Tag: West Bengal

West Bengal

  • ED: না জানিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি বালু! ঠিক কী হয়েছে জানতে চিঠি দিল ইডি

    ED: না জানিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি বালু! ঠিক কী হয়েছে জানতে চিঠি দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু-র (Jyotipriya Mallick) শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালকে চিঠি দিল ইডি (ED)। কাউকে কিছু না জানিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিঠি পাঠাল ইডি। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে তাঁকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, এই ভর্তি প্রসঙ্গে ইডি-কে কোনও কিছুই জানায়নি জেল কর্তৃপক্ষ। আদালতেও সেই তথ্য জানিয়েছে ইডি।

    চিঠিতে কী রয়েছে?

    গত ১৪ নভেম্বর জামিনের আবেদনের শুনানির সময় আদালতে ইডি (ED) জানতে পারে যে রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী জানান, জেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শেই সেখানে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। তবে তার পর থেকে জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক অবস্থা নিয়ে তেমন কোনও খবর প্রকাশ্যে আসেনি। ওদিকে জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী জানানো মাত্রই তাঁর শারীরিক অবস্থা জানতে চান বিচারক। এবার একই তথ্য চেয়ে হাসপাতালকে চিঠি দিল ইডি।

    ইডি (ED) সূত্রে খবর, তবে শুধু আদালত নয়, জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) স্বাস্থ্যের আপডেট জানতে চেয়ে হাসপাতালে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই চিঠিতে তারা জানতে চেয়েছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঠিক কী হয়েছে, কোন কেবিনে রয়েছেন, এখন তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা কেমন? সবটাই জানতে চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বুধবার আদালতে জ্যোতিপ্রিয়র জামিনের আবেদনের শুনানি। সেখানে ফের একবার প্রাক্তন মন্ত্রীর অসুস্থতাকে হাতিয়ার করতে পারেন তাঁর আইনজীবী। তার আগে হাসপাতালের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে তৈরি থাকতে চাইছে ইডিও (ED)।

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    গ্রেফতারির পর থেকে বারবার অসুস্থ!

    প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) ওরফে বালু। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়ে একাধিকবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে, বালুর আবেদনে আপত্তি জানিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি (ED)। গ্রেফতারির পর থেকে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁর মাথা ঘোরার কারণ জানতে হেড আপ টিলট টেবল টেস্ট পরীক্ষার পরামর্শও দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এসএসকেএমে গঠিত হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ড। এই মামলায় অনেকে ইতিমধ্যে ছাড়া পেয়ে গেলেও প্রাক্তন মন্ত্রী এখনও অব্যাহতি পাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা! রাজ্যে জাঁকিয়ে শীতের আগেই কি ফের দুর্যোগ?

    Weather Update: ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা! রাজ্যে জাঁকিয়ে শীতের আগেই কি ফের দুর্যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ। দিন দিন পারদ কমেই চলেছে। এরমধ্যে নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে তার অভিমুখ বঙ্গের দিকে হবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আপাতত ২১ নভেম্বর নাগাদ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্ত ২৩ নভেম্বরের মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সত্যিই যদি ঘূর্ণাবর্ত (Weather Update) থেকে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বঙ্গ অভিমুখী হয়, তাহলে শীত (Winter) আসার আগে দুর্যোগ অপেক্ষা করে থাকবে।

    জাঁকিয়ে বসেছে ঠান্ডা (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) অফিস বলছে, ‘জেট স্ট্রিম’-এর হাত ধরে বঙ্গে ঠান্ডা জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। বুধবার কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর ছাড়া সারাটা দিন রৌদ্রজ্জ্বল। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৮ ডিগ্রি এবং ১৮ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। সারাটা দিন যেমন তেমন চললেও সন্ধ্যা নামার পরে হিমেল হাওয়ায় বেশ ভালো রকম শীত অনুভূত হচ্ছে। আপাতত এই পরিস্থিতি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কিন্তু প্রশ্ন হল, জেট স্ট্রিম কী? আবহাওয়াবিদরা বলছেন, “ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার ওপরে ঠান্ডা বাতাস ঘণ্টায় প্রায় ১৭০ কিলোমিটার গতিবেগে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঢুকে উত্তরের সমভূমির ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এটাই হচ্ছে জেট স্ট্রিম। এই বছর এখনও পর্যন্ত কোনও পশ্চিমি ঝঞ্ঝার বাধার মুখে পড়েনি। ফলে ঠান্ডা বাতাস অবাধে ঢুকছে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে। তার প্রভাব পড়ছে বঙ্গেও।

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    কোথায় কত তাপমাত্রা?

