Tag: West Bengal

West Bengal

  • AC Bill: এই ৫টি উপায় মেনে চললেই এসির বিদ্যুতের খরচ কম হবে

    AC Bill: এই ৫টি উপায় মেনে চললেই এসির বিদ্যুতের খরচ কম হবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্র থেকেই নিজের তেজ দেখাতে শুরু করেছিল সূর্যদেব। আর বৈশাখ পড়তেই সূর্যের অস্বাভাবিক তেজে জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে বাংলা। আর এই নাজেহাল করা পরিস্থিতি থেকে বাঁচতেই একমাত্র সম্বল এসি (AC-Air Conditioner)। গরমকাল আসতেই এসির উপর নির্ভরতা বেড়েছে অনেক বেশি। কিন্তু সব সময় এসি চালানোয় বেলাগামভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিদ্যুৎ বিলও (AC Bill)। তবে কিছু সতর্কতা মেনে চললে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ থাকবে বিদ্যুৎ বিল। কিন্তু কীভাবে কমাবেন বিদ্যুৎ বিল জানেন?

    আয়ত্তে রাখা যাবে বিদ্যুৎ বিল (AC Bill)

    আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে খুব সহজেই কয়েকটি পদ্ধতি মেনে এসি চালিয়েও আয়ত্তে রাখা যাবে বিদ্যুৎ বিল।

    ১। এসির (air conditioners) সঙ্গে সিলিং ফ্যান চালালে ঠান্ডা হাওয়া সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অনেক্ষণের জন্য এসি চালানোর দরকার পড়বে না।

    ২। সব সময় চেষ্টা করতে হবে এসির তাপমাত্রা যেন কখনই ২০ ডিগ্রির কম না থাকে। তাপমাত্রা বেশির দিকে থাকলে নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে বিদ্যুৎ বিল (AC Bill)।

    ৩। এসির ফিল্টারে নোংরা থাকলে হাওয়া আটকে যায়। ফলে এসি চললে ঘর ঠান্ডা হতে অনেক সময় লাগে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর অবশ্যই এসির সার্ভিসিং করাতে হবে। 

    ৪। দিনের বেলায় অল্প কিছু সময় চালিয়ে জানলায় পর্দা দিয়ে রাখলে ঘর ঠান্ডা থাকবে দীর্ঘক্ষণ। অন্যদিকে রাতে সারারাত এসি না চালিয়ে ঘুমানোর আগে এসি চালিয়ে ঘর ঠান্ডা করে পাখা চালিয়ে ঘুমানো যেতে পারে। তাতে রাতভর ঘর ঠান্ডা থাকবে। আর এসির বিদ্যুৎ বিলও (AC Bill) কম আসবে।

    ৫। সব সময় এসি না চালিয়ে টাইমার সেট করা যেতে পারে। ফলে নির্দিষ্ট সময় এসি চললে বেশি বিদ্যুৎ বিল আসার আশঙ্কা কমে।

    আরও পড়ুনঃ “শেষ জীবনেও মুখ্যমন্ত্রীকে চোর চোর শুনতে হবে”, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

    বারবার এসি অন-অফ নয়

    এই পদ্ধতিগুলি মেনে চলার পাশাপাশি মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়। মেনে চললেই অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে বিদ্যুৎ বিল (AC Bill)। অনেকেই মনে করেন বারবার এসি অন অফ করলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় কিন্তু বারবার এসি অন-অফ করবেন না। বারবার এসি অন অফ করার ফলে এসির কম্প্রেসারের উপর চাপ তৈরি হয়। কম্প্রেসার বারবার ঠান্ডা হয়। তাতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা (temperature) কমালে ৩ থেকে ৪ শতাংশ বিদ্যুৎ বিল বাড়ে। তাই সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। পাশাপাশি এসি কখনই ১৬ থেকে ১৮ ডিগ্রির মধ্যে রেখে চালাবেন না। পরিবর্তে ২৬ থেকে ২৭ ডিগ্রির মধ্যে এসি চালান। এর ফলে বিদ্যুতের বিল (AC Bill) এক ধাক্কায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recrutment Scam: “আমি যে যোগ্য কেউ তা বিশ্বাস করবে না”, চাকরি হারিয়ে আক্ষেপ চন্দননগরের কার্তিক ধারার

