Tag: West Bengal

West Bengal

  • Jalpaiguri: তৃণমূলের কার্যালয় থেকে বিলি করা হল সরকারি কম্বল! জেলাজুড়ে শোরগোল

    Jalpaiguri: তৃণমূলের কার্যালয় থেকে বিলি করা হল সরকারি কম্বল! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কম্বল বিতর্কে জড়াল তৃণমূল। এবার সরকারি কম্বল দলীয় দফতর থেকে বিলি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বিরোধীদের পাশাপাশি নিন্দায় সরব হয়েছে তৃণমূলেরই একাংশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ির মাধবডাঙ্গা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

    তৃণমূলের কার্যালয় থেকে কম্বল বিতরণ (Jalpaiguri)

    ১২জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন ছিল। ঘটা করে বিবেকানন্দের জন্মদিন পালন করে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ির মাধবডাঙ্গা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে বেশ কিছু কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এই কম্বল কিছুদিন আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে এসেছিল। এই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ময়নাগুড়ি দুই নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিব শংকর দত্ত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পঞ্চমী মোহন্ত সহ অন্যান্যরা। কম্বল যে দলীয় কার্যালয় থেকে বিতরণ করা হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন পঞ্চমী মহন্ত। কিন্তু শিব শংকর দত্ত জানিয়েছেন, দলীয় কার্যালয় থেকে নয় ওই এলাকার একটি জায়গা থেকে বিলি করা হয়েছে। যার কিছুটা সামনেই দলীয় দফতর ছিল। 

    কম্বল বিলি নিয়ে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে রাজ্য থেকে প্রায় ৮০০ কম্বল এসেছে। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৭ জন সদস্যের মধ্যে এই কম্বল বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৭ জন সদস্যার মধ্যে আট জন বিজেপির। প্রত্যেক সদস্যকে সমান ভাবে কম্বল দেওয়া হয়েছে। সেই কম্বল কিভাবে দলীয় কার্যালয় থেকে বিতরণ হয় তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা ২ নম্বর ব্লকের যুব সভাপতি মনোজ দেবনাথ বলেন, তিনি কেন এমনটা করলেন তা তার জানা নেই। রাজ্য থেকে শীতকালীন বস্ত্র পাঠিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এ কম্বল দলীয় কার্যালয় থেকে বিতরণ করা ঠিক হয়নি। যে করেছে সে অন্যায় করেছে। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা পঞ্চমী মোহন্ত বলেন, আমরা স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালন করেছিলাম। এর পরেই দলীয় কার্যালয় থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এই কম্বলগুলি আমাদের ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির থেকে দেওয়া হয়েছিল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিষয়টি নিয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, এই রাজ্যে এটাই দস্তুর। তৃণমূল আর রাজ্য প্রশাসন মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। তৃণমূল যেভাবে বলবে প্রশাসন সেই ভাবেই চলবে এবং তাদের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। তাই এই ঘটনায় অবাক হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই, এটাই স্বাভাবিক। যদি দেখা যায় সব সরকারি দফতরে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে কাজ হচ্ছে তাতেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাই এদের নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: খুনের আশঙ্কা করতেই নিরাপত্তা বৃদ্ধি সোমনাথের, তৃণমূলে কি গুরুত্বহীন অর্জুন!

    Arjun Singh: খুনের আশঙ্কা করতেই নিরাপত্তা বৃদ্ধি সোমনাথের, তৃণমূলে কি গুরুত্বহীন অর্জুন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি খুন হয়ে যেতে পারি। শুক্রবার সন্ধ্যায় টিটাগড়ের একটি জুট মিলের সামনে দলীয় অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সোমনাথ শ্যাম। আর বিধায়কের এই বক্তব্যের পরই তাঁর নিরাপত্তারক্ষী অনেকটাই বৃদ্ধি করা হল। প্রসঙ্গত, এর আগে বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের (Arjun Singh) মত ছিল, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের নিরাপত্তা তুলে দিক প্রশাসন। কারণ, পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া তিনি কোনও কাজ করেন না। মানুষের সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই বিধায়কের। তারপরই জগদ্দলের বিধায়কের খুন হওয়ার আশঙ্কা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির ঘটনা রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তৃণমূলেই কি গুরত্ব হারাচ্ছে অর্জুন! বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে এটা নিয়ে এখন চর্চা চলছে। কারণ, নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়ার কথা দল কোনও কানেই তুলল না। উলটে তাঁর প্রতিপক্ষের নিরাপত্তার বাড়িয়ে শক্তিবৃদ্ধি করল দল।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?

