Tag: West Bengal

West Bengal

  • Nadia: দিনভর জনসংযোগে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী, জয়ের বিষয়ে আশাবাদী রানিমা

    Nadia: দিনভর জনসংযোগে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী, জয়ের বিষয়ে আশাবাদী রানিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের রাজবধূ অমৃতা রায়কে প্রার্থীকে করে মাস্ট্রার স্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। কারণ, বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর বংশ নিয়ে তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু ছোট-বড় সব স্তরের নেতারা আক্রমণ করছেন। বোঝাই যাচ্ছে, রানিমা প্রার্থী হওয়ায় নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে তৃণমূল বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে।

    জনসংযোগে রানিমা (Nadia)

    তৃণমূল লাগাতার আক্রমণ করলেও বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে রানিমা নিজের কেন্দ্রে দিনভর নিজেকে জনসংযোগে ব্যস্ত রাখলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি রাজবাড়ি থেকে বেরিয়ে কৃষ্ণনগর (Nadia) আমিনবাজারের পৌঁছান। সেখানে প্রচুর সংখ্যক কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে পদযাত্রা করেন। রানিমাকে দেখার জন্য রাস্তার দুধারে সাধারণ মানুষ জমায়েত হন। এরপর বিভিন্ন বাজার, রাস্তাঘাট সহ একাধিক এলাকাগুলিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভোটের আবেদন করেন তিনি। তবে, একটা সময় গেছে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রানিমাকে অনেকে দর্শন করতে পারতেন না। কিন্তু, নির্বাচনে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পরে তিনি জনসমক্ষে বেরিয়ে আসেন। আর রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বর্তমান রাজবধূকে একবার দেখার জন্য স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে এক অন্য অনুভূতি থেকেই থাকে। আর তাই প্রার্থীকে দেখার জন্য রাস্তায় ভিড় জমাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: “মতুয়া মেলা বন্ধ করার চক্রান্ত করছে তৃণমূল”, সরব শান্তুনু ঠাকুর

    জয়ের বিষয়ে আশাবাদী রানিমা

    ভোট প্রচারের মধ্যে দিয়ে অমৃতা রায় বলেন, ভোটে দাঁড়ানোর পর থেকেই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী থেকে শুরু করে অন্যান্য রাজনৈতিকদলের প্রার্থীরা আমাকে বিভিন্ন ভাষায় মন্তব্য করছেন। কিন্তু, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কারণ, মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আমি আশাবাদী, লোকসভা নির্বাচনে মানুষের রায়ে আমি জয়যুক্ত হব। অন্যদিকে, নাকাশিপাড়া থানা এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীকে খুন করার ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সকালে এই ঘটনার কথা আমি জানতে পারি। এই মর্মান্তিক ঘটনা, যে বা যারা করুক তারা যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমি আর্জি জানাচ্ছি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: প্রচারে বেরিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সুকান্তর ডায়েট চার্ট কী জানেন?

    Sukanta Majumdar: প্রচারে বেরিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সুকান্তর ডায়েট চার্ট কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট। হাতে সময় খুব কম। তাই এই এপ্রিল-মে মাসের সূর্যের তেজেও দমে নেই বালুরঘাটের হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের ভোট প্রচার। লড়াইয়ের ময়দানে মাথার ওপর চড়া রোদ নিয়ে প্রচারে নেমেছেন তিনি। তাই শরীর ঠিক রাখতে মানছেন কোন ডায়েট? (diet) মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে জীবনের অজানা কথা জানালেন  সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    কী বললেন সুকান্ত

    প্রিয় খাবার থেকে ডায়েট চার্ট(Diet Chart), প্রচারে বেরিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে মানছেন কোন ডায়েট সব নিজেই জানালেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী। সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমি সাধারণত হালকা খাবার পছন্দ করি। এখন প্রচারের ব্যস্ততায় কর্মীদের বাড়ি খেতে হচ্ছে। তবে বাড়ির খাবার পেলে বেশি ভাল হয়।’ উল্লেখ্য ১৯ এপ্রিল উত্তরবঙ্গে(north bengal) রয়েছে প্রথম দফার ভোট। ফলত হাতে ভোট প্রচারের সময় কমে আসছে ক্রমশ। তাই এই সময় প্রচণ্ড গরমেও প্রচারে পিছুপা হটছেন না সুকান্ত। আর প্রচারে নেমে জন সাধারনের মাঝে ঝড় তুলতে হলে, নিজেকে ফিট রাখাটাও একান্তই প্রয়োজন। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও তাই অত্যন্ত সতর্ক বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুন: ‘দলের কোনও দিশা নেই, সনাতন ধর্ম বিরোধী’, ইস্তফা দিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভ

    মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সুকান্ত

    বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার(sukanta majhumdar)। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি বদলে তার গলায় শোনা গেল ইলিশ, চিংড়ির গল্প। সুকান্তর কথায়, “আমি বাঙাল। পছন্দের তালিকায় ইলিশ। তবে ইলিশ সিজানাল বলে বেশি চিংড়ি হয়। ” এই প্রচন্ড গরমে যখন চিকিৎসকেরা (doctor) শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন বেশি করে জল ,টক দই ও তরল জাতীয় খাবার খেতে বলছেন, সেই সময় বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী (balurghat BJP candidate) কি ডায়েটে রয়েছেন  সে কথাও জানালেন নিজেই। মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার দিন  তিনি দুপুরে কি খেয়েছেন তা ভাগ করে নিলেন সকলের সঙ্গে।  জানালেন ভাত,আলু পটলের তরকারি, সজনে ডাটার তরকারি, মাছের ঝোল, কুলের চাটনি ও টক দই দিয়ে সেরেছেন দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ (lunch), অতএব লড়াইয়ের ময়দানে শরীর ঠিক রাখতে সঠিক পথেই আছেন বালুরঘাটের হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: “মতুয়া মেলা বন্ধ করার চক্রান্ত করছে তৃণমূল”, সরব শান্তুনু ঠাকুর

    North 24 Parganas: “মতুয়া মেলা বন্ধ করার চক্রান্ত করছে তৃণমূল”, সরব শান্তুনু ঠাকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আবহে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ঠাকুরনগরে শুরু হচ্ছে মতুয়াদের বারুনির মেলা। আর এই মেলার রাশ রয়েছে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের হাতে। তাই, ভোটের মুখে এই মেলা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল। মেলায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের অভিযোগ তুলে ১৪৪ ধারা জারির আবেদন করেছেন মমতাবালা ঠাকুর। আর পালটা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই মেলা বন্ধ করার চক্রান্ত করার অভিযোগ তুলেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (North 24 Parganas)

    আগামী ৬ এপ্রিল থেকেই  উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ঠাকুরনগরে এই মেলা শুরু হচ্ছে। এই মেলা বসে ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠে। বহু বছরের পুরানো এই মেলা শুরু হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। তবে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই মেলার নিয়ন্ত্রণ ছিল তৃণমূলের হাতেই। তবে শান্তনু ঠাকুর বিজেপির সাংসদ হওয়ার পর তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণ খর্ব হয়। শুধু জেলা থেকেই নয়, বিভিন্ন রাজ্য থেকেও এই মেলা দেখতে আসেন বহু মানুষ। তবে গত কয়েক বছর ধরে এই মেলা নিয়ে তরজা লেগেই আছে। সে ক্ষেত্রে মেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখাকে কেন্দ্র করেই মমতাবালার সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে তরজা চলে আসছে। শোনা যাচ্ছে, মমতাবালা ঠাকুর এই মেলায় ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য বনগাঁর এসডিওর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এটা তৃণমূলের তরফে করা হয়নি। তিনি নিজেই এই আবেদন করেছেন। মেলা ঘিরে ঠাকুরবাড়ির অন্দরের দ্বন্দ্ব আরও জোরদার হয়েছে। বনগাঁর এসডিও উর্মি দে বিশ্বাস বলেন, এবিষয়ে পুলিশকে তদন্ত করে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বঙ্গে দুর্নীতি নিয়ে ফের সরব মোদী, দিলেন টাকার ফেরানোর প্রতিশ্রুতি

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, মতুয়াদের ধর্মীয় ভাগাবেগে আঘাত করার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবছরই হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথিতে এই মেলা হয়ে থাকে। কিন্তু, প্রতিহিংসা করে এই মেলা বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনে মানুষের জবাব দেবে। অন্যদিকে, মমতাবালা ঠাকুর বলেন, গত ১০ বছর ধরে এই মেলার প্রশাসনের অনুমতি আমি পাচ্ছি। অথচ আমি মেলায় ঢুকতে পারি না। শান্তনু ঠাকুর মেলার মাঠে গিয়ে বসে থাকেন। এছাড়া দুষ্কৃতীরা মেলার মাঠে থাকে। এতে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন। সেই কারণে তিনি ১৪৪ ধারা জারির আবেদন জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভোটের মুখে স্ত্রী-সন্তানের সামনেই তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, শোরগোল