    ইতিমধ্যে হেমন্তে (Weather Update) পুরুলিয়া টেক্কা দিচ্ছে কালিম্পংকে। পুরুলিয়ার পারদ ১২ ডিগ্রির ঘরে। বীরভূমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির আশেপাশে। ক্যানিং, ঝাড়গ্রাম, বর্ধমান, নদিয়াতে ঠান্ডার অনুভূতি বেশ। এই সব হচ্ছে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে ছুটে আসা ঠান্ডা বাতাসের সৌজন্যে। আগামী পাঁচদিন একইরকম চলবে পরিস্থিতি। ফলে শীত না-হলেও শীতের আগমনী হিসেবে এই জোরালো ঠান্ডার অনুভূতি হবে সন্ধ্যা নামার পর।

    জেলায় জেলায় কুয়াশার দাপট

    পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম মুর্শিদাবাদ পুরুলিয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে কুয়াশার (Weather Update) সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা হতে পারে বিক্ষিপ্তভাবে বাকি জেলাতেও। এই সপ্তাহে এরকমই আবহাওয়া থাকবে। বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। ঘূর্ণাবর্তের তেমন কোনও প্রভাবের খবর আপাতত নেই। উত্তরবঙ্গে সকালের দিকে কুয়াশার চাদর থাকবে দার্জিলিং এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে। আপাতত ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা নেই। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা কুয়াশা সকালের দিকে থাকলেও বেলা বাড়লে পরিষ্কার আকাশের সম্ভাবনা। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Electoral Fraud: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    West Bengal Electoral Fraud: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীদের অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হল। রাজ্যে ২৫ হাজার ভুয়ো ভোটার কার্ডের সন্ধান পেল নির্বাচন কমিশন (West Bengal Electoral Fraud)। সম্প্রতি রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ১১টি কেন্দ্র থেকে ২৫ হাজারেরও বেশি ভোটার কার্ডে একই আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (Duplicate voter IDs in Bengal) থাকার ঘটনা আবিষ্কার করেছে কমিশন (Election Commission)। গত ১১ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছে প্রাথমিক ভোটার তালিকা। এরপরই এই ঘটনা চোখে পড়ে। দেখা যায়, বহু কার্ডে রয়েছে অভিন্ন পরিচয় নম্বর। বিরোধীরা বরাবরই রাজ্যে ভুয়ো ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। ভুয়ো ভোটার কার্ড মেলায় এবার সত্যিই রাজ্যবাসীর মনে প্রশ্ন, তাহলে কি এভাবেই জেতেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)? মাত্র ১১টি কেন্দ্র থেকেই যদি ২৫ হাজার ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড বের হয়, তাহলে ২৯৪ আসনের নিরিখে সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, সেটাই ভাবাচ্ছে কমিশনকে।

    কোথায় কোথায় মিলল ভুয়ো কার্ড

    রাজ্যে যেসব আসনে এই অনিয়ম ধরা পড়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিন্ন ভোটার আইডি কার্ড (West Bengal Electoral Fraud) পাওয়া গিয়েছে বাগদা দক্ষিণ (উত্তর ২৪ পরগনা), যা বাংলাদেশের সীমান্তে এবং মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি (দার্জিলিং), যা নেপাল সীমান্তের কাছাকাছি। এছাড়া, বাগদা উত্তর, মধ্যমগ্রাম, রাজারহাট-গোপালপুর, ক্যানিং পূর্ব, বারুইপুর পূর্ব ও পশ্চিম, কুরসঙ, শিলিগুড়ি, এবং ফালকাটা এসব এলাকায় ভুয়ো ভোটার আইডি কার্ডের সন্ধান মিলেছে। দেখা যাচ্ছে যে যে অঞ্চলে ভুয়ো ভোটারের রমরমা তা প্রায় সবই সীমান্ত ঘেঁষা। বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ ভোটের আগে-পড়ে এদেশে অনুপ্রবেশ ঘটায় বলেও মনে করছেন অনেকে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আগেই কমিশনের কাছে বলেছিলেন রাজ্য প্রশাসন ১৬ লাখ ভুয়ো বা দ্বৈত ভোটারকে সঙ্গী করেছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার রয়েছে।

