Tag: West Bengal

West Bengal

  • Hooghly: দলেরই নেত্রীকে ‘ফুলন দেবী’ বলার মাশুল, তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস ভাঙচুর

    Hooghly: দলেরই নেত্রীকে ‘ফুলন দেবী’ বলার মাশুল, তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে তৃণমূলের হুগলির (Hooghly) বলাগড়ে তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সঙ্গে জেলা পরিষদ সদস্য রুনা খাতুনের দ্বন্দ্ব কার্যত সামনে চলে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রুনা খাতুনকে তৃণমূল বিধায়ক ফুলন দেবী বলে কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন। তারপর বিরোধ কার্যত সামনে চলে আসে।

    বিধায়কের পার্টি অফিস ভাঙচুর (Hooghly)

    দলীয় নেত্রী রুনা খাতুনের উদ্দেশে মনোরঞ্জনবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, বলাগড়ের ফুলন দেবী! যে কুড়ি-পঁচিশজন সার্ফ শুটার সঙ্গে নিয়ে ঘোরে, যে আমাকে হুগলির (Hooghly) বলাগড়ে মহিপালপুরে জনসভা করে মাটিতে পুঁতে দেবে বলেছেন, হয় সে আমাকে সত্যি সত্যিই পুঁতে দেবে, আর তা না হলে আমি তাকে তার রাজনৈতিক জীবন থেকে রিটায়ার করিয়ে দেব। দেখব, তাঁর কলকাতার ‘বাবু’ তাকে কীভাবে বাঁচায়! প্রয়োজনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে যাব। তৃণমূল বিধায়কের এই পোস্ট নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়। রাতেই তৃণমূল বিধায়কের জিরাটের অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। কাদা লেপে দেওয়া হয়। এমনকী বিধায়ক ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। মারধরও করা হয়। রুনা খাতুনের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে বলে বিধায়ক অনুগামীদের অভিযোগ।

    বিধায়কের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী রুনা খাতুন

    হুগলি (Hooghly) জেলা পরিষদের সদস্য রুনা খাতুন বলেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে যান। টাকাপয়সা লাগলে আমি দেব। আমি একজন শিক্ষিকা। ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে গিয়ে বিধায়ক এত নীচে নেমে যাবেন তা ভাবতে পারিনি। আমাকে কিছু বলতে বাকি রাখেননি। অথচ আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। আমি ও পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত। নিজেই লোক পাঠিয়ে নিজের অফিস ভেঙে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তাই, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হলাম।

    ক্ষমা চাইলেন বিধায়ক

    কুরুচিকর ভাষা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে এবার বিধায়ক ক্ষমা চাইলেন। বিধায়ক মনোরঞ্জনবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট তুলে নেন। এরপর বিধায়ক বলেন, এমনটা লেখা আমার উচিত হয়নি। ভুলে যাওয়া উচিৎ হয়নি আমি একজন লেখক। ওদের মতো নিকৃষ্ট জীব নই। তাই, আমার পাঠক, রাজ্য তথা দেশের সমস্ত পরিচিত ও অপরিচিতদের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ব্যুমেরাং, মমতার সিল্ক হাব তৈরির স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়ল কৃষকদের জমি আন্দোলনে

    Hooghly: ব্যুমেরাং, মমতার সিল্ক হাব তৈরির স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়ল কৃষকদের জমি আন্দোলনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরে কৃষকদের বাধায় টাটাদের ন্যানো কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি তৎকালীন রাজ্য সরকার। কৃষকদের আন্দোলনের পাশে সেই সময় ছিল তৃণমূল। এখন সরকারে তৃণমূল। এবার সেই হুগলি জেলায় সিল্ক হাব করতে গিয়ে কৃষকদের বাধার মুখে পড়লেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তৃণমূল কাউন্সিলরের সামনেই চলল বিক্ষোভ। এবার ঘটনাস্থল শ্রীরামপুর। সিঙ্গুর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে স্রেফ কৃষকদের বাধায় তৃণমূল সরকার সিল্ক হাব করতে পারল না।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Hooghly)

