Tag: West Bengal

West Bengal

  • Rash Yatra 2024: নবদ্বীপের রাস মানেই শাক্ত-বৈষ্ণবের মিলন! দেখা মেলে মঙ্গলকাব্যের দেবী কমলে কামিনীর

    Rash Yatra 2024: নবদ্বীপের রাস মানেই শাক্ত-বৈষ্ণবের মিলন! দেখা মেলে মঙ্গলকাব্যের দেবী কমলে কামিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাসযাত্রা (Rash Yatra 2024) উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে নবদ্বীপ। নিত্যনতুন থিম আর বাহারি আলোয় জমজমাট তীর্থের এই শহর। রাস উৎসবে সামিল হতে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করা শুরু করেছেন নবদ্বীপে (Nabadwip)। আলোর রোশনাইয়ে নবদ্বীপ শহর এখন জ্বলজ্বল করছে। একে অপরকে টেক্কা দিতে থিমের ছড়াছড়ি।

    রাসযাত্রার ইতিহাস (Rash Yatra 2024)

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, প্রায় আড়াইশো বছর আগে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে নবদ্বীপে শাক্ত মতে রাসযাত্রা (Rash Yatra 2024) শুরু হয়েছিল! এখানে মূলত শক্তির দেবীদের পুজো করা হয়। প্রথম থেকেই শাক্ত এবং বৈষ্ণবদের মধ্যে বিরোধ ছিল চরমে। এই বিরোধ মেটাতেই উদ্যোগী হয়েছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। ১৭৫২-৫৬ সালের মাঝামাঝি শঙ্করনাথ তর্কবাগীশ শক্তিমূর্তি গড়ে রাস পূর্ণিমার পুজো শুরু করেন। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের তরফে আসে অর্থসাহায্য। শঙ্করনাথের ওই পুজোর পরের বছরই ব্যাদড়াপাড়ার ব্রাহ্মণরা শবশিবা মায়ের পুজো শুরু করলেন। কালীমূর্তির নীচে পর পর দু’টি শিব। এক দম নীচে শবরূপী শিব। তাঁর ওপরে সপ্রাণ শিব। একই মূর্তির পুজো হয় আমপুলিয়া পাড়াতেও। নবদ্বীপে রাসের দ্বিতীয় প্রাচীন প্রতিমা হল শবশিবা মাতার। স্থানীয় পুজো উদ্যোক্তাদের কথায়, শবশিবা মাতা কৃষ্ণচন্দ্রের গুরুদেব চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্যের ইষ্টদেবী। এখন যেখানে পুজো হয় সেটি ছিল তাঁর ভিটে। কমবেশি দেড়শো বছর আগে তাঁরা এখান থেকে চলে যান। পুজোর ভার নেন অঞ্চলের বর্ধিষ্ণু ব্রাহ্মণেরা। চাঁদা তুলে এই পুজো হয়। নবদ্বীপের রাসের বিশেষত্ব তার মূর্তির বৈচিত্র্যে। মঙ্গলকাব্যের দেবী কমলেকামিনীর দেখা মেলে রাস উৎসবে। নবদ্বীপে স্মৃতিশাস্ত্র পড়তে আসা অশ্বিনী কুমার স্মৃতিরত্ন এই পুজোর সূচনা করেন। তাঁর পরিবারের উত্তরসূরীরা বর্তমানে সেই পুজো করছেন। বর্তমানে পুজো এলাকাবাসীর সাহায্যে হয়। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে নবদ্বীপ তরুণ সঙ্ঘ।

    নবদ্বীপে কতদিন রাসযাত্রা?

    মূলত নবদ্বীপে দুই দিন রাস (Rash Yatra 2024) হয়। শুক্রবার থেকে নবদ্বীপের রাসযাত্রা শুরু হয়েছে। আর আজ শনিবার নবদ্বীপে আড়ং চলবে অর্থাৎ যাকে আমরা বিসর্জন বলে থাকি। এবছরও রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে শুভ  সূচনা হওয়ার রাসে যে নিয়ম ছিল সেই একই নিয়মে রাস পালিত হচ্ছে। বেশ কিছু বারোয়ারি এবং কিছু প্রাচীন মন্দিরে এই রাস পালিত হচ্ছে। নবদ্বীপে মূলত শক্তির দেবদেবতাকে পুজো করা হয়।

    এবছর কোথায় কী থিম?

