Tag: West Bengal

West Bengal

  • CBI: জাল তফশিলি শংসাপত্র! বসিরহাটে সরকারি কর্মীর বাড়িতে সিবিআই হানা

    CBI: জাল তফশিলি শংসাপত্র! বসিরহাটে সরকারি কর্মীর বাড়িতে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে সিবিআই-ইডি হানার ঘটনা বার বার হচ্ছে। বিশেষ করে পুর-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার বসিরহাটে সরকারি এক কর্মী রজত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা দেয়। শনিবারই দিনভর তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    কেন সিবিআই হানা? (CBI)

    এমনিতেই  সরকারি এই কর্মীর বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা হতেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরকারি কর্মীর জড়িত থাকা নিয়ে চর্চা হয়। যদিও পরে জানা যায়, জাল শংসাপত্র সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তে সিবিআই হানা দিয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, এসসিএসটি-ওবিসি শংসাপত্র জাল করা- সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রজতের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। উল্লেখ্য, গত পুরসভা নির্বাচনের পরে বসিরহাট পুরসভার এক জনপ্রতিনিধির ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। শাসকদলের ওই জনপ্রতিনিধির পরিচয়পত্র – প্রভাব খাটিয়ে রজত মণ্ডল বের – করেন বলে অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হওয়ায় বসিরহাট থেকে বারাসত সদরে তাঁকে বদলি করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এদিন তাঁর বাড়িতে তদন্তে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    সরকারি কর্মী কী সাফাই দিলেন?

    সিবিআই আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রজত। সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা তদন্তের বিষয়ে তাঁকে কিছুই জানাননি বলে তিনি দাবি করেন। রজত বলেন, ‘আমার কাছে যা জানতে চেয়েছিল, আমি সে বিষয়ে আগেই উত্তর জানিয়ে দিয়েছি। এদিন কী বিষয়ে সিবিআই  তদন্তে এসেছিল, তা বলতে পারব না।’

    প্রসঙ্গত, তফসিলি জাতি উপজাতি শংসাপত্র জাল করার একাধিক অভিযোগ এর আগে উঠেছে। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে রাজ্যে এখন চরম শোরগোল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলার দায়িত্ব সিবিআই-কে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন। তা নিয়ে দুই বিচারপতির দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, তাতে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। বর্তমানে এই মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যেই ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র তৈরির অভিযোগে মহকুমা অফিসের এক কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়! উদ্যোগী সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: রাজ্যে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়! উদ্যোগী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। রাজ্যের শান্তিনিকেতনের রয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সাধারণত একটি রাজ্যে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থাকে। তবে, বিশেষ ক্ষেত্রে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা যেতে পারে। তাই পিছিয়ে পড়া উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে উদ্যোগী হলেন বালুঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এনিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি সেই দাবি সনদ তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    পিছিয়ে পড়া উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় না থাকার ফলে অনেক পড়ুয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিকে উত্তরবঙ্গের পড়ুয়াদের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে হচ্ছে পাশের রাজ্য আসামে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবি উঠেছে বালুরঘাট সহ জেলাজুড়ে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ-সুবিধা বাড়লে বালুরঘাট সহ জেলার যুবক যুবতীদের সুবিধা হবে। এবিষয়ে বালুরঘাটের বাসিন্দা সৌভিক সরকার বলেন, দীর্ঘদিন পর জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। তবে, তার পরিকাঠামো এখনও সেভাবে গড়ে ওঠেনি। গোটা উত্তরবঙ্গে কোনও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সাংসদের উদ্যোগে যদি উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয় তাহলে আমার মতো পড়ুয়াদের সুবিধা হবে। এবিষয়ে বালুরঘাটের অন্য এক বাসিন্দা শিল্পী সাহা বলেন, আমাদের পড়াশুনা অনেক আগে শেষ হয়েছে। এখন আমাদের ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয়, সেক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাবে তাঁরা। পড়াশুনা থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থাকে। যা পড়ুয়াদের শিক্ষা অর্জনে বিশেষ সুবিধা দেবে।

    কী বললেন সুকান্ত?(Sukanta Majumdar)