    Nadia: ভোটের মুখে স্ত্রী-সন্তানের সামনেই তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখেই আট বছরের সন্তান ও স্ত্রীর সামনেই নদিয়ার (Nadia) নাকাশিপাড়ায় তৃণমূল কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জাহিদুল শেখ। তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সাগিরা বিবির স্বামী। তিনিও স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন। এই ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে। ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের আগে এই খুনের ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাকাশিপাড়ার (Nadia) তৃণমূল কর্মী নিজেদের গাড়িতে ইদের বাজার করতে গিয়েছিলেন। গাড়িতে চালক ছাড়া আর তিন জন অর্থাৎ জাহিদুল ও তাঁর স্ত্রী- পুত্র ছিলেন। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা মাঝ রাস্তায় প্রথমে বোমাবাজি, পরে খেজুর গাছের গুড়ি রাস্তায় ফেলে তাঁদের গাড়ি আটকায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়ির মধ্যে ধারাল অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বার করে এনে তাঁকে কোপাতে থাকে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জাহিদুল। অভিযোগ, তারপরও তাঁকে আরও কোপানো হয়। আট বছরের সন্তানের সামনেই এসব চলতে থাকে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী। ধারাল অস্ত্রের আঘাত তাঁর শরীরেও পড়ে। আক্রান্ত হয় আট বছরের ছোট সন্তানও। স্থানীয় বাসিন্দারাই আর্তনাদ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় বেথুয়াডহরি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    আরও পড়ুন: “মহিলা-তরুণদের কাছে যান”, ভিডিও-বার্তায় বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ মোদির

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে মৃত জাহিদুল শেখের ভাইপো বাসির শেখ বলেন, আমার কাকা এবং তার পরিবারকে নিয়ে যখন ঈদের বাজার করে বেথুয়া থেকে বাড়ি ফিরছিল, ঠিক তখনই তাদেরকে রাস্তা আটকানো হয় এবং বোমাবাজি করা হয়। পরবর্তীকালে এলোপাথাড়ি কোপায় দুষ্কৃতীরা। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটালো সেই সম্পর্কে আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: ভোটে লিড দিলেই মোটরবাইক পুরস্কারের টোপ তৃণমূলের, কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    Darjeeling: ভোটে লিড দিলেই মোটরবাইক পুরস্কারের টোপ তৃণমূলের, কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) বিজেপি প্রার্থী  রাজু বিস্তার মনোনয়নে বুধবার জনজোয়ার হয়েছিল পাহাড়ে। বিমল গুরুংকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দেন বিজেপি প্রার্থী। বিজেপি-র এই জনজোয়ার দেখে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে তৃণমূল। দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে পুরস্কারের টোপ দেওয়া শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ভোটে লিড দাও, পুরস্কার নাও। দলীয় নেতাদের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। কমিশনে অভিযোগ জানাবে বিজেপি।

    কী পুরস্কারের কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব? (Darjeeling)  

    দার্জিলিং (Darjeeling) লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামাকে নিয়ে মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার একাধিক জায়গায় প্রচার করেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পাপিয়া ঘোষ। ছিলেন ফাঁসিদেওয়া সাংগঠনিক-২ ব্লকের সভাপতি তথা এসজেডিএ-এর সদস্য কাজল ঘোষ। সেখানে তাঁরা ঘোষণা করেছেন, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হলে বুথ সভাপতি থেকে অঞ্চল সভাপতিদের বাইক থেকে দামি সাইকেল উপহার দেওয়া হবে। একই কথা শোনা যাচ্ছে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষের মুখেও। তিনি অবশ্য নির্দিষ্ট করে কিছু বলছেন না। শুধুমাত্র উপহারের কথাই ঘোষণা করছেন। তৃণমূল নেতা কাজলের কথায়, “গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতিদের মধ্যে যিনি সব থেকে বেশি ভোটে লিড দিতে পারবেন তাঁকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি মোটরবাইক দেওয়া হবে।” একই ভাবে সংশ্লিষ্ট চারটি অঞ্চলের সব বুথ সভাপতির মধ্যে যিনি সব থেকে বেশি ভোটের লিড আনতে পারবেন, তাঁকে একটি ‘ভাল মানের সাইকেল’ উপহার দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: “মহিলা-তরুণদের কাছে যান”, ভিডিও-বার্তায় বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ মোদির