    সোমনাথ শ্যাম বলেন, ভাটপাড়ায় প্রতি দিন কোনও না কোনও গন্ডগোল হয়। এই পরিবেশের পরিবর্তন প্রয়োজন বলে আমি আওয়াজ তুলেছি। আমাদের এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছে। দেখলাম, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই ভয় পাচ্ছেন। আমি বলেছি, আমিও দল করি। আমিও খুন হয়ে যেতে পারি। কিন্তু, প্রতিবাদ করবই। সত্যের জন্য লড়াই করে যাব। আকাশ যাদব খুনের মামলায় প্রধান সাক্ষী ছিলেন ভিকি যাদব। তিনি খুন হয়ে গেছেন। আমি রাজ পান্ডে শ্যুট আউট সহ বিভিন্ন কেস নিয়ে সোচ্চার হয়েছি। অপরাধী এবং মাস্টারমাইন্ড এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছি। আমিও যে কোন সময় খুন হয়ে যেতে পারি। তারই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে রাজনীতিতে রীতিমত নাড়াচাড়া পড়ে গিয়েছে। তিনি যখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলছিলেন তখন তার পাশে উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, মানুষের কাজ করে তৃণমূল। আমরা মানুষের পাশে থাকি। এদিন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে দেখা করেন সোমনাথ শ্যাম। তিনি বলেন, জগদ্দল উৎসবের আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলাম। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে নৈহাটিতে অর্জুন সিং (Arjun Singh) কে নিয়ে সুব্রত বক্সি বৈঠকের জন্য গেলেও সোমনাথ শ্যাম সেই বৈঠকে যান নি।

    নিরাপত্তা বৃদ্ধি নিয়ে কী বললেন বিধায়ক ও মন্ত্রী?

    অর্জুনের (Arjun Singh) সঙ্গে সোমনাথের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এই অবস্থায় শুক্রবার রাতে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের খুন হওয়ার আশঙ্কার পরই শনিবার সকাল থেকেই দেখা গেল তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তা বৃদ্ধি হয়েছে। শনিবার থেকে সোমনাথ এবং মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের নিরাপত্তায় আরও চার জন করে সশস্ত্র পুলিশকে নিয়োজিত করা হয়েছে। দু’জনেরই নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দশে। নিরাপত্তা বৃদ্ধির পর বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, যে ভাবে তৃণমূলের কর্মীরা খুন হচ্ছেন তাতে এই নিরাপত্তা দিয়ে কোনও ভরসা নেই। অন্য দিকে, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন,আমার নিরাপত্তার বহর বেড়েছে। আর কেন নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, সেটা প্রশাসন ভাল জানে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: রিয়েল লাইফের ‘টুয়েলভথ ফেল’! জলপাইগুড়ির এসপি-র কাহিনী জানলে চমকে উঠবেন

    Jalpaiguri: রিয়েল লাইফের ‘টুয়েলভথ ফেল’! জলপাইগুড়ির এসপি-র কাহিনী জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়ার ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমাটি দেশবাসীর মন জয় করেছেন। ‘টুয়েলভথ ফেল’ মনোজ শর্মা নামে এক পড়ুয়ার আইপিএস অফিসার হওয়ার জীবন কাহিনিকে রিল লাইফে ফুটিয়ে তুলেছেন। আরও এক আইপিএস অফিসারের জীবন কাহিনিও কম বর্ণময় নয়। বরং তিনিই হলেন রিয়েল লাইফের ‘টুয়েলভথ ফেল’ অফিসার। তাঁর নাম খন্ড বহালে উমেশ গণপত। তিনি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) পুলিশ সুপার। মনের মধ্যে অদ্যম ইচ্ছা আর লেগে থাকার মানসিকতা থাকলে সাফল্য আসবেই। আর সেটাই প্রমাণ করেছেন।

