Tag: West Bengal

West Bengal

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তের নাম ঘোষণা হতেই পটকা ফাটিয়ে, আবির খেলে উল্লাসে মাতলেন কর্মীরা, হল দেওয়াল লিখনও

    Sukanta Majumdar: সুকান্তের নাম ঘোষণা হতেই পটকা ফাটিয়ে, আবির খেলে উল্লাসে মাতলেন কর্মীরা, হল দেওয়াল লিখনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন ধরে জেলাজুড়ে জল্পনা চলছিল। সেটাই সত্যি হল। ফের বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তের পারফরম্যান্সে খুশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে সুকান্তকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে গত সপ্তাহে জেলায় এসে প্রার্থী হওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন সুকান্ত। এবার কেন্দ্রের তরফে সেই আভাসের সিলমোহর দিল।

    উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন কর্মীরা (Sukanta Majumdar)

    এদিকে প্রার্থী ঘোষণা হতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। শনিবার সন্ধ্যায় দলীয় কর্মীরা জোটবদ্ধ হয়ে আবির খেলেন, পটকা ফাটান। নাচানাচি করেন। এদিন জেলা বিজেপি কার্যালয়ের সামনের দেওয়ালে সুকান্তের (Sukanta Majumdar) নামে দেওয়াল লিখন করলেন বিজেপি নেতৃত্বরা। ঢাক বাজিয়েও উল্লাস করতে দেখা যায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। প্রার্থী ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেওয়ালে নাম লেখা শুরু করেছেন বিজেপির কর্মীরা। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তিনি সাংসদ হিসেবে জেলায় কাজ করেছেন তা এলাকার মানুষ জানেন। একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে বালুরঘাটকে জুড়েছেন তিনি। দলের পক্ষ থেকে তাঁকে ফের প্রার্থী করায় আমরা চরম আনন্দিত। ভোটে সুকান্ত মজুমদার বিপুল ভোটে জয় লাভ করবে। আমরা আশাবাদী। তিনি আবার জয়লাভ করবেন। আমরা দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছি। গোটা জেলার লোক সুকান্ত মজুমদারের প্রার্থী হওয়ায় খুশি।

    বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি কী বললেন?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমি একজন দলের কর্মী। দলআমাকে দ্বিতীয়বারের জন্য দায়িত্ব দিয়েছে বালুরঘাট লোকসভাআসন জিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়ার জন্য। এরজন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিজেপি নাড্ডার প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার বিশ্বাস, আমার জেলার মানুষ, আমার লোকসভার মানুষ আমার পাশে থাকবেন। গত পাঁচ বছরে কী কাজ করেছি, সেই কাজের হিসাব নিয়ে আমি মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাব। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়, যা করেছি তার হিসাব দেব। এতদিন যেভাবে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে ছিলাম আগামীতেও আমি মানুষের পাশে থাকব। মানুষের জন্য কাজ করে যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তা দেখে রাজা রামমোহন রায়ের আত্মাও কাঁদছে”, তোপ মোদির

    PM Modi: “সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তা দেখে রাজা রামমোহন রায়ের আত্মাও কাঁদছে”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের একজন নেতা মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নির্বিকার। বাবা ভোলেনাথে নগরী ভগবান শিব এবং আরামবাগের মাটির মহান সুপুত্র রাজা রামমোহন রায়কে স্মরণ করে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, এই মাটি থেকে রাজা রামমোহন রায় নারী সম্মানের জন্য লড়াই শুরু করেছিলেন। সেই বাংলার মাটিতে মা বোনের ইজ্জত এবং সম্মান লঙ্ঘিত হচ্ছে। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তা দেখে রাজা রামমোহন রায়ের আত্মাও কাঁদছে। গোটা দেশ ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তৃণমূল নেতারা সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করেছে, দুঃসাহসের সব সীমা পার করে ফেলেছেন তাঁরা। বাংলায় এসে সন্দেশখালি ইস্যুতে এই ভাষাতেই তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    শাহজাহানকে দুমাস সুরক্ষা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন মোদির (PM Modi)