    পুরস্কার নিয়ে কী সাফাই দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, “আমরা বাড়িতেও আমাদের ছেলেমেয়েদের রেজাল্ট ভাল করতে এ সব বলি। এটাও সে রকমই। এটা একেবারেই আমার দলের অন্দরের বিষয়। ব্যক্তিগত বিষয়।”

    কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    এ নিয়ে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “ব্যক্তিগত স্তরে কারও কিছু দেওয়ার থাকলে দেবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, প্রার্থী তো পাঁচ লক্ষ ভোটে হারবেন। আর এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট ভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব আমরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “তৃণমূলের প্রধান একা ১৭টি আবাসের বাড়ি খেয়েছে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু, হল যোগদান পর্ব

    Suvendu Adhikari: “তৃণমূলের প্রধান একা ১৭টি আবাসের বাড়ি খেয়েছে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু, হল যোগদান পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাল বিজেপি। বুধবার বিকালে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ডাক্তার নির্মল কুমার সাহার সমর্থনে বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে বিজয় সংকল্প সভা ছিল। সেখানেই কান্দি থেকে বিভিন্ন দলের হয়ে শতাধিক কর্মী শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে বিজেপির পতাকা গ্রহণ করেন।

    মুর্শিদাবাদ জেলা অনুন্নয়নে এখনও এক নম্বর

    বহরমপুরে নির্বাচনী প্রচারে এসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বহরমপুরকে শেষ করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পোষণের রাজনীতি, দুর্নীতির রাজনীতি করেন। আর মোদিজির স্লোগান, সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস সবকা প্রয়াস। নরেন্দ্র মোদিজি ছিলেন বলে বহরমপুর বাইপাস তৈরি হয়েছে। বহরমপুর উন্নয়নের ছোঁয়া বইয়ে দিয়েছে। অধীরবাবু তো নিজে রেলের হাফ মন্ত্রী ছিলেন, তিনি যে কাজ করতে পারেননি, সেই কাজ অশ্বিনী বৈষ্ণব সহ আমরা নসিপুর রেল ব্রিজ করে দেখিয়েছি। তিনি বলেন, দলীয় প্রার্থী নির্মল কুমার সাহাকে লোকসভা ভোটে জয়যুক্ত করে আপনারা দিল্লি পাঠান। কীভাবে কাজ করতে হয় দেখাবো। মুর্শিদাবাদ জেলা অনুন্নয়নে এখনও এক নম্বর। এই জেলার মানুষ মোদিজির পাঠানো শৌচালায় পাননি, প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনা পাননি। কিন্তু, এই জেলার নওদা তে তৃণমূলের এক প্রধান মোদিজির আবাস যোজনার একা ১৭ টি বাড়ি খেয়েছে। কাবিলপুরের প্রধান একা ৩৫টি বাড়ি হজম করেছে। আর এই রাজ্যে মোদিজি ১০ বছরে সরকারের ৪৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে।

