Tag: West Bengal

West Bengal

  • Shyamnagar: তৃণমূল কাউন্সিলারের দাদা বলেই কি এত বেপরোয়া! কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে কী করেছেন জানেন?

    Shyamnagar: তৃণমূল কাউন্সিলারের দাদা বলেই কি এত বেপরোয়া! কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে কী করেছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজ ছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল ভাটপাড়া পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলারের দাদার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামনগর (Shyamnagar) বাসুদেবপুর দিঘির পাড় এলাকায়। নির্যাতিতা জগদ্দল থানায় ওই তৃণমূল নেতার দাদা ভূদের ব্রহ্মের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় শাসক দল চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Shyamnagar)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কাউন্সিলার অরুণ ব্রহ্ম এলাকার দাপুটে কাউন্সিলার। ভাই শাসক দলের কাউন্সিলার বলে দাদা এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। এমনই অভিযোগ শ্যামনগর (Shyamnagar) বাসুদেবপুর দিঘিরপাড় এলাকাবাসীর। গত ২০ নভেম্বর সন্ধের ঘটনা। অভিযোগ, বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ঘরে ঢুকে পড়েন স্থানীয় কাউন্সিলর অরুণ ব্রহ্মের দাদা ভূদেব ব্রহ্ম ওরফে ভুট্টো। ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে কুপ্রস্তাব দেন। কিন্তু, তাতে রাজি না হওয়ায় ওই কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেন তিনি। ভয়ে পরিবারের কাউকে জানাননি ওই কলেজ ছাত্রী। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। মেয়ের আচরণ দেখে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। তাঁরা চেপে ধরতেই পরিবারের লোকজনের কাছে সমস্ত বিষয়টি তিনি জানান। পরে, শনিবার মা-কে সঙ্গে নিয়ে জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই কলেজ ছাত্রী। পুলিশ ওই কলেজ ছাত্রীর বয়ানও রেকর্ড করেছে।

    প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি, সরব নির্যাতিতা

    নির্যাতিতার বক্তব্য, বাবা, মা একটি কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন। আমি একাই ছিলাম। লঙ্কা চাইতে এসেছিলেন তিনি। আমি লঙ্কা দিতে দরজা খুলতেই তিনি আমাকে খারাপ প্রস্তাব দেন। রাজি না হলে তিনি আমার শ্লীলতাহানি করেন। আর বিষয়টি কাউকে বললে খুন করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আমি ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে জগদ্দল থানার পুলিশ।

      আইন আইনের পথে চলবে, সাফাই  তৃণমূল কাউন্সিলারের

    গোটা ঘটনায় ভাটপাড়া পুরসভা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরুণ ব্রহ্ম চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন। শ্যামনগরের (Shyamnagar) রাস্তাঘাটে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেছেন। এই ঘটনার পর তৃণমূল কাউন্সিলার বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। আমার দাদা যদি অপরাধ করেন আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার পুলিশ তা নেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatpara: ভাটপাড়ায় সিবিআই, কথা বললেন নিহত তৃণমূল কর্মী ভিকির বাড়ির লোকজনের সঙ্গে

    Bhatpara: ভাটপাড়ায় সিবিআই, কথা বললেন নিহত তৃণমূল কর্মী ভিকির বাড়ির লোকজনের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভা এলাকার তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তরা এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। এরই মধ্যে ভিকির ঘনিষ্ঠের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের জেরা এবং সন্দেহ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন ভিকি ঘনিষ্ঠ যুবক। এমনই অভিযোগ মৃতের পরিবারের। ভিকির খুনে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও বারংবার পুলিশের জেরায় দিশেহারা হয়ে নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন তিনি। যুবকের নাম হরেরাম সাউ (২২)। তাঁর ঘরের ভিতর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি শনিবার ভিকির বা়ড়িতে যায় সিবিআইয়ের এক প্রতিনিধি দল। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সেই সাক্ষী খুন হওয়ার বিষয়টি দেখছে সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কি না তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    সুইসাইড নোটে কী লেখা রয়েছে? (Bhatpara)

    শুক্রবার ভিকি ঘনিষ্ঠ হরেরাম সাউ ভাটপাড়ায় (Bhatpara) নিজের বাড়িতে আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ‘আমি ভিকি যাদবের খুনের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নই। আমাকে মিথ্যে সন্দেহ করা হচ্ছে। আমি, ভিকি এবং আকাশ যাদবের কাছে চললাম। ভাই, মাকে দেখিস।’ হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্ট কে ডাকা হয়েছে সুইসাইড নোট পরীক্ষা করার জন্য।

    সুপারি কিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ধৃত অঙ্কিত‍!