    চাষি থেকে আইপিএস হয়ে ওঠার কাহিনী

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) পুলিশ সুপার খন্ড বহালে উমেশ গণপতের বাড়ি মহারাষ্ট্রের মাহিরাভনি গ্রামের বাসিন্দা। খন্ড বহালে উমেশ গণপত দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ২১ পেয়েছিলেন। সেই কারণে তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি। পড়াশোনা ছেড়ে বাবার সঙ্গে দুধ বিক্রি শুরু করেন, মন দেন চাষ-আবাদে। ভেবে নিয়েছিলেন, এটাই তাঁর ভবিতব্য। কিন্তু, নিজের ইচ্ছের জোরে নিজেই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন তিনি। দুবছরের মাথায় দুধ বিক্রি, চাষাবাদ ছেড়ে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। নতুন করে তিনি পড়াশুনা শুরু করেন। ভালোভাবেই তিনি দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করেন। ফলে, আরও প়়ড়ার জন্য তিনি কলেজে ভর্তি হন। সেখানেও তিনি ভালোভাবে গ্র্যাজুয়েশন সম্পূর্ণ করেন। এরপরই তিনি চাকরির পরীক্ষার জন্য সোজা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন। আর তাতে উত্তীর্ণ হয়ে আইপিএস হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। পুলিশ অফিসার হিসেবে বিভিন্ন দায়িত্ব সামনে মাঠে চাষ করা সেই যুবক এখন জলপাইগুড়ি পুলিশের এসপি-র দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি।

    ব্যর্থতা থেকে সাফল্যের চূড়ায় ওঠার গল্প শোনান পুলিশ সুপার (Jalpaiguri)

    প্রশাসনিক কাজ সামলে সময় পেলেই গণপত চলে যান ছাত্রছাত্রীদের কাছে। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটান। নিজের জীবনের ব্যর্থতা থেকে সাফল্যের চূড়ায় ওঠার গল্প শোনান তিনি। সকলের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ছোটখাটো ব্যর্থতার জন্য হতাশ না হয়ে সকলকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Central Team: কনকনে শীতে খালি পায়ে পড়ুয়ারা, স্কুলে গিয়ে দেখল কেন্দ্রীয় দল

    Central Team: কনকনে শীতে খালি পায়ে পড়ুয়ারা, স্কুলে গিয়ে দেখল কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়াদের পোশাক ও জুতো বিনামূল্যে দেয় রাজ্য। অথচ জঙ্গলমহলের দুই জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার স্কুলের পড়ুয়ারা বঞ্চিত এই পরিষেবা থেকে। কনকনে শীতে খালি পায়ে স্কুলে আসছেন পড়ুয়ারা। আদিবাসী প্রধান এই দুই জেলায় শিক্ষার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে এসে কেন্দ্রীয় দলের (Central Team) কাছে এই খামতি সামনে আসে।

    পর্যাপ্ত জুতো না আসায় বিলি করা হয়নি, সাফাই কর্তৃপক্ষের

    কেন্দ্রের একটি দল (Central Team) সম্প্রতি বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করছে। তাদের রিপোর্টে দাবি, বাঁকুড়ার তালড্যাংরার মুগাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশকে খালি পায়ে স্কুলে যেতে দেখা গিয়েছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৩ জন পড়ুয়ার বেশিরভাগেরই পায়ে জুতো নেই। অথচ পড়ুয়াদের পোশাক ও জুতো বিনামূল্যে দেয় রাজ্য। তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্র জয় ঘোষের বক্তব্য, প্রতি বছর পোশাক পেলেও জুতো একবারও পাইনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার ভৌমিক এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (তালড্যাংরা পশ্চিম চক্র) নন্দিতা সিংহ বলেন, দু’বছর অন্তর জুতো বিলি হয়। এ বার পর্যাপ্ত জুতো আসেনি বলে বিলি করা হয়নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২ লক্ষ ৩৪ হাজার পড়ুয়ার জন্য জুতো চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। এখনও আসেনি।