    হুগলি আরামবাগ সভা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সন্দেশখালি ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে বাংলার মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেন, প্রায় দুমাস ধরে মহিলাদের সম্মান এবং ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা তৃণমূল নেতা বেপাত্তা ছিল। তাঁকে এতদিন কে সুরক্ষা দিচ্ছিল সেই প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি বলেন, মা বোনের আন্দোলন এবং বিজেপির চাপে বাংলার পুলিশ নতিস্বীকার করে তাকে (শেখ শাহজাহান) ধরতে বাধ্য হল। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, বাংলার উন্নয়নের জন্য বাংলার গরিব, চাষি, যুবসমাজ এবং মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকাআর্জুন খাড়গে কে একহাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, যখন বাংলার সন্দেশখালিতে মা বোনের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছিল তখন এই ইন্ডি জোটের নেতারা কী করছিলেন? কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি বলেছেন, বাংলায় এইরকম ছোটখাট ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।

     সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তার বদলা নেবেন তো?

    শুক্রবার আরামবাগে জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। মঞ্চে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মোদি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্য চেয়ে সন্দেশখালির মহিলারা কী পেয়েছেন? সেই প্রশ্নও তুলেছেন মোদী। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার কৃতিত্ব যে আসলে বিজেপির, সে কথাও উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, “বিজেপি নেতারা সন্দেশখালির মা-বোনেদের জন্য দিন-রাত লড়েছেন। মার খেয়েছেন। বিজেপি নেতাদের চাপে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।  শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার কৃতিত্ব যে আসলে বিজেপির, সে কথাও উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা সন্দেশখালির মা-বোনেদের জন্য দিন-রাত লড়েছেন। মার খেয়েছেন। বিজেপি নেতাদের চাপে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তার বদলা নেবেন তো?’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ৩৭ বছর পর আরামবাগে দেশের প্রধানমন্ত্রী! মোদিকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন কর্মী-সমর্থকরা

    PM Modi: ৩৭ বছর পর আরামবাগে দেশের প্রধানমন্ত্রী! মোদিকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন কর্মী-সমর্থকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৩৭ বছর পর আরামবাগের ভূমিতে পা পড়ল দেশের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন কর্মী-সমর্থকরা। অনেকে আবার মোদির ছবি দেওয়া মুখোশ পরেও সভায় হাজির হয়েছিলেন। সভায় উপস্থিত সকলকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। অন্যান্য নেতাদের থেকে তিনি যে আলাদা সেটা বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন নরেন্দ্র দামোদর ভাই মোদি। আর প্রত্যুত্তরে মো… দি , মো… দি গগনফাটা আওয়াজে আরামবাগবাসী বুঝিয়ে দিলেন তাদের কাছে এই প্রধানমন্ত্রী কতটা আপন।

    জনতার মন জয় করলেন মোদি (PM Modi)

    সকাল থেকেই বিজেপির পতাকায় মুড়ে যায় সমগ্র আরামবাগ। সভাস্থল ছিল ত্রিবেণী সঙ্গমে। অর্থাৎ পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মানুষ খুব সহজেই আসতে পারবেন সেখানে। সকাল থেকেই লোক আসা শুরু হয়েছিল। কয়েক লক্ষ জনসমাগম। এমনকী হাওড়া স্টেশন থেকেও আরামবাগ লোকালে শয়ে শয়ে সমর্থকরা  ওঠেন মোদীজিকে (PM Modi) দেখবার আশায়। দুটি মঞ্চ। একটিতে সরকারি অনুষ্ঠান, অন্যটিতে প্রকাশ্য জনসভা। একদিকে দক্ষ প্রশাসক অন্যদিকে জনমোহিনী জননেতা। তিনি এলেন, দেখলেন এবং তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করলেন। করতালি দিয়ে তা জানিয়ে দিলেন জনতা। এদিন আরামবাগ কালিপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্স ময়দানে জনসভা করে গেলেন ভারতবর্ষের ১৮ তম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     ৩৭ বছর পর আরামবাগের ভূমিতে দেশের প্রধানমন্ত্রীর

