Tag: West Bengal

West Bengal

  • Hooghly: বিজেপি-র সভায় গেলে এলাকাছাড়া করে দেওয়া হবে, তৃণমূলের হুমকি-পোস্টার!

    Hooghly: বিজেপি-র সভায় গেলে এলাকাছাড়া করে দেওয়া হবে, তৃণমূলের হুমকি-পোস্টার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় ‘শাহি সমাবেশে’ বিপুল জমায়েতের ডাক দিয়েছে বিজেপি। আর সেই সভায় যাতে জমায়েত কম হয়, তা রজন্য উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। আড়ালে আবডালে নয়, একেবার প্রকাশ্যে পোস্টার দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে যাতে মানুষ যোগ না দেন, তার জন্য ভয় দেখাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। সভায় গেলে এলাকাছাড়া করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।  চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়া পুরসভা এলাকায়। এখানকার এক নম্বর ওয়ার্ডের কেওটা বটতলা এলাকায় এই ধরনের পোস্টার দেখা যায়।

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে? (Hooghly)  

    ২৯ নভেম্বর ‘কলকাতা চলো’র ডাক দিয়েছে বিজেপি। ওই দিন ধর্মতলায় হবে প্রতিবাদ সভা। সেই সভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্টার লাগানো হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়া-ব্যান্ডেলেও পোস্টার মারা হয়। বিজেপির সেই পোস্টারের উপর সাদা কাগজে ছাপানো লেখা পোস্টার মারা হয়েছে। তাতে লেখা, ‘কেন্দ্র আমাদের আবাসের টাকা দিচ্ছে না। এলাকা থেকে যাঁরা এই সভায় যাবেন, তাঁদের এলাকাছাড়া করে দেওয়া হবে। তলায় লেখা জয় বাংলা। স্থানীয়দের নজরে পড়ে এই পোস্টার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    তৃণমূল ভয় পেয়ে এসব করছে, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিজেপির হুগলি (Hooghly) সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই এসব করছে। ওরা মানুষের আবাসের টাকা, একশো দিনের কাজের টাকা খেয়েছে। মানুষ এর জবাব দেবে। আর আমাদের প্রতিবাদ সভা বন্ধ করতে হাইকোর্টে গেল, কোনও কাজ হল না। এখন ভয় দেখাচ্ছে সভায় যাতে লোক না হয়। এসব করে কোনও লাভ হবে না। ধৰ্মতলা সভায় বহু মানুষের ভিড় হবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘বিজেপি পোস্টারের উপর নিজেরাই পোস্টার মেরে প্রচার চাইছে। ওদের সঙ্গে তিনগাছা লোক নেই। তৃণমূলের খেয়েদেয়ে কাজ নেই পোস্টার মারতে যাবে। মানুষ সব দেখছে বুঝছে, ২৪ সালে সব জবাব দিয়ে দেবে।’

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: প্রকাশ্যে এলোপাথাড়ি কোপ, পাল্টা চলল গুলি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Hooghly: প্রকাশ্যে এলোপাথাড়ি কোপ, পাল্টা চলল গুলি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তত প্রকট হচ্ছে। দুদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটি কাঠের কারখানায় পুরনো দুজন তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল দলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার হুগলির (Hooghly) তারকেশ্বরের পিয়াসাড়ায় ফের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল দলেরই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অপর গোষ্ঠীর চালানো গুলিতে জখম হলেন এক তৃণমূলকর্মী। টাঙ্গির কোপে গুরুতর আহত ওই নেতার নাম শেখ সাইদুল মোল্লা। গুলির আঘাতে আহত হয়েছেন মুন্সি মুকাদ্দার। আহত অবস্থায় ২ জনকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতায় রেফার করা হয়েছে সাইদুল মোল্লাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hooghly)

    হুগলির (Hooghly) পিয়াসাড়া বাসস্ট্যান্ডে একটি চায়ের দোকানের সামনে বসেছিলেন শেখ সাইদুল মোল্লা। আচমকা কয়েকজন এসে তাঁর উপর টাঙ্গি দিয়ে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাণে বাঁচতে তিনি চায়ের দোকানের ভিতরে ঢুকে গেলে, সেখানেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকদিন ধরেই এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে তৃণমূলের নতুন সংগঠন তৈরি হয়েছে। তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জখম তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজনের দাবি।