    এবছরও মহা ধুমধামে পালিত হচ্ছে নবদ্বীপের রাসযাত্রা। তাদের মধ্যে অন্যতম গৌড় বিষ্ণুপ্রিয়া সঙ্ঘ। প্রতি বছরই সাধারণ দর্শনার্থীদের কাছে চমক দিয়ে থাকে এই বারোয়ারি। এবছর তাদের ভাবনা ভূতের সার্কাস। তাদের এই নতুন থিম (Rash Yatra 2024) সাধারণের মন মাতিয়ে দেবে বলে মত বারোয়ারি কমিটির। অন্যদিকে, প্রাচীন মায়াপুর সাউথমাতা পুজো কমিটির ভাবনা কাঁটাতারের বেড়া। মূলত সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করেন, সেই চিত্রই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই মণ্ডপের মাধ্যমে। পাশাপাশি শ্রী শ্রীকৃষ্ণ কালীমাতা এবার ১০০ বছরে পদার্পণ করল। মূলত এখানে মণ্ডপশয্যা না থাকলেও ঐতিহ্যবাহী এক অঙ্গে কৃষ্ণ এবং এক অঙ্গে কালী থাকে। তবে আরেক ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা তেঘরি পাড়া বড় শ্যামা মাতা। প্রতি বছর এখানে হাজার হাজার পাঁঠা বলি হয়। তবে এ বছর ট্রাস্টি বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনওরকম বলি দেওয়া যাবে না। তবে নবদ্বীপে আরেক ঐতিহ্যবাহী পরম্পরা রয়েছে। আগামীকাল ছোট-বড় প্রতিটি রাস কমিটি তাদের নিজেদের মণ্ডপে প্রতিমা পুজো দেওয়ার আগে প্রত্যেকে পোড়ামাতলায় যাবেন। সেখানে পুজো দেওয়ার পর নিজেদের মণ্ডপের প্রতিমাদের পুজো দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: কলকাতায় আল-কায়দার ডেরা! অ্যাপ বাইক চালককে তলব এনআইএ-র, কী যোগসূত্র?

    NIA: কলকাতায় আল-কায়দার ডেরা! অ্যাপ বাইক চালককে তলব এনআইএ-র, কী যোগসূত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আল-কায়দা (Al Qaeda) জঙ্গিরা ডেরা করেছে খোদ কলকাতায়। তাদের সবরকমভাবে সাহায্য করার একজন লিঙ্কম্যানের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। জঙ্গিদের গতিবিধি খতিয়ে দেখতে গিয়ে এনআইএ-এর হাতে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে আসে। তদন্তে নেমে এনআইএ (NIA) আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, কলকাতায় বসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের টিকিট কাটত বাংলাদেশের আল-কায়দার জঙ্গিরা।

    নজরে অ্যাপ বাইক চালক (NIA)

    এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকার একটি দোকান থেকে কাটা হয় একাধিক ট্রেনের টিকিট। এমনকী, নিউ মার্কেট এলাকা থেকে কলকাতার সিমকার্ডও সংগ্রহ করে জঙ্গিরা। পূর্ব কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকায় তল্লাশি চালানোর পর এই চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে এনআইএ-র হাতে। এবার  এনআইএ-র নজরে কলকাতারই এক অ্যাপ বাইক চালক। ওই চালককে তলব করেছেন এনআইএ আধিকারিকরা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের মে মাসে গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার হাতে গ্রেফতার হয় চার বাংলাদেশি। মহম্মদ সজীব মিয়া, মুন্না খালিদ আনসারি ওরফে মুন্না খান, আজহারুল ইসলাম ওরফে খালিফুদ্দিন আনসারি ওরফে আকাশ খান ও আব্দুল লতিফ ওরফে মোমিনুন আনসারি নামে এই চার বাংলাদেশি ভারতীয় আল কায়দা তথা আকিসের সদস্য বলে গুজরাট পুলিশ অভিযোগ তোলে। এই চারজনকে ক্রমে নিজেদের হেফাজতে নেয় এনআইএ। গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, এই চার আল কায়দা জঙ্গি কয়েক বছর আগে চোরাপথে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত পার হয়ে কলকাতায় আসে। এখানে একটি ডেরায় থাকে তারা।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    মগজধোলাই করত জঙ্গিরা!

    যদিও গোয়েন্দাদের (NIA) দাবি, ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে তারা কলকাতার হোটেলে ওঠে। তাদের ওপর ভার পড়েছিল দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে আল কায়দার ওপর যারা সহানুভূতিশীল, তাদের সঙ্গে কথা বলে তহবিল সংগ্রহ করতে শুরু করে তারা। একই সঙ্গে চলে সোশাল মিডিয়ায় যোগাযোগ করার পর যুবকদের সঙ্গে দেখা করার পালা। তাদের সঙ্গে কথা বলে মগজধোলাই করতে থাকে জঙ্গি সদস্যরা। এই কাজের জন্য দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভ্রমণ করতে থাকে এই চার জঙ্গি।

    কীভাবে হদিশ মিলল অ্যাপ বাইক চালকের?

    এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের কাছে এনআইএ আধিকারিকরা কয়েকটি মোবাইল নম্বর পান। এর মধ্যে একটি মোবাইল নম্বরে বেশ কয়েকবার কথা বলা হয় বলে গোয়েন্দারা জানতে পারেন। ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরেই সোমবার এনআইএ বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার ক্যান্টোফার লেনের একটি চারতলা বাড়ির দোতলায় হানা দেয়। ওই বাড়ির দোতালার একটি ফ্ল্যাটে চলে তল্লাশি। যদিও ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা এনআইএ আধিকারিকদের জানান, যে যুবকের মোবাইল নম্বর, তিনি ওই ব্যক্তির আত্মীয় মাত্র। ওই আত্মীয়টি আগে তাঁদের সঙ্গে থাকতেন বলেই তাঁর আধার কার্ড বেনিয়াপুকুরের ঠিকানায়। ওই আধার কার্ডেই যুবক সিমকার্ড নেন। এখন যুবক পরিবার নিয়ে পিকনিক গার্ডেন এলাকায় থাকেন। নিউ মার্কেট এলাকায় ওই যুবকের একটি দোকান ছিল। ওই দোকানের আশপাশের হোটেলে থাকেন বাংলাদেশিরা। তারা এসে ওই ট্রাভেল এজেন্টের দোকান থেকে ট্রেন ও বিমানের টিকিট কাটত। যদিও লক ডাউনের পর তাঁদের ব্যবসা খারাপ হতে থাকে। তাঁরা দোকানটি বন্ধ করে দেন। ওই যুবক এখন অ্যাপ বাইক চালান। এনআইএ-র গোয়েন্দাদের কাছে খবর, কলকাতা থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার জন্য এই যুবকের কাছ থেকেই ট্রেনের টিকিট কাটত আল-কায়দার ওই জঙ্গিরা। এ ছাড়াও ওই যুবকের পরামর্শে তারা সিমকার্ড সংগ্রহ করে। এনআইএ-র প্রশ্ন, সেই ক্ষেত্রে আল কায়েদার জঙ্গিদের কি জেনেশুনে সাহায্য করেছিলেন ওই যুবক? এই ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে তাঁকে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    জঙ্গিদের খোঁজে কোথায় কোথায় তল্লাশি?

    শুধু কলকাতা এবং এরাজ্যই নয়, দুদিন আগে দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর, কর্নাটক, অসম, বিহার, ত্রিপুরার একাধিক জায়গা। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (NIA) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এবার আল-কায়দা প্রচার এবং স্লিপার সেল বৃদ্ধিতে হাত মিলিয়েছে। এছাড়াও অন্য জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যে সকল নথিপত্র এবং ডিজিটাল সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে এনআইএ’র হাতে এসেছে আল-কায়দা সংগঠনের নতুন রিক্রুটমেন্ট সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কলকাতার পাশাপাশি কোচবিহারের হলদিবাড়িতে বিশ্বজিৎ বর্মন নামে এক যুবকের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ। তবে এনআইএ আধিকারিকরা যখন বিশ্বজিতের বাড়িতে আসেন, সে সময় বিশ্বজিৎ কাজের জন্য বাইরে ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার মা’কে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অধিকারিকরা। তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, এ রাজ্য থেকে আল-কায়দার সংগঠনগুলিকে মজবুত করার জন্য বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এদিন বিভিন্ন কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। বিশ্বজিতের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গিদের কার্যকলাপে নজরদারি করতেই একযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ‘‘রাশিয়া থেকে কেমিক্যাল এনে শুভেন্দু এবং আমায় মারার চক্রান্ত হচ্ছে’’, বিস্ফোরক অর্জুন

    Arjun Singh: ‘‘রাশিয়া থেকে কেমিক্যাল এনে শুভেন্দু এবং আমায় মারার চক্রান্ত হচ্ছে’’, বিস্ফোরক অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকার এবং তার এজেন্সি সিআইডির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বারাকপুরের বিজেপি নেতা অর্জুন সিং (Arjun Singh)। সাড়ে চার কোটি টাকা টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন সংসদ অর্জুন সিংকে আগেই নোটিশ দিয়েছিল সিআইডি। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু হাইকোর্টও তাকে সিআইডির (CID) মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার মধ্যে অর্জুন সিংকে ভবানী ভবনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিআইডি। তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন তিনি।

