Tag: West Bengal

West Bengal

  • Sandeshkhali: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার জের! পুলিশের পোশাক পরে মহিলার বাড়িতে হামলা

    Sandeshkhali: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার জের! পুলিশের পোশাক পরে মহিলার বাড়িতে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ার পর উচ্ছ্বাসে মেতে ছিলেন সন্দেশখালিবাসী। আর শনিবার রাতেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এক নির্যাতিতার বাড়়িতে পুলিশ পোশাক পরে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এমনই অভিযোগ নির্যাতিতা মহিলার। ফলে, নতুন করে আতঙ্ক আবার দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন, শিবু হাজরা লোক বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছিলেন। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়ে আসার পর থেকে রেহাই নেই! শনিবার সন্দেশখালিতে ছিল উৎসবের মেজাজ। মানুষে মিষ্টি মুখ করেছেন। কিন্তু রাতেই জানান দিল সন্ত্রাস! বসিরহাট আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়া ওই মহিলার বাড়িতে পুলিশের পোশাকে ঢুকে হামলার অভিযোগ উঠল। শিবু হাজরার গ্রেফতারির রাতেই বাড়িতে চলল হামলা। বেড়ার ঘরের দেওয়াল ফুটো করে দেখা হল, ঘরের ভিতরে কোন মহিলা শুয়ে? কিন্তু পুলিশের পোশাকে কেন হামলা? পুলিশের বক্তব্য, পুলিশই এসেছিল, তবে মহিলার নিরাপত্তার জন্য। জানা গিয়েছে, রাতের ওই ঘটনার পর রবিবার ওই মহিলার বাড়িতে আন্দোলনকারীরা আসেন। তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেন। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, এখনও আমরা নিরাপদ নই। পুলিশ কোথায়? এই বাড়ির গলি ঘুরতেই পুলিশ ক্যাম্প! আমাদের আতঙ্কের কোনও শেষ নেই। ভীষণভাবে আতঙ্কিত গ্রামের মহিলারা। মহিলারা এখন মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে। আসলে এভাবে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে ওরা।

    নির্যাতিতা মহিলা কী বললেন?

    নির্যাতিতা মহিলার বক্তব্য, গোপন জবানবন্দি দেওয়া আমার অপরাধ। রাতেই পুলিশ পোশাক পরে বাড়িতে চড়াও হয়। দেওয়াল ফুটো করে দেওয়া হয়। ঘরের মধ্যে টর্চ মেরে আমি রয়েছি কি না দেখা হয়। এভাবে পুলিশ বাড়ির ভিতর ঢুকে তাণ্ডব করতে পারে। আসলে পুলিশের আড়ালে কারা ছিল তা তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ, আমাকে সামনে পেলেই হামলা হত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের দাদাগিরি! তেরঙ্গা ঝান্ডা লাগিয়ে অসহায় বৃদ্ধার জমি দখল, হুঁশ নেই পুলিশের

    South 24 Parganas: তৃণমূলের দাদাগিরি! তেরঙ্গা ঝান্ডা লাগিয়ে অসহায় বৃদ্ধার জমি দখল, হুঁশ নেই পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতাদের দাদাগিরি জেরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে এক বৃদ্ধার তাঁর বাস্তু-সহ ২৬ শতক মূল্যবান জমি হারাতে বসেছে। জমিতে বেড়া দিয়ে ঘিরে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দখল নেওয়ার অভিযোগ। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে প়ড়েছে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন কমলা প্রধান নামে ওই বৃদ্ধা।

