Tag: West Bengal

West Bengal

  • Murshidabad: ভোটের মুখে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, প্রকাশ্যে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ ৪

    Murshidabad: ভোটের মুখে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, প্রকাশ্যে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে জমি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ। আর তার জেরেই গ্রামের মধ্যে প্রকাশ্যেই চলল গুলি। ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রামে সাদল গ্রামে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সমিরুল শেখ এবং মন্তাজ শেখ সহ নামে মোট চারজন। মারামারি করে আহত হলেন আরও সাত জন। জেলা পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই ওই ঘটনা। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি জমির দখলদারিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রাম থানার সাদল গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। সোমবার বিকেলে নদীর চরে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেখানে লাটু শেখ, আবুল শেখ, সারুল শেখ এবং কবীর শেখ আগ্নেয়াস্ত্র বার করে শূন্যে গুলি চালাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। এরপরই পাল্টা হামলার চেষ্টা করে তৃণমূলের অন্য পক্ষ। তখন ওই পক্ষের দিকে গুলি ছোড়া হয়। তাতে চার জন জখম হন। পাশাপাশি অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করা হলে দুই পক্ষের আরও কয়েক জন জখম হন। তাঁদের আরও দাবি, গোলাগুলি থেকে নিজেদের বাঁচাতে দু’জন স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন। সেখানেও তাঁদের উপরের আক্রমণ চালানো হয়। পুলিশ পৌঁছে মসজিদের ভিতর থেকে তাঁদের উদ্ধার করেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, জমি সংক্রান্ত বিবাদে এই অশান্তি হয়েছে।। সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ভোটে মূল প্রতিপক্ষ পুলিশ! নিয়ন্ত্রণের আর্জি শুভেন্দুর, পুলিশ পর্যবেক্ষকের দ্বারস্থ বিজেপি

     ১৮ রাউন্ড গুলি চলে!

    গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী সামিরুল শেখ বলেন, “স্থানীয় নদী বাঁধে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা শুরু করে এলাকার দুষ্কৃতীরা। গ্রামের সবাই মিলে প্রতিরোধ করতে গেলে আমাদের ঘিরে ধরে গুলি চালায়। বাঁশ, লোহার রড ও হাঁসুয়া দিয়ে আক্রমণ করা হয় আমাদের। প্রায় ১৮ রাউন্ড গুলি চালায়। মোট চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছি। বেশ কয়েক জন জখম হয়েছে। আমরা তৃণমূল দল করি, ওরাও তৃণমূলের কর্মী এবং সমর্থক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: “জয় শ্রীরাম বলায় পিটিয়ে খুন”, তৃণমূলকে তোপ দাগলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    Ranaghat: “জয় শ্রীরাম বলায় পিটিয়ে খুন”, তৃণমূলকে তোপ দাগলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোরপূর্বক সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে এক দম্পতিকে বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গৃহবধূকে মারধর করে পুড়িয়ে খুন করা হয়। এমনকী তাঁর স্বামীকেও মারধর করা হয়। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রানাঘাট (Ranaghat) থানার পায়রাডাঙা এলাকায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রশাসনকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ranaghat)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট (Ranaghat) থানার পায়রাডাঙা এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে এই দম্পতির সঙ্গে প্রতিবেশী বেশ কয়েকজন যুবক ও মহিলার মনোমালিন্য চলছিল। পরে পাড়ার ছেলেদের খেলাকে কেন্দ্র করে আবার গন্ডগোল শুরু হয়। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় অঞ্জলি কর্মকারের বাড়িতে চড়াও হয় অভিযুক্তরা। ওই দলে মহিলারাও ছিল। এরপরই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে বাড়ি ভাঙচুর চলে। শুরু হ দম্পতিকে বেধড়ক মার। ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, প্রতিবেশী বলছেন, “প্রথমে ধরে নিয়ে এসে মারে, পালিয়ে গিয়েছিল মহিলাটা। তারপর কাঁথা কম্বল চাপিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা তো দেখিনি দূরে ছিলাম, আমরা কাছে আসতে আসতেই পালিয়ে যায়।” মৃতার স্বামী সুবল কর্মকারকেও পিছ মোড়া করে বেঁধে রাখার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ যতক্ষণে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়, মৃত্যু হয় ওই মহিলার। ঘটনায় গুরুতর জখম ওই মহিলার স্বামী সুবল কর্মকার। বর্তমানে রানাঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় যুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে রানাঘাট পুলিশ।

