Tag: West Bengal

West Bengal

  • Astronaut: ‘গগনযান’-এর মহাকাশচারী দার্জিলিংয়ে, ৫৬ দিনের পর্বতারোহণ কোর্স শেষ করলেন ২৮ দিনে

    Astronaut: ‘গগনযান’-এর মহাকাশচারী দার্জিলিংয়ে, ৫৬ দিনের পর্বতারোহণ কোর্স শেষ করলেন ২৮ দিনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ দার্জিলিং-এর (Darjeeling) হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে একটি বিশেষ পর্বতারোহণ কোর্স সম্পন্ন করলেন। তিনি গগনযান মিশনের জন্য নির্বাচিত চার মহাকাশচারীর (Astronaut) মধ্যে একজন। মাত্র ২৮ দিনের মধ্যে ৫৬  দিনের কোর্সটি সম্পূর্ণ করেছেন তিনি।

    প্রতাপ একজন ম্যারাথন দৌড়বিদও!(Astronaut)

    ৪২ বছর বয়সি অঙ্গদ প্রতাপ (Astronaut) বলেন, এই কোর্সটি আমার জন্য অন্য ধরনের অভিজ্ঞতা ছিল। পর্বতারোহণ সব চেয়ে কঠিন এবং দুঃসাহসিক কাজ। সেটা এই কোর্স করতে এসে আমি উপলব্ধি করলাম। এনডিএ-র এই প্রাক্তন ছাত্রকে ১৮ ডিসেম্বর, ২০০৪-এ আইএএফ-এর ফাইটার স্ট্রিমে কমিশন দেওয়া হয়েছিল। তিনি একজন উড়ন্ত প্রশিক্ষক। প্রায় ২৫০০ ঘণ্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা সহ পাইলটও। একই সঙ্গে তিনি Su-30 MKI, MiG-21, MiG-29, Jaguar, Hawk, Dornier এবং An-32 সহ বিভিন্ন ধরনের বিমান উড়িয়েছেন। প্রতাপ ভারতের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ ফ্লাইট মিশনের অংশ হওয়া ছাড়াও, ২০২৩ সালে আয়রনম্যান ট্রায়াথলনও সম্পন্ন করেছেন। প্রতাপ একজন ম্যারাথন দৌড়বিদ, একজন প্রত্যয়িত স্কাই ডাইভার এবং একজন স্কুবা ডাইভারও।

    মহাকাশচারী কী বললেন?

    প্রতাপ (Astronaut) বলেন, “এই কোর্সটি এইচএমআই-এর অধ্যক্ষ গ্রুপ ক্যাপ্টেন জয় কিষাণের উদ্যোগে করা হয়েছিল। বিশেষ করে আমার জন্য প্রাথমিক এবং উন্নত-উভয় কোর্সের পাঠ্যক্রম মিলিয়ে একটি একক কোর্স করা হয়েছিল। পর্বতারোহণ আমার স্বপ্ন ছিল।” অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার সময় প্রতাপ একজন পরীক্ষামূলক পাইলট হওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। ISRO-এর গগনযান মিশনের জন্য রাশিয়ায় তাঁর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নিয়ে তিনি আলোচনা করেন। মহাকাশযানে প্রশিক্ষণের সময় তিনি তাদের শূন্য মাধ্যাকর্ষণে তাঁর স্পেস স্যুট পরার একটি ভিডিও দেখান। প্রতাপ মহাকাশচারীরা অনুসরণ করেন, এমন একটি  প্রোটোকলের কথাও বলেন। তিনি বলেন, “আমাদের চারটি আক্কেল দাঁত তুলে দেওয়া হয়। কারণ, দাঁতব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, এটি স্নায়ুতে আঘাত করে। এমনকী এটি একজনকে অজ্ঞান করে দিতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Leh Pangong Lake: খরচ ৬ হাজার কোটি টাকা, লেহ্-প্যাংগং লেককে জুড়তে নতুন টানেল গড়বে ভারত

