Tag: West Bengal

West Bengal

  • CBI: বগটুই কাণ্ড! তিন ফেরার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রামে হুলিয়া জারি করল সিবিআই

    CBI: বগটুই কাণ্ড! তিন ফেরার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রামে হুলিয়া জারি করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডে তিন অভিযুক্তকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য হুলিয়া জারি করল সিবিআই (CBI)। তিন জনের নাম দিয়ে বীরভূমের বগটুই গ্রামে নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    ৩০ জানুয়ারি হাজিরার নির্দেশ (CBI)

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বগটুইতে গিয়ে নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়ে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা(CBI)। নোটিশে তিন অভিযুক্তের নাম রয়েছে— রোহন শেখ, মারফত শেখ এবং খুশিল শেখ। এঁদের মধ্যে রোহন বগটুইকাণ্ডে ধৃত এবং সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হওয়া লালন শেখের ছেলে। মারফত শেখ বগটুইয়ের ঘটনার দিন নিহত ভাদু শেখের বাবা। বগটুইয়ের ঘটনার পর থেকেই খুশিল শেখের এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ওই নোটিশে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি রামপুরহাট মহকুমা আদালতের এসিজেএমের এজলাসে তিন জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল।

    তিন অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি উঠল

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমার আঘাত এবং গুলি লেগে খুন হন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপ প্রধান ভাদু শেখ। তার অব্যবহিত পর সেই রাতেই অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা বগটুই গ্রাম। গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শিশু এবং মহিলা-সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর বীরভূমে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের তরফে সাহায্য প্রদান করা হয়। ঘটনাক্রমে বগটুইকাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই (CBI)। স্থানীয় বাসিন্দা মিহিলাল শেখ বলেন, বগটুই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তিন অভিযুক্ত বগটুইকাণ্ডে বর্বরতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে। তাদের আমরা ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sreela Majumdar: তিন বছরের লড়াই শেষ! না ফেরার দেশে চলে গেলেন শ্রীলা মজুমদার

    Sreela Majumdar: তিন বছরের লড়াই শেষ! না ফেরার দেশে চলে গেলেন শ্রীলা মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যানসারে ভুগছিলেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার (Sreela Majumdar) । তিন বছর ধরে মারণরোগের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন তিনি। না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেত্রী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া।

    তিন বছর আগে অভিনেত্রীর শরীরে মারণরোগ থাবা বসায় (Sreela Majumdar)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে তাঁর (Sreela Majumdar) শরীরে মারণরোগ থাবা বসায়। নিয়মিত তিনি চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। তবে, গত বছর নভেম্বর মাস নাগাদ তাঁর শারীরীক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। পরে, চিকিৎসা করিয়ে তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে, চলতি মাসে তাঁর ফের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে টাটা মেডিক্যাল ক্যানসার সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ২০ জানুয়ারি তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তখন থেকে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তাঁর স্বামী এসএনএম আব্দি তাঁর দেখাশুনা করছিলেন। তাঁর ছেলে সোহেল আব্দি পড়াশুনার জন্য লন্ডনে থাকেন। তিনিও মায়ের শারীরীক অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর পেয়ে আগেই বাড়ি ফিরে এসেছেন। শনিবার রাতে কেওড়াতলা শ্মশানে অভিনেত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। টলি পাড়ার অনেকেই শোক প্রকাশ করেন।

