Tag: West Bengal

West Bengal

  • Storm: ১০ মিনিটের ঝড়ে তছনছ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা, ব্যাহত যান চলাচল, হল শিলাবৃষ্টিও

    Storm: ১০ মিনিটের ঝড়ে তছনছ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা, ব্যাহত যান চলাচল, হল শিলাবৃষ্টিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলার নানা প্রান্তে ঝড়বৃষ্টির (Storm) পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সত্যি প্রমাণিত হল। মাত্র ১০ মিনিট ধরে চলে ঝড়। আর তাতেই লন্ডভন্ড হয়ে যায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। কোথাও রাস্তার ওপর গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কোথাও আবার শপিং মলের ছাউনি উড়ে যায়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে এলাকা। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে।

    ঝড়ে (Storm) বারাকপুর-বারাসত রোড, বেলঘরিয়ায় যান চলাচল ব্যাহত

    কিছুক্ষণের ঝড়ের (Storm) তাণ্ডবে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি হয় বারাকপুর-বারাসত রোডের। বারাসতের আগে একটি বেসরকারি কলেজের সামনে রাস্তার ওপর বিশাল গাছ উপড়ে রাস্তার ওপর পড়ে যায়। যার জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এলাকায়। হঠাৎ ঘটা এই বিপত্তিতে রীতিমতো সমস্যায় পড়েন অফিস ফেরত যাত্রীরা। অবশেষে স্থানীয় বাসিন্দা ও যান চালকদের সহায়তায় গাছ কেটে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। অন্যদিকে, বেলঘরিয়া ফিডার রোডে ২৩৪ বাসস্ট্যান্ডের কাছে অল্প হাওয়াতেই বিরাট গাছ পড়ে ফিডার রোডের যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। পরে, পুলিশ-প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

    দুর্গাপুরে শিলাবৃষ্টি!

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝড় (Storm) আর শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় দুর্গাপুর শহর। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে ঝড়ের দাপট। ঝড়ের দাপটে দুর্গাপুর জংশন মলের সামনের অংশের ছাউনি উড়ে যায়। মল সংলগ্ন বেশ কিছু স্টলের ছাউনিও উড়ে গিয়েছে। দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন ব্যস্ততম রাস্তায় গাছ পড়ে জনজীবন ব্যাহত হয়। খানিকক্ষণের শিলাবৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে একাধিক এলাকা। শহরের বেশ কিছু এলাকায় ঘণ্টাখানেক ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জেলা প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জনজীবন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ৩৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য, ভার্চুয়াল শিলান্যাস করলেন মোদি

    Nadia: ৩৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য, ভার্চুয়াল শিলান্যাস করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া (Nadia) জেলায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই টাকায় নদিয়ার কৃষ্ণনগর শিমুলতলায় একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হবে। এদিন বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার ভার্চুয়াল শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের ডিআইজি সঞ্জয় কুমার সিংহ, বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারসহ একাধিক আধিকারিকরা।

    ৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র (Nadia)

    নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর শিমুলতলায় ওই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে জেলায় কর্মরত কেন্দ্রীয় জওয়ানদের পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করেন। শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীর ছেলেমেয়েরা নয় সাধারণ পরিবারের ছেলে মেয়েরাও এখানে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়ে থাকে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা দফতরের তরফে ৩৬ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করা হয়। ঠিক হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ অর্থ দিয়ে প্রায় সাত একর জমির ওপর নতুন বিল্ডিং তৈরি করা হবে। এদিন উপস্থিত হয়ে বিএসএফের ডিআইজি সঞ্জয় কুমার সিংহ বলেন, বহুদিন ধরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বহু ছেলেমেয়ে সেখানে পড়াশুনা করে। স্কুলে  পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজন ছিল। শিক্ষা দফতর বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে সেই প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন। প্রায় দুই হাজার পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে। নতুন করে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো তৈরির জন্য এই টাকা বরাদ্দ করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, দিন দিন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার উন্নতি ঘটছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করায় নতুন বিল্ডিং তৈরি করা হবে। এই স্কুলে প্রচুর সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েরা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে। নতুন করে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এদিন তার সূচনা হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ত্রিকোণ প্রেমের জের! আইনজীবীর গাড়িতে মিলল সেভেন এমএম, দেশি পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি

    Nadia: ত্রিকোণ প্রেমের জের! আইনজীবীর গাড়িতে মিলল সেভেন এমএম, দেশি পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালির মিলননগর বাজারে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আশিস বিশ্বাস নামে এক দুষ্কৃতীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। যদিও পুলিশের দাবি, নাকা চেকিংয়ের সময় গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলে পুলিশ। পরিচয় জানার পরই হতবাক হয়ে যায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দুজন আইনজীবী রয়েছেন। তাঁদের নাম প্রসেনজিৎ দেবশর্মা ও সুদীপ ব্রহ্ম। এছাড়াও একজন আইনের ছাত্র, একজন ল ক্লার্ক এবং একজন কুখ্যাত সমাজবিরোধী রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে মাদক মামলায় আশিস বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। স্বামীকে ছাড়ানোর জন্য তাঁর স্ত্রী নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট আদালতের আইনজীবী প্রসেনজিৎ দেবশর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিয়মিত আইনজীবীর সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখতেন। সেই সুবাদে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জেলে বসেই তার আঁচ পান আশিস। জেল থেকেই স্ত্রীকে খুন করার হমকি দিয়েছিলেন আশিস। তাঁর স্ত্রী বিষয়টি প্রেমিক আইনজীবীকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু, হুমকির বিষয়টি কথার কথা ভেবে সেভাবে তাঁরা গুরুত্ব দেননি। ফলে মেলামেশা বন্ধ হয়নি। ওদিকে জেল থেকে বেরিয়ে তাঁর সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে স্ত্রীর ওপর। নৃশংসভাবে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ফের জেলে যান আশিস। জেল থেকে বেরিয়ে স্ত্রীর মতো তাঁর প্রেমিক আইনজীবীকে খুন করার হুমকি দিয়ে যান। কয়েকদিন আগে আশিস জামিনে মুক্তি পান। পথের কাঁটা সরাতে এরপরই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গাড়ি করে আশিসের ওপর হামলা চালানোর ছক কষেন ওই আইনজীবী।

    ধৃতদের কাছে থেকে কী কী বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?

    জানা গিয়েছে, গাড়ির মধ্যে একটি সেভেন এমএম এবং একটি দেশি পিস্তল সহ ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে রানাঘাট আদালতে পাঠায় হাঁসখালি থানার পুলিশ। বিচারক ৭দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: তৃণমূল নেতাদের ‘কাটমানি’ না দেওয়ার অপরাধে বন্ধ হয়ে গেল আবাস যোজনার বাড়ি