    কীভাবে ঘটেছে এই অনিয়ম

    ইসি কর্মকর্তাদের মতে, মূল চিন্তার বিষয় হল, যেসব ভোটার কার্ডে (West Bengal’s Electoral Fraud) অভিন্ন আইডি নম্বর রয়েছে, তা ভুয়ো। কারণ ভোটার কার্ড নম্বর ইউনিক এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) এক আধিকারিক বলেন, “একই নম্বরের দুটি বা তার বেশি কার্ড হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। এটি একটি গুরুতর অস্বাভাবিকতা, যার জন্য বিস্তারিত তদন্ত প্রয়োজন।” কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচন কমিশন ভুয়ো কার্ড শনাক্ত করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করছে। নামের সামান্য বানান পরিবর্তন বা প্রায় মিল থাকা ছবিগুলি শনাক্ত করার মাধ্যমে ডুপ্লিকেট কার্ড শনাক্ত করা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হল একাধিক কার্ডে ক্লোন আইডেন্টিফিকেশন নম্বর পাওয়া।

    ঘটনার তদন্ত

    কমিশন ১১ নভেম্বর প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় ৭.৪ কোটি ভোটারের (West Bengal’s Electoral Fraud) নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর মধ্যে ১৬ লক্ষ নাম সংশোধন বা বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে, প্রাক-সংশোধনী পর্যায়ে ৬.২ লক্ষ নতুন নাম যোগ করা হয়েছে এবং ৪.৫ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই বহু গরমিল চোখে পড়েছে। একই নম্বর থাকা কার্ডগুলি ফের যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনা যান্ত্রিক ত্রুটি না এর পিছনে রয়েছে বড় চক্রান্ত তা জানারও চেষ্টা চলছে। ভোটার তালিকায় দুর্নীতি বা বিদেশি নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটেছে কি না তা জনতে তদন্ত শুরু করেছে কমিশন। 

    আরও পড়ুন: অরুণাচলে ‘অপারেশন পূর্বী প্রহার’! চিন সীমান্তে ভারতের তিন বাহিনীর মহড়া

    কড়া পদক্ষেপের আর্জি বিরোধীদের

    এই ঘটনার পর, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন যে রাজ্যে প্রায় ১৬ লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছে। তিনি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানান। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) প্রতিটি কেন্দ্রের প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে এই ভুয়ো কার্ডগুলিকে শারীরিকভাবে যাচাই করে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ৫ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত হবে। তবে কমিশনের মতে, এই ধরনের ভুয়ো কার্ড অন্যান্য কেন্দ্রেও পাওয়া যেতে পারে। ভুয়ো ভোটারদের চিহ্নিত করতে আরও কঠোর পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: কলকাতায় তাপমাত্রা আরও কমে ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়া ১২! রাজ্যজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে শীত!

    Weather Update: কলকাতায় তাপমাত্রা আরও কমে ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়া ১২! রাজ্যজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে শীত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে রোজ একটু একটু করে পারদ নামছিল। পারদ পতন অব্যাহত মঙ্গলবারও। রাজ্যজুড়ে (Weather Update) শীতের আমেজ চলে এসেছে পুরোদস্তুর। দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি ঢাকছে কুয়াশার চাদরে। শীতের কামড় বেশ অনুভব হতে শুরু করেছে। সকালের দিকে একাধিক জেলায় কুয়াশার দাপট রয়েছে। তবে, বেলা বাড়তেই ঝলমলে রোদ হওয়ায় হালকা শীতের আমেজ রয়েছে।

    কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি! (Weather Update)