     মৃনাল সেনের হাত ধরে প্রথম টলিউডে পা রাখেন অভিনেত্রী

    টলিপাড়া ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বনামধন্য পরিচালক মৃনাল সেনের হাত ধরেই শ্রীলা মজুমদারের (Sreela Majumdar)টলিপাড়ায় আত্মপ্রকাশ। বয়স তখন তাঁর মাত্র ১৬ বছর। একটি নাটকের মহড়া থেকে সিনেমার জগতে তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন পরিচালক মৃণাল সেন। ১৯৮০ সালে মৃণাল সেন পরিচালিত ‘পরশুরাম’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে তিনি প্রথম পা রাখেন। তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’। অঞ্জন চৌধুরির ‘পূজা’, হরনাথ চক্রবর্তীর ‘প্রতিবাদ’। এই সব সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁচ্ছে গিয়েছিলেন। বাংলার পাশাপাশি বলিউডের নামজাদা তারকা শাবানা আজমি, নাসিরুদ্দিন শাহ, স্মিতা পাটিলের সঙ্গেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। শ্রীলা মজুমদারের অভিনয় কেরিয়ারের আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, ২০০৩ সালে চোখের বালি সিনেমায় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের জন্য বাংলায় কণ্ঠ দিয়েছিলেন। শেষবার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পালান’ সিনেমায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল। মারণরোগ থাবা বসাতে কাজ তিনি কিছুটা কমিয়ে দিয়েছিলেন। তবে, তাঁর অনুরাগীদের বক্তব্য, এরকম প্রতিভাময়ী অভিনেত্রীকে ঠিকমতো ব্যবহার করা হয়নি। এটা নিয়ে তাঁর অভিমান ছিল। তবে, তিনি এই বিষয় নিয়ে কারও কাছে অভিযোগও কোনওদিন করেননি। স্বর্ণযুগের সমান্তরাল ছবির নায়িকা শ্রীলা মজুমদারের অকাল প্রয়াণে গভীরভাবে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: বরানগরে তৃণমূল কর্মীর রহস্য মৃত্যু! খুনের অভিযোগ পরিবারের

    Baranagar: বরানগরে তৃণমূল কর্মীর রহস্য মৃত্যু! খুনের অভিযোগ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরানগরে (Baranagar) এক তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে।  শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বরানগরের লেকভিউ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আশিস দে (৫২)। তাঁর বাড়ি বরানগরের প্রামাণিকপাড়ায়। লেকভিউ এলাকার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ইতিমধ্যেই পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Baranagar)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আশিস দে তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। পেশায় তিনি প্রোমোটার। ২৫ তারখি সন্ধ্যায় আশিসবাবুর মোবাইলে ফোন আসে। তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে যেতে বলা হয়। ফোন পাওয়ার পরই তিনি সেখানে বেরিয়ে যান। আর তিনি বাড়ি ফেরেন নি। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ স্ত্রী তাঁকে ফোন করেন। তখন তিনি হাসপাতালে রয়েছি বলে জানান। পরে, আর যোগাযোগ হয়নি। রাতে বাড়়ি না ফেরায় আশিসবাবুর স্ত্রী তাঁর মোবাইলে ফের ফোন করলে সুইচড অফ আসে। শুক্রবার সকালে পুলিশ আশিসবাবুর মৃত্যু খবর জানান। আশিসবাবুর স্ত্রী অপর্ণা দে বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে কারও কোনও ঝামেলা ছিল না। তাঁর কোনও শত্রুও ছিল না। বন্ধুর মা হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। তারপর বরানগরের (Baranagar) লেকভিউ এলাকায় তাঁর দেহ মেলে। আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল কর্মীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    বরানগর (Baranagar) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ নারায়ণ বসু বলেন, আশিসবাবু আমাদের দলের কর্মী। কেন এরকম ঘটনা ঘটল তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তির মা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁর সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: বিজেপিকে নরখাদক বলে দাঁত-হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

    Malda: বিজেপিকে নরখাদক বলে দাঁত-হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণ করা তৃণমূল নেতাদের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর মালদার (Malda) মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী তো কখনও বিজেপিকে লাঠিপেটা করার, কখনও বিজেপি সাংসদের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এবার বিজেপিকে নরখাদক বলে সম্বোধন করে, দাঁত-হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূলের মালদা জেলা সভাপতি। হরিশ্চন্দ্রপুরে এক সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? (Malda)

    হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা বাজারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার  প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় আবদুর রহিম বক্সী হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন উন্নয়নমূলক কাজ করছেন, তখন  বিজেপিরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তারা চেষ্টা করছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটাকে কীভাবে ধ্বংস করে দেওয়া যায়। ভারতবর্ষের ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়। বিজেপি বড় নরখাদক। কিছু দালাল পুষেছে, পশ্চিমবঙ্গের বুকে যারা টিভিতে মুখ দেখায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে। সেই নরখাদকের দল জেনে রাখ, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তোমাদের ওই দাঁত-হাত-পা ভেঙে চুরমার করে দেবে। আগামী দিনে প্রত্যেকটা নরখাদকের দাঁত ভেঙে দেব আমরা।” মালদা (Malda) উত্তরের বিজেপি সাংসদ ও বিজেপি নেতাদের তীব্র আক্রমণ করেন। গ্রামে ঢুকতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি থেকে জুতার মালা পরানোর নিদান দেন তিনি। বিজেপি সাংসদ এলাকায় এলে ব্যারিকেড তৈরির পরামর্শও দিলেন তিনি। তিনি বললেন, “গ্রামে ঢুকতে বারণ করুন এবং গ্রামে ঢুকতে দেবেন না।”

