Tag: West Bengal

West Bengal

  • Galsi: দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, ছুড়ে ফেলা হল পতাকা, তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে

    Galsi: দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, ছুড়ে ফেলা হল পতাকা, তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পর এবার গলসি (Galsi)। ফের তৃণমূলের কোন্দলের ঘটনা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ে ভাঙচুর হল দলীয় কার্যালয়। রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হল দলের পতাকা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গলসির জগুলিপাড়া মোড়ে। আর এই ঘটনার জেরে কার্যত মুখ পুড়েছে শাসকদলের নেতাদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Galsi)

    গলসি-১ (Galsi) নম্বর ব্লকে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন এবং বর্তমান ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় এবং স্থানীয় বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুই এই তিন জনের তিনটি গোষ্ঠী রয়েছে বলে তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর। এর আগেও বেশ কয়েক বার গোষ্ঠীকোন্দলে জড়িয়েছে তিন গোষ্ঠী। গত ২ জানুয়ারি বিধায়ক নেপালের গোষ্ঠী এবং ব্লক সভাপতি জনার্দনের লোক জনের মধ্যে গন্ডগোলে এলাকায় বোমাবাজিরও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে ফের কোন্দল সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, গলসির জাগুলিপাড়া মোড়ে তৃণমূলের একটি কার্যালয় রয়েছে। গত বছরের ২৫ নভেম্বর ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় সেটির উদ্বোধন করেছিলেন। তখন থেকে তাঁর অনুগামীরাই মূলত ওই কার্যালয়ে বসতেন। অভিযোগ, রবিবার রাতে দলীয় কার্যালয়ের ছাউনির একাংশ এবং শহিদ বেদি ভেঙে দেওয়া হয়। বসার বেঞ্চগুলো ছুড়ে বাইরে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও ব্লক সভাপতি এবং বিধায়কের মধ্যে একাধিকবার গন্ডগোলে ঘটনা সামনে এসেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এই গন্ডগোল এবং ভাঙচুর নিয়ে গলসির (Galsi) বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুই কোনও মন্তব্য করতে চাননি। রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস অবশ্য জানান এ নিয়ে তাঁরা অবহিত। তিনি বলেন, আমরা ঘটনাটি জেনেছি। খোঁজখবর নিয়ে জানব, কারা এই কাজ করেছেন। আর দলীয় অফিস যারা ভেঙেছে, তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                

  • BSF: মাটির নীচে সোনার বিস্কুট-কাশির সিরাপ, অভিনব পাচার ভেস্তে দিল বিএসএফ

    BSF: মাটির নীচে সোনার বিস্কুট-কাশির সিরাপ, অভিনব পাচার ভেস্তে দিল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফের (BSF)  চোখে ধুলো দিতে এখন পাচার সামগ্রী পুঁতে রাখা হচ্ছে বাড়ির উঠোনে! পরে পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে, সীমান্তে নজরদারি শিথিল হলেই সুযোগ বুঝে তা বার করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে গন্তব্যে। অভিনব কায়দায় পাচার করার ছক কষেছে পাচারকারীরা। তদন্তে নেমে বিএসএফের কাছে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য হাতে এসেছে।

    পাচারকারীদের পাচারের নতুন কী কৌশল? (BSF)  

    বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে গৃহস্থের বাড়ির উঠোন খুঁড়ে মিলেছিল ১৫ কেজি মতো অবৈধ সোনা। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি সীমান্তেও একই ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি। কাঁটাতারের বেড়া থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি বাড়ির মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। এই দু’টি ঘটনার সূত্র ধরে নতুন পাচার কৌশলের খোঁজ পেলেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর তদন্তকারীরা। বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে নদিয়ায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার বিজয়পুর গ্রামে একটি বাড়িতে হানা দেয় ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়ান-সহ কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকেরা। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে তাঁরা ১০৬টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেন। ওই ঘটনায় যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, বিস্কুটগুলি পাচারের উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটগুলির ওজন ১৪.২৯৬ কেজি। জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছেন, সোনার বিস্কুটগুলি বাংলাদেশের নাস্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ ও নাসির নামের দুই চোরাচালানকারীর কাছ থেকে তাঁরা সংগ্রহ করেছিলেন। সেগুলি বিজয়পুর এলাকা সংলগ্ন গেদে গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ হালদারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের। সীমান্তে বিএসএফের অতি তৎপরতা থাকায় নজরদারি এড়াতে কিছু দিনের জন্য পাচারকারীর বাড়িতেই পুঁতে রাখা হয়েছিল সোনার বিস্কুটগুলি। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য একটি ঘটনায় মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানা এলাকার পরাশপুর সীমান্তে একটি বাড়ির উঠোনের নীচে কাশির সিরাপ রাখা ছিল। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি কী বললেন? (BSF)

    দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি একে আর্য বলেন, কৌশল বদলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলির উঠোন থেকে পাচার সামগ্রী মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে। উঠোন থেকে পাচার সামগ্রী মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে বেগ পেতে হলেও ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন তথ্য হাতে এসেছে। পাচারকারীদের নতুন কৌশল ভেস্তে দেওয়া সম্ভব হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: তোলা না পেয়ে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা, বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা

    Barrackpore: তোলা না পেয়ে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা, বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোলার টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালানোর ঘটনার ঘটেছিল। বারাকপুরের (Barrackpore) সদর বাজার এলাকায়। আক্রান্ত ব্যবসায়ী গৌরব রায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সদর বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বনধের ডাক দিলেন। এদিন সদর বাজারে কোনও দোকান খোলেনি। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, হামলা চালানোর একটা অভিযোগ হয়েছে। হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাকপুর (Barrackpore) সদর বাজার এলাকার ব্যবসায়ী  গৌরব রায়কে বেশ কিছুদিন ধরে ফোনে হুমকি দিচ্ছিল স্থানীয় যুবক সোনু সাউ। তার কাছ থেকে বারংবার টাকা দাবি করা হচ্ছিল।  কিন্তু কয়েকদিন ধরে সনুর  গৌরব রায় ফোন ধরা বন্ধ করে দেয়। রবিবার সকালে গৌরব রায় যখন নিজের কর্মস্থলে যান, সেই সময় সেখানে সনু উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ী গৌরব কে  ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে ব্যারাকপুর জগদীশ চন্দ্র বসু জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।  ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হন ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। আহত যুবক গৌরব রায বলেন, আমার ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। আমি এটা ফ্ল্যাট তৈরি করছি। এটাই আমার অপরাধ। কয়দিন ধরে ফোন করে আমাকে তোলা চায় সনু। আমি ওর ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ও আমার ফ্ল্যাটের কাজ বন্ধ করে দেয়। মিস্ত্রিদেরকে  সেখান থেকে বের করে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সনু কে এই ধরনের ও আচ্ছা  আচরণ করতে নিষেধ করি। উল্টে সে আমাকে ধারালো অস্ত্র  দিয়ে কোপ মারে। আমার ভাই বাঁধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে। আমার এক বন্ধু সেখানে এলে তার উপরও চড়াও হয়। পরে এলাকার লোকজন  জড়ো হতে  ও পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।

    ব্যবসায়ীরা কী বললেন?

    ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ব্যবসা করার জন্য তোলা দিতে হলে এই এলাকায় কেউ আর ব্যবসা করতে পারবে না। এটা ঠিক নয়। আমরা তাই ব্যবসা বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছি। অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি-র বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই তোলাবাজির সঙ্গে তৃণমূল জড়িত। তৃণমূলের দৌরাত্ম্যে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। সারা রাজ্য জুড়ে এইভাবে তোলাবাজি চলছে। তৃণমূল নেতা সঞ্জীব সিং বলেন, ঘটনাটি ঠিক হয়নি। তবে, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Chatterjee: শতাব্দীর সাংসদ তহবিলের ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