    যদিও অপর গোষ্ঠীর দাবি, শেখ সাইদুল-সহ বেশ কয়েকজন পার্টি অফিস দখল করছিল। মুন্সি মুকাদ্দার নামে দলের অপর গোষ্ঠীর তৃণমূল কর্মী পার্টি অফিসের সামনে ছিলেন। হঠাৎ তাঁকে মারধর করে সাইদুল ও তাঁর দলবল। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। এরপর স্থানীয়রা সাইদুলকে মারধর করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বেশ কয়েকজন যুবক একটি বাইকে এসে সাইদুলকে এলোপাথাড়ি কোপ মারে এবং দোকানে ভাঙচুর চালায়।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে তারকেশ্বর তৃণমূল ব্লক সভাপতি প্রদীপ সিংহরায় বলেছেন, পার্টি অফিস দখল ঘিরে গন্ডগোলের সূত্রপাত। এই বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: ‘মার্চের মধ্যে সিএএ কার্যকরী হয়ে যাবে,’ ঠাকুরনগরে দাঁড়িয়ে আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি-র

    CAA: ‘মার্চের মধ্যে সিএএ কার্যকরী হয়ে যাবে,’ ঠাকুরনগরে দাঁড়িয়ে আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মার্চের মধ্যে সিএএ (CAA) কার্যকরী হয়ে যাবে। রবিবার বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্ৰীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি এই মন্তব্য করেন। মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ আগেই শুরু হয়েছে। শান্তনু ঠাকুরও চেষ্টা করছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই আশ্বাসে নতুন করে চাঙা মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজন। তাঁদের বক্তব্য, সিএএ কবে কার্যকরী হবে তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমাদের নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বাস দেওয়ায় ভাল লাগছে।

    মতুয়াদের কী বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    এদিন ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে রাস উৎসবে এসেছিলেন কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি। প্রথমে ঠাকুরবাড়ির হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এরপর চলে যান নাট মন্দিরে, যেখানে রাসের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি বলেন, ‘মতুয়াদের নাগরিকত্বের জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকার চেষ্টা করছে। নাগরিকত্ব নিয়ে অমিত শাহ লোকসভায় কথা বলেছিলেন। শান্তনু ঠাকুরও চেষ্টা করছেন। আসলে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার যে প্রক্রিয়া, সেটা অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যেসব মতুয়াদের ভারতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাঁরা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের সই করা কার্ড ব্যবহার করুন বিনা বাধায়। শান্তনু ঠাকুরের দেওয়া মতুয়া কার্ড যাঁদের কাছে থাকবে, ভারতবর্ষের কারও হিম্মত নেই যে সেই মতুয়াদের কিছু করবে।’

    সিএএ-র (CAA) জন্য কারা আবেদন করতে পারবেন, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও বক্তব্য, আগামী ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ সুপ্রিম কোর্টে নাগরিকত্ব নিয়ে সমস্যার সমাধান হবে। ২০১৪ সালের আগে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা সিএএ-(CAA) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিয়ম মেনেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আর ভারতীয় পরিচয়পত্র না থাকা মতুয়াধর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে, মতুয়াধর্মী মানুষদের উদ্বেগ হওয়ার কিছু নেই।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: লোকসভার আগে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বিজেপির, সুকান্তর হাত ধরে যোগদান

    Sukanta Majumdar: লোকসভার আগে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বিজেপির, সুকান্তর হাত ধরে যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাল বিজেপি। প্রায় শতাধিক কর্মী, সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। বামফ্রন্ট থেকে বহু কর্মী, সমর্থকও বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের ভেটাহার এবং বেরোইল এলাকায় এই যোগদান কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিনের যোগদান কর্মসূচিতে সুকান্ত মজুমদার ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী  সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।