    SSC Recrutment Scam: “আমি যে যোগ্য কেউ তা বিশ্বাস করবে না”, চাকরি হারিয়ে আক্ষেপ চন্দননগরের কার্তিক ধারার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা সেলুন চালিয়ে সংসার চালান। বাম আমলে প্রাথমিকে চাকরি পান। কিন্তু, হাইস্কুলের চাকরি পেয়ে হুগলির কার্তিক ধাড়া এসে ওঠেন শিলিগুড়িতে। ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রাথমিকের চাকরি ছেড়ে হাইস্কুলে যোগ দেন। ৭ বছরের বেশি সময়ের নিশ্চিত চাকরি ছেড়ে, বাড়ি ছেড়ে এসেছিলেন শিলিগুড়ি। এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্টের রায়ে এবার গেল সেই চাকরিও। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল কার্তিকের। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

    প্রাইমারির চাকরি ছেড়ে হাইস্কুলে যোগ দিয়েছিলেন (SSC Recruitment Scam)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবুর বাড়ি হুগলির চন্দননগরে। বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা। বাবার সেলুন আছে। কার্তিক গ্র্যাজুয়েশন করার পর বাবা বলেছিলেন, এবার একটু কাজের খোঁজ করতে। সেলুন চালিয়ে আর তিনি একা এত কিছু টানতে পারছিলেন না। কার্তিকবাবু টিউশন করে এম কম করেন। পরে, ফর্ম ফিলআপ করে হরিপালে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পান তিনি। ২০১১ সালে চাকরিতে যোগদান করেন তিনি। পরে, এডুকেশনে আবার এম.এ করেন। কমার্সে দু’বার নেট ক্লিয়ারও করেছেন তিনি, দাবি পরিবারের সদস্যদের। ইচ্ছা ছিল কলেজেও পড়ানোর। বিভিন্ন পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপ করতেন তিনি। ২০১৬তে এসএসসির ফর্ম বেরোল। লিখিত পরীক্ষায় বসলেন তিনি। ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন, ভাইভা সবেতেই  পাশ করে ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকের চাকরি ছেড়ে হাইস্কুলে যোগ দেন। প্রাথমিকের প্রায় সাড়ে সাত বছরের চাকরি ছেড়ে এসএসসি দিয়ে হাইস্কুলে পড়াতে শিলিগুড়ি এসেছিলেন তিনি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের (SSC Recruitment Scam) গোটা প্যানেল বাতিল করে দেওয়ার পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

    আরও পড়ুন: ১৭টি বিভিন্ন উপায়ে নিয়োগে দুর্নীতি করেছে এসএসসি! কী বলল হাইকোর্ট?

    আমি যে যোগ্য কেউ তা বিশ্বাস করবে না

    কার্তিক বলেন, “তালিকায় নিশ্চয়ই কিছু গোলমাল হয়েছে। তা নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু, যারা কিছু করেনি, তাদের কথা কোর্ট একবারও ভাবল না। আমার তো মাথাই কাজ করছে না, কী করব। এখন মনে হচ্ছে আগের প্রাইমারি চাকরিটা না ছাড়লে আজ আমার এরকম অবস্থা হতো না। পরিবারের চিন্তা, সঙ্গে আবার লোনও নিয়েছেন। বাড়ি থেকে আমাকে ফোনও করেছে। তাঁরা ভয় পাচ্ছেন, আমি যদি কিছু করে বসি। খুব বড় ধাক্কা। আমরা যারা যোগ্য, তাদের কাছে তো এই রায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো। সবাইকে বাতিল করে দিল, তাতে তো আমরাও খাদে পড়লাম। কী করব তো বুঝতেই পারছি না। এবার লোকজনও অন্য চোখে দেখবে। আমি যে যোগ্য কেউ তো বিশ্বাসই করবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: তাপপ্রবাহ চলবেই জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস, বুধবার থেকে আরও পারদ চড়ার ইঙ্গিত