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির (Hooghly) শ্রীরামপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রভাস নগরে সিল্ক হাব হবে বলে ২০১৬ সালে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জমিজটে সেই সিল্ক হাব তৈরির কাজ থমকে ছিল এতদিন। কয়েকদিন আগে সেখানে নীচু জমি ভরাট করতে মাটি ফেলা শুরু হয়েছে। প্রায় কুড়ি একর জমির উপর গড়ে উঠবে সিল্ক হাব। বুধবার সকালে প্রস্তাবিত সিল্ক হাবের জায়গা মাপজোক করতে যান এসডিএলআরও দফতরের কর্মীরা। ছিলেন শ্রীরামপুর পুরসভার কাউন্সিলররাও। সেই সময় তাঁরা কৃষকদের বাধার মুখে পড়েন। সরকারি আধিকারিকদের ঘিরে ধরে তাঁদের দাবি জানাতে থাকেন কৃষকদের।

    বিক্ষোভকারী কৃষকরা কী বললেন?

    কৃষকদের বক্তব্য, বহুদিন ধরে এই জমিতে চাষ করে আসছেন। এই জমিতে সিল্ক হাব হলে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। এই জমিতে আমরা ৪০-৫০ বছর চাষ করি। সরকারি খাস জমি বলছে, সেটা কী করে হয়? আর খাস জমি যদি হয়, তাহলে সেই জমিতে আবাসের ঘর কী করে হয়? আমরা চাই সিল্ক হাব হোক, আমাদের পুনর্বাসন দিয়ে যা হওয়ার হোক। না হলে আমরা আন্দোলন শুরু করব। কোনওভাবে এখানে সিল্ক হাব হতে দেব না।

    প্রশাসনের আধিকারিকরা কী বললেন?

    যদিও প্রশাসনের দাবি, সরকারি কিছু খাস জমি পড়ে রয়েছে, সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী সিল্ক হাব করার কথা বলেছিলেন। এর মধ্যে দিয়ে হুগলির (Hooghly) শ্রীরামপুর ও বৈদ্যবাটির সিল্ক প্রিন্টিংকে এক ছাতার তলায় আনা হবে। এর ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। পুরভার কাউন্সিলর সন্তোষ সিং, পিন্টু নাগরা বলেন, ‘সরকারি খাস জমিতে সিল্ক হাব তৈরি হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কৃষক দরদী। কোনও কৃষককে বঞ্চিত করা হবে না। আমরা বলেছি, জমির কাগজ যদি কিছু থাকে তা নিয়ে আসুন, পুরসভায় দেখান। মুখের কথায় হবে না। যদি কাগজ থাকে কাজ বন্ধ থাকবে। আর কাগজ না থাকলে প্রশাসন নিজের মতো করে ব্যবস্থা নেবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “জ্যোতিপ্রিয়র জ্যোতি নিভে যাচ্ছে, রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই”, কটাক্ষ সুকান্তের

    Sukanta Majumdar: “জ্যোতিপ্রিয়র জ্যোতি নিভে যাচ্ছে, রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই”, কটাক্ষ সুকান্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জ্যোতি আস্তে আস্তে নিভে যাচ্ছে। তিনি হাসপাতালে কোনও রকমে দিদির দয়ায় বেঁচে আছেন। আমি তদন্তকারী সংস্থাকে বলব, তাড়াতাড়ি তাঁকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে গিয়ে জেলে উপযুক্ত জায়গায় রাখা উচিত।’ বুধবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তিনি কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি যতদূর খবর পেয়েছি বাকিবুর বলে দিয়েছিল যে ও মন্ত্রীকে টাকা দিয়েছিল। মন্ত্রীও স্বীকার করে নিয়েছেন যে ৯ কোটি টাকা বাকিবুরের কাছ থেকে নিয়েছেন। তাই, জ্যোতিপ্রিয়বাবুর রাজনীতিতে ফিরে আসার আর কোনও সুযোগ নেই। তাঁর জ্যোতি পুরো সুইচ অফ হয়ে গেছে।’ পাশাপাশি তিনি রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীদের তীব্র কটাক্ষ করেন।

    লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ” লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করার জন্য ইডি আদালতে গেছে। এক সময় তো এক নেতার ভাইপো বড় বড় মুখ করে বলেছিল ‘আমার বিরুদ্ধে একটিও চুরি প্রমাণিত হয়, আমি ফাঁসি কাঠে ঝুলে যাব।’ ফাঁসি কাঠ তো আমরা দেখতে পাচ্ছি না। চারিদিকে তাকাচ্ছি ফাঁসি কাঠটা কোথায়? লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস কার কোম্পানি সবাই জানেন। কাকু তো বিছানায় শুয়ে আছে। কাকু তো শ্রীখণ্ডি। পেছন থেকে তিরটা কে চালাচ্ছে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি সবাই জানে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস। তার মা-বাবার নাম আছে এখনও সেখানে। তাই এখন ফাঁসির মঞ্চ খুঁজে বেড়াচ্ছি আমি।”

    কামদুনি আন্দোলনকারীদের পাশে বিজেপি

    কামদুনি প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, কামদুনির বর্বরোচিত ঘটনার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তাই অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে গেছে। যারা অভিযুক্ত তারা যাতে ছাড়া পেয়ে না যায়, সেজন্য কামদুনি আন্দোলনের যাঁরা প্রতিবাদী তারা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। কামদুনির প্রতিবাদীদের পাশে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রত্যেকটি কর্মী আছেন। মহিলাদের উপর অত্যাচার বাংলায় ক্রমশ বাড়ছে এটা তার প্রমাণ। প্রত্যেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ছত্রচ্ছায়ায় রয়েছে।

    এদিন রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় অবস্থিত প্রশাসনিক চত্বরে এই ডেপুটেশন কর্মসূচি উপলক্ষে একটি বিরাট মিছিল করে উত্তর দিনাজপুর জেলাশাসকের দফতরের দিকে রওনা হয় বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। এই মিছিলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা অংশগ্রহণ করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা করছেন তৃণমূল বিধায়ক, কেন জানেন?

    Hooghly: প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা করছেন তৃণমূল বিধায়ক, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলাগড়ে দলের একাংশের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেই দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। শাসক দলের বিধায়ক হলেও দলের নেতা-নেত্রীর হাতে প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি ৭ জানুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে কার্যত বোমা ফাটানোর তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লিখেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (Hooghly)

    কয়েক মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছিলেন, ‘এতো ট্রেলর হ্যায়,পিকচার অভি বাকি হ্যায় দোস্ত। একটু অপেক্ষা কর সব কিছু পরিষ্কার হবে। চোর খোরদেরকাটমানি সাম্রাজ্য আমি ধ্বংস করবই। আমি দিদির আশীর্বাদ নিয়ে বলাগড়ে এসেছি। চোর মাটি মাফিয়া জুয়া বোর্ডের মালিক যে যা পারিস করে নে।’ তৃণমূলের চলা নবীন-প্রবীণ, প্রবীণ-প্রবীণ দ্বন্দ্বের মধ্যেই তৃণমূলে থাকার ব্যাপারে ‘এসপার-ওসপার’ করার বার্তা দিলেন হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় মনোরঞ্জনবাবু লিখেছেন, ‘প্রিয় বলাগড়বাসী আপামর জনগণ, আমি আপনাদের সেবক ভাই বন্ধু, আপনাদের জ্ঞাতার্থে অতি মনোদুঃখে জানাচ্ছি, বিগত কয়েক দিন ধরে যা চলছে আপনারা সবাই জ্ঞাত আছেন। আর কেন আমি বলাগড় বিধানসভা থেকে দূরে বসে আছি, সেই কদাকার ঘটনাক্রম নিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি রাত আটটার সময় আমি ফেসবুক লাইভ করতে চলেছি। বলা চলে, শেষ জবাব দিতে চলেছি। সে দিন আমি কিছু নিজের কথা বলব। আর কিছু আপনাদের মনের মধ্যে ঘুরপাক খাওয়া প্রশ্নেরও জবাব দেব। সাংবাদিক বন্ধুদেরও বলছি, তৈরি থাকুন। তারপর ঘোষণা করব আগামী দিনের কর্মসূচি। যাতে আমার বা তৃণমূল দলের লাভ হবে না ক্ষতি, সেটা আমি জানি না। দুই-তিন বছর অনেক অপমান সহ্য করেছি। আর নয়। লড়াই এ বার এসপার-ওসপার।’