    ঠিক কী বলেছেন অর্জুন? (Arjun Singh)

    তিনি (Arjun Singh) বলেন, ‘‘অর্জুন সিং, শুভেন্দু অধিকারীর মতো আরও চারজন বিজেপি নেতাকে প্রাণে মেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। রাশিয়া থেকে একটি রাসায়নিক জাতীয় জিনিস দিয়ে আমাদের মারার চক্রান্ত করা হচ্ছে। এদিন ভবানি ভবনে সিআইডির মুখোমুখি হচ্ছি। যদি আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে আমার মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয় তাহলে তার দায় রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিশ্বস্ত সূত্র মারফত আমি খবর পেয়েছি, শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিংয়ের মতো লোকেদের ওরা কোনওভাবে আটকাতে পারছে না। তখন মেরে ফেলার চক্রান্ত হয়েছে। এমন কেমিক্যাল রাশিয়া থেকে স্মাগলিং করে আনা হয়েছে, যা দিয়ে মেরে ফেলা হবে।” কিন্তু কীভাবে কাজ করবে সেই কেমিক্যাল? অর্জুনের বক্তব্য, “তদন্তের নামে ডেকে সিআইডি এই কাজ করবে। এই কেমিক্যালটা শরীরে স্পর্শ করলেই বিষ ঢুকবে শরীরে। ধরুন টেবিল চেয়ারে স্প্রে দেওয়া হল। সেই টেবিল-চেয়ারে আপনার হাত লাগলেই ৬ মাসের মধ্যে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘একটা মিথ্যা মামলায় তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। যেহেতু শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর মতো নেতা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে থাকেন, তাই মাঠে-ময়দানে কিছু করা যাচ্ছে না। তাই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: লটারি দুর্নীতিতে প্রভাবশালী যোগ! বৃহস্পতিবার কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় হানা ইডির

    ED: লটারি দুর্নীতিতে প্রভাবশালী যোগ! বৃহস্পতিবার কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় হানা ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কিছুদিন ধরে একাধিক দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যে বেশ সক্রিয় ইডি-সিবিআই। কিছুদিন আগে  নিয়োগ  দুর্নীতি ও পুর নিয়োগ দুর্নীতি মানলায় একাধিক নেতা-মন্ত্রী, পুর আধিকারিকদের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল এই দুই কেন্দ্রীয় তদক্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সাত সকালে মধ্যমগ্রামের সুকান্তনগরে ডিয়ার লটারির কারখানায় হানা দেয় ইডি (ED)। ডিয়ার লটারির উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগরের প্রিন্টিং অফিসে পৌঁছে যায় ইডি। বিশাল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এদিন সকাল থেকেই সেখানে তল্লাশি অভিযান চলে।

    কেন হানা? (ED)

    দিল্লির সদর দফতর থেকে ইডি আধিকারিকরা শহরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তদন্তকারীরা বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে লটারি প্রতারণা মামলার যোগসূত্রের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নেমেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ইডির আধিকারিকরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে লেকটাউন এবং উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। তদন্তকারীদের অন্য একটি দল কলকাতার (Kolkata) লেক মার্কেটের চারুচন্দ্র কলেজের কাছে একটি আবাসনে তল্লাশি চালাচ্ছে। ইডি (ED) সূত্রে খবর, রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতার অ্যাকাউন্টে এই লটারি জয়ের পুরস্কারের টাকা ঢুকেছে। এই কোটি কোটি টাকা পাওয়ার পিছনে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছেন ইডির আধিকারিকরা। সন্দেহ করা হচ্ছে লটারির পুরস্কারের আর্থিক টাকার সঙ্গে এই কারখানার ছাপা লটারির কোনও না কোনও যোগসূত্র রয়েছে। সেই যোগসূত্র খুঁজতেই এদিন মধ‍্যমগ্রামের যশোর রোডের ধারে ডিয়ার লটারির এই গোডাউন এবং ছাপাখানায় হানা দিয়েছে ইডি। কারখানার গেট বন্ধ করে চলছে জোর তল্লাশি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    কালো টাকা সাদা করতে লটারি ব্যবহার!