    Durgapur: তৃণমূল নেতাদের ‘কাটমানি’ না দেওয়ার অপরাধে বন্ধ হয়ে গেল আবাস যোজনার বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম মেনে আবেদন করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের (Durgapur) ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের রায়ডাঙার একাধিক বাসিন্দা। তালিকায় নাম দেখে তাঁরা খুশিও হয়েছিলেন। বাড়ি তৈরির জন্য তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকাও ঢোকে। শুরু হয় ঘর তৈরির কাজ। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের ‘কাটমানি’ না দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Durgapur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দুর্গাপুরের (Durgapur) রায়ডাঙার প্রায় ২০ জন বাসিন্দা পুরসভায় চিঠি দেন। তাঁদের বক্তব্য, আবাস যোজনায় আমাদের নাম চূড়ান্ত হওয়ার পরে পুরসভা পরিদর্শন করে। এর পরে পুরসভা থেকে বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। বাড়ির নির্মাণকাজও শুরু হয়। কিন্তু, একতলার কিছুটা দেওয়াল গাঁথার কাজ হওয়ার পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। আসলে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই এলাকার চারজন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাঁদের কাছে টাকা চাইতে শুরু করেন। কাজ কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের সবার কাছে ২০ হাজার টাকা করে চাওয়া হয়। তাঁরা দাবি মতো সেই টাকা দিতে রাজি হননি। তারপর থেকে তাঁদের গালিগালাজ করা হয়। এমনকী বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আর তাঁদের সেই হুমকি সত্যি হল। সরকারি প্রকল্পের কাজ কাটমানি না দেওয়ায় বন্ধ হয়ে গেল। এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা ভাঙা টালির চালের ঘরে বসবাস করি। পাকা বাড়ি পেলে নিশ্চিন্ত হব। কাটমানি দিতে পারিনি বলে আমাদের বাড়ি হবে না।” পুর কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূল নেতৃত্ব কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দুর্গাপুর (Durgapur) পুরসভার প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি পুলিশকে খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। পুরসভার সচিব ও সংশ্লিষ্ট দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদেরও খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা আমরা সমর্থন করি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছালেন শুভেন্দু, ফুল ছড়িয়ে, শাঁখ বাজিয়ে নেতাকে বরণ

    Suvendu Adhikari: অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছালেন শুভেন্দু, ফুল ছড়িয়ে, শাঁখ বাজিয়ে নেতাকে বরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)  সন্দেশখালির পথে রওনা দেন। যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে পারেন বলে তিনি আশঙ্কা করেছিলেন। তাঁর সেই আশঙ্কা সত্যি হল। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ধামাখালিতে আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে শুভেন্দু অধিকারী কে আটকালো পুলিশ। সেখানেই দলের অন্যান্য বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসে যান বিরোধী দলনেতা। সন্দেশখালি যেতে বাধা নেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। শর্তসাপেক্ষে শুভেন্দু ঢুকতে পারবেন সন্দেশখালি। শুভেন্দুর সঙ্গে কেবল যেতে পারবেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আদালতের অনুমতি পেতেই শঙ্কর ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালি যান। বিরোধী দলনেতা বললেন, “এটি সংবিধানের জয়।” আর শুভেন্দু সন্দেশখালির পথে যেতেই উচ্ছাসে ফেটে পড়লেন বিজেপি কর্মীরা।

    শাঁখ বাজিয়ে শুভেন্দুকে বরণ সন্দেশখালিতে (Suvendu Adhikari)  

    সন্দেশখালি পৌঁছতেই ফুল ছড়িয়ে, শাঁখ বাজিয়ে বরণ শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। মানুষের ভিড়ে কার্যত এগোতে পাচ্ছেন না তিনি। টোটোয় চড়ে গ্রামের মানুষের কাছে যান বিরোধী দলনেতা। শোনেন অভাব অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারী গ্রামে প্রবেশ করতেই বেরিয়ে এলেন বাড়ির মহিলারা। নিজেদের অভাব-অভিযোগ জানালেন বিরোধী দলনেতাকে। একই সঙ্গে বরণ করে নিলেন তাঁকে। কেউ কেউ আবার পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। শুভেন্দু তাঁদের কাছে জানতে চাইলেন, তাঁরা এখন কেমন আছেন? লড়াই চালানোর বার্তাও দিলেন বিরোধী দলনেতা। এরপর সন্দেশখালির মাটিতে বসে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, শাহজাহান সিপিএমের প্রোডাক্ট। এর আগে বৃন্দা কারাট শাহজাহানের সঙ্গে মিটিং করে গিয়েছেন। বামেদের নিচুতলার কর্মীরা বিজেপিকে সমর্থন করে। জানা গিয়েছে, আদালতের অনুমতি পেতেই বৃন্দা কারাট ও সিপিএম-এম মহিলা ব্রিগেডও সন্দেশখালিতে যায়।

    সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আসার আগে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্দেশখালিতে নতুন করে ১২টা জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বলে জানালেন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার   মেহেদী হাসান রহমান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে সন্দেশখালি থানার পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ টি পয়েন্টে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে চারটি জায়গা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। জানা গেছে , মঙ্গলবা আবার নতুন করে ১২টি জায়গায় ফের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে মোট ২৭ টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali:  ‘রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই’, সন্দেশখালি ঘুরে মত জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের

    Sandeshkhali: ‘রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই’, সন্দেশখালি ঘুরে মত জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) । রাস্তায় বেরিয়ে গর্জে উঠেছেন নির্যাতিতা মহিলারা। সোমবার অসহায় সেই নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করতে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা সহ তিনজনের প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি যান। নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানিয়েছেন। আতঙ্কিত মহিলারা রেখা শর্মার কাছে রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জি জানিয়েছেন।

    নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বললেন রেখা শর্মা? (Sandeshkhali)

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে সন্দেশখালির আগেই আটকে দেওয়া হয়। সুকান্তর ওপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এর আগে তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেখানে সন্দেশখালির মানুষের সঙ্গে কথা বলে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে তিনি সওয়াল করেন। এমনকী সন্দেশখালি থেকে ফিরে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করা হয়। সোমবার দুপুরে  জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা সোজা সন্দেশখালি পৌঁচ্ছে যান। সন্দেশখালির পাত্রপাড়া, দাসপাড়া, কান্ডার পাড়র মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। যারা দীর্ঘদিন অভিযোগ করছিলেন, সেখানে অত্যাচার হয়েছে তার রিপোর্ট নিয়ে সোজা সন্দেশখালি থানায় যান। এদিন মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে সেই রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষেই সওয়াল করলেন এলাকার মহিলারা।

     জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন কী বললেন?

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা বলেন, আমি নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ভয়াবহ অবস্থা। দুটি ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি। শ্লীলতাহানির অভিযোগও অনেকে করেছে। কিন্তু, তাঁরা যা বলেছেন তা ভাবা যায় না। দিনের পর দিন মহিলাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। ১৮টি অভিযোগ পেয়েছি। যার সাহস করে মুখ খুলেছেন তাদেরকেও পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে। এই ধরনের অভিযোগও আমার সামনে এসেছে। আমাকে ধরে মহিলারা কাঁদছেন। আস্থা নেই পুলিশে। রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই।

    <

    p style=”text-align: justify;”> 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: গরু পাচার রুখলেন গ্রামবাসীরা, ম্যাটাডোর ভাঙচুর করে আগুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Asansol: গরু পাচার রুখলেন গ্রামবাসীরা, ম্যাটাডোর ভাঙচুর করে আগুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার রুখলেন গ্রামবাসীরা। গরু বোঝাই ম্যাটাডোর ঘিরে ধরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। গরু নামিয়ে ম্যাটাডোরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন উত্তেজিত জনতা। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের (Asansol) দক্ষিণ থানার ডাঙ মহিশীলায় গ্রামে। গরু চোর সন্দেহে দুজনকে গণপিটুনি দেন বলে অভিযোগ। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Asansol)