    প্রাণ সংশয় নিয়ে কী বলেছেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক?

    নাম না করে এরপর কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মনোরঞ্জনবাবু লিখেছেন, ‘এক মাটির মাফিয়া, বালি মাফিয়া, গাঁজার পাচারকারীদের সহায়ক জুয়ার বোর্ড চালানো উপনেতা আমাকে চোর বলেছে, খুনি বলেছে, ধর্ষক বলছে। আমি নাকি মহাশ্বেতা দেবীর লেখা নিজের নামে ছাপিয়ে কয়েক লক্ষ না কোটি টাকা কামিয়েছি, সেই আমাকে দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন আমাকে বলাগড়ের বিধায়ক বানিয়েছেন। আমি যদি এই, তা হলে দিদিই বা কেমন মানুষ? তিনি আমার বিষয়ে কোনও খোঁজখবর নিলেন না? আর এই দলটিই বা কেমন? যারা এমন একটা চোর ছ্যাঁচড়কে দলের সঙ্গে যুক্ত করলেন? তৃণমূলের সবাই চোর’! সেটা কি সত্যি? চোর ছাড়া দলে আর কোনও লোক নেই?’ তিনি আরও লিখেছেন, সেই যে- বলাগড়ের ফুলন দেবী! যে কুড়ি পঁচিশজন সার্ফ শুটার সঙ্গে নিয়ে ঘোরে, যে আমাকে মহিপালপুরে জনসভা করে মাটিতে পুঁতে দেবে বলেছেন! হয় সে আমাকে সত্যি সত্যিই পুঁতে দেবে, আর তা না হলে আমি তাকে তার রাজনৈতিক জীবন থেকে রিটায়ার করিয়ে দেব। দেখব, তাঁর কলকাতার ‘বাবু’ তাকে কি ভাবে বাঁচায়! তৃণমূল বিধায়কের এই পোস্ট নিয়ে জেলা জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: ‘দলে প্রবীণদের সফটওয়্যার আপডেট নেই’, কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণের

    North 24 Parganas: ‘দলে প্রবীণদের সফটওয়্যার আপডেট নেই’, কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের অন্দরে নবীন এবং প্রবীণদের নিয়ে যখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে, সেই আবহে এবার নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব ফের একবার উসকে দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ব্যাটন ধরেছেন তিনি। একধাপ এগিয়ে দলের প্রবীণদের টার্গেট করে নতুন প্রজন্মের হাতে তৃণমূল থাকলে বাংলা তথা ভারতের মানুষের কাছে দল অধিক গ্রহণযোগ্য হবে বলেই জোর সওয়াল করেছেন অশোকনগরের বিধায়ক।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূলের বিধায়ক? (North 24 Parganas)