    এলাকায় উন্নয়ন করেনি তৃণমূল, সরব দলত্যাগী কর্মীরা

    এই বিষয়ে এক যোগদানকারী বলেন, আমাদের ভেটাহার এবং বেরোইল এলাকার রাস্তা খুবই খারাপ। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনা। আমরা আজ তৃণমূল ও বামফ্রন্ট ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। আমরা জানি বিজেপি আমাদের গ্রামে উন্নয়ন করবে। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,সবাই এখন বিজেপিতে যোগদান করবে। কারণ সবাই এখন বুঝতে পেরেছে বিজেপি এখন দেশটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেই কারণে এখন বিজেপিতে সবাই যোগাদান করছে।

    বীরভূমে তৃণমূলের বৈঠককে কটাক্ষ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    বীরভূমে তৃণমূলের গোষ্ঠীদন্দ্ব বিবাদ মেটাতে ময়দানে মমতা। নেত্রীর নির্দেশে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মমতা তৃণমূল এবং ভাইপো তৃণমূলের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই আছে। বীরভূম ব্যতিক্রম নয়, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এই দ্বন্দ্ব আরও বেশি প্রকট হবে। ওরা খেলা করবে আমরা খেলা দেখব।

    ভর্তুকি গ্যাসে এবার বায়োমেট্রিক নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষকে তোপ সুকান্তর

    ভর্তুকি গ্যাসে এবার বায়োমেট্রিক, লক্ষ্য আধার যাচাই, বিরোধীদের কটাক্ষ, আবার সাধারণ মানুষের হয়রানি বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বিরোধীদের লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদির দেওয়া সাধারণ মানুষের জন্য গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে সেখান থেকে টাকা রোজগার করা। বিরোধীরা জানে যে নরেন্দ্র মোদি কাজ করছেন, দেশের স্বার্থে গ্যাস সিলিন্ডারের ভর্তুকি যত সাধারণ মানুষের কাছে যায় সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এটা দেখা গেছে সাধারণ গ্যাস ব্যবহৃত হয় কমার্শিয়াল ক্ষেত্রে। এটা বন্ধ করতেই এই উদ্যোগ।

     রাজ্যের হাসপাতালের বেহাল অবস্থা নিয়ে সরব সুকান্ত

    মুখ্যমন্ত্রীর শিলান্যাস করা হাসপাতালে ঝুলছে তালা এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এটাতো নতুন কিছু নয়, রাজ্যের প্রত্যেকটা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের হাল বেহাল। মেডিকেল কলেজের নামে নীল সাদা বিল্ডিং করে দিয়েছে। কোনও ডাক্তার নেই। কোনও যন্ত্রপাতি নেই। গোটা রাজ্য জুড়েই একই চিত্র, শুধু নীল সাদা বিল্ডিং হয়েছে স্বাস্থ্য বলে কিছু নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে বোমা বিস্ফোরণ! উড়ল কিশোরের হাতের আঙুল

    Bomb Blast: তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে বোমা বিস্ফোরণ! উড়ল কিশোরের হাতের আঙুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপের মধ্যে রয়েছে গোটা রাজ্য। বিজেপি সহ বিরোধীরা বার বার এই অভিযোগ করছে। এই ঘটনা কতটা বাস্তব তা উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ঘটনার আরও একবার প্রমাণ করে দিল। জানা গিয়েছে, রবিবার দেগঙ্গার কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেখের মোড় এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের পিছনে আচমকা বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে।  খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে জখম হল এক নাবালক। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে।