    Jagannath Chatterjee: শতাব্দীর সাংসদ তহবিলের ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সাংসদ তহবিলের টাকা ভুয়ো টেন্ডার দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ। সোমবার তথ্য প্রমাণ দেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannath Chatterjee) । একইসঙ্গে সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংসদ শতাব্দী রায়ের ১৫ বছরের সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকার খরচের ইডি, সিবিআই দিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।

    ভুয়ো টেন্ডার করে এমপি ল্যাডের টাকা হাতানোর চেষ্টা! (Jagannath Chatterjee)

    বীরভূমের সিউড়ি পুরসভা এলাকায় বৈদ্যুতিক বাতিস্তম্ভ বসানো হবে। সাংসদ তহবিলের ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করে এই কাজ করা হবে। এই কাজের ভুয়ো টেন্ডারের কাগজ তুলে ধরে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক দুর্নীতি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। তিনি (Jagannath Chatterjee) বলেন, সিউড়ি পুরসভার এই ভুয়ো টেন্ডারের কাগজপত্রই প্রমাণ করে সাংসদ তহবিলের টাকা এইভাবে নয়ছয় করার চেষ্টা হয়েছে। সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের ১০০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করে। সুতরাং এই টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কেএমডিএ তিনজন ইঞ্জিনিয়র সই করে ভেটিং করেছেন। কিন্তু, বাস্তবে একজন ই়ঞ্জিনিয়র বহুদিন আগে অবসর গ্রহণ করেছেন। দুজন ইঞ্জিনিয়রের কোনও অস্তিত্ব নেই। ফলে, সেই কাগজপত্র পুজো জাল। এই ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে সিউড়ি পুরসভা ৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ছক কষেছিল। এই ঘটনার সঙ্গে সাংসদ, জেলাশাসক, সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান জড়িত। আর বিষয়টি সামনে আসতেই সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান তড়িঘড়ি টেন্ডার বাতিল করে দেন। টেন্ডার বাতিল করলেও আমরা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    ১৫ বছরের সাংসদ তহবিলের টাকার তদন্তের দাবি

    জগন্নাথবাবু (Jagannath Chatterjee) বলেন, সিউড়ি পুরসভার বাতিস্তম্ভ কেলেঙ্কারির মতো গত ১৫ বছর ধরে সাংসদ তহবিলের টাকা ভুয়ো টেন্ডার করে নয়ছয় করেছে শতাব্দী রায়। তাই, আমরা গত ১৫ বছরে ৭৫ কোটি টাকার যা কাজ হয়েছে তার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকেও জানাব। ইডি, সিবিআই দিয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে জ্বলবে প্রদীপ, ব্যস্ততা তুঙ্গে মৃৎশিল্পীদের

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে জ্বলবে প্রদীপ, ব্যস্ততা তুঙ্গে মৃৎশিল্পীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন অকাল দীপাবলি! মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। এমনই চিত্র ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জের কুমোর পাড়ায়। সাধারণত দীপাবলির সময়ে মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন মৃৎশিল্পীরা। কিন্তু, এ বছরে অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনকে কেন্দ্র করেই মাটির প্রদীপ তৈরিতে বেজায় ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।