    Weather Update: তাপপ্রবাহ চলবেই জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস, বুধবার থেকে আরও পারদ চড়ার ইঙ্গিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপপ্রবাহের দ্বিতীয় স্পেল শুরু হতে চলেছে। বুধবার থেকে আবার বাড়বে তাপমাত্রা, জানিয়ে দিল আলিপুর হাওয়া অফিস (Weather Update)। সপ্তাহান্তে তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণের অন্তত ছয়টি জেলায়। বাকি জেলায় মডারেট বা মৃদু তাপপ্রবাহ হবে। কলকাতাতেও বইবে লু।

    বাড়বে তাপমাত্রা

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতা এবং হাওড়া জেলায় তাপপ্রবাহ (Weather Update) না হলেও গরম এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া সারা দিন জুড়ে বজায় থাকবে। কলকাতা এবং হাওড়া তাপপ্রবাহের হাত থেকে নিস্তার পেলেও গরমের হাত থেকে বাঁচতে পারবে না। এই দুই জেলা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় মঙ্গলবার তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বুধবার থেকে কলকাতা এবং হাওড়ার পাশাপাশি দক্ষিণের সমস্ত জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। আগামী দু’দিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা দু’এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কমলেও দু’দিন পর তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

    অতীতে দীর্ঘস্থায়ী গরম কলকাতায়

    ১৯৮০ সালের এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। সেবার রেকর্ড গরম পড়েছিল কলকাতায়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় হয়েছিল রেকর্ড। এখনও পর্যন্ত কলকাতার পারদ ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্পর্শ করেছে। একটানা ৪০ এর উপর কলকাতার তাপমাত্রা আট দিন ছিল ২০১৬ য় ও ২০০৯ সালে। ২০২৩ সালেও কলকাতায় ৫ দিন ছিল ৪০-এর উপর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা । ২০২৪ এ মাত্র দুদিন কলকাতায়  টানা ৪০ ডিগ্রির উপরে ছিল তাপমাত্রা ।  

    আরও পড়ুন: ঝাঁঝাঁ রোদ! ভোট দেবেন কী ভাবে? বৈঠক নির্বাচন কমিশনের

    উত্তরেও বাড়বে তাপমাত্রা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বুধবার থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের (Weather Update) সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। তাপপ্রবাহের কারণে বুধবার থেকে দক্ষিণের জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলবে সপ্তাহভর। ছিটেফোঁটা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা নেই। এবার স্বস্তি পাবে না পাহাড়ও। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি কমবে, বাড়বে গরম। সমতলে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ এই দুই জেলাতেও তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি   হবে মঙ্গলবার। বুধবার থেকে এই তিন জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Birbhum: শতাব্দীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে তিনশো সংখ্যালঘু পরিবার যোগ দিল বিজেপিতে

    Birbhum: শতাব্দীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে তিনশো সংখ্যালঘু পরিবার যোগ দিল বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘু ভোটের ওপর ভরসা করেই তৃণমূল অনেক আসনে বাজিমাত করে। বিশেষ করে বীরভূমে (Birbhum) সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের মস্ত বড় ভোটব্যাঙ্ক। এমনই দাবি বিরোধীদের। এবার সেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও কি তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে? তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে প্রায় ৩০০টি সংখ্যালঘু পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। ভোটের মুখে এই যোগদানে বিজেপি কর্মীরা নতুন করে অক্সিজেন পেতে শুরু করেছেন।

    কথা রাখেননি শতাব্দী, ক্ষোভ উগরে দিলেন সংখ্যালঘুরা (Birbhum)