    ব্যাগের মধ্যে কী রয়েছে দেখতে গিয়ে বিস্ফোরণ (Bomb Blast)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) জখম কিশোরের নাম আরমান গাজি। তার বয়স ১৩ বছর। তাকে উদ্ধার করে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এদিন আরমান পার্টি অফিসের পিছনে আমবাগানে খেলছিল। সেখানে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ পড়েছিল। তার মধ্যে কী রয়েছে কা দেখতে যায় ওই কিশোর। বল মনে করে ব্যাগের ভিতর থেকে গোলাকার বস্তুগুলো টেনে বার করে আনে সে। আর তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। আরমানের একটি হাতের আঙুল উড়ে গিয়েছে। বাঁ হাতে চোট পেয়েছে। আমবাগানের মধ্যে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে এলাকার কয়েক জন ছুটে আসেন। উদ্ধার করা হয় জখম আরমানকে। খবর দেওয়া হয় দেগঙ্গা থানার পুলিশকেও। পরে ঘটনাস্থলে যান দেগঙ্গা থানা ও চাকলা ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিকরা। এ পর্যন্ত ওই ব্যাগের মধ্যে তিনটি তাজা বোমা পেয়েছে পুলিশ। বোমাগুলি উদ্ধার করার জন্য বোম্ব স্কোয়াডকে করার খবর দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের বক্তব্য, বাংলাকে বিস্ফোরকের উপর বসিয়ে রেখেছে তৃণমূল। সাধারণ মানুষের কোনও সুরক্ষা নেই।

    বিস্ফোরণের জন্য বিরোধীদের দায়ী করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব

    স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূল নেতা শাহাবুল সর্দার  বলেন, সামনে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। আমাদের দলকে বদনাম করতে আইএসএফ এবং বিজেপি চক্রান্ত করে বাগানের মধ্যে এভাবে বোমা রেখে গিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারল দলেরই লোকজন, কোন্দল প্রকাশ্যে

    South 24 Parganas: কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারল দলেরই লোকজন, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই তৃণমূল কর্মী সমর্থককে বেধড়ক মার অন্য গোষ্ঠীর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর-১ নম্বর ব্লকের ঢোলা থানার ভগবানপুর এলাকায়। আর সেই সিসি টিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির।

    সিসি টিভি ফুটেজে কী দেখা হল? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভগবানপুর এলাকায় স্থানীয় একটি কাঠের মিলের মধ্যে কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢুকে কাঠ মিলের কর্মীদেরকে বেধড়ক মারধর করে। সেই হামলার ছবি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সিসিটিভি ফুটেছে দেখা যাচ্ছে, একদল দুষ্কৃতী  ওই কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করছে। তবে, এই সিসিটিভি ফুটেজ এর সত্যদার যাচাই করেনি মাধ্যম নিউজ। ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন নিজাম উদ্দিন মোল্লা ও সাজিদুল রহমান মোল্লা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের প্রথমে কুলপি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের অবস্থার অবনতি হলে ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক রঙ লেগেছে।

    পঞ্চায়েতে সিপিএমকে সমর্থন করার অপরাধে হামলা

    জখম তৃণমূল কর্মী নিজাম উদ্দিন মোল্লা ও সাজিদুল রহমান মোল্লার বক্তব্য, আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের পুরনো কর্মী। দলে সন্মান, গুরুত্ব না পেয়ে পঞ্চায়েতে সিপিআইএমকে সমর্থন করেছিলাম। এটাই ছিল অপরাধ। তারজন্যই ভগবানপুর এলাকার তৃণমূলের সদস্য নইম সাহার ঘনিষ্ঠ মইমুর পিয়াদা ও তাঁর নেতৃত্বে দুষ্কৃতী বাহিনী আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল সদস্য নইম সাহার সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন, ‘নিজাম উদ্দিন মোল্লা ও সাজিদুর রহমান মোল্লাই মইমুর পিয়াদাকে বেধড়ক মারধর করেছে। তিনিও গুরুতর জখম হয়ে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’ তবে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের পক্ষ থেকে ঢোলা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে ঢোলা থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatar: প্রকাশ্য সভায় বদলার নিদান তৃণমূল বিধায়কের মুখে, বিতর্ক

    Bhatar: প্রকাশ্য সভায় বদলার নিদান তৃণমূল বিধায়কের মুখে, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সমাবেশ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো আগেই সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীদের উদ্দেশে। মূলত টার্গেট ছিল বিজেপি। তৃণমূল নেত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ৪ জনের বদলে ৮ জনকে জেলে ঢোকাবেন। এবার সেই সুরেই কার্যত সুর মেলালেন ভাতারের (Bhatar) তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘বদল নয়, এবার বদলা চাইব’। তৃণমূল বিধায়কের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

     ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক? (Bhatar)

    ভাতাড়ের সিপিএমের পক্ষ থেকে ইনসাফ যাত্রা করা হয়েছিল। তার পাল্টা হিসাবে শুক্রবার ভাতারের (Bhatar) বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নেতৃত্বে ভাতারের বলগোনা বাজার থেকে ভাতার বাজার পর্যন্ত একটি পদযাত্রা করা হয়। পদযাত্রা শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানগোবিন্দ অধিকারী বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের নেত্রী সেদিন বলে দিয়েছেন, আমাদের চারজনকে জেলে ঢোকালে, আমরা আটজনকে ঢোকাবো। উনি আগে বলেছিলেন বদলা নয়, বদল চাই। কিন্তু এবার বদলা চাইব।’ এরপরেই সিপিএমকে নিশানা করে বিধায়ক বলেন, তোমরা কি করেছো সেটা তো আমরা জানি। এখনকার ১৯ বছরের যুবকরা জানে না তোমরা কি করেছো। কিন্ত, আমরা জানি, সেই হিসাব আমরা চাই।

    বাম আমলে সিপিএমের অত্যাচারের কথা স্মরণ করালেন তৃণমূল বিধায়ক

    ভাতারের (Bhatar) তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ২০১০ এর ১০ই জানুয়ারি বনপাস স্কুলের কাছে টোটন মল্লিককে মারা হয়েছিল বোম মেরে। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী সে নিজের বোমাতেই নিজে মারা গিয়েছে। এরপর তিনি বলেন, ‘২০১১ সালের ৩০ শে জানুয়ারি তেঁতুলতলায় আমাকে গুলি করা হয়েছিল, তখন পুলিশগুলিটাকে বাজেয়াপ্ত করেছিল। এক পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম গুলিটা কি হল,যেটা বাজেয়াপ্ত করেছিলেন? তিনি বলেছিলেন, বড় সাহেবের নির্দেশে গুলিটা দেখায়নি। ইনসাফ তো আমরা চাই, তোমরা কি চাইবে?’

    বামেদের পাশে লোক দেখে তৃণমূল আতঙ্কিত, সরব সিপিএম নেতৃত্ব

    সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, ‘বদলার রাজনীতি, স্বৈরাচারী রাজনীতি নিয়ে চলছে, তৃণমূল ভয় পেয়েছে বামেদের পাশে লোক দেখে তাঁরা আতঙ্কিত।’ তাঁর কথায়, ১২ বছর ধরে ইনসাফ চাইতে পারলো না,এখন বলছে ইনসাফ চায়। এসব আর ওদের মানায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: থানায় সটান হাজির শুভেন্দু, পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলার হুমকি

    Suvendu Adhikari: থানায় সটান হাজির শুভেন্দু, পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলার হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকা থানার সামনে একের পর এক গাড়ি এসে থামল। গাড়ি থেকে নামলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সঙ্গে ছিলেন দলীয় বিধায়ক। সোজার ঢুকে পড়লেন থানার ভিতর। শনিবার রাত দশটার ঘটনা। ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা। থানার ভিতরে এভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ঢুকে পড়বেন তা আঁচ করতে পারেননি থানার ডিউটি অফিসার থেকে বড়বাবু। স্বাভাবিকভাবে সকলেই হকচকিয়ে যান।

    থানায় কেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  বাশগোড়াতে সভা ছিল। তার আগে বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানকার মণ্ডল কমিটির সম্পাদক যুব নেতা রবীন মান্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে  কাজ করা হয়নি বলে অভিযোগ। একেবারে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। দীর্ঘক্ষণ তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। এই ঘটনার খবর পেয়ে রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ দাসপুর থেকে কাঁথির বাড়ি ফেরার পথে মারিশদা থানায় ঢুকে পড়েন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক-সহ ধৃত বিজেপি নেতার পরিজন ও একঝাঁক দলীয় সমর্থক। শুভেন্দু আসার খবরে মারিশদা থানার বাইরে ক্রমশ ভিড় জমাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। থানার সামনে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

