Tag: West Bengal

West Bengal

  • South 24 Parganas: স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ টাকার প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা

    South 24 Parganas: স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ টাকার প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের বিধায়ক, মন্ত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের যুব নেতার বিরুদ্ধে। আর প্রতারিত হয়েছেন তৃণমূলেরই অন্য এক যুব নেতা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘি এলাকায়। প্রতারিত যুব নেতার নাম পৃথ্বীরাজ তাঁতি। তিনি রায়দিঘির কৌতলা অঞ্চলের যুব সভাপতি। আর প্রতারকের নাম প্রীতম কলা। তিনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের মহেশপুর কেদারপুর এলাকার রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা। তিনি নিজেকে তৃণমূলের বিধায়ক ঘনিষ্ঠ যুব নেতা বলতেন।

    কীভাবে প্রতারণা? (South 24 Parganas)

    পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীরকুমার জানা, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দেবাংশু ভট্টাচার্য  সহ একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে ফটো তুলে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন প্রীতম কলা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রীতমের সঙ্গে পরিচয় হয় পৃথ্বীরাজের। প্রতারক প্রীতম কলা বিভিন্ন মন্ত্রী, এমএলএ ও যুব নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছবি দেখিয়ে যুব নেতাকে প্রভাবিত করেন বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছে ৪ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। প্রথম দফায় ১ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। ভুয়ো ডাক্তার ও তার সহকারি সাজিয়ে ইন্টারভিউয়ের নাম করে তিনি কয়েক দফায় যুব তৃণমূলের নেতার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নেন। দেওয়া হয় ভুয়ো নিয়োগপত্র। প্রতারণার চক্রের খপ্পরে পড়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে এনআরএস হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে যান যুব তৃণমূলের নেতা পৃথ্বীরাজ। হাসপাতালের সুপার বুঝতে পারেন, নিয়োগপত্র জাল। গোপনে পুলিশকে খবর দেন সুপার। পুলিশ আসার আগে বুঝতে পেরে সেখান থেকে সরে পড়েন তিনি। এইভাবে প্রতারণার চক্রে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে হতাশায় ভুগছেন ওই যুবনেতা।

    প্রতারিত যুব নেতা কী বললেন?

    প্রতারিত যুব নেতা পৃথ্বীরাজ তাঁতি বলেন, দলের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে প্রতারকের ছবি দেখে আমি প্রভাবিত হয়ে পড়েছিলাম। আমি কয়েক দফায় ১ লক্ষ টাকা দিয়ে বুঝতে পারি, প্রতারকের খপ্পরে পড়েছি। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘প্রতি মাসে ১০০ জন নন্দীগ্রামবাসীকে রাম মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে’, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘প্রতি মাসে ১০০ জন নন্দীগ্রামবাসীকে রাম মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে’, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় অর্ধশতকের আইনি লড়াইয়ের পর অযোধ্যার বিতর্কিত প্রাঙ্গনে রাম মন্দির তৈরির অনুমতি দেয় আদালত। রাম মন্দিরে জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। আগামী ২২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের। স্বাভাবিকভাবে ঐতিহাসিক এই দিনের সাক্ষী থাকতে চাইছেন দেশবাসী। রেলের পক্ষ থেকে দেশের সমস্ত প্রান্তের মানুষদের নিয়ে যাওযার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নন্দীগ্রামের মানুষদের রাম মন্দির দর্শনে নিয়ে যাবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু।

    রাম মন্দির দর্শন নিয়ে ঠিক কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রবিবার বছরের শেষ দিন নন্দীগ্রাম বজরং কমিটি আয়োজিত হনুমান পুজোয় অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্থানীয়দের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, যাঁরা নিজের টাকায় রাম মন্দির দর্শনে যেতে পারবেন না, তাঁদের সঙ্গে সেবক শুভেন্দু সব সময় আছে। রাম মন্দির দর্শনের জন্য গোটা দেশ থেকে ৭০০ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় রেল। সেই সব ট্রেনে টিকিট কেটে উঠতে হবে। নন্দীগ্রামের যাঁরা টিকিট কেটে রাম মন্দির দর্শনে যেতে পারবেন না, প্রতি মাসে আমি ১০০ জন করে ট্রেনে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেব। জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখের পর থেকে নন্দীগ্রামে রাম মন্দির দর্শন কর্মসূচি শুরু হবে। যাঁরা নিজেদের ক্ষমতায় যেতে পারবেন যাবেন, যাঁরা পারবেন না তাঁদের রাম মন্দির নিয়ে যাওয়ার সমরকম ব্যবস্থা আমি করে দেব।

    রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, রাম মন্দির তৈরি হয়েছে সনাতনীদের দেওয়া অর্থ দিয়ে। সনাতনীরা বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে যে টাকা দিয়েছেন, তা দিয়ে তৈরি হয়েছে এই রাম মন্দির। দিঘার জগন্নাথ কালচারাল সেন্টারের মতো সরকারি টাকায় তৈরি নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hiran Chatterjee: পুলিশকে তৃণমূলের ‘গুন্ডা’ বলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন হিরণ

    Hiran Chatterjee: পুলিশকে তৃণমূলের ‘গুন্ডা’ বলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন হিরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার ইনচার্জ তথা বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। দলের নেতার সঙ্গে পুলিশ অমানবিক আচরণ করায় কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন যুব মোর্চার এই নেতা। পুরাতন মালদার সেতু মোড়ে সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশকে আক্রমণ করেন তিনি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় দলীয় নেতা-কর্মীরা মনোবল ফিরে পেয়ে গিয়েছে।

    যুব মোর্চার নেতাকে অমানবিক অত্যাচার চালায় পুলিশ!

    গত, ২৫ ডিসেম্বর গাজলের শহিদপুর মোড়ের বাড়ি থেকে যুব মোর্চার জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত মাহাতকে মোটর বাইক চুরির অপবাদ দিয়ে তাঁর উপরে অমানবিক অত্যাচার চালায় পুলিশ। এমনই অভিযোগ বিজেপি নেতা-কর্মীদের। পুলিশের মারে অচৈতন্য হয়ে পড়েন বিজেপির এই যুব মোর্চার নেতা। গাজল গ্রামীণ হাহপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। তবে, সরকারি হাসপাতালে শারীরিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ থাকলেও পুলিশ যে হামলা চালিয়েছে তা অভিযোগে কোথাও লেখা হয়নি বলে সরব হন বিজেপি নেতৃত্ব। প্রশান্তকে পাশে নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন যুব মোর্চার রাজ্য নেতা (Hiran Chatterjee)।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার ইনচার্জ? (Hiran Chatterjee)

    দলীয় নেতাকে মোটর বাইক চুরির মিথ্যে অপবাদ দিয়ে মারধরের অভিযোগ তুলে পুলিশকে ‘গুন্ডা’ বলে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার ইনচার্জ হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যুব মোর্চার উপর অত্যাচার করে কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। তৃণমূলের দলদাস পুলিশ। তাই, পুলিশ গুন্ডার মতো কাজ করছে। আমাদের নেতাকে নৃশংসভাবে থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশ মারধর করেছে। এরই প্রতিবাদে আমরা আগামীদিন আন্দোলন শুরু করব। এছাড়া রাজ্যের ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সলমন খানের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নাচ নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন, সলমন খান রাজ্যের পরিস্থিতি জানলে তিনি নাচা তো দূরের কথা বাংলাতেই আসতেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: নাম না করে অর্জুনকে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তৃণমূলেরই বিধায়ক!

    Arjun Singh: নাম না করে অর্জুনকে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তৃণমূলেরই বিধায়ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম না করে অর্জুন সিংকে (Arjun Singh) গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। শুধু তাই নয়, নোয়াপাড়া শহর তৃণমূলের সভাপতি গোপাল মজুমদার খুনের ঘটনায় নতুন করে মামলাটির তদন্ত করারও তিনি দাবি জানিয়েছেন। এই খুনের ঘটনার মূলচক্রীকে গ্রেফতার করা হয়নি। আমার কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে। সবকিছু হলুদ ফাইলে জমা রয়েছে। পুলিশ কমিশনারকে এ বিষয়ে আবেদন জানাব। মূলত তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এই খুনের পিছনে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের দাপুটে নেতা রয়েছে বলে তিনি ইঙ্গিত করেন। অর্জুন সিং ইস্যুকে সোমনাথ শ্যাম ফের মুখ খোলায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    বারাকপুরে জিইয়ে রইল তৃণমূলের দ্বন্দ্ব (Arjun Singh)