    Leh Pangong Lake: খরচ ৬ হাজার কোটি টাকা, লেহ্-প্যাংগং লেককে জুড়তে নতুন টানেল গড়বে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেলা পাসের মধ্যে দিয়ে জোড়া টিউব টানেল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কেলা পাস ভারতের সর্বোচ্চ মোটরযানযোগ্য একটি পাস, যেটা লেহ্ এবং প্যাংগং লেকের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হিসেবে কাজ করে। এখানে টানেল তৈরির বিষয়ে লাদাখের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এই সব মরশুমে ব্যবহারযোগ্য টানেল (Tunnel)। এই সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গেলে লেহ্ (Leh) থেকে যাঁরা প্যাংগং লেক পর্যন্ত যেতে চান, তাঁরা খুব সহজেই যেতে পারবেন। এর মাধ্যমে সুবিধা হবে পর্যটকদের। সুবিধা হবে সামরিক বাহিনীরও।

    প্রকল্পের খরচ কত? (Leh)

    জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই টানেল নির্মাণের বিষয়ে একটি বৈঠক করেছিল। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হতে পারে প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা। এটা অত্যন্ত কঠিন একটা প্রকল্প। এর প্রকল্প ব্যয়ও প্রচুর। এনিয়ে শীঘ্রই উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। এর মাধ্যমে লেহ্ (Leh) থেকে প্যাংগং যাওয়ার দূরত্ব অনেকটাই কমবে। তবে এই প্রকল্প একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন নাকি ন্যাশানাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন কারা এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করবে সেটা এখনও পরিস্কার নয়। কেলা পাস লেহ্ ও প্যাংগংয়ের মধ্যে সংযোগকারী গিরিপথ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮,৬০০ ফুট উচ্চতায় এর অবস্থান। এর আগে লাদাখ প্রশাসন ২০২২ সালে খারদুংলা, ফোটু লা, নামিকা লা ও কেলা এই চারটি জায়গায় টানেল করার প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রস্তাবিত কেলা পাস টানেলটি এই অঞ্চলে চলাচলের গতি অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। বিশেষ করে শীতের সময় যখন রাস্তাগুলি প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়।  

    আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত! কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১২, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    সরকারি আধিকারিক কী বললেন?

    সরকারি এক আধিকারিক বলেন, এটি একটি চ্যালেঞ্জিং এবং উচ্চ খরচের প্রকল্প। তবে, এই প্রকল্পটি কার্যকরী হলে লেহ্ (Leh) থেকে প্যাংগং পর্যন্ত যাতায়াতের সময়কে যথেষ্ট পরিমাণে কমিয়ে দেবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah Bridge: চার দশক পর হচ্ছে হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কতদিন চলবে?

    Howrah Bridge: চার দশক পর হচ্ছে হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কতদিন চলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু করা হল। শেষবার আশির দশকে হয়েছিল। চার দশকের পর এবার সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হল। ইতিমধ্যেই সেই কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। শনিবার ব্রিজে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার জন্য ট্রাফিক ব্লক নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা (Health Examination) সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই কাজ আরও তিন-চারমাস চলবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে, আর ট্রাফিক ব্লক নেওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

    কেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা? (Howrah Bridge)

    জানা গিয়েছে, ১৯৮৩-৮৮ সালের মধ্যে রেলওয়ে কনসালটেন্সি বা রাইটস (RITES) সর্বশেষ এই ধরনের সমীক্ষা (Howrah Bridge) পরিচালনা করেছিল, এবারও কাজটি এই সংস্থায় দায়িত্ব নিয়ে করছে। ব্রিজটির মূল ডিজাইনার ব্রিটিশ ফার্ম রেন্ডেল পামার এবং ট্রাইটন (আরপিটি) তাদের সঙ্গে যোগ দেবে বলে জানা গিয়েছে। শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের (পূর্ববর্তী কলকাতা বন্দর বা KOPT) একজন কর্মকর্তা বলেন, ব্রিজের অবস্থা খতিয়ে দেখার পর তা বিশ্লেষণ করা হবে। ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে এই বিষয়ে একটি বিস্তৃত রিপোর্ট পাব বলে আমরা আশা করি।”  আর ট্রাফিক ব্লক প্রসঙ্গে কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা করেছেন, ব্রিজে গাড়ি চলাচল করলে সেতুর অবস্থার একটি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যেত না। ব্রিজের বেশ কিছু বিষয় পরীক্ষা করা হয়েছে। মূলত, শনিবার রাত ১১.৩০ থেকে ভোর ৪.৩০ টার মধ্যে ব্রিজটিকে যানবাহন মুক্ত করা হয়েছিল। মূলত ব্রিজটি মহানগরে পরিষেবা দেওয়ার জায়গা রয়েছে কি না তা গণনা করার দরকার। ব্রিজের শত শত জয়েন্ট ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। সেগুলি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।

    আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত! কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১২, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    বিশ্বের ষষ্ঠ দীর্ঘতম ক্যান্টিলিভার ব্রিজ

    হাওড়া সেতু (Howrah Bridge) বা রবীন্দ্র সেতুটি ১৯৪৩ সালে চালু হয়েছিল। ৪০ বছর ধরে একটানা সেবা করার পর ১৯৮৩ সালে শেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। শেষ সমীক্ষায়, RITES RPT- সঙ্গে  সহযোগিতা করেছিল।  সেতুটির ক্যারেজওয়ে ৭১-ফুট চওড়া, দুপাশে দুটি ১৮.৫ ফুট চওড়া ফুটপাথ রয়েছে। গত মে মাসে বিটুমিনাস রাস্তার ওপরিভাগ স্ক্র্যাপ করে কলকাতার সবচেয়ে স্বীকৃত ল্যান্ডমার্কের লোড কমানোর জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। হুগলি জুড়ে ক্যান্টিলিভার ব্রিজটি বিশ্বের ষষ্ঠ দীর্ঘতম কাঠামো। এটি প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ যানবাহন এবং দেড় লক্ষের এরও বেশি পথচারী চলাচল করেন। ব্রিজটি তৈরি হওয়ার পর প্রথম যানবাহন ছিল একটি ট্রাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে কাজল শেখের অনুগামীদের হাতে মার খেলেন কেষ্ট-অনুগামীরা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Birbhum: বীরভূমে কাজল শেখের অনুগামীদের হাতে মার খেলেন কেষ্ট-অনুগামীরা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত বীরভূমের (Birbhum) নানুর। কাজল শেখ গোষ্ঠীর অনুগামীদের হামলায় আক্রান্ত হলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের (Trinamool Congress) দলীয় কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অনুব্রত জেলায় থাকা অবস্থায় তাঁর অনুগামীদের এভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেলে থাকার সময় কাজল শেখের অনুগামীদের দাপাদাপির সাক্ষী ছিলেন বীরভূমবাসী (Birbhum)। বার বার আক্রান্ত হয়েছেন অনুব্রত অনুগামীরা। অনুব্রত জেলায় ফিরতে বুকে বল পেয়েছিলেন তাঁর অনুগামীরা। সম্প্রতি তৃণমূল কার্যালয়ে কোর কমিটির বৈঠক হয়েছে। কোর কমিটির বৈঠকের নির্যাস অনুযায়ী, অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষমতা কিছুটা হলেও খর্ব হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আরও বেশি অক্সিজেন পেয়েছে অনুব্রতর বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত কাজল শেখ গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, রবিবার নানুরের বাহিরিতে চায়ের দোকানে এক ব্যক্তি বসেছিলেন। তখনই কাজল শেখের অনুগামীরা সেখানে যান। দোকানের মধ্যে কোনও একটি বিষয়কে কেন্দ্র তাঁর সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে। তখনই ওই ব্যক্তির ওপর কাজল শেখের অনুগামীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন অনুব্রতর মণ্ডলের বেশ কয়েকজন অনুগামীও। আক্রান্তদের উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত! কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১২, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    শুরু হয়েছে তরজা

