Tag: West Bengal

West Bengal

  • BSF: ভোটের মুখে সীমান্তে প্রায় ৫ কোটি টাকা সোনা বাজেয়াপ্ত করল বিএসএফ, গ্রেফতার ৪

    BSF: ভোটের মুখে সীমান্তে প্রায় ৫ কোটি টাকা সোনা বাজেয়াপ্ত করল বিএসএফ, গ্রেফতার ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিএসএফের (BSF) জালে ধরা পড়ল সোনা চোরাচালান চক্র। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৭ কেজি ওজনের সোনা নিয়ে তিন মহিলা পাচারকারী সহ সোনা সংগ্রহ করতে আসা মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ২০টি সোনার বিস্কুট এবং ৮ পিস সোনার ইট উদ্ধার (BSF)

    দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে নদিয়া জেলার সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন জওয়ানরা বর্ডার ফাঁড়ি গেদে ৩২ ব্যাটালিয়ন গোয়েন্দাদের কাছ থেকে গোপন খবরের ভিত্তিতে একটি বিশেষ অভিযান চালায়। বিএসএফ একটি সোনা চোরাচালান চক্রের হদিশ পায়। তাদের কাছ থেকে ২০টি সোনার বিস্কুট এবং ৮ পিস সোনার ইট সহ সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত তিন নারী চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে। এই সোনার চালান সংগ্রহ করতে আসা মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ (BSF)। এই সোনা ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করে কলকাতায় আনার পরিকল্পনা ছিল চোরাকারবারি চক্রের। উদ্ধার করা সোনার মোট ওজন ৭ কেজি।

    আরও পড়ুন: কার্টুনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণ নাশের হুমকি! তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মালব্য

    ময়ূরহাট হল্ট রেলওয়ে স্টেশনে গ্রেফতার

    বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ মার্চ সীমান্ত ফাঁড়ির গেদে সৈন্যরা বিএসএফ-এর (BSF) গোয়েন্দা বিভাগ থেকে খবর পায় যে গেদে-শিয়ালদা লোকাল ট্রেনে সোনার চালান করা হচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে, বর্ডার ফাঁড়ির গেদে কর্মীরা একটি বিশেষ অভিযানে শিয়ালদাগামী ট্রেনে উঠে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করে এবং ৩ মহিলা পাচারকারী সোনার চালান নিয়ে ময়ূরহাট হল্ট রেলওয়ে স্টেশনে নামে। যখন তারা ডিলারকে দিতে যাচ্ছিল, তখন জওয়ানরা সোনার চালান সংগ্রহ করতে আসা ডিলার সহ তিন জন নারী চোরাকারবারীকে আটক করে এবং তাদের কাছ থেকে ৭ কেজি সোনার বিস্কুট এবং বিভিন্ন আকারের সোনার ইট উদ্ধার করে। গ্রেফতার হওয়া চোরাকারবারিরা নাম অপূর্ণা বিশ্বাস,আশিমা মুহুরী, মিতালী পাল, এদের প্রত্যেকের বাড়ি নদিয়া জেলার গেদে মাঝের পোদা এলাকায় এবং গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ী সৌমেন বিশ্বাস নদিয়ার চাঁদপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়ি।

    পাচারকারীদের বক্তব্য?

    জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারীদের বক্তব্য, একই গ্রামের এক অজ্ঞাত ব্যক্তির জন্য আমরা কাজ করতাম। সোনা পাচার করার জন্য আমরা প্রত্যেকে ১০০০ টাকা পেতাম। কিন্তু, সোনার চালান নিয়ে ময়ূরহাট রেলস্টেশনে পৌঁছলে বিএসএফ সোনাসহ আমাদের আটক করে। সোনার চালান সহ গ্রেফতার হওয়া সকল চোরাকারবারীকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলকাতা জোনাল ইউনিটের রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: তলব সত্ত্বেও আসেননি, সন্দেশখালির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে ফের নোটিস সিবিআইয়ের

    Sandeshkhali: তলব সত্ত্বেও আসেননি, সন্দেশখালির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে ফের নোটিস সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) একাধিকবার সিবিআই হানা দিয়েছে। শাহজাহান বাহিনীর অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। শাহজাহানের ভাই আলমগীরও সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে। এই আবহের মধ্যে শুক্রবার ফের সিবিআই হানা দিল সন্দেশখালিতে। এবার আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আলিম মোল্লার বাড়িতে নোটিস দিল সিবিআই। হাজিরার জন্য ফের ডাক পড়েছে আব্দুল আলিমের।