    “জয় শ্রীরাম” বলায় হামলা

    এই ঘটনায় এদিন হাসপাতালে দেখা করতে যান রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সুবল সরকার ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। “জয় শ্রীরাম” বলাতে তার ওপর এই ধরনের দুষ্কৃতী হামলা। পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর স্ত্রীকে মেরে ফেলা হয়েছে। যারা এই নির্মম অত্যাচার চালালো প্রত্যেকেই তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতী। অভিযুক্তদের  বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, পুলিশ প্রশাসন যদি অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি না দেয় তাহলে বৃহত্তম আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: রানিমাকে দেখতে উপচে পড়ল ভিড়, চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বিজেপি-র অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জেলা পরিষদের সদস্য তথা ওই অঞ্চলের তৃণমূল নেতা দীপক বসু বলেন, ওই পরিবার বিজেপির সঙ্গে যুক্ত নয়, ভোটের আগে জগন্নাথ সরকার সস্তার রাজনীতি করছে। মস্তিষ্ক বিকৃত না হলে এই ধরনের মন্তব্য একজন প্রার্থী করতে পারে না। ওই পরিবারের স্বামী স্ত্রী দুজনেই মানসিক ভারসাম্যহীন, আর যে “জয় শ্রীরাম” স্লোগান নিয়ে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। পুলিশ গতকাল রাতেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার মূল কারণ জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ-র ওপর আক্রমণে গ্রেফতারি নেই, চাপে পড়েই কি পুলিশ অফিসার বদল?

    Bhupatinagar: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ-র ওপর আক্রমণে গ্রেফতারি নেই, চাপে পড়েই কি পুলিশ অফিসার বদল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংবাদ শিরোনামে ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ড (Bhupatinagar)। সম্প্রতি এই এলাকায় বিস্ফোরণকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা। আর এরই মধ্যেই ঘটনায় তদন্তকারী অফিসারকে (investigating officer ) বদল করা হল। ভূপতিনগরের সার্কেল ইন্সপেক্টর শ্যামল চক্রবর্তীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই মামলার তদন্তভার। প্রথমে এই মামলায় থানার এক সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তাঁকে বদল করে এবার ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হল। কিন্তু কেন এই বদল? এনআইএ -র ওপর আক্রমণে গ্রেফতারি নেই, চাপে পড়েই কি পুলিশ অফিসার বদল? এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    প্রসঙ্গত, দেড় বছরের পুরনো এই বিস্ফোরণের মামলায় (Bhupatinagar blast incident) এনআইএ (NIA) অভিযান চালায় এবং দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করলে তা নিয়ে তুলকালাম বাধে রাজ্য রাজনীতিতে। রাজ্যের সীমা ছাড়িয়ে সেই প্রভাব পড়ে দিল্লিতে। ইতিমধ্যে দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে মামলা, নির্বাচন কমিশনেও জমা পড়েছে অভিযোগ। গত শনিবার বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা নামে দু’জন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ (NIA)। তবে এই অভিযুক্তদের গাড়িতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গাড়ি ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। এরপর তারা অভিযুক্তদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার দাবি করতে থাকে। এর পরেই এনআইএ-র ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। এতে এক এনআইএ আধিকারিক আহত হন। কিন্তু ঘটনার দুদিন পরেও হামলার ঘটনায় পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করেনি। তাই প্রশাসন চাপে পড়ে এনআইএ-র তল্লাশি অভিযান সংক্রান্ত দুটি মামলায় তদন্তকারী অফিসার (investigating officer) বদল করেছে। নতুন তদন্তকারী অফিসার শ্যামল চক্রবর্তী এই হামলা সংক্রান্ত মামলা দুটির তদন্ত করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালির ছায়া বীরভূমে, বউ সুন্দরী না হলে মিলবে না প্রকল্পের সুবিধা!

