Tag: West Bengal

West Bengal

  • CBI: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পিছনে দুটি ব্যাগ পেল সিবিআই, কী রয়েছে তাতে?

    CBI: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পিছনে দুটি ব্যাগ পেল সিবিআই, কী রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালানোর সময় পিছনের পুকুরে দুটি মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন স্বয়ং বিধায়ক। মেশিন লাগিয়ে পুকুরের জল মেরে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই (CBI)। এর সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী। সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই আবার সেই মুর্শিদাবাদ জেলায় হানা দিল সিবিআই। এবার প্রাইমারি স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। এবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে মিলল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

    বাড়়ির পিছনে মিলল নথি বোঝাই দুটি ব্যাগ! (CBI)

    ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ির পিছনে মিলল নথিবোঝাই দু’টি ব্যাগ। কী রয়েছে নথিতে, এখন তা-ই পরীক্ষা করে দেখছেন সিবিআইয়ের (CBI) তিন তদন্তকারী আধিকারিক। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে প্রথমে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিধায়কের বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। সিবিআইয়ের চারজন আধিকারিক বাড়ির ভিতরে ঢুকে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের বয়ান রেকর্ডও করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, সিবিআইয়ের তিন আধিকারিক বিধায়কের বাড়ির গ্যারাজের পিছন দিকে যাচ্ছেন। সেখানে দু’টি ব্যাগ উদ্ধার করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, ব্যাগে ভরা রয়েছে নথি। ওই নথি কিসের, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সে জন্য প্রতিটি নথি আলাদা আলাদা করে খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের অন্তত চার জায়গায় সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। কেন, কোন মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির সাতসকালে অভিযান, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    বড়ঞায় সিবিআই হানা নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী?

    স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ কেন্দ্রীয় এজেন্সির একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যায় বড়ঞার কুলিতে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ী সুজল আনসারি ওরফে ঝন্টু শেখের বাড়িতে। সূত্রের খবর, ঝন্টু নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। এ ছাড়াও তাপস মণ্ডল, জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও ঝন্টুর যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর। স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় ভিড় করেন। গাফ্ফর সেখ বলেন, ঝন্টু খুব খারাপ ছেলে। অনেক স্কুল করেছে। সিবিআই (CBI) হানা দেখতে এসেছি। আমরা চোরেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই, হানা কোচবিহারেও

    CBI: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই, হানা কোচবিহারেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর সিবিআই। কলকাতার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদ ও কোচবিহার জেলায় অভিযান চালাল সিবিআই (CBI)। ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে এদিন সিবিআই হানা দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা ছিল, এই বিধায়কের বাড়ি সিবিআই হানা দিতে পারে। পাশাপাশি বড়ঞাতেও ঝন্টু শেখের বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে।

    মানিক ঘনিষ্ঠ বিধায়ক (CBI)

    সিবিআইয়ের (CBI) চারজন আধিকারিক তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে রয়েছেন। বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আধিকারিকরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন। বেশ কিছু নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই বিধায়ক। তিনি ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিবিআই হানা দিতে পারে। প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় আগে জাফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।

    বড়ঞায় সিবিআই

    বৃহস্পতিবার সাত সকালে বড়ঞার কুলি চৌরাস্তার মোড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ ঝনটু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। সেখানেই তাঁর বাড়ি। তিনি একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক বলে জানা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে ঝন্টুর কী ভূমিকা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁর কাছে বেশি নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুন্তলের কাছে তথ্য পেয়ে তা যাচাই করতে কেন্দ্রীয় টিম এসেছে কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    কোচবিহারেও হানা দিল সিবিআই