    দীর্ঘ ৩৭ বছর পর আরামবাগের ভূমিতে পা পড়লো দেশের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)। এর আগে ১৯৮৭ সালের মে মাসে আরামবাগের গরবাড়ী ময়দানে রাজনৈতিক সভা করতে এসেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। সূত্র অনুসারে আরামবাগ মহকুমায় এর আগে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইন্দিরা গান্ধীকেও দেখেছিলেন আরামবাগ ব্লকের অধিবাসীরা। কিন্তু, ৮৭ সালের পর আর কোনওদিন কোনও প্রধানমন্ত্রী আরামবাগে আসেননি। সেদিক থেকে মোদির আগমণকে ঘিরে আরামবাগের মানুষের মনে উৎসাহের সীমা ছিলনা। একজন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথে অটল দৃঢ়চেতা প্রধানমন্ত্রী। যিনি এখানে এসে ৭২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিল্যান্যাস করলেন।  পাশাপাশি রাজ্যে ৬২ টি প্রকল্পের উদ্বোধন। ৬২ টি প্রকল্পের উদ্বোধন। সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের পর অনতিদূরে খোলা মাঠে জনসভা। যেখানে মোদি নিজেকে উপস্থাপিত করলেন একজন জননেতা হিসেবে। খুলে দিলেন তৃণমূলের দুর্নীতির ভান্ডার। তীক্ষ্ণ বক্তৃতায় বুজিয়ে দিলেন বাংলার সমস্ত দুর্নীতির খবর তাঁর হাতের মুঠোয় এবং সেই দুর্নীতি রুখতে তিনি  কোন আপস করতে রাজি নন। ভাষা সংযত। পরিমিত। কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়। লড়াই দুর্নীতি ও দুর্নীতিকারীদের বিরুদ্ধে। আর এই লক্ষ্য নিয়েই আগামী লোকসভায় বিজেপি ভোটের ময়দানে নামতে চলেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘গরিবের টাকা লুট হতে দেব না’, দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা মোদির

    Narendra Modi: ‘গরিবের টাকা লুট হতে দেব না’, দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, পুর-নিয়োগে দুর্নীতি, রেশন সামগ্রী বন্টনে দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। তৃণমূল মন্ত্রীদের বাড়িতে টাকার পাহাড়। এত টাকা সিনেমাতেও দেখা যায় না। বাংলা জুড়ে তৃণমূল দুর্নীতি করেছে। সারা বাংলা জুড়়ে কেলেঙ্কারি। শুক্রবার আরামবাগে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) তৃণমূলকে এভাবেই তুলোধনা করলেন। তিনি বলেন, মোদি এই দুর্নীতিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাই তৃণমূলের শত্রুতে পরিণত হয়েছে মোদি। গরিব মানুষের টাকা লুট হতে দেবে না মোদি। তৃণমূলের কাছে অহংকার রয়েছে, তাঁদের নিশ্চিত ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। সেই মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কও এবার  চলে যাবে। আমরা তৃণমূলের হামলা, গালাগালিকে ভয় পাই না।

    ৪২ এ ৪২ আসনে পদ্ম ফোটানোর আশীর্বাদ চান মোদি (Narendra Modi)

    সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মোদি (Narendra Modi) বলেন, “সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা দেখে গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। তৃণমূল নেতারা সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করেছে, তাতে দুঃসাহসের সব সীমা পার হয়ে গিয়েছে। সন্দেশখালির মহিলারা মুখ খুলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চেয়েছেন। বদলে কী পেয়েছেন? বিজেপি নেতারা মা-বোনেদের জন্য দিন-রাত লড়েছেন। মার খেয়েছেন। বিজেপি নেতাদের চাপে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, “বাংলায় যে তৃণমূল সরকার মা, মাটি, মানুষের স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। সেই সরকারের শাসনে মা মাটি এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তৃণমূল সরকারকে দুর্নীতি এবং ঘোটালাবাজ সরকার বলে সম্বোধিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে চাকরি ঘোটালা থেকে শুরু করে শিক্ষা দুর্নীতি আবাস যোজনা দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরিবদের বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতি সঙ্গে জর্জরিত। এই তৃণমূল সরকারকে বাংলা থেকে উৎপাত করার প্রয়োজন। তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মা বোনের কাছে ৪২ এ ৪২ আসনে পদ্ম ফোটানোর আশীর্বাদ চান।’

    বাংলায় রেলের উন্নয়ন নিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এবার পশ্চিমবঙ্গে রেলের উন্নয়নের জন্য ১৩ হাজার কোটির বেশি বরাদ্দ করেছে। ২০১৪-র আগে যে বাজেট ছিল, এটা তার তিনগুণ। রেল লাইনের কাজ, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা ও স্টেশনের আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। অমৃত ভারত প্রকল্পে বাংলার ১০০টি স্টেশনের চেহারা বদলে যাবে। তারকেশ্বর স্টেশন তার মধ্যে অন্যতম। তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ১০ বছরে ১৫০-টির বেশি নতুন ট্রেনের পরিষেবা শুরু হয়েছে বাংলায়। চালু হয়েছে ৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক ভরাতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিডিও-র নির্দেশিকা, সরব বিজেপি

    Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক ভরাতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিডিও-র নির্দেশিকা, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিক থেকে কর্মীরা শাসকদলের ক্যাডারে পরিণত হয়ে গিয়েছে। বিরোধীরা বার বার এই অভিযোগ করেন। এটা নিছক যে অভিযোগ তা নয়, পূর্ব মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক ভরাতে বিডিও-র এক নির্দেশিকা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। দলের কোনও জেলা নেতা নয়, বিডিও লোক ভরাতে উদ্যোগী হয়েছেন। জানা গিয়েছে, ৪ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জেলা সফরে যাচ্ছেন। আর সেখানে লোক ভরাতেই বিডিও খুলেছেন হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ! আর সেই গ্রুপে লোক ভরানোর নির্দেশ। এমনই ভয়ঙ্কর অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। অভিযোগের নেপথ্যে খাড়া করা হল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নির্দেশ দেওয়ার সেই স্ক্রিন শটও।

    কী রয়েছে বিডিও-র নির্দেশিকায়?

    পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলা পরিষদের পার্শ্ববর্তী মাঠে প্রশাসনিক বৈঠকে যাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তমলুকে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। সেখানে লোক ভরানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছেন শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও। তাঁর একটি গ্রুপ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে এসএইজি গ্রুপের যে সঙ্ঘ রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রত্যেকটি অঞ্চল থেকে পাঁচটি করে বাসে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে ময়দান ভরাতে নিয়ে যেতে হবে। জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বামদেব গুছাইতের বক্তব্য, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তমলুকে আসছেন। সাধারণ মানুষ তাঁর সভায় যেতে চাইছেন না। তিনি তাঁর প্রশাসনিক আধিকারিককে সামনে রেখে সভা ভরতে চান। আমাদের জেলার ডিএম তাঁর অধঃস্তনদের দিয়ে নির্দেশ দিচ্ছেন। বাস করে, গাড়িতে করে লোক এনে মাঠ ভরাতে হবে।”

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    জেলা পরিষদের সভাপতি উত্তম বারিক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সভা হবে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায়, প্রশাসনিক কাজে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা আসবেন। তাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী হতে পারেন, আশা কর্মী হতে পারেন, উৎসাহী কর্মী হতে পারেন।” তাঁর বক্তব্য, জেলা প্রশাসনের কোনও লক্ষ্যমাত্রা নেই, ৫০ হাজার হতে পারে, লক্ষও হতে পারে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল প্রশাসনকে দলের কাজে ব্যবহার করছে। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, ১০টি ব্লক থেকে ৪২৬টি বাসে ২১,৩০০ লোককে নিয়ে যেতে হবে, এমনটাই টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা শাসক দলের ক্যাডারে পরিণত হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nusrat Jahan: ‘নায়িকা তো ১৪৪ ধারাকে ১৭৪ বলেন’, নুসরতকে তীব্র কটাক্ষ সন্দেশখালিবাসীর