    ঠিক কীভাবে তৃণমূল দখল নিল জমি? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কমলাদেবীর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপের বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর-শ্রীনাথ গ্রামে। দু’বছর আগে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। বাড়িটিও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর অসুস্থতার জন্য বাড়ি ছেড়ে পাথরপ্রতিমায় বাপেরবাড়ি চলে যান তিনি। অভিযোগ, তাঁর বাস্তু ও লাগোয়া চাষজমির ওপর নজর পড়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের। কারণ,জমিটি স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড ও বাজার লাগোয়া হওয়ায় বাজারদর বেশ চড়া। সবমিলিয়ে জমির পরিমান ২৬ শতক। এই জমির মূল্য অনেক। অভিযোগ,সেই মূল্যবান জমিটি দখল করার জন্য বারে বারে চাপ দিচ্ছিলেন শাসকদল তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। কিন্তু, ওই বৃদ্ধা সেই জমি দিতে রাজি হননি। অভিযোগ, তাতেই বাড়ি, জমি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে জোর করে দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ। অসহায় বৃদ্ধা বলেন, থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ এলাকা থেকে ঘুরে গিয়েছে। কিন্তু জমির বেড়া ও পতাকা কিছুই সরানোর উদ্যোগ নেয়নি তারা।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বুধাখালি অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি বাবলু প্রধান বলেন, এই ঘটনা আমার জানা নেই। এরকম হয়ে থাকলে দল যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। এই ধরনের অন্যায় কাজকে দল সমর্থন করে না। বিজেপির কাকদ্বীপ মণ্ডল ২ ইনচার্জ শিবপ্রসাদ প্রামাণিক বলেন, সন্দেশখালির মতো শেখ শাহজাহান সব জায়গায় রয়েছে। সন্দেশখালিতে যেভাবে জমি হাতানো হয়েছে, এখানেও সেই চেষ্টা করছে তৃণমূল নেতারা। আমরা চাইছি অবিলম্বে এফআইআরে নাম থাকা নেতাদের গ্রেফতার করুক পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: শিবুর দাদাগিরি! ঋষি অরবিন্দ ময়দানের নাম বদলে করা হয় শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব

    Sheikh Shahjahan: শিবুর দাদাগিরি! ঋষি অরবিন্দ ময়দানের নাম বদলে করা হয় শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি বিডিও অফিস থেকে সোজা এগিয়ে গেলে ঋষি অরবিন্দ মিশন পাড়া।  রাস্তার পাশে মাঠের আগের নাম ছিল ঋষি অরবিন্দ ময়দান। সেই নামও রাতারাতি বদলে যায়। সৌজন্যে শাহজাহান বাহিনীর হাত যশ। বদলে ফেলা হয় ঋষি অরবিন্দ ময়দানের নামও। দেওয়া হয় ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব।’ মাঠ ঢোকার মুখে গেটে লেখা রয়েছে, শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ফ্যান ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই শাহজাহান বাহিনীর এলাকায় কী তাণ্ডব চালাত তা আরও একবার সামনে চলে এসেছে।

    কীভাবে শাহজাহান বাহিনী দখল করল মাঠ? (Sheikh Shahjahan)

    বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে সেখানে ভেড়ি তৈরি করত শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ও তাঁর বাহনীর সদস্যরা। জমি লিজে নেওয়ার কথা বলে সেই জমি হাতিয়ে নিত শাহজাহানের দলবল। লিজের টাকা চাইতে গেলে জুটত মার। এমনকী বাড়ির সুন্দরী বউদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে। এবার খেলার মাঠও গিলে খেয়ে নিয়েছিল শাহজাহান বাহিনী। বাসিন্দাদের বক্তব্য, ঋষি অরবিন্দ ময়দানে জমিতেই এক সময় কলেজ হওয়ার কথা ছিল। তা আর হয়নি। মাঠের চারপাশে প্রচুর গাছ ছিল, ছেলেরা খেলত। গোরু-ছাগলও চরত। বর্ষার সময় ওই মাঠ আমাদের বড় ভরসা ছিল। বছর তিনেক আগে আচমকা শাহজাহানের অন্যতম সাগরেদ শিবু হাজরার দলবল সব গাছ কেটে নিল, জানাল স্টেডিয়াম হবে। কোথায় স্টেডিয়াম! শুরু হল, শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বিধায়ক নির্মল ঘোষ এসেছিলেন। এতদিন ওই মাঠ ওদের দখলে ছিল।

    মাঠে ঢুকলেই দিতে হত জরিমানা!