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই (CBI) হানা দিল কোচবিহারে দু’নম্বর ব্লকের রাজারহাটের টেঙর মারির বিএলএডুকেশনের টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। সকাল সকাল সিবিআই এর ৪টি গাড়ি নিয়ে বিশাল টিম তদন্ত করতে কোচবিহারের রাজারহাটের টেংর মারির ওই বিএড কলেজে হানা দেয়। জানা যায়, এই কলেজের মালিক রয়েছেন শ্যামল কর। তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও এই কলেজের মালিক রয়েছেন সজল কর এবং শ্যামল কর সহ আরও দুই ভাই। পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর পরই শ্যামল গাঢাকা দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat: প্রধান-উপ প্রধানের বিরুদ্ধে সরব দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Gram Panchayat: প্রধান-উপ প্রধানের বিরুদ্ধে সরব দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত (Gram Panchayat) গঠন হয়েছে এক বছরও হয়নি। এরই মধ্যে দলের প্রধান, উপ প্রধানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি-১ ব্লকের মানকর পঞ্চায়েতে। আর প্রকাশ্যে প্রধান, উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Gram Panchayat)

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মানকর পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ১৯। গত পঞ্চায়েত (Gram Panchayat) নির্বাচনে ১৮টি আসন পেয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। প্রধান ও উপ প্রধান হন যথাক্রমে তৃণমূলের ডালিয়া লাহা ও তন্ময় ঘোষ। দলের কয়েকজন পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের অভিযোগ, বোর্ড গঠন হওয়ার পর থেকেই তাঁদের কোনও কথার গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। প্রধান ও উপ প্রধান নিজেদের মতো করে পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন। পরিষেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন তাঁরা। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বাপ্পাদিত্য রায়, কল্যাণী পাত্র রায়দের অভিযোগ, মানুষজনকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েতের সদস্য নিলু মালিক মণ্ডল, মাম রায়, মাম্পি মেটেদের বক্তব্য, পঞ্চায়েতের অনলাইন টেন্ডারের ক্ষেত্রেও স্বজনপোষণ করা হচ্ছে। নিজেদের পছন্দ মতো লোককে দরপত্র পাইয়ে দিতে অন্য ঠিকাদারদের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। ত্রিপল বিলিতেও রয়েছে নানা অনিয়ম। পঞ্চায়েত কার্যালয়ের পরিবর্তে উপ প্রধানের বাড়িতে রাখা হচ্ছে ত্রিপল। নিজের ইচ্ছে মতো মানুষকে সেই সব ত্রিপল বিলি করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। বিডিও-র কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে। গলসি-১ ব্লকের বিডিও জয়প্রকাশ মণ্ডল জানান, বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

    প্রধান-উপ প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) প্রধান ডালিয়া লাহা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে কয়েকজন সদস্য পঞ্চায়েতের কাজ ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। সব কাজ প্রত্যেক পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়। উপপ্রধান তন্ময় ঘোষও বলেন, দরপত্র নিয়ে কাউকে বাধা দেওয়া হয় না। যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও, একজন ঠিকাদার দরপত্র জমা দিয়েছিলেন। সেই কারণে ওই ঠিকাদারকে বাতিল করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: পরীক্ষায় ছাত্রদের মোবাইল জমা রাখা অপরাধ! স্কুলের অস্থায়ী কর্মীকে পিটিয়ে খুন

    North 24 Parganas: পরীক্ষায় ছাত্রদের মোবাইল জমা রাখা অপরাধ! স্কুলের অস্থায়ী কর্মীকে পিটিয়ে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের মধ্যেই অস্থায়ী কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল মাধ্যমিক পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ছোট জাগুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শিবু শী। তাঁর বয়স ৬১ বছর। স্কুলের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিস। ইতিমধ্যেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এই ঘটনায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ছোট জাগুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় দশম শ্রেণীর টেস্ট পরীক্ষা ছিল। আগেই স্কুল কর্তৃপক্ষ সব ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল নিয়ে আসতে বারণ করা দিয়েছিল। বিদ্যালয়ের পক্ষ এই নির্দেশ দেওয়ার পরেও পরীক্ষা দিতে অনেকেই মোবাইল নিয়ে আসে। পরীক্ষার আগে সেই মোবাইলগুলো আটকে রাখলেও পরীক্ষার পরে যারা অভিভাবক নিয়ে এসেছে তাদেরকে মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অভিভাবকদের এই বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। কিন্তু, কিছু ছাত্রের অভিভাবকরা আসেননি। ফলে, তাদের মোবাইল ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়নি। এই সব ছাত্ররা মোবাইল নিতে লাঠিসোটা নিয়ে স্কুলের মধ্যে হঠাৎ করে চড়াও হয়। প্রথম মোবাইল ফেরতের জন্য দাবি জানায়। অভিভাবকদের নিয়ে আসার কথা বলতেই অস্থায়ী কর্মী শিবু শী-এর উপরে তারা চড়াও হয়। কারণ, তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ওই ছাত্রদের জানিয়ে দিয়েছিলেন। এরপরই গুণধর ছাত্রধরের সমস্ত রাগ গিয়ে শিবুবাবুর উপর পড়ে। লাঠি, বাস নিয়ে অস্থায়ী কর্মীর উপর আক্রমণ করে, শুধু তাই নয়, পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ছোট জাগুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    অভিযুক্তদের ছাড়া হবে না, বললেন বারাসত পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী

    বারাসত পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী হালিমা বিবি বলেন, স্কুলের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশাসন তদন্ত করছে। যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: টাকা নিয়েছেন, চাকরি কই? দুর্গাপুর স্টেশনে তৃণমূল কর্মীকে জুতোপেটা মহিলার

    Durgapur: টাকা নিয়েছেন, চাকরি কই? দুর্গাপুর স্টেশনে তৃণমূল কর্মীকে জুতোপেটা মহিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চুরি থেকে শিক্ষা চুরি, সাম্প্রতিক সংযোজন আবার রেশন কেলেঙ্কারি। এইসব দুর্নীতির প্রতিবাদে ধর্মতলায় শাহি সভা ছিল বিজেপির। এই আবহে এদিন দুর্গাপুর (Durgapur) স্টেশনে এক প্রতারক তৃণমূল কর্মীকে জুতোপেটা করলেন প্রতারিত মহিলা। আর এই ঘটনার সাক্ষী রইলেন স্টেশনে আসা যাত্রীরা। ঘটনাস্থল দুর্গাপুর স্টেশনের চার নম্বর প্লাটফর্ম। আচমকা এত ভিড়ে সবাই ভিড় জমালো প্লাটফর্মে। তৃণমূল কর্মীর প্রতারণার  বিষয়টি সামনে আসে।

    কেন প্রকাশ্যে এই মারধর? (Durgapur)

    স্থানীয় ও জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত মহিলার বাড়ি রানিগঞ্জ এলাকায়। তিনি বিজেপি কর্মী। আর প্রতারক তৃণমূল কর্মীর নাম অবনী মণ্ডল। তার বাড়ি জামুরিয়া এলাকায়। ডাক বিভাগে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী ওই মহিলার কাছে প্রায় দু লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। বছর দুয়েক আগে সেই টাকা দিলেও আজও না পেয়েছেন চাকরি, না পেয়েছেন টাকা। প্রতারণা করেছেন তৃণমূল কর্মী। এই দু বছর ধরে অনেক বার ফোন করেছেন অভিযুক্ত এই ব্যক্তিকে। কিন্তু মহিলা বিজেপি কর্মীর ফোন দু একবার ধরলেও, অভিযুক্ত ব্যাক্তি এরপর ওই মহিলার ফোন নম্বর ব্লক লিস্টে ফেলে দেন। টাকা ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন মহিলা বিজেপি কর্মী। বুধবার ধর্মতলায় দলীয় জনসভায় স্পেশাল ট্রেন ধরার জন্য রানিগঞ্জ থেকে দুর্গাপুর (Durgapur) আসেন ওই মহিলা বিজেপি কর্মী। সঙ্গে  ছিলেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। আচমকা স্টেশনের মধ্যে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে দেখতে পান ওই মহিলা। গুটি গুটি পায়ে তার সামনে পৌঁছে টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন প্রতারিত মহিলা। কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়েন অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। এরপর পায়ের চটি খুলে প্রকাশ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর শুরু করে দেন মহিলা বিজেপি কর্মী। কেন ফোন ধরেননি এতদিন সেই প্রশ্ন তো ছিলই, সঙ্গে ছিল টাকা ফেরত আর চাকরি কোথায় এই সব প্রশ্ন। পরে, জিআরপি গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। প্রতারক তৃণমূল কর্মী অবনী মণ্ডল বলেন, টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    প্রতারিত মহিলা কী বললেন?

