Tag: West Bengal

West Bengal

  • Lok Sabha Elections 2024: ভোট-প্রচারে বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে আসছেন মোদি, সভা করবেন কোচবিহারে

    Lok Sabha Elections 2024: ভোট-প্রচারে বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে আসছেন মোদি, সভা করবেন কোচবিহারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) প্রচারে ফের বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার তিনি সভা করবেন কোচবিহারে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্রে। সভা হবে কোচবিহার শহরের রাসমেলা ময়দানে। এদিন প্রধানমন্ত্রী পৌঁছবেন হাসিমারা এয়ারবেসে। সেখান থেকে কোচবিহারে গিয়ে সভা করবেন নিশীথের সমর্থনে।

    ৯ দিনে রাজ্যে চারটি সভা (Lok Sabha Elections 2024)

    বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগে এনিয়ে ৯ দিনে রাজ্যে চারটি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাসমেলা ময়দানে জোরকদমে চলছে সভার মঞ্চ বাঁধার কাজ। দুটি মঞ্চ করা হবে। একটিতে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অন্যটি থেকে বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। মূল মঞ্চের প্রথম সারিতে ছ’জন মহিলা নেত্রীকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লি থেকে। বিজেপি সূত্রে খবর, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে তিনজন করে মহিলা নেত্রী থাকবেন মঞ্চে। প্রধানমন্ত্রীর দু’পাশে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থীরা থাকবেন। দুই জেলা সভাপতি এবং রাজ্য নেতৃত্বও থাকবেন। তাঁদের পাশেই থাকবেন ছ’জন মহিলা নেত্রী।

    পাঁচ বছর পরে একই জায়গায় সভা

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাঁচ বছর পর ফের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ৪ এপ্রিল সেখানেই সভা করবেন তিনি। তারই প্রস্তুতি তুঙ্গে (Lok Sabha Elections 2024)। প্রশাসনিক কর্তারা বারবার পরীক্ষা করছেন মঞ্চ ও তার আশপাশের এলাকা। বিজেপির একাধিক নেতাও আসছেন ময়দানে পরিদর্শনে। এদিন রাসমেলা ময়দান পরিদর্শন করেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি বলেন, “হঠাৎ করে প্রোগ্রাম হলেও জোরকদমে কাজ চলছে। গ্রামে দিন রাত মাইকিং হচ্ছে। আশা করছি, কাল (বৃহস্পতিবার) বেলা বারোটার মধ্যেই মাঠ ভর্তি হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর সভায় এত লোক আসবেন যে কোচবিহার স্তব্ধ হয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুুন: অভিজিৎ, অর্জুন-সহ চার বিজেপি নেতাকে বিশেষ নিরাপত্তা কেন্দ্রের, কেন জানেন?