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাঠ দখল করে নাম পরিবর্তন করায় আমরা সবাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু, ওদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারও সাহস ছিল না। নিজেরা মাঠের জমি দখল করে যা খুশি করত। আর ওই মাঠে কেউ খেলতে যায় না। আর মাঠে গরু, ছাগল ঢুকলে জরিমানা ধার্য করেছিল শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) বাহিনী। দিতে হত ৩০০-৪০০ টাকা জরিমানা। সেই স্বঘোষিত দাপুটে তৃণমূল নেতারা কেউ জেলে, কেউ ফেরার  হতেই, এখন নির্বিঘ্নে ওই মাঠেই চরছে গোরু-ছাগল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: পরীক্ষার আগেরদিন চলে আসছে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র! চাওয়া হচ্ছে টাকা, বড় চক্রের হদিশ

    Raiganj: পরীক্ষার আগেরদিন চলে আসছে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র! চাওয়া হচ্ছে টাকা, বড় চক্রের হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসের বড়সড় চক্র ধরা পড়েছিল মালদায়। পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল একাধিক পরীক্ষার্থীর। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে টাকা হাতানোর বড়সড় চক্রের হদিশ মিলেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে (Raiganj)। যা সামনে আসতেই চা়ঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কীভাবে কাজ করছে এই চক্র? (Raiganj)

    জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষার অনেক আগেই মিলে যাচ্ছে হুবহু হাতে লেখা প্রশ্ন। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তা বিক্রির জন্য টাকা চাওয়া হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের কাছে। প্রশ্নপত্র দ্রুত দিয়ে আবার ডিলিট করে টাকা নেওয়ার ফাঁদও পাতা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে কিউআর  কোড। এমনই স্ক্রিন রেকর্ড ও স্ক্রিনশট নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হল রায়গঞ্জের একদল পরীক্ষার্থী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পড়ুয়াদের দাবি, ‘মাস্টার মাইন্ড’ নামের একটি গ্রুপ হোয়াটসঅ্যাপে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ইতিমধ্যেই ‘মাস্টার মাইন্ডে’র দেওয়া বাংলা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল দেখা গিয়েছে। আর এরপর ইংরেজি সহ বাকি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও একইরকমভাবে যদি মিল পাওয়া যায় তাহলে পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিযোগকারীরা। শনিবার রাতেই রায়গঞ্জ (Raiganj) থানার দ্বারস্থ হওয়ার পর রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একদল পরীক্ষার্থী।

    বদনাম করার চক্রান্ত!

    মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করে পর্ষদ। মালদার দুটি স্কুল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। অভিযুক্ত ছাত্রদের চিহ্নিতও করা হয়। সেক্ষেত্রেও উঠে আসে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথা। তদন্ত চালিয়ে ওই গ্রুপের অ্যাডমিন এক গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আবার উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা চলে বলে অভিযোগ ওঠে। ২ জনকে শনাক্ত করা হয়। তাদের পরীক্ষা বাতিলও করা হয়। এই বিষয় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা জেলার জয়েন্ট কনভেনারের বক্তব্য, এসব করে পর্ষদকে বদনাম করার চক্রান্ত চলছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: রাতের অন্ধকারে সবুজ সাথী সাইকেল পাচারের চেষ্টা! জেলাজুড়ে শোরগোল