    Nusrat Jahan: ‘নায়িকা তো ১৪৪ ধারাকে ১৭৪ বলেন’, নুসরতকে তীব্র কটাক্ষ সন্দেশখালিবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি জুড়ে গত দেড় মাস অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ছিল। তৃণমূলের স্থানীয় সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) একবারের জন্যও সেখানে যাননি। ভোটের সময় সন্দেশখালিতে এসে এলাকায় মহিলাদের নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে বলেছিলেন, “বিপদে পড়লেই ফোন করবেন। পাশে থাকব।” সন্দেশখালি উত্তাল হতেই বহু মহিলাই সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, তাঁর ফোন ‘নট রিচেবল’ ছিল। ফলে, সন্দেশখালির মহিলারা স্থানীয় তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এবার নুসরতের নতুন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে সন্দেশখালির মহিলারা তাঁকে খোঁচা দিতে শুরু করেছেন।

    কী বলেছেন নুসরত? (Nusrat Jahan)

    সন্দেশখালির গন্ডগোল সামাল দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দফায় দফায় ১৪৪ ধারা করা হয়েছে। আর এই ১৪৪ ধারা নিয়ে সম্প্রতি বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি হওয়া এবং সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে নুসরতকে সেখানে বলতে শোনা গিয়েছে, “সন্দেশখালিতে ১৭৪ ধারা রয়েছে।” এরপর নেটপাড়ায় শুরু হয়েছে ট্রোলিং। আর সেই ভিডিওবার্তা দেখে সন্দেশখালির মহিলারা হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন। অনেকে সেই ভিডিও নিজেদের মধ্যে শেয়ারও করেছেন।

    এবার সাংসদকে খোঁচা দিলেন সন্দেশখালির মহিলারা

    বৃহস্পতিবার শাহজাহান গ্রেফতারের পরই সন্দেশখালির বিভিন্ন গ্রামে রং-আবির খেলা শুরু হয়। স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “আমরা দারুণ খুশি। তাই হইহই করে রাস্তায় নেমেছি, আবির খেলছি।” এরপর সাংসদের উদ্দেশে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “আমরা নায়িকা তো তাই নাচতে বেরিয়েছি। নায়িকা তো ১৪৪ ধারাকে ১৭৪ বলছেন। ওনারা তো শেখানো পড়ানো বুলি বলতে পারেন। নিজেদের তো সাধারণ জ্ঞান নেই। এতই যদি শিক্ষিত, তাহলে ১৪৪ কে ১৭৪ বলতেন না। সন্দেশখালিতে গত দেড় মাস ধরে এত ঘটনা। বসিরহাট সাংসদের এলাকার মধ্যে পড়ে এই ব্লক। তবে একদিনও এলাকায় যাননি সাংসদ নুসরত জাহান।” যদিও ইতিমধ্যেই নুসরতও জানিয়েছেন, দলের নির্দেশ মেনে যা যা করার তা তিনি করেন। সাংসদের এসব কথায় খুশি নন সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁদের বক্তব্য, মহিলা সাংসদ আমাদের পাশে এসে দাঁড়াতে পারতেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: সাপের বিষ পাচারে নাম জড়াল তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাইয়ের, শোরগোল

