Tag: West Bengal

West Bengal

  • Panihati: পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশের শ্লীলতাহানি! এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা

    Panihati: পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশের শ্লীলতাহানি! এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের পানিহাটি (Panihati) উৎসবে মহিলা পুলিশ কর্মীর শ্লীলতাহানির ঘটনা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। তারপরই নড়়েচড়ে বসে পুলিশ। মহিলা পুলিশ কর্মী শ্লীলতাহানির  ঘটনায় অবশেষে যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম দীপ মজুমদার। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Panihati)

    গত ২৩ শে ডিসেম্বর রাতে পানিহাটি (Panihati) উৎসবের ভিতরে এক মহিলা পুলিশ কর্মীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যে এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এমন হয় যে তৃণমূল নেতাদের বেলেল্লাপনা আটকাতে অন্য পুলিশ কর্মীদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। মেলার ভিতরে মহিলা পুলিশ কর্মীর সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই মহিলা পুলিশ কর্মী খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে, গত ২৩ তারিখে অভিযোগ দায়ের করা হলেও এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। ২৯ শে ডিসেম্বর ওই মহিলা পুলিশ কর্মীর অভিযোগ পত্র সঙ্গে নিয়ে রাজ্যে নারী সুরক্ষার হাল কী তা তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পোস্ট করার পরেই পুলিশ নড়েচড়ে বসে।

    তৃণমূল বিধায়কের দাবি ভিত্তিহীন, প্রমাণ করে দিল পুলিশ

    যদিও বিষয়টি জানাজানি হতেই পানিহাটি (Panihati) বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ শুক্রবার দাবি করেন, পানিহাটি উৎসবের মধ্যে কোনওরকম শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূলের কোনও কর্মী সমর্থক এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। পুলিশের একাংশ বিজেবি সঙ্গে যোগাসাজস করে এসব করছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মূলে জোর-চাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। বিধায়কের দাবি যে ভিত্তিহীন তা যুব তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হতে প্রমাণিত হয়ে গেল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, ২৩শে ডিসেম্বর মহিলা পুলিশ কর্মীর সঙ্গে শ্লীলতাহানি করা হয়। নিয়ম মেনে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে যেহেতু শাসক দলের নেতারা জড়িত, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করার সাহস দেখায়নি। আমাদের দলের রাজ্য সভাপতি বিষয়টি রাজ্যবাসীর সামনে আনতে পুলিশ নড়েচড়ে বসে। অবশেষে এই ঘটনা জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে যুব তৃণমূল নেতাকে। এ ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। আমাদের দাবি প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Motihari: অবাক কাণ্ড! বিহারে ব্রিজের নীচে আটকে গেল বিমান, তারপর কী হল জানেন?

    Motihari: অবাক কাণ্ড! বিহারে ব্রিজের নীচে আটকে গেল বিমান, তারপর কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশের যান নেমে এল রাজপথে! আস্ত ব্রিজের নীচে আটকে পড়ে একটি বিমান। শুক্রবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মতিহারি (Motihari) এলাকায়। এই ঘটনা দেখতে এলাকায় ব্যাপক ভিড় জমে যায়। অনেকে মোবাইলে সেই ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেন। যা মুহূর্তে ভাইরালও হয়ে যায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Motihari)