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    মালদা (Malda) উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “মানুষ ওদেরকেই ব্যারিকেড করছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতির নিজের বিধানসভা এলাকায় আমি গিয়েছিলাম। কালকে মালতিপুর হয়ে চাঁচল গেলাম। ওঁর বিধানসভা এলাকা। কোথায় লোক আটকাচ্ছে?…আমাকে আটকাচ্ছে না, ওঁকে আটকাবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘পুলিশ মন্ত্রী ঘুমোচ্ছেন, এবার লড়াইয়ে নামতে হবে’, হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘পুলিশ মন্ত্রী ঘুমোচ্ছেন, এবার লড়াইয়ে নামতে হবে’, হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার মহাত্মা গান্ধী রোড এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে রাজ্য সভাপতি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    গত ২৪ তারিখ রাতে হাওড়া টিকিয়াপাড়া সংলগ্ন বেলিলিয়াস রোডে একটি গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। একটি মিছিল থেকে এলাকায় তাণ্ডব চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, কিছু ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। ঘটনায় বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন বলে জানা যায়। কারও মাথা ফাটে, হাত ভাঙে। তারপর থেকেই এলাকায় চলছে ১৪৪ ধারা। ওইদিনের ঘটনায় আহতদের দেখতে শনিবার হাওড়ায় যান সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। কিন্তু, হাওড়ার মহাত্মা গান্ধী রোডে আটকে দেওয়া হয় সুকান্তকে। দু’টি স্তরের ব্যারিকেড টেনে পথ আটকায় পুলিশ। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুকান্ত। পুলিশের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে সে কারণেই কোনও জমায়েত করা যাবে না।

    পুলিশ মন্ত্রী তো ঘুমোচ্ছেন! লড়াইয়ে নামার ডাক দিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত বলেন, “পুলিশ ১৪৪ ধারা তখনই লাগায় যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তার মানে এই পুলিশ প্রশাসন স্বীকার করে নিচ্ছে যে ঘটনার পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও আইন-শৃঙ্খলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নেই। সে কারণেই ১৪৪ ধারা। এটা নিজেরাই স্বীকার করছে। এই পুলিশ থেকে কী লাভ? পুলিশ সরে যাক না। দেখি তারপর কত বোমা-গুলি আছে। সেন্ট্রাল হাওড়াকে পাকিস্তান বানাতে দেব না।”ঘটনার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কেনও কেউ গ্রেফতার হয়নি সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। সরাসরি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত বলেন, “পুলিশ মন্ত্রী তো ঘুমোচ্ছেন। এবার আমাদের লড়াইয়ে নামতে হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: প্রজাতন্ত্র দিবসে সোশ্যাল মিডিয়াতে শুভেচ্ছাবার্তা শাহজাহানের! কী করছে পুলিশ?

    Sheikh Shahjahan: প্রজাতন্ত্র দিবসে সোশ্যাল মিডিয়াতে শুভেচ্ছাবার্তা শাহজাহানের! কী করছে পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামলা চালানোর ১৯ দিনের মাথায় ফের ইডি সন্দেশখালিতে হানা দিয়েছিল। ১৯ খানা তালা ভেঙে তৃণমূলের বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে ঢুকেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। শাহজাহান ও তাঁর বাড়ির লোকজন কারও কোনও হদিশ মেলেনি। তাঁর অনুগামীরাও উধাও। সেই বেপাত্তা শাহজাহান ফের সক্রিয় সমাজ মাধ্যমে। সাধারণতন্ত্র দিবসে সমাজ মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সন্দেশখালির দাপুটে এই তৃণমূল নেতা।

    সোশ্যাল মিডিয়াতে শুভেচ্ছা বার্তা দেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)