    প্রতারিত মহিলা বলেন, ওই তৃণমূল কর্মী বলেছিল, লকডাউনে অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে গিয়েছে। ১৮ হাজার বেতনের চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল। চাকরি দেওয়ার নাম করেই আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। এদিন দেখা হতেই সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি ঘিরে ধরতেই আমার সঙ্গে বচসা শুরু করে। তখনই বাধ্য হয়ে জুতোপেটা করি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: লোকসভা ভোটে নুসরাতকে চাইছেন না বসিরহাটের তৃণমূল কর্মীরা, পোস্টার ঘিরে হইচই

    Basirhat: লোকসভা ভোটে নুসরাতকে চাইছেন না বসিরহাটের তৃণমূল কর্মীরা, পোস্টার ঘিরে হইচই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় তৃণমূলের কে প্রার্থী হবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। এর মধ্যেই বসিরহাটে (Basirhat) অভিনেতা-অভিনেত্রীকে প্রার্থী করা চলবে না বলে পোস্টার পড়ল। তৃণমূলের একটা অংশের পক্ষ থেকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বাদুড়িয়া, হাড়োয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় এমনই পোস্টার লাগানো হয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে? (Basirhat)

    বসিরহাটের (Basirhat) হাড়োয়ার কুলটি, বাদুড়িয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট সাদা কাগজে পোস্টার দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই পোস্টারে পরিষ্কারভাবে লেখা রয়েছে, আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে কোনও বহিরাগত বা কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রীকে প্রার্থী করা চলবে না। এলাকার ভূমিপুত্র, কাছের মানুষ ও কাজের মানুষকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে হবে। একেবারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে এই পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারের নিচে ‘আমরা তৃণমূল কর্মীবৃন্দ’ বলে উল্লেখ রয়েছে।

    পোস্টার নিয়ে মুখ খুললেন হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ

    বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। তিনি সাংসদ হওয়ার পর এলাকায় তেমন কোনও উন্নয়ন হয়নি। সাংসদকে এলাকার সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, তৃণমূলের কর্মীরাও কাছে পাননি। তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে এলাকার কর্মীদের মনে, এমনটাই দাবি দলের। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে বড় কোনও সমাবেশ ছাড়া সাংসদকে এলাকায় দেখা যায়নি। কোনও সাংগঠনিক বৈঠকে তাঁকে ডেকে কাছে পাননি তৃণমূলের কর্মীরা। সাংসদ তহবিলে তেমন কোনও উন্নয়ন এলাকায় হয়নি। হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী কর্মাধ্যক্ষ বাহার আলি মোল্লা বলেন, ‘পোস্টারটা বড় কথা নয়। প্রতিটা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আমাদের কেন্দ্রের প্রার্থী এলাকার কর্মীদের কাউকে করা দরকার। বর্তমানে যিনি সাংসদ আছেন, তাঁকে আমরা কোনও অনুষ্ঠানে ডেকে সেভাবে কাছে পাই না। এমন কোনও ব্যক্তিকে প্রার্থী করা দরকার, তিনি আমাদের সাংগঠনিক বুদ্ধি দেবেন। তিনি আমাদের তৃণমূলের পরিবারের অভিভাবক হবেন। যাকে ডাকলে বা কোনও সমস্যায় পড়লে কাছে পাই।’

    পোস্টার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই প্রসঙ্গে মিনাখাঁ এরিয়া সিপিএম কমিটির সম্পাদক প্রদ্যুৎ রায় বলেন, ‘আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখেছি, যিনি যত টাকা উপরের নেতাদের দিতে পেরেছেন, তিনিই টিকিট পেয়েছেন। এক্ষেত্রেও তাই হবে। কোথায় কোন তৃণমূলের কর্মীরা পোস্টার মারলেন, তা তৃণমূলের উঁচু স্তরের নেতারা দেখেন না। তাঁরা শুধু দেখেন টাকা। ‘মিনাখাঁর বিজেপি নেতা জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, ‘এই চোরেদের দল নিয়ে আর কী বলব। যিনি প্রার্থী হবেন, তিনিই চুরি করবেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপি জেতায় যেখানে দরকার রাস্তা হল না, হল তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে!

