রাজ্যের ৫৯ লক্ষ গ্রামীণ শ্রমিকের টাকা রাজ্যের নিজস্ব তহবিল থেকে মিটিয়ে দেওয়া, বরাবর আমরা সকল ক্ষেত্রে শ্রমিক ভাই বোনদের পাশে থেকেছি আগামীতেও থাকবো।” আর মুখ্যমন্ত্রী এই বার্তার পরেই জানা গেল উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি মহাকুমার বারানহাট (Banarhat) ব্লকের তোতাপাড়া চা বাগানে কাজ বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সরকারি জমির ফসল নষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক জনসভা, বিতর্ক

    Murshidabad: সরকারি জমির ফসল নষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক জনসভা, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমানের গোদায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। আর সেখানে জমির ফসল কেটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করলেন। আর কৃষি দফতরের চাষের ফার্মে জনসভা করাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, সোমবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রামে জনসভা হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। আর সেই জনসভা ঘিরেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির।

    সরকারি জমির ফসল নষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা (Murshidabad)

    বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য,”মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রামে কৃষির খেত-খামার। ওটা একটা ফার্ম। সেখানে তিলের চাষ হচ্ছে। সেই তিল নষ্ট করে, জনসভা হল। যে জায়গায় সভা হয়েছে, সেই জায়গাটি কৃষি দফতর বিভিন্ন বীজ শস্য পরীক্ষা- নিরীক্ষণের জন্য ব্যবহার করে। সেখানে বেশ কিছুটা জায়গায় তিল চাষও করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য সেই ফসল কেটে নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য জমির ফসলও নষ্ট করা হল। আর এই ফসল নষ্ট করার জন্য কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।” কংগ্রেস নেতৃত্বও সরকারি জমির ফসল নষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর সভার করার নিন্দা জানিয়েছেন। তবে, এই বিষয়ে খড়গ্রামের ব্লকের কৃষি আধিকারিক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ফলে, জোর করে এই জমি তৃণমূল নিয়েছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: বুধবারও তীব্র তাপপ্রবাহ দক্ষিণের ৮ জেলায়, জনশূন্য রাস্তাঘাট, ফুটিফাটা জমি

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও জমি বিতর্কে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। খড়গ্রামের (Murshidabad) তৃণমূল বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, “ফসল নষ্ট হয়নি। ওই জমিতে সামান্য জায়গায় ফসল ছিল। খুব বেশি ফসল ছিল না। যেগুলি ছিল, সেগুলিও প্রায় মরেই গিয়েছিল। আর আমরা বিনা পয়সায় জমি নিয়েছি, এমন নয়। আমরা তার ক্ষতিপূরণ দিয়েই সভা করেছি। সামান্য যে ফসল ছিল, তার অনেক গুণ বেশি ক্ষতিপূরণ দিয়েই সভা হয়েছে। “লোকসভা ভোটের আবহে এই সভাস্থলের জমি ইস্যু আরও চর্চায় উঠে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • International Labour Day: জানেন কি কেন পালন করা হয় মে দিবস? কোন ইতিহাস লুকিয়ে এই দিনটিতে!

    International Labour Day: জানেন কি কেন পালন করা হয় মে দিবস? কোন ইতিহাস লুকিয়ে এই দিনটিতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ১ মে পালিত হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (International Labour Day)। এই দিন মে দিবস নামেও পরিচিত। কিন্তু কেন পালন করা হয় মে দিবস? কোন ইতিহাস লুকিয়ে এই দিনটির পিছনে তা জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।

    সহজ ভাষায় বলতে গেলে কাজের ফাঁকে শ্রমিকদের একটু বিশ্রামের দিন এই শ্রমিক দিবস। কাজ তো করতেই হবে। কিন্তু সারাদিন ধরে কাজ করা তো সম্ভব নয়। তাই কাজ যেমন জরুরি, ঠিক ততটাই জরুরি পর্যাপ্ত বিশ্রামের সময় পাওয়া। এই সহজ কথাটাই নতুন করে মনে করার দিন ১ মে। আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবস (Labour Day)। আর এরই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের ঐতিহাসিক সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দিতেই দিনটি পালিত হয়ে থাকে।

    আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবসের ইতিহাস

    ১৯ শতকের শ্রমিক আন্দোলন থেকে শ্রমিক দিবসের উৎপত্তি। শ্রমিকরা আরও ভাল কাজের পরিবেশ, সংক্ষিপ্ত কাজের সময় এবং সংগঠিত হওয়ার অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন। ১৮৮২ সালে সেন্ট্রাল লেবার ইউনিয়নের (Central Labour union) আয়োজনে নিউইয়র্ক সিটিতে প্রথম শ্রমিক দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৮৮৬ সাল থেকে আমেরিকায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। যদিও ভারতে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে ১৯২৩ সাল থেকে।

    ১৮৮৬ সালে আমেরিকার (America) শিকাগো শহরের হে মার্কেটে আন্দোলনের বলিদান হওয়া শ্রমিকদের আত্মত্যাগকে মনে রেখে এই দিনটি পালন করা হয়। সেদিন দৈনিক ৮ ঘণ্টার কাজের দাবিতে শ্রমিকরা (workers) হে মার্কেটে জমায়েত করেছিলেন। তাঁদের ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি কেউ একজন বোমা ছোঁড়ে। তার পরে পুলিশ শ্রমিকদের উপর গুলি চালাতে শুরু করে। ফলে প্রায় ১০-১২ জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হন।

    এই দিনটির তাৎপর্য

    বিশ্বব্যাপী ৮০টিরও বেশি দেশে শ্রমিক দিবস পালিত হয়, প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব অনন্য উপায়ে দিবসটি পালন করে।  অনেক দেশে, শ্রমিক দিবস একটি জাতীয় সরকারী ছুটির দিন (National Holiday) হিসাবে পালন করা হয়, যার ফলে শ্রমিকরা তাদের কাজের থেকে প্রাপ্য বিরতি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে।

    আরও পড়ুন:কোভিশিল্ড পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! করোনাকালে টিকা নিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের কতটা বিপদ?

    সচেতনতা বৃদ্ধি

     শ্রমিক দিবসের দিন অনেক জায়গাতেই প্যারেড বা সমাবেশ হয়, যেখানে শ্রমিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নগুলি তাঁদের দাবিতে সোচ্চার হতে এবং তাদের সাফল্য উদযাপন করতে একত্রিত হয়। এই অনুষ্ঠানগুলি আসলে শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা (awareness) বৃদ্ধি করতে এবং ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ ও উন্নত কাজের পরিবেশের পক্ষে প্রচারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বুধবারও তীব্র তাপপ্রবাহ দক্ষিণের ৮ জেলায়, জনশূন্য রাস্তাঘাট, ফুটিফাটা জমি

    Weather Update: বুধবারও তীব্র তাপপ্রবাহ দক্ষিণের ৮ জেলায়, জনশূন্য রাস্তাঘাট, ফুটিফাটা জমি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তপ্ত তাওয়ায় জ্বলছে কলকাতা, ৭০ বছর পর ফের রেকর্ড ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস! বুধবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় থাকছে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। তীব্র দাবদাহে নাজেহাল বাংলার জনজীবন। প্রবল গরমে সুনসান রাস্তাঘাট। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নিরিখে বাংলা থেকেই রয়েছে দুই জায়গা। গরমে হাঁসফাঁস দক্ষিণ থেকে উত্তর।

    জ্বলছে শহর

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৭.৪ ডিগ্রি বেশি। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.৯ ডিগ্রি বেশি। কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপপ্রবাহ এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে বুধবার। পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ— দক্ষিণের এই আট জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার চৃড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অসহনীয় গরমে মানুষ থেকে শুরু করে গবাদি পশু, বন্য পশু সকলেরই নাজেহাল অবস্থা। জমির অবস্থা ফুটিফাটা। যে সমস্ত সব্জি বা তৈলবীজ চাষ হয় তা-ও গরমে ঝলসে যাচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের কবলে একের পর এক জেলা, মঙ্গলবার রাজ্যের কোথায় তাপমাত্রা কত ছিল?

    কেন এই পরিস্থিতি

    এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছিল তাপপ্রবাহের দাপট। সেই দাপট এখনও অব্যাহত। মে মাসের প্রথম সপ্তাহেও যে তাপপ্রবাহের হাত থেকে নিস্তার মিলবে না, তা জানিয়ে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ৫ মে পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলতে পারে গোটা দক্ষিণবঙ্গে। মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা গরম বাতাস। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৩ মে শুক্রবার থেকে একটু একটু করে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। রবিবার থেকে অবশ্য রাজ্যের কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi:  “মুখ্যমন্ত্রী সভা করলে প্রধানমন্ত্রী পারবেন না কেন?” প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের

    Narendra Modi: “মুখ্যমন্ত্রী সভা করলে প্রধানমন্ত্রী পারবেন না কেন?” প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপি দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করে বিজেপি মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে। এবার দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ঝড় তুলতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আসছেন বর্ধমানে। আর নিয়ম মেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার জন্য বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার (বিডিএ) কাছে গোদার মাঠের অনুমোদন চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, মঙ্গলবার পর্যন্ত সেই অনুমোদন মেলেনি। ফলে, গোদার মাঠে প্রধানমন্ত্রীর সভা হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রী সভা করলে প্রধানমন্ত্রী পারবেন না কেন? (Narendra Modi)

    ৩ মে সকাল ১০টায় বর্ধমানে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সভা করার কথা। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি-র একটি দল বর্ধমানে এসেছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গোদার মাঠে অনুমতি না পেলে বিকল্প হিলেবে সাইয়ের মাঠে ঠিক করে রাখা হয়েছে। গোদার মাঠে অনুমতি না মিললেও পরিকাঠামোর অবস্থা খতিয়ে দেখতে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ যান। তিনি বলেন, “লক্ষাধিক মানুষ আসার মতো ব্যবস্থা আছে। চারদিকে জনবসতি নেই। গাড়ি রাখার সুবিধা আছে। হেলিকপ্টার রাখা যাবে। তাহলে এই মাঠ কেন দেওয়া যাবে না? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমানে এই মাঠেই প্রশাসনিক সভা করেন। দিলীপের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী সভা করতে পারলে প্রধানমন্ত্রী পারবেন না কেন? মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লেখা হয় প্রশাসনিক, আর সেখানে উনি প্রধানমন্ত্রীকে গালাগালি দেন। এটা কী ধরনের প্রশাসনিক সভা! বিডিএ-র মাথায় কে বসে আছেন? আপনাদের রাজনীতি, আর আমাদের বেলায় আইন দেখাবেন? আমরাও এর জবাব দেব। প্রয়োজনে আদালতে যাব।”

    আরও পড়ুন: বুধবারও তীব্র তাপপ্রবাহ দক্ষিণের ৮ জেলায়, জনশূন্য রাস্তাঘাট, ফুটিফাটা জমি

    বিডিএ-র চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    বিডিএ-র চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্ত অবশ্য বলেন, ওই মাঠ স্বাস্থ্যনগরীর জন্য উন্নীত করা হবে। সরকারি মাঠ সরকারের অনুষ্ঠানের জন্য দেওয়া যেতেই পারে। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভা হয়। কিন্তু যে মাঠের কাছে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে, সেই মাঠকে কী ভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য দেব?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “বিজেপিকে ভোট দিলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে”, হুমকি তৃণমূল বিধায়কের

    Howrah: “বিজেপিকে ভোট দিলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে”, হুমকি তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর হাওড়ার (Howrah) সালকিয়া অবাঙালি অধ্যুষিত বহুতল বাড়িগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে বিজেপির প্রভাব রয়েছে। হাওড়া পুরসভা কিংবা বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের ফলাফলেও সেটা প্রতিফলিত হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনেও হাওড়া উত্তর বিধানসভা এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। তাই এ বার ওই ভোটকে নিজেদের দিকে টানতে তৎপর তৃণমূল। উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপিকে ভোট দিলেই জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে (Howrah)

    দলীয় প্রার্থীর হয়ে গোলাবাড়ি (Howrah) থানার কাছে একটি আবাসনের কাছে তিনি ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। ওই আবাসনের ভোটার সংখ্যা প্রায় ন’শো। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওয় (যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) এক জনকে উদ্দেশ্য করে বিধায়ক বলেন, ওই আবাসনের বাসিন্দারা যেন ভোটের দিন বাড়ি থেকে না বের হন। আর যদি বের হন, তা হলে আমি বুঝে যাব কাকে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। তারপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি বিজেপিকে ভোট দেওয়া হয় তা হলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: “লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই বলেন, “যেখানে নির্বাচন কমিশন কোটি কোটি টাকা খরচ করছে নির্বাচনের জন্য, মানুষকে নির্ভয়ে ভোট দিতে আবেদন করছে। সেখানে এক জন জনপ্রতিনিধি কী ভাবে মানুষকে ভোট না দিতে বলেন? তিনি কী ভাবে বলতে পারেন যে, বিজেপিকে ভোট দিলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে?” আমরা এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করছি। আর তৃণমূল বিধায়ক (Howrah) গৌতম চৌধুরী বলেন, আমি ওই এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলাম ঠিকই। তবে, এমন হুমকি আমি দিইনি। এরপরই তিনি বলেন, “পাঁচ বছর প্রত্যেক দিন, চব্বিশ ঘণ্টা আমি মানুষের পাশে থাকি। আমরা জল দিই, রাস্তা তৈরি করি। মানুষকে নিরাপত্তা দিই। তা হলে মানুষ কেন আমাদের ভোট দেবেন না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সরকারি লঞ্চে চড়ে দলীয় মিটিংয়ে গেলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    South 24 Parganas: সরকারি লঞ্চে চড়ে দলীয় মিটিংয়ে গেলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার গোসাবা বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় সেই বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার এবং গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্বরা।