    বিজেপি সূত্রে খবর, সভায় এক লাখ দশ হাজার মানুষের জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পদ্ম-পার্টি। কোচবিহারের নাটাবাড়ি, মাথাভাঙা, শীতলকুচি বিধানসভার রাশ রয়েছে বিজেপির হাতে। এই বিধানসভা এলাকাগুলির প্রতিটি থেকে ২০ হাজার করে কর্মী-সমর্থক নিয়ে আসা হবে। বিজেপির দখলে থাকা কোচবিহার উত্তর ও দক্ষিণ থেকেও পনেরো হাজার করে কর্মী-সমর্থক জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। দিনহাটা ও সিতাই থেকেও কুড়ি হাজার করে লোক নিয়ে আসা হবে। আলিপুরদুয়ার থেকে আনা হবে চল্লিশ হাজার কর্মী-সমর্থক (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Khejuri: সমুদ্র সৈকতে মূক-বধির মহিলাকে ধর্ষণ, প্রতিবাদে পথ অবরোধ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Khejuri: সমুদ্র সৈকতে মূক-বধির মহিলাকে ধর্ষণ, প্রতিবাদে পথ অবরোধ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে সমুদ্র সৈকতে এক মূক-বধির মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি (Khejuri) বিধানসভা এলাকায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিজেপি। রাস্তায় নেমে আন্দোলনও হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khejuri)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সমুদ্র সৈকতে (Khejuri) এলাকার কিছু মহিলা প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন ওই মূক-বধির মহিলা। অভিযোগ, তখনই জোর করে ওই মহিলাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে সমুদ্র পাড়ে ধর্ষণ করে এলাকারই এক যুবক। তিনি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ঘটনা দেখে দ্রুত গ্রামে ফিরে গিয়ে বিষয়টি জানান দলে থাকা অন্যান্য মহিলারা। নির্যাতিতা মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায় প্রতিবেশীরা। বিজেপির লোকজনের সঙ্গেই অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার লোকজন। পথ অবরোধও হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খেজুরি থানা ও তালপাটি থানা বিশাল পুলিশ বাহিনী। তোলা হয় অবরোধ। গ্রেফতার করা হয় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: “বালু-শাহজাহানের মতো শওকত-জাহাঙ্গিরও গ্রেফতার হবে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন খেজুরির (Khejuri) বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক। তিনি আবার ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসব কাজ করছে। পুলিশের ছত্রছায়া ওরা বেড়ে উঠেছে। ওদের মধ্যে একজন মূক-বধির মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন খেজুরি ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সমুদ্ভব দাশ। তিনি  বলেন, “অভিযুক্ত তৃণমূলের কেউ নয়, কোনও দিন তৃণমূল করত না। আমরা পুলিশকে বলেছি দোষীর যেন কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি হয়। আর বিজেপি এটা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: “থানায় চা-টোস্ট আনতেন শাহজাহান”, দাবি করলেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর

    Sheikh Shahjahan: “থানায় চা-টোস্ট আনতেন শাহজাহান”, দাবি করলেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি প্রার্থী হয়ে মঙ্গলবার তারাপীঠে পুজো দিয়ে বীরভূমে প্রচার শুরু করলেন প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর। চষে বেড়ালেন এলাকা। এবার সন্দেশখালির “বেতাজ বাদশা” শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী। ওসি-র ফাইফরমাশ খাটা সেই শাহজাহানের তৃণমূলের জমানায় এই উত্থান দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান।

    থানায় চা-টোস্ট নিয়ে আসতেন শাহজাহান! (Sheikh Shahjahan)

    বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর বলেন,তৃণমূল আমলে সমাজের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষিত মানুষদের এড়িয়ে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) মতো ‘বাহুবলীদের’ নেতা বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দুই আমলে পুলিশের চাকরি করায় তফাত কী, সে প্রশ্নে তাঁর ব্যাখ্যা, বাম আমলে সরকারের মাথারা ছিলেন অত্যন্ত শিক্ষিত। আইন-সহ বিভিন্ন বিদ্যায় দক্ষতা ছিল। রাজ্যের মানুষ দু’টি জমানা দেখেছেন। বাম আমলে এত চুরি দেখেননি! কিন্তু, তৃণমূলের সময়ে অনেক ভাললোক থাকা সত্ত্বেও উত্থান হয়েছে শাহজাহানদের। প্রাক্তন আইপিএস আরও বলেন “আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি শাহজাহানকে। বসিরহাটের এসডিপিও ছিলাম ২০১০-‘১১ সালে। এই সরকার আসার আগেই। শাহজাহান তখন সন্দেশখালি থানার বাইরে বসে থাকতেন। আমি গেলে বড়বাবু বলতেন, এই দ্বীপে কিছু পাওয়া যায় না। আমি চা খেতে ভালবাসি। বড়বাবু শাহজাহানকে বলতেন, ‘সাহেব এসেছে, ভাল চা পাতা আর বিস্কুট নিয়ে আয়। শাহজাহান নদী পেরিয়ে চা ও টোস্ট বিস্কুট নিয়ে আসতেন।

    আরও পড়ুন: “বালু-শাহজাহানের মতো শওকত-জাহাঙ্গিরও গ্রেফতার হবে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু, কী বললেন?