    পঞ্চায়েতগুলি চুরি-দুর্নীতির আখড়া

    শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এখন তৃণমূল নেতাদের জুতো পালিশ থেকে চণ্ডীপাঠ, বাজার করা থেকে স্কুলে বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়া যারাই করে তারা বহরমপুরে ক্যাজুয়াল, কন্ট্রাকচুয়াল এর কাজ করেন। এই শহরটাকে ধ্বংস করে নিয়েছে এরা। তাই জোট বাঁধুন, তৈরি হন। এই সরকারের আমলে পঞ্চায়েতগুলি চুরি-দুর্নীতির আখড়া হয়েছে। সংখ্যালঘু মুসলিম ভাইরা আর কতদিন তৃণমূলের হাতের তামাক খাবেন, আপনাদেরকে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেজপাতা বলে মনে করে। তরকারিতে লাগে কিন্তু খাওয়া যাবে না। আপনারা ২১ সালে লাইন দিয়ে ভোট দিয়েছেন, কী পেয়েছেন? আনিস খানকে আমতায় ধাক্কা মেরে ফেলে মেরেছে। রামপুরহাটের বকটুইয়ে সাত জন মুসলিম মহিলা এবং চারজন বাচ্চাকে মেরেছে মমতার দলের লোকেরা। ডবল ইঞ্জিন আনুন। লক্ষ্মীর ভান্ডারের ১০০০ টাকার পরিবর্তে ৩০০০ টাকা করে দেব। সাড়ে চারশ টাকায় গ্যাস দেব এবং যত পরিযায়ী শ্রমিক আছে, সবাইকে মুর্শিদাবাদে ফিরিয়ে কাজ দেব। প্রত্যেক বছর এসএসসি হবে। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা পাবেন। এবং রাজ্য সরকারের যত পোস্ট ফাঁকা আছে এক বছরে তাপ পরিপূর্ণ করে দেয়া হবে। শুভেন্দু অধিকারী, আমরা কথা দিলাম। আপনারা ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার পর দেখবেন যেসব কথা দিয়ে গেলাম সেগুলি বাস্তবে পরিণত করে দেখাবে ভারতীয় জনতা পার্টি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “আবেদন-নিবেদন নয়, আমি অ্যাকশনে বিশ্বাসী”, প্রচারে স্ট্রেট ব্যাটে খেললেন দিলীপ ঘোষ

    Dilip Ghosh: “আবেদন-নিবেদন নয়, আমি অ্যাকশনে বিশ্বাসী”, প্রচারে স্ট্রেট ব্যাটে খেললেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় প্রতিবাদ এবং আন্দোলন করার একটা ফ্যাশন আছে। কাজ কিছু হয় না। আর আমি নিবেদন-আবেদন করি না কারও কাছে, আমি অ্যাকশন করি।” ভোটের প্রচারে বেরিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আবার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থীকে ভোটে হারিয়ে ‘প্যাক’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

     ভোটের জন্য  বেদখলের মতো কাজও মেনে নেয় রাজ্যের শাসকদল (Dilip Ghosh)

    বুধবার দলীয় কর্মীদের নিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ (Dilip Ghosh) মালির বাগান মাঠে হাঁটছিলেন। সেই সময় কয়েক জন বিজেপি প্রার্থীকে কাছে পেয়ে এলাকার খেলার মাঠ নিয়ে সমস্যার কথা বলেন। স্থানীয়েরা দিলীপকে জানান, বেআইনিভাবে মাঠের জায়গায় বহুতল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে মাঠ ছোট হয়ে আসছে। এ বিষয়ে দিলীপকে পদক্ষেপ করতে আবেদন করতেন তাঁরা। প্রত্যুত্তরে দিলীপ বলেন, “মেনটেন করা তো আমাদের হাতে থাকবে না। তবে কব্জা যাতে না হয়ে যায়, সেটা দেখা আমার দায়িত্ব। তার পর সময়ে অনেক কিছুই হবে।” এই প্রেক্ষিতেই দিলীপ বলেন, “বাংলায় প্রতিবাদ এবং আন্দোলন করার একটা ফ্যাশন আছে। কাজ কিছু হয় না। আর আমি নিবেদন-আবেদন করি না কারও কাছে, আমি অ্যাকশন করি।” বর্ধমান শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যনগর মালির মাঠে গিয়ে স্থানীয়দের ওই খেলার মাঠ নিয়ে অভিযোগ শোনার পর দিলীপের মন্তব্য, “উত্তরপ্রদেশে, অসমে কেমন ‘ট্রিটমেন্ট’ হচ্ছে দেখেছেন তো।” মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ আরও বলেন, “খড়্গপুরে আমি ছিলাম। সেখানে প্রচুর মাঠ রেলের। যে পারছে, বসে যাচ্ছে। নড়াচড়া করতে বললেই সে বলবে, ‘আমরা তো এত বছর ধরে আছি।’ এই ভাবে বড় বলবে, ‘আমরা তো এত বছর ধরে আছি।’ এই ভাবে বড় মাঠের একটা অংশ বাংলাদেশিরা ঢেকে নিচ্ছে। অর্ধেকটা কব্জা হয়ে গিয়েছে।” দিলীপের অভিযোগ, ভোট রাজনীতির জন্য জায়গা বেদখলের মতো কাজও মেনে নেয় রাজ্যের শাসকদল।