    কে এই আব্দুল আলিম? (Sandeshkhali)

    শুক্রবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসারদের একটি টিম প্রথমে গিয়েছিল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ন্যাজাট থানায়। তারপর সেখান থেকে আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে যান সিবিআই অফিসাররা। প্রসঙ্গত, এই আব্দুল আলিমকে  তৃতীয়বার নোটিস দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির ওপর হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিজামে ডাকছে সিবিআই। কিন্তু আগের দু’বারের নোটিসের পরও হাজিরা দেননি তিনি। এবার ফের নিজাম প্যালেসে হাজিরার জন্য তৃতীয় দফায় আব্দুল আলিমের বাড়িতে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্দুল আলিম নামে এই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী। তবে, তাঁর স্ত্রী আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন ইডির অফিসাররা। কিন্তু, ইডির অফিসাররা সেদিন শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকা তো দূরে থাক, উল্টে এক তীব্র জনরোষের মুখে পড়েছিলেন ইডির অফিসাররা। তারপর থেকেই এলাকা থেকে দীর্ঘদিন বেপাত্তা থাকার পর অবশেষে গ্রেফতার হয়েছে শাহজাহান। এবার ইডি হামলার ঘটনায় বাকি জড়িতদের খোঁজেই বার বার হানা দিচ্ছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের পর শাহজাহানকে জেরা করতে চায় ইডি-ও, কোর্টে আবেদন আজই?

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ঠিক কী হয়েছিল, সেই নিয়ে এবার তদন্তে নেমেছে অপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুল আলিমকে প্রথমে ১৩ মার্চ নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু, সেই নোটিসে হাজিরা দেননি তিনি। এরপর ফের দ্বিতীয় নোটিস পাঠানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। তারপরও নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে দেখা যায়নি তাঁকে। কী কারণে বার বার হাজিরা এড়াচ্ছেন এই ব্যক্তি? আব্দুল আলিমের পরিবারের অবশ্য বক্তব্য, ওই ব্যক্তি শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাই যেতে পারছেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ভোটপ্রচারে  শাহজাহানের শাগরেদদেরও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ভোটপ্রচারে শাহজাহানের শাগরেদদেরও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেশখালির সমস্যা এখনও মেটেনি। শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হলেও ওর সাগরেদরা এখনও গ্রেফতার  হয়নি। সাগরেদগুলোকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।” বৃহস্পতিবার ভোট প্রচারে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই বললেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উত্তর দিনাজপুরের জেলার ইটাহার ব্লকে নির্বাচনী প্রচারে আসেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন সহ ইটাহার ব্লকের একাধিক জায়গায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেন সুকান্ত বাবু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বাবু বলেন, “অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। ভেবেছিলাম আগের মতো ইটাহার এলাকায় পিছিয়ে আছি।  কিন্তু, এবার আমরা ইটাহারে লিড পাব।”

    ইউসুফ পাঠান নিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

     ইউসুফ পাঠান প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “ইউসুফ পাঠান বাংলা জানেন না বোঝেন না। গুজরাট থেকে এসেছেন। রাজনীতির ‘র’ জানেন না। ভেবেছেন এখানে ভালো পয়সা কড়ি কামাই হবে। তাই চলে এসেছেন এখানে। তিনি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করবে এটাই তো স্বাভাবিক। জানেনই তো না যে নির্বাচনী বিধি কি! ভোট কীভাবে হয় সেটাও জানেন কিনা সন্দেহ আছে।” অপরদিকে গার্ডেনরিচে পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি ভাঙ্গা প্রসঙ্গে সুকান্ত বাবু বলেন, ” বাড়ি ভেঙে কি হবে? বাড়ি ভাঙতে পারবে নাকি গার্ডেনরিচে? ওখানে বাড়ি ভাঙতে গেলে পুরসভার টিমকে ভেঙে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ওখানে সব বাড়িই তো অবৈধ। সব তো পুরসভার কাউন্সিলরকে টাকা দিয়ে হয়েছে। কটা বাড়ি ভাঙবে?