     ইটভাটায় কয়লা সরবরাহ করতেন শাহজাহান!

    দেবাশিসের কথায়, “বাম আমলে যার এমন দশা ছিল, যে লোক ইটভাটায় কয়লা সরবরাহ করতেন, সেই তৃণমূল আমলে নেতা হয়ে গেলেন, হল জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ! আগে সে ওসির ফাইফরমাশ খাটতেন। পরবর্তীকালে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ফাইফরমাশ খাটতেন বড়বাবু। ১২ বছর ধরে অন্ধকারের রাজত্ব চালিয়ে গেল।”

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    দেবাশিসকে আক্রমণ শানিয়েছে বাম শিবির। তোপ দেগেছে শাসকদলও। সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের বিরোধিতা যে কারণে করি, সেটা হল দুর্নীতি, গণতন্ত্রের ওপরে আক্রমণ, মানুষকে কথা বলতে দেয় না বলে। কিন্তু, উনি যে দলে গিয়েছেন, সেই দল সুশাসন করে বলে তাঁর মনে হলে, তিনি বিভ্রান্তির চূড়ান্ত জায়গায় আছেন। তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “যে দলে তিনি যোগ দিয়েছেন, সেই দলের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা ভুলে গেলেন। তিনিও তো চা বিক্রি করতেন। এমন কোনও নিয়ম নেই, কম শিক্ষিত হলে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না বা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বালু-শাহজাহানের মতো শওকত-জাহাঙ্গিরও গ্রেফতার হবে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বালু-শাহজাহানের মতো শওকত-জাহাঙ্গিরও গ্রেফতার হবে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ ক্যানিংয়ে আসেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হাসপাতাল মোড় থেকে যোগ দেন পদযাত্রায়। প্রায় দু কিলোমিটার পায়ে হেঁটে পৌঁছন সভাস্থলে। পদযাত্রায় হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে থাকা এলাকার মানুষকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। এবারে তাঁরা ভোট দিতে পারবেন সেই আশ্বাস দেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভায় গত পঞ্চায়েত ভোটে কোনও বিরোধী দলই মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি শাসকের সন্ত্রাসে। মিছিল ক্যানিং বাজার সংলগ্ন এলাকায় বিধায়ক কার্যালয়ের সামনে আসতে সেদিকে আঙুল দেখিয়ে শুভেন্দু বলেন, “ সন্দেশখালির মত সোজা করব।”

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন সভামঞ্চ থেকেও একের পর এক তৃণমূলকে আক্রমণ করতে থাকেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) । বিশেষ করে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস, কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডল সহ বাসন্তীর তৃণমূল নেতা রাজা গাজীকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এদিন তিনি নির্বাচনী প্রচারে আসেন নি, বরং কয়েকদিন আগে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুব্রত দাস সহ বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদেই এদিন সভা করতে এসেছেন বলে দাবি করেন শুভেন্দু। তবে এদিন তিনি ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এই কেন্দ্রের লোকসভার প্রার্থী অশোক কান্ডারি সহ জেলা বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্বরা। শুভেন্দু এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “ সন্দেশখালির ঘটনা থেকেও যদি তৃণমূলের এইসব নেতারা শিক্ষা না নেয়, তাহলে আমি মনে করি এঁরা মানুষ নয়, এঁদের কোনও হুশ নেই।” তিনি আরও বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের পর যেভাবে রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল, সেই সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে মোট ১৯ জনের নামে রিপোর্ট দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন। সেই উনিশের মধ্যে ইতিমধ্যেই তিনজন বীরভূমের কেষ্ট, উত্তর ২৪ পরগনার বালু আর শেখ শাহজাহান ধরা পড়েছে। বাকি ১৬ জনকেও ধরা হবে। তারমধ্যে এই জেলার ২ জন রয়েছে শওকত মোল্লা ও জাহাঙ্গির খান। বালু-শাহজাহানের মতো শওকত-জাহাঙ্গিরও গ্রেফতার হবে।