    আবহাওয়া (Weather Update) দফতর জানাচ্ছে, দক্ষিণ বাংলাদেশের ওপর অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। মলদ্বীপের কাছে একটি ঘূর্ণাবর্ত ও একটি অক্ষরেখা রয়েছে। উত্তর ভারতে বইতে শুরু করেছে জেট স্ট্রিম উইন্ডস। কলকাতায় গোটা সপ্তাহ ধরেই শীত বাড়বে একটু একটু করে। রাতে ও ভোরে শীতের আমেজ থাকবে। আপাতত আগামী ৬ দিন তাপমাত্রায় বিরাট হেরফের হবে না শহরে। নতুন করে তাপমাত্রা খুব বেশি নামবে না। সকালের দিকে কোনও কোনও এলাকায় হালকা কুয়াশা থাকতে পারে। বেলা বাড়লে আকাশ পরিষ্কার হবে। মোটের ওপর মনোরম আবহাওয়াই থাকবে কলকাতায়। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৮ ডিগ্রি থেকে নেমে ১৮ ডিগ্রি হয়েছে মঙ্গলবার। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম।

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    দক্ষিণবঙ্গর কোন জেলায় কত তাপমাত্রা?

    দক্ষিণবঙ্গের (Weather Update) জেলাগুলির মধ্যে পশ্চিমের জেলাগুলিতে পারদ পতনের সূচক অপেক্ষাকৃত বেশি। শীতের শুরুতেই দ্রুত পারদ নেমেছে পুরুলিয়ায়। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শ্রীনিকেতনে ১৩ ডিগ্রি। ঝাড়গ্রামে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্ধমানে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজ্যজুড়েই শীতের আমেজ বজায় থাকবে। এই মুহূর্তে রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ঘন কুয়াশার দাপট হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, রাজস্থান ও বিহারে। রাতে ও ভোরের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে অসম ও মেঘালয় সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু রাজ্যে।

    উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশা

    উত্তরবঙ্গের (Weather Update) একাধিক জেলা কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে। উত্তরের তিন জেলায় ঘন কুয়াশার দাপট। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ঠান্ডার দাপট প্রবল। হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপুনি দেওয়ার মতো পরিস্থিতি। ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরও। এই সব জেলায় কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কমতে পারে ৫০ থেকে ২০০ মিটার, সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বিয়ে না শেষ যাত্রা! সানাই-ব্যান্ড বাজিয়ে দাদুকে শ্মশানে নিয়ে গেলেন নাতিরা

    Birbhum: বিয়ে না শেষ যাত্রা! সানাই-ব্যান্ড বাজিয়ে দাদুকে শ্মশানে নিয়ে গেলেন নাতিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিনাম সংকীর্তন নয়, সানাইয়ের সঙ্গে ঢাক ঢোল ব্যান্ড বাজিয়ে দাদুর শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন নাতি-নাতনিরা! শুনতে অবাক লাগলেও, এমনই এক অভাবনীয় ঘটনার সাক্ষী রইলেন বীরভূমবাসী (Birbhum)। অনেকে ভেবেছিলেন বোধহয় বরযাত্রীর দল আসছে। পরে, ভুল ভাঙে। ১০০ বছর পেরিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মেছে দুবরাজপুরের রবিলাল বাদ্যকর। তাঁর মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই আছ়ড়ে পড়ে গ্রামের লোকজন। জাঁকজমকভাবে শোভাযাত্রা করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে।  

    পরিবারের সদস্যরা কী বললেন? (Birbhum)

    যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবুও শতায়ু বৃদ্ধের মৃত্যুতে দেখা গেল এক অন্য ছবি। ব্যান্ড বাজিয়ে জাঁকজমকভাবে শত বছরের বৃদ্ধের মৃতদেহ সৎকার করার জন্য নিয়ে আসা হল বক্রেশ্বর শ্মশানে। প্রসঙ্গত, ১৮ নভেম্বর রাতে দুবরাজপুর ব্লকের (Birbhum) গৌরগঞ্জ গ্রামের রবিলাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রায় ১০ দিন ধরে অসুস্থ থাকার পর মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর চারপুত্র, নাতি-নাতনি নিয়ে ভরা সংসার। বৃদ্ধের ইচ্ছা মতো গ্রামের ব্যান্ড পার্টি ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র সহযোগে শবদেহ বক্রেশ্বর শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মৃত বৃদ্ধের পরিবারের পক্ষ থেকে মিতন বাদ্যকর বলেন, “শতবছর পূর্ণ হওয়ায় এমন আয়োজন।” এক প্রতিবেশী আকাশ মাল বলেন, “এদিন গ্রামবাসীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।”