    এনআইএকে চিঠি পুলিশের

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিক আহত হয়েছিলেন, তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট (medical report) চেয়ে পাঠিয়েছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। হামলার ফলে এনআইএ এবং গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতার বাড়ির লোকেরা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। আবার আক্রান্ত এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ (state police)। যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনআইএ-এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নোটিশ (notice) আকারে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bomb Threat: বোমা মেরে স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি মেইল, নেপথ্যে কারা জানেন?

    Bomb Threat: বোমা মেরে স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি মেইল, নেপথ্যে কারা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এবার এল মেইল (Bomb Threat)। স্কুল কর্তৃপক্ষকে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। মেইলগুলির সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মেইলে লেখা হয়েছে, ‘এই বার্তা সবার জন্য। শ্রেণিকক্ষের বাইরে বোমা রাখা আছে। আগামিকাল সকালে যখন স্কুলে বাচ্চারা থাকবে, তখন বোমাগুলি ফাটবে। আমাদের লক্ষ্য বেশি সংখ্যক মানুষকে রক্তস্রোতে ভাসিয়ে দেওয়া।’ বার্তার শেষে লেখা হয়েছে, ‘ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে দুই সন্ত্রাসবাদী চিং ও ডল।’

    হুমকি মেইল (Bomb Threat)

    পুলিশের তরফে অবশ্য এ (Bomb Threat) ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। তবে ভাইরাল হওয়া এক স্ক্রিনশটে দেখা গিয়েছে, ‘হ্যাপিহটডগ১০১’ নামের মেইল আইডি থেকে ওই হুমকি মেইল পাঠানো হয়েছে। মাধ্যম অবশ্য স্ক্রিনশটটির সত্যতা যাচাই করেনি। তবে কোন কোন স্কুল এই হুমকি মেইল পেয়েছে, তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। কলকাতার পাশাপাশি শিলিগুড়ির কয়েকটি স্কুলও, এই হুমকি মেইল পেয়েছে বলে খবর। কলকাতার একটি স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল মেইল প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বোমা মেরে স্কুলটি উড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই হুমকি মেইল!

    লোকসভার নির্বাচন দোরগোড়ায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। গোটা দেশের কয়েকটি কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্গে এ রাজ্যেরও তিনটি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এদিন। তার জেরে আঁটসাঁট নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা রাজ্য। নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে বিভিন্ন জায়গায় চলছে নাকা চেকিং। তার মধ্যেই বিভিন্ন স্কুলে পাঠানো হয়েছে হুমকি মেইল।

    আরও পড়ুুন: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রশ্ন আদালতের

    প্রসঙ্গত, বাংলায় এনআরসি হলে মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে বলে এদিনই হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ, চিঠিটি পাঠিয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লক্সর-ই-তৈবা। সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ পোস্টঅফিসের মাধ্যমে তাঁদের কাছে চিঠিটি এসেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। এ নিয়ে শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ (Bomb Threat) শানিয়েছেন ঠাকুরবাড়ির এই বিজেপি নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রানিমাকে দেখতে উপচে পড়ল ভিড়, চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়

    Nadia: রানিমাকে দেখতে উপচে পড়ল ভিড়, চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) তেহট্টে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস। এলাকায় চুটিয়ে প্রচার করেন তিনি। রানিমাকে দেখতে এলাকায় ভিড়ও হয় প্রচুর।