    জয়নগরে চারটি পদযাত্রা ও জনসভা করবে শুভেন্দু

    এদিনের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলাদা করে পরেশকে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন শুভেন্দু। কয়েক মাস আগে ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডের একটি জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ক্যানিংয়ে এলে বেঁধে রাখার কথা বলেছিলেন পরেশ। সেই কথার পাল্টা এদিন শুভেন্দু বলেন, “ আমি যাওয়ার সময় বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে চা খেয়ে যাবো। ক্ষমতা থাকলে পরেশ ব্যাটা কোন দেশের দড়ি আছে আনাও, আমাকে বেঁধে রাখো। আরে তোমার মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিদি থেকে দিদিমা হয়ে যেত যদি এই বান্দা না থাকতো। নন্দীগ্রাম না হত। আর তুমি তো কোন ছাড়।” সভা শেষে শুভেন্দু ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসে চাও খান। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন সেখানে। শিশুদের আদর করেন। ভোটের আগে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে তিনি চারটি পদযাত্রা ও জনসভা করবেন বলে এদিনের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছেন। আর ভোটের দিন এই এলাকায় পড়ে থেকে কীভাবে ভোট করতে সেটা দেখিয়ে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: “মানুষ কি ত্রিপল খাবে?”, ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে তৃণমূলকে তোপ অনন্ত মহারাজের

    Jalpaiguri: “মানুষ কি ত্রিপল খাবে?”, ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে তৃণমূলকে তোপ অনন্ত মহারাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারের ঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। মঙ্গলবার তিনি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ির বার্ণিশ এলাকায় যান। রবিবারের ঝড়ে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বার্ণিশ ও পুটিমারি এলাকা। প্রায় ১৫০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গৃহহীন অবস্থায় রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এদিন দূর্গতদের সঙ্গে দেখা করেন অনন্ত মহারাজ। তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন তিনি।

    ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বললেন বিজেপি সাংসদ (Jalpaiguri)

    বিজেপি সাংসদকে কাছে পেয়ে দূর্গতরা তাদের অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। সঙ্গে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিন তাঁরা জানান শুধু ত্রিপল এবং সামান্য কিছু শুকনো খাবার ছাড়া আর কিছু দেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শুকনো খাবারের মধ্যে চিড়া দেওয়া হয়, কিন্তু সেই চিড়া মুখে তোলার যোগ্য নয়। ফলে, কিছুটা না খেয়েই তাদের দিন কাটাতে হচ্ছে। ঝড়ে বাড়ি ঘর উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ায় তাঁরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। ঘরের আসবাবপত্র সব নষ্ট হয়ে গেছে। ঘরে থাকা টাকা পয়সা সব ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। একদিকে আর্থিক সমস্যা, অন্যদিকে মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে সমস্যা। সব মিলিয়ে চুড়ান্ত নাজেহাল অবস্থা তাঁদের। এই সমস্ত বিষয়গুলি তুলে ধরেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার

    মানুষ কি ত্রিপল খাবে? ক্ষোভ জানালেন বিজেপি সাংসদ

    ক্ষতিগ্রস্তদের কথা মন দিয়ে শোনেন অনন্ত মহারাজ। তিনি তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তৃণমূল সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত খারাপ। গোটা বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানাবো। শুধু ত্রিপল দিয়েই দায় সারছে রাজ্য প্রশাসন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর মতে মানুষ কি ত্রিপল খাবেন? এই অবস্থায় প্রথম কাজ দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করা। কিন্তু, প্রশাসনের তরফে সেইভাবে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এদিন তিনি প্রথমে বার্ণিশ কালীবাড়ি এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন এবং গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন বিজেপি সাংসদ। পরে, পুটিমারি হাই স্কুলে ত্রাণ শিবিরে গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি পুটিমারির বিধ্বস্ত এলাকাও ঘুরে দেখেন। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি নির্বাচন বিধি মেনে যেভাবে সাহায্য করা সম্ভব, সেই ভাবেই তিনি দূর্গতদের সাহায্য করবেন বলে জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট লুটেরারা হুঁশিয়ার!!! বাংলার সব বুথেই ওয়েব কাস্টিং, এআই প্রযুক্তি