    সরকারি লঞ্চে তৃণমূলের মিটিংয়ে যোগ দিতে আসেন দুই বিধায়ক (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোসাবা (South 24 Parganas) বিডিও-র লঞ্চে করে দলীয় মিটিংয়ে যোগ দিতে আসেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং মন্দির বাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার। আর এই ঘটনার সামনে আসতে সুর চরিয়েছে বিরোধীরা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ , নির্বাচন বিধি লাগু হওয়ার পর কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মিটিংয়ে বিডিও লঞ্চ ব্যবহার করে দুই বিধায়ক তাদের দলীয় মিটিংয়ে আসে। নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে তারা সরকারি লঞ্চ ব্যবহার করছে এমনটাই অভিযোগ করছে বিজেপি। তবে, এই ঘটনায় গোসাবা বিডিও বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।

    আরও পড়ুন: “লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তবে,এ বিষয়ে নির্বাচন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, এখন বিভিন্ন বিডিও অফিস, ডিএম অফিস, থানা থেকে ওপরে সমস্ত সরকারি দফতরগুলি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। তারা ভুলেই গেছে এখন নির্বাচন আচরণবিধি কার্যকরী হয়ে গিয়েছে। তারপরেও কীভাবে বিডিও অফিসের লঞ্চ নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারে?এই বিষয় নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করব। পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে মন্দির বাজারের বিধায়ক তথা সুন্দরবন সংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জয়দেব হালদার বলেন, এমন কোনও ঘটনায় ঘটেনি। আমরা ব্যক্তিগতভাবে লঞ্চ ভাড়া করে নিয়ে প্রচার কর্মসূচিতে যাই। বিরোধী শিবির ও বিজেপির কোনও ইস্যু নেই, তাই এই ধরনের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা সংবাদমাধ্যমে প্রচারে আসতে চাইছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura Weather: বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা হাফসেঞ্চুরির পথে, আবহাওয়া দফতর জারি করল হাই-অ্যালার্ট

    Bankura Weather: বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা হাফসেঞ্চুরির পথে, আবহাওয়া দফতর জারি করল হাই-অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমের ঝোড়ো ব্যাটিং অব্যাহত। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে লাল মাটির দেশের অবস্থা আরও বেহাল। বাঁকুড়ার (Bankura Weather) তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি পার করেছে ইতিমধ্যেই। সকাল থেকেই হুহু করে বেড়েছে পারদ। বর্ষার কোনও খবর নেই আগামী সাতদিনে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই হাল থাকলে আগামী দিনে ঘরেও টেকা দায় হয়ে উঠবে। এমতাবস্থায় বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় মাইক প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। তাঁদের তরফ থেকে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে খোলা হয়েছে জলছত্র।

    ১০টা থেকে ৪টে পর্যন্ত রাস্তায় না বের হওয়ার পরামর্শ (Bankura Weather)