    সম্প্রতি বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজারের বাটেরবাঁধ গ্রামে প্রচারে যান শতাব্দী। সেই সময় তাঁকে দেখে বিজেপির পতাকা হাতে প্রতিবাদ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামে উন্নয়ন হয়নি। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাকেশ মণ্ডলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তারই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। ওই গ্রামেরই সংখ্যালঘু পরিবার এবার বিজেপিতে যোগদান করলেন। বিজেপিতে যোগদানের সময়ও শতাব্দীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। শেখ মইনুল নামে এক যোগদানকারী বলেন, “শতাব্দী রায় বলেছিলেন, আর কিছু দিতে না পারি, জল আর আলো পাবেন। এর জন্য দরখাস্তও লিখেছি। জল তো দূরে থাকুক। আলোও দিল না। এমনকী তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় মিছিলের সময় আমাদের সঙ্গে কথা বলার যোগ্য মনে করলেন না। আরে আমাদের ভোটে তো সাংসদ হয়েছিলেন। তাহলে আমাদের সঙ্গে এরকম আচরণ কেন?” শেখ সাবির আলি বলে আরও এক যোগদানকারী বলেন, “আমরা আলোর জন্য বলেছিলাম। কিছুই হল না। সব কিছুই তৃণমূলের ঢপের কাজ। কার্যকর কিছু হয় না।”

    আরও পড়ুন: বজরংবলীকে কেন আমরা আদর্শ মানি? পড়ুন হনুমান চরিত্রের বিশ্লেষণ

    অনুন্নয়ন নিয়ে বার বার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন শতাব্দী

    তবে, এবার তৃণমূল প্রার্থী প্রচারে বেরিয়ে অনুন্নয়ন নিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। একবার নয়, একাধিকবার এই ঘটনা ঘটেছে। আর সেই খবর সংবাদে প্রকাশিত হওয়ায় সম্প্রতি, সংবাদ মাধ্যমের ওপর মেজাজ হারাতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এই সব আবহের মধ্যেই এবার দেখা গেল শতাব্দীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দল ছাড়লেন তিনশোটি সংখ্যালঘু পরিবার। যোগ দিলেন বিজেপি-তে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছিলেন মমতা ও তাঁর শাগরেদ পার্থ,” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছিলেন মমতা ও তাঁর শাগরেদ পার্থ,” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে সোমবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ বরাহারে জনসভা করতে এলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি মঞ্চে রয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার, জেলার তিন বিজেপি বিধায়ক, সন্দেশখালির তিন মহিলা সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব।  

    তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন সুকান্ত

    মঞ্চ থেকে সুকান্ত বলেন, কয়লা চুরি, বালি চুরির পাশাপাশি সবুজ সাথির সাইকেল চুরি করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন মমতা। লোকসভা নির্বাচনের আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকে সভা করে বিজেপি। সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে এই সভা হয়।  সুকান্ত মজুমদারের হয়ে সভাতে আসেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । সভা থেকে সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, তৃণমূল মানুষদেরকে ভয় দেখাচ্ছে যে আধার কার্ড বাতিল হবে। আমি এই মঞ্চ থেকে বলছি, একটা আধার কার্ড বাতিল হবে না। আধার কার্ড বাতিল না হলে তৃণমূল নেতাদেরকে বিজেপি কর্মীরা জুতার বাড়ি মারবেন, আমি এই মঞ্চ থেকে বলে গেলাম। আমি আরও এই মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের বলছি, আপনারা লাঠিতে তেল দিয়ে রাখুন, ভোটের দিন তৃণমূল খেলা হবে বলে ছাপ্পা দিতে আসলেই ছক্কা মেরে দেবেন।

    আরও পড়ুন: ভোটের পরেই কি মুখ্যমন্ত্রী বদল! ইঙ্গিত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Suvendu Adhikari)