    ভাটপাড়া (Bhatpara) শ্যুট আউট কাণ্ডে সুপারি কিলারদের সঙ্গে অঙ্কিত সিং ওরফে রিঙ্কুর যোগাযোগ করেছিল। পুলিশি জেরায় তা স্বীকার করেছে সে। তবে, শুটাররা সকলেই পলাতক। প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুপারি কিলারদের বাড়ি বিহারে। তবে, ঘটনার পর থেকে শনিবার পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের খোঁজ পায়নি পুলিশ। এদিন রিঙ্কুদের আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, ২০২১ সালের ২ মে খুন হয়েছিলেন আকাশ যাদব। এই খুনের কেসের মামলা নিয়েছিল সিবিআই। সেই খুনের প্রধান সাক্ষী ছিলেন ভিকি যাদব। ২১ নভেম্বর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেন। সেই ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম অঙ্কিতকুমার সিংহ ওরফে রিঙ্কু এবং রহিস আলি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মিড ডে মিলের টাকাও মেরে খায়!’ তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘মিড ডে মিলের টাকাও মেরে খায়!’ তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনা এমন একটা প্রকল্প, যেখানে দুস্থ ছাত্র ছাত্রীদের পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়ার জন্য এই প্রকল্প চালায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই টাকাও মেরে খেয়েছে তৃণমূলের নেতারা। এখন তো মনে হচ্ছে সামান্য একটা কাজ করতে গেলেও সিবিআই তদন্ত করতে হবে। রাজ্যে মিড ডে মিলের টাকাও মেরে খায় তৃণমূল। এই রকম চোর পৃথিবীতে আর নেই। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    উত্তর ২৪ পরগনার এক জেলা তৃণমূলের নেত্রী বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড তৈরির নিদান দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা দেশের স্বার্থ দেখে না। এরা ভোটের স্বার্থ দেখে, যে কারণে তাঁরা এই ধরনের মতামত প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ থেকে আগত রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের এরা নাগরিকত্ব পাইয়ে দিচ্ছে। বিজেপির স্পষ্ট বক্তব্য, যারা শরণার্থী তাঁরা সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাবেন। কিন্তু, যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের ভারতে ঠাঁই হবে না। নিজেদের ভোটব্যাংক তৈরি করতে এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।

    বিশেষ শারীরিকভাবে সক্ষমদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিলি করলেন সুকান্ত

    শনিবার বালুরঘাট ব্লকের পোল্লাপাড়া জুনিয়র হাই স্কুলের সাংসদ তহবিলের টাকা তৈরি করা শৌচালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন বালুঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন ফিতে কেটে শৌচালয়ের শুভ উদ্বোধন করলেন সাংসদ। প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই শৌচালয় নির্মিত হয়েছে। মোট তিনটি শৌচালয়ের মধ্যে একটি শিক্ষক শিক্ষিকা ও বাকি দুটি স্কুল পড়ুয়াদের জন্য। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভারত সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ এম্পাওয়ারমেন্ট পার্সন উইথ ডিজেবিলিটি প্রকল্পে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মোট ১ হাজার ৬৮ জন দিব্যাঙ্গ মানুষকে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হবে। হস্তচালিত ত্রিচক্রযান, মোটর চালিত ত্রিচক্র যান, হুইলচেয়ার, শ্রবণ যন্ত্র সহ শারীরিক চলাফেরার অন্যান্য যন্ত্রপাতি সহ মোট সামগ্রী রয়েছে ২০১৬ টি। এজন্য ব্যয় হয়েছে ৯৫ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা। ভারত সরকারের নিদিষ্ট এজেন্সির মাধ্যমে একাধিক শিবির চালিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল এই দিব্যাঙ্গজনদের। বালুরঘাট থেকে সামগ্রী প্রদান শুরু হল। এরপর গঙ্গারামপুর এবং বুনিয়াদপুরে এমন শিবির করে বিশেষভাবে শারীরিক সক্ষমদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিলি করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদেও সক্রিয় চক্র! সারের কালোবাজারিতে নাজেহাল অবস্থা চাষিদের