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, থানা ঘেরাও করল বিজেপি

    মহুয়া মৈত্রকে ইডির তলব নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    মহুয়া মৈত্রকে ইডির তলব প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ” ইডি ডাকলে পরে, ইডির বাঁশি হচ্ছে কৃষ্ণের বাঁশির মতো। শুনলে পরে অথবা কানে প্রবেশ করলে আজ না হয় কাল দৌড়ে যেতেই হবে। রাধা যেমন দৌড়ে যেত। এই রাধাও দৌড়োবে চিন্তা নেই। কৃষ্ণ সবে বাঁশি বাজাতে শুরু করেছে।” এদিকে বিজেপি প্রার্থীর রেখা পাত্রের সরকারি সাহায্য নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” সরকারি সাহায্য নেওয়া অপরাধ নাকি? তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন ভারতবর্ষের পাসপোর্ট ব্যবহার করেন? ভারতবর্ষে তো মোদির সরকার। আধার কার্ড দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার তার মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আধার কার্ড তৈরি করবে না? তৃণমূলের কোন নেতার আধার কার্ড থাকা উচিত নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ভোটের মুখে দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, থানা ঘেরাও করল বিজেপি

    Malda: ভোটের মুখে দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, থানা ঘেরাও করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপর তৃণমূলের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ঘেরাও করলেন উত্তর মালদার বিজেপি-র বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মু। বৃহস্পতিবার কয়েকশো বিজেপি কর্মী দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। যদিও পুলিশি নিরাপত্তা অটুট থাকায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিন বিক্ষোভ স্থলে খগেন মুর্মু অভিযোগ তোলেন, এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী পূজন দাসের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতা সাহেব দাস, দুর্জয় দাস সহ আরও অনেকে পিপল কাশিমপুর এলাকায় বিগত দুই দিন ধরে ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার পিপলা গ্রামের শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্য মন্দিরা দাসের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে গন্ডগোল চলছিল এলাকার বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক কমল থোকদারের পরিবারের সঙ্গে। অভিযোগ আর এই গন্ডগোলের জেরে মঙ্গলবার গভীর রাত্রে শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মন্দিরা দাসের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা পূজন দাস ধারালো অস্ত্রশস্ত্র সহ দলবল নিয়ে বিজেপি নেতা কমলের বাড়িতে হামলা চালায়। সেখানে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। এই মারধরের জেরে গুরুতর আহত হয়ে কমলবাবুর মা তুলি থোকদার হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়েই হরিশ্চন্দ্রপুরের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত পোহাতেই আবার সেই গন্ডগোল মাথাচাড়া দেয়। বুধবারও ফের হামলা চালায়।

    আরও পড়ুন: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুরু হয়ে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ভোটের আগে সন্ত্রাস তৈরির জন্য তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আমরা বিক্ষোভ দেখায়। এদিকে এ প্রসঙ্গে ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, ওরা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। বিজেপি কর্মীরাই আমাদের কর্মীর বাড়িতে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। ওই গ্রামে বিগত ১০ বছর ধরে তৃণমূল জয় লাভ করছে। এখন সামনে ভোট। বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে, তাই এই সমস্ত অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “নির্বাচনী পরিকল্পনায় ডাকা হয় না”, বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিক্ষুব্ধ নেতা

    Balurghat: “নির্বাচনী পরিকল্পনায় ডাকা হয় না”, বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিক্ষুব্ধ নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে (Balurghat) তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই দলে পাত্তা পাচ্ছেন না বিপ্লব মিত্রের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে নয়, অনুগামীদের নিয়ে তৈরি ‘টিম বিপ্লব’ই এই নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে নেমে পড়েছে।

    নির্বাচনী পরিকল্পনায় ডাকা হয় না (Balurghat)  

    জেলাজুড়ে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে চরম অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, দলের অভ্যন্তরে এই অবিশ্বাসের বাতাবরণে নিঃশ্বাস নিতে না পেরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে ফেসবুক যুদ্ধ। এরই মধ্যে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে একটি টি-শার্টের বুকে লেখা, ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বালুরঘাটের (Balurghat) তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লবের সঙ্গে মৃনালের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে।সম্প্রতি যে নির্বাচনী কমিটি করা হয়েছে, সেখানেও বিপ্লব অনুগামীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন তাঁর বিরুদ্ধ অনুগামীরা। এই অবস্থার মধ্যে জেলার প্রচুর নেতা- কর্মীরা তাঁদের অবস্থান ঠিক করতে পারছেন না, চুপ করে রয়েছেন অনেকেই। কিন্তু, এর মধ্যে প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে ঝড় তুলেছে। এই পোস্ট প্রসঙ্গে মৃণাল সরকার এদিন বলেন, ‘দলের নির্বাচনী কোনও পরিকল্পনা বা প্রস্তুতিতে আমাকে ডাকা হয় না। আমি তাই নিজের বুথেই কাজ করছি।