    এস‌এসসির চাকরিতে অতিরিক্ত শিক্ষক পদ তৈরিতে অভিযুক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ২০২২ সালের ৫ মে মন্ত্রীসভায় উপস্থিত সকলকে সিবিআই হেফাজত নেওয়ার দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । সোমবার বিকেলে কুমারগঞ্জের জনসভা থেকে শুভেন্দু বলেন, “ডিভিশন বেঞ্চ অতিরিক্ত পদ তৈরি কারীদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।” তা হলে ২০২২ সালের ৫ মে মন্ত্রী সভার বৈঠক করে বাড়তি শিক্ষক পদ অনুমোদন করা হয়েছিল। ওই বৈঠকে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের অবিলম্বে সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হোক বলে শুভেন্দু দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, “যাদের চাকরি চলে গিয়েছে, তাঁদের নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু, এদের দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শাগরেদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৩০ লক্ষ কর্ম প্রার্থীর সর্বনাশ করেছিলেন যাঁরা আজ তাঁদের সর্বনাশ হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: ভোটের পরেই কি মুখ্যমন্ত্রী বদল! ইঙ্গিত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Ganguly: ভোটের পরেই কি মুখ্যমন্ত্রী বদল! ইঙ্গিত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজব ছিলই। সেই গুজবে শান দিলেন সদ্য রাজনীতিতে আসা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। তিনি বললেন ভোটের পর নাকি পদ ছেড়ে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী (CM) হবেন তাঁর নিকট আত্মীয়। এই নিকট আত্মীয় যে কে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু রতুয়ার (Ratua) সভা থেকে সেই কথা নিজ মুখে বলেন অভিজিৎ। তাহলে কি লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদল হবে? প্রশ্নটা বিজেপি নেতার তরফে ভাসিয়ে দেওয়া হলেও তৃণমূল এই ইস্যুতে এখনও চুপ।

    ঠিক কী বলেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) ?

    তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “আমাদের কাছে যে খবর আছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্তত ২৫ টা সিট বিজেপি (BJP) পাচ্ছে। এ খবর শুধু আমরা নয় রাজ্যের গোয়েন্দা দপ্তরের। নিঃসন্দেহে নির্লজ্জ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পৌঁছে দিয়েছেন। আমাদের কাছে যে খবর আছে তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের (Resign) তোড়জোড় করছেন। কারণ এই চুরির মক্ষীরানীর পক্ষে আর সম্ভব নয় এই রাজ্য চালানো। তিনি একজন চুরির রানী হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছেন। তাঁকে এখন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদল করতেই হবে। আর এই জায়গায় তিনি একজন চুরির রাজাকে বসিয়ে দিয়ে যাবেন। যিনি তাঁর নিকট আত্মীয়। এভাবে তিনি হিমালয়ে চলে যাবেন। আর বাকি চুরিটা তার আত্মীয় করবে।”

    আর কী বললেন?

    রতুয়ার সভা থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) আরও বলেন, “তৃণমূলের দালালরা ভোট চাইতে এলে জিজ্ঞেস করবেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি তৃণমূল সরকার দিয়েছিল সেগুলি কোথায়? এদিকে সন্দেশখালীর ইস্যুকে সামনে রেখে পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী সভার নাম দেওয়া হয়েছে নারী শক্তি সম্মান সম্মেলন।

    আরও পড়ুনঃ “বঞ্চিতদের ঠকিয়েছেন, লজ্জা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত”, তোপ দাগলেন অভিজিৎ

    নতুন মুখ কে হবেন?