    দুর্নীতি ইস্যুতে বারংবার লটারি প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তদন্তে উঠে আসে একাধিকবার একাধিক সময়ে বিভিন্ন তৃণমূল নেতার অ‍্যাকাউন্টে লটারির টাকা ঢুকেছে। আবার কারও কারও অ‍্যাকাউন্টে বেশ কয়েকবার নির্দিষ্ট কোম্পানির লটারির টাকা ঢোকে। সব ক্ষেত্রেই প্রথম পুরস্কারের কোটি কোটি টাকা জমা পড়েছে ওই নেতাদের অ‍্যাকাউন্টে। পাচার এবং চাকরি নিলামের কালো টাকা সাদা করতে এই লটারিকে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে। লটারির পুরস্কার প্রাপক বা টিকিট বিক্রেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য হাতে পায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সেই তথ্যের সূত্র ধরেই ইডি (ED) হানা দিয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘‘ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা, দুই-ই এক’’, শ্যামপুরের সভা থেকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘‘ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা, দুই-ই এক’’, শ্যামপুরের সভা থেকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিম বাংলার বিশেষ কোনও ফারাক আছে বলে মনে করেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশের মতো পশ্চিম বাংলার হিন্দুরাও আক্রান্ত হচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর সময় শ্যামপুর থানা এলাকার একটি দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সে সময় ওই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু। বুধবার শ্যামপুরে ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির তরফে সভার আযোজন করা হয়েছিল। সেখানেই হিন্দুদের ওপর আক্রমণের অভিযোগে সরব হন বিরোধী দলনেতা। মমতাকে তুলোধনা করেন।

    ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক (Suvendu Adhikari)

    বুধবার হাওড়ার শ্যামপুরে দলীয় এক সভা থেকে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তুলনা টেনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মতো বাংলাতেও হিন্দুরা আক্রান্ত হলেও কিছু বলা যাবে না। কারণ, প্রতিবাদ জানালেই আপনার গায়ে সাম্প্রদায়িক তকমা সাঁটিয়ে দেবে। হিন্দু আক্রান্ত হলে, দুর্গাঠাকুর ভাঙলে বলা যাবে না। বললেই আপনি সাম্প্রদায়িক হয়ে যাবেন। ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দুই-ই এক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সুবোধ সরকার, বিকাশ ভট্টাচার্যরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে গোমাতা ভক্ষণ করলে সেকুলার হয়ে যাবেন। এটা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের আসল অবস্থা।’’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে সরব

    শাসকদল তৃণমূল ও পুলিশকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘বিজয়দশমীর দিন চারিদিক থেকে সন্ত্রাসবাদী, গুন্ডাদের জড়ো করে একাধিক দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। হিন্দু সমাজকে আতঙ্কে রাখা হয়েছে পাঁচদিন। ১৬৩ ধারা জারি করে ইন্টারনেট বন্ধ করে আপনাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। শ্যামপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গুন্ডাদের জড়ো করে তাণ্ডব করা হয়েছে। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে পাঁচদিন ধরে ঢোকার চেষ্টা করেছি। আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ১৯ তারিখের পরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। উত্তরবঙ্গে ছিলাম বলে আসতে পারিনি। ২০ তারিখ এসে যে সমস্ত মণ্ডপ ভেঙেছে, যে সমস্ত হিন্দু দোকানদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে সেগুলি পরিদর্শন করেছি। আমরা কোন রাজ্যে আছি,কেন আমাদের এই অত্যাচার সহ্য করতে হবে’’?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal By Polls: বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলা তৃণমূলের, অভিযোগ অমিত মালব্যের

    West Bengal By Polls: বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলা তৃণমূলের, অভিযোগ অমিত মালব্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনেও (West Bengal By Polls) অশান্তি বাংলায়! বুধবার বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya) অভিযোগ করেন, মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে পদ্ম প্রার্থী রাহুল লোহারের গাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা। কেবল গাড়ি ভাঙচুর নয়, দুষ্কৃতীরা ওই গাড়িতে প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ।

    অমিত মালব্যের ট্যুইট-বাণ

    এক্স হ্যান্ডেলে মালব্য লেখেন, “মুজনাই চা বাগানের বুথ নম্বর ১৪/৬২-তে মাদারিহাটের বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারের ওপর আক্রমণ হয়েছে। রাহুল একজন আদিবাসী, চা বাগানের শ্রমিকদের নেতা। তৃণমূলের গুন্ডারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করেছে এবং তাঁকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে, যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের তত্ত্বাবধানে ঘটেছে।” তিনি আরও লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার একটি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মুখ্যমন্ত্রী কম, তিনি বরং একটি অপরাধ চক্রের প্রধানের চেয়ে বেশি।”

