Tag: West Bengal

West Bengal

  • SSC Recruitment Scam: চাকরিহারাদের ঋণ দিয়েছে কোটি কোটি টাকা, আদালতের রায়ে ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের

    SSC Recruitment Scam: চাকরিহারাদের ঋণ দিয়েছে কোটি কোটি টাকা, আদালতের রায়ে ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্টের রায়ে রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। আচমকা চাকরি চলে যাওয়ার ঘটনায় আকাশ ভেঙে পড়েছে চাকরি হারা শিক্ষকদের পরিবারে। সকলেই চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। এই আবহের মধ্যে চিন্তায় পড়েছে ব্যাঙ্কও। কারণ, বহু শিক্ষক ব্যাঙ্ক থেকে গৃহ ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ বা গাড়ি কেনার জন্য লোন নিয়েছিলেন। সেই টাকা এবার পরিশোধ করবেন কীভাবে? এটাই এখন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের মস্তবড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    চাকরিহারাদের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক কোটি কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে (SSC Recruitment Scam)

    জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের তথ্য তুলে ধরলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। এমনিতেই সরকারি চাকরি বলে  শিক্ষকদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয় ব্যাঙ্ক। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি-ধূপগুড়ির ওই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক প্রায় ৭ কোটি টাকা বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের ঋণ দিয়েছে। শুধু এই ব্যাঙ্ক নয়। গোটা জেলার ব্যাঙ্কগুলি ধরলে সেই টাকার পরিমাণ অনেক বেশি। আর গোটা রাজ্য ধরলে কোটি কোটি টাকা চাকরি হারা শিক্ষকদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। পার্সোনাল লোন, হোম লোন নিয়ে অনেকে বাড়ি তৈরি করেছেন। সোমবার আদালতের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় চাকরি গিয়েছে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। তারপর থেকেই কোর্টের নির্দেশে রীতিমতো ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্কেরও।

    আরও পড়ুন: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ভেঙে পড়বে!

    ধূপগুড়ি ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার নীলাদ্রি ঘোষ বলছেন, “চিন্তা তো খুবই আছে। টাকা কীভাবে তোলা হবে সেটাই এখন মূল মাথা ব্যথা। ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে যে টাকা আছে তা তো পাবলিক ফান্ডের। ঋণ শোধ করতে না পারলে পাবলিকের টাকা ক্ষতির মুখে পড়বে। ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ভেঙে পড়বে। লোকজনের ব্যাঙ্কের ওপর থেকে ভরসা উঠে যাবে।” ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, এখন থেকে সরকারি শিক্ষকদের ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি অত সহজ হবে না। নীলাদ্রি ঘোষ বলছেন, “যে রায় দেওয়া হয়েছে কোর্টের তরফে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এখন থেকে সরকারি শিক্ষকদের ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া আর সহজ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Verdict: ফের শিরোনামে ‘সৎ রঞ্জন’, আদালতের রায়ে ‘আঁধার’ নামল মামাভাগিনা গ্রামে

    SSC Recruitment Verdict: ফের শিরোনামে ‘সৎ রঞ্জন’, আদালতের রায়ে ‘আঁধার’ নামল মামাভাগিনা গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার এসএসসি মামলার রায় (SSC Recruitment Verdict) দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। আর সেই সূত্র ধরে আরও একবার নাম উঠল ‘সৎ রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডলের। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন শিরোনামে ছিলেন চন্দন মণ্ডল। উল্লেখ্য তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস ভিডিয়ো বার্তায় ‘সৎ রঞ্জন’ নামে এক ব্যক্তির কথা জানান। মূল অভিযোগ হল, তিনি নাকি টাকার বিনিময়ে বহু চাকরি দিয়েছেন। পরে গ্রেফতার হন চন্দন মণ্ডল।

    বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে আধার (SSC Recruitment Verdict)

