Tag: West Bengal

West Bengal

  • Howrah: দেড় বছরের সন্তানকে খুন করে ব্যাগে ভরে ফলকনামায়! আদালতে দোষী সাব্যস্ত মা ও প্রেমিক

    Howrah: দেড় বছরের সন্তানকে খুন করে ব্যাগে ভরে ফলকনামায়! আদালতে দোষী সাব্যস্ত মা ও প্রেমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে খুন করার অপরাধে মা ও তাঁর প্রেমিককে দোষী সাব্যস্ত করল হাওড়া জেলা আদালত। মঙ্গলবার হাওড়া (Howrah) জেলা আদালতের প্রথম ফাস্ট ট্র্যাক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সন্দীপ চক্রবর্তী শিশুপুত্রকে হত্যা করা ও প্রমাণ লোপাট করার অপরাধে তার মা হাসিনা সুলতানা ও তার প্রেমিক ভান্নুর শা-কে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২, ২০১ এবং ৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন।

    নৃশংসভাবে শিশুকে খুন, ব্যাগে করে ফলকনামায় (Howrah)

    সরকার পক্ষের তরফে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, ঘটনার সুত্রপাত অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলায়। সেখানকার টেনালী থানার রাইস মিল কলোনিতে মা রশিদা বিবির-র কাছে দেড় বছরের ছেলে সেখ জিশান আহমেদকে নিয়ে থাকতেন হাসিনা সুলতানা। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে, ছোট্টবেলার প্রেমিক ভান্নুর শায়ের হাত ধরে হায়দরাবাদে ওঠেন তাঁরা। দেড় বছরের জিসানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু, সন্তানের সামনে প্রেমিকের সঙ্গে অবাধ মেলামেশা করা যাচ্ছিল না। পথের কাঁটা সরাতে দুধের শিশুকে খুন করার ছক কষেন তাঁরা। ২০১৬ সালে ২২ জানুয়ারি রাতে দেড় বছরের সন্তানকে মা আর তাঁর প্রেমিক মিলে একপাতা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেঘোর করে মাথায় আঘাত করে নৃশংসভাবে খুন করেন। পরে, ব্যাগের মধ্যে শিশুটিকে রেখে সেকেন্দ্রাবাদে ফলকনামা এক্সপ্রেসে রেখে আসেন। ২৪ তারিখ ফলকনামা এক্সপ্রেস এসে পৌঁছায় হাওড়া স্টেশনে। নিয়ম মোতাবেক ট্রেন পরীক্ষা ও পরিষ্কার করার সময় রেল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে সিটের নীচে রাখা ব্যাগটি। ব্যাগটি খোলা হলে উদ্ধার হয় একটি অজ্ঞাতপরিচয় বাচ্চার মৃতদেহ। যার শরীরে ১২টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। হাওড়া (Howrah) জিআরপি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

    ব্যাগের সূত্র ধরে তদন্ত

    তদন্ত চলাকালীন পুলিশের নজরে আসে অন্ধ্রপ্রদেশের টেনালী থানার জারি করা লুক-আউট নোটিশটি। ব্যাগের সূত্র ধরেই মৃত শিশুটির ছবি নিয়ে পুলিশ রওনা হয় অন্ধ্রপ্রদেশের টেনালী থানার উদ্দেশে। সেখানে গিয়ে দেখা যায় যে, মৃত ও নোটিশে, একই শিশুর ছবি। খুঁজে বার করা হয় শিশুটির বাবা শেখ রিয়াজকেও। সেও শিশুটিকে নিজের ছেলে বলে সনাক্ত করে। পুলিশ এরপর শিশুটির দিদা, মিসিং ডায়েরি করা রোশন বিবিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, দেখানো হয় মৃত শিশুটির ছবি। তিনিও শিশুটিকে সনাক্ত করেন। ইতিমধ্যে দেখা যায় শিশুটির মা হাসিনা তার মায়ের বাড়িতে ফিরে এসেছে। তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে অবশেষে তিনি পুলিশের কাছে সমস্ত দোষ স্বীকার করেন। হাসিনাকে নিয়ে পুলিশ পাড়ি দেয় ভান্নুর এর বাড়ির উদ্দেশে। সেখানে গিয়ে তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে অবশেষে তিনিও পুলিশের কাছে সমস্ত দোষ স্বীকার করেন। দুজনকে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ আইন মোতাবেক হাওড়া আদালতে হাজির করে।

    সরকারি আইনজীবী কী বললেন?