    তৃণমূল প্রার্থীকে নিয়ে কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    পাশাপাশি কঙ্কালেশ্বরী কালীবাড়িতে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদকে আবার নিশানা করেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। কীর্তি তাঁকে উদ্দেশ্য করে ‘পাগল’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তা নিয়ে দিলীপের জবাব, “কে পাগল, সেটা ভোটের ফলের দিন দেখা যাবে। এমন হারাব যে জীবনে ভোটে দাঁড়াবেন না (কীর্তি)।” তাঁর সংযোজন, “উনি বিহারে চলে যান। ওঁর কথা ওঁর দলের লোকেরাই বোঝেন না। বাংলার মা-বোনেরা কী বুঝবেন। ওঁকে ভাল করে প্যাক করে দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Jalpaiguri: বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচার সেরে ফেরার পথে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jalpaiguri)

    বুধবার জয়ন্ত রায়ের প্রচার কর্মসূচি ছিল মাল ব্লকের (Jalpaiguri) ওদলাবাড়ি ও আশেপাশের এলাকায়। দিনভর প্রচার কর্মসূচি সেরে তিনি যখন ফিরছিলেন সেই সময় মাল ব্লকের মীনা মোড়ে ২০-৩০ জনের একটি দল তার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এবং তাঁর গাড়ির ওপর হামলা চালাতে শুরু করে। অভিযোগ তাদের হাতে ধারালো অস্ত্রও ছিল। ঘটনার শুরুতেই তার নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়ি থেকে নেমে তাকে সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরও বাধা দেন বিক্ষোভকারীরা। জয়ন্ত রায়ের গাড়ির সঙ্গে প্রচারে যাওয়া আরেকটি গাড়ির ওপর হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। সেই গাড়ির কাঁচ ভেঙ্গে দেওয়া হয়। গাড়িতে থাকা বিজেপি সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। তাদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ এলেও বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে যেতে নারাজ ছিলেন। পরে অবশ্য জয়ন্ত রায়ের নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে সরে যান। জয়ন্ত রায় অভিযোগ করেন তাদের প্রাণে মারার চক্রান্ত করেছিল হামলাকারীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজেশ ছেত্রীর নাম করে জয়ন্তবাবু অভিযোগ করেন। ওই ব্যক্তির নেতৃত্বেই তার এবং তার সঙ্গীসাথীদের ওপর হামলা চালানো হয়। গোটা ঘটনা পুলিশের উপস্থিতিতেই হয় বলে জানান জয়ন্ত বাবু। অন্যদিকে জয়ন্ত রায়ের সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মী শংকর দাসের ওপরও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। কোনওক্রমে প্রাণ হাতে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন।

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    এদিন জয়ন্তবাবু বলেন, তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। মানুষ তাদের ছুড়ে ফেলতে চাইছে বুঝেই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে। তৃণমূল ভোটের আগে একটা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। যেমনটা পঞ্চায়েত ভোটে করেছিলো। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: বিমল গুরুঙ্গকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন রাজু বিস্তা, পাহাড়ে জনজোয়ার

    Darjeeling: বিমল গুরুঙ্গকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন রাজু বিস্তা, পাহাড়ে জনজোয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদা পাহাড়ের বেতাজ বাদশা বিমল গুরুঙ্গকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন দার্জিলিং (Darjeeling) লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। বুধবার বিদায়ী সাংসদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পাহাড়ে জনজোয়ার নেমেছিল। যা তৃণমূলের পাহাড় জয়ের স্বপ্ন ধাক্কা খেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

     কেন তৃণমূলের পাহাড় জয়ের স্বপ্নে ধাক্কা? (Darjeeling)

    পাহাড়ের (Darjeeling) রাজনীতিতে এখন কর্তৃত্বে রয়েছে অনিত থাপার দল। বিমল গুরুং প্রশাসনিক ক্ষমতার বাইরে থাকায় তাঁর জনভিত্তি নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন ছিল। সেই জায়গায় জিটিএ ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক তরফা জেতা অনিত থাপার দলের সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়ায় তৃণমূল দার্জিলিং আসনে এবার জয়ের স্বপ্ন পূরণের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু, এদিন রাজু বিস্তার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর্বে দার্জিলিংয়ের রাস্তায় যে জনসমুদ্র দেখা যায় তাতে দুটি দিক পরিষ্কার হয়েছে, এক, বিমল গুরুঙ্গের জনভীত্তি এখনও অটুট। দুই, বিজিপির প্রতি পাহাড়বাসীর আস্থা বেড়েছে বৈ কমেনি। যা তৃণমূলের কাছে বড় ধাক্কা।

    পাহাড়ের এই জনজোয়ার দেখে কী বললেন রাজু বিস্তা?