    মৃৎশিল্পীরা কী বললেন? (Ram Mandir)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য দেশবাসীর কাছে আহ্বান করেছেন। তারই অঙ্গ হিসাবে জোর প্রস্তুতির দেখা মিলল রায়গঞ্জের কুমোরপাড়ায়। বিভিন্ন ডিজাইনের প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। অন্যান্য বছরে এই সময়ে তাঁরা সাধারণত প্রদীপ তৈরি না করলেও এবছরের চিত্রটা একটু ভিন্ন। পঙ্কজ পাল নামে এক মৃৎশিল্পী বলেন, অন্যান্য বছর এই সময়ে আমরা মাটির অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করে থাকি। তবে এ বছরে চাহিদা অনেক থাকায় মাটির প্রদীপ তৈরি করতে ব্যস্ত। সাধারণত দীপাবলীর সময়েই প্রদীপ তৈরি করার চাহিদা থাকে। কিন্তু এবছর রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য প্রদীপ কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। অপর এক মৃৎশিল্পী কমল পাল বলেন, অন্যান্য বার এই সময় আমরা সাধারণত টব তৈরি করে থাকি। তবে এবছর প্রদীপ তৈরি করতেই সময় চলে যাচ্ছে। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন বাড়িতে মাটির প্রদীপ জ্বালানোর জন্য ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজেপির নেতা কর্মীরাও।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ যোশি বলেন, আগামী ২২ তারিখে ঐতিহাসিক রাম মন্দিরে (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান করেছেন। সেই কারণে আমরা মাটির প্রদীপের অর্ডার দিয়েছি। তবে, মাটির প্রদীপের এত চাহিদা যে শিল্পীরা আর নতুন করে অর্ডারও নিতে চাইছেন না।

    নতুন অর্ডার নিচ্ছেন না মৃৎশিল্পীরা

    সুকুমার দাস নামে এক ক্রেতা বলেন, রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে প্রদীপ কিনতে এসেছি। আগে কিছু কিনে নিয়ে গিয়েছি। এখন আর নতুন করে অর্ডার দিয়ে প্রদীপ পাচ্ছি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: শুরু হল কেন্দুলির জয়দেবের মেলা, অজয়ে পুণ্যের ডুব দিলেন পূর্ণার্থীরা

    Birbhum: শুরু হল কেন্দুলির জয়দেবের মেলা, অজয়ে পুণ্যের ডুব দিলেন পূর্ণার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল কয়েকশো বছরের পুরানো কেন্দুলির জয়দেবের মেলা। প্রতি বছরই বীরভূমের (Birbhum) অজয় নদের ধারে জয়দেব-কেন্দুলি মেলাকে কেন্দ্র করে অসংখ্য পুণ্যার্থী ভিড় জমান। প্রথা অনুযায়ী মকর সংক্রান্তির দিন অজয় নদের তিরে পু্ণ্যস্নান সারেন পূর্ণার্থীরা। অন্যদিকে, সকাল থেকে ঐতিহ্যবাহী রাধাবিনোদের মন্দিরে পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে কবি জয়দেবের স্মৃতিবিজড়িত বাউল-ফকিরদের মেলাটি।

    কে তৈরি করেছিলেন রাধা বিনোদের মন্দির? (Birbhum)  

    ১৬৮৩ সালে বর্ধমানের মহারানি ব্রজকিশোরী বীরভূমের (Birbhum)  অজয় নদের রাধা-বিনোদের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই স্থানটির সঙ্গে রাজা লক্ষ্মন সেনের সভাকবি জয়দেবের নাম জড়িয়ে রয়েছে। তিনি কেন্দুলি গ্রামের সন্তান। প্রাচীন এই মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কাজের মাধ্যমে বর্ণিত রয়েছে বহু পৌরাণিক কাহিনী সমূহ। রয়েছে নানান দেবদেবীর মূর্তি। এই জয়দেব মেলা মূলত বাউল-ফকিরের মেলা হিসাবে পরিচিত। মকর সংক্রান্তির ভোর থেকে শীত উপেক্ষা করে অজয় নদের জলে স্নান সারলেন পুণ্যার্থীরা। পুণ্যস্নান সেরে রাধা-বিনোদের মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতিও বজায় ছিল। ভিড় থাকায় এই বছর জয়দেব মেলায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    বুধবার পর্যন্ত চলবে এই মেলা