    দলের ব্যাটন নবীনদের হাতে থাকা নিয়েও জোর সওয়াল করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। দলের জন্য পরিশ্রমের নিরিখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প নেই বলেই মত প্রকাশ করেছেন নারায়ণ। মঙ্গলবার অশোকনগের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নারায়ণ বলেন, ‘দলের মধ্যে এমন অনেক প্রবীণ আছেন, যাঁদের সফটওয়্যার আপডেট নেই। সেটা দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ করা যাবে না। যে কোনও কাজ যুবকরা যা করতে পারেন, ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ সেটা পারবেন না।’ তিনি দলের মধ্যে প্রবীণদের যে তিনি কোণঠাসা করতে চেয়েছেন, সেটা বিধায়কের এই উদাহরণেই যথেষ্ট। অশোকনগরের বিধায়ক মনে করেন, ‘প্রবীণরা পরামর্শ দেবেন। তাঁদের গঠনমূলক পরামর্শ নিয়ে যুব সম্প্রদায় এগিয়ে চলবে। এই কাজে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প কেউ নেই।’ জেলার রাজনীতিতে নবীন-প্রবীণ নিয়ে নারায়ণ গোস্বামীর এই মন্তব্যে ফের একবার জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    জেলার কোর কমিটির চেয়ারম্যান কী বললেন?

    যদিও একথা মানতে নারাজ তাঁর দলের বর্ষীয়াণ নেতা বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলা কোর কমিটির চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ। তিনি বলেন, বয়সের সঙ্গে পদের কোনও বিষয় নেই। যাঁর মধ্যে কর্মক্ষমতা রয়েছে, স্বচ্ছতা রয়েছে, তাঁদের সকলেরই দলে প্রয়োজন আছে। ফলে, জেলার দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতার এদিন ভিন্ন মত পোষণে এই জেলায় নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “রাজ্যে কোনও কর্মসংস্থান নেই”, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “রাজ্যে কোনও কর্মসংস্থান নেই”, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের গোপালপুর এলাকার এক কৃষি মেলাতে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে থাকা দরকার। বাংলাতে মমতা সরকার থাকা প্রায় ১২ বছরের বেশি হয়ে গেল এখনও পর্যন্ত কোনও শিল্প কলকারখানার লাল ফিতে কাটতে বাংলার মানুষ দেখেননি। মুখ্যমন্ত্রী শিল্পায়নের চেষ্টা করেননি। জমি না দেওয়ার জন্য ৪০ এর বেশি রেলওয়ে প্রজেক্ট আটকে আছে এই রাজ্যে, এই জেলার প্রজেক্ট আটকে আছে জমি না দেওয়ার জন্য। এই ভাবে চলতে পারে না রাজ্য। রাজ্য অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। কোনও কর্মসংস্থান নেই রাজ্যে। দুবাইয়ে চলে যাচ্ছে সবাই কাজের জন্য। তারা সেখানে গিয়ে অত্যাচারিত হচ্ছে, আমাদেরকে গিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হচ্ছে। এটাই হল আমাদের রাজ্যের অবস্থা।

    কালীঘাটের কাকু নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    রাজ্য পুলিশের কয়েকজন আধিকারিকের পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রের ফোনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, তৃণমূল আমাদের ফোন ট্র্যাপ করে সেটা আমরা জানি। স্বাভাবিকভাবে আমরা জানি কোন কথা বলতে হবে কোন কথা বলতে হবে না। রাজীব কুমার বিদেশে কোথায় গিয়েছিলেন। কী আনতে গিয়েছিলেন, তা আমরা জানি। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, কালীঘাটের কাকুর অবস্থা শেষ। কাকুর কণ্ঠস্বর আগামীদিনে বাইরে আসবে এবং প্রচুর খোলসা হবে। কাকু জেল থেকে বের হবে বলে আমাদের মনে হয় না।

    সিএএ নিয়ে কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    সিএএ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা বার বার বলছি সিএএ হবে, কেউ আটকাতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দম নেই সিএএ আটকানোর। সিএএর মাধ্যমে যারা বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আমাদেরর রাজ্যে এসেছে, তাদেরকে আমরা নাগরিকত্ব দেব। পাশাপাশি এদিন বালুরঘাট ব্লকের গোপালপুর এলাকায় কৃষি মেলার উদ্বোধন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: তৃণমূলেও রাম নাম! মেদিনীপুরে রাম মন্দির সংস্কার করল শাসকদলের পুর-বোর্ড