    স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ক্র্যাপ করা বিমানটি একটি ট্রেলার করে মুম্বই থেকে আসামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এমনিতেই দৈত্যাকার বিমানটিকে ট্রেলারে করে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় পথচলতি সকলের নজর কাড়ছিল সেই দৃশ্য। তবে, ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ট্রেলারটি মতিহারির (Motihari) পিপরাকোঠি এলাকায় আসতেই বিপত্তি বাধে। কারণ, রাস্তা দিয়ে চলাচলের পথে একটি ওভারব্রিজ রয়েছে। ট্রাক চালক মনে করেছিলেন, বিমানটি নিয়ে ব্রিজের নীচে দিয়ে সহজেই চলে যেতে পারবেন, সেই মতো তিনি ব্রিজের নীচে দিয়ে ট্রেলারটি বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, কিছুটা যাওয়ার পর নিজের ভুল বুঝতে পারেন চালক। কিন্তু, ততক্ষণে ব্রিজের নীচে আটকে যায় বিমানটি। আর এই ঘটনার জেরে ব্যস্ত রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে রীতিমতো নাকাল হতে হয়। যদিও পরে, ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় ট্রেলার সহ বিমানটিকে ব্রিজের নীচে থেকে বের করা সম্ভব হয়। পরে, নিরাপদে গন্তব্যে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। এর আগে, ২০২২ সালের নভেম্বরে মাস নাগাদ অন্ধ্র প্রদেশে একই ঘটনা ঘটেছিল। একটি বিমান অন্ধ্র প্রদেশের বাপটলা জেলার একটি রাস্তার আন্ডারপাসে আটকে গিয়েছিল। এই ঘটনার  জের মিটতে না মিটতে ফের বিহারে এই ঘটনা ঘটল।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাস্তার মধ্যে এভাবে বিমান দেখতে পাব তা আশা করিনি। রাস্তায় ব্যাপক যানজট দেখে ব্রিজের নীচে প্রথমে বিমান ভেঙে প়়ড়েছিল ভেবেছিলাম। কিন্তু, কিছুক্ষণ পর ভ্রম কাটে। পুলিশের তৎপরতায় বড় কোনও বিপদ হয়নি জেনে ভাল লাগছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Tiger: নেওড়াভ্যালির পর বক্সা জঙ্গল! ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়লেন বাঘমামা

    Bengal Tiger: নেওড়াভ্যালির পর বক্সা জঙ্গল! ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়লেন বাঘমামা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেওড়াভ্যালির পর এবার বক্সা জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ল ডোরাকাটার ছবি। দীর্ঘ ২৩ বছর পর ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর বক্সা জঙ্গলে বাঘের ছবি ধরা পড়েছিল। ২০২১ সালের পর ফের বক্সাতে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের (Bengal Tiger) ছবি ধরা পড়ল। বক্সা বাঘ বনের পশ্চিম বিভাগের পানা রেঞ্জের জঙ্গলে বন দফতরের গোপন ক্যামেরায় ডোরাকাটার ছবি ধরা পড়েছে। এই ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে হইচই শুরু হয়েছে। ছবিতে মুখ ফিরিয়ে থাকা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবিটি একটি পুরুষ বাঘের ছবি বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে বন দফতর।

    বন বিভাগের আধিকারিক কী বললেন? (Bengal Tiger)

    বন্যপ্রাণ বিভাগের রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল দেবল রায় বলেন, ‘বক্সাতে কয়েক দফায় এক হাজারের বেশি হরিণ ছাড়া হয়েছে। বনের ভেতরে বাঘ থাকার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির জন্য নানান কাজ হচ্ছে। দুটো বন বস্তিকে বাইরে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। তার ফল পেয়েছি আমরা। বর্তমানে ছবিতে ধরা পড়া বাঘকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ট্র্যাক করার কাজ হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পুরুষ রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলে আমাদের মনে হচ্ছে।’ তবে, এই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Bengal Tiger) যে বাইরের বনাঞ্চল থেকে বক্সাতে এসেছে তা নিশ্চিত। তবে ২০২১ সালে বাঘের যে ছবি ক্যামেরা বন্দি হয়েছিল এবারের ক্যামেরা বন্দি হওয়া বাঘ সেটি নয় বলে জানাচ্ছেন বনকর্তারা। প্রত্যেকটি বাঘের শরীরের ডোরাকাটা দাগ আলাদা হয়। নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ছবি পর্যবেক্ষণ করে সেই ভিন্নতা ধরা যায় বলে জানিয়েছেন বন কর্তারা।

    দুবছরের মধ্যে ফের দেখা মিলল বাঘের!