    জানা গিয়েছে সোমবার আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশের পরে যে ২৬ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন উত্তর ২৪ পরগনার চন্দনের গ্রামের আশপাশের এলাকার অনেকে। হাইকোর্টের রায়ের পরে মঙ্গলবার ভরা দুপুরেও যেন ‘আঁধার’ নেমে এসেছে বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে। চাকরি যাওয়া কারও ফোন বন্ধ, তো কেউ আবার বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    তবে কেবল মামাভাগিনা নয়, আশপাশের চড়ুইগাছি কুরুলিয়া, রামনগর-সহ গোটা বাগদা ব্লকের প্রচুর ছেলেমেয়ের চাকরি (SSC Recruitment Verdict) চলে গিয়েছে বলে গ্রামেরবাসিন্দারা জানিয়েছেন। চন্দনের প্রতিবেশী, স্থানীয় একটি সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান হারান বিশ্বাস এ প্রসঙ্গে বলছিলেন, ‘‘যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের বেশ কয়েক জন অবৈধ ভাবে চন্দনকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলেই মনে হচ্ছে ।’’ সেই সঙ্গে আরও বলেন, “গ্রামের অনেকেই টাকা দিয়ে চাকরি পেলেও সকলে অবৈধভাবে নিযুক্ত হননি। কেউ কেউ নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন।”

    অনেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি করেছেন

    এদিন হাইকোর্টের রায়ের (SSC Recruitment Verdict) পরে এলাকার পরিবেশ সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। আরও গ্রামবাসীরা বলেন, “যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা সোমবারের পর থেকে আর বাড়ির বাইরে বের হননি। তেমনই এক যুবকের বাড়ি গিয়ে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই জানালেন, কোনও স্কুলে চাকরি করেন না তিনি। মাঠেঘাটে কাজ করেন। গ্রামের এক মহিলার মতে আদালতের এমন সিদ্ধান্তে বাগদার (Bagda) প্রচুর যুবক-যুবতী পথে বসলেন। কারও বিয়ে হয়েছে। কারও সন্তান হয়েছে। কেউ কেউ আবার ঋণ নিয়ে বাড়ি করছেন। তাঁদের এ বার কী হবে!”

    আরও পড়ুনঃউস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    লাইন পড়ত চন্দনের বাড়িতে

    মামাভাগিনা (Mamabhagina) গ্রামে চাকরি যাওয়া এক যুবকের আত্মীয় এদিন বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে এখানে যখন চাকরি বিক্রি হচ্ছিল, তখন চন্দন মণ্ডলকে টাকা দিয়ে ছেলের চাকরি হয়েছিল।’’ এ দিন পুরনো স্মৃতি উস্কে বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজনের দীর্ঘ লাইন পড়ত চন্দনের বাড়িতে। উদ্দেশ্য একটাই, চন্দন মণ্ডলের সাহায্য নিয়ে একটা সরকারি চাকরি (SSC Recruitment Verdict) জোটানো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মধ্যে বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক। এবার দ্বিতীয় দফা ভোটের আগেই হামিদুল রহমানকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সম্প্রতি এক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিরোধী ভোটারদের উদ্দেশ্যে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এবার তাঁকে শোকজ করল কমিশন।

    ঠিক কী বলেছিলেন (Election Commission)?

    সম্প্রতি দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল লামার সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রেখেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। চোপড়া (Chopra) ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ের সভায় বক্তব্যের মাঝে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে হামিদুল রহমান (Hamidul Rahaman) বলেছিলেন, “যে বিরোধী ভোটাররা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না তাঁদের মনে রাখতে হবে ২৬ এপ্রিল ভোটের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবে। এলাকার বাহিনীর সঙ্গেই তখন থাকতে হবে। তখন কিছু হলে তাঁরা যেন বলতে না আসেন। তাই মূল্যবান ভোটগুলি নষ্ট করবেন না।” এই বক্তব্যের অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল বিধায়ককে শোকজ করেছে কমিশন (Election Commission)। ২৫ এপ্রিলের মধ্যে চোপড়ার বিধায়ককে জবাব দিহি করতে বলেছে কমিশন। যদিও এ ব্যাপারে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের এই বক্ত্যবের তীব্র নিন্দা করেছিল বিজেপি। চোপড়ার বিজেপি (BJP) নেতা বরুণ সিংহ পাল্টা সতর্ক করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) হামিদুল রহমানের এই বক্তব্যের পরেই কমিশনে (Election Commission) অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “নিশ্চিত পরাজয় বুঝে গিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা হুমকি দিতে শুরু করেছেন। পঞ্চাতের মত ভোটলুঠ এবার আমরা করতে দেব না।”