    কাজল শেখের অনুগামী তথা বাহিরির (Birbhum) পঞ্চায়েত প্রধান জানাচ্ছেন, সম্পূর্ণই পারিবারিক বিবাদ। তা থেকেই হাতাহাতি। অন্যদিকে, আক্রান্তদের অভিযোগ, কাজল শেখের অনুগামীরা সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবেই হামলা চালিয়েছে। এই প্রসঙ্গে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা জামশেদ আলি খানের বক্তব্য, হামলার জেরে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। প্রশাসন অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Task Force: লাগামছাড়া দাম আলু-পেঁয়াজের, রাজ্যের তৈরি টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Task Force: লাগামছাড়া দাম আলু-পেঁয়াজের, রাজ্যের তৈরি টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলু আর পেঁয়াজের (Potato And Onion) দাপটে বাজারে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা ক্রেতাদের। দিনের পর দিন দাম বেড়েই চলেছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে লোক দেখানো একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু, দাম নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্সের কোনও ভূমিকা চোখে পড়ে না। কখনও অভিযান হলে, টাস্ক ফোর্সের অভিযানের সেই খবর আগাম বাজারে পৌঁছে যায়। ফলে, প্রশ্নের মুখে টাস্ক ফোর্সের (Task Force) ভূমিকা।

    কত দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ? (Task Force)

    জানা গিয়েছে, প্রতি কেজির দর ৫০ টাকা থেকে বেড়ে এখন পৌঁছে গিয়েছে ৭০-৮০ টাকায়। জুলাইয়ে আলুর দাম খানিক নিয়ন্ত্রণে এলেও, এখন আবার তা প্রতি কেজি ৩৫ টাকায় বিকোচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, প্রশ্ন উঠছে টাস্ক ফোর্সের (Task Force) ভূমিকা নিয়ে। কৃষি বিপণন দফতর সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরে অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার ফলে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, প্রতি বছরই পুজোর মরশুম থেকে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়ে। তবে অন্য বছরে মহারাষ্ট্রের নাসিকের পেঁয়াজ বাজারে চলে আসে। এ বার সেই আমদানি কম হওয়ায়, দাম চড়েছে বেশি। রাজ্য টাস্ক ফোর্সের সদস্য তথা কলকাতার কোলে মার্কেটের ব্যবসায়ী কমল দে বলেন, ‘‘এই রাজ্যে প্রতি মাসে দেড় লক্ষ টন পেঁয়াজ লাগে। তার অর্ধেকেরও কম পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরাও আমদানি করতে ভয় পাচ্ছেন।” মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে এখন যা পেঁয়াজ আসছে, তা চাষিদের ঘর থেকে। সেই পেঁয়াজও প্রায় শেষ।”

    আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত! কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১২, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরো বাজারে দাম ৫ টাকা বেশি

    রাজ্যে গত মরশুমে প্রায় ১২৫ লক্ষ টন আলু ফলেছিল। তার মধ্যে হিমঘরে ঢুকেছিল ৬৩ লক্ষ টন। বাকি খুচরো বাজারে ও ভিন্ রাজ্যে রফতানি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, এখন হিমঘর থেকে জ্যোতি আলু প্রতি কেজি গড়ে ২৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু, খুচরো বাজারে সেই দাম দাঁড়াচ্ছে ৩৫ টাকা। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায়ের বলেন, ‘‘পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরো বাজারের দাম ৫ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে, আমাদের কাছেও প্রশ্ন।” টাস্ক ফোর্স (Task Force) কেন দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, প্রশ্ন তুলছেন ক্রেতাদের অনেকে। টাস্ক ফোর্সের এক সদস্যের কথায়, ‘‘আমরা অভিযান চালানোর সময়ে ঠিক দাম নেওয়া হচ্ছে। ফিরে এলেই আবার দাম বাড়ছে!”

    সরকারের কী সাফাই?

    রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘কলকাতার যে সব খুচরো বাজারে দাম বাড়ানোর প্রবণতা রয়েছে, সেই সব বাজারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সামনের মরসুমে সেখানে সুফল বাংলার স্টল খুলে সরকারি দামে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” কৃষি বিপণন দফতরের দাবি, সুফল বাংলা স্টল থেকে জেলায় জেলায় ২৫ টাকা ও কলকাতায় ২৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Toy Train: প্রতীক্ষার অবসান! এনজেপি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত ফের চলাচল শুরু টয় ট্রেনের

    Toy Train: প্রতীক্ষার অবসান! এনজেপি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত ফের চলাচল শুরু টয় ট্রেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর্যটকদের জন্য সুখবর। আবার এনজেপি স্টেশনে নেমে টয় ট্রেনে চেপে সোজা দার্জিলিং (Darjeeling) যাওয়া যাবে। চার মাস বন্ধ থাকার পর আবার রবিবার এনজেপি থেকে দার্জিলিং রুটে হেরিটেজ টয় ট্রেন (Toy Train) চালু হল।  রবিবার এনজেপি স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ এই ট্রেনের যাত্রা শুভারম্ভ করান উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাঠিয়ারের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার।

    কেন বন্ধ ছিল টয় ট্রেন? (Toy Train)

    জানা গিয়েছে, গত ৫ জুলাই থেকেই এই রুটে টয় ট্রেন (Toy Train) পরিষেবা বাতিল করা হয়। পাহাড়ে জায়গায় জায়গায় ধস নামায় টয় ট্রেনের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেকারণে এনজেপি-দার্জিলিং রুটে টয় ট্রেন বাতিল করতে বাধ্য হয় দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে চার মাস সময় লাগে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের ডিরেক্টর প্রিয়াংশু বলেন, ‘‘ধসে জায়গায় জায়গায় মাটি আলগা হয়ে যাওয়ায় নতুন করে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। একারণে লাইন মেরামত করতে এতদিন সময় লাগল। তবে, এখন বর্ষা নেই। শীতের মরশুম। টয় ট্রেন এনজেপি থেকে দার্জিলিংয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে আর কোনও প্রাকৃতিক সমস্যা হবে না বলে আশা করছি।’’

    আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত! কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১২, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    পর্যটকরা কী বললেন?

    দার্জিলিংয়ের পথে ফের টয় ট্রেন (Toy Train) চালু হওয়ার মুহূর্তকে ঘিরে এনজেপি স্টেশনে ছিল উৎসবের জোয়ার। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ট্রয় ট্রেনে চাপার আগ্রহ ছিল দেখার মতো। অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছেন এনা এবং বেনা। গোয়া থেকে এদিন টয় ট্রেন দার্জিলিং গেলেন, সময় শেট্টি ও তাঁর বন্ধুরা। অস্ট্রেলিয়ার বেনা বলেন, ‘‘এর আগে পাঁচবার আমি ভারত ভ্রমণে এসেছি। কিন্তু এবারই প্রথম টয় ট্রেনে চড়ছি। দারুন একটা উত্তেজনা অনুভব করছি। দার্জিলিংয়ের  টাইগার হিল সম্পর্কে জানি। কিন্তু টয় ট্রেন চড়ার একটা স্বপ্ন ছিল। তা বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে ভেবে আমি রোমাঞ্চিত।’’ গোয়ার সময় শেট্টি বলেন, ‘‘গতবার দার্জিলিং এসেছিলাম। ট্রয় ট্রেন চড়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু, এনজেপি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত ট্রেন বন্ধ থাকায় তা হয়ে ওঠেনি। এবার তা হচ্ছে জেনে ভালো লাগছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত! কলকাতা ১৮.৮, পুরুলিয়ায় ১২.৭ ডিগ্রি, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত! কলকাতা ১৮.৮, পুরুলিয়ায় ১২.৭ ডিগ্রি, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত। চলছে শেষ পর্বের অনুশীলন। প্রতিদিনই নামছে পারদ। রবিবার পর্যন্ত শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি। সোমবার তা আরও কমে ১৮ ডিগ্রির ঘরে নেমে গিয়েছে। উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে রাজ্যে। সেই কারণেই পারদ (Winter in Bengal) নামছে, জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)। পূর্বাভাস, আর কয়েকদিনের অপেক্ষা, তারপরই ঝোড়ো ব্যাটিং করবে শীত।

