Tag: West Bengal

West Bengal

  • Dakshin Dinajpur: শান্তির বার্তা নিয়ে সাইকেলে বিশ্বভ্রমণ দক্ষিণ দিনাজপুরের মাধাই

    Dakshin Dinajpur: শান্তির বার্তা নিয়ে সাইকেলে বিশ্বভ্রমণ দক্ষিণ দিনাজপুরের মাধাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। এই বার্তাকে সামনে রেখে গোটা ভারতবর্ষ ভ্রমণের পর এবার বিশ্ব ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সাইকেল নিয়ে বের হলেন দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার তপন ব্লকের বাদ শংকরের যুবক মাধাই পাল। জেলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে ওই যুবক সাইকেলে করে যাত্রা শুরু করেন। আপাতত সার্কভুক্ত দেশগুলিতেই যাওয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে ওই যুবকের। সাইকেল নিয়ে যাত্রার একটাই উদ্দেশ্য, যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। এই বার্তা পৌঁছে দিতে এই যাত্রা বলে ওই যুবক জানিয়েছেন।

    সাইকেল চড়ে দেশ ভ্রমণ করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের মাধাই (Dakshin Dinajpur)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধাই পেশায় গাড়ি মিস্ত্রী। করোনার সময় প্রথম মাথায় আসে সাইকেল নিয়ে দেশ ভ্রমণের। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন দেশ ভ্রমণে। গত দুই বছরে সাইকেলে করে দেশ ভ্রমণ করেন। এরপর বাড়িতে কিছু দিন থেকে, এখন দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) থেকে বিশ্ব ভ্রমণে উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিয়েন তিনি। বিশ্ব ভ্রমণের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে শান্তির বার্তা দিতে চান মাধাই। অনেক সময়ের ব্যাপার। তবু যতদিন শরীরে ক্ষমতা থাকবে বিশ্বের সার্কভুক্ত দেশ ঘুরবেন বলেই মাধাই জানিয়েছেন। এদিকে তার এই যাত্রাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন জেলাবাসী। এবিষয়ে মাধাই পাল বলেন, আমার ছোটবেলা থেকেই বিশ্ব ভ্রমণের ইচ্ছে। সেটা শুধুমাত্র সাইকেলেই। সাইকেল ইকো ফ্রেন্ডলি। তাই সাইকেলেই নানা দেশ দেখার ইচ্ছা। এছাড়াও সব দেশে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিতে চাই। সেই লক্ষ্যেই আজ বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বের হলাম। এর আগে আমি ভারতবর্ষের সব জায়গায় সাইকেল নিয়ে ভ্রমণ করেছিলাম।

    কী বললেন সাইকেল আরোহীর মা?

    এবিষয়ে ওই যুবকের মা অঞ্জলী পাল বলেন, এর আগে আমার ছেলে ভারতবর্ষ ঘুরে বেরিয়েছে। এবার অন্যদেশে ভ্রমণ করতে বের হলেন। এনিয়ে একটু চিন্তা হচ্ছে। তবে, ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করি ছেলে যেন তাঁর লক্ষ্যপূরণ করে বাড়ি ফিরতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Memari: ‘ফুঁ দিয়ে মস্তান তৈরি করি, হাত ভেঙে দেব’, প্রকাশ্যে কেন হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা?

    Memari: ‘ফুঁ দিয়ে মস্তান তৈরি করি, হাত ভেঙে দেব’, প্রকাশ্যে কেন হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য মঞ্চে এবার মস্তান তৈরির কথা বলে বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে (Memari) মন্ত্রী মস্তান তৈরির কথা বলেন। তবে, বিরোধী দলের কাউকে এমন হুমকি দিচ্ছেন এমন নয়, দলের অন্দরে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীকে এই ভাষায় কথা বলে মন্ত্রী সমঝে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। একজন মন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছেন তা নিয়ে জেলা রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে।

    মন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন?