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    বৃদ্ধের ইচ্ছেতেই এই আয়োজন

    শ্মশান যাত্রার (Birbhum) জন্য বিশেষভাবে আয়োজন করা হয় ব্যান্ড,সানাই এবং হরিনাম সংকীর্তনের। সেই যাত্রায় শামিল হন বহু মানুষ। হরিনামের সঙ্গে এইরকম এক আয়োজনে শেষকৃত্য হচ্ছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা তল্লাটে। ওই বৃদ্ধের পরিবারের দাবি, রবিলালের শেষ ইচ্ছে ছিল এমনটাই। তাই, তাঁর ইচ্ছাতেই রীতিমতো ব্যান্ড বাজিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই আয়োজন করেছিলেন নাতি-নাতনিরা। এই শেষযাত্রা দেখতে রাস্তার ধারে ভিড় করেছিল জনতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Astronaut: ‘গগনযান’-এর মহাকাশচারী দার্জিলিংয়ে, ৫৬ দিনের পর্বতারোহণ কোর্স শেষ করলেন ২৮ দিনে

    Astronaut: ‘গগনযান’-এর মহাকাশচারী দার্জিলিংয়ে, ৫৬ দিনের পর্বতারোহণ কোর্স শেষ করলেন ২৮ দিনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ দার্জিলিং-এর (Darjeeling) হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে একটি বিশেষ পর্বতারোহণ কোর্স সম্পন্ন করলেন। তিনি গগনযান মিশনের জন্য নির্বাচিত চার মহাকাশচারীর (Astronaut) মধ্যে একজন। মাত্র ২৮ দিনের মধ্যে ৫৬  দিনের কোর্সটি সম্পূর্ণ করেছেন তিনি।

    প্রতাপ একজন ম্যারাথন দৌড়বিদও!(Astronaut)

    ৪২ বছর বয়সি অঙ্গদ প্রতাপ (Astronaut) বলেন, এই কোর্সটি আমার জন্য অন্য ধরনের অভিজ্ঞতা ছিল। পর্বতারোহণ সব চেয়ে কঠিন এবং দুঃসাহসিক কাজ। সেটা এই কোর্স করতে এসে আমি উপলব্ধি করলাম। এনডিএ-র এই প্রাক্তন ছাত্রকে ১৮ ডিসেম্বর, ২০০৪-এ আইএএফ-এর ফাইটার স্ট্রিমে কমিশন দেওয়া হয়েছিল। তিনি একজন উড়ন্ত প্রশিক্ষক। প্রায় ২৫০০ ঘণ্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা সহ পাইলটও। একই সঙ্গে তিনি Su-30 MKI, MiG-21, MiG-29, Jaguar, Hawk, Dornier এবং An-32 সহ বিভিন্ন ধরনের বিমান উড়িয়েছেন। প্রতাপ ভারতের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ ফ্লাইট মিশনের অংশ হওয়া ছাড়াও, ২০২৩ সালে আয়রনম্যান ট্রায়াথলনও সম্পন্ন করেছেন। প্রতাপ একজন ম্যারাথন দৌড়বিদ, একজন প্রত্যয়িত স্কাই ডাইভার এবং একজন স্কুবা ডাইভারও।

    মহাকাশচারী কী বললেন?

    প্রতাপ (Astronaut) বলেন, “এই কোর্সটি এইচএমআই-এর অধ্যক্ষ গ্রুপ ক্যাপ্টেন জয় কিষাণের উদ্যোগে করা হয়েছিল। বিশেষ করে আমার জন্য প্রাথমিক এবং উন্নত-উভয় কোর্সের পাঠ্যক্রম মিলিয়ে একটি একক কোর্স করা হয়েছিল। পর্বতারোহণ আমার স্বপ্ন ছিল।” অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার সময় প্রতাপ একজন পরীক্ষামূলক পাইলট হওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। ISRO-এর গগনযান মিশনের জন্য রাশিয়ায় তাঁর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নিয়ে তিনি আলোচনা করেন। মহাকাশযানে প্রশিক্ষণের সময় তিনি তাদের শূন্য মাধ্যাকর্ষণে তাঁর স্পেস স্যুট পরার একটি ভিডিও দেখান। প্রতাপ মহাকাশচারীরা অনুসরণ করেন, এমন একটি  প্রোটোকলের কথাও বলেন। তিনি বলেন, “আমাদের চারটি আক্কেল দাঁত তুলে দেওয়া হয়। কারণ, দাঁতব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, এটি স্নায়ুতে আঘাত করে। এমনকী এটি একজনকে অজ্ঞান করে দিতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Leh Pangong Lake: খরচ ৬ হাজার কোটি টাকা, লেহ্-প্যাংগং লেককে জুড়তে নতুন টানেল গড়বে ভারত