    কলকাতার পারদ

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Winter in Bengal) নতুন করে আর কমবে না। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.১ ডিগ্রি কম। এ ছাড়া, রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তা-ও স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৬ ডিগ্রি কম। সোমবার দক্ষিণবঙ্গে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রয়েছে পুরুলিয়ায়। সেখানে পারদ নেমে গিয়েছে ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ ছাড়া উলুবেড়িয়ায় ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দমদমে ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীনিকেতনে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ১৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ক্যানিংয়ে ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমানে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পানাগড়ে ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আসানসোলে ১৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিউড়িতে ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঝাড়গ্রামে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং কল্যাণীতে ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমেছে পারদ।

    আরও পড়ুন: গোলাপি টেস্টে ফিরছেন রোহিত! পারথে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন বুমরা, ওপেনার কে?

    কুয়াশার সতর্কতা 

    উত্তরে মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং দক্ষিণবঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় আগামী তিন দিন হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার পূর্বাভাস (Weather Update) দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে দার্জিলিঙে (৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। এ ছাড়া আলিপুরদুয়ারে ১৬, কোচবিহারে ১৬.৭, রায়গঞ্জে ১৫.৯ এবং কালিম্পঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের আমেজের প্রথম স্পেল অন্তত আগামী ৮ দিন থাকছে বলে আশ্বাস আলিপুর হওয়া অফিসের। আগামী ৭২ ঘণ্টায় আরও পারদ পতনের (Winter in Bengal) সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমের জেলায় পতনের সূচক বেশি। গাঙ্গেয় বঙ্গে পতনের সূচক সেই অনুপাতে কিছুটা কম। আগামী ৭২ ঘণ্টায় আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update: পারদ পতন অব্যাহত, রাজ্যে শীতের আমেজ, কলকাতা ১৯, পুরুলিয়ায় ১৩ ডিগ্রি!

    Weather Update: পারদ পতন অব্যাহত, রাজ্যে শীতের আমেজ, কলকাতা ১৯, পুরুলিয়ায় ১৩ ডিগ্রি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারের পর রবিবারও পারদ পতন অব্যাহত রাজ্যে। দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে পুরুলিয়ার তাপমাত্রা (Weather Update) সব চেয়ে কম। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে, জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, গতি বাড়ছে উত্তরের হাওয়ার। তাতেই শীতের আমেজ গোটা বাংলাজুড়ে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে পারদের পতন একটু বেশিই হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা বলছেন, আগামী দু’দিনে আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা (Weather Update) কমতে পারে। তবে জাঁকিয়ে শীত পড়তে পড়তে ডিসেম্বর।

    শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update) ছিল ১৯ ডিগ্রি, পুরুলিয়া ১৩.১ 

    শনিবারই কলকাতার (West Bengal) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার তা ১৯ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অন্যদিকে, রবিবার পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া, বীরভূমের শ্রীনিকেতন (১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস), ঝাড়গ্রাম (১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং সিউড়িতে (১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রির কম। দমদমে ১৭.২ ডিগ্রি, বর্ধমানে ১৬ ডিগ্রি, আসানসোলে ১৬.১ ডিগ্রি পর্যন্ত পারদ নেমেছে।

    রাজ্যে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই (Weather Update)

    হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) উত্তরের হাওয়া প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী দু’দিনের জন্য পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় ঘন কুয়াশার পূর্বাভাসও দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ঘন কুয়াশার চাদর থাকবে মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও। দৃশ্যমানতা কমে ৫০ থেকে ২০০ মিটার হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, আপাতত রাজ্যের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সর্বত্র থাকবে শুকনো আবহাওয়া (Weather Update)।
      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rash Yatra 2024: শান্তিপুরে ভাঙা রাসে ‘রাইরাজা’, শোভাযাত্রা ঘিরে উন্মাদনা