    TMC: সাপের বিষ পাচারে নাম জড়াল তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাইয়ের, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার, কয়লা পাচারে অনেক তৃণমূল (TMC) নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল তো গরু পাচার মামলায় তিহার জেলে রয়েছেন। এবার সাপের বিষ পাচারে নাম জড়াল তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাইয়ের। মঙ্গলবার ফাঁসিদেওয়ার মুরলিগছে সাপের বিষ-সহ উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে একজন ইসলামপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের ভাই ফজলে রব্বি সিদ্দিকের ‘ঘনিষ্ঠ’। ফজলে রব্বি পেশায় ঠিকাদার। তিনি আগডিমঠি খুন্তি অঞ্চল কমিটির সদস্য।

    তৃণমূল নেতার ভাইয়ের গাড়িতেই সাপের বিষ পাচার! (TMC)

    গাড়ি এবং একটি স্কুটার থেকে কাচের দু’টি জার উদ্ধার হয়। বন দফতরের বাগডোগরা রেঞ্জ, কার্শিয়াং ডিভিশনকে নিয়ে ‘ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল বুরো’র তরফে যৌথ অভিযান চালানো হয়। দুটি কাচের জারে সাপের বিষ পাচারের আগে, মুরলিগছ এলাকা থেকে ধরা পড়েন মহম্মদ শাহানওয়াজ, তৌহিদ আলম এবং মহম্মদ আজমল। তিনজনই উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা। মহম্মদ তৌহিদ আলম নামে ধৃত ওই যুবক তৃণমূল নেতার ভাই রব্বি সিদ্দিকের গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে বাড়ির বাজার-সহ রোজকার কাজকর্ম করতেন। ঘটনার দিন অভিযুক্তের কাছেই তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতির ভাইয়ের গাড়িটিও ছিল। সেই গাড়িতেই সাপের বিষ পাচার হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ‘ক্রাইম কন্ট্রোল বুরো’র এক আধিকারিক বলেন, কয়েক দিন ধরে অভিযুক্তদের উপরে নজরদারি চলছিল। বহুমূল্য সাপের বিষ আগেও পাচার করেছে কি না, চক্রে আরও কারা জড়িত, সব দেখা হচ্ছে।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও তাঁর ভাই কী সাফাই দিলেন?

    শাসক দলের ব্লক সভাপতি জাকির বলেন, গাড়ি যাঁর, তিনি বলতে পারবেন। তৃণমূল (TMC) নেতার ভাই ফজলে রব্বি সিদ্দিকের কথায়, আমার বাড়ির তিনটি বাড়ি পরেই তৌহিদের বাড়ি। আমার গাড়ি চালায়, বাজার করে, বাড়িতেও থাকে। ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। স্ত্রীর কাছ থেকে ও গাড়ির চাবি নিয়ে যায়। এমন কাজে জড়িত বুঝতেই পারিনি। আমাকে বদনাম করে দিল। আমি এসবে কোনওভাবে জড়িত নই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে দিত না শিবুরা, সন্দেশখালিতে গর্জে উঠলেন মহিলারা

    Sandeshkhali: ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে দিত না শিবুরা, সন্দেশখালিতে গর্জে উঠলেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী দাপিয়ে বেড়িয়েছে। বিরোধীদের কথা বলার সাহস ছিল না, জয় শ্রীরাম ধ্বনি তো দূরের কথা। শাহজাহান গ্রেফতার হতেই সন্দেশখালি জুড়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাস হয়। জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মেতে ওঠেন সন্দেশখালির মানুষ।