    রানিমা-র সামনে এসে হাতজোড় করে প্রণাম করলেন অনেকেই (Nadia)

    এদিন নদিয়ার (Nadia) তেহট্টের হাউলিয়া মোড়ের সবজি আড়ৎ থেকে শুরু করে একাধিক বাজারে জনসংযোগ যাত্রা করেন অমৃতা রায়। মূলত বাজারের ক্রেতা বিক্রেতারদের সঙ্গে তিনি জনসংযোগ সারেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নদিয়া জেলার ওপর যে অবদান রয়েছে সেই অবদান তিনি তুলে ধরেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প চুরি করার যে প্রবণতা সেই সম্পর্কে তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প চুরি করে নিজেদের নামে চালাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে তিনি বলেন, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের এই তেহট্টের অনেক অবদান রয়েছে। এখানে একটি পুরানো মন্দিরও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। তেহট্টে সেই মন্দির এখন অনেকটাই জাগ্রত। এলাকায় জনসংযোগ করার সময় রানিমাকে সামনে পেয়ে অনেকে হাতজোড় করে প্রণাম জানিয়েছেন। তেহট্টবাসীর ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত হয়েছেন রানিমা।

    আরও পড়ুন: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রশ্ন আদালতের

    বিজেপির জয় নিশ্চিত

    বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় বলেন, অন্যান্য এলাকার পাশাপাশি তেহট্টের (Nadia) মানুষের সঙ্গে কথা বলে সাহস অনেকটাই বাড়ল। তার কারণ আমাকে প্রচার করতে দেখে সকলেই উৎসাহের সঙ্গে এসে আমাকে আশীর্বাদ করছেন। তেহটের মানুষের উৎসাহ দেখে বোঝা যাচ্ছে এবার বিজেপির জয় নিশ্চিত। তিনি আরও বলেন, গত পাঁচ বছরে তেহট্ট এলাকায় কোনও কাজ করেনি প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এখানে গ্রামের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে অনেক কাজ বাকি রয়েছে। এখানকার ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, বিভিন্ন বাজারেও বেশ কিছু উন্নয়ন করার প্রয়োজন রয়েছে। আমি সকলকে কথা দিয়েছি, আগামী পাঁচ বছর তাঁদের দাবি মতো প্রতিটি কাজ আমি করার চেষ্টা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC attacks on BJP: বীরভূমে বিজেপি কর্মীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    TMC attacks on BJP: বীরভূমে বিজেপি কর্মীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট, হাতে গুনে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের মন জয় করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সব দলের প্রার্থীরাই। আর এরই মধ্যে আবারও মারধরের অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাতের অন্ধকারে বিজেপির (TMC attacks on BJP) তিন জন কর্মীকে আক্রমণ করা হয়। ঘটনা ঘটেছে বীরভূম জেলায়।

    ঘটনা বীরভূমের কোথায় ঘটেছে (TMC attacks on BJP)?

    ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে বীরভূমের (birbhum) মহম্মদ বাজার এলাকায়। মহম্মদ বাজারের (mohammad bazar) কপিস্টার গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারকাটা গ্রাম থেকে দলীয় বৈঠক করে বাড়ি ফেরার সময় তিন বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই রবিবার রাতে আহত বিজেপি কর্মীদের ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আহতদের দেখতে গিয়েছেন জেলা বিজেপির নেতারা। তবে ঘটনায় তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুনঃ ভোটে বাংলায় এক নম্বর দল হতে চলেছে বিজেপি, অনুমান পিকে-র

    বাঁশ ও রড দিয়ে মারের অভিযোগ

    ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ হল, অন্ধকার রাস্তায় বাইক নিয়ে আসার সময় কয়েকজন তৃণমূলের (TMC) আশ্রিত দুস্কৃতীরা আচমকা হামলা করে। প্রথমে পথ আটকায়, এরপর বাঁশ ও রড দিয়ে মারধর (TMC attacks on BJP) করা হয়। এরপর কোনক্রমে সেখান থেকে আহত বিজেপি কর্মীরা পালিয়ে আসে মহম্মদ বাজারে। পরে তাদের আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় সিউরি হাসপাতালে।