    Rash Yatra 2024: শান্তিপুরে ভাঙা রাসে ‘রাইরাজা’, শোভাযাত্রা ঘিরে উন্মাদনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিপুরে ভাঙা রাসের (Rash Yatra 2024) প্রধান আকর্ষণ ‘রাইরাজা’, রাধার কৃষ্ণ সাজার পটভূমিতে পৌরাণিক বিশ্বাস। জানা যায় বিশ্বে শুধু শান্তিপুরেই (Santipur) এই রীতি আজও বিরাজমান। নদিয়ার শান্তিপুর শহরে ভাঙা রাসের মূল আকর্ষণ রাধিকা রাজা, যাকে সাধারণভাবে রাইরাজা বলেন এলাকার মানুষ।

    রাইরাজার ইতিহাস (Rash Yatra 2024)

    চৈতন্য চরিতামৃত অনুয়ায়ী, দ্বাপর যুগে বৃন্দাবনে শ্রী কৃষ্ণ যখন ষোলশ গোপিনীর সঙ্গে রাস লীলায় মত্ত ছিলেন তখন স্বয়ং মহাদেব গোপিনীর ছদ্মবেশে বৃন্দাবনে প্রবেশ করেন। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ মহাদেবকে চিনে ফেলতে সক্ষম হন। মহাদেবকে দেখার পরমুহূর্তেই শ্রী কৃষ্ণ অন্তর্হিত হন। কিন্তু, শ্রীকৃষ্ণ ব্যাতিত রাসলীলা অসম্ভব, আর ঠিক সেই কারণেই সমস্ত গোপিনীরা রধিকাকেই রাজা সাজিয়ে রাসলীলা (Rash Yatra 2024) সম্পন্ন করেন। সেই থেকেই রাধিকা রাজা বা রাই রাজার উদ্ভব। অন্যদিকে আরেকটি বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ, শ্রীকৃষ্ণ যে মুহূর্তে রাসলীলার মঞ্চ থেকে অন্তর্হিত হলেন, সেই মুহূর্ত বা সময়টি ভাঙা রাস নামে সুপরিচিত। অর্থাৎ একদিকে ভাঙা রাস ও অন্য দিকে রাই রাজা একই সন্ধিক্ষণ থেকেই সৃষ্ট। সেই কারণেই ভাঙা রাসে রাই রাজাকে নগর পরিক্রমা করানোর রীতি রয়েছে প্রায় প্রতিটি পরিবারিক বিগ্রহের।

    প্রতিটি বিগ্রহ পরিবারে হয় ‘রাইরাজা’

    সুসজ্জিত রাইরাজাকে বিগ্রহ বাড়ির হাওদায় তোলার আগে তাকে বরণ করার রীতিও রয়েছে বিগ্রহ পরিবারগুলির মধ্যে। মূলত, ব্রাহ্মণ পরিবারের কুমারী নাবালিকাকে সুসজ্জিত ও দৃষ্টি নন্দন সাজসজ্জায় সাজিয়ে তুলেই নগর পরিক্রমায় (Rash Yatra 2024) বের করার রীতি রয়েছে। শান্তিপুর শহরের প্রতিটি বিগ্রহ পরিবার যেমন  বড় গোস্বামী, পাগলা গোস্বামী, বাঁশ বুনিয়া গোস্বামী, চাক ফেরা, মদন গোপাল সহ আরও অন্যান্য বিগ্রহ পরিবারগুলি রাইরাজা সহ তাদের রাধাকৃষ্ণের নয়নাভিরাম যুগল মূর্তি সহ শোভা যাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। শান্তিপুর শহরে বেশ কিছু অব্রাহ্মণ পরিবারেরও রাইরাজাকে নগর পরিক্রমা করানোর রীতি রয়েছে। যেমন সাহা বাড়ি, পুট পুঁটি জিউ আবার আশানন্দ বারোয়ারি র শোভা যাত্রায় রাই রাজা দেখতে পাওয়া যায়। শান্তিপুরের ভাঙা রাসের শোভাযাত্রায় আরাধ্য শ্রীবিগ্রহদের পাশাপাশি এক বিশেষ আকর্ষণ থাকে এই রাইরাজা। পূর্বে গোস্বামীদের গৃহ থেকে বিভিন্ন নিয়ম আচার মেনে, নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ বংশের অরজস্বলা, সুন্দরী এবং সুলক্ষণা কিশোরীদের নির্বাচন করা হত, তাঁরাই বস্ত্রালঙ্কারে সেজে হাতির পিঠে রাইরাজা-রূপে শোভাযাত্রায় অংশ নিতেন। এখন নিয়ম কিছুটা শিথিল হয়েছে, বিভিন্ন গোষ্ঠীর তরফ থেকেই রাইরাজারা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। আর এই শোভাযাত্রা দেখতে উপচে পড়ে ভিড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Flight: ভারতে বিমানে ইন্টারনেট সংযোগে উদ্যোগী ইসরো, চালু হবে ‘ইন ফ্লাইট ওয়াইফাই সার্ভিস’