    Ram Mandir: তৃণমূলেও রাম নাম! মেদিনীপুরে রাম মন্দির সংস্কার করল শাসকদলের পুর-বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধন হবে। ঠিক এই সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরে কয়েক দশকের পুরানো মন্দিরের সংস্কার করা হল। সেই মন্দিরে হনুমানের সঙ্গে ছিল রাম-সীতার মূর্তিও। যদিও পুজো মিলত মূলত রামভক্তেরই। স্থানীয়রা মহাবীর মন্দির বলেন। অনেকে আবার রাম মন্দিরও বলতেন। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে মন্দিরটি বেহাল হয়ে পড়েছিল। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার টাকায় সেই মন্দির নতুন করে সেজে উঠেছে। জনগণের উন্নয়নের টাকায় মন্দির সংস্কার করা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঠএক একইভাবে এর আগে প্রশ্ন উঠেছিল, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় রাজ্যের টাকায় এবং হিডকোর তত্ত্বাবধানে জগন্নাথ মন্দির গড়া নিয়েও।

    পুর-প্রধান কী বললেন? (Ram Mandir)

    মেদিনীপুর শহরের একপাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে কংসাবতী নদী। ইতিহাস ঘেঁটে জানা গিয়েছে, ১৯৪৮ সালে এখানে গান্ধীজি-র চিতাভস্ম ভাসানো হয়। তাই এই নদীঘাটের নাম গান্ধীঘাট। আগে থেকেই এখানে রাম-সীতা ও মহাবীর হনুমানের ছোট মন্দির ছিল। সেই মন্দিরটি (Ram Mandir) আরও বড় আকারে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। পুরসভার বক্তব্য, এখানকার ইতিহাস বাঁচিয়ে রাখতেই মন্দির তৈরিতে ‘সহযোগিতা’ করা হয়েছে। মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, গান্ধীঘাটের কাছে রাম-সীতা, মহাবীর মন্দির নির্মাণ করেছি আমরা। ১৫ জানুয়ারি পৌষ সংক্রান্তি  আমাদের কাছে একটি পবিত্র দিন। ওই দিনই আমরা মন্দির প্রতিষ্ঠা করব। তবে, শুধু মন্দির নয়, কারবালা মাঠের উন্নয়ন করেছি। গির্জার কাছে আলো লাগিয়েছি। রাস্তা করেছি। মন্দির নির্মাণেও সহযোগিতা করেছি।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, সারা দেশে রাম মন্দির (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠা হোক, এত দিন আমরাই চেয়েছি। মানুষের সমর্থন পেতে এখন সেই পথ সকলে অবলম্বন করছে। ভালো উদ্যোগ। তবে, আগে সংস্কার করা হলে আরও ভালো লাগত। তাঁর আরও দাবি, রাজ্যের নয়, কেন্দ্রের টাকাতেই সেজে উঠেছে গান্ধীঘাট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে প্রণামের মাশুল! তৃণমূলের পুর -প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

    Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে প্রণামের মাশুল! তৃণমূলের পুর -প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) প্রণাম করার খেসারত। গত কয়েকদিন কাঁথি পুর প্রধানর বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে জল্পনা চলছিল। এবার সেই জল্পনায় সত্যি হল। মঙ্গলবার কাঁথি পুরসভার তৃণমূলের ১৬ জন কাউন্সিলর পুরপ্রধান সুবল মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা করলেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে উপ-পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরির নেতৃত্বে পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা জমা দিল। কাঁথির রাজনীতিতে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না আদালতে দ্বারস্থ হবেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sisir Adhikari)

    গত কয়েকদিন আগে কাঁথির একটি স্কুলে উপস্থিত হন কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না। সেখানে আগে থেকে ছিলেন কাঁথির বর্ষীয়াণ সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। সেখানেই শিশিরবাবুকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন সুবলবাবু। পুরপ্রধানের দাবি, এই জায়গায় পৌঁছেছেন সবকিছু গুরুদেবের জন্যই। তারপরে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব পুরপ্রধানকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু, পুরপ্রধানের পদে ইস্তফা দিতে রাজি হননি তিনি। দলীয় নেতৃত্ব বৈঠক ডেকে ১৬ জন কাউন্সিলরকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারপরই পুর প্রধানকে সরাতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন ১৬ জন কাউন্সিলর।

    দলের নির্দেশ মানেননি বলে অনাস্থা!