    হাওড়ার (Howrah) সরকারি আইনজীবী অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন, দেড় বছরের অসহায় সন্তানকে যেভাবে নৃশংসভাবে দুজনে মিলে হত্যা করেছে এবং তার পরে খুব ঠান্ডা মাথায় উভয়ে মিলে ট্রেনে করে সন্তানের মৃতদেহ ভিনরাজ্যে পাচার করেছে, তা সত্যই বিরলের মধ্যে বিরলতম। সরকারপক্ষের তরফ থেকে এই মামলাতে সর্বোচ্চ সাজা, অর্থাৎ ফাঁসির সাজা শোনানোর প্রার্থনা আদালতের কাছে রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণ থেকে বাদ গেল না স্কুলও, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Bomb Blast: ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণ থেকে বাদ গেল না স্কুলও, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা পুলিশের অধীনে আনার পরও শান্তি ফিরল না ভাঙড়ে। ভাঙড় যে ভাঙড়েই আছে, তা আরও একবার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার। এবার রাজনৈতিক কোনও হিংসার ঘটনা নয়। বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটল স্কুল চত্বরের ভিতরে। তাও আবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনেই। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় হাইস্কুলে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    ভাঙড় হাইস্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছিল। মঙ্গলবার ইতিহাস পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষ হয়েছে মাত্র ১০ মিনিট আগে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা বেরোচ্ছেন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে। এক পরীক্ষার্থী বাথরুমে গিয়েছিল। সেখানে একটি বোমায় আগুন জ্বলতে দেখে সে। এরপরই ছুটে এসে বাইরে সকলকে চিৎকার করে বলতেই বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। আচমকা প্রবল শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা স্কুলবাড়ি। শুরু হল দৌড়ঝাঁপ। পরীক্ষার্থীদের কয়েকজন বলে, মঙ্গলবার পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই একটি বোমা ফাটে শৌচাগারে। ঘটনাস্থলের দিকে দৌড়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় পুলিশ। সূত্রের খবর, একটি সুতলি বোমা রেখে গিয়েছিল কেউ বা কারা। সেটাই ফেটেছে। কিন্তু, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলের শৌচাগারে কে বিস্ফোরক রেখে গেল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানাচ্ছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর নেপথ্যে কোনও পরীক্ষার্থীও থাকতে পারে। এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

    শুরু রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা সুনীপ দাস বলেন, “আরাবুল ইসলাম গ্রেফতার হয়ে গিয়েছেন। ভাঙড়ে এখনও শান্তি ফেরেনি। তৃণমূল জমানায় বোমা, বন্দুক, গুলি সর্বত্র পাওয়া যায়। স্কুলও ছাড় পাচ্ছে না। এরজন্য পুলিশ-প্রশাসনই দায়ী। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে শাসকদল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্ট গড়়ে দিকে দিকে উদ্ধার ড্রাম ভর্তি বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র, লোকসভার আগে সরগরম জেলা

    Birbhum: কেষ্ট গড়়ে দিকে দিকে উদ্ধার ড্রাম ভর্তি বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র, লোকসভার আগে সরগরম জেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই কেষ্টর গড় বীরভূমের (Birbhum) দিকে দিকে তাজা বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। একাধিক জায়গায় ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা এই বোমা মজুত করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আর সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটের মুখে বীরভূমে একাধিক জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার কে ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ এর আগে নির্বাচন হোক বা সাধারণ বিষয় রাজনৈতিক হানাহানিতে তপ্ত হয়েছে বীরভূম। তাই, একাধিক থানা এলাকায় এত বোমা বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