    বিপ্লব অনুগামী তৃণমূল নেতা কী বললেন?

    ‘টিম বিপ্লব’ তত্ত্ব মানতে রাজি নন তৃণমূল নেতারা। বিপ্লব অনুগামী বলে পরিচিত জেলা কমিটি ও নির্বাচনী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা বালুরঘাট পুরসভার পুরপ্রধান অশোক মিত্র বলেন, ‘আমাদের দলে টিম বিপ্লব বলে কোনও শব্দ নেই। আমরা সবাই টিম মমতা, টিম তৃণমূলের। যাঁরা এই দল করে তাঁরা সকলেই আমাদের দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন। কোথাও কোনও সমস্যা নেই।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী রেখা, এখন কেমন আছেন?

    Sandeshkhali: বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী রেখা, এখন কেমন আছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। তবে, প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরও প্রচার শুরু না করায় অনেকে রেখাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। মঙ্গলবার তাঁকে ফোন করে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বুধবার থেকে তিনি শুরু করেন প্রচার। রেখাকে নিয়ে সন্দেশখালি জু়ড়ে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। তাঁকে এক পলখ দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়ে। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা, আবেগের কাছে হার মানতে হয় রেখাকে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভর্তি করা হাসপাতালে।

    বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসের কাছে হার মানলেন রেখা! (Sandeshkhali)

    বিজেপি প্রার্থী নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রার্থী  হওয়ার পর নিরাপত্তার অভাব বোধ করার কথাও প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তিনি। আর প্রচার শুরুর পরই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি।   বুধবার বিকেলেই অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় কল্যাণী এইমস হাসপাতালে। বুধবার রেখা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) পা রাখতেই ভিড় উপচে পড়ে। কারও বাড়ির মেয়ে, কারও দিদির মতো করে তিনি কথা বলেন। এলাকায় ঘুরে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে সকাল থেকে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। এরপরই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন ডিহাইড্রেশনের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রেখা পাত্র। তাঁর শরীরে জলের পরিমাণ কমে গিয়েছিল। কল্যাণী এইমসে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর সবরকমের পরীক্ষা করা হয়। একাধিক রক্ত পরীক্ষা করা হয়, স্যালাইনও দেওয়া হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    চিকিৎসকরা কী বললেন?

    বৃহস্পতিবার ভোরে চিকিৎসকরা বলেন, রেখার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এরপর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তবে এবার কবে ফের প্রচারে নামবেন, তা এখনও জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, নিরাপত্তা নিয়ে অভাব বোধ করায় তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তিনি ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের তলব করল এনআইএ

    NIA: ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের তলব করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার এনআইএ তলব করল। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুরের বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা এবং স্থানীয় থানার ওসিকে তলব করল এনআইএ (NIA)। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে  লোকসভা নির্বাচনের মুখে ফের শিরোনাম ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ড। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল ভূপতিনগরে? (NIA)

    ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর থানা এলাকায় নাড়ুয়াবিড়লা গ্রাম। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সেখানেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় ৩ জনের। বাজি তৈরি করার সময় এই বিস্ফোরণ হতে পারে বলে নিহতদের একজনের স্ত্রী থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, তা এক তৃণমূল নেতার বাড়ি বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লেখা হয়। তার পরেই এনআইএ (NIA) তদন্ত শুরু হয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে তলব করেছিল এনআইএ। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের তৃণমূল নেতাদের তলব করল এননআইএ। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিজেপি-র অঙ্গুলিহেলনে কেন্দ্রীয় সংস্থা বেছে বেছে তৃণমূল নেতাকে নোটিস পাঠাচ্ছে বলেই দাবি শাসক দলের নেতৃত্বের।

    আরও পড়ুন: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী সাফাই?