    আসানসোলের (Asansol) ডাঙ মহিশীলা গ্রামে গত কয়েকদিন ধরেই গরু চুরির ঘটনা ঘটে। বাড়ি থেকেও উধাও হয়ে যাচ্ছিল গরু। কিন্তু, চোরের হদিশ পাচ্ছিলেন না গ্রামবাসীরা। এমনকী মাঠ থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছিল গরু। তবে, কে বা কারা এই গরু চুরি করছিল তার হদিশ পাননি এলাকাবাসী। পুলিশের কাছে এনিয়ে একাধিক গ্রামবাসী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে, গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। সোমবার দুপুরে দুটি ম্যাটাডোরে গরু বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি গ্রামবাসীদের নজরে পড়তেই দুটি ম্যাটাডোর আটকান তাঁরা। গাড়ির চালকরা কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপরই গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে ম্যাটাডোর থেকে গরু নামিয়ে চালকদের ওপর চড়াও হন। তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দমকলের গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই এলাকায় গরু পাচার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দিনের পর দিন এলাকা থেকে গরু পাচার হয়ে গেলেও চোর ধরা পড়ছিল না। পুলিশের কাছে আমরা একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছি। তাতে কোনও কাজ হয়নি। এদিন দুটি ম্যাটাডোর করে অনেক গরু পাচার করা হচ্ছিল। আমরা হাতেনাতে তা ধরে ফেলেছি। অবিলম্বে এই গরু পাচারের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা আর্জি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Petrol Pump: বকেয়া মেটায়নি রাজ্য! উত্তরবঙ্গে পাম্প ধর্মঘট, রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি

    Petrol Pump: বকেয়া মেটায়নি রাজ্য! উত্তরবঙ্গে পাম্প ধর্মঘট, রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার আবেদন জানিয়েও পঞ্চায়েত ভোটে  কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ির জ্বালানির তেলের  টাকা দেয়নি রাজ্য। আর তাতে তৈরি হয়েছে সমস্যা। কোটি কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আর বকেয়া টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতেই পেট্রল পাম্প (Petrol Pump) ধর্মঘট করলেন কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার থেকে শুরু করে গোটা উত্তরবঙ্গের পাম্প মালিকেরা। সেই সুযোগে কোচবিহারে চলল তেলের কালোবাজারি। এক লিটার তেল বিক্রি হল ১৫০ টাকায়। কোথাও আরও বেশি টাকা দিয়ে তেল কিনলেন গ্রাহকেরা।

    বকেয়া নিয়ে সরব পেট্রল মালিকরা (Petrol Pump)

    পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই সময়ে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকার জ্বালানি তেল ব্যবহার হয়েছিল। যে টাকা এখনও বকেয়া থাকার অভিযোগ তুলে সূত্রের খবর, পেট্রল পাম্পগুলি (Petrol Pump) তাদের বকেয়া টাকা চেয়েছে রাজ্যের কাছ থেকে। এ দিকে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে। ফলে, বকেয়া টাকা কে মেটাবে তা নিয়ে চলছে টানাপডেন। ‘উত্তরবঙ্গ পেট্রল মালিক সমিতি’র কোচবিহার জোনের দায়িত্বে রয়েছেন দীপঙ্কর বণিক। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে শুধু কোচবিহারেই ৯০ লক্ষ টাকার তেল দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সে বকেয়া কেউ মেটাচ্ছে না। এ ছাড়া, একাধিক ব্লক অফিসের লক্ষ-লক্ষ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। এমন হলে পেট্রল পাম্প চালানো কঠিন। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলন করতে হচ্ছে।”

    পাম্প ধর্মঘটে শুরু হয়েছে কালোবাজারি

    আলিপুরদুয়ারেও ধর্মঘটের জেরে বন্ধ পেট্রল পাম্প বন্ধ ছিল গোটা দিন। আলিপুরদুয়ার শহর-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাম্পের সামনেই পেট্রলের কালোবাজারি চলে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, কোথাও লিটার প্রতি পেট্রল কিনতে গ্রাহকদের গুণতে হল বাড়তি কুড়ি টাকা, তো কোথাও আবার তিরিশ থেকে চল্লিশ টাকা। কোচবিহার স্টেশন মোড়ে একটি পেট্রল পাম্প (Petrol Pump) রয়েছে। সে পাম্প এ দিন বন্ধ ছিল। পেট্রল পাম্পের পাশেই রাস্তার ধারে ছোট-ছোট পাত্রে জ্বালানি তেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক জন যুবক। লিটার প্রতি কেউ তিরিশ টাকা কেউ চল্লিশ টাকা বেশি নিয়ে পেট্রল বিক্রি করছিলেন। খোলা জায়গায় প্রায় সর্বত্র পেট্রল বিক্রির অভিযোগ রয়েছেই। এ দিন তা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। দিনহাটা-মাথাভাঙা প্রধান সড়কের ধারে বোতলে পেট্রল ভরে তা বিক্রি করা হয়।