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদেও সক্রিয় চক্র! সারের কালোবাজারিতে নাজেহাল অবস্থা চাষিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে রমরমিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা সার নিয়ে কালোবাজারি করছেন। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সারের দ্বিগুণ দাম নিচ্ছেন। আর সার কিনতে গিয়ে চাষিদের মাথায় হাত পড়ছে। রবি মরসুমের শুরু থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলাজুড়ে সক্রিয় এই চক্র। ফলে, চরম অসহায় জেলার চাষিরা।

    দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে সার, অভিযোগ চাষিদের (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা, শক্তিপুর, নওদা, বহরমপুর, সালার, কান্দি, জঙ্গিপুর, ডোমকল সহ একাধিক জায়গায় সার নিয়ে কালোবাজারি চলছে। চাষিদের বক্তব্য, সারের বস্তায় যে দাম লেখা রয়েছে, সেই দামে বিক্রি করার কথা ব্যবসায়ীদের। কিন্তু, বাস্তবে ব্যবসায়ীরা বেশ কিছু সারের বস্তা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে। আমরা কারণ জানতে চাইলে জোগান না থাকার অজুহাত দেওয়া হচ্ছে। আসলে প্রশাসনের কোনও নজরদারি নেই বলে ব্যবসায়ীদের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে।

    কী পদক্ষেপ নিল প্রশাসন?

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সারের দাম বেশি নেওয়া রুখতে নির্ধারিত দামে সার বিক্রি ও বিক্রেতাকে ক্যাশমেমো দেওয়ার উপরে নজরদারি শুরু করে কৃষি দফতর। সম্প্রতি জেলা ও মহকুমা স্তরে টাস্ক ফোর্সও তৈরি করেছে প্রশাসন ও কৃষি দফতর। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ডিলার ও সার বিক্রেতাদের দোকানে লাগাতার অভিযান চলছে। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর এ পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৩৫০ জন সার বিক্রেতাকে শো- কজ় করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন সার বিক্রেতাকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সার বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) মোহনলাল কুমার বলেন, জেলায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সার পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। দাম বেশি নেওয়া সহ অনিয়ম রুখতে আমরা তৎপর রয়েছি। টাস্ক ফোর্স নজরদারি চালাচ্ছে। অনেক সার বিক্রেতার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি চাষিদেরও সচেতন করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India: বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত! ছোট শিশুর জীবন বাঁচাতে দিল্লি থেকে উড়ে গেল প্রাণদায়ী ওষুধ

    India: বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত! ছোট শিশুর জীবন বাঁচাতে দিল্লি থেকে উড়ে গেল প্রাণদায়ী ওষুধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে (India) হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া জয়ী হয়েছিল। আর সেই ফাইনাল খেলায় ভারতকে হারতে দেখে বাংলাদেশিরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন। কেউ কেউ আবার পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করেছেন বলে নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বিশ্ববাসী তা দেখেছেন। ভারতের প্রতি প্রতিবেশী দেশের এত ঘৃণা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। বাংলাদেশে ৬ বছরের এক শিশুর প্রাণ বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (India)

    হ্যাম রেডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, আচমকা রেডিও তরঙ্গে এসএমএস  বাংলাদেশের এক হ্যাম রেডিওর সদস্য জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ছয় বছর বয়সী একটি শিশু। চিকিৎসক  যে ওষুধ লিখেছেন সমগ্র বাংলাদেশ তন্ন তন্ন করেও তার হদিশ মেলেনি। ওষুধ খুঁজে বের করার আর্জি জানান তিনি। ভারতীয় (India) হ্যামরা সেই ওষুধের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন। কলকাতায়  ওই ওষুধের সমগোত্রীয় একটি ওষুধ পাওয়া গেলেও একই ওষুধ না হওয়ায় তা দিতে চিকিৎসকরা রাজি হননি। ফের, ওষুধ খোঁজা শুরু হয়। দিল্লিতে পাওয়া যায় ওই ওষুধ। সেই ওষুধ অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে দিল্লি থেকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

