Tag: West Bengal

West Bengal

  • Murshidabad: হাসপাতালে রক্তের আকাল! সক্রিয় দালালচক্র, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    Murshidabad: হাসপাতালে রক্তের আকাল! সক্রিয় দালালচক্র, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রমরমিয়ে চলছে রক্তের দালালচক্র। টাকার বিনিময়ে রোগীর  পরিবারের লোকজনকে রক্ত বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। হাসপাতালের কর্মীদের জ়ড়িয়ে থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে রক্তদাতা সংগঠনের সদস্যরা হাতেনাতে ধরে ফেলেন। যদিও দুজনই বহিরাগত। তবে, এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বছরে ৩০ হাজার ইউনিট রক্ত লাগে! (Murshidabad)

    মেডিক্যালের ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের তুলনায় রক্তের চাহিদা বেড়েছে। ২০১৪-১৫ সালে বছরে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৫-১৬ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হত। গত কয়েক বছরে প্রায় ৩০ হাজার ইউনিটের আশপাশে রক্তে লাগছে। মেডিক্যালে চিকিৎসা পরিষেবা বেড়েছে। রক্তের চাহিদাও বেড়েছে। চাহিদা অনুযায়ী রক্তের জোগান অনেকটাই কম। তাই, বরাবরই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে চাহিদার তুলনায় রক্ত সরবরাহ কম থাকে। আর উৎসবের মরসুম হলে রক্তদান শিবির কমে যায়। যার জেরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কেও রক্তের আকাল দেখা দেয়। সেই সুযোগটাই নেয় রক্তের দালালেরা। এ বারে শীত পড়তে উৎসবের মরসুম শুরু হয়েছে। যার জেরে রক্তের সঙ্কট বেড়েছে। আর এই সুযোগে টাকার বিনিময়ে দালালেরা সেখানে রক্ত বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

    মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ বলেন, চাহিদার তুলনায় রক্তের জোগান কম। এই পরিস্থিতিকে কখনও কখনও দালালেরা কাজে লাগায়। তবে আমরা নিয়মিত নজরদারি চালাই। বিনা পয়সায় মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করা হয়। রক্তের জন্য কোনও অর্থ দিতে হয় না, এ কথা হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় লেখা রয়েছে। কোনও পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামো না থাকলে আমরা রোগীদের বিষয়টা জানিয়ে দিই। সকলেই রক্তদানে এগিয়ে আসুন। সেই সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে কারও কাছ থেকে রক্ত নিতে যাবেন না। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত না থাকলে দাতা এনে রক্ত নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যকে হাঁসুয়ার কোপ! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Malda: শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যকে হাঁসুয়ার কোপ! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে তৃণমূলের এক  নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) মোথাবাড়ি থানার উত্তর পঞ্চানন্দপুর এলাকায়। আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্যের নাম রথীন সরকার এবং তাঁর বাবার নাম শ্যামল সরকার। এই ঘটনায় আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্য হামলাকারী তৃণমূল নেতা বাপি সরকার ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    আক্রান্তকারী পুলিশকে কী বললেন? (Malda)

    আক্রান্ত তৃণমূল নেতার বাড়ি মালদার (Malda) মোথাবাড়ি থানার উত্তর পঞ্চানন্দপুর এলাকায়। পুলিশকে অভিযোগকারী আক্রান্ত তৃণমূল নেতা রথীন সরকার বলেন, ‘এলাকায় দলীয় একটি কর্মসূচির জন্য ফ্ল্যাগ ও ফেস্টুন টাঙানোর কাজ চলছিল। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আমিও সেখানে ছিলাম। সেই সময় তৃণমূল নেতা বাপি সরকার তাঁর দলবল নিয়ে এসে গোলমাল শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে হাঁসুয়া দিয়ে আমার ওপর হামলা চালান। মাথায় কোপ মারতে গেলে হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করি। আমার বাবা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ছুটে আসে। ওরা বাবাকেও মারধর করে। তারপর আমার চিৎকার শুনে স্থানীয় তৃণমূলের কার্যালয় থেকে কর্মীরা ছুটে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পুরো বিষয়টি নিয়ে হামলাকারী বাপি সরকার ও তাঁর ভাই টনি সরকার-সহ দলবলের বিরুদ্ধে মোথাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’

    হামলাকারী কী সাফাই দিলেন?

    এদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই তৃণমূল নেতা বাপি সরকার বলেন,’ঘটনাটি মিথ্যা। এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। বরং, রাস্তা ঘিরে ওরা কাজ করছিল। প্রতিবাদ করাতেই পাল্টা তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েতে সদস্যের দলবল আমার ওপর হামলা চালায়। মোথাবাড়ি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’

    জেলা নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূলের মালদা (Malda) জেলা সহ- সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘অন্যায়ভাবে দলের এক নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: সাইকো কিলার? হাওড়ায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন! ধৃতের বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Howrah: সাইকো কিলার? হাওড়ায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন! ধৃতের বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির কাছ থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় এক শিশুকন্যা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিথর দেহ উদ্ধার হয় তার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার একটি গ্রামে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ছয় বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম এরশাদ মালি। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। সেই তথ্য হাতে পেয়ে পুলিশ কর্তারা হতবাক হয়ে গিয়েছেন।

    ধর্ষণ করে শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুন! (Howrah)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ায় শিশুকন্যাটি বাড়ির সামনে খেলছিল। সেখান থেকেই রহস্যজনকভাবে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পরে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে, অন্য একটি বাড়ির পাঁচিলের ভিতরে মেয়েটির বস্তাবন্দি দেহ মেলে। তারপরেই ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। সিসি ক্যামেরায় এরশাদকে সাইকেলে করে ওই বস্তা নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। রবিবার রাতে অভিযুক্ত এরশাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সে কবুল করে, বাড়ির সামনে থেকে মেয়েটিকে ভুলিয়ে কিছুটা দূরে বস্তির একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তার পরে প্যান্ডেল বাঁধার কাপড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ ব্যাগে ভরে।

    ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কী পেল পুলিশ?

    ধর্ষণে অভিযুক্ত এরশাদের বাড়ি কলকাতার মেটিয়াবুরুজে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে বিদ্যুতের মিস্ত্রি হিসাবে একটি ঠিকা সংস্থার হয়ে হাওড়ার ওই গ্রামে কাজ করতে এসেছিল। এর পরেই তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানান, এর আগে ২০২০ সালেও এরশাদের বিরুদ্ধে কলকাতার একটি শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। বরাতজোরে শিশুটি রক্ষা পায়। এরশাদকে সেই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে সে জামিন পায়। এবারও সেই একই কায়দায় ধর্ষণ করে খুন। সাইকো কিলার কি না, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রেমের প্রস্তাবে না, কার্যালয়ে ডেকে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা

    Nadia: প্রেমের প্রস্তাবে না, কার্যালয়ে ডেকে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এক কলেজ ছাত্রী। এটাই তাঁর অপরাধ। এরপর  ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র নেতা যা করেছেন তা জানলে চমকে উঠবেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপ শহরে।  

    দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে শ্লীলতাহানি! (Nadia)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণী নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপের বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্রী। আর অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতার নাম শ্যামসুন্দর দাস। তিনি নবদ্বীপ শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি। কলেজের এক ছাত্রীকে এক যুবকের মাধ্যমে তিনি প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিন্তু, সেই কলেজ ছাত্রী তাঁর সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি। অভিযোগ, এরপর একদিন রাধাবাজারের দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রীকে ডেকে পাঠান। দলীয় কার্যালয়ে সকলে থাকবে মনে করে তরুণী সেখানে যান। অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ের দরজা বন্ধ করে শ্লীলতাহানি করা হয় তাঁর। কোনওমতে দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরেন তরুণী। পরিবারের লোকজনকে তিনি সমস্ত ঘটনা জানান। এরপর নবদ্বীপ থানায় যান। অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তৃণমূল ছাত্র নেতা হওয়ায় পুলিশ তাঁকে ধরতে পারেনি। ফলে, এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাদের বক্তব্য, শাসক দলের নেতা বলে অপরাধ করলে সাত খুন মাফ। এই ধরনের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দরকার। নাহলে রাস্তাঘাটে মহিলাদের সুরক্ষা বলে কিছু থাকবে না।

    নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    নির্যাতিতার বক্তব্য, ওই ছাত্র নেতা আমাকে মাঝে মধ্যে উত্যক্ত করত। বহুবার আপত্তি জানালেও ও তা মানেনি। অবশেষে আমাকে কার্যালয়ের মধ্যে এরকম করবে তা ভাবতে পারিনি। নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, কলেজে যেতে মেয়ে আতঙ্কিত বোধ করছে। দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ওই ছাত্র নেতা যা করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। আমরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পুলিশ ওই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: বারাকপুর, রানাঘাটের পর মালদা! ফের টার্গেট সোনার দোকান, ৫ মিনিটে সর্বস্ব লুট

    Dacoits: বারাকপুর, রানাঘাটের পর মালদা! ফের টার্গেট সোনার দোকান, ৫ মিনিটে সর্বস্ব লুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর, রানাঘাট, খড়্গপুরে ডাকাতির (Dacoits) পর আবারও টার্গেট সেই সোনার দোকান। এবার দুষ্কৃতীরা হানা দিল মালদার চাঁচলে। সোনার দোকানে ঢুকে পাঁচ মিনিট ৩ সেকেন্ডের মধ্যে সব কিছু লুট করে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নানা জায়গায় ডাকাতদলের খোঁজ শুরু হয়েছে। তবে, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তাদের কোনও সন্ধান মেলেনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dacoits)

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালদার চাঁচলে সোনার গয়নার দোকানের সামনে দুটি বাইক এসে দাঁড়ায়। প্রত্যেকের মাথায় হয় হেলমেট নয়তো হনুমান টুপি ছিল। প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে দোকানে হুড়মুড়িয়ে ঢোকে। সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছে, সময় তখন সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪৭ মিনিট। পাঁচ ডাকাত দোকানের ভিতরেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ক্যাশ মেমো ছুড়ে ফেলছে। কখনও গয়নার বাক্স, কখনও হাতে থাকা বন্দুকের বাঁট দিয়ে দোকানের কর্মচারীদের মারধর করছে। কেউ সামান্য বাধা দিলেই চলছে মার। তার মধ্যে এক ডাকাতকে দেখা যায় গয়নার শো-কেসে হামাগুড়ি দিয়ে উঠে যেতে। একের পর এক গয়নার বাক্স পেড়ে আনে সে। আর এক জন সেগুলো ঝটপট বাজারের ব্যাগে ঢোকাতে শুরু করে। স্থানীয় লাল্টু মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যবসায়ী বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা গুলিও ছোড়ে। পরে, আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতদল (Dacoits)। ইতিমধ্যে সিসিটিভি দেখে ডাকাতদলকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তবে তাঁদের মুখ হেলমেট আর হনুমান টুপিতে ঢাকা থাকায় অসুবিধায় পড়েছেন তদন্তকারীরা।

    স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কী বললেন?

    রাজ্য জুড়ে বার বার ডাকাতির (Dacoits) ঘটনা ঘটলেও পুলিশ তাতে লাগাম টানতে পারছে না। আর পুলিশের উদাসীনতার জন্যই বার বার ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। সোনার দোকানের কাছেই থানা। তারপরই ডাকাতদল আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে যেভাবে সোনার দোকানে লুট করে পালাল, তাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এমন ডাকাতির ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, পুলিশের কড়া নজরদারি থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: সক্রিয় জালিয়াতি চক্র! মৃত ব্যক্তির সই জাল করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে জমি

    North 24 Parganas: সক্রিয় জালিয়াতি চক্র! মৃত ব্যক্তির সই জাল করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে জমি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হিঙ্গলগঞ্জে জমি জালিয়াতির চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মৃত ব্যক্তির সই জাল করে জমি হাতানোর ঘটনাও ঘটেছে। তদন্তে নেমে জালিয়াতির এই তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়ে চক্ষুচড়ক গাছ হয়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের।