    Leh Pangong Lake: খরচ ৬ হাজার কোটি টাকা, লেহ্-প্যাংগং লেককে জুড়তে নতুন টানেল গড়বে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেলা পাসের মধ্যে দিয়ে জোড়া টিউব টানেল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কেলা পাস ভারতের সর্বোচ্চ মোটরযানযোগ্য একটি পাস, যেটা লেহ্ এবং প্যাংগং লেকের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হিসেবে কাজ করে। এখানে টানেল তৈরির বিষয়ে লাদাখের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এই সব মরশুমে ব্যবহারযোগ্য টানেল (Tunnel)। এই সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গেলে লেহ্ (Leh) থেকে যাঁরা প্যাংগং লেক পর্যন্ত যেতে চান, তাঁরা খুব সহজেই যেতে পারবেন। এর মাধ্যমে সুবিধা হবে পর্যটকদের। সুবিধা হবে সামরিক বাহিনীরও।

    প্রকল্পের খরচ কত? (Leh)

    জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই টানেল নির্মাণের বিষয়ে একটি বৈঠক করেছিল। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হতে পারে প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা। এটা অত্যন্ত কঠিন একটা প্রকল্প। এর প্রকল্প ব্যয়ও প্রচুর। এনিয়ে শীঘ্রই উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। এর মাধ্যমে লেহ্ (Leh) থেকে প্যাংগং যাওয়ার দূরত্ব অনেকটাই কমবে। তবে এই প্রকল্প একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন নাকি ন্যাশানাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন কারা এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করবে সেটা এখনও পরিস্কার নয়। কেলা পাস লেহ্ ও প্যাংগংয়ের মধ্যে সংযোগকারী গিরিপথ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮,৬০০ ফুট উচ্চতায় এর অবস্থান। এর আগে লাদাখ প্রশাসন ২০২২ সালে খারদুংলা, ফোটু লা, নামিকা লা ও কেলা এই চারটি জায়গায় টানেল করার প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রস্তাবিত কেলা পাস টানেলটি এই অঞ্চলে চলাচলের গতি অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। বিশেষ করে শীতের সময় যখন রাস্তাগুলি প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়।  

    আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত! কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১২, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    সরকারি আধিকারিক কী বললেন?

    সরকারি এক আধিকারিক বলেন, এটি একটি চ্যালেঞ্জিং এবং উচ্চ খরচের প্রকল্প। তবে, এই প্রকল্পটি কার্যকরী হলে লেহ্ (Leh) থেকে প্যাংগং পর্যন্ত যাতায়াতের সময়কে যথেষ্ট পরিমাণে কমিয়ে দেবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah Bridge: চার দশক পর হচ্ছে হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কতদিন চলবে?

    Howrah Bridge: চার দশক পর হচ্ছে হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কতদিন চলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু করা হল। শেষবার আশির দশকে হয়েছিল। চার দশকের পর এবার সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হল। ইতিমধ্যেই সেই কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। শনিবার ব্রিজে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার জন্য ট্রাফিক ব্লক নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা (Health Examination) সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই কাজ আরও তিন-চারমাস চলবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে, আর ট্রাফিক ব্লক নেওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

    কেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা? (Howrah Bridge)