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনার খবর পৌঁছাতেই আহতদের দেখতে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছান বীরভূম বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা (Dhruba saha)। তবে কেবল জেলা সভাপতি নয়, সোমবার সকাল হতেই আহতদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিষ ধরও (Debashis dhar)। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “জেলার সাধারণ সম্পাদক নরেন মিস্ত্রী, তিনি মিটিং করে ফিরছিলেন, সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আক্রমণ (TMC attacks on BJP) করে। আমাদের সভাপতি প্রসেনজিৎ দত্ত ও আমদের যুব নেতাও আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। অভিযুক্তদের কালকের মধ্যে যদি গ্রেফতার (arrest) না করা হয়, ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” অপর দিকে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিষ ধর বলেন, “তৃণমূল হারার ভয়ে এই আচরণ করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যাবো। কর্মীদের পাশে সব সময় রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ভোটের মুখে বিজেপি কর্মীকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী

    Barrackpore: ভোটের মুখে বিজেপি কর্মীকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী হওয়ার পর থেকে নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাকপুর চষে বেড়াচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে তৃণমূল। এই আবহের মধ্যে এবার সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বারাকপুর (Barrackpore) পুরসভার ধনিয়াপাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মী কিরণ দে-কে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore) 

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মী কিরণবাবু বারাকপুর (Barrackpore) পুরসভার ধনিয়াপাড়ায় পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কেকা মুখোপাধ্যায়ের স্বামী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বচসা বাধে। সুব্রতবাবু কিরণবাবুকে বলেন, স্বাস্থ্য সাথি পান, কন্যাশ্রী পান, লক্ষ্মী ভান্ডার পান লজ্জা করে না তৃণমূলের সমস্ত সুবিধা নিচ্ছেন আর বিজেপি করছেন। এরপরই কিরণ বাবুকে মারধর করে। টিটাগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কিরণ বাবু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তিনি বলেন, যেটা হচ্ছে ভালো হচ্ছে না। আসলে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে, তাই আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসের পরিবেশ করতে চাইছে। এভাবে মানুষকে মেরে ভয় দেখিয়ে কিছু করা যাবে না। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, কোনও হামলা চালানো হয়নি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আসলে আমাদের নামে এসব অভিযোগ এনে বিজেপি রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে।

    আরও পড়ুন: “চায়ে পে চর্চা” কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষকে বাধা, বিজেপি কর্মীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ভাটপাড়ায় বিজেপি-র ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ

    বারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে জগদ্দল থানার ভাটপাড়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোলঘর রবীন্দ্রপল্লিতে একাধিক ফ্লেক্স লাগানো হয়েছিল। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে পাঁচ-ছয়টি ফ্লেক্স ব্লেড দিয়ে কেটে দিয়েছে। রবিবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের। বিজেপি কর্মী রাজু শ্রীবাস্তবের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসব করেছে। নির্বাচন কমিশন ও জগদ্দল থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। রাজু বাবুর দাবি, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। আসলে এসব করে এলাকায় তৃণমূল ভয় দেখাতে চাইছে। এসব করলে সাধারণ মানুষের ভোট তৃণমূল আর পাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের তাড়া খেলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি

    Balurghat: প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের তাড়া খেলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট আসলেই রাস্তা- ব্রিজের প্রতিশ্রুতি দেয় সবাই। ভোট মিটলে গ্রামমুখো হয় না কেউ। গত কয়েকটি নির্বাচনে একই ছবি। রাজনীতির কারবারিদের এই চাতুরি ধরে ফেলেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোটদেওরা গ্রামে প্রচারে যান তৃণমূল নেত্রী ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামণি বিহা। তাঁকে দেখেই গ্রামবাসীরা প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রীতিমতো তাড়া করেন। ক্ষোভের মুখে পড়ে কার্যত গ্রাম থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন চিন্তামণি।