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নানের ঘাট ও অন্যান্য জায়গায় নিরাপত্তার জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ প্রায় ২ হাজার ৬০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ডিআইজি, এসপি, এসডিপিও পদমর্যাদার অফিসাররা। ১০০ টির বেশি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকে চলছে নজরদারি। ২৪ টি পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ, ইভটিজিং, কেপমারি রুখতে একাধিক অ্যান্টি ক্রাইম টিম ও মহিলা পুলিশ রয়েছে। এছাড়াও চলছে ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি। এবার স্থায়ী আখড়া ছাড়াও ৩০০ টি মতো অস্থায়ী আখড়ার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। ৬৫০ টি স্টল রয়েছে মেলায়। উন্মুক্ত মল-মূত্র ত্যাগ রুখতে নদীর তিরে ১ হাজারেরও বেশি অস্থায়ী শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে জমজমাট প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জয়দেব মেলা। বুধবার পর্যন্ত চলবে এই মেলা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Memari: দলীয় মিছিলে হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন, মেমারিতে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Memari: দলীয় মিছিলে হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন, মেমারিতে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি (Memari) ব্লকে তৃণমূলের কোন্দল মাথাচাড়া দিয়েছে। যতদিন যাচ্ছে এই এলাকায় তৃণমূলের কোন্দল তত প্রকট হচ্ছে। মেমারি ২ ব্লকের একটি বড় অংশ মন্তেশ্বর বিধানসভার মধ্যে পড়ে। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মন্তেশ্বরের বিধায়ক হওয়ার পরে স্থানীয় তৃণমূলে আলাদা গোষ্ঠী তৈরি হয় বলে অভিযোগ। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইসমাইল শেখ ও তাঁর অনুগামী বলে পরিচিতরা পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাননি। একতরফাভাবে সিদ্দিকুল্লার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দলের ব্লক সভাপতি হরিসাধন ঘোষের লোকজন টিকিট পেলেও, বার বার দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন মুখ উঠছে জেলা তৃণমূলের মধ্যেও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Memari)

    শুক্র ও শনিবার রাতে মেমারি (Memari)-২ ব্লকের বোহার ১ পঞ্চায়েতের বিটরা গ্রামে পরস্পরের বিরুদ্ধে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলের দু’টি পক্ষ। গত দেড় মাসের মধ্যে এই ব্লকে শাসক দলের দ্বন্দ্বের ঘটনা বার তিনেক প্রকাশ্যে এসেছে। এ নিয়ে দলীয় নেতৃত্বও বিড়ম্বনায় পড়ছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ময়না হালদার টুডুর অনুগামী বলে পরিচিত অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অনাথবন্ধু রায়ের নেতৃত্বে বিটরা গ্রামে শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একটি মিছিল হয়। অভিযোগ, সেই মিছিলে ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জিন্নাত আলির অনুগামীরা হামলা চালান। মারধরে তিন জন জখম হন। অভিযোগ, পাল্টা আক্রমণও করা হয়। শনিবার থানায় অভিযোগ করে দু’পক্ষ। এর পরে আবার জিন্নাতদের অভিযোগ, শনিবার রাতে অনাথবন্ধুর লোকজন গ্রামে ‘বোমাবাজি’ করে।

    তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর নেতারা কী সাফাই দিলেন?

    ময়নার অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ওই গ্রামে অনাথবন্ধুর নেতৃত্বে মোটরবাইক মিছিল হচ্ছিল। তখন আমাদের দলেরই কয়েক জন হামলা চালায়। তাতে অনাথবন্ধু-সহ তিন জন জখম হন। রাহুল শেখ নামে এক জনকে রাস্তায় মারধর করা হয়েছে। উপপ্রধান জিন্নাতের পাল্টা অভিযোগ, ওরা এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তোলাবাজি করছে। মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। দলের কেউ জড়িত নয়।

    ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    মেমারি (Memari) -২ ব্লক সভাপতি হরিসাধন ঘোষ বলেন, সমন্বয়ের অভাব হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ঠিক কী কারণে এই গোলমাল, তা জানার জন্য বৈঠক করার কথা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে শাসক দলের নেতা সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে শাসক দলের নেতা সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিল্মি কায়দায় একদা অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ সত্যেন চৌধুরীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। সত্যেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। তাঁকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোস্তফা মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ নদিয়ার তেহট্ট থেকে গ্রেফতার করে। মোস্তফা তেহট্ট-১ ব্লকের কানাইনগর অঞ্চলের সহ-সভাপতি। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে সামনে চলে এসেছে।