    বাঁকুড়ায় (Bankura Weather) এমনিতেই গরমে নাজেহাল মানুষ। তার উপর এদিন সকাল থেকেই এতটাই রোদের তেজ যে বাইরে বের হলেই মুখ হাত পুড়ে যাওয়ার মতন অবস্থা। গরম হলকায় চোখ মুখ পুড়ে যাওয়ার মতন অবস্থা। বাইরে বেরোলেই নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা অনুভব করেছেন বহু মানুষ। বাইরে বেরিয়ে অসুস্থ বোধ করেছেন অনেকে। পুলিশের তরফ থেকে জেলা জুড়ে জারি করা হয়েছে হাই এলার্ট। মাইকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রাস্তায় মানুষকে না বের হতে অনুরোধ করা হচ্ছে। আরও জানা গেছে গরমে বাঁকুড়ার বিভিন্ন জঙ্গলে আগুন লাগার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বসন্ত থেকে মনসুনের আগে পর্যন্ত বাঁকুড়ার জঙ্গলে গাছের পাতা পড়া অব্যাহত থাকতে। শুকনো পাতায় আগুন লেগেছে দেখলেই দ্রুত প্রশাসনকে জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে পুলিশের তরফ থেকে। জঙ্গলে গিয়ে বিড়ি সিগারেট খেতে নিষেধ করা হচ্ছে স্থানীয় মানুষকে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    বিষ্ণুপুরের (Bankura Weather) এসডিও সুপ্রকাশ দাস বলেছেন, “প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ যেতে না বের হন তাঁর জন্য সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন থানার পক্ষ থেকে জলছত্র খুলতে বলা হয়েছে। যে সকল পুলিশ রাস্তায় ডিউটি করছেন তাঁদের ওআরএস ও জল সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। ছাতা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। গরমের সময় জঙ্গলে আগুন লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এবারও কয়েকটি জায়গায় আগুন লক্ষ্য করা গেছে। সঙ্গে সঙ্গে নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “বিজেপি কর্মীর খুনিদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেব”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “বিজেপি কর্মীর খুনিদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেব”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাংলায় ভোট প্রচারে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রসুলপুরে সভামঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। মঞ্চে উঠেই তিনি বলেন, ‘অসীম সরকারকে যত ভোট দেবেন, ততই ভোট যাবে নরেন্দ্র মোদির কাছে।

     বিজেপি কর্মীর খুনিদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেব (Amit Shah)

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, বহু বিজেপি কর্মীকে বাংলায় খুন করা হয়েছে। আজ বলে যাচ্ছি, যারা এগুলো করেছে, আমাদের সরকার তৈরি হওয়ার পর পাতাল থেকে খুঁজে বের করে জেলে পাঠাবে বিজেপি। আমাদের দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা করা হয়, লজ্জা হওয়ার উচিত। আমাদের নেতারা বাংলায় এসে হোটেল পায় না, গাড়ি পায় না, যে হোটেল বুক হয়, সেটা তৃণমূলের গুণ্ডারা খালি করে দেয়।’ আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে ভয় পায় বলে এসব করে।

    আরও পড়ুন: “লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    সন্দেশখালি নিয়ে সুর চড়ালেন শাহ

    শাহ (Amit Shah) এদিন বলেন, সন্দেশখালিতে মা-বোনেদের যারা অত্যাচার করেছে, তাদের সকলকে জেলে পাঠানো হবে। তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের আটকানোর চেষ্টা করছে না, কারণ তাদের ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব পড়বে। তিনি আরও বলেন, মোদি সরকারের সব যোজনা নিজের নাম লাগিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে মমতা দিদি। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন,  ‘পিএম ফসল যোজনা হয়ে গেল বাংলা ফসল যোজনা, পিএম আবাস হয়ে গেল বাংলার আবাস, স্বচ্ছ ভারত বদলে গিয়েছে নির্মল বাংলা নামে, জল জীবন মিশন হয়ে গেল মমতার জলস্বপ্ন।’ মোদি বাংলার জন্য ১০ লক্ষ কোটি টাকা পাঠিয়েছে, সেই টাকা কোথায় গেল, সেই প্রশ্ন তুলেছে তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, বাংলায় বিনামূল্যে যে চাল আসে, সেটা দেন মোদি। ১২ কোটি মানুষের বাড়িতে শৌচালয় বানিয়ে দিয়েছেন মোদি। ৪ কোটি মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন মোদি। ১০ কোটি মানুষকে সিলিন্ডার দিয়েছেন, ১৪ কোটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন জল।

    ৩০ টি আসনে মোদিকে জেতান, বাংলা হবে দেশের এক নম্বর রাজ্য

    এদিন অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, দেশের মানুষ ও রামভক্তরা চাইতেন রাম মন্দির তৈরি হোক। যখন মন্দির তৈরি হল, তখন মমতা দিদিকে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু, ওঁরা গেলেন না। কেন গেলেন না জানেন? কারণ ওঁরা অনুপ্রবেশকারীদের ভয় পায়। এরপর সাধার মানুষের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ১৮ টি আসন দিয়েছিলেন, তারপরই তৈরি হল রাম মন্দির। ৩০ টি আসনে মোদিকে জেতান, আমরা বাংলাকে দেশের এক নম্বর রাজ্য হিসেবে গড়ে দেব। সোনার বাংলার স্বপ্নও পূরণ করবেন মোদি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা-মাটি-মানুষের কথা বলেছিলেন। আসল মা-মাটি-মানুষের সরকার ফিরিয়ে আনতে পারেন মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না”, কড়া বার্তা যোগীর