    South 24 Parganas: রাতের অন্ধকারে সবুজ সাথী সাইকেল পাচারের চেষ্টা! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে সরকারি সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল তছরুপের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তীতে। বাসন্তী থানার উত্তর মোকামবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পালবাড়ি এলাকায় এক মহিলার বাড়ি থেকে ১৯ টি সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল উদ্ধার হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    পুলিশ ও বাসন্তী ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তীর ঢুঁড়ি জনপ্রিয় নগর স্কুল থেকে বাসন্তী ব্লকের বিভিন্ন স্কুলে সবুজ সাথী সাইকেল পাঠানো হচ্ছিল। সেই মোতাবেক বাসন্তীর কুলতলি নারায়ণতলা রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দির স্কুলেও ২৩৯ টি সাইকেল আসার কথা ছিল। রাতে সুব্রত নামে ওই ট্রাক চালককে সেকারণে ঢুঁড়িতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর গাড়িতেই সাইকেল আসে। কিন্তু স্কুলে ২৩৯ টি সাইকেল নামিয়ে দিয়েও ১৯ টি সাইকেল বেশি হয়। সেই বাড়তি সাইকেল ওই ট্রাক চালক বাসন্তীর পালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শিখা সাউয়ের বাড়িতে রেখে যায়। যদিও এই ঘটনা সম্পর্কে বাড়ির মালিক কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। মিনি ট্রাক চালক সুব্রত রাউত নামে এক ব্যক্তি শনিবার রাত ১২টা নাগাদ এই সাইকেলগুলো তাঁর বাড়ির একটি ফাঁকা টিনের ঘরে সেগুলি রেখে যায় বলে বাড়ির মালিক শিখা সাউয়ের দাবি। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই রবিবার সকালের মধ্যে ৬ টি সাইকেল নারায়ণতলা রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দির স্কুলে দিয়ে আসে সুব্রত। তবে, ঘটনার কথা জানতে পেরে বাসন্তী থানার পুলিশ বাকি ১৩ টি সাইকেল উদ্ধার করেছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই সাইকেলগুলি চুরি করে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তদের। তাই, সরকারি প্রকল্পের সাইকেল রাতের অন্ধকারে পাচার করে এনে শিখা সাউ নামে স্থানীয় এক মহিলার বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। আসলে সরকারি এই সাইকেল হাতিয়ে বিক্রি করার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে, তাদের সকলকে গ্রেফতার করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শিবু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা পাড়া ঘুরে ঘুরে তালিকা তৈরি করছেন, ক্ষোভে ফুঁসছেন সন্দেশখালিবাসী

    Sandeshkhali: শিবু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা পাড়া ঘুরে ঘুরে তালিকা তৈরি করছেন, ক্ষোভে ফুঁসছেন সন্দেশখালিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষোভে ফুঁসছেন সন্দেশখালিবাসী। মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল। আর সেটা দলীয় নেতারা বুঝতে পেরে ক্ষতে প্রলেপ দিতে উদ্যোগী হয়েছে শাসক দল। জমি নেওয়ার পর গ্রামবাসীদের লিজের টাকা দিতেন না শাহজাহান বাহিনীর উত্তম সর্দার- শিবু হাজরারা। এবার সেই লিজের টাকা না পাওয়া বাসিন্দাদের তালিকা তৈরি করছে পঞ্চায়েত। তালিকা তৈরি করছেন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) পঞ্চায়েতের উপ প্রধান গণেশ হালদার। আর সেই তালিকা নিয়ে চর্চা চলছে সন্দেশখালিজুড়ে। কারণ, এই গণেশই শিবু হাজরার অনুগামী। তাঁর বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। তাঁকে আবার তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    তালিকা তৈরি নিয়ে মুখ খুললেন বাসিন্দারা (Sandeshkhali)