    শিক্ষার পরিকাঠামো দেখে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় দল (Central Team)

    পরিদর্শক দলের নেতৃত্বে থাকা কেন্দ্রের উচ্চশিক্ষা দফতরের অধিকর্তা এম এল সোনির আরও অভিযোগ, বাঁকুড়ার সিমলাপালের লক্ষ্মীসাগর এলাকার একটি স্কুলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কেনা কম্পিউটার পড়ে রয়েছে। বেশিরভাগ স্কুলে শৌচালয় অপরিষ্কার। বহু স্কুলে খোলা আকাশের নীচেই মিড- ডে মিল রান্না করা হচ্ছে। এক কথায় শিক্ষার পরিকাঠামো বেহাল অবস্থা দেখে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।

    জুতো দেওয়ার আশ্বাস কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর

    কেন্দ্রীয় দলটির (Central Team) রিপোর্টের প্রেক্ষিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, কেন্দ্রীয় দল জানে না, রাজ্য সব সরকার পোষিত স্কুলে পোশাক ও জুতো দেয়। যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, মকর সংক্রান্তির মধ্যে পড়ুয়ারা জুতো না পেলে আমি নিজেই তাদের জুতো দেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তৃণমূলের জমানাতে গঙ্গার চরও প্লট করে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে

    Hooghly: তৃণমূলের জমানাতে গঙ্গার চরও প্লট করে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের জমানাতে গঙ্গার চরও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে হুগলির (Hooghly) বৈদ্যবাটির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চড়কডাঙা এলাকায়। সেখানে নিচু জমি ভরাট করে অবৈধ ভাবে ‘প্লটিং’ করার অভিযোগ উঠল প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। বেআইনি এই কারবার বন্ধ করার তাঁরা দাবি জানিয়েছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Hooghly)

    হুগলির (Hooghly) বৈদ্যবাটির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চড়কডাঙা এলাকায় আগে ইটভাটা ছিল। নিচু জমি ভরাটের জন্য মাটিবোঝাই ট্রাক যাতায়াত করছে। তার জেরে পুরসভার জলের পাইপ ফেটে জল বেরোচ্ছে। সেই জলে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এখানে তিনটি স্কুলও রয়েছে। গঙ্গার চর প্লট করে বিক্রি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে এলাকার হাজার হাজার মানুষ চরম নাকাল হচ্ছেন। বেআইনি কারবার বন্ধ করার কথা বলা হলেও কেই শুনছে না। এবার এলাকার মানুষ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

    নিচু জমি ভরাট করা হচ্ছে প্লটিংয়ের জন্য, সরব কাউন্সিলর

    তৃণমূল কাউন্সিলর রাখি সাধুখাঁ এ দিনই পুরপ্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। পুরসভার তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়। কাউন্সিলর রাখি সাধুখাঁ বলেন, আগেও ওই জায়গায় বিধিবদ্ধ অনুমতি ছাড়াই প্রোমোটার গাছ কাটছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এখন সেখানে নিচু জমি ভরাট করা হচ্ছে প্লটিংয়ের জন্য। এ জন্য পুরসভা থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। পুরসভার উপ-পুরপ্রধান শান্তনু দত্ত বলেন, পুরসভা বা প্রশাসনের তরফে ওই জমিতে প্লটিংয়ের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না, দেখতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারের রিপোর্ট জমা পড়লে যদি দেখা যায়, সেখানে কোনও অবৈধ কাজ হয়েছে, তা হলে নির্মাণকারীদের চিহ্নিত করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ভূমি দফতরের কী বক্তব্য?

    ভূমি দফতরের এক আধিকারিক জানান, বিনা অনুমতিতে মাটি বহন করা যায় না। যদি কোনও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়, সে জন্য অনুমতির প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: পুলিশের বাধা ধোপে টিকল না, সুকান্তর বাইক র‍্যালিতে প্রবল উচ্ছ্বাস