    বাংলাদেশ হাই কমিশন  এগিয়ে আসেনি, আক্ষেপ হ্যাম কর্তার

    ওয়েস্ট বেঙ্গল হ্যাম রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাস বলেন, খগেন্দ্রনাথ জানা নামে এক হ্যামের সদস্য ওষুধ জোগাড় করেন। বাংলাদেশ হাই কমিশনে যোগাযোগ করি আমরা। সেই সাহায্য করেনি। পরে, অহিরুজ্জামান খান নামে বাংলাদেশে এক নাগরিকের সন্ধান পাই আমরা। তাঁর মাধ্যমে ছোট্ট শিশুর আমরা প্রাণদায়ী সেই ওষুধ পাঠানোর ব্যবস্থা করি। ভারত (India) হারের জন্য বাংলাদেশিরা আনন্দে মেতে উঠেছিল তার যোগ্য জবাব দেওয়া হল। কারণ, ভারত ভালবাসতে জানে। এই ভারতের জন্য ওই দেশের ফুটফুটে এক শিশু কন্যা প্রাণে বাঁচবে। সেখানকার নাগরিকরা আমাদের দেশের প্রতি ঘৃণা ছেড়ে ভালোবাসা শুরু করবে, তত তাঁদের মঙ্গল। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আমরা চাই, ছোট্ট শিশুটির হাসিতে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রীর হাত আরও  শক্ত হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড তৈরির নিদান তৃণমূলের জেলা নেত্রীর, বিতর্ক

    North 24 Parganas: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড তৈরির নিদান তৃণমূলের জেলা নেত্রীর, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার তালিকায় নাম তুলে লোকসভা নির্বাচনে জেতার ছক কষছে তৃণমূল। এই ধরনের অভিযোগ সাধারণত বিরোধীরা করে থাকে। কিন্তু, লোকসভা ভোটের আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের শাসক দল যে গুরুত্ব দিচ্ছে তা উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) তৃণমূলের এক নেত্রীর মন্তব্যে তা প্রকাশ্যে এসেছে। তৃণমূল নেত্রীর ওই বক্তব্য যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল এভাবে জালিয়াতি করে ভোটে জিততে চাইছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেত্রী? (North 24 Parganas)

    শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে যোগ দেন হাবড়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভানেত্রী তথা বারাসত সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস, তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস বলেন, আর বাকি তিন মাস। তিন মাস বাদেই আমাদের লড়াই লড়তে হবে। এখন ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজ চলছে। জাকিরদার নির্বাচনী এলাকায় অনেক বাংলাদেশি লোক বসবাস করেন। জাকিরদা, অভিজিৎদা (স্থানীয় তৃণমূল নেতা) লিঙ্কটা ভালো জানেন। যদি লিঙ্কের কোনও সমস্যা হয়, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন ভোটার লিস্টে নাম তোলার ক্ষেত্রে যদি সমস্যায় পড়েন, জাকিরদাকে কাছে গেলে তিনি সব ঠিক করে দেবেন। এই কাজটা অতি দ্রুত করবেন। আমরা চাই না, একটা ভোটও বাদ যাক। স্বাভাবিকভাবেই এই বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দলীয় নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব

    এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন বলেন, তিনি সেভাবে কিছু বলতে চাননি, রত্নাদি যেটা বলতে চেয়েছেন, সেটা হল ভোটার তালিকা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে দেওয়ার কথা। সেটা আমরা বরাবর করি। ওঁর বলার ক্ষেত্রে কিছুটা ভুল হয়েছে। আমরা শুধু ফর্মটা পূরণ করে দিই। বাংলাদেশি কথাটা উচ্চারণ না করলেই ভালো হত। গ্রাম্য কথ্যভাষায়, বাংলাদেশি বলতে যেটা উনি বোঝাতে চেয়েছেন, তা হল সাতচল্লিশ সালের আগে যাঁরা এখানে ছিলেন তাঁরা ভারতীয়, আর তাঁদের পরে যাঁরা এসেছেন তাঁরা বাংলাদেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনায়! বধূকে মাথা মুড়িয়ে দিয়ে শাস্তি