    অসামাজিক কাজে যুক্ত সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা (Murshidabad)

    পুলিশ সূত্রের দাবি, মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতা সত্যেনকে খুনের পরে তিন অভিযুক্ত তেহট্ট থানার (Murshidabad) বিনোদনগর পোস্ট অফিস লাগোয়া এলাকায় মোস্তফার আশ্রয়ে ছিল। খুনের আগে ও পরে অভিযুক্তদের সঙ্গে মোস্তফার যোগাযোগ ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এর আগে স্থানীয় শ্রীরামপুর বাজার থেকে রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে কানাইনগর অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি আজিজুল শেখকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তা আজিজুলের ডান কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। কলার ব্যবসার আড়ালে অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অথচ এই মোস্তফাকে দলের পদ দিতে বাধেনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। কিছু দিন আগেই তেহট্ট ১ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতির প্যাডে দেওয়া চিঠিতে তাকে কানাইনগর অঞ্চলের সহ-সভাপতি মনোনীত করা হয়।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতি সৌমিত্র সরকার বলেন, এলাকায় অনেকের আব্দার ছিল, মোস্তফাকে পদ দেওয়া হোক। তাই, দেওয়া হয়েছে পদ। গ্রেফতারের কথা শুনেছি। এ-ও জেনেছি যে, সে নির্দোষ। সন্দেহের বশে তাকে ধরা হয়েছে। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বক্তব্য, ওই অঞ্চলে যুব সভাপতি বা সহ-সভাপতি কারও সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়নি। দলেরই এক কর্মীর দিকে গুলি ছোড়ায় জড়িত ছিল মোস্তফা। এ সব কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    সত্যেন খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলল বিজেপি। শনিবার সন্ধ্যায় আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবিতে পথসভা করেছে কংগ্রেস। বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, তৃণমূল চোর-গুন্ডাদের পদ দিচ্ছে, যাতে মানুষকে ভয় দেখিয়ে বাগে রাখতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে! হামলা চালিয়ে হুমকি তৃণমূলের

    Kamarhati: বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে! হামলা চালিয়ে হুমকি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মদিনে স্বামী বিবেকানন্দের গলায় মালা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বিজেপি কর্মীরা। হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে বলে হুমকি তৃণমূলের (Kamarhati)

    বৃহস্পতিবার ছিল স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিন। সেই উপলক্ষে সকালে বেলঘরিয়ার নন্দননগর বাজারের কাছে থাকা বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিতে যান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ, সেখানে তাঁদের মালা দিতে বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিজেপির যুবনেতা সুশান্ত রায়চৌধুরীর অভিযোগ, ‘বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিতে গেলে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয় বিবেকানন্দ নাকি ওদের। আমরা প্রতিবাদ করাই আমাদের প্রকাশ্যে স্থানীয় কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কানু দাসের ছেলে সৈকত ওরফে জয় দাস দলবল নিয়ে আমাকে এবং আমার সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীদের মারধর করে।  বাড়িতে গিয়েও শাসিয়ে আসে এবং ফোনে হুমকি দিয়ে বলে এলাকাছাড়া করে দেবে ‘। একই অভিযোগ আর এক বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ মণ্ডলেরও। তাঁর অভিযোগ, কাউন্সিলরের ছেলে ফোনে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি এলাকায় বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে বলে হুমকি দেয়। বুথে এজেন্ট হয়ে বসা তো দূরের কথা বাড়ি ছাড়া করারও হুঁশিয়ারি দেয়। ঘটনায় তাঁরা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন। আতঙ্কে রয়েছেন তাঁদের পরিবারও।

    প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশনে বাধা!