    জানা গিয়েছে ,১৯৮২ সালে বক্সা টাইগার (Bengal Tiger) রিজার্ভ ফরেস্ট দেশের ১৫ তম ব্যাঘ্র প্রকল্পের মর্যাদা পায়। ৭৬০ বর্গ কিলোমিটার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চলের ৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বাকি ৩৬০ বর্গকিলোমিটার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বাফার এলাকা। আটের দশকেও এই বনাঞ্চলে বাঘেদের সক্রিয় উপস্থিতির নজির পাওয়া গিয়েছিল। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চল লাগোয়া বিভিন্ন বন বস্তির প্রবীণ নাগরিকরা অনেকে সেই সময় বাঘেদের গর্জনের আওয়াজ পেয়েছিলেন। কিন্তু, আটের দশকের পর থেকে এই বনাঞ্চলে বাঘেদের অস্তিত্বের তেমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি। বিভিন্ন সময় বাঘের পায়ের ছাপ, মল ও আচরের প্রমাণ মিললেও সরাসরি ক্যামেরায় ছবি ধরা পড়ে নি। অবশেষে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর বাঘ থাকার একেবারে হাতে গরম ক্যামেরার ছবি পাওয়া যায়। তার দুই বছরের মাথায় ২৮ ডিসেম্বর ফের এই বনাঞ্চলে বাঘের ছবি ক্যামেরা বন্দি হওয়ায় খুশি বনকর্তা থেকে পর্যটক সকলেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বিজেপি বঙ্গবাসীকে দেবে আয়ুষ্মান ভারত’, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘বিজেপি বঙ্গবাসীকে দেবে আয়ুষ্মান ভারত’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প চালু হলেও বাংলায় তা চালু করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বহু বিতর্ক হয়েছে। এবার বিরোধী  দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করলেন, ‘বিজেপি বাংলাকে দেবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা।’ শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা করেছেন শুভেন্দু।

    ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প নিয়ে কী বললেন শুভেন্দ? (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘গরম পড়লেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো লন্ডন চলে যান। কোথা থেকে টাকা আসে? ভাইপো বিদেশ গিয়ে চোখের চিকিৎসা করান। সরকারি হাসপাতালে যান না। এই পরিবার সারা বাংলাকে শোষণ করেছে। আমাদের কোনও কিছু হলে ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতালে যেতে হয়। বিজেপিকে ভোট দিন, বাংলায় আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা নিন।’ একমাত্র বিজেপি ক্ষমতায় আসলেই পশ্চিমবঙ্গেও চালু হবে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প। যার মাধ্যমে উপকৃত হবেন কয়েক কোটি দরিদ্র শ্রেণির মানুষ।

    রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে সরব শুভেন্দু

    শুক্রবার রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত মন্দারমণির দাদনপাত্রবার অঞ্চলে বিজেপির বুথভিত্তিক কর্মীসম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখানেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে তোপ দাগার পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি। এদিন ১০ হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতিতে শুভেন্দু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন সেমিফাইনাল (পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন) হচ্ছে। সব জায়গাতেই পদ্ম। ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে দিয়েছে। গ্রামীণ আবাস যোজনা থেকে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা, সব জায়গায় দুর্নীতি করেছে। রেশনেও দুর্নীতি করেছে। আসল চাল চুরি করে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে।’ দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে মানুষ আর ভোট দেবে না। কাঁথি লোকসভাতে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হবে।

    ফসল বিমা নিয়ে রাজ্যকে তোপ শুভেন্দুর

    সমুদ্র উপকূল এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের পর কেন্দ্র যে সাহায্য করে, তার সুবিধাও মেদিনীপুরের মানুষ পান না বলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমরা ঝড়ে বিপর্যস্ত হই। ধান জমি থেকে সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু, তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফসল বিমার সুবিধা আমরা পাই না। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে বাই বাই করতে হবে।’ এদিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সরব হন শুভেন্দু। সেইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, পুরসভা নির্বাচনে কাঁথি-সহ সর্বত্র ভোট লুট করা হয়েছিল। শুভেন্দু বলেন, ‘কাঁথিতে কোনও ওয়ার্ডে ভোট হয়নি। সমস্ত ভোট লুট করা হয়েছে। এখন কাঁথিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গুঁতোগুতি শুরু সি হয়েছে। কাঁথির পুরপ্রধানকে বলা হচ্ছে, পদত্যাগ করতে। কিন্তু, পুরপ্রধান বলছেন, পদত্যাগ করব না।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: লোকসভায় বিজেপির পাখির চোখ ৩৫টি আসন, স্পষ্ট করে দিলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: লোকসভায় বিজেপির পাখির চোখ ৩৫টি আসন, স্পষ্ট করে দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর মহকুমার সমস্ত থানা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের নামে পুলিশ মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। নানাভাবে বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ বিজেপির। এবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধে শুক্রবার আন্দোলনে নামল বিজেপি। এদিন বিকেলে বুনিয়াদপুরে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), কিষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার, বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা।