    নানুর, কীর্ণাহার, ইলামবাজারে বোমা উদ্ধার (Birbhum)

    ভোটের আগে বীরভূম জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে উদ্ধার হচ্ছে বোমা। বীরভূমের (Birbhum) পাড়ুই, মারগ্রাম, দুবরাজপুর, লাভপুরের পর এবার কীর্ণাহার। বোমা উদ্ধার কে ঘিরে চাঞ্চল্য। বীরভূমে ফের বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। এবার ঘটনাস্থল বীরভূমের কীর্ণাহার থানার সরডাঙ্গা গ্রাম। কীর্ণাহার থানার সরডাঙ্গা গ্রামের মাঠের ধার থেকে ৪০-৪২ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে কীর্ণাহার থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে বোম স্কোয়াডকে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত নেমেছে কীর্ণাহার থানার পুলিশ। পাশাপাশি নানুর থানার তাখোরা এবং ব্রাহ্মণখণ্ড গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে চার ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ইলামবাজার থানার নাচুনসা গ্রামে নদীর ধারে এক ব্যাগ ভর্তি তাজা উদ্ধার করা হয়। এলাকার মানুষ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে, পুলিশ ব্যাগ ভর্তি বোমাগুলি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। এত বিপুল পরিমাণ বোমা কোথায় থেকে এল? কারা কি উদ্দেশ্যে মজুদ করেছিল? সবটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি নানুর থানা এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ আকাল মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তার কাছে থেকে একটি ওয়ান সাটার এবং গুলি পাওয়া গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Birbhum: বিরোধীদের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি, কেষ্টর বুলি জটিলের গলায়

    Birbhum: বিরোধীদের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি, কেষ্টর বুলি জটিলের গলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডল গুরু পাচার মামলায় এখন তিহার জেলে রয়েছেন। ভোটের আগে যে ভাবে কু-কথা বলে বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিতেন কেষ্ট, সেই ঢঙে এবার বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিলেন বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বর-২ ব্লকের এক তৃণমূল নেতা। নাম জটিল মণ্ডল। তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। তিনি আবার কেষ্টর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে তিনি পরিচিত। জটিলের বক্তব্য নিয়ে কেষ্ট গড়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    মেরে হাড়গোর ভেঙে দেওয়ার নিদান (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বর-২ ব্লকের উলকুণ্ডা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সম্প্রতি লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল। অভিযোগ, সেখান থেকেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত জটিল মণ্ডল বলেন,’আমাদের খাচ্ছে আর আমাদের সর্বনাশ করছ? ভদ্রভাবে না হলে ডাং পিটা করে পিটিয়ে দিতে হবে। কেন্দ্র বাহিনী তোর বাবার বন্ধু লয়, ভোট হলেই চলে যাবে আর তখন তুই থাকবি না। কারণ গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের। পঞ্চায়েত সমিতি আমাদের। জেলা পরিষদ আমাদের। বিধানসভা আমাদের। ভদ্রভাবে যা বলছি শোন, তুই ভোট দিস আর না দিস, তুই ঘর থেকে বেরোবি না। ভোটে বেইমানি’ সইব না। তৃণমূলকে ভোট না দিলে বা দলের নামে কোনওরকম ‘অপপ্রচার’ হলে মেরে হাড়গোরও ভেঙে দেওয়া হবে। হাত কেটে নেওয়া হবে। এই কথাটা এখনই একটা রাউন্ড বলে দিতে হবে।’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    যদিও জটিল মণ্ডল তাঁর এই বক্তব্যে আসলে ঠিক কী বলতে চেয়েছেন সেটার আর ব্যাখ্যা দেননি। তবে, বিজেপি সহ বিরোধী কর্মী-সমর্থকদের কার্যত তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিজেপি তাঁর এই বক্তব্যকে সামনে রেখে ময়দানে নেমে পড়েছে। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, যদি কারও হাত কাটতে পারেন, তাহলে এমন মানুষও থাকবে যে তাঁর হাত কাটতে পারে। তৃণমূল নেতার ওই বক্তব্যকে সামনে রেখে আইনের দ্বারস্থ হব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘রাজ্যে রোহিঙ্গাদের পাকাপাকি ব্যবস্থা করতেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘রাজ্যে রোহিঙ্গাদের পাকাপাকি ব্যবস্থা করতেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কার্ড বাতিল ইস্যুতে বালুরঘাটের এক সভায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সাংসদ বলেন, ‘অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তৃণমূল ‘বাংলা সহায়তাকেন্দ্র’ তৈরি করেছে। এই সব কেন্দ্র তৈরির আসল কারণ, বাংলায় রোহিঙ্গাদের পাকাপাকি ব্যবস্থা করা। বিজেপি কিছুতেই তা হতে দেবে না।’ সাংসদ এও বলেন, ‘আধার কার্ড নিয়ে কারও কোনও সমস্যা নেই। যদি হয়ে থাকে, তাহলে সরাসরি তাঁরা যেন সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’