    জেলা প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    কালোবাজারির বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায়নি প্রশাসন বা পুলিশকে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, কালোবাজারির কোনও অভিযোগই আমাদের কাছে কেউ করেননি। জেলা পুলিশের এক কর্তাও বলেন, আমাদের কাছে তেমন অভিযোগ যায়নি। তবে, সাধারণ মানুষের স্বার্থে কর্তৃপক্ষকে রাজি করিয়ে জেলায় দুটি পেট্রল পাম্প সকালের দিকে খুলে রাখা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ‘সেরার’ তকমা পাওয়া জেলা হাসপাতালে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ক্ষুব্ধ রোগীরা

    Dakshin Dinajpur: ‘সেরার’ তকমা পাওয়া জেলা হাসপাতালে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ক্ষুব্ধ রোগীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা হাসপাতাল পেয়েছে রাজ্যের সেরা হাসপাতালের তকমা। অথচ ‘সেরা’ হাসপাতালে একাধিক রোগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। কলকাতা থেকে ডাক্তারবাবুরা এসে সামাল দেন। তারা যে নিয়মিত আসেন, তাও নয়। সমস্যায় রোগী এবং তাঁর বাড়ির লোকেরা।

    ডাক্তার অভাবে ধুঁকছে হাসপাতাল! (Dakshin Dinajpur)

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা হাসপাতাল চত্বরে তৈরি করা হয়েছে সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল। ভবন ১০ তলার। চিকিৎসা পরিষেবার জন্য হাসপাতালে উন্নতমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম আনা হলেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাবে খুঁকছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। মেডিসিন, প্রসূতি, অর্থোপেডিক এবং আরও কয়েকটি বিভাগে ডাক্তার রয়েছেন। ডাক্তারের অভাব রয়েছে ইউরোলজিস্ট বা নিউরোলজিস্ট, নেফ্রোলজিস্ট, গ্যাস্ট্রো বিভাগের। এমনকী কার্ডিওলজি বিভাগও ডাক্তারহীন। সামান্য প্রস্টেটের সমস্যার জন্য হাসপাতাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পরিষেবা। প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বাইরে থেকে দেখিয়ে নেওয়ার। বালুরঘাট পুরসভার আওতায় পুর হাসপাতাল ‘মাতৃসদন’। এর নীচে একটি বেসরকারি সংস্থার ল্যাব রয়েছে। সেখানে বাইরে থেকে ডাক্তাররা রোগী দেখতে আসেন। কিন্তু তাও মাসে একবার। একই অবস্থা গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতাল ও সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    কুমারগঞ্জের বাসিন্দা কমল বিশ্বাস বলেন, ‘তিনদিন আগে বাবার প্রস্টেটজনিত সমস্যায় জেলা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলাম। শুক্রবার বাবাকে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ইউরোলজিস্ট না থাকায় সেখানে বাবার চিকিৎসা সম্ভব হয়নি। কলকাতা থেকে একদিনের জন্য আসা ডাক্তারবাবুই ভরসা। অবিলম্বে হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে আসা উচিত।’

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, সেরা তকমা তো দিদিমণির হাতে। তিনি চেয়েছেন তাই সেরা তকমা পেয়েছে বালুরঘাট হাসপাতাল। হাসপাতাল সেরা তকমা পেলেও হাসপাতালে কোনও ভালো চিকিৎসার ব্যাবস্থা নেই। রোগীদেরকে চিকিৎসা করাতে জেলার বাইরে নিয়ে যেতে হয়। সবটাই লোক দেখানো।

    জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস বলেন, ‘এই মুহূর্তে জেলায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। তবে স্বাস্থ্য দফতরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের জন্য আবেদন জানিয়েছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্পেশালিস্ট ডাক্তারদের যাতে পোস্টিং করানো যায়, তা নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: মিষ্টি-মাংসের দোকানে শিবু-উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার টাকা বাকি, শিবিরে শুনলেন আধিকারিকরা

    Sandeshkhali: মিষ্টি-মাংসের দোকানে শিবু-উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার টাকা বাকি, শিবিরে শুনলেন আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডি আধিকারিকরা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন। তারপর থেকে বিভিন্ন ঘটনায় গত দেড় মাস ধরে খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি। অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। পরিস্থিতি সামাল দিতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য রবিবার থেকে সন্দেশখালির বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকছে সেই ক্যাম্প। সরকারি আধিকারিকরা সেখানে থাকছেন। সংগ্রহ করা হচ্ছে অভিযোগ। সকাল সাধারণ মানুষের বক্তব্য সেই অভিযোগের খাতায় নথিভুক্ত করা হচ্ছে।

    কী অভিযোগ জানালেন বাসিন্দারা? (Sandeshkhali)

    গত কয়েক দিনের গণআন্দোলনে গোটা দেশ সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের দৌরাত্ম্যের কথা জেনে গিয়েছে। শাহজাহানের শাগরেদ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিষ্টি জলের পুকুরে তাঁরা নোনাজল ঢুকিয়ে দিয়েছেন, জমি কেড়ে নিয়েছেন, লিজের টাকা দেননি, ভেড়িতে কাজ করার টাকা দেননি। কেউ বলছেন, আমি ৪০ হাজার টাকা পাই, কেউ বলছেন ১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা পাই। টাকার কথা বললে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হত। সরকারি অফিসাররাও এমন সব অভিযোগ শুনে চমকে যাচ্ছেন। বিনিময়ে চাকরির দুর্নীতি হয়েছে। দেশবাসী নিশ্চয়ই এগুলি ভুলে যাননি।’ অভিযোগ শুনে হতবাক হয়ে যান অফিসাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সন্দেশখালির এক বাসিন্দা এদিন ওই ক্যাম্পে হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার কাছ থেকে উত্তম সর্দার ৬০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। উত্তম বলেছিলেন, একমাস পরে আমাকে ফেরত দিয়ে দেবেন। তারপর আর আমি সেই টাকা পাইনি।’ ওই ব্যক্তির আরও অভিযোগ, জবকার্ডের জন্য তাঁর অ্যাকাউন্টে ২৪ হাজার টাকা ঢুকেছিল। তার মধ্যে ২২ হাজার টাকাই উত্তমকে দিয়ে দিতে হয়েছিল।

    সরকারি আধিকারিক কী বললেন?

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) বিডিও অফিসের এক আধিকারিক বলেন, ‘কলকাতা শহরের থেকে সামান্য দূরত্বে এই সন্দেশখালি। এলাকার মানুষের এত দুর্দশা! অথচ আমরা এতদিন তা জানতামই না। এবার সব বুঝতে পারছি। সকাল থেকে একের পর এক অভিযোগ এসেছে। ওই সব অভিযোগ শুনে আমরা অবাক হয়ে যাচ্ছি। সমস্ত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেওয়া হবে।’

    মিষ্টি-মাংসের দোকানে বাকি শিবু-উত্তমের!

    শুধু তাই নয়, সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকার বিভিন্ন পোশাকের দোকান, মিষ্টি দোকান, মাংসের দোকানে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, সেসব দোকানে শিবু, উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার  টাকা বাকি রয়েছে। টাকা চাইলেই হুমকি শুনতে হত। ওই দোকানদাররা সেই খাতা নিয়ে ক্যাম্প অফিসে চলে আসছেন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘ক্যাম্প খোলা হয়েছে সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য। অভিযোগ জানাতে অনেকেই আসছেন। কেউ বলছেন টাকা পাননি, কেউ বলছেন, টাকা চাইলেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কথা বলতে বলতে অনেকেই কেঁদে ফেলছেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share