    পুলিশ প্রশাসনের দাবি, তারা শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) হন্যে হয়ে খুঁজছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকার পরও পুলিশ তার নাগাল পাচ্ছে না। ফেরার তৃণমূল নেতা কোথায়, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। অন্তরালে থেকে শেখ শাহজাহান ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানান। শুধু তাই নয় ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচারও বদল করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সচল রাখার জন্য ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তাঁর অনুগামীরা চালিয়ে যাচ্ছেন? না অন্য কেউ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন? আর তৃণমূল নেতা যদি নিজেই এসব করে থাকেন, তাহলে পুলিশ তাঁর গতিবিধির হদিশ পাচ্ছে না কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান কোথায় তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা চলছে। এরমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে ফের সরগরম বঙ্গের রাজনীতি।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    সন্দেশখালি কাণ্ডের পর তৃণমূল নেতাকে কেন এখনও গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ, সরব বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এর আগে বলেছিলেন, শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) কোথায় আছে তা পুলিশ জানে। তাই, পুলিশ তাঁকে ধরছে না। শুক্রবার বসিরহাটের হাসনাবাদ ব্লকে মিছিল করেন। সেখানে শাহজাহান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শাহজাহান গর্তে ঢুকে আছেন।” তবে, পুলিশের ভুমিকা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: জাতীয় পতাকা তোলা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশ্যে

    Asansol: জাতীয় পতাকা তোলা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ফতেপুর গ্রামে। পুলিশের নির্দেশে অনুষ্ঠান সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Asansol)

    আসানসোল (Asansol) পুরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ফতেপুর গ্রামের ষোলোআনা কমিটি নামে স্থানীয় কমিটির উদ্যোগে সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করা হয়। এই কমিটির কর্মকর্তারা সকলেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। আর এই কমিটিকে না জানিয়ে গ্রামের একটি অংশ সাধারণতন্ত্র দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারাও তৃণমূল সমর্থক। তারা কম্বল বিলির সিদ্ধান্ত নেয়। আর এই অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে পাশের ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় নুনিয়ার বাবা রোহিত নুনিয়াকে। অথচ ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমিত মাঝিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রোহিতবাবুর বিরুদ্ধে পাশের ওয়ার্ডে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে। এই দাবিতে ফতেপুর গ্রামের একটি অংশ এর আগে আন্দোলনও করেছিলেন। তাঁকে গ্রামে আমন্ত্রণ জানানোই তৃণমূলের অন্যপক্ষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। উত্তেজনার খবরের আঁচ আগেই পেয়েছিল পুলিশ। তাই এই অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু রোহিত দলবল নিয়ে সকালে ঢুকে পড়ে গ্রামে। আর তখনই উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে আসানসোল দক্ষিণ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। গ্রামের এক পক্ষের অভিযোগ স্থানীয় কাউন্সিলরকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে রোহিত নুনিয়াকে কেন আমন্ত্রণ করা হল? সেই নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। পরে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে যে জায়গায় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সেখান থেকে পতাকা স্তম্ভ তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য একটি জায়গায়।  সেখানে পতাকা উত্তোলন করেন রোহিত নুনিয়া। কম্বল বিলি হয় গ্রামের বাইরে।

    স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর কী বললেন?

    স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুমিত মাঝি বলেন, রোহিত নুনিয়া একজন তোলাবাজ, জমি মাফিয়া। জোর করে জমি কেড়ে নেওয়ার তাঁর কাজ। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রামের ষোলোআনা কমিটি। দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর স্থানীয় কাউন্সিলর খুব ভাল ছেলে। প্রয়োজনে এই বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: রানাঘাট সেনকো গোল্ডে ডাকাতি, চার দুষ্কৃতীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা

    Dacoits: রানাঘাট সেনকো গোল্ডে ডাকাতি, চার দুষ্কৃতীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনে দুপুরে নদিয়া রানাঘাটে সেনকো গোল্ড এর শোরুমে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনার দুই মাস পর অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করল আদালত। বৃহস্পতিবার রানাঘাট মহকুমা আদালতের বিচারপতি চার অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। অনাদায়ে আরও একমাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Dacoits)

    আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই মাস আগে বিকাল তিনটে নাগাদ কয়েকজনের ডাকাত (Dacoits) আচমকা সেনকো গোল্ড এর শোরুমে হানা দেয়। রিভলভার দেখিয়ে লুটপাট করতে থাকে গয়না। কিছুক্ষণের পরেই খবর পৌঁছায় রানাঘাট থানায়। রানাঘাট থানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপরই শুরু হয় প্রকাশ্যে ওই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গুলির লড়াই। দিনের বেলায় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময়ের দৃশ্য সংবাদ মাধ্যমের সৌজন্যে দেখেছিলেন রাজ্যবাসী। পুলিশের গুলিতে জখম হয় এক দুষ্কৃতী। বাকিরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। সোনার দোকান থেকে কয়েক কোটি টাকার গয়না হাতিয়ে নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, এরপরই পুলিশ জখম ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীকালে পুলিশ তদন্তে নেমে আরও চারজনকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তারা ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। অভিযুক্তদের নাম নন্দন কুমার যাদব, রাজকুমার পাশওয়ান, ছোট্ট পাশওয়ান এবং রিক্কি পাসওয়ান। দীর্ঘ দুই মাস ধরে বিচার চলতে থাকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ২৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়। এই ঘটনায় বুধবার বিচারপতি অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন। বৃহস্পতিবার আদালতের বিচারক ওই চার অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেন।

    আসামীপক্ষের আইনজীবী কী বললেন?

    এ বিষয়ে আসামীপক্ষের আইনজীবী বাসুদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, এর আগে আমরা দেখেছিলাম চার্জশিটে মৃত ব্যক্তির নাম দেওয়া হয়েছিল। আমরা বেশকিছু বিষয় নিয়ে আসামীর হয়ে আদালতে প্রশ্ন করেছিলাম। কিন্তু, এদিন আদালত তাদের বিরুদ্ধে এই সাজা ঘোষণা করেছে। আগামী দিনে আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাব কিনা সেটা পরবর্তীকালে আসামীপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কেন্দ্রের দেওয়া গোয়ালঘরের লক্ষ লক্ষ টাকা খেল তৃণমূল! জেলাজুড়ে শোরগোল

    South 24 Parganas: কেন্দ্রের দেওয়া গোয়ালঘরের লক্ষ লক্ষ টাকা খেল তৃণমূল! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু থাকার বাসস্থান গোয়ালঘর তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছিল। সেই টাকাতেও থাবা বসিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত সমবায় সমিতি। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Paraganas) জেলার মথুরাপুর ২নম্বর  ব্লকের ২৩ নম্বর লাট কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতির বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Paraganas)

    গোয়াল ঘর তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এরমধ্যে উপভোক্তাদের ১ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) তৃণমূল পরিচালিত সমবায়ের মাধ্যমে উপভোক্তাদের সেই কাজ করে দেওয়ার কথা ছিল। প্রায় ৩০০ জন উপভোক্তার তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। তাঁরা সকলেই ১ হাজার জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে ১০টি গোয়াল ঘর তৈরি হয়েছিল। সেটাও আবার ৬০ হাজার করে খরচ হয়েছিল। বাকি লক্ষ লক্ষ টাকার কোনও হিসাব নেই। আর গোয়াল ঘর তৈরি না হওয়ায় উপভোক্তারা সরব হয়েছে। তৃণমূল বোর্ডের দিতে আঙুল তুলেছেন। জানা গিয়েছে, সমবায়ের তৎকালীন সম্পাদক ছিলেন উৎপল তাঁতি। তাঁর হাত ধরেই লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি হয়েছিল। সমবায়ের এই দুর্নীতির টাকায় নিজে বিশাল বাড়িও করেছেন বলে অভিযোগ। সমবায়ের পুরানো বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন বোর্ড হয়েছে। নতুন বোর্ড দুর্নীতির দায় নিতে চাইছে না। সমবায়ের প্রাক্তন ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ হালদার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিলেও সেই টাকার কোনও হিসাব নেই। লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে সমবায়ের সম্পাদক। এর তদন্ত হওয়ার দরকার।