    Sukanta Majumdar: পুলিশের বাধা ধোপে টিকল না, সুকান্তর বাইক র‍্যালিতে প্রবল উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম মেনে পুলিশের কাছে আবেদন করেছিল বিজেপি। কিন্তু বাইক র‍্যালির অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তৃণমূলের কথাতেই বিজেপির এই কর্মসূচি বানচাল করেছিল পুলিশ। এমনই অভিযোগ ছিল গেরুয়া শিবিরের। পুলিশের সেই বাধা উপেক্ষা করেই হল বিজেপির কর্মসূচি। শুক্রবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে যুব দিবসকে সামনে রেখে বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে বাইক র‍্যালি হল গঙ্গারামপুরে।

    নাকা চেকিং করে বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা পুলিশের

    এদিন দুপুরে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়াম চত্বর থেকে বাইক র‍্যালি বের হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), বালুরঘাট ও তপনের বিধায়ক অশোককুমার লাহিড়ী, বুধরাই টুডু, জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, জেলা যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন গঙ্গারামপুর থেকে বাইক র‍্যালি বের হয়, যা তপন হয়ে বালুরঘাটে শেষ হয়। এদিনের বাইক র‍্যালিতে হাজার খানেক বাইক অংশগ্রহণ করে। এদিনের এই যাত্রাপথে বিশাল পুলিশ মোতায়েন ছিল। আগেই পুলিশের তরফে এই র‍্যালির কোনও অনুমোদন দেয়নি। শেষে বালুরঘাট হিলি মোড়ে বিবেকানন্দের মুর্তিতে মাল্যদান করেন সাংসদ। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় চলছিল পুলিশের নাকা চেকিং। যদিও এই নাকা চেকিংকে রুটিন চেকিং বলা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে, বিজেপির অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নাকা চেকিং শুরু করেছে পুলিশ।

    পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে, তোপ সুকান্তর

    বালুরঘাট হিলি মোড়ে কর্মসূচি শেষ করেই সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, পুলিশ বিজেপিকে অনুমতি দেয় না। গত দুদিনে আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে অনুমতি দেয়নি। এদিন বালুরঘাটেও অনুমতি দেয়নি। পুলিশ যদি পুলিশের কাজ করে বিজেপি তাকে সম্মান করবে। কিন্তু, পুলিশ যদি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করে তাহলে বারবার বিজেপি এই ভাবেই পুলিশকে নতজানু হতে বাধ্য করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের জমানায় চালু হওয়া স্কুলে ১০ বছরেই বন্ধ হল ঝাঁপ! কেন জানেন?

    South 24 Parganas: তৃণমূলের জমানায় চালু হওয়া স্কুলে ১০ বছরেই বন্ধ হল ঝাঁপ! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঘটা করে স্কুলের উদ্বোধন করা হয়েছিল। কিন্তু, স্কুলে কোনও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করেনি রাজ্য সরকার। আর তার জেরেই এবার আর কোনও পড়ুয়া স্কুলে ভর্তি হল না। অবশেষে লালবাতি জ্বলল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ শিবগঞ্জ জুনিয়র হাই স্কুলে।

    এবছর স্কুলে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) দক্ষিণ শিবগঞ্জ জুনিয়র হাইস্কুলটি ২০১৩ সালে চালু করা হয়েছিল। অবসরপ্রাপ্ত দুজন শিক্ষককে অতিথি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে স্কুলটি চালু করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে এলাকার চারজন শিক্ষিত যুবককে আংশিক সময়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তখন ছাত্র সংখ্যা ছিল ৪৮ জন। পরবর্তীকালে অতিথি শিক্ষক দুজন অবসর নেন। আর একজন যুবককে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে স্কুল চালানো শুরু হয়। কিন্তু, স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় মিড ডে মিল থেকে আরম্ভ করে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে থাকে ছাত্র-ছাত্রীরা। ২০২৩ সালে পড়ুয়ার সংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ১৭ জন। আর ২০২৪-এ এসে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা শূন্য। কারণ, এবার পরিকাঠামোহীন এই স্কুলে কেউ আর ভর্তি হননি। ফলে, স্কুলটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেল।

    অভিভাবকদের কী বক্তব্য?