    এদিন দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) পৌঁছে সোজা মহাকাল মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন রাজু বিস্তা। তারপর দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তায় পথসভা করেন। একই মঞ্চে বিমল গুরুঙ্গ, রোশন গিরি, উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে চৌরাস্তা। জন সমুদ্রে সকলের হাতে  বিজেপি এবং বিমল গুরুঙ্গের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পতাকা।  এই জোটের প্রতি পাহাড়বাসীর যে সমর্থন রয়েছে তা এই জনজোয়ার প্রমাণ করেছে বলে দাবি করেন রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে আমি লড়াই করছি না। মানুষ লড়াই করছে। দার্জিলিং আসনের এই পবিত্র জন্মভূমিতে আমাকে গত পাঁচ বছর সাংসদ বানানোর জন্য এখানকার মানুষের কাছে আমি ঋণী, কৃতজ্ঞ। দ্বিতীয়বার  আমাকে সাংসদ করার সিদ্ধান্ত এখানকার মানুষ নিয়ে ফেলেছেন। এদিন যেভাবে মানুষ আমাকে স্বাগত জানিয়ে সমর্থনের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিলেন তা আমি মনে রাখব। 

    পাহাড়ের আমজনতা পাহাড়বাসী ও পর্যটকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রাজু বিস্তা

    মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে এদিন পাহাড়ের মানুষ যেমন রাস্তায় নেমেছিল সেরকম সমতল থেকেও গাড়ির লম্বা কনভয় উঠেছে পাহাড়ে। সে কারণে এদিন পাহাড়ে যানজট তৈরি হয়। রাজু বিস্তা বলেন, প্রচুর মানুষ এসেছে আমার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। এতে পাহাড়ের রাস্তায় যানজট হয়েছে।  এতে পাহাড়ের পড়ুয়া, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বহু পর্যটকদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এজন্য আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: তিন কোটি টাকার প্রতারণায় অভিযুক্ত তৃণমূল, প্রতারিতদের পাশে বিজেপি

    North 24 Parganas: তিন কোটি টাকার প্রতারণায় অভিযুক্ত তৃণমূল, প্রতারিতদের পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) সন্দেশখালির ছায়া এবার মধ্যমগ্রামের রোহন্ডা চণ্ডিগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে। গ্রামের গরিব মহিলাদের বেসরকারি স্বনির্ভর যোজনায় ব্যবসার নাম করে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ জানাতে বুধবার দুপুরে কয়েকশো প্রতারিত মহিলা মধ্যমগ্রাম থানার সামনে এসে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। থানা ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে প্রতারিতদের বিরুদ্ধে। মূলত পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে প্রতারিতরা থানায় চড়়াও হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    তিন কোটি টাকা প্রতারণা! (North 24 Parganas)

    মধ্যমগ্রাম (North 24 Parganas) থানার রোহন্ডা চণ্ডিগড় এলাকায় প্রায় তিন কোটি টাকার বেশি প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে। ৮৫ জনের কাছ থেকে এভাবে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগও হয়েছে।  এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। বুধবার থানায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে প্রতিরিত মহিলারা যান। থানায় অভিযোগ জানানোর খেশারত দিতে হচ্ছে প্রতারিত মহিলাদের। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই  শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা। থানায় অভিযোগ করে কোনও লাভ হবে না বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্তরা মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে ভয় দেখাচ্ছে এলাকার মহিলাদের।

    প্রতারিতদের কী বক্তব্য?

    প্রতারিতদের বক্তব্য, সামনের লোকসভা ভোটে দলের অনুকূলে জোর জবরদস্তি ভোট করাতে প্রতারকদের ওপরেই নির্ভর মন্ত্রী ও তাঁর দলবল। অভিযুক্তরা মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ জানানোর পরেও মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। এই অসাধু চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন শতাধিক পরিবার। তাই আর কোনও উপায় না দেখেই মধ্যমগ্রাম থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে, সামান্য একটু উত্তেজনা দেখা দেয়। আমরা দোষীদের গ্রেফতার জানাচ্ছি। উলটে পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করেছে।  

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার বলেন, অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে পুলিশ। অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা আন্দোলনে নামব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share