    পুলিশকে তুলোধনা সুকান্ত-র (Sukanta Majumdar)

    এদিন বিকেলে বুনিয়াদপুর শহরের ফুটবল ময়দান থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। যা গোটা শহর পরিক্রমার পর এসডিপিও অফিসে যায়। সেখানে বিজেপি কর্মীর-সমর্থকরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। পরে, কয়েকজনের প্রতিনিধি দল এসডিপিওকে ডেপুটেশন দেন। এদিন এসডিপিও অফিসের পাশেই সভামঞ্চ করা হয়। সেখানেই জেলার পুলিশকে এক হাতে নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এসডিপিও অফিসের অধীনে যে সব থানা আছে, সেইসব থানার পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হিসেবে কাজ করছে। তৃণমূলের নেতারা কোথায় ওঠাবসা করছেন তা আমাদের জানা রয়েছে। পুলিশ তৃণমূল নেতাদের কথা শুনে আমাদের কর্মীদের মিথ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে। পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের ঘর বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। এমনকী মহিলাদের শ্লীলতাহানি করছে এই পুলিশ। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ। কারণ, পুলিশের ভয় দেখিয়ে তৃণমূল যদি মনে করে আমাদের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেবে তা কখনও সম্ভব নয়। দলদাসের মতো পুলিশের এই আচরণ বন্ধ করতে হবে।

    লোকসভায় পাখির চোখ ৩৫টি আসন, বললেন সুকান্ত

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসভায় ৩৫টি আসন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন, সেটা নিয়ে আমরা এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। তাই, রাজ্যে তৃণমূল একা লড়বে, না কংগ্রেস বা সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল লড়াই করবে, তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথা ব্যাথা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বেহাল রাস্তা সারানোর দাবি তুলতেই তৃণমূলের রোষানলে, হামলা বিজেপি নেতার বাড়িতে

    Nadia: বেহাল রাস্তা সারানোর দাবি তুলতেই তৃণমূলের রোষানলে, হামলা বিজেপি নেতার বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানার রামনগর পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রানাঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    সূত্রের খবর, নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানার রামনগর এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই একটি রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে। সেই রাস্তা তৈরির দাবি নিয়ে এলাকাবাসীর সই সংগ্রহ করছিলেন এলাকার প্রাক্তন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য সহ অন্যান্যরা। সেই সময়ই এলাকার বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী তৃণমূল নেতা দেবাশিস দাস ওই বিজেপি নেতাকে প্রথমে ফোনে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে দলবল নিয়ে ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালান। হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি নিয়ে এদিন রানাঘাটে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিজেপির এই পথ অবরোধ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। ঘটনার খবর পেয়ে পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে যায় রানাঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বাস পেয়ে অবরোধ ওঠে।

    আক্রান্ত বিজেপি নেতা কী বললেন?

    বিজেপি নেতা অসীম দেবনাথ বলেন,পঞ্চায়েত সদস্য থাকার সময় একটি রাস্তা করতে পারেনি। সেই রাস্তার জন্য এলাকায় গণ স্বাক্ষর করছিলাম। তার জন্য তৃণমূলের লোকজন আমার বাড়িতে চড়াও হয়। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। আমি চরম আতঙ্কিত বোধ করছি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও বিজেপির তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যা সবিতা দাস এবং তাঁর স্বামী দেবাশিস দাস। তৃণমূল নেতা দেবাশিসবাবু বলেন, রাস্তাটি সংস্কার করার বিষয়ে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। সেটা জেনে মানুষের সই সংগ্রহ করে নিজের কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওই বিজেপি নেতা। দলীয় কর্মীরা আপত্তি করেছেন। তা নিয়ে বচসা হয়। কোনও হামলা করা হয়নি। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: কাজ করছে না তৃণমূল পঞ্চায়েত! ঘেরাও করে বিক্ষোভ আন্দোলনে বিজেপি

    Durgapur: কাজ করছে না তৃণমূল পঞ্চায়েত! ঘেরাও করে বিক্ষোভ আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় এক বছর আগে পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। কিন্ত, উন্নয়ন করার বিষয়ে কোনও উদ্যোগই চোখে পড়ছে না। এমনই অভিযোগ তুলে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এলাকায় উন্নয়ন করারও দাবি জানানো হয়।