    সমবায়ের অভিযুক্ত প্রাক্তন সম্পাদক কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত সমবায়ের প্রাক্তন সম্পাদক তথা তৃণমূল নেতা উৎপল তাঁতি বলেন, উপভোক্তার কাছে থেকে হাজার টাকা করে নিয়েছিলাম। ঠিকাদাররা গোয়াল ঘর তৈরি করা শুরু করেছিল। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দেওয়ায় সব ঘর করা যায়নি। কোনও দুর্নীতি হয়নি।

    দুর্নীতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল বিধায়ক অলোক জলদাতা বলেন, সমবায়ের উপভোক্তাদের টাকা আত্মসাৎ করার কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে, যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে তা সঠিক তদন্ত হবে। তবে এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার অরুনাভ দাস বলেন, যেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী,খাদ্যমন্ত্রী জেল খাটছেন, তাঁদের দলের নিচুতলার নেতারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাবেন, এটাই তো স্বাভাবিক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: ইন্ডি জোট ‘ঘেঁটে ঘ’! কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর মঞ্চও খুলে দিল মমতার পুলিশ

    Indi Alliance: ইন্ডি জোট ‘ঘেঁটে ঘ’! কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর মঞ্চও খুলে দিল মমতার পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) এ কী হাল! জোটের অন্যতম শরিক কংগ্রেসের হাইকমান্ড রাহুল গান্ধী বাংলা সফরে আসছেন। সেখানে জোটের আর এক শরিক তৃণমূল তাঁকে স্বাগত জানাবে, এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। তাঁর জন্য নানা ব্যবস্থা করে সৌজন্য দেখাবে, এমনটাও ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু, কোথায় কী! রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’-র আগেই হোঁচট। রাহুলকে স্বাগত জানাতে কংগ্রেস কর্মীরা যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, তাতে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    পুলিশ দিয়ে হেনস্থা! (Indi Alliance)

    বুধবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুলের রাজ্য সফর প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “আমাকে কি বলে বাংলায় আসছে?” এভাবেই রাহুলের আসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। তারপরই পুলিশ দিয়ে হেনস্থার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে অসম সীমানায় রাহুলকে স্বাগত জানাতে কংগ্রেস যে মঞ্চ তৈরি করেছিল, তা পুলিশের আপত্তিতে খুলে অন্যত্র সরাতে বাধ্য হয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। পুলিশের দাবি, জাতীয় সড়কের উপরে অনুমতি না নিয়ে মঞ্চ তৈরি করায় আপত্তি জানায় তারা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কোচবিহারের বক্সিরহাট দিয়ে রাহুলের রাজ্যে আসার কথা ছিল। ২৮ জানুয়ারি ছিল তাঁর জলপাইগুড়ি শহরে পৌঁছনোর কথা। সূচি অনুযায়ী ঠিক ছিল, সেখানে এবিপিসি এবিপিসি মাঠে মধ্যাহ্নভোজ করবেন তিনি। কিন্তু, সেদিন পুলিশের একটি পরীক্ষা রয়েছে। তাই জেলা পুলিশের তরফে অনুরোধ করা হয়, রাহুল যেন দুপুর দু’টোর পরে শহরে ঢোকেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সেই মতো সূচি বদলানোর প্রস্তুতি তাঁরা নিয়েছিলেন। মধ্যাহ্নভোজের জায়গাও বদলানোর তোড়জোড় করছিলেন।

    কংগ্রেস নেতৃত্ব কী বললেন?

    কোচবিহার জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা রাহুলকে স্বাগত জানাব বলে সভা মঞ্চ করেছিলাম। পুলিশ সভামঞ্চ খুলে দেয়। পরে, রাস্তার ঠিক উল্টো দিকে এক ব্যক্তির জমিতে আমরা মঞ্চ তৈরি করি। পুলিশ দিয়ে আমাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।

     রাহুলের সভা নিয়ে তৃণমূল নেতারা চুপ!

    রাহুল আসার আগে প্রস্তুতি দেখতে কোচবিহারে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি, রাহুলের কর্মসূচিতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কী করবেন, তা নিয়ে চর্চা চলছিল। বেশিরভাগ তৃণমূলের জেলা নেতা এই নিয়ে অবশ্য চুপ ছিলেন। আলিপুরদুয়ারের সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছিল, তাঁরা যাত্রায় যোগ দেবেন। যদিও শেষ মুহূর্তে রাহুল গান্ধী এই কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি ফিরে যাচ্ছেন বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share