    আরও পড়ুনঃ প্রচারের শেষ দিনে সুকান্তর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা হয়েছিল

    প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের অন্যতম উত্তেজনার কেন্দ্র ছিল চোপড়া। সিপিএম ও কংগ্রেস মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় তাদের উপর গুলি চালানো ও বোমাবাজির অভিযোগও উঠেছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যুও হয়। আরও বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহতও হয়েছিল। এই ঘটনার পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীদের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের এই হামলার পর বিরোধীরা কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করতেই পারেনি। একপ্রকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Election Commission) জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবার লোকসভা ভোটে আর তৃণমূলকে (TMC) এক চুলও জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: প্রচারের শেষ দিনে সুকান্তর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Sukanta Majumdar: প্রচারের শেষ দিনে সুকান্তর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বালুরঘাট লোকসভায় ভোট। তার দুদিন আগেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক চলছে। বুধবার তৃণমূল দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করল প্রায় শতাধিক পরিবার। এদিন বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজেপিতে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এছাড়াও যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।

    তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন (Sukanta Majumdar)

    এদিন মূলত তপন ব্লক একাধিক পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে। এই ব্লকের ৭০টি পরিবার যোগ দেয়। অন্যদিকে, বালুরঘাট শহরের একাধিক নতুন ভোটার বিজেপিতে যোগদান করেছে। জানা গিয়েছে, এই এলাকায় ৪০ জন নতুন ভোটার বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অন্যান্য দলের সমর্থক ছিলেন। এদিন লোকসভা নির্বাচনের শেষ প্রচার। প্রচারের শেষ দিন কুশমন্ডি ও হরিরামপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় হুড খোলা গাড়িতে নির্বাচনের শেষ প্রচার করলেন বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রচার সেরে তিনি গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। বিজেপিতে যোগদান করার পর এক যোগদানকারী বলেন,আমরা ১০ নম্বর মালঞ্চা গ্রামপঞ্চায়েত থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। কারণ, তৃণমূলে থাকাকালীন শুধু দুর্নীতি দেখেছি। তাই, দুর্নীতি মুক্ত করতে আজ বিজেপিতে আসলাম।

    আরও পড়ুন: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, নির্বাচনী প্রচারের শেষদিন। তাই, জেলার কুশমন্ডি, হরিরামপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করলাম। সাধারণ মানুষের ভালো সাড়া পাচ্ছি। এদিনও সকাল থেকে দিনভর বিভিন্ন এলাকায় চুটিয়ে প্রচার করলাম। আর বহুদিন ধরেই তৃণমূল ছেড়ে বহু পরিবার বিজেপিতে যোগদান করছে। প্রচারের শেষদিনেও যোগদান পর্ব লেগেই রয়েছে। যোগদানকারীরা বুঝেছে যে রাজ্য বাঁচাতে হলে বিজেপি দরকার তাই আজ তারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Akshaya Tritiya 2024: অক্ষয় তৃতীয়া কেন মঙ্গলদায়ক? পুরাণ মতে এই দিনটির গুরুত্ব কী জানুন