    জানা গিয়েছে, ১৯৮৩-৮৮ সালের মধ্যে রেলওয়ে কনসালটেন্সি বা রাইটস (RITES) সর্বশেষ এই ধরনের সমীক্ষা (Howrah Bridge) পরিচালনা করেছিল, এবারও কাজটি এই সংস্থায় দায়িত্ব নিয়ে করছে। ব্রিজটির মূল ডিজাইনার ব্রিটিশ ফার্ম রেন্ডেল পামার এবং ট্রাইটন (আরপিটি) তাদের সঙ্গে যোগ দেবে বলে জানা গিয়েছে। শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের (পূর্ববর্তী কলকাতা বন্দর বা KOPT) একজন কর্মকর্তা বলেন, ব্রিজের অবস্থা খতিয়ে দেখার পর তা বিশ্লেষণ করা হবে। ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে এই বিষয়ে একটি বিস্তৃত রিপোর্ট পাব বলে আমরা আশা করি।”  আর ট্রাফিক ব্লক প্রসঙ্গে কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা করেছেন, ব্রিজে গাড়ি চলাচল করলে সেতুর অবস্থার একটি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যেত না। ব্রিজের বেশ কিছু বিষয় পরীক্ষা করা হয়েছে। মূলত, শনিবার রাত ১১.৩০ থেকে ভোর ৪.৩০ টার মধ্যে ব্রিজটিকে যানবাহন মুক্ত করা হয়েছিল। মূলত ব্রিজটি মহানগরে পরিষেবা দেওয়ার জায়গা রয়েছে কি না তা গণনা করার দরকার। ব্রিজের শত শত জয়েন্ট ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। সেগুলি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।

    আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত! কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১২, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    বিশ্বের ষষ্ঠ দীর্ঘতম ক্যান্টিলিভার ব্রিজ

    হাওড়া সেতু (Howrah Bridge) বা রবীন্দ্র সেতুটি ১৯৪৩ সালে চালু হয়েছিল। ৪০ বছর ধরে একটানা সেবা করার পর ১৯৮৩ সালে শেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। শেষ সমীক্ষায়, RITES RPT- সঙ্গে  সহযোগিতা করেছিল।  সেতুটির ক্যারেজওয়ে ৭১-ফুট চওড়া, দুপাশে দুটি ১৮.৫ ফুট চওড়া ফুটপাথ রয়েছে। গত মে মাসে বিটুমিনাস রাস্তার ওপরিভাগ স্ক্র্যাপ করে কলকাতার সবচেয়ে স্বীকৃত ল্যান্ডমার্কের লোড কমানোর জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। হুগলি জুড়ে ক্যান্টিলিভার ব্রিজটি বিশ্বের ষষ্ঠ দীর্ঘতম কাঠামো। এটি প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ যানবাহন এবং দেড় লক্ষের এরও বেশি পথচারী চলাচল করেন। ব্রিজটি তৈরি হওয়ার পর প্রথম যানবাহন ছিল একটি ট্রাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে কাজল শেখের অনুগামীদের হাতে মার খেলেন কেষ্ট-অনুগামীরা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Birbhum: বীরভূমে কাজল শেখের অনুগামীদের হাতে মার খেলেন কেষ্ট-অনুগামীরা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত বীরভূমের (Birbhum) নানুর। কাজল শেখ গোষ্ঠীর অনুগামীদের হামলায় আক্রান্ত হলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের (Trinamool Congress) দলীয় কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অনুব্রত জেলায় থাকা অবস্থায় তাঁর অনুগামীদের এভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেলে থাকার সময় কাজল শেখের অনুগামীদের দাপাদাপির সাক্ষী ছিলেন বীরভূমবাসী (Birbhum)। বার বার আক্রান্ত হয়েছেন অনুব্রত অনুগামীরা। অনুব্রত জেলায় ফিরতে বুকে বল পেয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা। সম্প্রতি তৃণমূল কার্যালয়ে কোর কমিটির বৈঠক হয়েছে। কোর কমিটির বৈঠকের নির্যাস অনুযায়ী, অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষমতা কিছুটা হলেও খর্ব হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আরও বেশি অক্সিজেন পেয়েছে অনুব্রতর বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত কাজল শেখ গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, রবিবার নানুরের বাহিরিতে চায়ের দোকানে এক ব্যক্তি বসেছিলেন। তখনই কাজল শেখের অনুগামীরা সেখানে যান। দোকানের মধ্যে কোনও একটি বিষয়কে কেন্দ্র তাঁর সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে। তখনই ওই ব্যক্তির ওপর কাজল শেখের অনুগামীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন অনুব্রতর মণ্ডলের বেশ কয়েকজন অনুগামীও। আক্রান্তদের উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত! কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১২, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    শুরু হয়েছে তরজা