    তৃণমূল নেতা গণেশ এই এলাকায় তিন বারের পঞ্চায়েত সদস্য। গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকার গরিব মানুষের থেকে গণেশ যা টাকা তুলতেন, তার ভাগ যেত শিবপ্রসাদ, শেখ শাহজাহানের কাছেও। এই এলাকায় গণেশ খাস জমি দখল করে ভেড়ি বানিয়েছেন বলেও অভিযোগ তাঁদের। গণেশের নিজের বুথ এলাকা ৫ ঘটি পাড়ার বাসিন্দাদের অনেকের বক্তব্য, যাঁর বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগ, তিনিই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে এলাকার মানুষের কাছ থেকে জমি লিজ় সংক্রান্ত অভিযোগ শুনছেন। রুমা মণ্ডল নামে এই এলাকার এক বাসিন্দার অভিযোগ, গণেশ আমাদের পাট্টা করিয়ে দেবে বলে ৭০০ টাকা নিয়েছিলেন দু’বছর আগে। কিন্তু, টাকা ফেরত দেননি, কাজও হয়নি। উনিই আবার জমির সমস্যা সমাধানে বেরিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে কী হবে। রুমার মতো অনেকের অভিযোগ, চারশো, পাঁচশো করে যখন যেমন খুশি টাকা নিয়েছেন গণেশ। গণেশের বিরুদ্ধে অভিযোগের বহর আরও বড় বলে জানিয়েছেন নমিতা মণ্ডল-সহ বেশ কয়েক জন। নমিতার দাবি, গণেশ তাঁর দলবল নিয়ে চড়াও হয়ে এই গ্রামের বহু লোকের একশো দিনের কাজের টাকা তুলে নেন। আমার পরিবারেই ছ’জন একশো দিনের কাজ করেছিলেন। তিন জনের ব্যাঙ্ক একাউন্টে তিন হাজার টাকা করে ঢুকেছিল প্রায় দু’বছর আগে। গণেশের লোক এসে বলে যায়, নয় হাজারের মধ্যে দেড় হাজার রেখে সাড়ে আট হাজার টাকা দিয়ে দিতে হবে। তাই করতে হয়। কাটমানি নেওয়া নেতা টাকা ফেরানোর আশ্বাস দেন কী করে! শিবপদ কাণ্ডার নাম এক বাসিন্দা বলেন, “একশো দিনের কাজ করেছিলেন প্রায় ৩৭ দিন। দু’বছর আগে একবার ৫,৭০০ টাকা ঢুকেছিল। গণেশ চাপ দিয়ে সব টাকা তুলে নেন। ওদের কথা না শুনলে, মিটিং-মিছিলে না গেলে কোদালের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হত। ভয়ে ওদের কথা শুনতে হত।”

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গণেশ অবশ্য অভিযোগের কথা মানতেই চাননি। তিনি বলেন, “সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার সামনে এমন অভিযোগ কেউ করতে পারবে না। আসলে এসব নিয়ে অনেকে রাজনীতি করছেন।” সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিধায়ক তৃণমূলের সুকুমার মাহাতো বলেন, “যার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ, সব শোনার জন্য নেতারা যাচ্ছেন। এত দিন কেউ তো কিছু বলেনি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শিবু গ্রেফতারে খুশির হাওয়া সন্দেশখালিতে, ফ্রিতে মিষ্টি-চা বিতরণ

    Sandeshkhali: শিবু গ্রেফতারে খুশির হাওয়া সন্দেশখালিতে, ফ্রিতে মিষ্টি-চা বিতরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির ওপর হামলার পর থেকে শেখ শাহজাহান ফেরার। এখনো পুলিশ তাঁর কোঁজ পায়নি। তবে, তাঁর অন্যতম দুই সাগরেদ উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আর তারপরই উল্লাসে মেতে উঠলেন সন্দেশখালির মহিলারা। তাই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) কোথাও চলছে বিনামূল্যে চা খাওয়ানোর পর্ব তো কোথাও মিষ্টি মুখের পালা।

    বিনামূল্যে চা-মিষ্টি বিতরণ! (Sandeshkhali)

    শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ায় এবার আতঙ্ক কাটল, নতুন করে স্বাধীনতা ফিরে পেলেন বলে জানাচ্ছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। কেউ বলছেন, “অনেকটা সাহস পেলাম। এবার নতুন করে জীবন ফিরে পাব। নতুন করে স্বাধীনতা পাব আশা করছি।” এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিবু হাজরার লোকজন গ্রামের মহিলাদের বিকালের পর পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যেতেন এবং তাঁদের ওপর যৌন নির্যাতন চলত। শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ার পর এবার তাঁর কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন সন্দেশখালির বাসিন্দারা। যার প্রেক্ষিতে শনিবারই শিবু হাজরার বিরুদ্ধে জমি দখল, মানুষের উপর অত্যাচার-সহ অন্যান্য ধারার পাশাপাশি গণধর্ষণের মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপর সন্ধ্যাতেই পুলিশের জালে পাকড়াও হয় শিবু হাজরা। শিবু হাজরার গ্রেফতারির খবর শুনেই সন্দেশখালির শ্রীমনি বাজারে চায়ের দোকানিরা এদিন সন্ধ্যায় সকলকে বিনামূল্য চা খাওয়াচ্ছেন। রবিবার সকালে সকলকে মিষ্টি খাওয়ান শ্রীমনি বাজারের দোকানিরা। আবার এলাকার মহিলারা বলছেন, “আমরা ঘরেই মিষ্টি খাব।”

    আন্দোলনকারী মহিলাদের কী বক্তব্য?

    শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ায় কেবল মহিলা নয়, স্থানীয় বাসিন্দা সকলের মধ্যেই খুশির বাঁধ ভেঙে পড়েছে। তবে, শিবু হাজরা গ্রেফতার হলেও এখনই আন্দোলন থামছে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। তাঁদের কথায়, “শিবু হাজরার মাথায় রয়েছে শেখ শাহজাহান। শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হলেই আন্দোলন থামবে।” শাহজাহান গ্রেফতার হলেই আতঙ্কের পরিবেশ কাটবে এবং এলাকাবাসী নির্ভয়ে বাঁচতে পারবে বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: “বাবা অসুস্থ, যাবেন না”, মুকুলের ইডি-তলব নিয়ে জানালেন ছেলে শুভ্রাংশু

    Mukul Roy: “বাবা অসুস্থ, যাবেন না”, মুকুলের ইডি-তলব নিয়ে জানালেন ছেলে শুভ্রাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ড সংস্থা অ্যালকেমিস্ট মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ জন্য কৃষ্ণনগরের উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়কে (Mukul Roy) ১৯ শে ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ইডি-র পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছে। তবে, ইডি-র ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়। কেন তাঁর বাবা ইডির ডাকে দিল্লি যাচ্ছেন না তা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

    কী বললেন মুকুল (Mukul Roy)-পুত্র?

    চিটফান্ড সংস্থা মামলায় মুকুল রায়কে তলব করা হয়েছে দিল্লিতে। শুক্রবার ইডি-র পাঠানোর চিঠি প্রসঙ্গে মুকুল (Mukul Roy) পুত্র শুভ্রাংশু রায় বলেন, ইডির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে চিঠি এসেছে। কিন্তু, বাবার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে বাবার পক্ষে দিল্লি যাওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। তবে, আমরা তদন্ত সহযোগিতা করতে সব রকম ভাবেই প্রস্তুত। বাবাকে যদি তারা ফোন করে চান, তাতে কোনও আপত্তি নেই। বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। ইডি এই উদ্যোগ নিলে আমরা স্বাগত জানাবো। এছাড়া তারা যদি ভিডিও কলিং করে বাবার সঙ্গে কথা বলতে চান তা তাঁরা করতে পারেন। আমাদের অবস্থান আমরা চিঠি দিয়ে ইডি আধিকারিকদের জানিয়ে দিয়েছি। আমরা ইডি আধিকারিকদের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছি। পরবর্তীকালে তারা যে নির্দেশ দেবে সেইমতো  পরবর্তী পদক্ষেপ আমরা নেব। জানা গিয়েছে,  কাঁচরাপাড়ার বাড়িতেই রয়েছেন মুকুল রায়। এদিন সকালে ইডি-র হাজিরা নিয়ে অবস্থান জানতে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাঁর বাড়িতে হাজির হন। মুকুল পুত্র শুভাংশু রায় বেরিয়ে আসেন। ইডি-র ডাকার বিষয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তবে এই সময়ের মধ্যে একবার দোতলার বারান্দায় এসে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন মুকুল রায়। বিশেষ কিছু কথা তিনি বলেননি। শুভ্রাংশু রায় বলেন, বাবার শারীরিক অবস্থা কেমন তা বারান্দাতেই আপনারা দেখতে পেয়েছেন। তাই, এখন ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। মুকুল রায়ের পক্ষ থেকে ইডি আধিকারিকদের যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ইডি কী উত্তর দেয় সেটার অপেক্ষায় রয়েছেন তৃণমূল বিধায়কের পরিবার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: তৃণমূল নেতার অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গেলে বাধা, ফিরে এল পুরসভা