    Akshaya Tritiya 2024: অক্ষয় তৃতীয়া কেন মঙ্গলদায়ক? পুরাণ মতে এই দিনটির গুরুত্ব কী জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি জাঁকজমক ভাবে পালিত হয়। সনাতন ধর্মে এই দিন (Hindu religion) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন বলে বিবেচিত হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshaya Tritiya) দিন থেকে নানা শুভ কাজ শুরু হয়। এছাড়াও অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে কেনাকাটা করা বা সোনার গহনা কেনা খুবই মঙ্গল বলে মনে করা হয়। অনেকের বিশ্বাস, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে শুরু করা কাজ শুভ ফল দায়ক হয়। এই কারণেই মানুষ নতুন ব্যবসা শুরু করে এই তিথিতে। পয়লা বৈশাখের মতো এদিনও হালখাতা হয় দোকানে দোকানে। সেই উপলক্ষ্যে লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করতে এদিন বিভিন্ন মন্দিরে ভিড় করেন ব্যবসায়ীরা। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছেও সমৃদ্ধির বার্তাবাহক অক্ষয় তৃতীয়ার এই তিথি।

    সোনা-রূপো কেনার রীতি (Akshaya Tritiya 2024)

    অক্ষয় তৃতীয়ায় (Akshaya Tritiya 2024) সবাই যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সোনা ও রূপো কিনে থাকে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে সোনা কিনলে ঘরে ধন-সম্পদ, সুখ-সমৃদ্ধি আসে। এই দিনে সোনা কিনলে ঘরে অর্থের অভাব হয় না বলেও বিশ্বাস রয়েছে। ব্যক্তি এবং পরিবারের যশ ও খ্যাতি বৃদ্ধি পায়। চলতি বছর ২০২৪ সালের ১০ মে পালিত হবে এই বছরের অক্ষয় তৃতীয়া। কথিত আছে যে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে ধন সম্পদের দেবতা কুবেরকে দেবলোকের অধিপতি নির্বাচন করা হয়। তাই এই দিনে মা লক্ষ্মীর সঙ্গে কুবেরেরও পুজো করা হয়। মনে করা হয় যে অক্ষয় তৃতীয়ায় কুবের দেবের পুজো করলে সংসারে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এই দিনে দান করলেও তার শুভ প্রভাবে সম্পদ লাভ করা সম্ভব হয়। অক্ষয় তৃতীয়ায় যব দান করা স্বর্ণদানের সমতুল্য বলে বিবেচিত হয়।

    অক্ষয় তৃতীয়ার গুরুত্ব

    অক্ষয় তৃতীয়ার দিনটি (Akshaya Tritiya 2024) যে কোনও ধরনের শুভ কাজ করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। বিয়ে, বাগদান, গৃহপ্রবেশ এবং উপনয়নের মতো যে কোনও শুভ কাজ অক্ষয় তৃতীয়ার যে কোনও সময় করা যায়। এই দিনটি এতই শুভ যে এই দিনে কোনও শুভ কাজ করার জন্য পঞ্জিকাতে শুভ সময় দেখার দরকার পড়ে না। এই দিনে যে কোনও সময় যে কোনও শুভ কাজ করা যেতে পারে।

    পুরাণে অক্ষয় তৃতীয়ার বর্ণনা

    পুরাণ অনুসারে অক্ষয় তৃতীয়ায় (Akshaya Tritiya) অক্ষয় পাত্র লাভ করে ছিলেন যুধিষ্ঠির। এই কারণে অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই ক্ষেতে বীজ রোপণ করা শুরু করেন কৃষকরা। অন্যদিকে আরেকটি পৌরণিক আরেকটি সূত্রে অনুসারে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুর নবম অবতার কৃষ্ণ দ্বাপর যুগে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সুদামা নামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ বন্ধু ছিলেন। সুদামা একদিন ভুলবশত কৃষ্ণের সব খাবার খেয়ে ফেলেছিলেন। এরপর তিনি শ্রীকৃষ্ণকে খাবার দিতে একমুঠো চাল নিয়ে তাঁর ঘরে আসেন। বন্ধু সুদামার এই আচরণ মুগ্ধ করেছিল শ্রীকৃষ্ণকে। এরপর শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদে সুদামার সমস্ত দারিদ্র্য ঘুচে যায়। মনে করা হয় যেদিন এই ঘটনা ঘটেছিল, সেদিন ছিল বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। তাই দিনটি বিশেষ শুভ।