    কী বলছেন প্রার্থী

    বুধবার সকালে রাহুল মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তিনি বলেন, “আমার নির্বাচনী ক্ষেত্রের জনগণ এই নির্বাচনে নারীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের জবাব দেবে।” রাহুল বলেন, “২০১৪ সাল থেকে মাদারিহাটের মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করে (West Bengal By Polls) আসছেন… আমি আত্মবিশ্বাসী যে মানুষ এই উপনির্বাচনে সরকারের দুর্নীতি ও নারীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে জবাব দেবে।” তিনি বলেন, “প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি ভোটার নারীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।” উপনির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী রাহুল। বলেন, “আমরা ১০০ শতাংশ জিতব।”

    আরও পড়ুন: “রাজাকারদের লাগানো আগুনেই মৃত্যু হয়েছিল মা-বোনের”, খাড়্গেকে মনে করিয়ে দিলেন যোগী

    বিধানসভা নির্বাচনে মাদারিহাট কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গা। লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে জিতে তিনি গিয়েছেন সংসদে। সেই কারণেই হচ্ছে উপনির্বাচন। এদিন উপনির্বাচন হয়েছে এ রাজ্যের পাঁচ জেলার ৬টি কেন্দ্রে। এগুলি হল আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, কোচবিহারের সিতাই, বাঁকুড়ার তালডাংরা, উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি ও হাড়োয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর। এই (Amit Malviya) কেন্দ্রগুলির ফল ঘোষণা হবে ২৩ নভেম্বর (West Bengal By Polls)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।   

     

  • PM Modi: “আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে”, বললেন মোদি

    PM Modi: “আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের সরকার দেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে।” বুধবার বিহারের (Bihar) এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    মোদি সরকারের লক্ষ্য (PM Modi)

    তিনি বলেন, “আমাদের প্রথম লক্ষ্য হল রোগ প্রতিরোধ করা। দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো সঠিক রোগ নির্ণয় করা। তৃতীয় লক্ষ্য হল সাশ্রয়ী ও বিনামূল্যে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। আমাদের চতুর্থ লক্ষ্য হল ছোট শহরগুলিতেও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা। পঞ্চম লক্ষ্য হল স্বাস্থ্যসেবায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা।” এদিন প্রধানমন্ত্রী বিহারের দ্বারভাঙায় এইমসের (AIIMS) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেখানেই তিনি বলেন, “আমার সরকার দেশে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে, যা রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে চিকিৎসা পর্যন্ত বিস্তৃত।”

    দ্বারভাঙায় এইমসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

    দ্বারভাঙায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও প্রায় ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধনের পর জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি দেশের স্বাস্থ্যসেবায় তাঁর সরকারের দৃষ্টিভঙ্গী ও অগ্রাধিকারের বিষয়গুলির উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, তাঁর সরকার সব সময় জাতির সেবা এবং জনগণের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ দ্বারভাঙায় একটি এইমস প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখানে এইমস নির্মাণের ফলে বিহারের স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এই সেবাকেন্দ্র মিথিলা, কোশি এবং তিরহুত অঞ্চলগুলোর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ এবং আশেপাশের এলাকার মানুষকেও পরিষেবা দেবে। নেপাল থেকেও রোগীরা এখানে এসে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে পারবেন। দ্বারভাঙায় এইমস নির্মাণ বহু নতুন কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি করবে।”

    আরও পড়ুন: ৩০০-র বেশি হিন্দু ও তাঁদের মন্দিরে হামলা গত ২২ মাসে, তালিকা প্রকাশ ভিএইচপি’র

    তিনি (PM Modi) বলেন, “আগে পরিস্থিতি খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তখন খুব কম হাসপাতাল এবং ডাক্তার ছিল। ওষুধের দাম ছিল অনেক বেশি। আগের সরকারগুলি শুধু প্রতিশ্রুতি এবং দাবির মধ্যে আটকে ছিল, গরিব মানুষের প্রয়োজন নিয়ে তাদের কোনও সঠিক চিন্তা ছিল না। কিন্তু নীতীশ বিহারের (Bihar) দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই সমস্যাগুলির সমাধানে সঠিক মনোযোগ দেওয়া হয়েছে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Kartik Puja 2024: কাল দেব সেনাপতির পুজো! কেন নবদম্পতির বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর ফেলা হয় জানেন?