    Siliguri: তৃণমূল নেতার অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গেলে বাধা, ফিরে এল পুরসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার বাধায় অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে  ফিরে এলো তৃণমূল পরিচালিত শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভা। কারণ, সেই অবৈধ নির্মাণ হওয়া বাড়ির মালিক হচ্ছেন স্বয়ং তৃণমূল নেতা। শাসক দলের নেতা বলেই পিছু হটতে বাধ্য হল পুরসভা। এটা নিয়ে শিলিগুড়ি জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Siliguri)

    জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আইন মেনে নোটিশ জারি করে শুক্রবার শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার কর্মীরা ওই বাড়ি ভাঙতে যায়। বাড়ির মালিক সৌমিত্র দেবনাথ তৃণমূলের ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক। এই বিতর্কিত বাড়ির নিচে তৃণমূলের নির্বাচনী কার্যালয় খোলা হয়েছে। পুরসভার কর্মীরা তার বাড়ি ভাঙতে গেলে  তিনি প্রতিবাদ করে রুখে দাঁড়ান। এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। শিলিগুড়ি পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা মহকুমা শাসকের দফতরে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তারপর বাড়ি ভাঙার অভিযান স্থগিত রেখে ফিরে যান পুরসভার কর্মী ও ইঞ্জিনিয়াররা।

    দলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও চক্রান্তের অভিযোগ

    অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে বাড়ি ভাঙার অভিযানে দলেরই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেন ত়়ৃণমূল নেতা সৌমিত্র দেবনাথ। তিনি ও তাঁর স্ত্রী মামনী দেবনাথ তৃণমূল কাউন্সিলর অমরআনন্দ দাসের বিরুদ্ধে তোলাবাজিরও অভিযোগ করেন। সৌমিত্র দেবনাথ বলেন, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে অধিকাংশ বাড়ির জমিরই পাট্টা নেই। অধিকাংশ বাড়ির অনুমোদিত প্ল্যান নেই। আমার বাড়ি ভাঙতে হলে আরও অনেক বাড়ি ভাঙা পড়বে। এলাকার বাসিন্দারা কোনও দিন কারও বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ করেননি। অমরআনন্দ দাস কাউন্সিলর হওয়ার পর গত এক বছর ধরে তিনি তার নিজের কিছু লোককে দিয়ে বাড়ি বেছে বেছে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ করাচ্ছেন পুরসভায়। তারপর অভিযোগ তোলার নাম করে ঘুরিয়ে মোটা টাকা আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি  করা হচ্ছে। 

     কী বলছেন তৃণমূল কাউন্সিলর?