    জয় শ্রীরাম বলতে দিত না শিবুরা

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পাত্রপাড়া, বেড়মজুর, কর্ণখালি, পুকুরপাড়া-সব জায়গা থেকেই এই ভাবে বেরিয়ে এসেছে জমা রাগ। কখনও মেয়েদের প্রতি অত্যাচারের বিরুদ্ধে, কখনও ছেলেদের মারধরের বিরুদ্ধে, কখনও আবার ভিটেমাটি দখলের বিরুদ্ধে। সন্দেশখালি দ্বীপের ভিতরে যত যাওয়া যায়, এমনই সব ঘটনা পরতে পরতে খুলে আসে। চোখের জলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে রাগও। ৮ নম্বর কর্ণখালির এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা বরাবর জানি, রাম আমাদের আরাধ্য দেবতা। কিন্তু, ত্রিমণি বাজারে গিয়ে আমরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে পারি না। বললে শিবুর (শিবপ্রসাদ হাজরা) লোকজন ধাওয়া দিত।” আমাদের তো ‘জয় শ্রীরাম’ বলার অধিকার আছে। সেটা এতদিন বলতে পারিনি। পাত্রপাড়ার এক মহিলা বলেন, ওরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে দিত না আমাদের ছেলেদের। ধামাখালির খেয়াঘাট দিয়ে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে তৃণমূলের পতাকার সঙ্গে গেরুয়া রং পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। আর এতদিন জয় শ্রীরাম বলতে না পারার জ্বালা মিটিয়েছেন এলাকাবাসী।

    সন্দেশখালি জু়ড়ে বাড়়ছে ক্ষোভ

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে ক্ষোভের আগুন বেড়েই চলেছে। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সন্দেশখালি জুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মহিলারা। তাঁরা সাফ বলেন, রাজ্য পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। শাহজাহানকে গ্রেফতারের পর তাঁকে জামাই আদর করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা জ্বলন্ত প্রমাণ। এখনও শাহজাহানের ভাই সিরাজ বাইরে। সিদ্দিক মোল্লার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। অথচ এই বাহিনীর লোকজনই গ্রামে অত্যাচার করত। খাল কাটার ১৫ কোটি টাকা মেরেছে। রাস্তা না করে টাকা হাতিয়েছে ওরা। জব কার্ডের টাকা মেরেছে। ওরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা ভয়ে থাকব। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। তাদের গ্রেফতারে দাবিতে আমরা ফের পথে নামব। এদিন অভিযোগ জমা দিতে পারিনি। তবে, আগামীদিনে ফের ক্যাম্পে এসে অভিযোগ জানাব। এতদিন ধরে তারা এলাকায় যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তার তালিকা সব আমাদের কাছে রয়েছে। এবার সব তথ্য দিয়ে অভিযোগ জানাব। তাঁরা আরও বলেন, আর শাহজাহানকে জামাই আদর করে রাখা চলবে না। ও কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ওর ফাঁসি চাই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: গ্রেফতার হতেই শাহজাহানকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, এও কি লোক দেখানো ‘শাস্তি’?

    Sheikh Shahjahan: গ্রেফতার হতেই শাহজাহানকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, এও কি লোক দেখানো ‘শাস্তি’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার হওয়ার পর তা তাঁকে জামাই আদর করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। যার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে সন্দেশখালির মহিলারা। এবার শাহজাহান গ্রেফতার হতেই তাঁকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর  জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ করা হয়েছিল তাঁকে। এতদিন ধরে ফেরার থাকার সময় দল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কিন্তু, গ্রেফতার হওয়ার পর ঘটনা করে সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের অবস্থান জানিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে,তাঁকে দল থেকে শুধু নয়, জেলা পরিষদের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ লোক দেখানো বলেই সন্দেশখালি জুড়ে চর্চা চলছে।

    শুধু দল নয়, কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে! (Sheikh Shahjahan)

    বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বলেন, দল থেকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হত কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও। সেই মতোই কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্দেশখালি থেকে জেলা পরিষদের আসনে জিতে মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ হন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মূলত তাঁর বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখল থেকে শুরু করে মহিলাদের উপর অত্যাচার-সহ একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। বুধবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করতে গিয়ে আজ তাঁকে ছয় বছরের জন্য সাসপেনশনের কথা জানিয়ে দেয় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এ বার তাঁকে মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও সরানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই মুহূর্তে গ্রেফতার হওয়ার পর জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্য কোনও পদে থাকছেন না সন্দেশখালির দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহান।

    সন্দেশখালির বাসিন্দারা কী বললেন?