    South 24 Parganas: বিজেপি জেতায় যেখানে দরকার রাস্তা হল না, হল তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাজনা মানিক দুয়ানি এলাক। দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই এলাকার মানুষ এদিন বিক্ষোভ দেখান।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ওই এলাকায় গত পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে হারিয়ে ১৭ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী অতসী পণ্ডিত এবং ১৮ নম্বর বুথে সিপিআইএম প্রার্থী গীতা বৈরাগী জয়ী হন। সেই কারণে ভোগান্তির শিকার হতে  হচ্ছে এই এলাকার মানুষদের। এই এলাকার জন্য দেড় হাজার ফুট রাস্তা তৈরির অনুমোদন হয়। লক্ষণ পণ্ডিতের ঘর থেকে নিমাই পণ্ডিতের ঘর ভায়া দুখিরাম হালদার রাস্তা তৈরির কথা ছিল। কিন্তু, এই দুটি এলাকায় বিরোধীরা জয়ী হয়েছে। তাই, এই রাস্তাটি বিরোধীদের এলাকায় না হয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীমা হালদারের বাড়ির সামনে তৈরি করা হয়েছে। আর দেড় হাজার ফুটের পরিবর্তে ৪০০ ফুট করা হয়েছে। সেখানে ফলক বসানো হয়েছে, যাতে লেখা রয়েছে, বর্তমান আর্থিক বর্ষে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৬২৯ টাকা খরচা করে লক্ষণ পণ্ডিতের ঘর হইতে নিমাই পণ্ডিতের ঘর ভায়া দুখিরাম হালদার রাস্তা নির্মিত হইল। যার ফান্ড নম্বর ১৫ এফসি/২২/২৩। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে লোকজন জানতে পেরে অবাক হয়ে যান। তাঁদের বক্তব্য, বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্য জয়ী হয়েছে বলে এলাকার রাস্তা তৈরি করা হয়নি। আর দেড় হাজার ফুটের জায়গায় ৪০০ ফুট রাস্তা হয়েছে। আমরা এই দুর্নীতির তদন্ত দাবি করছি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীমা হালদার বলেন, এই রাস্তাটি আগে অনুমোদন হয়েছিল। তাই, রাস্তাটি করা হচ্ছে। ভুলবশত ওই বোর্ড বসেছে। কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়নি। যা হয়েছে নিয়ম মেনে হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ই-শ্রমকার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ছক! কীভাবে ফাঁদ পাতা হত জানেন?

    Fraud: ই-শ্রমকার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ছক! কীভাবে ফাঁদ পাতা হত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম মন্ত্রকের ই-শ্রমকার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার (Fraud) ফাঁদ পাতা হয়েছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে দুষ্কৃতীরা বাঁকুড়া জেলার ছাতনা এলাকায় কাজ চালাচ্ছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে ছাতনা থানার পুলিশ ঝাঁটিপাহাড়ি এলাকার একটি বেসরকারি লজে হানা দিয়ে এই চক্রের মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে।

    যাবতীয় নথি হাতিয়ে নিচ্ছিল প্রতারকরা (Fraud)