    প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে কামারহাটির (Kamarhati) নন্দননগরেরই ওল্ড নিমতা রোডে। সেখানে একটি সাইবার ক্যাফে রয়েছে নরোত্তম সিংহ  নামে এক ব্যবসায়ীর। ব্যবসায়ীর বক্তব্য, সেখানে কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশন করছিলেন।  অভিযোগ আচমকা কয়েকজন এসে আমাকে হুমকি দেয় এবং বলে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কিত কোনও যোজনার ফর্মফিলাপ করা যাবে না।  দোকানে যারা ছিল তাঁদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। দুটি ঘটনাতেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব।  দুটি ঘটনার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবারই বেলঘরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির উত্তর শহরতলি জেলার সভাপতি অরিজিৎ বক্সি। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।  না হলে আগামীদিনে বেলঘরিয়া জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন, ‘ যদি সত্যিই এরকম কিছু ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।  দলের কেউ জড়িত থাকলে সে বিষয়টিও দলীয় স্তরে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Burdwan: দেড় কোটি টাকার রাস্তা শেষ না হতেই উঠে গেল পিচ, বন্ধ করা হল কাজ

    West Burdwan: দেড় কোটি টাকার রাস্তা শেষ না হতেই উঠে গেল পিচ, বন্ধ করা হল কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় কোটি টাকা খরচ করে শুরু হয়েছে পিচের রাস্তা তৈরির কাজ। শেষ হয়নি সেই কাজ। এরমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে রাস্তার পিচ। প্রতিবাদে কাজ বন্ধ করে দিলেন স্থানীয়রা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকে। তৃণমূলের জমানাতেই এই রাস্তা তৈরি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (West Burdwan)

    পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের মাধাইগঞ্জ থেকে উখড়া পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার পিচের রাস্তা তৈরির বরাত পেয়েছেন এক ঠিকাদার। এই রাস্তাটি পূর্ত বিভাগ এর অর্থানুকুল্যে তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি হচ্ছে এই রাস্তা। কিছুদিন আগেই এই রাস্তা তৈরির ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল রাস্তার ওপর নির্মাণ সামগ্রী রেখে দেওয়ার। যার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছিল পরপর। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি ঠিকাদার রাস্তা থেকে নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেন। এবার ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার লাউদোহা মোড়ের কাছে তৈরি রাস্তার কাজ বন্ধ করলেও স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা শতদীপ ঘটক বলেন, রাস্তা যেভাবে তৈরি হয়েছে তা মোটেও কাঙ্খিত নয়। নিয়ম মতো রাস্তা তৈরি করার আগে যে সকল পরিকল্পনা নেওয়া হয় তা নেওয়া হয়নি এখানে। তাছাড়া রাস্তায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ। রাস্তার কাজ বর্তমানে চলছে তার মধ্যেই রাস্তার পিচ উঠে যাওয়ায় ঠিকাদারের এই কারচুপির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় রুইদাস বলেন, যেভাবে রাস্তাটা তৈরি হচ্ছে তাতে মনে হয় এর আগেই রাস্তার যে রূপ ছিল তা অনেক ভালো। আমাদের দাবি, রাস্তাটা ভালোভাবে তৈরি হোক,  নইলে আগের মতই অবস্থায় রাস্তা ফিরিয়ে দিক ঠিকাদার।

    ঠিকাদারের এক শাগরেদকে ঘিরে বিক্ষোভ

    নতুন রাস্তা পা দিয়ে খুঁড়তেই বেরিয়ে পড়ছে পুরানো রাস্তার বেহাল রূপ। এদিন ঠিকাদারের রাস্তার কাজকর্ম দেখাশোনা করতে আসা  এক শাগরেদ কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। স্থানীয়রা তাঁকে ঘিরেই বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয়দের দাবি রাস্তাটি পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে দিক। নতুবা নিয়ম মত যেভাবে রাস্তা তৈরি করার বরাত রয়েছে, সেভাবেই হোক রাস্তার কাজ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share