    বেশ কিছুদিন ধরে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) সঙ্গে সোমনাথের দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কোন্দল ঠেকাতে রাজ্য নেতৃত্ব সরাসরি হস্তক্ষেপ করে। রাজ্য নেতা সুব্রত বক্সির নির্দেশ মেনে সোমনাথ ইস্যুতে অর্জুন মুখে কুলুপ এঁটেছেন। শনিবার সুব্রত বক্সি নিজে উদ্যোগী হয়ে নৈহাটি উৎসবে এসে অর্জুন-সোমনাথ দ্বন্দ্বে ইতি টানতে চেয়েছিলেন। দুপক্ষকে একসঙ্গে বসিয়ে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছিলেন এই রাজ্য নেতা। সমঝোতা বৈঠকে হাজির হয়ছিলেন অর্জুন। তবে, গড়হাজির ছিলেন সোমনাথ। ফলে, বৈঠক ভেস্তে যায়। ফলে, বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব জিইয়ে রইল তা বলাবাহুল্য।  এই ঘটনার মধ্যেই সোমনাথ সিং এর অর্জুনের নাম না করে এই বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     ফের বিস্ফোরক সোমনাথ, ঠিক কী বললেন?

    সোমনাথ শ্যাম বলেন, ২০১৯ সালের পর থেকে বহু কর্মী আমাদের দলে খুন হয়েছেন। এমনকী বিকাশ বসু খুনের ঘটনার পিছনে কারা রয়েছেন তা খুঁজে বের করা দরকার। কারণ, আমাদের দলের মধ্যে থেকেই কেউ কেউ কর্মীদেরকে খুন করে আমাদের দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। আমরা তা হতে দেবো না। আমার কাছে যে হলুদ ফাইল রয়েছে, তাতে এই ধরনের তথ্যই রয়েছে। সেইসব তথ্যই এবার সামনে আনব। নোয়াপাড়া তৃণমূল নেতা গোপাল মজুমদারকে যারা খুন করেছিল তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুধু ভাড়াটে খুনিরাই ধরা পড়েছিল। কিন্তু, এই খুনের পিছনে যারা রয়েছে, তাদের এখনও ধরা হয়নি। আমরা এই খুনের মামলাটির পুনরায় তদন্ত করার জন্য পুলিশকে বলবো। তবে, তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত অর্জুনের (Arjun Singh) দিকে।

    অর্জুনকে তোপ দাগলেন বীজপুরের বিধায়ক

    সোমনাথ শ্যামের মতোই অর্জুন সিংয়ের নাম না করে তোপ দাগলেন বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের পর আমাদের একাধিক কর্মী খুন হয়েছেন, দেড় হাজার কর্মী ঘর ছাড়া ছিলেন। বহু বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। ৭০ থেকে ৮০টি পার্টি অফিস দখল করে নিয়েছিল বিজেপি। এখন বিজেপি থেকে আমাদের দলে আসা হনু কোন ডালে বসে সেটার দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: বন্ধ পার্টি অফিস খুলে মন্ত্রী উদয়ন গুহ শুনলেন, অনেকেই চলে গেছে বিজেপিতে