    ছাতনা থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাতনার ঝাঁটিপাহাড়ির ব্যাঙ্ক মোড় সংলগ্ন একটি বেসরকারি লজ ভাড়া নিয়ে সেখানেই প্রতারণার (Fraud) ফাঁদ পেতেছিল চক্রটি। কেন্দ্রীয় সরকারের ই=শ্রম কার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে প্রতারকেরা আধারকার্ড, প্যানকার্ড, ভোটারকার্ড, এমনকী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় নথিপত্র জমা নিচ্ছিল। গত তিনদিন ধরে এখানে ঘাঁটি গেড়েছিল চক্রটি। স্থানীয় কয়েকজনের বিষয়টি সন্দেহজনক লাগে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর প্রতারকদের ধরতে উদ্যোগী হয় পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই লজে অভিযান চালায়। এই চক্রের জনা দশেক লোক তখন ঘুমোচ্ছিল। ঘুম থেকে উঠিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। তাদের কাছে ই-শ্রমকার্ড করার কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে পুলিশকে তারা তা দেখাতে পারেনি। এরপর তাদের কথাবার্তাতেও অসংলগ্নতা ধরা পড়ায় পুলিশ ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করে এবং ধৃতদের কাছ  থেকে ২ টি ল্যাপটপ, পাঁচটি রেজিস্টার খাতা এবং প্রচুর ফর্ম বাজেয়াপ্ত করেছে ছাতনা থানার পুলিশ। গত দুই থেকে তিন দিন ধরে তারা ওই এলাকায় এই কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। এর আগে জেলার আর কোথায় কোথায় এরা এমন কাজ চালিয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া এই চক্রের সঙ্গে আন্তরাজ্য কোনও চক্রের যোগ আছে কিনা তার খোঁজখবরও নিচ্ছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ই-শ্রমকার্ডের নামে যাবতীয় নথি নিয়ে এই চক্রটি আর্থিক প্রতারণা (Fraud) বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে জালিয়াতির কারবার চালাবার ফন্দি এঁটেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ ধৃত ১০ জনকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের কিংপিনকে ধরার চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Rally: শাহি সভায় হাজির হতে সকাল থেকেই কর্মীদের ভিড়ে উপচে পড়ল ট্রেন

    BJP Rally: শাহি সভায় হাজির হতে সকাল থেকেই কর্মীদের ভিড়ে উপচে পড়ল ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় শাহি সভায় (BJP Rally) যোগ দিতে মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গের নেতা-কর্মীরা ট্রেনে আসতে শুরু করেন। বুধবার সকাল থেকে হাওড়া, শিয়ালদা স্টেশনে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব ক্যাম্প করে দলীয় কর্মীদের সুষ্ঠুভাবে সভায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। পাশাপাশি এদিন সকাল থেকে বর্ধমান, আসানসোল, দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে কর্মীরা ট্রেনে করে সভায় হাজির হয়েছেন।

    আসানসোল, দুর্গাপুর থেকে সকালের ট্রেনেই কর্মীদের ভিড় (BJP Rally)

    এদিন সকালে আসানসোল স্টেশনে আসানসোলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কয়েকশো কর্মী-সমর্থক ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। আসানসোল শিল্পাঞ্চল ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল থেকে সকালের ট্রেনগুলিতে কয়েক হাজার কর্মী, সমর্থক কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, দলীয় কর্মীরা মিছিল করে স্টেশনে জমায়েত হন। ভোর থেকে কর্মীরা ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। বেলা যত গড়িয়েছে সভায় (BJP Rally) যাওয়ার জন্য ট্রেনে কর্মীদের ভিড় বেড়়েছে।

    বর্ধমানে তৃণমূলীদের বাধার মুখে বিজেপি কর্মীরা

    এদিন সকাল থেকেই বর্ধমান শহরে দলে দলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা সভার উদ্দেশে (BJP Rally) যেতে শুরু করেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ বর্ধমান শহর থেকে ট্রেন ও বাসে করে যাচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বিজেপির দলীয় পতাকা নিয়ে দফায় দফায় বিজেপি কর্মীদের ট্রেনে চাপতে দেখা গিয়েছে বর্ধমান স্টেশনে। জেলা বিজেপির নেতা মনোজ মাহাত বলেন, এদিন সকাল ৬.১৫ মিনিট নাগাদ কর্মীরা ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। ট্রেনপথে কোনও বাধা আমাদের আসেনি। তবে, বাসপথে দলীয় কর্মীদের বহু জায়গায় তৃণমূল বাধা দিচ্ছে। তবে, অনেক জায়গায় তৃণমূলের শত বাধা পেরিয়ে কর্মীরা সভার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বেলা সাড়ে দশটার ট্রেনেও হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক সভার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

    ট্রেনে আসা কর্মীদের ভিড়ে কলকাতার রাজপথ জনপ্লাবন

    বারাকপুর, বারাসত, বনগাঁ, চুঁচুড়া, কৃষ্ণনগর, গেদে, বহরমপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ আশপাশের এলাকা থেকে এদিন সকালের ট্রেনগুলিতে কর্মীদের ভি়ড় উপচে পড়ে। অধিকাংশ ট্রেনেই হাজার হাজার কর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। সকাল থেকেই হাওড়া এবং শিয়ালদা স্টেশন কর্মীদের ভিড়ে কলকাতার রাজপথ জন প্লাবনের আকার নেয়। পাশাপাশি বাস, প্রাইভেট গাড়়ি করেও হাজার হাজার কর্মীরা সভার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Rescue: ৪১ জন শ্রমিক বের হতেই জয়দেবের গ্রামে বেজে উঠল শঙ্খ, হল মিষ্টি বিতরণ