    গ্রামবাসীদের কী অভিযোগ? (Balurghat)

     বালুরঘাটের (Balurghat)ছোটদেওরা গ্রাম যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। গ্রামের পাশ দিয়ে বইছে কাশিয়াখাঁড়ি। গ্রামের একদিকে কাশিয়াডাঙা গ্রাম, আরেকদিকে দোগাছি ফরেস্ট। গ্রামে প্রায় ১০০ ঘরের বাস। ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪০০। বালুরঘাট শহরে যেতে গেলে খানাখন্দে ভরা মাটির আল ধরে দু’কিলোমিটার ঘুরে বড় রাস্তা ধরতে হয়। অথচ ফরেস্টের ভিতর দিয়ে দোগাছি মোড়ে উঠে পাকা রাস্তা ধরলে খুব কম সময়েই বালুরঘাট শহরে পৌঁছে যাওয়া যায়। বর্ষায় এই শাখা নদী ফুলে উঠলে এই শর্টকাট রাস্তা পার করাই গ্রামবাসীদের দায় হয়ে ওঠে। ছোট ছোট বাচ্চা ছেলেমেয়েরা স্কুল যেতে ভয় পায়। এমনকী শিক্ষকরাও এই কাদামাখা রাস্তা ঠেলে প্রতিদিন স্কুলে আসতে পারেন না। গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন কাশিয়াখাঁড়ির উপর সেতু নির্মাণ ও রাস্তার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এতদিন রাজনৈতিক দলগুলি শুধু তাঁদের দাবি পূরণেরই আশ্বাস দিয়েছে। কেউ কাজ করেনি। এতেই ক্ষুদ্ধ ছোটদেওড়া গ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দা সবিতা সরকার বলেন, ‘আমাদের গ্রামে যাওয়া আসার রাস্তা নেই। গ্রামের কোনও উন্নয়ন নেই। আমাদের গ্রামের নাম শুনলে কেউ ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেন না। কারণ, রাস্তা নেই। আমরা ভোট বয়কটের ডাক দিলে সব রাজনৈতিক দল গ্রামে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের ভোট নিয়ে যায়। আমরা বারবার ঠকি। ভোটের পর কোনও দলের লোক আর গ্রামে আসে না। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যরা পর্যন্ত গ্রামে পা রাখে না। এক স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে নিয়ে আজ গ্রামে ভোট প্রচারে এসেছিলেন সভাধিপতি। আমরা তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছি।’

    আরও পড়ুন: “চায়ে পে চর্চা” কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষকে বাধা, বিজেপি কর্মীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এনিয়ে চিন্তামণি বিহাকে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ করা হলেও উত্তর মেলেনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মলয় মণ্ডলের বক্তব্য, “ওই গ্রামের মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। ওরা কোনও রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করছে না।”এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি সরকার বলেন, মানুষ বুঝে গিয়েছে তৃণমূলের মিথ্যা কথা, অন্যায়, অত্যাচার। তৃণমূল যে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেই তা ছোট দেওড়ার মানুষ বুঝে গিয়েছে। তাই তৃণমূলের প্রচারে গিয়ে জেলাপরিষদের সভাধিপতি কে তারা খেতে হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে শতাব্দী, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে বিজেপি

    Birbhum: শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে শতাব্দী, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম (Birbhum) লোকসভায় প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরকে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন। এই অবস্থায় ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করলেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। আর এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে তারা কমিশনে অভিযোগ জানাতে চলেছে।

    শিক্ষকদের নিয়ে সভা তৃণমূলের (Birbhum)