    সন্দেশখালিবাসীর বক্তব্য, তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে ও এলাকায় দাপিয়ে বেরিয়েছি। লোকদেখানো সাসপেন্ড করে লাভ নেই। শাহজাহানের কড়া শাস্তি দিতে হবে। দল পাশে আছে বলেই পুলিশও তাঁর কোমরে দড়ি পড়াতে পারছে না। তাঁর গায়ে স্পর্শ করতে পারছে না। পুলিশি হেফাজতে ও জামাই আদরের মতো থাকবে। শাহজাহান এলাকায় যা অত্যাচার করেছে, তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ফের মহিলাদের বিক্ষোভ, উঠল শাহজাহানের ‘ফাঁসির’ দাবি

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ফের মহিলাদের বিক্ষোভ, উঠল শাহজাহানের ‘ফাঁসির’ দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নতুন করে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর এলাকায় মহিলারা শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন। এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে জনরোষ কমাতে গ্রামে অভিযোগপত্র জমা নেওয়ার জন্য পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছিল। সেখানে বৃহস্পতিবার বিকালে মিছিল করে শাহজাহান বাহিনীর অন্য সদস্য সিদ্দিক মোল্লা, সিরাজ মাস্টারদের গ্রেফতারের জানানোর জন্য অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু, পুলিশ ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা অভিযোগ না জানিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন। এদিন শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরই আন্দোলনকারীরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। আবির খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা।

    শাহজাহানের ফাঁসির দাবি উঠল! (Sandeshkhali)

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রাজ্য পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। শাহজাহানকে গ্রেফতারের পর তাঁকে জামাই আদর করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা জ্বলন্ত প্রমাণ। এখনও শাহজাহানের ভাই সিরাজ বাইরে। সিদ্দিক মোল্লার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। অথচ এই বাহিনীর লোকজনই গ্রামের অত্যাচার করত। খাল কাটার ১৫ কোটি টাকা মেরেছে। রাস্তা না করে টাকা হাতিয়েছে ওরা। জব কার্ডের টাকা মেরেছে। ওরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা ভয়ে থাকব। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। তাঁদের গ্রেফতারে দাবিতে আমরা ফের পথে নামব। এদিন অভিযোগ জমা দিতে পারিনি। তবে, আগামীদিনে ফের ক্যাম্পে এসে অভিযোগ জানাব। এতদিন ধরে তারা এলাকায় য়ে তাণ্ডব চালিয়ে, তার তালিকা সব আমাদের কাছে রয়েছে। এবার সব তথ্য দিয়ে অভিযোগ জানাব। তাঁরা আরও বলেন, আর শাহ জাহানকে জামাই আদর করে রাখা চলবে না। ও কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ওর ফাঁসি চাই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

    ভোট দিতে দিত না শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী!

    এই শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর দাপটের কারণে বছরের পর বছর সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষ ভোট দিতে পারতেন না। তাঁদের অভিযোগ, কেউ ৩ বছর, কেউ ১০ বছর আবার কেউ ১১ বছর নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। কী হত ভোটের দিনগুলো এই সন্দেশখালিতে? মাঝেরপাড়ার এক মহিলার ভোটার বলেন, ভোটের দিন এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। ভোটের ঘরের ভিতরে ঢুকতেই কাগজপত্র নিয়ে নখে কালি লাগিয়ে দিত শাহজাহানের লোকজন। এরপরই ভোটের কাগজটা হাত থেকে নিয়ে নিত ওরা। ইভিএমে বোতাম আর টিপতে পারতাম না। ওরা সব করত। আমরা কথা বলতে পারতাম না। তাঁরা বলছেন, যতদিন না শেখ শাহাজাহানকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, ততদিন তাঁরা একটু ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান কেউ কেউ। পুকুরপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, শাহজাহানের সাজা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ভয় আছে। আমরা আজ আনন্দ করছি ঠিকই, কিন্তু এটা এখনও দীর্ঘস্থায়ী বলতে পারব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share