    Uttarkashi Tunnel Rescue: ৪১ জন শ্রমিক বের হতেই জয়দেবের গ্রামে বেজে উঠল শঙ্খ, হল মিষ্টি বিতরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ফিরবেন, কাল ফিরবেন করে সতেরো দিন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, ঘরে ফেরেননি উত্তরকাশীর (Uttarkashi Tunnel Rescue) সুড়ঙ্গে আটকে থাকা হুগলির পুরশুড়ার দুই ছেলে সৌভিক পাখিরা এবং জয়দেব প্রামাণিক। ছেলেদের ঘরে ফেরা নিয়ে আশঙ্কা আর উদ্বেগে দিন কাটছিল পরিবারের লোকজনের। মঙ্গলবার সকাল থেকে উদ্বেগে ছিলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু, বিকেলের পর আশার আলো দেখতে শুরু করেন জয়দেবের পরিবারের লোকজন। একে একে ৪১ জনের মধ্যে জয়দেবও বেরিয়ে এলেন।

    মায়ের সঙ্গে কী কথা বললেন জয়দেব? (Uttarkashi Tunnel Rescue)

    জয়দেবের মা তপতী দেবী ছেলে আটকে থাকার পর থেকে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। মঙ্গলবারও কান্নাকাটি করেছেন। অবশেষে ছেলে বেরোলেন। একগাল হাসি ফুটল মায়ের মুখে। ভিডিয়ো কলে কথাও হল। মা ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, “কেমন আছিস?” কয়েক সেকেন্ডের স্তব্ধতা। তার পর জবাব এল- ‘ভালো… ভালো।” মায়ের পরের প্রশ্ন, “বাড়ি কখন আসবি?” এবার জবাব এল, “এখন আর ফিরব না। কাজ আছে।” শুনেই হেসে ফেললেন মা। হাসছেন পরিবারের সবাই।

    গ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ

    উত্তরকাশী (Uttarkashi Tunnel Rescue) জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে কাজ করতে গিয়েছিলেন হুগলির পুরশুড়ার বাসিন্দা জয়দেব প্রামাণিক। গত ১২ নভেম্বর হঠাৎই সেই সুড়ঙ্গের একাংশে ধস নামে। জয়দেবের পরিবারের সঙ্গে গোটা গ্রামের মানুষ গত কয়েকদিনে মুষড়ে পড়েছিলেন। ৪১ জন শ্রমিক উদ্ধার হওয়ার দিন গুনতেন। মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসীর এসে জয়দেবের বাড়িতে ভিড় করতে শুরু করেন। টিভির পর্দায় নজর রাখেন সকলেই। একে একে সকলে উদ্ধার হতেই জয়দেবের দিকে নজর ছিল সকলের। জয়দেব উদ্ধার হতেই গ্রামজুড়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। জয়দেবের উদ্ধারের খবর পেতেই শঙ্খধ্বনি শুরু হয় গ্রামে। মিষ্টিমুখ করলেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। গোটা গ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ।

    উদ্ধারকারী দলকে ধন্যবাদ জানালেন জয়দেবের বাবা

    জয়দেবের বাবা তাপস প্রামাণিক ধন্যবাদ দিলেন উদ্ধারকারী দলকে। তিনি বলেন, ঈশ্বরকে বললাম, তোমরা আছো। ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। ও ভালো আছে। ছেলেদের সাহস দেখে তো আমরাও বল পেয়েছি। ভেবেছি, ওরা যদি ওভাবে আটকে থেকে এরকম থাকতে পারে, আমরা কেন সাহস নিয়ে থাকতে পারব না? গত কয়েক দিন দোকান খুলতে ইচ্ছে করেনি। আজ আমি খুশি। যে ভাবে আমার প্রতিবেশীরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে আমি ধন্য।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share