    Kartik Puja 2024: কাল দেব সেনাপতির পুজো! কেন নবদম্পতির বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর ফেলা হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো মেটার পর এবার বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণের পরবর্তী উৎসব হল কার্তিক পুজো। ১৬ নভেম্বর শনিবার পালিত হতে চলেছে কার্তিক পুজো (Kartik Puja 2024 )। প্রতি বছর কার্তিক সংক্রান্তি, অর্থাৎ কার্তিক মাসের শেষ দিনে পালিত হয় কার্তিক পুজো। আমাদের রাজ্যে হেমন্তকালের দেখা মেলে অত্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্য। এই হেমন্তকালে যে কয়েকটি উৎসব হয়, তার মধ্যে অন্যতম কার্তিক পুজো।

    কেন বাড়িতে কার্তিক ফেলা হয়? (Kartik Puja 2024 )

    নবদম্পতির বাড়ির সামনে কার্তিক (Kartik Puja 2024) রেখে এসেছে, এমন বন্ধু আমাদের পরিচিত মহলে নিশ্চয়ই রয়েছে। স্বয়ং মহাদেব-পুত্র তাঁদের বাড়িতে এসেছেন বলে কথা! গৃহকর্তা বা কর্ত্রীকে তাই প্রচলিত নিয়ম মেনে পরপর চার বছর এই পুজো করতে হয়। কিন্তু বাড়ির সামনে কার্তিক ঠাকুর কেন রাখা হয়? নিছক মজার উদ্দেশ্যেই নবদম্পতির বাড়ির সামনে কার্তিক ঠাকুর রাখা হয় না। এর মধ্যে লোকাচার রয়েছে। কী সেই লোকাচার? তা হল, নবদম্পতির কোলে যেন কার্তিকের মতো পুত্র আসে। কিন্তু হঠাৎ কার্তিকের মতো পুত্রের আকাঙ্খাই কেন? পৌরাণিক মতে, মা দুর্গা এবং মহাদেবের পুত্র হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক। এই পৌরাণিক দেবতা অত্যন্ত বীর ও সাহসী। তিনি সুদর্শন ও বলিষ্ঠ চেহারার অধিকারী। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, দেব সেনাপতি কার্তিকের পুজো করলে পুত্রসন্তান লাভ হয়। তাঁর মতো সাহসী ও সুদর্শন সন্তান লাভ করতেই অনেক নববিবাহিত দম্পতি কার্তিক পুজো করে থাকেন। এই কারণে আমাদের রাজ্যে নববিবাহিত দম্পতির ঘরে লুকিয়ে লুকিয়ে কার্তিক ফেলে আসার প্রথা রয়েছে। পাড়ার বন্ধুবান্ধবরাই সাধারণত এই কাজ করে থাকেন। সেই কার্তিক তুলে এনে বাড়িতে পুজো করার রীতি রয়েছে। কার্তিকের আরাধনা করলে সাংসারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যায় এবং আয় বৃদ্ধি হয়। কার্তিকের সঙ্গে বীরত্বের সম্পর্ক থাকার কারণে দেব সেনাপতির আরাধনায় যশ ও বল লাভ হয় বলে মনে করা হয়। দেব সেনাপতি কার্তিকের উপাসনা করলে মঙ্গল গ্রহের অশুভ প্রভাব কেটে যায় বলেও অনেকে মনে করেন। পশ্চিমবঙ্গে কার্তিক ঠাকুর চিরকুমার। দক্ষিণ ভারতে মুরুগান নামে কার্তিকের যে রূপের উপাসনা করা হয়, সেখানে তাঁর দুই স্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে তিন থেকে চার ডিগ্রি কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা! নাগালে শীতের আমেজ

    Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে তিন থেকে চার ডিগ্রি কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা! নাগালে শীতের আমেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজো পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টি হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। তবে, নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে চলল, এখনও অধিকাংশ বাড়িতে বন বন করে ফ্যান ঘুরছে। গরম কাটিয়ে শীত কবে আসবে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যবাসী। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। চলতি সপ্তাহেই শীতের আমেজ আসতে পারে রাজ্যে, এমনটাই জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর।

    কত তাপমাত্রা কমবে? (Weather Update)

    মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার ভোর থেকে রাজ্যে (West Bengal) তাপমাত্রা খানিক কমেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও কিছুটা পারদপতন হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া (Weather Update) অফিস। উত্তরের পাহাড় সংলগ্ন জেলাগুলির পাশাপাশি গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গেও তিন থেকে চার ডিগ্রি কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা। অর্থাৎ, এখনই ‘শীতকাল’ এসে না পড়লেও শুক্রবার থেকেই শীতের আমেজ আসতে চলেছে বঙ্গে! হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। দক্ষিণের কোথাওই বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রার হেরফের হবে না বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তার পর থেকে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় নামতে পারে পারদ। তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে তাপমাত্রা।