    আরও পড়ুনঃ একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    খুলে যায় বদ্রীনাথধাম

    উল্লেখ্য অক্ষয় তৃতীয়া (Akshaya Tritiya 2024) থেকেই খুলে যায় চারধামের অন্যতম বদ্রীনাথধাম মন্দিরের দরজা। তার সঙ্গে এদিনই মথুরায় বাঁকে বিহারীর দর্শন পাওয়া যায়। সারা বছর পোশাকের আড়ালে ঢাকা থাকেন বাঁকে বিহারী। এই একদিনই তাঁর চরণ দর্শন করা সম্ভব হয়। এছাড়াও অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshaya Tritiya) দিন সূর্যোদয়ের আগে উঠে সমুদ্র, গঙ্গা বা যে কোনও পবিত্র নদীতে বা বাড়িতে স্নান করার পর শান্ত চিত্তে ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর পুজো করার বিধান রয়েছে। সুখ, সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধির জন্য লক্ষ্মীনারায়ণের পাশাপাশি এই দিনে ভগবান শিব এবং মা পার্বতীরও পুজো করা হয়।

    স্কন্দপুরাণ অনুসারে দিনের গুরুত্ব

    শাস্ত্র অনুসারে, এই অক্ষয় তৃতীয়ার মাসে (Akshaya Tritiya 2024) জলের কলস, ছায়াযুক্ত বৃক্ষ রক্ষা ও রোপণ, পশু-পাখিদের খাবারের ব্যবস্থা করা, পথচারীকে জল দেওয়া প্রভৃতি ভালো কাজগুলি মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যায়। অন্যদিকে স্কন্দপুরাণ অনুসারে এই মাসে জল দান করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, অর্থাৎ বহু তীর্থযাত্রা করে যে ফল পাওয়া যায় তা বৈশাখ মাসে জল দান করলেই পাওয়া যায়। এছাড়া যাঁরা ছায়া চান, তাঁদের ছাতা দান এবং যাঁরা পাখা চান, তাঁদের একটি পাখা দান করলে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব এই তিন দেবতার আশীর্বাদ পাওয়া যায়। যিনি পাদুকা দান করেন, তিনি যমদূতদের তুচ্ছ করে বিষ্ণুলোকে যান। এমন কথাও বর্ণিত রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: “রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে”, বিস্ফোরক চাকরি হারা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি

    SSC Recruitment Scam: “রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে”, বিস্ফোরক চাকরি হারা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্টের রায়ে রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি চলে গিয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি কবিতা বর্মনের। চাকরি বাতিল হওয়ার ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে, চাকরি হারানোর পর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি এই দুর্নীতির জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন। তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

     চাকরি বাতিল হয়েছে জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতির (SSC Recruitment Scam)

    দলীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-২৩ সাল পর্যন্ত তৃণমূল পরিচালিত উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন কবিতা বর্মন। তাঁর স্বামী প্রফুল্ল বর্মন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ এবং হেমতাবাদের ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পদে ছিলেন। সেই সময় তিনি স্কুল শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। কবিতা বর্মনের বিরুদ্ধে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। জানা গিয়েছে, তিনি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের বালিজোল উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আদালতের রায়ে তাঁর চাকরি চলে যায়। তবে, দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) হয়েছে তা অকপটে স্বীকার করেন কবিতা দেবী।