    Lok Sabha Election 2024: ভোট লুটেরারা হুঁশিয়ার!!! বাংলার সব বুথেই ওয়েব কাস্টিং, এআই প্রযুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট লুটেরারা সাবধান! হুঁশিয়ার দুষ্কৃতীরা! বঙ্গে ভোট লুট রুখতে এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে রাজ্যের সব বুথেই ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে এ খবর। কেবল তাই নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হবে। রাজনীতির কারবারিদের মতে, প্রতিটি নির্বাচনে প্রায় নিয়ম করে বাংলায় যে অশান্তি এবং ভোট লুট হয়, তা রুখতেই এ রাজ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

    ওয়েব কাস্টিংয়ে জোর (Lok Sabha Election 2024)

    লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সময়ই দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, এ বারের ভোটে কোনও ধরনের অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। বেশি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং ওয়েব কাস্টিংয়ের ওপর যে এবার জোর দেওয়া হবে, তারও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৫০.৩১ শতাংশ বুথে ওয়েব (Lok Sabha Election 2024) কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবার সেটাই বাড়িয়ে একশো শতাংশ করা হল। এ রাজ্যে বুথ রয়েছে ৮০ হাজার ৫৩০টি। সবক’টিতেই হবে ওয়েব কাস্টিং। বাংলার পাশাপাশি পাঞ্জাবের সব বুথেও ওয়েব কাস্টিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যেসব জায়গায় ইন্টারনেটের সমস্যা হবে, সেই সব জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে বলেও খবর কমিশন সূত্রে।

    ওয়েব কাস্টিং কী?

    প্রশ্ন হল, ওয়েব কাস্টিং কী? ওয়েব কাস্টিং বলতে বোঝায় লাইভ স্ট্রিমিং। এর সাহায্যে কোন বুথে কী হচ্ছে, অনলাইনের মাধ্যমে তাতে নজরদারি চালাতে পারে কমিশন। কোনও বুথে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে, কমিশনের অফিসে বসেই তা দেখতে পাবেন আধিকারিকরা। সেই মতো দ্রুত নেওয়া যাবে ব্যবস্থা। ওয়েব কাস্টিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন দিক থেকে কোনও একটি বুথের ভোট-ছবি ক্যামেরাবন্দি করা যাবে। সেই সব লাইভ ফিড সংরক্ষণও করা হবে। অল্প আলোয়ও ছবি তোলার ক্ষমতা রয়েছে, ব্যবহার করা হবে এমন ক্যামেরাই।

    আরও পড়ুুন: “নিজেদের আখের গুছোতে ভোটে লড়ছে কংগ্রেস-ইন্ডি”, রাজস্থানে তোপ মোদির

    বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোট, বোমাবাজি, খুন-জখম পশ্চিমবাংলার প্রায় প্রতিটি নির্বাচনের পরিচিত ছবি। অভিযোগ, বাম জমানায় এই দৃশ্য দেখা গেলেও, ছবিটা একটুও বদলায়নি তৃণমূলের আমলেও। এই ছবিটাই হয়তো এবার বদলাবে ওয়েব কাস্টিং এবং এআই প্রযুক্তির দৌলতে (Lok Sabha Election 2024)।

    অতএব, ‘সাধু’ সাবধান!   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগে সরব দলের নেতারা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Arambagh: তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগে সরব দলের নেতারা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘টাকা নেই, সেই কারণেই এবারে প্রার্থী হতে পারিনি’ আরামবাগের (Arambagh) প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। এরপরই এবার কাটমানি নিয়ে অপরূপার বিরুদ্ধেই সরব হলেন তাঁর দলের একাধিক তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় শোরগোল আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে। লোকসভার ভোটের মুখে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী বলেছেন বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ? (Arambagh)

    নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, এবার লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ (Arambagh) লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ী সাংসদকে সরিয়ে প্রার্থী করা হয় একেবারে নতুন মুখ মিতালী বাগকে। টিকিট না পাওয়া নিয়ে প্রথমদিকে মুখ না খুললেও সম্প্রতি মনের জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করেন অপরূপা পোদ্দার। দুবারের তৃণমূলের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে লড়াই করার জন্য যে টাকার প্রয়োজন তা আমার কাছে নেই।  তাই এবারে প্রার্থী হননি তিনি। এমনকী আমার কাছে টাকা নেই তা হুগলি জেলার দুই মন্ত্রী জানতেন। অপরূপার এই মন্তব্যের পরেই বিস্ফোরক হতে দেখা যায় আরামবাগ ও গোঘাটের একাধিক নেতা তথা প্রাক্তন জনপ্রতিনিধিদের।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার

    বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগে সরব নেতারা

    গোঘাট ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ স্বপন সাহানার অভিযোগ, টাকা না থাকায় প্রার্থী হননি তা পুরোপুরি মিথ্যা কথা বলছেন অপরূপা পোদ্দার। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। বনভূমির কর্মাধ্যক্ষের অভিযোগ, এলাকায় শ্মশান চুল্লির অনুমোদন পাওয়ার পরেও অপরূপা পোদ্দারকে কাটমানির টাকা না দিতে পারায় থমকে রয়েছে সেই কাজ। আবার গোঘাটের তৃণমূল নেতা শুভেন্দু মণ্ডলের অভিযোগ, ক্লাবের জন্য সরকারি পাঁচ লক্ষ টাকা পেতে দিতে হয়েছে কাটমানি। অন্যদিকে খানাকুলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান হাইদার আলির অভিযোগ, পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়ার পরেও তাঁর স্ত্রীর চাকরির জন্য টাকার দাবি করা হয়েছিল। পাশাপাশি আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি গুনধর খাঁড়ার অভিযোগ, অপরূপা যা বলছেন সবটাই মিথ্যা। উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সব মিলিয়ে প্রাক্তন আরামবাগ (Arambagh) সাংসদের বিতর্কিত মন্তব্যের পর বিস্ফোরক তাঁর দলের একাধিক তৃণমূল নেতা। যদিও এই প্রসঙ্গে বর্তমান তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল এখানে জিতলে, গুন্ডারা এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে। তাই তৃণমূলকে জেতানো যাবে না। সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে। ভোট প্রচারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কর্মীদের উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে তৃণমূলকে তোপ (Sukanta Majumdar)

    মঙ্গলবার জেলার কুশমন্ডির মহিষবাথান এলাকায় ভোট প্রচার সারেন বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মহিষবাথানে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন। আগামী পাঁচ বছর পাবেন। এই গ্যারান্টি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, বিরোধীরা মিথ্যে কথা বলছে। প্রচার করছে, দিদি দিচ্ছে। দিদির তো পকেটই নেই। কোথা থেকে দেবেন! পকেট থাকলেও টাকা নেই। তৃণমূলের ময়া মাছ, দাড়কা মাছ সাইজের নেতারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু, কারও বন্ধ হবে না। যদি কারও বন্ধ হয়ে যায় তা চালু করার দায়িত্ব আমার। ছাব্বিশে রাজ্যে বিজেপি সরকার হলে তিন হাজার টাকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করা হবে। কিন্তু তার আগেও সরকার চলে আসতে পারে। তাই তৃণমূলকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

    আরও পড়ুন: বামেদের দখল হওয়া পার্টি অফিস উদ্ধারের আশ্বাস দিলেন নিশীথ প্রামাণিক

    তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে

    বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমার বলেন, সিএএ নিয়েও তৃণমূল মিথ্যে বলছে। কথা দিয়েছিলাম, বালুরঘাট-শিয়ালদা ট্রেন চালু করব, করেছি। এত সুন্দর ঝাঁ চকচকে ট্রেন গোটা উত্তরবঙ্গে নেই। এবার দিল্লির ট্রেন চলবে। সন্দেশখালিতে তৃণমূল মা-বোনদের সম্মান নিয়ে খেলেছে। এটা আমাদের এখানে হতে দেওয়া যাবে না।’ এদিনের সভা থেকে তিনি আরও বলেন, বাড়ির বউ- মেয়েদের তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ও নেতাদের ধারে পাশে যেতে দেবেন না, তাহলে তাঁদের ইজ্জত লুটে নেবে তৃণমূলের নেতারা। তৃণমূল দল হলো ইজ্জত লুটের দল। এই দল কে কোনও ভাবেই জেতানো যাবে না। তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে।