    জানা গিয়েছে, রবিবার বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট শহরের একটি বেসরকারি লজের সভাকক্ষে মহকুমার প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সভায় শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রলয় নায়েক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়, বিধানসভার ডেপুটি  স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভায় কীভাবে দলীয় প্রার্থীর হয়ে ভোট করতে হবে সেই নির্দেশ দেওয়া হয় দলের তরফে। অভিযোগ, সভায় উপস্থিত অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাই নির্বাচনী কাজের সঙ্গে যুক্ত। কেউ কেউ দু’দিনের প্রশিক্ষণও নিয়ে ফেলেছেন। নির্বাচনী কাজে যুক্ত এমন শিক্ষকদের নিয়ে সভা করা হল কীভাবে, প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: শহরে তাপমাত্রা কমল ৫ ডিগ্রি! বৃষ্টিতে গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি দক্ষিণবঙ্গে

    তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের নেতা কী সাফাই দিলেন?

    যদিও নির্বাচনীআচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রলয় নায়েক। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে সমস্ত মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। ফলে রবিবার ছুটির দিন শিক্ষকরা আমাদের ডাকে এসেছেন। তাঁরা ছুটির সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের সরকারের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরবেন। মানুষের কাছে প্রকল্পের কথা তুলে ধরবেন। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করি না।’

    কমিশনে অভিযোগ জানাবে বিজেপি

    বিজেপির শিক্ষক সেলের নেতা নীলকণ্ঠ বিশ্বাস বলেন, ‘নির্বাচনী কাজে যুক্ত শিক্ষকরা যদি সরাসরি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তিনি কেমন ভোট গ্রহণ করবেন সেটা সকলের জানা। নির্বাচনী কাজে যুক্তদের সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। আমরা এনিয়ে কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানাব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “চায়ে পে চর্চা” কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষকে বাধা, বিজেপি কর্মীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Dilip Ghosh: “চায়ে পে চর্চা” কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষকে বাধা, বিজেপি কর্মীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলীদের হামলার মুখে পড়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার এবার বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) দলীয় কর্মসূচিতে চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দিলীপ ঘোষকে “গো ব্যাক” স্লোগান দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করতে গেলে এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dilip Ghosh)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে দুর্গাপুরের ফুলঝোড় মোড়ে ” চায়ে পে চর্চা” কর্মসূচিতে যোগদান করেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে তিনি কথা বলছিলেন। সেখানেই আচমকা একদল মহিলার নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা চড়াও হন। সঙ্গে পুরুষ কর্মীরা পিছনে ছিলেন। কর্মীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা ছিল। তাঁরা দিলীপ ঘোষকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।  দিতে থাকেন “গো ব্যাক” স্লোগান। নিলাদ্রি ভট্টাচার্য নামে এক বিজেপি কর্মী প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনেই এসব চলে। দিলীপ ঘোষ ও তাঁর সঙ্গে থাকা কর্মীরা পাল্টা “জয় শ্রীরাম “স্লোগান দেন। “পিসি – ভাইপো চোর, তৃণমূল চোর ” স্লোগান দিতে থাকেন। দুই দলের কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর ও নিউ টাউনশিপ থানার পুলিস আসলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ চলতে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    আরও পড়ুন: শহরে তাপমাত্রা কমল ৫ ডিগ্রি! বৃষ্টিতে গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি দক্ষিণবঙ্গে

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, শান্তিতে চা খাচ্ছিলাম। সেখানে ভাড়া করে মহিলাদের নিয়ে এসে এসব করেছে। তৃণমূল সব জায়গায় মহিলাদের সামনে রেখে রাজনীতি করছে। এখানেও সেটা করেছে। আসলে তৃণমূলের দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই, তৃণমূল এই ঝামেলা করেছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

    বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মীরা কী বললেন?

    বিক্ষোভকারী তৃণমূলের মহিলাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার কথা দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) বলতে এসেছিলাম। তিনি সেই সব কথা শোনেনি। আমাদের অসন্মান করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share