    অভিভাবকদের বক্তব্য, এলাকায় কোনও স্কুল ছিল না। তাই, স্কুলটির প্রয়োজন ছিল। এলাকার মানুষের দাবি মেনে স্কুল শুরু করার পর আমাদের আশা ছিল, স্কুলের উন্নয়নের বিষয়ে উদ্যোগী হবে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, কিছুই ব্যবস্থা নেয়নি। কোনও স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় এই অবস্থা। আর তার জন্য দায়ী সরকার। অতিসত্বর  শিক্ষক নিয়োগ করে  স্কুল চালু করার দরকার। বিরোধীদের বক্তব্য, দশ বছর ধরে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নেই। শিক্ষকের অভাবেই ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ওই স্কুলে কোনও ছাত্রই ভর্তি হল না। আর সেটাই হল কাল, পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে গেল স্কুল। এটা তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতা। একটি স্কুলকে ঘটা করে চালু করে টিকিয়ে রাখতে পারল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ইডি-র ওপর হামলার এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার দুই, খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের

    ED: ইডি-র ওপর হামলার এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার দুই, খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে ইডি-র (ED) ওপর হামলার ঘটনায় প্রায় এক সপ্তাহ পর টনক নড়ল পুলিশের। ওই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নবান্নে রিপোর্ট তলব করেছিল। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এই হামলার ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছিলেন। এসবের পরও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রাজ্য পুলিশের ডিজি গঙ্গাসাগরে গিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছিলেন। তারপরও পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন করেন। তারপরই হুঁশ ফিরল পুলিশের। চাপে পড়ে পুলিশ বিজেপির আন্দোলনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম মেহবুব মোল্লা, সুকমল সর্দার। তবে, হামলার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান এখনও ফেরার। তাঁর নাগাল পায়নি পুলিশ।

     ইডি-র (ED) ওপর হামলার ফুটেজ দেখে গ্রেফতার

    সন্দেশখালিতে গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। ইডির দাবি, ঘটনার দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। ইডি (ED) আধিকারিকদের বিক্ষোভের মুখে ফেলে তিনি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। ইডি আধিকারিকরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডিকে। তিন জন আধিকারিককে হাসপাতালে ভর্তিও করাতে হয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে দুজনকে পুলিশ চিহ্নিত করে। ঘটনার পর তারা গাঢাকা দিয়েছিল। দু’জনই ভেড়ি এলাকায় লুকিয়েছিলেন। তাঁদের বাড়ি সরবেরিয়া এলাকায়। ইডির উপর হামলার ঘটনায় তাঁরা জড়িয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের খোঁজ মিলেছে। ন্যাজাট থানার পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। যদিও ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    ইডি-র হামলার ঘটনায় তিনটি এফআইআর

    সন্দেশখালিতে ইডি (ED) অভিযানের সময় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় এক হাজার অনুগামী। এই ঘটনায় সন্দেশখালির ন্যাজাট থানায় পর পর তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। হামলার পর ইডি একটি এফআইআর দায়ের করে। একটি এফআইআর করা হয় পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে। এ ছাড়া, ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে একটি এফআইআর দায়ের হয় একই থানায়। মার খাওয়া আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মামলায় ইডির বিরুদ্ধে এফআইআরটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: ‘জামাল কুদু’ গানে মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে তৃণমূল নেতার চটুল নাচ