    এবিষয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, কেন্দ্রের একটি নীতি রয়েছে প্রতি রাজ্যে একটি করে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হবে। যেহেতু উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে পড়া জেলা, তাই আমরা আগেও দাবি জানিয়েছি এবং আগামী দিনে এমন দাবি জানাবো। বিশেষ মর্যাদা দিয়ে উত্তরবঙ্গে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও উত্তরবঙ্গে সেভাবে উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। তাই আগামী দিনে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নজরেও বিষয়টি আনব, যাতে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্ট গড়ে তৃণমূলে ভাঙন! শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Birbhum: কেষ্ট গড়ে তৃণমূলে ভাঙন! শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে বড়সড় ধাক্কা খেল তৃণমূল। বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরে শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূল সহ অন্যান্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। লোকসভা ভোটের আগে কেষ্ট গড়ে তৃণমূলের ভাঙন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে (Birbhum)

    এমনিতেই গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত কেষ্ট গড় বীরভূম (Birbhum)। কাজল শেখ দায়িত্ব নেওয়ার পর অনুব্রত অনুগামীদের কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী দলীয় কার্যালয় থেকে অনুব্রতের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। দলের অন্দরে এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। দলীয় সুপ্রিমোর নির্দেশে কেষ্টকে ফের গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাজল শেখকে জেলার কোর কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের মধ্যে এদিন দুবরাজপুর পুরসভা এলাকায় শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূল সহ অন্যান্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদানকারীদের বক্তব্য, তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্ত দল। দলে কোনও গুরুত্ব নেই। তাই, গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলাম। এলাকায় উন্নয়ন করবে বিজেপি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, এই যোগদানে লোকসভা ভোটের আগে কিছুটা হলেও আমাদের সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি হল। এখানে তৃণমূলের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আর এখন তো শাসক দলে গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত। টাকা ছাড়া নেতারা কোনও কাজ করে না। দলীয় কর্মীরা সমস্যায় পড়লে পাশে থাকে না। এমনকী মিথ্যা মামলায় পুলিশ ফাঁসালেও দল কোনও প্রতিবাদ করে না। তৃণমূল থেকে এই কর্মীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। আর বিধায়ক হিসেবে এলাকায় যে কাজ করেছি তাতে এলাকার মানুষ আমাদের দলের ওপর আস্থা রেখেছে। আগামীদিনে আরও বহু কর্মী আমাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য লাইন দিয়ে রয়েছে।  

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: পাঁচদিন পর নিখোঁজ নাবালকের দেহ উদ্ধারে রণক্ষেত্র, বিটি রোড অবরোধ

    Kamarhati: পাঁচদিন পর নিখোঁজ নাবালকের দেহ উদ্ধারে রণক্ষেত্র, বিটি রোড অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক নাবালকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি (Kamarhati) এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ইমতিয়াজ হোসেন। তার বয়স আট বছর। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিটি রোডে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নাবালকের মৃত্যুর জন্য পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান অবরোধকারীরা। অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে অবরোধকারীদের সঙ্গে বচসা বাধে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।

    পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে অবরোধ (Kamarhati)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইমতিয়াজের বাড়ি পানিহাটি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড। তার বাবা নাসিম হুসেন পেশায় রিকশ চালক। ৩০ জানুয়ারি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ইমতিয়াজ রহস্যজনভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের তরফ থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর না পেয়ে ঘোলা থানায় অভিযোগ জানানো হয়। তবে, পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে এদিন দুপুরে আগরপাড়া-কামারহাটি (Kamarhati) লাগোয়া একটি বন্ধ কারখানার ভিতরে পুকুরের মধ্যে থেকে হাত-পা বাঁধা,মুখে রুমাল বাঁধা অবস্থায় মৃত অবস্থায় ইমতিয়াজকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সঠিক সময়ে পদক্ষেপ করলে তাকে বাঁচানো যেত বলে দাবি স্থানীয়দের। তারপরেই স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে বিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবি জানান। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয়। পরে, লাঠিচার্জ করে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, আগে কোনও ঝামেলাতেও জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়নি শিশুটির পরিবারের কাউকে। সে ক্ষেত্রে শিশুটি কী ভাবে নিখোঁজ হল, কেনই বা তার দেহ পুকুরে এল, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। দোষীদের শাস্তি চাই।

    পুলিশ কমিশনার কী বললেন?

    পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া এদিন ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, যেখানে ওই নাবালকের দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেখানে সচরাচর কেউ যায় না। কেন ওই নাবালককে এভাবে খুন করা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik 2024: মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনেও এড়ানো গেল না প্রশ্ন ‘ফাঁস’! এবারও সেই মালদা

    Madhyamik 2024: মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনেও এড়ানো গেল না প্রশ্ন ‘ফাঁস’! এবারও সেই মালদা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারের মতো শনিবারও ফের মাধ্যমিক (Madhyamik 2024) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হল। আর পরীক্ষা চলাকালীন সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল প্রশ্নপত্রের সেই ছবি। এবারও সেই নাম জড়াল মালদা জেলার। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এত কড়াকড়ির পরও কীভাবে প্রশ্নপত্র পাচার হয়ে যাচ্ছে। আর বার বারই মালদা জেলার নাম উঠে আসা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Madhyamik 2024)

    শনিবার মাধ্যমিকের (Madhyamik 2024) ইংরেজি পরীক্ষা শুরুর কিছু ক্ষণ পরেই মালদা জেলার এনায়েতপুর হাইস্কুল থেকে ওই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায় বলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর। ওই ঘটনায় ছ’জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জন ছাত্র এবং দু’জন ছাত্রী। পর্ষদ সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচতে কৌশল করে প্রশ্নপত্রে থাকা কিউআর কোড লাল কালি দিয়ে কেটে দিয়েছিল অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীরা। তবে তাতে লাভ হয়নি। কিউআর কোড স্ক্যান করে পর্ষদের কর্মীরা জানতে পারেন, কোন জায়গার কোন পরীক্ষার্থীর হাতে ওই প্রশ্নপত্র পড়ে। কারণ, ওই কোডে যে সিরিয়াল নম্বরটি রয়েছে, সেই কোড দেখেই বোঝা যায়, প্রশ্নপত্রটি কোন জেলায় গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কোন স্কুলে ওই প্রশ্নপত্র গিয়েছিল, তা-ও জানা যায় সিরিয়াল নম্বর থেকে। কিউআর কোডের ওপর থাকা লাল কালি মুছে ওই ছয় পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করেছে পর্ষদ। তাদের সব পরীক্ষা বাতিলও করা হয়েছে। শুক্রবার মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই দেখা যায়, বাংলার একটি প্রশ্নপত্র সমাজমাধ্যমে ঘুরছে। এর পরেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে পর্ষদ। কিউআর কোড স্ক্যান করে চিহ্নিত করা হয় মালদহের দুই পরীক্ষার্থীকে। তাঁদের সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিল করে মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করে দিয়েছে পর্ষদ।

    মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কী বললেন?

    এই বিষয় নিয়ে মাধ্যমিক (Madhyamik 2024) শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, চক্রান্ত করেই এই কাজ করা হচ্ছে। বাংলার পর ইংরেজি। বিষয়টা আমরা খতিয়েও দেখছি। সব পরীক্ষার্থী মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। শুধুমাত্র মালদা জেলা থেকেই কেন এমনটা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে। কিউআর কোড মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে মানে স্পষ্ট যে, সচেতন ভাবেই করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীদের বেধড়ক মার, অভিযুক্ত প্রাক্তন ব্লক সভাপতি