    তৃণমূল বোর্ডের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? (Durgapur)

    দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার এই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এলাকার রাস্তাঘাট, নিকাশি, আলো সব কিছু দেখার কথা। কিন্তু, বাস্তবে সেই বিষয়ে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। তাই, দীর্ঘদিন ধরে বেহাল পানাগড়ের অফিসপাড়া থেকে মাধবমাঠ পর্যন্ত নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। পঞ্চায়েতের অধিকাংশ রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। পাশাপাশি পানাগড় বাজারসহ আশেপাশের এলাকার যে সমস্ত হাইমাস্ট আলো লাগানো হয়েছিল, সেই আলোও এখন ঠিকমতো জ্বলে না। ফলে, সন্ধ্যা হলেই এলাকা অন্ধকারে ডুবে থাকে। এলাকায় উন্নয়নের একগুচ্ছ দাবি নিয়ে শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরাও করে সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এদিন যোগ দেন বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি রমেন শর্মা, গলসি ৬ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস, কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা, বিজেপি নেতা পঙ্কজ জয়সওয়াল সহ অন্যান্যরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অবস্থান করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পরে, কাঁকসা থানার পুলিশ পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের উঠিয়ে দেয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    গলসি ছয় নম্বর মণ্ডলের সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার পর থেকে এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। একাধিক রাস্তাঘাট বেহাল, বেহাল হয়ে রয়েছে এলাকার একাধিক নিকাশি-নালা। পঞ্চায়েত বোর্ড নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার বিষয়ে নজর দিচ্ছে না।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    কাঁকসা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য বলেন, নিকাশি নালা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে করা সম্ভব নয়। এলাকার মানুষকে সচেতন হতে হবে। তবে, বাকি সব উন্নয়ন পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। ওরা রাজনীতি করার জন্য এসব করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে প্রণামের জের! সুবল মান্নাকে সরাতে অনাস্থার অস্ত্রে শান তৃণমূলের

    Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে প্রণামের জের! সুবল মান্নাকে সরাতে অনাস্থার অস্ত্রে শান তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) প্রণাম করার মাশুল এভাবে দিতে হবে, তা ভাবতে পারছেন না কাঁথি পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুবল মান্না। তাঁকে পদ থেকে সরাতে পুরসভার একটি বড় অংশের কাউন্সিলরদের নিয়ে ইতিমধ্যে বৈঠকও সেরে ফেলেছেন শাসকদলের নেতারা। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Sisir Adhikari)

    কয়েকদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) হাজির ছিলেন। সেখান সুবলবাবুও আমন্ত্রিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখিয়ে তিনি সকলের সামনে শিশিরবাবুকে প্রণাম করে রাজনৈতিক ‘গুরু’ করে সম্বোধন করেন। এটা সামনে আসতেই জোর বিতর্ক তৈরি হয়। দলের পক্ষ থেকে প্রথমে তাঁকে শো-কজ করা হয়। পরে, তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যেই দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকও করেছেন তিনি। কিন্তু, কোনও নির্দেশই নাকি টলাতে পারছে না সুবলবাবুকে। পদত্যাগ করা তো দূরের কথা, নিয়মিত অফিসে যাচ্ছেন এই তৃণমূল নেতা। তাই এবার কড়া পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। সুবলবাবুর স্পষ্ট বক্তব্য, আমি রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখিয়েছি। সেই বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে আমি বলেছি।

    অনাস্থার পথে দলীয় কাউন্সিলররা!

    কাঁথি পুরসভায় মোট কাউন্সিলরের সংখ্যা ২১। সুবল মান্নাকে নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর রয়েছেন ১৭ জন। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ পণ্ডা এক জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে ১৬ জন কাউন্সিলর হাজির ছিলেন। রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ শুরু হয় সেই বৈঠক, চলে রাত প্রায় ১১ টা পর্যন্ত। প্রত্যেকেই সুবলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে সম্মত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শীর্ষ নেতৃত্বের সবুজ সংকেত মিললেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে। ফলে, সুবলকে সরাতে দলের অন্দরে জোর তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বিজেপি করার মাশুল? ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ বৃদ্ধ নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতেও ব্যর্থ!