    প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ এক বছর থেকে বিভিন্ন মঞ্চে তাঁর অসুস্থতার কথা তুলে ধরেছেন। স্পেনে গিয়ে তিনি আঘাত পেয়েছিলেন। কিছুদিন আগেই বাড়িতে পড়ে যান। তিনি আঘাত পান মাথায়। বাম জমানাতেও বহুবার তিনি চোট আঘাত পেয়েছেন বলে দাবি করে এসেছেন নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে। সম্প্রতি কয়েকবার মমতা বলেছেন তাঁর হাঁটতে কষ্ট হয়। তবে দল এবং প্রশাসনে তাঁর অবসরের পরেও নতুন মুখকে মেনে নিতে কি কোনও অসুবিধা হবে না? তবে এই নতুন মুখকে হতে পারেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দলনেত্রীর পর দলের সেনাপতি যে নতুন মুখ হবেন সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। কিন্তু তৃণমূলের তরফে এখনও এবিষয়েও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ভোটের মুখে অর্জুনের গড়ে রক্ত ঝরল বিজেপি নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Barrackpore: ভোটের মুখে অর্জুনের গড়ে রক্ত ঝরল বিজেপি নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের রক্ত ঝড়ল বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভার বাসুদেবপুর থানার জগদ্দল বিধানসভার  কাউগাছি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অম্বিকাপল্লিতে। বিজেপির জগদ্দল মণ্ডল-৪-এর  সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব করকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত বিজেপি নেতাকে তাঁর বাড়িতে দেখতে যান অর্জুন সিং।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপ্লববাবু স্থানীয় বিজেপি নেতা। বারাকপুরে (Barrackpore) দলীয় প্রার্থীর হয়ে দেওয়াল লিখন, বাড়ি বাড়ি প্রচার করছেন তিনি। শাসক দলের স্থানীয় নেতারা তা মেনে নিতে পারছে না বলে বিজেপির অভিযোগ। হনুমান জয়ন্তী পুজো নিয়ে বিপ্লববাবুর সঙ্গে তৃণমূল কর্মী বিশাল সিংয়ের বচসা হয়। বিশাল তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। সোমবার ভোর রাতে বাড়ির বাইরে শৌচালয়ে যেতেই তাঁর ওপর তৃণমূল কর্মী বিশালের লোকজন হামলা চালায়। বিপ্লববাবুর বাঁ হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আক্রান্ত বিজেপি নেতা বিপ্লব কর বলেন, আসলে এলাকায় আমি বিজেপির নেতৃত্ব দিই। সেটা তৃণমূলের লোকজন মেনে নিতে পারে না। তাই, সামান্য কারণে আমার সঙ্গে ঝগড়া করে পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আসলে পাড়ার মন্দিরে হনুমান জয়ন্তী পালন করা নিয়ে তৃণমূল কর্মী বিশাল সিংয়ের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়েছিল। সকলের অনুমতি ছাড়া হনুমান জয়ন্তী করা যাবে না বলে বিশালকে আমি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলাম। সেটা ও মেনে নিতে পারিনি। সামান্য বিষয় নিয়ে ও আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন, আসলে তৃণমূল এলাকায় তোলাবাজি করে। পুজোর নাম করে তোলাবাজির চেষ্টা করছিল। আমাদের ওই এলাকার দলীয় নেতা তার প্রতিবাদ করেছিল। তাই ওর ওপরে এরকম হামলা হল। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। যদিও এই ঘটনা নিয়ে কাউগাছি-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ-প্রধান শেখ ইমতিয়াজ আলি বলেন, এটা কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। পড়শিদের মধ্যে কোনও কারণে ঝামেলা হয়েছে। অকারণে রাজনীতিকে জড়াচ্ছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arunachal Pradesh: ফের ভোট অরুণাচলে! ৮টি বুথে হবে পুনর্নির্বাচন, জানাল কমিশন

    Arunachal Pradesh: ফের ভোট অরুণাচলে! ৮টি বুথে হবে পুনর্নির্বাচন, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের ৮টি বুথে ফের পুনর্নির্বাচন হবে। অরুণাচলের (Arunachal Pradesh) মুখ্যনির্বাচনী অধিকারী লিকেন কোয়ু সোমবার জানিয়েছেন, “আগামী ২৪ এপ্রিল বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ওই বুথগুলিতে ফের ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত শুক্রবার ভোট গ্রহণে অনিয়ম, হিংসা ও ইভিএম মেশিনে গোলযোগের কারণে পুনর্নির্বাচনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” উল্লেখ্য উত্তরপূর্ব অঞ্চলের মধ্যে মণিপুরে কিছু কেন্দ্রে আরও একবার ভোট নেওয়ার কথা কমিশন আগেই জানিয়েছে।  

    কোন কোন বুথে পুনর্নির্বাচন (Arunachal Pradesh)?