    Murshidabad: তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীদের বেধড়ক মার, অভিযুক্ত প্রাক্তন ব্লক সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফর শেষ করে চলে যাওয়ার পরই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রেজিনগরে। বিধায়ক অনুগামীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রেজিনগর বিধানসভার বেলাডাঙা-২ ব্লকের পূর্ব চক্রের ব্লক সভাপতি ছিলেন আতাউর রহমান। তাঁর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলমের গন্ডগোল লেগেই ছিল। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে রবিউল জেলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান। এরপরই আতাউরকে ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে দলের অন্দরে চর্চা রয়েছে। ফলে, আতাউর এই বিষয় নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ। তাই, বিধায়কের সঙ্গে এলাকার কোনও কর্মী তৃণমূল করবে না বলে আতাউর ও তাঁর অনুগামীরা হুমকি দিতে থাকেন।আর এটা নিয়ে বিধায়কের সঙ্গে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির বিবাদ চলছিল বিগত বেশকিছু দিন ধরে। শুক্রবার রাতে সেই বিবাদ চরম আকার ধারণ করে। জানা গিয়েছে, বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীর লোকজনদের উপর আচমকা হামলা চালায় প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আতাউর রহমানের অনুগামীরা। অতর্কিতে তাঁদের উপর চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম হন বিধায়কের চারজন অনুগামী। প্রথমে তাঁদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বেলডাঙা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। পরে, সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় একজনকে ইতিমধ্যে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বহরমপুরের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনায় রেজিনগর বিধায়কের পক্ষ থেকে যথারীতি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। পাশাপাশি অভিযোগের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেজিনগর থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

    আক্রান্তরা কী বললেন?

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, আমরা বিধায়কের নেতৃত্বের দল করি। বিধায়কের পার্টি অফিসে বসি। এটাই আমাদের অপরাধ। তাই, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আতাউর ও তাঁর অনুগামীরা আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাদের বেধড়ক মারধর করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: নিয়োগের দাবিতে মাথা মুড়িয়ে আমরণ অনশনে চাকরিপ্রার্থীরা

    South 24 Parganas: নিয়োগের দাবিতে মাথা মুড়িয়ে আমরণ অনশনে চাকরিপ্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেদের হকের চাকরির দাবিতে নিজেদের মাথা মুড়িয়ে আমরণ অনশনের ডাক দিলেন ২০০৯ এর চাকরি প্রার্থীরা। এর আগেও তাঁরা আন্দোলন করলেও এরকমভাবে জোরদার আন্দোলন শুরু করেনি। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডিপিএসসি অফিসের সামনে ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের নিয়োগের দাবি জানিয়ে মাথা ন্যাড়া করে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন।

    চাকরি প্রার্থীরা কী বললেন? (South 24 Parganas)