    Panihati: ‘জামাল কুদু’ গানে মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে তৃণমূল নেতার চটুল নাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমার ‘জামাল কুদু’ গান এখন সুপারহিট। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে এই গান। অনেকেই মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে সেই নাচের ছবি আপলোডও করছেন। কয়েকদিন আগে পরিচালক শ্রীজিত মুখোপাধ্যায়কে একটি পার্টিতে এই গানের তালে মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে নাচ করতে দেখা গিয়েছিল। যদিও শেষে সেই গ্লাস মাথা থেকে নীচে পড়ে বিপত্তি বেধে যায়। এই খবর নিয়ে টলিউডে বেশ চর্চা হয়েছিল। এবার সেই বিখ্যাত জামাল কুদু-র গানের তালে মদের গ্লাস নিয়ে নাচ করতে দেখা গেল পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি বাবু পালকে। ভিডিও ঘুরছে লোকজনের ফোনে ফোনে। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। পানিহাটি জুড়ে তৃণমূল নেতার এই চটুল নাচ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল, কী বললেন দলীয় কাউন্সিলর? (Panihati)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পক্ষ থেকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি বাবু পাল। সঙ্গে ছিলেন বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী। বার্ষিক অনুষ্ঠানের মধ্যেই শুরু হয় হিন্দি গান। আর ‘জামাল কুদু’ গান বাজতেই সেই অনুষ্ঠানের ভাইরাল ভিডিওতে মাথায় মদের গ্লাস নিয়ে নাচতে দেখা গিয়েছে বাবু পালকে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কাউন্সিলর সুভাষ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তা ঠিক মতোই হয়েছে। কেউ হয়তো এটা করে ফেলেছে। তবে, এটা ঠিক হয়নি, অন্যায় করেছে। আমি দেখব এই মানুষগুলো যেন পার্টির সামনে না আসে। যদিও ঘটনায় বাবু পালের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, এই দলটাই তো জামাল কুদুর দল। সেই দলের কর্মীরা মদের গ্লাস নিয়ে নাচবে না তো কী করবে! দলটাই তো চলছে মাতালদের নিয়ে। দলের ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar: কোটালের জল ঢুকল গঙ্গাসাগর মেলায়, প্লাবিত একাধিক দোকান-ক্যাম্প

    Gangasagar: কোটালের জল ঢুকল গঙ্গাসাগর মেলায়, প্লাবিত একাধিক দোকান-ক্যাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) পুণ্যস্নানের আগে বড়সড় বিপত্তি! অমাবস্যার কোটালে সমুদ্রের জলে প্লাবিত হল বেশ কয়েকটি দোকান সহ অস্থায়ী ক্যাম্প। চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কারণ, মেলা চত্বরে সাগরের জল যাতে ঢুকতে না পারে, তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোটি কোটি খরচ করে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। সেই বাঁধের একটি অংশ ভেঙে যায়। জলে চলে যায় কোটি কোটি টাকা।

    কত দোকান প্লাবিত হল? (Gangasagar)  

    মূলত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অমাবস্যার কোটালের কারণে সাগরের জলে গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) প্লাবিত হয়ে যায় ৫ নম্বর ঘাট সংলগ্ন দোকান ও অস্থায়ী স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্প। সব মিলিয়ে ২০টি দোকানে জল ঢুকে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাঁচটি স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্প। তৎক্ষণাৎ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরিয়ে আনা হয় সেখানকার মানুষজনকে। তবে, পুণ্যস্নানের আগে দোকানে জল ঢুকে যাওয়ায় চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সমুদ্র এগিয়ে আসছে শুনেছিলাম। তবে, এভাবে দোকানে জল ঢুকে যাবে তা ভাবতে পারিনি।  

    গতবারের তুলনায় সাগর ২০০ মিটার এগিয়ে এসেছে

    বিপজ্জনক অবস্থায় গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রম (Gangasagar)। সাগর ক্রমশ এগিয়ে আসায় এই বিপদের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গতবারের মেলায় সাগরের যা দূরত্ব ছিল, এবার এই দূরত্ব ২০০ মিটার এগিয়ে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সাগরের আগ্রাসন ঠেকাতে পাঁচ ফুটের শালবল্লা, জিও ব্যাগ, ইট-বালি দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে সাগরপাড়ে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বাঁধের কাজ করা স্থানীয় ঠিকাদার কর্মী মানিক খাঁড়া বলেন, যেভাবে সমুদ্র এগিয়ে আসছে, তাতে আগামী দিনে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। আগে আরও একটি মন্দির (Gangasagar) সমুদ্রগর্ভে চলে গিয়েছে। এবার কি এটাও যাবে? বৃহস্পতিবারের ঘটনা সেই আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    সব টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে গিয়েছে, কটাক্ষ বিজেপি-র

    এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপি-র মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার কনভেনার অরুণাভ দাস বলেন, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য যা খরচ করা হয়েছে, তা বিন্দুমাত্র কাজে লাগেনি। কাজও ঠিকমতো হয়নি। সমস্তটাই তৃণমূল নেতাদের পকেটে গিয়েছে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছে মানুষ। না হলে বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share