    এনআইএ সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতাদের বৃহস্পতিবার কলকাতার এনআইএ (NIA) দফতরে তলব করেছে। শাসক শিবিরের নেতারা নোটিস পাওয়ার পরই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, “পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে। বিজেপি হারছে। তাই ভয়ংকর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তৃণমূল নেতাদের নতুন করে এনআইএ নোটিস পাঠানো শুরু করেছে। যাতে ভোটের আগে প্রচারের সময় মাঠ ফাঁকা করা যায়। গোটাটাই ভোটের লক্ষ্যে চক্রান্ত। এর বিরুদ্ধে মানুষ গর্জে উঠবে। আমাদের কোনও কর্মী বা নেতা এই নোটিসে সাড়া দেবে না। আইনি পথে পদক্ষপ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Kalyani: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বনগাঁ লোকসভায় তৃণমূলের থেকে গতবার ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। এই কেন্দ্রটি বিজেপি-র শক্ত ঘাঁটি। কল্যাণী (Kalyani) বিধানসভা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নাম ঘোষণার পর থেকেই নিজের লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার ও কর্মীসভা করছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। বুধবার কল্যাণীর গয়েশপুরে প্রচারে আসেন তিনি। সেখানে প্রচারে বাধার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কল্যাণী (Kalyani) থানার গয়েশপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপল্লির মাঠ থেকে বিজেপির মিছিলের কথা ছিল। সেই মতো বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেই আনন্দপল্লি মাঠে আসেন শান্তনু ঠাকুর। তখনই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ‘বিজেপি চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। শান্তনুকে উদ্দেশ্য করে ওঠে গো ব্যাক স্লোগানও। পালটা চোর স্লোগান দিতে থাকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরাও। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে তৃণমূল কর্মীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। বিজেপি কর্মীরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। পুলিশ ও সিআরপিএফ জওয়ানরা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কল্যাণীর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি সান্যাল।

    আরও পড়ুন: “পাঁচ পয়সার কাজ করেননি”, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “তৃণমূল ভয় পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তাই ওদের হাজার হাজার হার্মাদদের প্রচারে বাধা দিতে পাঠিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল বুঝতে পেরেছে আমিই জিতব। সেটা ওরা মেনে নিতে পারছে না। এই বাধায় ভয় পাওয়ার ছেলে আমি না। ৩৬ ইঞ্চি বুকের পাটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো।” গয়েশপুর পুরসভার পুরপ্রধান সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শান্ত এলাকাকে অশান্ত করতে এসেছেন শান্তনু ঠাকুর। সাধারণ মানুষ শান্তনু ঠাকুরকে আর চাইছে না। তাই বাধা দিচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “পাঁচ পয়সার কাজ করেননি”, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    Murshidabad: “পাঁচ পয়সার কাজ করেননি”, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের প্রচারে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সাগরদিঘির কাবিলপুর এলাকায়। সাধারণ মানুষ কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর সামনে। ভোটের মুখে সাধারণ মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    তুমুল বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘি ব্লকের কাবিলপুর গ্রামে বহুদিন ধরে একটি রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিধায়ক কেউ কোনও উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ। ফলে, সাধারণ মানুষ রাগে ফুঁসছিলেন। তৃণমূল প্রার্থী এলাকায় প্রচারে আসতেই সমস্ত ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় এক বাসিন্দার বক্তব্য, তৃণমূল প্রার্থী এর আগে সাংসদ হয়েছেন। আমরাই তাঁকে ভোট দিয়েছি। সাংসদ হওয়ার পর তিনি পাঁচ পয়সার কাজ করেননি। তাঁর ভোট চাওয়ার অধিকার নেই। স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, আমাদের সামান্য দাবি,  এলাকার রাস্তাটা ঠিক করার। তৃণমূল সেটা করেনি। ভোটের আগে প্রতিবার রাস্তা তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেয়। আর ভোট শেষ হয়ে গেলে আর কেউ মনে রাখে না। এবারও ভোট চাইতে আসায় আমরা ক্ষোভের কথা তৃণমূল প্রার্থীকে বলেছি।

    আরও পড়ুন: আরএসএস-এর উদ্যোগে ১,২৫০ বিদ্যালয় চলছে জম্মু-কাশ্মীরে, শেখানো হচ্ছে দেশপ্রেম

    প্রচারে ব্লক সভাপতি ছিলেন না, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান এলাকায় কর্মীদের নিয়ে প্রচার করছেন, অথচ সেখানে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নেই। যা নিয়ে দলের অন্দরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নূরে মেহবুব আলম বলেন, আসলে তৃণমূল প্রার্থী দেরিতে আসায় আমি যেতে পারিনি। আর আমার এদিন শরীর খারাপ ছিল। তাই, এদিন আমি বের হতে পারিনি। তৃণমূলের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।

    তৃণমূল প্রার্থী কী সাফাই দিলেন?