    Cooch Behar: বন্ধ পার্টি অফিস খুলে মন্ত্রী উদয়ন গুহ শুনলেন, অনেকেই চলে গেছে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটার ভেটাগুড়িতে তৃণমূলের দুটি কার্যালয় বন্ধ ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনর পর থেকে কার্যালয় খুলতে পারেনি তৃণমূল। পুলিশ-প্রশাসনের উপর ভরসা করেও সেভাবে কোনও লাভ হয়নি। এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভেটাগুড়িতে একাধিক কার্যালয় খুললেন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। পার্টি অফিস খুলে দাপট দেখাতে গিয়ে ফের মুখ থুবড়ে পড়ল তৃণমূল। কারণ, ভেটাগুড়ির কাছে শীতলকুচির লালবাজার এলাকায় ধস নামল তৃণমূলে। শনিবার রাতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূলের সহ সভাপতি বিনোদ বর্মন সহ শখানেক কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই উত্তপ্ত ছিল কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটার ভেটাগুড়ি এলাকা। তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে দফায় দফায়। ভেটাগুড়ির সব্জি বাজার এবং রেলগেটের পাশে অবস্থিত তৃণমূলের দুটি কার্যালয়ই বন্ধ ছিল। শনিবার মন্ত্রী উদয়ন গুহ, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক-সহ জেলা নেতৃত্ব ওই দুটি কার্যালয়ে খোলার জন্য যান ভেটাগুড়িতে। দলীয় কার্যালয় খোলাও হয়। পাশেই পথসভা করছিল তৃণমূল। অভিযোগ, সেই সময় আচমকা তৃণমূলের কার্যালয় এবং পথসভায় পর পর দুটি বোমা মারা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি এই বোমাবাজির ঘটনায় জড়িত। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, বিজেপির লাগামহীন সন্ত্রাসের কারণে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সহ এলাকার মানুষ নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তৃণমূলের দুটি দলীয় কার্যালয় বন্ধ রয়েছে। ব্লক সভাপতিকে তির মারা হয়েছে। পুলিশের কাছ থেকে যে সহযোগিতা পাওয়ার কথা, তা পাও যাচ্ছে না। অন্যদিকে, মন্ত্রী উদয়ন গুহ বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে শান্ত ভেটাগুড়িকে অশান্ত করছেন। এই অভিযোগে মিছিল বের করেন ভেটাগুড়ির বিজেপি মহিলা সমর্থকেরা। মিছিল থেকে মন্ত্রীকে ঝাঁটাপেটা করার স্লোগান ওঠে। দিনভর দলীয় কার্যালয় খুলে তৃণমূল নিজেদের হারানো মাটি ফিরে পেয়েছে বলে দলীয় কর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, কিছুক্ষণ পরই লালবাজার এলাকায় তৃণমূলের ধস নামে। অঞ্চল তৃণমূলের সহ সভাপতি বিনোদ বর্মন বিজেপিতে যোগদান করেন।

    বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে কী বললেন বিনোদ বর্মন?

    বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা বিনোদ বর্মন বলেন, তৃণমূল দলটা কোন্দলে ভরে গিয়েছে। পদে থেকে আমি কোনও কাজ করতে পারছিলাম না। তাই, আমি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলাম। দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বলেন, এদিন বিনোদবাবুর নেতৃত্বে বহু কর্মী তৃণমূল ছেড়ে আমাদের দলে যোগদান করলেন। দলের সংগঠন আমাদের আরও মজবুত হল। যতদিন যাবে তৃণমূলের জমি তত আলগা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: আরাবুলের এ কী হাল! নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ দাপুটে এই নেতা

    Arabul Islam: আরাবুলের এ কী হাল! নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ দাপুটে এই নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় তাঁর দাপটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এলাকায় কারও কথা বলার সাহস ছিল না। তৃণমূলের সেই দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam) এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পুলিশ-প্রশাসন ও জেলার দলীয় নেতৃত্বকে এ বিষয়ে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। এবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তার আবেদনও করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আরাবুল? (Arabul Islam)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আরাবুলের (Arabul Islam) দাপট কমছে। এর আগে পঞ্চায়েতে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিল। দুদিন আগে ফের নিজের খাসতালুকে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকে একটি সভা ছিল। সেখানে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে বক্তব্য রাখতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল। তার জেরে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। দীর্ঘক্ষণ বিডিও অফিসে আটকে রাখা হয়। এই ঘটনা ভাঙড়ে প্রথম নয়। পঞ্চায়েতে ভোটপর্বেও বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন আরাবুল। ফলে, নিজের খাসতালুকে জমি হারাতে শুরু করেছেন আরাবুল। তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। এবার আইএসএফের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পরার পর  থেকেই নিরাপত্তাহীনতা ভুগতে শুরু করেছেন তিনি।

    কী বললেন আরাবুল?