    পুলিশকে অপহরণের মামলার হুমকি দিলেন শুভেন্দু

    গাড়ি থেকে নেমে থানার ভিতরে ঢুকে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসারের কাছে দলীয় নেতার গ্রেফতারির ‘অ্যারেস্ট মেমো’ দেখতে চান বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। এর পরেই পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। সেই সময় পুলিশকে রীতিমতো ধমকের সুরে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ ও আইনের বিভিন্ন ধারার উল্লেখ করে বিজেপি নেতার গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেন। তিনি সরাসরি পুলিশ আধিকারিককে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আপনি সুপ্রিম কোর্টের আইন অমান্য করে ক্রিমিনাল প্রসিডিওর ভায়োলেট করেছেন। আমি ওঁর (বিজেপি নেতার) স্ত্রীকে দিয়ে এখনই কিডন্যাপের (অপহরণ) অভিযোগ দায়ের করাব।’ সেই সময়েই পিছন থেকে এক পুলিশকর্মী কিছু বলতে গেলে তাঁকে থামিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘ডোন্ট ডিকটেট মি, ডিউটি অফিসার আমাকে বলুন। সিভিল ড্রেসে গিয়ে বাড়ির লোকের সই ছাড়া দলীয় কর্মীকে তুলে এনেছে। অ্যারেস্ট করেছে ৪টের সময়, এখন রাত সাড়ে ১০টা বাজে। আমি অ্যারেস্ট মেমো চেয়েছি। সেটা দিতে সাড়ে ছ’ঘণ্টা লাগে নাকি! ডিউটি অফিসার আর ওসির বিরুদ্ধে মামলা করব।’ এরপর তিনি থানার বাইরের বেঞ্চে বেশ কিছু সময় বসে থাকেন‘অ্যারেস্ট মেমো’ হাতে পাওয়ার দাবিতে। তবে পুলিশের তরফে কোনও কাগজ না পেয়ে অবশেষে রাত ১১টার আগেই তিনি মারিশদা থানা থেকে বেরিয়ে যান। যাওয়ার আগে পুলিশকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘আপনারা আইপিসি-সিআরপিসি মানেন না। আপনাদের সঙ্গে তা হলে আদালতেই আমার দেখা হবে। এই মামলাটি অনেক দূর যাবে।’

    খেজুরি বনধের ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা

    থানা থেকে বেরিয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের পর দীর্ঘ ৫ ঘন্টা তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। সব শেষে রাত প্রায় ১০টা নাগাদ মারিশদা থানায় থাকা কয়েক জন বিজেপির শুভানুধ্যায়ী আমাকে ম্যাসেজ করে জানান, এই থানায় রবীন মান্নাকে রাখা হয়েছে। আমি থানায় ঢুকে যেতেই ডিউটি অফিসার থরথর করে কাঁপছেন। এদের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই আদালতে যাব। ধৃত নেতা স্ত্রীকে দিয়ে আমি রবিবার কাঁথি আদালতে কিডন্যাপের মামলা দায়ের করব। সোমবার হাইকোর্ট খুললে সেখানে আমি রিট পিটিশন দাখিল করব। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী সোমবার খেজুরি বনধ ডাকা হল।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dibyendu Adhikari: কনভয়ে ঢুকে পড়ল ট্রাক, কীভাবে রক্ষা পেলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী?

    Dibyendu Adhikari: কনভয়ে ঢুকে পড়ল ট্রাক, কীভাবে রক্ষা পেলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সড়ক ধরে গতিতে যাচ্ছিল গাড়ি। গাড়ির মধ্যে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। জাতীয় সড়কের মধ্যে  দুর্ঘটনার কবলে পড়ল সাংসদের গাড়ি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের  মারিশদা থানা এলাকায়। বুকে এবং হাতে চোট পেয়েছেন সাংসদ। স্থানীয় নার্সিংহোমে চিকিৎসা করা হয়। তবে, এখন তিনি সুস্থ রয়েছেন।