    কাজল শেখের অনুগামী তথা বাহিরির (Birbhum) পঞ্চায়েত প্রধান জানাচ্ছেন, সম্পূর্ণই পারিবারিক বিবাদ। তা থেকেই হাতাহাতি। অন্যদিকে, আক্রান্তদের অভিযোগ, কাজল শেখের অনুগামীরা সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবেই হামলা চালিয়েছে। এই প্রসঙ্গে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা জামশেদ আলি খানের বক্তব্য, হামলার জেরে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। প্রশাসন অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Task Force: লাগামছাড়া দাম আলু-পেঁয়াজের, রাজ্যের তৈরি টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Task Force: লাগামছাড়া দাম আলু-পেঁয়াজের, রাজ্যের তৈরি টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলু আর পেঁয়াজের (Potato And Onion) দাপটে বাজারে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা ক্রেতাদের। দিনের পর দিন দাম বেড়েই চলেছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে লোক দেখানো একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু, দাম নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্সের কোনও ভূমিকা চোখে পড়ে না। কখনও অভিযান হলে, টাস্ক ফোর্সের অভিযানের সেই খবর আগাম বাজারে পৌঁছে যায়। ফলে, প্রশ্নের মুখে টাস্ক ফোর্সের (Task Force) ভূমিকা।

    কত দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ? (Task Force)

    জানা গিয়েছে, প্রতি কেজির দর ৫০ টাকা থেকে বেড়ে এখন পৌঁছে গিয়েছে ৭০-৮০ টাকায়। জুলাইয়ে আলুর দাম খানিক নিয়ন্ত্রণে এলেও, এখন আবার তা প্রতি কেজি ৩৫ টাকায় বিকোচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, প্রশ্ন উঠছে টাস্ক ফোর্সের (Task Force) ভূমিকা নিয়ে। কৃষি বিপণন দফতর সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরে অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার ফলে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, প্রতি বছরই পুজোর মরশুম থেকে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়ে। তবে অন্য বছরে মহারাষ্ট্রের নাসিকের পেঁয়াজ বাজারে চলে আসে। এ বার সেই আমদানি কম হওয়ায়, দাম চড়েছে বেশি। রাজ্য টাস্ক ফোর্সের সদস্য তথা কলকাতার কোলে মার্কেটের ব্যবসায়ী কমল দে বলেন, ‘‘এই রাজ্যে প্রতি মাসে দেড় লক্ষ টন পেঁয়াজ লাগে। তার অর্ধেকেরও কম পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরাও আমদানি করতে ভয় পাচ্ছেন।” মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে এখন যা পেঁয়াজ আসছে, তা চাষিদের ঘর থেকে। সেই পেঁয়াজও প্রায় শেষ।”

    আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত! কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১২, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরো বাজারে দাম ৫ টাকা বেশি

    রাজ্যে গত মরশুমে প্রায় ১২৫ লক্ষ টন আলু ফলেছিল। তার মধ্যে হিমঘরে ঢুকেছিল ৬৩ লক্ষ টন। বাকি খুচরো বাজারে ও ভিন্ রাজ্যে রফতানি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, এখন হিমঘর থেকে জ্যোতি আলু প্রতি কেজি গড়ে ২৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু, খুচরো বাজারে সেই দাম দাঁড়াচ্ছে ৩৫ টাকা। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায়ের বলেন, ‘‘পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরো বাজারের দাম ৫ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে, আমাদের কাছেও প্রশ্ন।” টাস্ক ফোর্স (Task Force) কেন দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, প্রশ্ন তুলছেন ক্রেতাদের অনেকে। টাস্ক ফোর্সের এক সদস্যের কথায়, ‘‘আমরা অভিযান চালানোর সময়ে ঠিক দাম নেওয়া হচ্ছে। ফিরে এলেই আবার দাম বাড়ছে!”

    সরকারের কী সাফাই?

    রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘কলকাতার যে সব খুচরো বাজারে দাম বাড়ানোর প্রবণতা রয়েছে, সেই সব বাজারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সামনের মরসুমে সেখানে সুফল বাংলার স্টল খুলে সরকারি দামে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” কৃষি বিপণন দফতরের দাবি, সুফল বাংলা স্টল থেকে জেলায় জেলায় ২৫ টাকা ও কলকাতায় ২৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share