    সন্দেশখালি নিয়ে সরব সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    বাংলায় আইনের শাসন নেই বলেও অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উত্থাপন করেন সন্দেশখালির ঘটনা। তিনি বলেন,আদালত থেকে রাজ্যকে বলা হয়েছে যেভাবে হোক শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে হবে। রাজ্য পুলিশ সেই নির্দেশ কার্যকর করছে না। উলটে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে শুরু করেছে। ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নেমে এসেছে মহিলারা। শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী সন্দেশখালিতে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তৃণমূল নেতাদের ওপর জনরোষ আছড়ে পড়বে। আর বেশি দিন নেই, এরপর একের পর এক নেতাদের গাছে বেঁধে রাখবে।’

    আধার কার্ড নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে তৃণমূল

    আধার কার্ড নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রচারের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) মুখ খোলেন সন্দেশখালি নিয়েও। আধার কার্ড নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকদিন ধরে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। জলঘোলাও কম হয়নি। আধার কার্ড বাতিল করার চিঠি পেয়েছেন অনেকে। তৃণমূলের তরফ থেকেও শুরু হয় পাল্টা প্রচার। খোদ সুপ্রিমোকে মুখ খুলতে দেখা যায়। এদিকে আবার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের নেতৃত্ব এক প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়া নিয়েও আবার মুখ- খুলেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, মিথ্যে কথা বলতেই ওই প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে। আধার কার্ড নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে তৃণমূল। কারও কোনও সমস্যা নেই। সমস্যা হওয়ার কথাও না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: বিজেপি কর্মী খুনেও অভিযুক্ত ছিল শাহজাহান, চার্জশিট থেকে বেমালুম উধাও তাঁর নাম!

    Sheikh Shahjahan: বিজেপি কর্মী খুনেও অভিযুক্ত ছিল শাহজাহান, চার্জশিট থেকে বেমালুম উধাও তাঁর নাম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকী বহু ক্ষেত্রে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ পর্যন্ত জমা নিত না। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট-পরবর্তী হিংসায় সন্দেশখালির ভাঙ্গিপাড়া গ্রামে ৩ বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এফআইআরে নাম ছিল শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan)। ন্যাজাট থানায় খুন ও অস্ত্র আইনে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপি দু’দলই থানায় এফআইআর করেছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে শাহজাহানের নামে অভিযোগ করা হয়েছিল। তৃণমূলের তরফে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। কিন্তু, বিজেপির অভিযোগপত্রে নাম থাকা শেখ শাহজাহানের নাম নেই চার্জশিটে! এটা নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।