    Yogi Adityanath: “উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না”, কড়া বার্তা যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম নবমীর দিন মুর্শিদাবাদের বহরমপুর লোকসভার শক্তিপুরে রামভক্তদের ওপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল। বাড়িঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি দোকান লুট করেছিল। বোমাবাজি করেছিল এলাকায়। এলাকায় দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এবার সেই শক্তিপুরের প্রতাপ সিংহের মাঠে জনসভায় বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহার সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দাঙ্গাকারীদের কড়া বার্তা দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

    দাঙ্গাকারীদের কড়া বার্তা (Yogi Adityanath)

    মঙ্গলবার জনসভা থেকে যোগী (Yogi Adityanath) বলেন, সাত বছর আগে উত্তরপ্রদেশের হাল বাংলার মতোই ছিল। আমি আসার পর সব ঠিক করে দিয়েছি। আর সেখানে রাম নবমীতে কোনও দাঙ্গা হয় না। কার্ফু লাগাতে হয় না। এখানে এসে শুনলাম রাম নবমীর দিন হামলা হয়েছিল।  আমার উত্তরপ্রদেশ হলে দাঙ্গাকারীদের উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, আগামী সাত প্রজন্ম দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না। উত্তরপ্রদেশে আমি আসার আগে মাফিয়া রাজ চলত। আজ সেগুলি অতীত, আমি আজ এখানে এসেছি এটাই বলতে বাংলার এই দাঙ্গা, যে বাংলা রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা, যে বাংলায় সম্প্রীতির বাংলা সেই বাংলায় কেন আজ এত দাঙ্গা, অবিলম্বে এই দাঙ্গা বন্ধ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: সোমবার রাজ্যের উষ্ণতম ছিল কলাইকুন্ডা, কলকাতার তাপমাত্রা কত?

    সোনার বাংলা হবে

    যোগী (Yogi Adityanath) আরও বলেন, এই বাংলার সন্তান স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি বলেছিলেন, গর্ব করে বলো আমি হিন্দু। আর আজ সেই বাংলাকে  হিন্দু বিহীন করার চক্রান্ত চলছে। এই বাংলায় আজ কংগ্রেস, তৃণমূল নাটক শুরু করেছে। আর বাংলার বাইরে গিয়ে তারা এক হচ্ছে। এদেরকে চিনে রাখুন নাহলে সমূহ বিপদ। যদি উত্তরপ্রদেশের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করতে পারে, কেন এই বাংলায় মানুষের মধ্যে এত বিরোধ। বাংলাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি লুণ্ঠনকারীদের হাত থেকে আপনারা সবাই বাঁচান এবং মানুষ আজ যেভাবে উত্তরপ্রদেশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে, আমি কথা দিচ্ছি এই বাংলায় কোনও দাঙ্গা হবে না বাংলা আবার তার পুরনো সংস্কৃতি ফিরে পাবে। সোনার বাংলা হবে।

    কেন্দ্রের সব সুবিধা পায় উত্তরপ্রদেশ, বাংলা কেন বঞ্চিত?

    তিনি (Yogi Adityanath) আরও বলেন, এই বাংলা সংস্কৃতি এবং সভ্যতার এক নতুন দিশা দেখিয়েছিল। ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এক নতুন আলো দেখাচ্ছিল। আজ সেই বাংলার কেন দিশাহীন  অবস্থা? যে বাংলায় মা দুর্গার পুজো হয়, সেই বাংলায় কী করে সন্দেশখালির মত ঘটনা ঘটে, সে প্রশ্ন আমি আজ বহরমপুর থেকে বাংলার সরকারের কাছে রাখছি। তিনি বলেন, কংগ্রেস এবং তৃণমূল এই দুজনেই এক থালায় খাওয়া লোক। এই দুই দল বাংলাকে লুটার জন্য, আর ভারতকে বদনামের জন্য এক। কেন্দ্রের সমস্ত পরিষেবা ইউপি সরকার পাচ্ছে বাংলায় তা পাঠানো সত্ত্বেও কেন বাংলার মানুষ আজ বঞ্চিত হচ্ছে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share