    South 24 Parganas: মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনায়! বধূকে মাথা মুড়িয়ে দিয়ে শাস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে। চুরির অপবাদ দিয়ে গৃহবধূর মাথা মুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ননদ ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় কাকদ্বীপ থানার নামখানা নারায়ণপুর এলাকার রাজ রাজেশ্বরপুরে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ।

    সন্তানের খাবারের জন্য আলমারি থেকে টাকা বের করার অপরাধ (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকেন ওই বধূর স্বামী। ছয় মাসের ছেলেকে নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে শাশুড়ি এবং ননদের সঙ্গে বাড়িতে থাকেন বধূ। সন্তানের খাবার ও বাড়ির কিছু জিনিস কেনার প্রয়োজন ছিল ওই বধূর। বার বার সকলের কাছে টাকা চেয়েছেন তিনি। কিন্তু, কেউ কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। তারপর আলমারি খুলে কিছু টাকা নেন ওই মহিলা। সেটা শাশুড়ি জানতে পারেন। তার পরই শুরু হয় চরম নির্যাতন। বধূকে প্রথমে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের পর নাপিত ডেকে তাঁর মাথা কামিয়ে গাছে বেঁধে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার খবর চাউর হলে প্রতিবেশীরা নির্যাতিত মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে সরব হন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বধূকে প্রায়শই শাশুড়ি এবং ননদ নির্যাতন করেন। তাঁদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। ঘটনায় খবর দেওয়া হয়  পুলিশকে। খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছে নির্যাতিত গৃহবধূর শাশুড়ি ও  ননদকে আটক করে করে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক অশান্তি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য,বাচ্চার খাবার ও সংসারের টুকিটাকি জিনিস কেনার প্রয়োজনে ঘরের আলমারি খুলে কিছু টাকা নিয়েছিলেন বধূ। তারজন্য এভাবে কাউকে মাথার চুল কেটে প্রকাশ্যে অত্যাচার করা যায়। এটা মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে নানা টানাপোড়েন চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এই দলুয়াখাঁকি গ্রামে। ১৩ নভেম্বর তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হন। এই ঘটনার পর বিভিন্ন  রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে আটকে দেওয়া হয়েছে গ্রামের অনেক আগেই। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রামে ত্রাণ নিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি মিলল। বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো নাগাদ দলুয়াখাঁকি গ্রামে পৌঁছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি গ্রামবাসীদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যান। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য করা হয় গ্রামবাসীদের। গ্রামের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। যারা গ্রামে অসুস্থ রয়েছেন, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি যাদেরকে ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদেরও জামিনের ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,’ মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হওয়া আপনার বাপের সাধ্যি ছিল না। সেই মুসলমানদের এই প্রতিদান দিলেন। তৃণমূলকে ভোট দেয় না বলে এদের ওপর হামলা হয়েছে। বগটুইয়ের মতো পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়েছে দলুয়াখাঁকিতে। দিল্লি যাওয়ার আগে জয়নগরে একবার ঘুরে যান না। আপনি বগটুইতে পুড়িয়েছেন মুসলমানদের। আর এখানে মুসলমানদের বাড়ি পুড়িয়েছেন। বগটুইয়ের মতো পরিকল্পিত হামলা হয়েছে, নাহলে পেট্রল আর হাতুড়ি এল কোথায় থেকে। এই গ্রামের মানুষজন বিরোধী দল করেন বলেই পরিকল্পিতভাবে গ্রামের উপরে হামলা চালানো হয়েছে।’

    সিপিএম প্রতিনিধি দল যায় গ্রামে

    বিরোধী দলনেতার আগে এদিন সকালে সিপিএমের প্রতিনিধি দল গ্রামে ত্রাণ নিয়ে যান। ঘর তৈরির জন্য বাঁশ টিন থেকে শুরু করে অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন গ্রামবাসীদের হাতে। সেই প্রতিনিধি ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত সিপিএম নেতৃত্ব। যদিও সিপিএমের প্রতিনিধি দল গ্রামের প্রবেশ করার মুখে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান। পাঁচজনের বেশি মানুষ গ্রামে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে পুলিশের তরফ থেকে জানিয়ে দিলে দু পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। শেষ পর্যন্ত সিপিএমের তরফ থেকে ত্রাণ নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Collapse: ফোনে ছেলের গলা শুনেও উদ্বেগ কাটছে না আরামবাগের দুই পরিবারে