    সাংসদের কনভয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে ট্রাক (Dibyendu Adhikari)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া থেকে কাঁথির বাড়িতে ফিরছিলেন সাংসদ (Dibyendu Adhikari)। শনিবার সন্ধ্য ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ দিঘা- নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়কের মারিশদা লোকাল বোর্ড বাসস্টপের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁর গাড়ি। জানা গিয়েছে, মারিশদা থানা পার করে আসার পর সাংসদের গাড়ির পাশে আচমকা করেই একটা ১২ চাকার লরি চলে আসে। অতি দ্রুত গতিতে সাংসদের গাড়িকে ওভারটেক করে একেবারে তাঁদের গাড়ির সামনে চলে আসে। প্রচণ্ড গতিতে থাকা সাংসদের গাড়ি আচমকা থামিয়ে চালক নয়নজুলির দিকে কিছুটা গাড়িটি নামিয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নয়নজুলির দিকে গাড়িটি না নামালে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ লাগার সম্ভাবনা ছিল। তাতে আরও বড় বিপদ হতে পারত। চালকের উপস্থিত বুদ্ধিতেই বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেল।

    কী বললেন সাংসদ?

    সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari) বলেন, চোখের সামনে বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেলাম। আচমকা ব্রেক কষার জন্য গাড়ির ভিতরেই আমি হুমড়ি খেয়ে পড়ি। বুকে, হাত চোট লাগে। তবে, ট্রাকটি আমাদের গাড়ি থেকে সামান্য দূরে ছিল। আমাদের গাড়ি থামিয়ে ডানদিকে নয়নজুলির দিকে না ঘোরালে বড় দুর্ঘটনা ঘটত। চালকের তৎপরতায় এটা সম্ভব হয়েছে।

    পুলিশ কী ব্যবস্থা গ্রহণ করল?

    পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাকের পাশাপাশি একটি কুকুরও সাংসদের (Dibyendu Adhikari) গাড়ির সামনে চলে এসেছিল। ট্রাকটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীরা উচ্চতম আধিকারিকের নজরে বিষয়টি এনেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: শীত পড়ার আগে ফের নিম্নচাপ! ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, কী বলছে আবহাওয়া দফতর

    Weather Update: শীত পড়ার আগে ফের নিম্নচাপ! ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, কী বলছে আবহাওয়া দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের পথে কাঁটা নিম্নচাপ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই সপ্তাহে হালকা শীতের আমেজ থাকলেও, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। প্রাথমিকভাবে এর অভিমুখ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল। এরপর গতিপথ পরিবর্তন করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিগজাউম’ (Michaung)।  এর প্রভাবে বাংলাদেশে উপকূল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, মিধিলির পর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে চলেছে ‘মিগজাউম’ নামের আরেকটি ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশ, ভারত এবং মায়ানমারের উপকূলে। এটা হবে চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া চতুর্থ ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়ের জেরে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের দাপটে সাফ হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ উপকূলের একাংশ বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ২৭ নভেম্বর থাইল্যান্ড উপসাগর থেকে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত প্রবেশ করবে। ক্রমশ উত্তর পশ্চিমদিকে এগিয়ে শক্তি সঞ্চয় করবে। শক্তি বাড়িয়ে ২৯ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণাবর্তটি। রবিবার তা প্রবেশ করবে পূর্ব আন্দামান এলাকায়। ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে সেটা। ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের কাছ গিয়ে ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারে ওই ঝড়টি। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউময়ের কেন্দ্রে হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ১৫০ কিমি অতিক্রম করতে পারে। 

    আরও পড়ুন: সেবিকে ছাড়! আদানি-হিন্ডেনবার্গকাণ্ডের রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    শহরে শীতের আমেজ

    এই নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বাড়বে। রবিবার শহর কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তাপমাত্রা থাকবে ২০ ডিগ্রির নীচে। সকাল সন্ধ্যা শীতের হালকা আমেজ থাকলেও বেলার দিকে গরম বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শীতের আমেজ স্পষ্ট। ১৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরছে তাপমাত্রা। কলকাতাতেও ২০র নিচে নেমেছে পারদ। ১৫-১৬ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু জেলায়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share