    Flight: ভারতে বিমানে ইন্টারনেট সংযোগে উদ্যোগী ইসরো, চালু হবে ‘ইন ফ্লাইট ওয়াইফাই সার্ভিস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এরোপ্লেনে (Flight) যাতায়াতকারীদের নয়া সুখবর আছে। ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে ইন ফ্লাইট ওয়াইফাই সার্ভিস। এখনও পর্যন্ত ভারতের সমস্ত ডোমেস্টিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে এটি চালু করা হয়নি এবং এয়ারলাইনের জন্য এটিকে একটি অন্যতম প্রধান অনবোর্ড সার্ভিস বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই সপ্তাহে ইন ফ্লাইট ওয়াইফাই ব্যাবহার সম্পর্কে নোটিশ জারি করেছে। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) এলন মাস্কের স্পেস এক্সের ফ্যালকন ৭ রকেট ব্যবহার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার সর্বশেষ যোগাযোগ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে প্রস্তুত। GSAT-N2 নামে স্যাটেলাইট, যাকে GSAT-20ও বলা হয়, ফ্লাইটে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস প্রদান করবে।

    নতুন নিয়মে কী রয়েছে? (Flight)

    এনআরই নিয়মানুযায়ী, যাত্রীবাহী বিমানে (Flight) ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের অনুমতি থাকলে তবেই ওয়াইফাই সার্ভিস ব্যাবহার করা যাবে। এর জন্য বিমানের কমপক্ষে ৩০০০ মিটার উচ্চতায় উঠতে হবে। এই নির্দেশের ফলে ফ্লাইটের সময় নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতিতে কানেক্টিভিটি বজায় রাখা সম্ভব হবে। এর নিয়মের মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রাউন্ড লেভেলের মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে কোনও রকম হস্তক্ষেপ আটকানো। নতুন নিয়মে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বিমান ৩০০০ মিটার উচ্চতায় উচ্চতায় পৌঁছানোর পর ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। এবং এর জন্য বিমানে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের অনুমতি থাকতে হবে।

    স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর কী বললেন?

    GSAT-N2-এর ওজন ৪৭০০ কেজি। ইসরো (ISRO)-এর নিজস্ব রকেট দ্বারা উৎক্ষেপণ করা সমস্যার। তাই, সংস্থাটি SpaceX-এর ভারী লঞ্চ যান ব্যবহার করার জন্য বেছে নিয়েছে। যদিও স্যাটেলাইটটি ISRO তৈরি করেছে, এটি ISRO-এর বাণিজ্যিক শাখা নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড (NSIL)-এর অধীনে একটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এরোপ্লেনে (Flight) ইন্টারনেট সেবা ছাড়াও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট সেবা দেবে স্যাটেলাইট। এটি হবে স্পেসএক্স গাড়ি ব্যবহার করে ইসরোর প্রথম বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণ। বেঙ্গালুরুতে ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর ডাঃ এম শঙ্করণ বলেন, “এই স্যাটেলাইটটি যখন চালু হবে তখন বিশ্বের ইন্টারনেট মানচিত্রে ভারতে বিদ্যমান ইন-ফ্লাইট ইন্টারনেট সংযোগের যে শূন্যতা এতদিন ছিল তা পূরণ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share