    আরাবুল বলেন, আমরা বারবার প্রশাসনকে জানাচ্ছি। প্রশাসন কতটা নিরাপত্তা আমাদের দিতে পারে সেটা প্রশাসন জানে। সেটা নিয়ে আর কিছু বলব না। আমি রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে আমাদের জেলা নেতৃত্বকে বারবার বলেছি। আমাদের যে কোনও সময় প্রাণহানির আশঙ্কা আছে। আচমকা আমার তিনজন সিকিউরিটিকে তুলে নেওয়া হল। কোনও কারণ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখুন।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি কী বলেছেন?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজমুদার বলেন, আরাবুলের (Arabul Islam) ভয়ে এলাকায় মানুষ কথা বলতে পারতেন না। তিনি এখন ভয় পাচ্ছেন। এটা ভাবতেও অবাক লাগছে। তৃণমূলের জমি যে আলগা হচ্ছে এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: বেহাল রাস্তার দাবিতে অবরোধ, মহিলাকে হেনস্থা করে দাপট দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা

    Panihati: বেহাল রাস্তার দাবিতে অবরোধ, মহিলাকে হেনস্থা করে দাপট দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ার কারণে বেহাল হয়ে গিয়েছে রাস্তা। প্রশাসনিক মহলে একাধিকবার দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা মিলেই রাস্তা অবরোধে নেমেছিলেন। কিন্তু, রাস্তা সারানোর প্রতিশ্রুতি তো দূরে থাক, উল্টে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের দাদাগিরি দেখলেন অবরোধকারীরা। এক মহিলার হাত ধরে টেনে তাঁকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি (Panihati) পুর এলাকার রাসমণি মোড় সংলগ্ন আর এন এভিনিউতে।

    পুলিশের সামনেই এক মহিলাকে হেনস্থা করেন এক তৃণমূল কর্মী! (Panihati)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি (Panihati) পুরসভা এলাকার এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। খানাখন্দে ভরে রয়েছে। সকাল থেকে রাত ধূলোয় ঢাকছে এলাকা। রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায় প্রতিদিনই ছোটবড় দুর্ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনি অত্যধিক ধূলোর কারণে রাস্তা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা বিশেষ করে প্রবীণ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। স্থানীয় পুরসভা সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি। প্রশাসনিক উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ওই এলাকার বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে আর এন এভিনিউয়ের রাস্তায় বাঁশ ফেলে অবরোধে সামিল হন। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে খড়দা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বেশকিছুক্ষণ ধরে চলে অবরোধ। অভিযোগ, অবরোধ চলাকালীন আচমকা অবরোধ তোলার জন্য তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী ঘটনাস্থলে হাজির হন। তৃণমূল নেতা রাজেশ দে-র নেতৃত্বে প্রথমে তাঁরা অবরোধ তোলার জন্য বলেন। কিন্তু, অবরোধকারীরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কথা না শোনায় তাঁদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অবরোধকারীরা। তাদের আরও অভিযোগ, পুলিশের সামনেই এক মহিলা অবরোধকারীকে হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে সরিয়ে দেয় তৃণমূলেরই এক কর্মী। বাধা দিতে গেলে অবরোধীকারীদের উপর চ়ড়াও হয়। উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। বেগতিক বুঝে পুলিশ অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    খুব শীঘ্রই রাস্তা সংস্কার করা হবে, আশ্বাস চেয়ারম্যানের

    পানিহাটি (Panihati) পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, ‘প্রথমত রাস্তাটি পুরসভার নয়, পূর্ত দফতরের রাস্তা। কাচকলের দিক থেকে ইতিমধ্যে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই তা শেষ হবে। কিন্তু, তার মধ্যেও এদিন যাঁরা অবরোধ করলেন বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বোঝাই যাচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। সাধারণ মানুষ সব কিছুই দেখতে পাচ্ছেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anupam Roy: উপচে পড়া ভিড়ে বিপত্তি! হুড়োহুড়িতে জখম পাঁচ, বাতিল হয়ে গেল অনুপমের-শো

    Anupam Roy: উপচে পড়া ভিড়ে বিপত্তি! হুড়োহুড়িতে জখম পাঁচ, বাতিল হয়ে গেল অনুপমের-শো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গায়ক অনুপম রায়ের (Anupam Roy) অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় হবে তা প্রত্যাশা করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা বইমেলা কমিটির সদস্যরা। তাই, প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। মেলার ভিতরে তৈরি করা হয়েছিল ব্যারিকেড। কিন্তু, প্রত্যাশার বাইরে ভিড় আছড়ে পড়ে অনুষ্ঠানের মাঠে। আর তাতেই বিপত্তি বাধে। পাঁচজন জখম হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গন্ডগোলের জেরে অনুপমের গানের শো  বাতিল করে দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Anupam Roy)

    বইমেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় অনুপমের রায়ের (Anupam Roy) শো হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো করে এলাকায় কিছুটা প্রচারও করা হয়েছিল। শনিবার বিকেল থেকেই দর্শকদের ভিড় হতে শুরু করে। সন্ধ্যার নামতেই দেগঙ্গা ও আশপাশের একাধিক ব্লক ও শহর এলাকা থেকে মানুষ এসেছিলেন। বইমেলার মাঠে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের সমাগম হয়। মূল গেটে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিল। সবাই কাছ থেকে অনুপমকে দেখতে হাজার হাজার মানুষ হুড়মুড়িয়ে বইমেলায় ঢুকতে গেলে বিপত্তি ঘটে। এই বিপুল ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে গেলে পড়ে গিয়ে জখম হন অনেকে। পরে বইমেলা কমিটির তৎপরতায় এবং পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই ঘটনার জেরে টাকি রোড ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। কয়েক বছর আগে নৈহাটি উৎসবে বলিউডের এক গায়িকার অনুষ্ঠানে দর্শকদের ভিড়ে উপচে পড়ে। হুড়োহুড়িতে বেশ কয়েকজন জখম হন। ফলে, কয়েকজন মাঝ পথে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা।

    উপচে পড়া ভিড়ে বিপত্তি!

    দেগঙ্গা বইমেলার মুখ্য আয়োজক তুষারকান্তি দাস বলেন, উপচে পড়া ভিড়ে বিপত্তি বাধে। অনুপম রায়ের (Anupam Roy) গান শুনতে এসে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি শ্রোতারা। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তী অনুষ্ঠান কমিটি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে জানিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ভেস্তে গেল অর্জুন-সোমনাথ সমঝোতা বৈঠক, জিইয়ে রইল তৃণমূলের কোন্দল

    Arjun Singh: ভেস্তে গেল অর্জুন-সোমনাথ সমঝোতা বৈঠক, জিইয়ে রইল তৃণমূলের কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে অর্জুন-সোমনাথ দ্বৈরথ চলছেই। লোকসভা ভোটের আগে দলের ভাবমূর্তি ঠিক করতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন রাজ্য নেতৃত্ব। তৃণমূলের রাজ্য নেতা সুব্রত বক্সির উপস্থিতিতে অর্জুন সিং-এর সঙ্গে সোমনাথ শ্যামের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো নৈহাটিতে সমস্ত রকম প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে সেই বৈঠকে গড় হাজির ছিলেন সোমনাথ শ্যাম। ফলে, অর্জুন (Arjun Singh)-সোমনাথ মীমাংসা বৈঠক ভেস্তে গেল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

    সোমনাথ ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অর্জুন! (Arjun Singh)

    বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে সোমনাথের সঙ্গে অর্জুন সিং এর দ্বন্দ্ব নতুন নয়। তবে, তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনার পর অর্জুন (Arjun Singh) ভাইপো পাপ্পু সিং গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সাংসদ-বিধায়কের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। দুজনেই একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন। এমনকী দুপক্ষের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। অর্জুন অনুগামীরা প্রকাশ্যে সোমনাথ শ্যামের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। যা নিয়ে আখেরে দলের মুখ পুড়েছে। জেলা নেতৃত্ব এই সমস্যার সমাধান করতে না পারার কারণে হস্তক্ষেপ করে রাজ্য নেতৃত্ব। সুব্রত বক্সি নিজে উদ্যোগী হন। সোমনাথ ইস্যুতে অর্জুনকে চুপ থাকতে নির্দেশ দেন। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে সোমনাথের বিরুদ্ধে অর্জুন আর কোনও কথা বলেননি। ঠিক ছিল, নৈহাটি উৎসব উপলক্ষ্যে সুব্রত বক্সি এসে সোমনাথ শ্যাম এবং অর্জুন সিং কে নিয়ে একসঙ্গে বসে বৈঠক করবেন। গত কয়েকদিন ধরে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল।