    Uttarkashi Tunnel Collapse: ফোনে ছেলের গলা শুনেও উদ্বেগ কাটছে না আরামবাগের দুই পরিবারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশিতে সুড়ঙ্গ ধসে (Uttarkashi Tunnel Collapse) আটকে থাকা ছেলের সঙ্গে কথা বলে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত উদ্বেগ কাটছে না দুই পরিবারে। প্রায় ১২ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশিতে ধসের জেরে সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে রয়েছেন ৪১জন শ্রমিক। তারমধ্যে আছে হুগলির আরামবাগ মহকুমার দুই যুবক। একজন পুরশুড়ার থানার নিমডাঙ্গির বাসিন্দা জয়দেব প্রামাণিক, অন্যজন পুরশুড়ার হরিনাখালির বাসিন্দা সৌভিক পাখিরা। তবে, উদ্ধারের কাছাকাছি পৌঁছানোর পরও তাঁদের এখনও উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় উদ্বেগে রয়েছেন পরিবারের লোকজন।

    রাজ্যে কোনও কাজ না পেয়ে বাইরে কাজে যান জয়দেব

    সৌভিক ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার ও জয়দেব সার্ভে ইঞ্জিনিয়ার কাজ করেন। প্রায় দেড় বছর আগে জয়দেব ওই কোম্পানিতে কাজে যোগ দেন। বাড়িতে বাবা তাপস প্রামাণিক ও মা তপসী প্রামাণিক। বাবার ছোট্ট চায়ের দোকান রয়েছে। সেখান থেকেই কোনওরকমে সংসার চলত তাদের। পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই এই রাজ্যে কোনও কাজ না পেয়ে বাইরে কাজে যান জয়দেব। কিন্তু, হঠাৎ কাজ চলাকালীন সুড়ঙ্গ ধসে (Uttarkashi Tunnel Collapse) ছেলে আটকে পড়ার খবরে যেন বাবা ও মায়ের বাজ পড়ার মতো পরিস্থিতি হয়।

    ‘আমি ঠিক আছি, তোমরাও ভালো থেকো’, সুড়ঙ্গ (Uttarkashi Tunnel Collapse) থেকে বার্তা জয়দেবের

    ছেলের চিন্তায় একেবারে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিশেহারা অবস্থা হয়েছিল জয়দেবের মায়ের। দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। বুধবার রাত্রে হঠাৎ প্রথমে ছেলের ভয়েস কল রেকর্ডিং শুনে কিছুটা স্বস্তি ফেরে মায়ের ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। যদিও  রাতেই ফোনে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন ছেলে জয়দেব। জয়দেব ফোনে মা’কে বলেন, ‘আমি ঠিক আছি, তোমরাও ভালো থেকো, সময়ে খেয়ে নিও ‘ আর ছেলের সেই কথা শুনে মনে স্বস্তি ফেরে বাবা ও মায়ের।

    বৃহস্পতিবারও পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন সৌরভ

    সৌভিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। সৌভিকের বাবা অসিত পাখিরা  পেশায় চাষি। মা লক্ষ্মী পাখিরা গৃহবধূ। সৌভিক কলকাতার আশুতোষ কলেজ থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে উত্তরাখণ্ডে ওই কোম্পানিতে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। পুজোর সময় বাড়ি ফিরে দশ দিন ছুটি কাটিয়ে আবারও কাজে ফিরে যান। কাজে যোগ দেওয়ার চার দিন পরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে টানেলের (Uttarkashi Tunnel Collapse) মধ্যে আটকে পড়েন। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও উত্তরাখন্ড থেকে ফোনে সৌভিক তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন।  পরিবারের সকলে কেমন আছেন তা তিনি জানতে চান। হাসতেও শোনা যায় সৌভিককে। তারপরেই সৌভিকের মা অনেকটাই মনোবল ফিরে পান। তবে, সৌভিকের  মা চাইছেন, সকলকে যেন সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