    বিজেপি কর্মীর দেহ মেলেনি

    সন্দেশখালির ভাঙ্গিপাড়া গ্রামে ভোট-পরবর্তী সংঘর্ষে ২০১৯ সালে খুন হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল। সেই সময় পুলিশের কাছে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) নামে অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত তাদের পরিবার। এখনও পরিবারের লোকজন এখানে বসবাস করে না। তাঁর মা বাড়িতে আছেন। এতটাই আতঙ্কিত তাঁরা কথা বলতে চাইছেন না। প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের মৃতদেহ পাওয়া গেলেও এত বছর পরও দেবদাস মণ্ডলের মৃতদেহ মেলেনি। নিহত বিজেপি কর্মী দেবদাস মণ্ডলের বোন বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। দাদা নিখোঁজ। তার আর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ কাউকে ধরেনি।

    সন্দেশখালি নিয়ে আদালতে কী বললেন সরকারি আইনজীবী

    সোমবার হাইকোর্টে সন্দেশখালি সংক্রান্ত একটি মামলায় রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, শেষ ৪ বছরে ৪৩টি এফআইআর হয়েছে। যার মধ্যে ৪২টিতে চার্জশিট হয়েছে। ধর্ষণের ধারাও যুক্ত আছে। বাকি তদন্ত চলছে। জমি দখলের অভিযোগে ৭টি এফআইআর হয়েছে। সেগুলিতে চার্জশিট হয়েছে। ৮ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৪টি এফআইআর হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ জনকে। যেখানে ১৪৪ ধারা ছিল, সেখানে যাননি রাজ্যের মন্ত্রীরা।

    ৪২টি মামলার চার্জশিটে ৪ বছর সময় লাগল

    প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘তার মানে ৪ বছর ধরে এই ঘটনা ঘটছিল। কিন্তু, কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিস্ফোরণ ঘটেছে। রাজ্য বলছে, যে জমি দখল করা হয়েছে, সেগুলি ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার মানে কিছু একটা ঘটেছে। আর কী প্রমাণের দরকার, সরাসরি সাজা দিতে হবে। আদালত বিস্মিত যে, ৪২টা মামলার চার্জশিট দিতে ৪ বছর কেন লাগল? পরে আমরা চার্জশিটও খতিয়ে দেখব। ক্রমাগত মানুষ ওখানে যাচ্ছেন, তার ফলে ভালোও হতে পারে, আবার খারাপও হতে পারে। আইনকে আইনের পথে চলতে দেওয়া হোক।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: বিশেষ ট্রেনে সিউড়ি থেকে দেড় হাজার রামভক্ত গেলেন রাম মন্দির দর্শনে

    Ram Mandir: বিশেষ ট্রেনে সিউড়ি থেকে দেড় হাজার রামভক্ত গেলেন রাম মন্দির দর্শনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রেল। দেশজু়ড়ে ‘আস্থা’ নামে বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে রেল। বীরভূমের সিউড়ি বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের জন্য রেলের এই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার রেলের এই বিশেষ ট্রেনে করে রামভক্তরা অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দেন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ মার্চ রামপুরহাট থেকেও অযোধ্যাগামী একটি ট্রেন ছাড়বে।

     ‘আস্থা ট্রেন রাম মন্দির যেতে খরচ কত? (Ram Mandir)

    সোমবার দুপুর থেকে সিউড়ি স্টেশনে রামভক্ত এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ভিড় করতে শুরু করেন। বিজেপির পক্ষ থেকে কপালে তিলক কেটে সম্বর্ধিত করার পাশাপাশি তাঁদের থাকা- খাওয়ার জন্য দলের কর্মীদের প্রতিটি কোচে পাঠানো হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে রওনা হয়ে মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যায় পৌঁছবে ট্রেন। রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শন সেরে বুধবারেই সিউড়ির উদ্দেশ্যে ফিরতি ট্রেনে রওনা হবেন বীরভূমের বাসিন্দারা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেন ভাড়া বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে প্রত্যেককে। রামমন্দির উদ্বোধনের আগে থেকেই মন্দির নিয়ে প্রচার কর্মসূচি নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। ৫ ফেব্রুয়ারি রামমন্দির দর্শনে বীরভূম থেকে অযোধ্যায় গিয়েছিলেন করসেবক ও স্বয়ংসেবক মিলিয়ে প্রায় শ’দুয়েক জেলাবাসী।