    অরুণাচলের (Arunachal Pradesh) যে বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচন হবে তার মধ্যে রয়েছে, তার মধ্যে হল, পূর্ব কামেং জেলার বামেং বিধানসভা কেন্দ্রের সারিও, কুরুং কুমেয়ের নিয়াপিন বিধানসভা আসনের লংটে লথ, ডিংসের, বগিয়া সিয়ুম, জিম্বারি এবং আপার সুবনসিরি জেলার নাচো বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে লেঙ্গি ভোটকেন্দ্র। এছাড়া সিয়াং জেলার রামগং বিধানসভা কেন্দ্রের বোগনে এবং মোলোম বুথেও পুনর্নির্বাচন হবে।

    আরও পড়ুনঃ অঙ্কিতা-ববিতার পর এবার চাকরি গেল অনামিকারও, হতাশ হলেও লড়াই ছাড়তে নারাজ

    ২০১৯ সালে নিরঙ্কুশ জয় পায় বিজেপি

    শুক্রবার অরুণাচল (Arunachal Pradesh) প্রদেশের দুটি লোকসভা আসনের পাশাপাশি বিধানসভার ভোটগ্রহণ হয়েছে। এই রাজ্যের ৬০টি বিধানসভার (Assembly election) মধ্যে ইতিমধ্যেই সাতটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি। কংগ্রেস ২০১৪ সালে বিধানসভা ভোটে জিতে অরুণাচল প্রদেশের সরকার গঠন করলেও পরবর্তী সময়ে অধিকাংশ বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পেমা খাংডু। এরপর তিনি সেখানে বিজেপির (BJP) হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন। ২০১৯ সালের ভোটে সেখানে নিরঙ্কুশ জয় পায় বিজেপি। এবার ময়দানে কংগ্রেস (congress), এনপিপি সহ একাধিক দল থাকলেও সেখানে বিজেপির ক্ষমতা ফিরে আসার বিষয় কার্যত নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে। লোকসভার ভোটের গণনা দেশ জুড়ে ৪ জুন হলেও অরুণাচলের বিধানসভার ভোটের গণনা হবে ২ জুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: অঙ্কিতা-ববিতার পর এবার চাকরি গেল অনামিকারও, হতাশ হলেও লড়াই ছাড়তে নারাজ

    SSC Recruitment Scam: অঙ্কিতা-ববিতার পর এবার চাকরি গেল অনামিকারও, হতাশ হলেও লড়াই ছাড়তে নারাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার জায়গায় ববিতা, তার জায়গায় অনামিকা। মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো আদালতের নির্দেশে এবার অনামিকারও স্কুল শিক্ষিকার চাকরি গেল। নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় সোমবার হাইকোর্ট প্রায় ২৬ হাজার জনের নিয়োগ বাতিলের রায় দিয়েছে। সেই তালিকায় শিলিগুড়ির অনামিকা রায়ের নাম রয়েছে। তিনি মনে করেন,  অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের চাকরি যাচ্ছে, বারবার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। এক বড় মানসিক ধাক্কা।

    কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন অনামিকা?(SSC Recruitment Scam)

    নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় তৃণমূল নেতা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি যায়। হাইকোর্টের নির্দেশে সেই পদে চাকরি পান শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। ফের নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ২০২৩ সালে চাকরি যায় ববিতার। তাঁর জায়গায় চাকরি পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া জলপাইগুড়ির জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের হরিহর হাইস্কুলে চাকরিতে যোগ দেন তিনি। সোমবার তারও চাকরি গেল।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?