    সোমনাথ গড়হাজির থাকায় ভেস্তে যায় সমঝোতা বৈঠক

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে সুব্রত বক্সি কলকাতা থেকে নৈহাটি যাওয়ার সময় ভাটপাড়া থেকে অর্জুন সিং (Arjun Singh) কে গাড়িতে তুলে নেন। এরপর ৪টা ২০ মিনিট নাগাদ সোজা চলে যান নৈহাটি পুরসভায়। সেখানে স্থানীয় বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের ঘরে ৫টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। সেখানে পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়, সনৎ দে উপস্থিত ছিলেন। সোমনাথ শ্যামের বৈঠকে আসার কথা থাকলেও তিনি গড় হাজির ছিলেন। প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর সুব্রতবাবু অর্জুনকে নিয়ে নৈহাটি উৎসবে চলে যান। সেখানে সুব্রত বক্সি ও অর্জুন সিং কে সংবর্ধনা দেয়া হয়। ততক্ষণে পার্থ ভৌমিক অনুষ্ঠানে হাজির হন।  সুব্রত বক্সির পাশাপাশি অর্জুন সিং বক্তব্য রাখেন। নৈহাটি উৎসবের দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।

    বৈঠক নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    অর্জুন-সোমনাথের বৈঠকের বিষয়ে সুব্রত বাবুকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, বৈঠকের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। অর্জুন সিং বলেন, দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে এ বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। জগদ্দল এর বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, আমাকে বৈঠকের ব্যাপারে কোনও কিছু ডাকা হয়নি। ফলে বৈঠকের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: নাম না করে অভিষেককে ‘দুর্নীতির মাস্টারমশাই’ বলে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: নাম না করে অভিষেককে ‘দুর্নীতির মাস্টারমশাই’ বলে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যা শহর আগামীদিনে গোটা বিশ্বের এক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে চলেছে। শনিবার বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ঢেলে সাজানো হচ্ছে অযোধ্যা শহরকে। আগামী কয়েকবছরের মধ্যে অযোধ্যায় ফাইভ স্টার হোটেলে পরিণত হবে।

    আবাস যোজনার বাড়ি পেলেন তৃণমূল নেতা, তোপ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    টাকি পুরসভা তরফ থেকে সরকারি সম্পত্তি নামমাত্র টাকায় লিজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনা নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, এখন পশ্চিমবঙ্গে নিলাম চলছে, সেল চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যকে বিক্রি করা হচ্ছে। যে যেভাবে পারছে লুটে নিচ্ছে। টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান মমতা ব্যানার্জির কথা মতো তাই করছে। সব জায়গায় তো চেয়ারম্যানরা তো চোর হচ্ছে। আবাস যোজনা ঘর পেয়েছেন রাজারহাট নিউটাউন শহর তৃণমূল সভাপতি। যা নিয়ে জোর আলোড়ন শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আবাসের ঘর পাওয়া তৃণমূল নেতাকে পুরস্কৃত করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী তো অনেক পুরস্কার চালু করেছেন। তাঁকে চোরশ্রী একটা পুরস্কার দেওয়া উচিত। বাংলার মানুষ দেখুক যে তৃণমূলের নেতারা কতটা ভিখারি, কতটা গরিব। তাঁরা পাকা বাড়িতে থেকেও প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার ঘর পাচ্ছে।

    নাম না করে অভিষেককে আক্রমণ করলেন সুকান্ত?

    ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম নিজের নিরাপত্তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আরাবুলের দাপটে এলাকার মানুষ কাঁপে। সে কি না নিজে ভয় পাচ্ছে। তবে, ভয় পাচ্ছেন মানে সময় খারাপ আসছে। ডায়মন্ড হারবারে স্বাস্থ্য দফতরে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা বিষয়ে সুকান্ত বলেন, এটা নতুন কিছু না। সেখানে তো দুর্নীতির মাস্টারমশায় (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) বসে আছে, তিনি সব শেখাচ্ছেন। এখন সব হাতে খড়ি হচ্ছে। এখন ভুয়ো নিয়োগপত্র দিচ্ছে। এরপর হয়তো গরু পাচারের ট্রেনিং হবে, কয়লা পাচারের ট্রেনিং হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share