    যদিও বিক্ষোভ নিয়ে জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থীর খলিলুল রহমান কিছু বলেননি। তিনি শুধু বলেন, রাস্তাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতদিন কেন হয়নি তা জানা নেই। তবে, মানুষ যদি ফের আমাকে জিতিয়ে নিয়ে আসেন, এই এলাকার বেহাল রাস্তা তৈরি করা হবে আমার প্রথম কাজ। আর ব্লক সভাপতির প্রচারে না থাকা প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, আমি ব্লক সভাপতিকে খুঁজছি। ফলে, তিনি যে ব্লক সভাপতির ওপর বেজায় চটেছেন তা বলা বাহুল্য।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, তৃণমূল প্রার্থী এর আগে সাংসদ হয়ে যে কিছু করেননি তার জ্বলন্ত প্রমাণ হয়ে গেল এদিনের ঘটনা। প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। আসলে এই সব প্রার্থীকে কেউ ভোট দেবে না। এখন থেকে মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat:”যারা সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটাবে, তারাই তৃণমূলের স্টার!” ভোটপ্রচারে আক্রমণ সুকান্তের

    Balurghat:”যারা সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটাবে, তারাই তৃণমূলের স্টার!” ভোটপ্রচারে আক্রমণ সুকান্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার নিজের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন। বুধবার সকালে প্রথমে সন্ধ্যা সিনেমা হলের সামনে “চায়ে পে চর্চার” মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললেন। তাঁদের সমস্যার কথা শুনলেন। তারপর দেওয়াল লিখন করে এলাকায় প্রচার শুরু করলেন। শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ড ও ২১ওয়ার্ডের প্রতিটি ভোটারদের সঙ্গে মিলিত হন। বয়স্কদের পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করেন তিনি। প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে হাতজোর করে সাধারণ মানুষকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। সাধারণ মানুষের মধ্যে লিফলেট বিলি করেন। জনসংযোগ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমার ওয়ার্ডে প্রায় ৪০০ বাড়ি আছে। আমরা সবার বাড়িতে গিয়ে এলাকায় যা উন্নয়ন করেছি, তা  তুলে ধরবো।

    যারা সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটাবে তারা তো তৃণমূলের স্টার (Balurghat)

    ভোটের আগে ফের গুলি চলার ঘটনা প্রসঙ্গে বালুরঘাটে (Balurghat) প্রচারে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন,ভাটপাড়া তো এখন ফাটপাড়া হয়ে গিয়েছে। ওখানে কথায় কথায় এখন বোমা ফাটে। তৃণমূলেরই তো অবদান গোলাগুলি, বোমা এইসব। এইটাকে ঠিক করতে হবে। দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূলের যুব প্রেসিডেন্ট অম্বরীশ সরকার চাকরি দুর্নীতির পান্ডা শান্তনুর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এইটা তো হবেই, যারা চাকরি করবে, যারা সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটাবে তারা তো তৃণমূলের স্টার হবে। তৃণমূলের তো ওটাই পয়েন্ট। চুরি, ধর্ষণ এগুলো না থাকলে তৃণমূলের নেতা কেমন করে হবে।

    আরও পড়ুন: “দুষ্কৃতীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ”, বিস্ফোরক অর্জুন, ফিরে পেলেন জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা

    সন্দেশখালির মানুষ এবার ভোট দিতে পারবেন

    এতদিন সন্দেশখালিতে সঠিকভাবে ভোট দিতে পারেননি সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমরা এইবার আশা করছি নির্বাচন কমিশন বিশেষ ব্যবস্থা নেবে। সন্দেশখালিতে মানুষ ভোট দিতে পারবেন। আর সন্দেশখালিতে মানুষ ভোট দিতে পারলে বিজেপি সেখানে ১ লক্ষ ভোটে লিড পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share