    তৃণমূল কাউন্সিলর অমরআনন্দ দাস বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নই। আমার বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে  সৌমিত্র দেবনাথ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে যাব। পাশাপাশি তিনি প্রশাসন ও আদালতের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে অধিকাংশ বাড়ির জমির পাট্টা নেই।  মানুষ সাধ্যমতো বাড়ি বানিয়ে শান্তিতে বসবাস করছেন। তাই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা যেন  কোনও বাড়ি নিয়ে অবৈধ নির্মাণ অভিযোগে না করেন। কারও বাড়ি যাতে ভাঙ্গা না পড়ে।

     কী বললেন মেয়র?

    নোটিশ জারি করে অভিযানে গিয়ে তৃণমূল নেতার বাধায় ফিরে আসতে হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে পুরসভা। তৃণমূলও অস্বস্তিতে। কেননা দলের নেতার বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ। আর সেই বাড়ি মালিক বলছেন, তৃণমূলের কাউন্সিলর তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এসব করে তোলাবাজি করছেন। মেয়র গৌতম দেব বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। পদ্ধতি মেনেই কাজ হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “তোকে বিধবার কাপড় খুব তাড়াতাড়ি পরতে হবে”, হুমকি দিয়েছিলেন উত্তম সর্দার

    Sandeshkhali: “তোকে বিধবার কাপড় খুব তাড়াতাড়ি পরতে হবে”, হুমকি দিয়েছিলেন উত্তম সর্দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার পরই ফেরার শেখ শাহজাহান। এখনও খোঁজ নেই শাহজাহানের। তবে, শাহজাহানের অন্যতম অনুগামী শিবু হাজরা-উত্তম সর্দারের অত্যাচারের কাহিনি সামনে আসতে শুরু করেছে। পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে সুন্দরী মহিলাদের কীভাবে যৌন নির্যাতন চালানো হত, তা নিয়ে এর আগে মহিলারা গর্জে উঠেছেন। যদিও উত্তম এখন জেলে রয়েছেন। আর শিবু ফেরার। এবার উত্তমের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সন্দেশখালির মহিলারা।

    বিজেপি সদস্যের স্ত্রীকে হুমকি! (Sandeshkhali)  

    বিরোধী রাজনীতি করলে উত্তম যে তার কী হাল করতেন, তা নিয়ে মুখ খুললেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। শোনালেন জীবনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। কীভাবে একপ্রকার জোর করেই তাঁদের তৃণমূল করতে বাধ্য করা হয়, সেকথা বললেন মহিলারা। পঞ্চায়েত ভোটের সময় তাঁর এলাকায় বিজেপির দিকে পাল্লা ভারী ছিল। জিতেও গিয়েছিল বিজেপি ওই এলাকায়। এরপরই ওই বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রীকে উত্তম সর্দার হুমকি দিয়েছিলেন। এক মহিলা বলেন, “বিরোধী পার্টি করার সাহস ছিল না কারও। বিজেপি প্রার্থী ভোটে জয়ী হওয়ায় উত্তমের চক্ষুশূল হয়ে ওঠে। যিনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীকে উত্তম বললেন, তোকে বিধবার কাপড় খুব তাড়াতাড়ি পরতে হবে। আমি উত্তম সর্দার।” এমন নয় যে আড়ালে-আবডালে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সবার সামনেই বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি সন্দেশখালির ওই মহিলার। তিনি বললেন, ‘লোকজনের সামনে বন্দুক দেখিয়ে উত্তম বলে গেল, আমি কিন্তু ওকে মার্ডার করে দেব। ২৭টা করেছি, ওকে নিয়ে ২৮টা হবে। তুই সাবধান হয়ে যা।’ এ তো গেল হুমকির কথা। এছাড়া ভোটের সময় দেদার ছাপ্পা চলত বলেও অভিযোগ ওই মহিলার। উত্তম-শিবু মতো শাহজাহান বাহিনী সন্দেশখালি জুড়ে তাণ্ডব চালাত। জোর করেই তৃণমূলের পক্ষে ভোট করাত। সন্দেশখালি জুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল ওরা।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share