    ২০০৯ এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ১৮৩৪ জনের পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের নিয়োগের দাবিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবারে ডিপিএসসি অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা। এর আগেও একাধিকবার তাঁরা এই দফতরের সামনে অবস্থানে বসেছেন। আংশিক নিয়োগের নির্দেশ মিলেছে। তবে, সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করার বিষয়ে রাজ্য সরকার কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।  আর এতেই ক্ষুব্ধ চাকরি প্রার্থীরা। তাঁরা জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ১৮৩৪ জনের প্যানেলের মধ্যে ১৫০৬ জন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও বাকিদের নিয়োগের বিষয়ে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত ৩২৮ জন চাকরিপ্রার্থী নিয়োগপত্র পাননি। তাই নিজেদের চাকরির দাবিতে ডিপিএসসি অফিসের সামনে আমরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছি। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছি। তাঁদের ওপর ভরসা রয়েছে। আমাদের জীবন থেকে ১৫ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত নিয়োগপত্র আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। এই নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চাই। পাশাপাশি তাঁরা জানান যে তাঁরা নিজেদের এই মুখ আর দেখাতে চান না। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করার জন্যই এই মাথার মুড়িয়ে শিকল দিয়ে নিজেদের বেঁধে রেখে অভিনব বিক্ষোভ দেখান। আমাদের দাবি, চেয়ারম্যান অবিলম্বে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করুন। আর সম্পর্ণ তালিতা অনুযায়ী নিয়োগের আমরা দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘লোকসভার ফল বেরলেই রাজ্যে বিজেপি সরকার’, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘লোকসভার ফল বেরলেই রাজ্যে বিজেপি সরকার’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ ইস্যুকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এমনকী লোকসভা ভোটের ফল বের হওয়ার পর তৃণমূল সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে তিনি মুখ খুললেন। শুক্রবার চুঁচুড়ায় এসে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের ২ কোটি বাঙালি হিন্দুর ১৯৪৫ সাল থেকে লড়াই সফল হতে চলেছে। কারণ, যে বাঙালি হিন্দুরা ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশ থেকে উৎপীড়িত হয়ে এসেছেন, এক কাপড়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের সহনাগরিকত্ব দেওয়া নরেন্দ্র মোদীর কমিটমেন্ট। অমিত শাহর তৈরি করা আইন কার্যকর হতে চলেছে। আর তাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত। তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে খবর আছে, সিএএ পোর্টাল চালু হতে চলেছে। আইন তো আগেই হয়ে গিয়েছে। রুল ফ্রেম হয়ে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসেই তা কার্যকরের দিকে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তিনি ভাবছেন, আমার সিটগুলো সব গেল। কারণ, এখানে ৩৫টি আসন বিজেপি জেতা মানে, মমতা ধপ! তার পরের দিন বিজেপি সরকার।” সিএএ আইন যে এই মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার কার্যকরী করতে চলেছে তা বিরোধী দলনেতা এদিন আবারও তা স্পষ্ট করে দেন। আর সিএএ কার্যকরী হলে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে জোর ধাক্কা দেওয়া যাবে বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    সিএএ নিয়ে সওয়াল করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    রাম মন্দির উদ্বোধনের পর পরই লোকসভা ভোটের মুখে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে ফের বাংলার রাজনীতিতে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। ২৮ জানুয়ারি কাকদ্বীপের এক সভা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, “গ্যারান্টি দিচ্ছি, সাত দিনের মধ্যে সিএএ লাগু হবে।” ফলে, এই বিষয নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়। আর এদিন বিরোধী দলনেতা ফের সিএএ ইস্যুতে জোর সওয়াল করেছেন। ফলে, বাংলায় সিএএ কার্যকরী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: সার্কিট বেঞ্চে জোর ধাক্কা খেলেন মমতার ভাই, নির্বাচনে দেওয়া হল স্থগিতাদেশ

    Jalpaiguri: সার্কিট বেঞ্চে জোর ধাক্কা খেলেন মমতার ভাই, নির্বাচনে দেওয়া হল স্থগিতাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সার্কিট বেঞ্চে ধাক্কা খেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুন। সভাপতি হিসেবে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় অবৈধভাবে বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের নোটিশ জারি করেছেন। এমনই অভিযোগ তুলে গ্রেটার শিলিগুড়ি টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন  মামলা দায়ের করে। সেই মামলাতে সংস্থার সংবিধান অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের নোটিশ জারি করার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তার প্রেক্ষিতে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনেন নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ।

    কেন মামলা? (Jalpaiguri) 

    বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ অর্জুন মান্তু ঘোষের স্বামী সুব্রত রায় শুক্রবার শিলিগুড়িতে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, বাংলার তিনটি রাজ্য টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনকে এক ছাতার তলায় আনার ফলে উত্তরবঙ্গ রাজ্য টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন, বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মিশে যায়। এই সংযুক্তিকরণের সময় টেবিল টেনিস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার অভিভাবকত্বে সিদ্ধান্ত হয়েছিল একজন সভাপতি ও দুজন যুগ্ম-সম্পাদক থাকবে। উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিত্বের জন্যে একজন যুগ্ম সম্পাদক উত্তরবঙ্গ থেকে থাকবে। উত্তরবঙ্গ চ্যাপ্টারে যুগ্ম সম্পাদক হন অর্জুন মান্তু ঘোষ। সংবিধান অনুযায়ী, যুগ্ম সম্পাদকরাই  সভা ডাকবেন, নির্বাচনের নোটিশ জারি করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় তা না মানায় আমরা মামলা করি। বুধবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি অর্পিতা সিনহা সভাপতির নির্বাচন ডাকার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি ৭ ফেব্রুয়ারি স্বপনবাবুর ডাকা বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ দেন।

    সংগঠনের ভিতরে দাদাগিরি চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই!

    বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্টস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন উত্তবঙ্গ নিয়ে এই অভিযোগ করেন সুব্রত রায়।  তিনি বলেন, প্রথমে যুগ্ম সম্পাদকের পদ নিস্ক্রিয় করতে বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনে সচিব পদ তৈরি উদ্যোগ নেন স্বপন বাবু। মুখ্যমন্ত্রীর ভাই হওয়ায় তিনি প্রভাব খাটিয়ে সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের রেজিস্ট্রারকে দিয়ে আমাদের সচিব পদ তৈরির জন্য নোটিশ পাঠান। সচিব পদে নির্বাচন  হলে কম ভোট থাকায় উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধি জিততে পারবে না জেনেই এই ষড়যন্ত্র। আমরা এই নির্দেশিকারও প্রতিবাদ জানিয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সার্কিট বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছি। স্বপনবাবু সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যুগ্ম সম্পাদককে ঠুঁঠো জগন্নাথ করে সংগঠন নিজের মর্জি মতো চালাতে শুরু করেন। রীতিমতো দাদাগিরি চালাচ্ছেন তিনি। রাজ্য দল গঠনেও তাঁর পছন্দ শেষ কথা হয়ে উঠেছিল। যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে মান্তু ঘোষ ও আমরা এটা মেনে নিতে পারিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রায়’ চরম বিশৃঙ্খলা! পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি কংগ্রেস কর্মীদের

    Rahul Gandhi: রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রায়’ চরম বিশৃঙ্খলা! পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি কংগ্রেস কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারতজোড়ো ন্যায় যাত্রায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। মধ্যাহ্ন ভোজনের স্থানে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় কংগ্রেস কর্মীদের। অন্যদিকে, মাধ্যমিকের প্রথম দিনে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রার জন্য একাধিক অভিযোগ জমা পড়ল বীরভূম পুলিশের কাছে। পুলিশের কাছে  অভিযোগ করেন অভিবাবকেরা।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Rahul Gandhi)

    পশ্চিমবঙ্গে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারতজোড়ো ন্যায় যাত্রা পঞ্চম দিন ছিল বীরভূম জেলা সফর। শুক্রবার থেকে মাধ্যমিক শুরু হওয়ায় রাহুলের ন্যায় যাত্রায় আপত্তি ছিল পুলিশের। এমনকী বেশ কয়েক দফা শর্ত বেঁধে দেয় পুলিশ। ফলে, পুলিশের কড়া নজরদারির মধ্যেই এদিন রাহুলের ন্যায় যাত্রা হয় বীরভূমে। জানা গিয়েছে, তারাপীঠের বুধীগ্রাম থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার রাজগ্রাম পর্যন্ত ছিল এই ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি। কিন্তু, এদিন থেকে শুরু হয় মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই রাহুল গান্ধীর কর্মসূচিতে অনুমতি ছিল না বীরভূম পুলিশের। তাই, সোজা তারাপীঠের বুধিগ্রাম থেকে রামপুরহাটে মধ্যাহ্ন ভোজনের স্থানে আসে রাহুল গান্ধীর র‍্যালি। সেখানে দলের নেতাকে দেখার জন্য ভিড় জমান দলীয় কর্মীরা। শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় কংগ্রেস কর্মীদের। বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী এসে ভিড় দূরে সরিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বাংলা সফরে এসে একাধিক জেলায় মমতার পুলিশের হাতে বাধা পেল রাহুলের ন্যায় যাত্রা। পরে, বীরভূম সফর শেষে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করে রাহুল গান্ধীর কনভয়।

    ‘ন্যায় যাত্রা’- বিরুদ্ধে অভিযোগ অভিভাবকদের

    অন্যদিকে, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারতজোড়ো যাত্রা করায় অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। ফলে, এই কর্মসূচি নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ অভিবাবকেরা। ইতিমধ্যের বীরভূম জেলা পুলিশের কাছে রাহুলের এই ন্যায় যাত্রায় তাঁদের অসুবিধার কথা জানিয়ে ১৫ জন অভিবাবক পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share