    আরও পড়ুন: “মহা বিকাশ আগাড়ি দুর্নীতির সব চেয়ে বড় খেলোয়াড়”, তোপ মোদির

    উত্তরবঙ্গে শীতের আমেজ

    উত্তরবঙ্গেও দেখা যাবে একই চিত্র। বুধবার দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে বিক্ষিপ্ত ভাবে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া আপাতত আগামী পাঁচ দিন উত্তরের বাকি জেলাগুলিতে শুষ্ক আবহাওয়া (Weather Update) থাকবে। পাহাড় সংলগ্ন এলাকাতেও আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে, তার পর থেকে রাতের তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি কমতে পারে উত্তরবঙ্গেও। ফলে সপ্তাহ শেষেই শীতের আমেজ দেখা দিতে পারে উত্তরে।

    বুধবার সারা দিন পরিষ্কার ছিল কলকাতার আকাশ। রাতের দিকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৫ ডিগ্রি বেশি। সেই তুলনায় বুধবার খানিক কমেছে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.২ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.২ ডিগ্রি কম। ফলে, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে আমজনতা। এমনই মনে করছে হাওয়া অফিস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barama Temple: ভক্তদের জন্য বন্ধ ছিল নৈহাটির বড়মা’র মন্দির, দরজা খুলে গেল তৃণমূল প্রার্থী আসতেই!

    Barama Temple: ভক্তদের জন্য বন্ধ ছিল নৈহাটির বড়মা’র মন্দির, দরজা খুলে গেল তৃণমূল প্রার্থী আসতেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোটিশ দিয়ে ভক্তদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বড়মার মন্দির (Barama Temple)। অথচ নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে মন্দিরে ঢুকে দিব্যি পুজো দিলেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। মায়ের কাছে পুজো দিতে আসা অসংখ্য ভক্ত মন্দির কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দেন। সব মিলিয়ে উপনির্বাচনের দিন সাত সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৈহাটির অরবিন্দ রোড চত্বরে রীতিমতো উত্তেজনা দেখা দেয়।

    বিক্ষোভ দেখালেন ভক্তরা (Barama Temple)

    এদিন রাজ্যে ৬টি বিধানসভার মধ্যে নৈহাটিতেও উপনির্বাচন হচ্ছে। ভোটের জন্য নৈহাটির বড়মার মন্দির (Barama Temple) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই মর্মে ফেসবুকে মন্দির কমিটির তরফে পোস্টও করা হয়। মন্দিরের গেটেও মন্দির বন্ধ রাখার নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তা খেয়াল না করায় অন্যান্য দিনের মতো এদিনও মন্দিরের সামনে ভক্তদের লম্বা লাইন পড়ে। দূরদুরান্ত থেকে এসে ভক্তরা মন্দির বন্ধ শুনে অনেকেই হতাশ হয়ে সেখানে বসে পড়েন। ভক্তরা বলেন, মন্দির বন্ধ থাকার বিষয়টি আমরা জানতাম না। আগাম ঘোষণা করা হয়নি। সকাল থেকে লাইন দিয়ে ভক্তরা দাঁড়িয়েছিলেন। আমিও লাইনে দাঁড়াই। পরে, জানতে পারি মন্দির এদিন বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই, সকলেই ফিরে যাচ্ছিলাম। এই সময় দেখলাম তৃণমূলের প্রার্থী আসতেই মন্দিরের গেট খুলে গেল। তিনি ভিতরে গিয়ে পুজো দিলেন। এটা তো দ্বিচারিতা। তাই, আমাদের মতো বহু ভক্ত ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মন্দির কর্তৃপক্ষ দ্বিচারিতা করল কেন? বেশ কিছু সময় ধরে চলা এই বিক্ষোভ প্রশমিত করতে বড়মার মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয় কেবলমাত্র সেই সময় উপস্থিত থাকা ভক্তদের জন্য। তবে কোনও পুজোর আয়োজন হয়নি। মায়ের দর্শন করেই খুশি হন দূর থেকে আসা ভক্তরা।

    আরও পড়ুন: “মহা বিকাশ আগাড়ি দুর্নীতির সব চেয়ে বড় খেলোয়াড়”, তোপ মোদির

    মন্দির কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    বড়মার (Barama Temple) ট্রাস্টি কমিটির সদস্য অরিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মন্দির যে  বন্ধ থাকবে তা দু’দিন আগে পোস্ট করে জানানো হয়েছিল। প্রতিদিন এই মন্দিরে প্রায় ৫ হাজার ভক্ত সমাগম হয়। ভোটের দিনে এই ভিড় সামাল দেওয়া সম্ভব হত না। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ দিন সকালে যে ভক্তরা এসেছিলেন তাঁদের জন্য দরজা খুলে দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। তবে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি।” তৃণমূল প্রার্থীর জন্য আলাদা করে দরজা খোলা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share