    আরও পড়ুন: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে

    জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি কবিতা বর্মন বলেন, “হাইকোর্টের অর্ডার তো এখন মানতেই হবে। দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) হয়েছে। তবে, আমার বিরুদ্ধে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। সাদা খাতা জমা দিয়ে তো কারও চাকরি হয় না। গোটা প্যানেলটাই বাতিল হয়েছে, সেটা সবাইকে মেনে নিতে হবে।” পাশাপাশি এই দুর্নীতির জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি। তিনি বলেন,  “এরজন্য আমরা দায়ী নই। রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতির পথে নিয়ে যাচ্ছে। যা করেছে রাজ্য সরকার। সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    Murshidabad: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হারালেন ২৬ হাজার শিক্ষক। তার জেরে সমস্যার মুখে পড়েছে মুর্শিদাবাদের তিনটি স্কুল। পড়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কার অর্জুনপুর হাইস্কুল। এই স্কুলে চাকরি বাতিল হল ৩৬ জন জন শিক্ষক ও শিক্ষিকার। পার্শ্বশিক্ষক ৭ জন। মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১০ হাজার। বাতিল হওয়া শিক্ষকের সংখ্যা বাদ দিলে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে ফরাক্কা হাইস্কুলের পড়ুয়ারা।

    চাকরি হারিয়ে হতাশ (Murshidabad)

    সোমবার এসএসসি গ্রুপ-ডি, গ্রুপ-সি, নবম- দশম ও একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরেই মাথায় হাত চাকরি বাতিল হওয়া মহম্মদ সাফিউল ইসলাম-সহ অন্যান্য শিক্ষকদের। বাতিল হওয়া শিক্ষক সাফিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২০১৯ সালে নিয়োগপত্র পাই।  ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে যোগদান করি। আলিপুরদুয়ারে যোগদান করলেও মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিয়ে ফরাক্কার অর্জুনপুর হাইস্কুলে (Murshidabad) যোগদান করেছি। তবে যারা অপরাধ করেছে, তাদের বাতিল করা হোক। নবম-দশমে ভুল ত্রুটি হয়েছে, এটা ঠিক। তবে, সকলের চাকরি হাইকোর্ট কীভাবে বাতিল করল। আমরা খুব হতাশাগ্রস্ত।’

    স্কুল চালানো মুশকিল,দাবি প্রধান শিক্ষকের

     ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সৌরভ আলি বলেন, পড়ুয়াদের সংখ্যা ১০ হাজারের অধিক। গ্রামে একটি মাত্র স্কুল। আর এই স্কুলের ওপরেই ভরসা করে পড়ুয়ারা। আমাদের স্কুলে ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। প্রথম যোগদান করেন ২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। পরে ১৬ জন মিউচুয়াল ট্রান্সফার হিসাবেই যোগদান করেন। তবে, শিক্ষক না থাকলে স্কুলের ক্ষতি। ৩৬ শিক্ষক বাতিল হওয়ার কারণে আগামী দিনে স্কুলে চালানো মুশকিল।  একইভাবে হরিহরপাড়া (Murshidabad) থানার লালনগর হাইস্কুলের ৩০ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ জন শিক্ষক, ২ জন অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। বাম আমলেও এই লালনগর হাইস্কুলে ভুয়ো মার্কশিট ও সার্টিফিকেট দিয়ে শিক্ষকতা করার অভিযোগে তিন শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছিল শিক্ষা দফতর। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সারওয়ার্দি বিশ্বাস বলেন, ‘এরকম হলে স্কুল চালানোই মুশকিল হবে। দেখা যাক, শেষ অবধি কী হয়?’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: স্ত্রীর কান্না দেখে চোখে জল “সন্দেশখালির বাঘের”, আদালতে অন্য শাহজাহানকে দেখলেন সকলে

    Sheikh Shahjahan: স্ত্রীর কান্না দেখে চোখে জল “সন্দেশখালির বাঘের”, আদালতে অন্য শাহজাহানকে দেখলেন সকলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির “বেতাজ বাদশা” শেখ শাহজাহান  (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার হওয়ার পর বসিরহাট আদালতে তোলার সময় পুলিশ তাঁকে স্পর্শ করার সাহস দেখাননি। “নবাবের” মেজাজে তিনি আদালতে যান। সেই ঘটনা সামনে আসতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে শাহজাহানকে নেওয়া হয়। আর এই কয়েকদিনের মধ্যেই এখন তাঁর শরীরী ভাষা বদলে গিয়েছে। সেই আক্রমণাত্মক ভাব এখন উধাও। বসিরহাট আদালতে তোলার সময় যা ঘটল তা দেখে স্থানীয় লোকজনও হতবাক হয়ে যান। বসিরহাট মহকুমা আদালতের বাইরে ‘অন্য শাহজাহান’কে দেখলেন সকলে।