    Balurghat: বিজেপি করার মাশুল? ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ বৃদ্ধ নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতেও ব্যর্থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাতায় কলমে মারা গিয়েছেন। কিন্তু, তাঁরা দিব্যি চলে ফিরে বেড়াচ্ছেন। এমনই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্তীগ্রামে। এই এলাকার শম্ভুচন্দ্র দাস, মলিনা সরকাররা প্রশাসনের খাতায় মৃত। নিজেদের জীবিত করতে প্রশাসনের এই দরজা থেকে ওই দরজায় তাঁরা ঘুরছেন। তাঁদের আর্জি, ভোটার তালিকায় যেন আবার তাঁদের নাম তোলা হয়। কারণ, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ায় তাঁদের বন্ধ হয়ে গিয়েছে সরকারি সুযোগ-সুবিধা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

    বিজেপি করার জন্য ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ! (Balurghat)

    বৃদ্ধ শম্ভু চন্দ্র দাস পেশায় কৃষক। তাঁর বাড়ি বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্তীগ্রামে। বছর দেড়েক আগে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ভোটার তালিকা দেখে তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছেন। কারণ, তাঁর মৃত স্ত্রীর নাম ভোটার তালিকায় জ্বল জ্বল করলেও তাঁর নাম বাদ গিয়েছে। খাতায় কলমে তিনি মৃত। কেন, কীভাবে বাদ হয়ে গেলেন তা বোঝার আগেই চলে আসে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ওই নির্বাচনে তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। এরপর থেকে তিনি নিজের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে ও স্ত্রীর নাম বাদ দিতে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু, এখনও তিনি ভোটার তালিকায় তুলতে পারেননি। তিনি বলেন, বিজেপিকে সমর্থন করি বলে হয়তো আমার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মলিনা সরকার নামে আর এক মহিলা বলেন, আমাকে মৃত বলে আমার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর কারণ আমি কিছুটা বুঝতে পারছি। আমি বিজেপি করি বলে, শাসকদলের মদতেই আমার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই গণতন্ত্রের দেশে এভাবে ভূত হয়ে বেঁচে থাকতে হবে এ কেমন কথা? গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমি ভোট দিতে পারিনি। আগামী লোকসভা নির্বাচনেও পারব কি না জানিনা।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    বিজেপির স্থানীয়  মণ্ডল সভাপতি প্রবীর মণ্ডল বলেন, গ্রামে গ্রামে এমন মানুষের সংখ্যা প্রচুর। শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে নানা কায়দাতে এভাবে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এসব অন্যায় চলতে পারে না।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল নেতা বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার বলেন, বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। যদি ওই বাসিন্দাদের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়ে থাকে, তবে নিয়ম মেনে আবেদন করলেই নাম উঠে যাবে। নাম না উঠলে আমরা সাহায্য করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভাঙড়ে জোর করে জমি দখল! অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: ভাঙড়ে জোর করে জমি দখল! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর পূর্বক জমি দখল করে সেই জমিতে বিল্ডিং তৈরি করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এমনই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনারে (South 24 Parganas) ভাঙড়ের লেদার কমপ্লেক্স থানার হাতিশালা এলাকায়। আর শাসক দল হওয়ায় কেউ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)  

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়ের হাতিশালা দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা সমীর ঘোষ। তিনি বলেন, ১৯৫৪ সালে আমি জমি কিনেছিলাম। সেই জমি আমাদের দখলেই রয়েছে। কিন্তু, সেই জমি জোর করে দখল করে নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নেতা রশিদ মোল্লা, রিন্টু মোল্লা ও ছুন্নত মোল্লা সহ তাঁর  দলবল জোর করে জমি দখল করে সেই জমিতে বিল্ডিং তৈরি করার কাজ করছেন। জানা গিয়েছে, এই রশিদ মোল্লা হচ্ছেন ভাঙড় দু নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তুহিনা বিবির স্বামী। এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা তিনি। তাঁর নেতৃত্বের জোর করে জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। কাজ বন্ধ করার জন্য নিষেধ করলেও তা উপেক্ষা করে কাজ করছেন। এ বিষয়ে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য হাকিমূল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দল এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করে না।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, তৃণমূল নিজেদের ক্ষমতা দেখাচ্ছে। তৃণমূলের অত্যাচারে নিজের জমিও রাখতে পারছে না। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্যজুড়ে এসব চলছে। এই ধরনের ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে জমি হাঙরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share