    ৩০টি আসনে জিতবে বিজেপি!

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘গতবার বিজেপি ১৮টি আসন জেতায় মুখ্যমন্ত্রীর মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, বিজয় মিছিল করা যাবে না। এবারে আমরা ৩০টি আসন জিতে গেলে আরও বিজয় মিছিল করা যাবে না। সেজন্য আমরা আগামী ৩ তারিখ মনোনয়নপত্র জমা দেব। বিজয় মিছিলও করব। কিন্তু, বিজয় মিছিল করতে গেলে জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নরেন্দ্র মোদির কাজ মানুষকে বোঝাতে হবে।’ আর তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রকে জেতানো যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: মেলেনি আবাসের বাড়ি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা

    Jalpaiguri: মেলেনি আবাসের বাড়ি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাসে নয়, ভরসা কেরালা মডেল। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ির ঝড় বিধ্বস্ত এলাকা বার্ণিশ অঞ্চলের মানুষের ক্ষোভ এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ওপর। ওই এলাকার প্রায় ১৫০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিশ্চিহ্ন হয়েছে প্রায় ৫০০ বাড়ি। এলাকার মানুষের ক্ষোভ, যদি প্রধানমন্ত্রী আবাসের ঘর তাঁরা পেতেন তাহলে এতটা ক্ষতি হত না। এলাকার অধিকাংশ বাড়িই টিনের চালের। তাও আবার কাঁচা বাড়ি। কিছু বাড়ির অর্ধেক দেওয়াল রয়েছে তাতে কী? বিধ্বংসী ঝড়ের কাছে খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে বাড়িগুলি।

    ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা কী বললেন? (Jalpaiguri)

    স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব রায়, নৃপেন অধিকারীরা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইনি। আমরা এই এলাকার আদি এবং স্থায়ী বাসিন্দা। অথচ যারা সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়িতে এসেছেন, তাঁরা ঘর সহ অন্যান্য সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় এলাকায় তেমন ভাবে কাজের বা রোজগারের কোনও সুযোগ সুবিধা নেই। তাই বাধ্য হয়েই এলাকার ছেলে বুড়ো প্রায় সকলেই কেরালায় কাজ করেন। তাদের উপার্জিত টাকা দিয়েই বাড়ির লোকজন ঘরবাড়ি তৈরি করছিলেন। কিন্তু, ঝড়ের তান্ডবে সব শেষ হয়ে গেল। স্থানীয় নেতাদের উদ্দ্যেশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে স্থানীয়রা বলেন, যদি সরকার বিবেচনা করে সঠিক মানুষকে ঘর দেয় তাহলে ভালো হত। কিন্তু, এখানে উল্টো, স্থানীয় নেতাদের সুপারিশ করা লোকজনই সমস্ত সুবিধা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। সেই কারণে আস্থা হারিয়েছেন। বেছে নিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ। সেখানেই তাঁরা আর্থিকভাবে  সুরক্ষিত। উপার্জনও ভালো, তাই গ্রামের উঠতি যুবকরা কেউই আর এলাকায় থাকছেন না। কেউ শ্রমিকের, কেউ বা রাজমিস্ত্রীর, কেউ আবার কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতে কেরলায় পাড়ি দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: বামেদের দখল হওয়া পার্টি অফিস উদ্ধারের আশ্বাস দিলেন নিশীথ প্রামাণিক

    আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে তোপ দেগেছিলেন শুভেন্দু

    সোমবার শুভেন্দু অধিকারী জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ঘটনাস্থলে এসে জানিয়েছিলেন, আবাস যোজনায় টাকা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। কিন্তু, রাজ্য সরকার সেই টাকা নয়ছয় করেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় একটিও ঘর দেয়নি রাজ্যের বাসিন্দাদের। যদি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর এই এলাকায় দেওয়া হতো তাহলে এই দুর্গতি হত না। সেই ঘর শক্তপোক্ত হতো। ছাদ দেওয়া ঘর হতো, ঘরবাড়িগুলি অন্তত উড়ে যেত না। অন্যদিকে এলাকার মানুষ ভরসা রাখছে কেরলের ওপর বা অন্য রাজ্যের ওপর, যেখান থেকে অন্তত রুজিরুটির যোগান টুকু মেলে। পরিবারের মুখে দুবেলা অন্ন তুলে দেওয়ার গ্যারান্টি টুকু থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: বামেদের দখল হওয়া পার্টি অফিস উদ্ধারের আশ্বাস দিলেন নিশীথ প্রামাণিক

    Cooch Behar: বামেদের দখল হওয়া পার্টি অফিস উদ্ধারের আশ্বাস দিলেন নিশীথ প্রামাণিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের কেন্দ্রে তৃণমূল, সিপিএম ছেড়ে লাইন দিয়ে গেরুয়া বাহিনীতে যোগদান পর্ব চলছে। এলাকায় চুটিয়ে জনসংযোগ করছেন কোচবিহারের (Cooch Behar) বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূল বিধানসভায় ক্ষমতায় এসে বামেদের বহু কার্যালয় জোর করে দখল করে রেখেছে। এবার দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিশীথ প্রামাণিক বামেদের বার্তা দেন।

    বামেদের দখল হওয়া পার্টি অফিস খুলে দেওয়ার বার্তা নিশীথের (Cooch Behar)

    আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন হল কোচবিহার (Cooch Behar)। এখান থেকে বিজেপি ফের একবার ভরসা রেখেছে বিদায়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, কোচবিহারে ভোটের লড়াই মূলত দ্বিমুখী। তৃণমূল বনাম বিজেপি। তবে কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থীও রয়েছে এখানে। ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে প্রার্থী করা হয়েছে নীতীশচন্দ্র রায়কে। এককালে কোচবিহার ফরওয়ার্ড ব্লকের শক্ত ঘাঁটি হলেও, এখন সাংগঠনিক শক্তি অনেকটাই কমেছে ফরওয়ার্ড ব্লকের। এমন অবস্থায় বামেদের ভোট বিজেপির দিকে টানার চেষ্টায় কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। ভোটের আগে এবার বামপন্থীদের উদ্দেশে বার্তা দেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের। ভোটপর্ব মিটে গেলে, বামপন্থীদের দখল হয়ে যাওয়া পার্টি অফিস উদ্ধারে সাহায্য করার আশ্বাস দিলেন তিনি। নিশীথ প্রামাণিক বলেন, ‘যেখানে যেখানে বামপন্থী ভাইদের পার্টি অফিস তৃণমূল দখল করেছে, তারা উদ্ধার করতে না পারলে, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বিজেপি সেই পার্টি অফিস উদ্ধার করে বামপন্থী ভাইদের হাতে তুলে দেবে।’ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বামপন্থীরা যাতে ভোট নষ্ট না করেন, বার্তাও দিয়ে রাখলেন নিশীথ।

    আরও পড়ুন: “ভোটারদের তেজপাতা মনে করেন মমতা”, শীতলকুচির সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও নিশীথের বামেদের প্রতি এই আশ্বাসকে খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না কোচবিহারের (Cooch Behar) দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তাঁর পাল্টা আক্রমণ, ‘আজকের প্রতিশ্রুতিটা অনেকটা সুপারি কিলারদের মতো। সুপারি কিলাররা যেমন টাকা নিয়ে খুন করে, তেমন তিনিও বলেছেন ভোট দিন, আমরা পার্টি অফিস উদ্ধার করে দেবেন।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share