    আদালতের সামনে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sheikh Shahjahan)

    শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) এক ভাই শেখ আলমগিরকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। রবিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডিও। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানের দুই শাগরেদ শিবপ্রসাদ হাজরা এবং দিদারবক্স মোল্লাকে। মঙ্গলবার শাহজাহান, আলমগির, শিবু, মাফুজার মোল্লা, জিয়াউদ্দিন, দিদার-সহ মোট ১২ জনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। কিন্তু, আদালতের এক করণিক মারা যাওয়ার কারণে শুনানি প্রক্রিয়া হয়নি। আবার ৭মে শাহজাহানদের আদালতে আনা হবে। সাসপেন্ড হওয়াতৃণমূল নেতাকে যখন আবার প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছে,কয়েক মিটার দূর থেকে ‘আব্বু’ ডাক শুনে মুখ ফেরান তিনি। মেয়ের দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে ‘হ্যাঁ’ বা ‘ঠিক আছি’ বুঝিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন শাহজাহান। গাড়ির একেবারে জানলার পাশে গিয়ে ততক্ষণে দাঁড়িয়েছেন শাহাজাহানের স্ত্রী তসলিমা বিবি। তদন্তকারীদের তলবে যিনি ইতিমধ্যে একাধিক বার হাজিরা দিয়েছেন। স্ত্রীকে দেখে জানলার দিকে ফিরলেন।আকাশি রঙের জামা এবং ট্রাউজ়ার্স পরিহিত থমথমে মুখে স্ত্রীকে ধীরে ধীরে বললেন, “নিজের খেয়াল রাখবে।”প্রিজন ভ্যানের জানলার কাছে তখন শাহজাহানের স্ত্রী-কন্যা সহ পরিবারের অন্যরাও দাঁড়িয়েছেন। সবাই শাহজাহানকে বলছেন, শরীরের যত্ন নিতে। একজন বললেন, “সময় মতো ওষুধ খাবে।” স্ত্রী আঙুল ছুঁয়েছেন ভ্যানের জানলার রেলিংয়ের ফাঁক দিয়ে। স্ত্রীর কান্না শুনে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না ‘সন্দেশখালির বাঘ’। মুখ ঘুরিয়ে আঙুল দিয়ে নিজের কান্না মুছলেন। তারপর রুমাল চাপা দিয়ে ‘আল্লার কাছে দোয়া করো’ বলে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা, এবার গরম উত্তরেও

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা

    শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার পরে শাহজাহান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে রাজ্যপুলিশের তরফে আরও দু’টি মামলা করা হয়। সেই দু’টি মামলার তদন্তভারও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল হাই কোর্ট। ওই দু’টি মামলায় শাহজাহান ও তাঁর ভাই আলমগির- সহ সাত জন এখন জেলে রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা, এবার গরম উত্তরেও

    Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা, এবার গরম উত্তরেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দু’দিন গরম একটু কমলেও বুধ থেকে ফের তাপপ্রবাহের (Weather Update) শঙ্কা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ৷ স্বস্তি নেই উত্তরবঙ্গেও ৷ সেখানেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করল হাওয়া অফিস৷ বুধবার থেকেই তাপপ্রবাহ থাবা বসাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণের আরও কয়েকটি জেলায়। রবিবার পর্যন্ত কলকাতায় তাপপ্রবাহ বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব ক’টি জেলার তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের ২৩ টি জেলার মধ্যে ১৮ টিতেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাও।