     হতাশ হলেও লড়াই ছাড়তে নারাজ অনামিকা

    এদিন হাইকোর্টের রায় বের হওয়ার আগেই স্কুলে পৌঁছে গিয়েছিলেন অনামিকা। স্কুলে বসে চাকরি হারানোর খবর পান তিনি। চাকরি যাওয়ার খবর শোনার কিছুক্ষণ বাদেই ফিরে আসেন শিলিগুড়ির পূর্ব বিবেকানন্দ পল্লির বাড়িতে। তিনি বলেন, মামলা করেছিলাম। এদিন রায় বের হবে জানতাম। কিন্তু, এই ধরনের রায় হবে ভাবতেও পারিনি। বিচার ব্যবস্থার প্রতি যে আস্থা ছিল তা কিছুটা ক্ষুন্ন হল। অযোগ্যদের জন্য এই রায়। অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের চাকরি যাচ্ছে। বারবার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। এভাবে চাকরি হারানোটা বড় মানসিক ধাক্কা। যারা অযোগ্য তাদের বাতিল করতে পারত। কেননা সিবিআই তদন্ত করে নিশ্চয় বের করেছে কাদের নিয়োগে অনিয়ম রয়েছে। হতাশ হলেও লড়াই ছাড়তে নারাজ অনামিকা। চাকরি ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব। আমি চাকরি ফিরে পাব। কেননা আমার নিয়োগে কোথাও কোনও অনিয়ম বা দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) হয়নি। 

     তৃণমূল সরকারকে বরখাস্তের দাবি রাজু বিস্তার

    বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা বলেন, যাদের চাকরি গেল তাদের কোনও দোষ নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে, আদালতের রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বরখাস্ত করা দরকার। কেননা তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী ও তাদের ‘চামচা’রা টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছে। তাদের সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সবচেয়ে হাস্যকর বিষয়, যে সরকার নিয়োগ দুর্নীতি করেছে, সেই সরকারই আবার আদালতে গিয়ে বলছে নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। তাই আগে তৃণমূল সরকারকে বরখাস্ত করা দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?

    Recruitment Scam: দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন পুরোদস্তুর ভোটের হাওয়া। আর এরই মধ্যে রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam ) নিয়ে বিরাট রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court )। একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের ১২ শতাংশ সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। অতিরিক্ত পদে নিয়োগকারীদের প্রয়োজনে নেওয়া যাবে হেফাজতে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। রাজ্য জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য (Recruitment Scam)

    তবে আদালতের এই রায়ে সম্পূর্ণ খুশি হতে পারছেন না আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী রাসমণি পাত্র সহ অন্যান্যরাও। উল্লেখ্য গত ডিসেম্বরে এই রাসমণিই এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানের ১০০০তম দিনে প্রতিবাদ স্বরূপ নিজের মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন। মঙ্গলবার বিচারপতির রায় শুনে রাসমণি বলেন, “আদালত ও বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা ছিল। যারা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছে তারা যে যথাযথ শাস্তি পেয়েছে সেটা কাম্য। সত্যের জয় হয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “প্যানেল বাতিল (Recruitment Scam) আমাদের দাবি ছিল না। আমাদের দাবি ছিল যে অন্যায় আমাদের সঙ্গে হয়েছে, যে চাকরিটা আমাদের চুরি হয়েছে, সেটা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমরা পরীক্ষা দিয়েছিলাম, আমাদের ওএমআর সঠিক। আমরা র‌্যাঙ্কেও এসেছিলাম। তা হলে চাকরিটা কেন আমাদের দেওয়া হল না? আজকে রায়দানে পুরোপুরি খুশি হতে পারছি না। এখনও তো অনিশ্চয়তা রয়েছে। নতুন নিয়োগ (Recruitment) কবে হবে, কতদিনে প্যানেল প্রকাশ হবে তা এখনও সম্পূর্ণ দৃশ্যমান নয় আমাদের কাছে।”

    আরও পড়ুনঃ “পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা, অবিলম্বে পদত্যাগ চাই”, দাবি সুকান্তর

    অন্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি

    সর্বোপরি ধর্নামঞ্চে থাকা অন্য চাকরিপ্রার্থীদেরও বক্তব্য, “অবৈধ উপায়ে চাকরি (Recruitment Scam) পাওয়া ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কেন বঞ্চিত করা হবে।” উল্লেখ্য মঙ্গলবার আদালতের তরফে বলা হয়েছে, টেন্ডার ডেকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট (OMR Sheet) পুনর্মূল্যায়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সমস্ত ওএমআর শিটের কপি আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share