    কাঁথি পুরসভার উপ-পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘আমাদের দলের ১৭ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত ছিলাম। দলের নির্দেশ মেনেই কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান নির্বাচিত করেছিলাম। দল নির্দেশ দিয়েছে বর্তমান পুরপ্রধানকে পদত্যাগ করার জন্য। কিন্তু, তিনি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথা রাখেননি। আমরা সৌজন্য দেখিয়েছিলাম। ১৬ জন কাউন্সিলর পুরপ্রধান সুবল মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা জমা করলাম।

    পুর প্রধান কী বললেন?

    কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না অনাস্থা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার কাজ হচ্ছে সব কাউন্সিলরদের আগলে রাখা। শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) প্রণাম করার জন্য যদি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, সেটা জনগণ বলবে! আমি এ- বিষয়ে বেশি কিছু মন্তব্য করব না। এটা প্রশাসনিক পদ, যা কিছু হবে  কাগজের মাধ্যমে।’

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এ-নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কাঁথি পুরসভার বিজেপি প্রতীকে জেতা কাউন্সিলর সুশীল দাস বলেন, ‘এটা তাঁর দলের ব্যাপার। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ পুরবোর্ড। ছাপ্পা দিয়েই সব কাউন্সিলররা জিতেছেন। কাটমানি পাচ্ছেন না বলেই পুরপ্রধানকে সরিয়ে দিচ্ছে। প্রণাম করাটা সৌজন্য। তৃণমূলের কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই। যিনি কাটমানি বেশি দেবেন, তিনিই কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান হবেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Barrackpore: দম্পতিকে বেধড়ক মার! তিনদিন পরও অধরা অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা

    New Barrackpore: দম্পতিকে বেধড়ক মার! তিনদিন পরও অধরা অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষবরণের রাতে পারিবারিক অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরছিলেন এক দম্পতি। তৃণমূলের ছাত্র নেতার হাত ধরে দম্পতিকে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে নিউ বারাকপুরের (New Barrackpore) সতীন সেন নগর এলাকায়। আতঙ্কিত দম্পতি সোমবার রাতে নিউ বারাকপুর থানায় ওই ছাত্র নেতা সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু, ঘটনার পর তিনদিন কেটে গেলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (New Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত দম্পতি নিউ বারাকপুর (New Barrackpore) সতীন সেন নগরের বাসিন্দা। ৩১ ডিসেম্বর গভীর রাতে পারিবারিক অনুষ্ঠান সেরে স্বামী আশিস পাত্রের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন পায়েল ঘোষ পাত্র। পায়েল দেবীর অভিযোগ, বাড়ির কাছে গলির মুখে কয়েকজন যুবক রাস্তার মধ্যে বাইক রেখে রাস্তা আটকে মদ্যপান করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন নিউ বারাকপুর সাজিরহাট এপিসি কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন দে ওরফে কালা। ওই দম্পতি যাতে রাস্তা দিয়ে যেতে পারেন সেজন্য তাঁদের রাস্তা কিছুটা ছাড়তে বলেন। অভিযোগ, তখনই পায়েল দেবীর স্বামী আশিস পাত্রকে মারধর করে মদ্যপ যুবকদের দল। পায়েল দেবী বাঁচাতে গেলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। বেগতিক বুঝে তিনি চিৎকার করতে করতে পাশেই বাড়িতে ছুটে যান। পরিবার ও পাশের বাড়ির লোকজনদের ডেকে নিয়ে গিয়ে কোনওমতে স্বামীকে উদ্ধার করেন।

    আক্রান্ত বধূ কী বললেন?

    আক্রান্ত বধূ পায়েল দেবীর অভিযোগ, রাস্তা ছাড়তে বলায় এভাবে হামলা চালাবে তা বুঝতে পারিনি। ঘটনার পর থেকে আমরা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি। সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    তৃণমূল নেতা কী বললেন?

    বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘যদি সত্যিই এরকম হয়ে থাকে এবং আমাদের ছাত্র সংগঠনের কেউ জড়িত থাকে তাহলে তা যথেষ্ট নিন্দনীয়। কেউ দোষী হলে শাস্তি পাবে। আইন আইনের পথে চলবে’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal: উত্তরবঙ্গ জুড়ে রমরমিয়ে চলছে গরু-মহিষ পাচার! কোন পথে জানেন?

    North Bengal: উত্তরবঙ্গ জুড়ে রমরমিয়ে চলছে গরু-মহিষ পাচার! কোন পথে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে রয়েছেন। দক্ষিণবঙ্গে এই পাচারচক্র ততটা এখন সক্রিয় না হলেও উত্তরবঙ্গ (North Bengal) জুড়ে রমরমিয়ে শুরু হয়েছে মহিষ এবং গরু পাচার। পুলিশের একটা অংশকে হাতিয়ার করে এই পাচারচক্র চলছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মানুষ।

    কোন পথে পাচার? (North Bengal)

    বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত উত্তরবঙ্গের (North Bengal) উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং জেলার বিধাননগর, ঘোষপুকুর পেরিয়ে ফুলবাড়ি হয়ে জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, বানারহাট, বীরপাডা হয়ে বারোবিষা সীমান্ত দিয়ে অসমে ঢুকে পড়ছে বেআইনি গরু ও মহিষ বোঝাই গাড়িগুলি। অসমের কয়েকটি জেলা পার হয়ে সোজা মেঘালয়ে চলে যায় গাড়িগুলি। উত্তরের ছয়টি জেলা পার হতে পারলে কেল্লাফতে এই পাচারকারীদের। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ থেকে মহিষ এবং গরু নিয়ে এসে পাঞ্জিপাড়ায় সেগুলোকে নামানো হয়। সেখান থেকে কন্টেনার গাড়ি করে (যে গাড়িগুলি চারদিক বন্ধ) অসম এবং মেঘালয়ের উদ্দেশে রওনা করা হয়। একেবারে অস্বাস্থ্যকর এবং দমবন্ধ পরিবেশে গাড়িগুলিতে ওই মহিষগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয়। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে ওই গাড়ি গুলিতে গরু-মহিষ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রতি গাড়িতে ২৪-২৬ টি মহিষ নিয়ে যাওয়া হয়। যার অধিকাংশেরই বৈধ কাগজ নেই। গাড়িগুলিরও লাইভ স্টক পারমিট নেই বলেই জানা গেছে।

    কীভাবে সম্ভব এই পাচার?

    সম্প্রতি, বীরপাড়ায় একটি স্পেশাল চেকিংয়ে ৬ টি কন্টেনার গাড়ি থেকে ২৩৮ টি মহিষ উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জিপাড়া ও আসামের বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু, কীভাবে সম্ভব এই পাচার? পাঞ্জিপাড়া থেকে গাড়ি লোড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই গাড়ির নম্বর পাঠিয়ে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট থানাগুলিতে, যে থানার অধীনের রাস্তা ব্যবহার করে গাড়িগুলি পার হবে। এই এলাকাগুলি পেরিয়ে গেলে বারোবিষা বা বক্সিরহাট সীমান্তে সেই গাড়িগুলির নম্বর মিলিয়ে দেখা হয় এবং বিনা চেকিং করেই গাড়িগুলি ছেড়ে দেওয়া হয়। পাঞ্জিপাড়া থেকে অসম রাজ্য বিনা বাধায় গাড়ি প্রতি একটা পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ হয়। সেই অর্থই সংশ্লিষ্ট থানা এবং কিছু আধিকারিকের কাছে পৌঁছে যায়। প্রতিদিন প্রায় ৩৫-৪০ টি গাড়ি করে এই ভাবেই গরু-মহিষ পাচার হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share