    চলবে তাপপ্রবাহ

    দক্ষিণের সমস্ত জেলায় রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের কারণে কমলা সতর্কতা (Weather Update) জারি করা হয়েছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পাশাপাশি তীব্র গরম এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। তাপপ্রবাহের কারণে বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পৌঁছতে পারে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি বেশি। শুক্র ও শনিবার চরমে উঠবে আবহাওয়া ৷

    উত্তরেও গরম

    কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা (Weather Update) জারি করেছে হাওয়া অফিস ৷ পশ্চিমের জেলাগুলিতেও লু-এর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ দক্ষিণের চরম গরমের রেশ এবার উত্তরবঙ্গেও পড়বে ৷ সেখানেও তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়ছে ৷ নীচের দিকে দুই দিনাজপুর এবং মালদাতে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া এবং উপরের দিকের পাঁচটি জেলায় ক্রমশ বৃষ্টি কমে যাবে, বাড়বে তাপমাত্রা ৷ মালদা, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
      

  • Dev: বালুরঘাটে জনসভায় তৃণমূল প্রার্থীর সামনেই সুকান্তর প্রশংসা দেবের মুখে

    Dev: বালুরঘাটে জনসভায় তৃণমূল প্রার্থীর সামনেই সুকান্তর প্রশংসা দেবের মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্রে মোদি, অমিত শাহ জনসভা করে ঝড় তুলে দিয়েছেন। মিঠুনের রোডশোয়ে জনজোয়ার প্রমাণ করে দিয়েছে সুকান্ত মজুমদারের ওপর বালুরঘাটবাসীর কতা আস্থা রয়েছে। এই আবহের মধ্যে এবার তৃণমূল প্রার্থীর বিপ্লব মিত্রের হয়ে জনসভা করতে এসে সুকান্তর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন দেব (Dev)। ভোটের মুখে দেবের এই প্রশংসায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    সুকান্তর প্রশংসায় দেব (Dev)

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডিতে নির্বাচনী জনসভায় এসে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের প্রশংসা করলেন অভিনেতা তথা বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব (Dev)। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথা শোনা গেল দেবের মুখে। তিনি বলেন, “আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব আছে বিজেপিতে। তাদের মধ্যে অন্যতম সুকান্তদা। আমার প্রিয় মানুষ সুকান্তদাকে শুভেচ্ছা। ভোটে হারা-জেতা রয়েছে।” দেবের মুখে সুকান্তর এই প্রশংসার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    আরও পড়ুন: স্ত্রীর কান্না দেখে চোখে জল “সন্দেশখালিরের বাঘের”, আদালতে অন্য শাহজাহানকে দেখলেন সকলে

    তৃণমূল প্রার্থী কী বললেন

    এবারও বালুরঘাট থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন সুকান্ত। তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন বিপ্লব মিত্র। সেই বিপ্লবের সমর্থনেই এদিন বালুরঘাটে প্রচারে এসেছিলেন দেব। তাঁর মুখে সুকান্তর প্রশংসা শোনা যেতেই দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলছেন, এটা আমাদের কালচার। অপরপক্ষ যতই অভদ্রতা করুক তৃণমূলের এটি কালচার। এটাই তৃণমূল। এই শিক্ষাই আমরা পেয়েছি।

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দেবের (Dev) মতো সুপারস্টারও বলে সুকান্তদা আমার ভাল বন্ধু। এটাই সুকান্ত মজুমদার। দেব বলে আগে সুকান্তদাকে নিয়ে বলব তারপর বিপ্লবদাকে নিয়ে বলব।” প্রসঙ্গত, দেব এবারও তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন ঘাটাল থেকে। সেখানেও তুলছেন প্রচারে ঝড়। তবে তৃণমূলের তারকা প্রচারকদের তালিকায় বরাবরই সামনের সারিতে রয়েছেন তিনি। অন্যান্য প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে ঘুরছেন রাজ্যের নানা প্রান্তে। বুধবার গঙ্গারামপুরে রোড শো করবেন দেব। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত এদিন বলেন, ওই রোড শোয়ে আখেরে দেব আমার জন্যই করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share