    ঠিক কী ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে বঙ্কিম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হিঙ্গলগঞ্জ থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, প্রতিবেশী হরিপদ মিস্ত্রি ও তাঁর স্ত্রী বুলারানির নামে মালেকান ঘুমটিতে বঙ্কিমের ৩৪ শতক জমির দলিল তৈরি করা হয়েছে। সেই জমি তাঁর প্রয়াত বাবা মহাদেব মণ্ডলের সই নকল করে জমির দলিল তৈরি করেছেন হরিপদ। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, গৌর মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি হরিপদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চক্রান্ত করে বঙ্কিমের জমির দলিল বুলারানির নামে করার ব্যবস্থা করেন। আর এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে আসে। জানা যায়, ২০০৭ সালে মৃত ব্যক্তির সই ২০২২ সালে নকল করে ৩৪ শতক জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই চক্রের চারজনকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম গৌর মণ্ডল, হরিপদ মিস্ত্রি, বুলারানি মিস্ত্রি, ও রেণুকা মণ্ডল। মৃত মহাদেব মণ্ডল হিসাবে সাজানো হয় হরিপদকে। মহাদেব মণ্ডলের সই নকল করে হরিপদ ২০২২ সালে হাসনাবাদ রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে জমি লিখে দেন বুলারানির নামে। গ্রেফতার করা হয় হাসনাবাদ রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক রেণুকা মণ্ডলকেও। তদন্তকারীদের দাবি, কারচুপির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন রেণুকা। কারচুপিতে রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    হাসনাবাদ রেজিস্ট্রি অফিসের এডিএসআর সঞ্জিতকুমার ঘোষ বলেন, এই ধরনের কারচুপির ঘটনা নির্দিষ্ট ভাবে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কয়েকটি গ্রামের জমি নিয়েই হচ্ছে। এর আগেও কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তা নিয়ে মামলা চলছে। হিঙ্গলগঞ্জের এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের অফিসের কর্মীদের কোনও যোগ আছে বলে জানা নেই। আমরা যতটা সম্ভব তথ্য যাচাই করি। দলিল লেখকদেরও বার বার সতর্ক করা হয়। আবারও সতর্ক করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ছয় বছরে রকেট গতিতে উত্থান ইঞ্জিনিয়ারের! সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    ED: ছয় বছরে রকেট গতিতে উত্থান ইঞ্জিনিয়ারের! সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রথম থেকেই নজরে ছিল কামারহাটি পুরসভা। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম মাথা অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরেই এই পুরসভায় শতাধিক কর্মী নিয়োগ হন। তারমধ্যে অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীও রয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একাধিকবার ইডি (ED) হানা দিয়েছে কামারহাটি পুরসভায়। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নজরে ছিলেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্ত। সম্প্রতি তাঁর বাগুইআটির বাড়িতে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মেলে। ইডি-র পক্ষ থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির রিপোর্ট পেশ করা হয়। মাত্র ৬ বছর আগে চাকরি পাওয়া এই ইঞ্জিনিয়ারের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের।

    কে এই তমাল দত্ত?

    জানা গিয়েছে, তমাল দত্তের স্ত্রী এক সময়ের রাজারহাট পুরসভার সিপিএমের কাউন্সিলার ছিলেন। তৃণমূলের এক দাপুটে নেতার হাত ধরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বাগুইআটিতে তাঁর বাড়ি রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি পেয়েছিলেন তমাল। তারপর থেকেই রকেটের গতিতে তাঁর উত্থান। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি কামারহাটি পুরসভা এলাকার নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠেন। পুরসভা এলাকায় প্রোমোটারির রাশও তাঁর হাতে ছিল। অভিযোগ, পুরসভায় নিয়োগে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। চাকরি পাওয়ার মাত্র ৬ বছরের মধ্যে বিপুল সম্পত্তির পরিমাণ দেখে চক্ষুচড়কগাছ ইডি-র।