    সৌভিকের বাড়িতে পুজোর আয়োজন করা হয়

    শুধু সময়ের অপেক্ষা করছেন দুই বাড়ির ছেলে কখন বাড়ি ফিরবে। ছেলের মঙ্গলকামনায় বৃহস্পতিবার বাড়িতে পুরোহিত দিয়ে পূজা অর্চনা করলেন সৌভিকের মা লক্ষীদেবী। যদিও এখনও উৎকণ্ঠায় রয়েছে  দুই পরিবারই ও প্রতিবেশীরা। কবে তাদের ছেলে সহ আটকে থাকা সকলকেই  উদ্ধার করা সম্ভব হবে তার আশায় দিন কাটাচ্ছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বালুরঘাট থেকে নতুন আরও চারটি এক্সপ্রেস ট্রেন, উদ্যোগী সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: বালুরঘাট থেকে নতুন আরও চারটি এক্সপ্রেস ট্রেন, উদ্যোগী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগেই বালুরঘাট রেল স্টেশন থেকে চারটি নতুন ট্রেন পেতে পারেন জেলাবাসী। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বৃহস্পতিবার ভিডিও বার্তায় একথা জানান। তিনি বলেন, বালুরঘাট রেল স্টেশনে দ্রুত পিকলাইন সিকলাইনের কাজ শেষ হয়ে যাবে। পিকলাইনের কাজ শেষ হলেই বালুরঘাট থেকে নতুন নতুন রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করবে।

    বালুরঘাট স্টেশন পরিদর্শনে আসেন ডিআরএম, জিএম

    বৃহস্পতিবার বালুরঘাট স্টেশন পরিদর্শনে আসেন ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার এবং নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার চেতন শ্রীবাস্তব। আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই শেষ হবে বালুরঘাট রেল স্টেশনের নির্মীয়মাণ রেল শেড, পিকলাইন সিকলাইনের কাজ। আর এই কাজ শেষ হলেই বালুরঘাট স্টেশন থেকে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে বলে জানালেন নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার চেতন শ্রীবাস্তব। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট থেকে শিয়ালদা সরাসরি একটি নৈশ ট্রেন, বালুরঘাট থেকে গুয়াহাটি (কামাক্ষ্যা এক্সপ্রেস), বালুরঘাট থেকে বেঙ্গালুরু এবং বালুরঘাট থেকে দিল্ল্- এই চারটি নতুন এক্সপ্রেস ট্রেন পেতে চলেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাবাসী।

    রেলের কাজের অগ্রগতিতে কড়া নজরদারি ছিল সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    উল্লেখ্য, বালুরঘাট থেকে কোনও যাত্রীকে দিল্লি বা বেঙ্গালুরুতে যেতে হলে মালদা বা হাওড়াতে গিয়ে ট্রেন পরিবর্তন করে যেতে হত। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে উদ্যোগী হন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বিগত প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বালুরঘাট স্টেশনে পিকলাইন, সিকলাইন ও রেল শেডের কাজ চলছে। কিন্তু অত্যন্ত ধীর গতিতে কাজ চলার অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার।  এমনকী এই অভিযোগ পেয়ে ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার বিগত কয়েক মাসে একাধিকবার বালুরঘাট স্টেশন পরিদর্শনে এসেছেন। সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar) যতবার জেলা সফরে এসেছেন, ততবার বালুরঘাট স্টেশনে গিয়ে কাজের তদারকি করেছেন এবং দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন। অবশেষে চেতন শ্রীবাস্তব বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই নির্মীয়মাণ শেড ও পিকলাইন সিকলাইনের কাজ শেষ হয়ে যাবে। জানুয়ারি মাঝামাঝি অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই বালুরঘাট থেকে শিয়ালদা একটি ট্রেন ছুটতে শুরু করবে। এছাড়াও একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন চালানো সম্ভব হবে বালুরঘাট শহর থেকে।

    চারটি ট্রেন চালু হওয়ার খবরে খুশি জেলাবাসী

    এই বিষয়ে এক জেলাবাসী শিল্পী বিশ্বাস বলেন, বালুরঘাট থেকে দিল্লি বা বেঙ্গালুরু যেতে হলে আমাদেররকে মালদা বা হাওড়াতে গিয়ে ট্রেন পরিবর্তন করে যেতে হয়। চলতি বছরের প্রথমে বালুরঘাট থেকে চারটি নতুন ট্রেন চালু হলে আমাদের খুব সুবিধা হবে। আমরা এই খবর শুনে খুবই আনন্দিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share