    সাধারণ মানুষও নিজেদের খরচে রাম মন্দিরে যাচ্ছেন

    বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় নিজে ট্রেন ছাড়ার সময় স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন। রামভক্তদের তিনি স্বাগত জানান। তিনি বলেন, দেশজুড়ে আস্থা ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে রেল। এবার শুধু সিউড়ি বিধানসভার জন্যই এই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইআরসিটিসির আস্থা প্রকল্প থেকে এককালীন দেড় হাজার যাত্রীর টিকিট বুকিং করা হয়েছে অযোধ্যার জন্য। দলীয় তৎপরতায় এটা সম্ভব হয়েছে। কেবল বিজেপির সদস্যরা নন, নিজেদের খরচে সপরিবার অযোধ্যা যাচ্ছেন সাধারণ মানুষও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্টর গড়ে ধাক্কা খেল শাসক দল, তৃণমূলের যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Birbhum: কেষ্টর গড়ে ধাক্কা খেল শাসক দল, তৃণমূলের যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুকে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাল বিজেপি। খয়রাশোলের দাপুটে যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নীলমাধব চৌধুরী এবার ভোটের মুখে যোগ দিলেন বিজেপিতে। যুব তৃণমূল নেতার সঙ্গে আরও ৩০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে তাদের দলে যোগ দিয়েছে। এমনিতেই কেষ্ট-হীন বীরভূমে (Birbhum) তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে। কাজল অনুগামীদের সঙ্গে কেষ্ট অনুগামীদের লড়াই লেগেই রয়েছে। এরই মধ্যে নতুন করে দলের দাপুটে যুব তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় শাসক শিবির বড়সড় ধাক্কা খেল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    তৃণমূলে দম বন্ধ হয়ে আসছিল (Birbhum)

    সোমবার বিজেপির বীরভূম (Birbhum) জেলা কার্যালয়ে এই যোগদানপর্ব চলে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন ওই যুব নেতা। বিজেপিতে যোগদানের পর যুব নেতা নীলমাধব চৌধুরীর বক্তব্য, তৃণমূলের সন্ত্রাসের রাজনীতিকে সমর্থন করি না। ওই দলে দমবন্ধ হয়ে আসছিল। পাশাপাশি মোদিজি যেভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন, তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এদিন আমার সঙ্গে আরও দুই সাধারণ তৃণমূল নেতা-কর্মী মদন মণ্ডল ও সাধন দাস বৈরাগ্যও ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যোগ দিয়েছেন। আগামী দিনে তিন হাজার জন যোগদান করবে। যদিও এই দল বদলকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, আসলে স্বার্থ পূরণ হয়নি বলে কেউ দলবদল করেছে। তাতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। লোকসভা ভোটে কোনও প্রভাব প়ড়বে না।

    খয়রাশোলে তৃণমূল গোল্লা পাবে

    বিজেপির বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, খয়রাশোলে আমাদের সংগঠন ভালো। আর যুব নেতা যোগদানের কারণে সামনের লোকসভা ভোটে আমাদের ভালো ফল হবে। আগামীদিনে আরও অনেকে আমাদের দলে যোগদান করবে। আর তৃণমূল কংগ্রস খয়রাশোলে গোল্লা পাবে। বিজেপির ব্যাপক জয় হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, রাস্তা অবরোধকারী প্রতিবাদীদের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে

    Birbhum: ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, রাস্তা অবরোধকারী প্রতিবাদীদের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তায় প্রকাশ্যে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মাড়গ্রামে। এই ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামের লোকজন একজোট হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান। রাস্তা অবরোধ করলে প্রতিবাদীদের উপর ইট পাটকেল ছুঁড়ে ও লাঠি নিয়ে হামলার চালানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় আহত ৪-৫ পাঁচজন প্রতিবাদী জখম হন। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত তিনজনকে পুলিশ আটক করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    সোমবার দুপুরে বীরভূম (Birbhum) মাড়গ্রাম থানা এলাকার এক ছাত্রী সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় তিন যুবক একটি মোটর সাইকেলে চড়ে এসে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। তাদের মধ্যে একজন অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বাসার শেখের ছেলে। তৃণমূল নেতার বউমা বর্তমানে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। রাস্তায় প্রকাশ্যে নির্যাতিতা হওয়ার পর ছাত্রীটি বাড়ি ফিরে বাড়ির লোকজনকে  সেই ঘটনা কথা জানায়। বাড়ির লোকজন সমস্ত বিষয়টি গ্রামবাসীদের জানান। এরপর তার বাড়ি ও গ্রামের বাসিন্দারা ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। নির্যাতিতা ছাত্রীর বক্তব্য, আমি পাশের গ্রামে কম্পিউটার ক্লাসে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে সাইকেল চালিয়ে ফিরছিলাম। রাস্তাতেই তিনজন বাইকে করে আসে। তৃণমূল নেতার ছেলে ফুলবাবু আমার শ্লীলতাহানি করে।

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে আমরা রাস্তা অবরোধ করি। সেই সময় অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে এসে আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। ইটের আঘাতে ৪-৫ জন বিক্ষোভকারী গুরুতর জখম হন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী  ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি সামাল দেয়। দিনে দুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশের টহলদারি শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, রানাঘাট থেকে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    TMC: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, রানাঘাট থেকে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন রানাঘাটের এক তৃণমূল (TMC) নেতা। রবিবার রাতে রানাঘাট থানার আইসতলা থেকে সৌভিক ঘোষ ওরফে গুড্ডু নামের ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে ডায়মন্ডহারবার জিআরপি পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত যুবকের নাম পার্থ মাইতি। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া এলাকায়। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে পার্থ মাইতির সঙ্গে বেশ কয়েকজনের আলাপ হয় শিয়ালদা ডায়মন্ড হারবার শাখার হোটর স্টেশনে। রাজ্য সরকারের কর্মচারী বলে নিজেদেরকে পরিচয় দেন তাঁরা। এমনকী পার্থ মাইতিকে তাঁরা জানান যে রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি তে তাঁরা চাকরি করে দিতে পারেন। এরপরেই অর্থের বিনিময়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন তাঁরা। এই ঘটনায় ডায়মন্ডহারবার জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পাঁশকুড়ার বাসিন্দা পার্থবাবু। অভিযোগের পর ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে রানাঘাটের এই তৃণমূল (TMC) নেতার নাম সামনে আসে। আর এর পরই রবিবার রাতে আইসতলা থেকে ওই তৃণমূলের নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদিয়া জেলা পরিষদের আসনে আইসতলা থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী ছিলেন সৌভিক ঘোষ ওরফে গুড্ডু নামের ওই তৃণমূল নেতা। ধৃত সৌভিক ঘোষের পাশাপাশি আরও চারজনের নাম উঠে আসে তদন্তে। ধৃত সৌভিক ঘোষকে সোমবার ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালতে  হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    অনেকের কাছে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা অভিযোগ

    এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব ছিল তৃণমূল (TMC) নেতা সৌভিক ঘোষের। একাধিক মানুষের কাছ থেকে এই ভাবেই চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছে ওই তৃণমূল নেতা। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে রানাঘাট ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে, ওই তৃণমূল নেতাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেছে ধৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share