    কত সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে? (ED)

    ইতিপূর্বে তমাল দত্তের বাগুইআটির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি (ED)। এমনকী, সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এবার সেই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার হল। সূত্রের খবর, তল্লাশিতে তাঁর বাড়ি থেকে ১৪ লক্ষ টাকা নগদ ও ১ কোটি ৬৩ লক্ষ মূল্যের হিরে ও সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে। এমনকী, সম্পত্তির ১৩০০ পৃষ্ঠার নথিও মিলেছে। জানা গিয়েছে, ইডি-র পক্ষ থেকে এই তথ্য দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। এত অল্প সময়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কী করে করলেন তা জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: দোকানে হামলা, ভাঙচুর, তৃণমূল নেতা-ঘনিষ্ঠ ডাম্পারের তোলাবাজিতে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা

    Khardah: দোকানে হামলা, ভাঙচুর, তৃণমূল নেতা-ঘনিষ্ঠ ডাম্পারের তোলাবাজিতে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোলার টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। এমনকী দোকানে ভাঙচুরও করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে খড়দা (Khardah) থানার কল্যাণনগর এলাকায়। আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে খড়দার রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীসহ দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর নাম ডাম্পার। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোপাল সাহার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। গোপালবাবু খড়দা (Khardah) শহর তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। গোপালের ছায়াসঙ্গী হচ্ছেন তোলাবাজিতে অভিযুক্ত ডাম্পার। তাঁর মাথায় তৃণমূল নেতার হাত থাকায় এলাকায় রমরমিয়ে তোলাবাজি করেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, খড়দার কল্যাণনগর এলাকায় রাস্তার উপরে দীপু সাহার দোকান রয়েছে। রবিবার রাতে তৃণমূল কর্মী ডাম্পার দলবল নিয়ে এসে ওই ব্যবসায়ীর দোকানে চড়াও হন। প্রথমে তিনি প্রায় পাঁচ হাজার টাকা তোলা চান বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ী তোলার সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায়, তাঁর দোকানের ভিতরে ঢুকে মারধর করা হয়। দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। ব্যবসায়ী দীপু সাহা বলেন, দাদা আর আমি দোকানে ছিলাম। ওরা এসে প্রথমে টাকা দাবি করে। অতগুলো টাকা একসঙ্গে দিতে রাজি ছিলাম না। এরপরই আমার উপর চড়াও হয়। আমার দাদাকে দোকানের মধ্যে ঢুকে মারধর করে। আমার জামা ছিড়ে দেয়। দোকানের আসবাবপত্র নষ্ট করে। আমার দাদাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। এই ঘটনা পর আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছে। আমাদের দাবি যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যেন পুলিশ প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এই ধরনের ঘটনা চলতে থাকলে, আমরা ব্যবসা চালাতে পারব না। পুলিশ প্রশাসনের অবশ্যই দেখা দরকার।

    পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কী বললেন?

    খড়দা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সায়ন মজুমদার বলেন, গোপাল একসময় সিপিএমের কর্মী ছিলেন। এখন আমাদের দলে ঢুকেছেন। এলাকায় অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে তিনি যুক্ত। তার জন্য এলাকা অশান্ত রয়েছে। এই ঘটনার জন্য দলের মুখ পুড়ছে। এই ঘটনার পর দলের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে! হলুদ ফাইল নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    Barrackpore: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে! হলুদ ফাইল নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অর্জুন সিংকে এবার প্রার্থী করা হবে, না তাঁর জায়গায় নতুন কাউকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে নিয়ে দলের অন্দরে জোর জল্পনা চলছে। এরই মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন অর্জুনের বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্জুনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি।

    হলুদ ফাইল নিয়ে কী বললেন সোমনাথ? (Barrackpore)

    বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলের ভাটপা়ড়ায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় অর্জুন সিংয়ের ভাইপো গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। বিধায়ক এবং সাংসদ একে পরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দাগেন। এমনকী মধ্যমগ্রামে জেলা পার্টি অফিসের বৈঠকে সোমনাথ হাজির হতেই মিটিঁং ছেড়ে চলে যান অর্জুন। এবার সেই অর্জুনের উদ্দেশে সোমনাথ বলেন, ‘আমার কাছে একটা হলুদ ফাইল আছে, সেটা আমি খুলব। তাতে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া-সহ নানা দুর্নীতির তথ্য আছে। সেই ফাইল খুললে পালাবার পথ পাবেন না অর্জুন সিংহ। সাদ্দাম হুসেনের মতো লুকনোর জায়গা পাবেন না।’ সাংসদের উদ্দেশে বিধায়কের আরও প্রশ্ন, ‘আপনার থেকে বড় চোর কে আছে? চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা, পরীক্ষার্থীদের টাকা, ভাটপাড়া পুরসভাকে দেউলিয়া করেছেন আপনি। কত মানুষের গ্র্যাচুইটির টাকা চলে গেল আপনার পেটে! এত টাকার হিসাব দিতে হবে। জবাব দিতে হলে পদত্যাগ করে আসুন, আমিও আসব। সামনাসামনি কথা হবে। তখন দৌড় করাব আমি।’

    কী বললেন অর্জুন?

    এমনিতেই সোমনাথের আচরণে বেজায় চটেছেন অর্জুন। দুদিন আগে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, জেলা নেতৃত্ব এই বিষয়টি সামাল দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। তাই, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলব। আর এবার সোমনাথের হলুদ ফাইল প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, একজন লোহা চোর কী বলছে, তার জবাব আমি দেব না। দলের উচ্চ নেতৃত্ব দেখছেন বিষয়টি। যা বলার, তাঁরাই বলবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: দলীয় কর্মীকেই ধান তুলতে বাধা! তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ফতোয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    Paschim Medinipur: দলীয় কর্মীকেই ধান তুলতে বাধা! তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ফতোয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঠেই পড়ে রয়েছে পাঁচ বিঘা জমির ধান। সেই ধান কাটা যাবে না তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির অনুমতি ছাড়া! এবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি  ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur)  শালবনি ব্লকের শালবনি ৩ নম্বর অঞ্চলের সিদাডিহি গ্রামে। তৃণমূল কর্মীকে তৃণমূল নেতারই ফতোয়া দেওয়ার ঘটনায় দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি (Paschim Medinipur) 

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) সিদাডিহি গ্রামে বাড়ি কৃষক তথা তৃণমূলের আদি কর্মী চিরঞ্জীব খানের। তিনি বলেন, প্রায় এক মাস বিঘা পাঁচেক জমির ধান কাটতেই দিচ্ছেন না দলেরই নেতা তথা অঞ্চল সভাপতি অসিত ঘোষ। ধান কাটার জন্য আগে অনুমতি নিতে হবে, তবেই ঘরে উঠবে ধান। ফলে মাঠের ধান পেকে গেলেও তা মাঠেই পড়ে রয়েছে। বারবার আমি ধান কাটার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেই হুমকি দিচ্ছেন অঞ্চল সভাপতি। জেলা নেতৃত্ব থেকে পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। ব্লক নেতৃত্ব নেপাল সিংহ সরাসরি ঘটনা স্বীকার না করলেও তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি সঠিক কী ঘটেছে জানা নেই, তবে আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরেই উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। শুনেছি তিনি কিছু ধান বাড়িতে তুলেছেন। বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।’ অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অসিত ঘোষ বলেন, এই ধরনের ফতোয়া কাউকে দেওয়া হয়নি। তিনি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। আমি চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখুক।

    জেলা তৃণমূলের সভাপতি কী বললেন?

    পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে তিনি জেলা কার্যালয়ে এসে অভিযোগ জানান। আমাদের দল বা আমাদের নেত্রী এমন দলবিরোধী কাজে বিশ্বাসী নয়। তিনি যে দলেরই কর্মী হোন না কেন অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না। ওই ব্যক্তি তাঁর চাষের ধান যাতে বাড়িতে তুলতে পারেন আমরা তাঁর ব্যবস্থা করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share