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মন্ত্রী বলেন, আমি মস্তান নয়, কিন্তু ফুঁ দিয়ে মস্তান তৈরি করতে পারি। তেলপোড়া, পানিপোড়া কানে দেব, মাস্তান তৈরি হয়ে যাবে। মস্তানকে জন্ম করার ক্ষমতা আমার রয়েছে। তবে,  মস্তানি নয়, ভালোবাসার রাজ্য চাই। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুদিন আগে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির (Memari) সাতগেছিয়া বাজারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়। সেখানে সিদ্দিকুল্লা সাহেব উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, কিছু কিছু অঞ্চলের ছেলেরা মাথায় ফেট্টি বেঁধে তাল  ঠুকছে। বাঘ, সিংহ গর্তে চলে গেল। তোমরা মশা-মাছি কত ভাল তাল ঠুকবে। আমার কাছে নাম আছে, বলব না। তাদের শুনিয়ে দিচ্ছি, হাত তোলা বন্ধ করো। না হলে হাত ভেঙে দেব একদম। ইয়ার্কি করতে আমরা আছি নাকি। মন্ত্রীর প্রকাশ্যে এই হুঁশিয়ারিতে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

     তৃণমূলের  দুই গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশ্যে

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারি-২ ব্লকে (Memari) তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল বহুদিন ধরেই রয়েছে। কয়েকদিন আগেই বড়পলাশনে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের মোট তিনজন জখম হন। পুলিস ১০জনকে গ্রেফতার করেছে। সূত্র মারফত জানা যায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে কোন্দল চরমে উঠেছে। এক গোষ্ঠীর নেতাদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হয়নি। অনেক পঞ্চায়েত প্রধান প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ গিয়েছিল। দলের এক নেতা বলেন, কোন্দল মেটাতে জেলা নেতৃত্ব একাধিকবার হস্তক্ষেপ করেছিলেন। কিন্তু তারপরও যুদ্ধ থামেনি। মন্ত্রী দলের সেই বিরোধী গোষ্ঠীকে বার্তা দিয়েছেন বলে অনেকেই মনে করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Holiday List 2024: ২০২৪ সালের সরকারি ছুটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ রাজ্যের, পুজোর মরসুমে ১৬ দিন টানা ছুটি

    Holiday List 2024: ২০২৪ সালের সরকারি ছুটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ রাজ্যের, পুজোর মরসুমে ১৬ দিন টানা ছুটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে ছুটির তালিকা সামনে এল, এদিনই তা প্রকাশ করে রাজ্য সরকার। ওই তালিকায় (Holiday List 2024) দেখা যাচ্ছে ২০২৪ সালে বেশ কিছু ছুটির দিন রবিবারেও পড়ে গিয়েছে। আবার দুর্গাপূজার সময় সরকারি কর্মচারীদের একনাগাড়ে ১৬ দিন ছুটি থাকছে। যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে মমতা সরকার। এমনিতেই রাজ্য সরকারের অফিসগুলি নিয়ে জনসাধারণের অভিযোগ কম কিছু নয়। সঠিক পরিষেবা মেলে না, বারবার চক্কর কাটতে হয়। রাজ্য সরকারি অফিসের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ব্লক অফিস থেকে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত সর্বত্রই। এরই মাঝে পুজোর মরসুমে ১৬ দিনের ছুটি নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।

    মোট ৪৫ দিন ছুটি থাকবে….

    আগে আগে পঞ্চমী থেকে ছুটি ঘোষণা করা হতো কিন্তু এবারে তা চতুর্থী থেকেই। স্বাভাবিকভাবে এই সময় যে সরকারি অফিসগুলোতে কাজকর্ম শিকেয় উঠবে একথা বলছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। ২০২৪ সালের হিসেব অনুযায়ী ন্যাশনাল ইম্পর্ট্যান্স অ্যাক্ট বাই এনআই অ্যাক্টে ২০২৪ সালে ছুটি থাকার কথা ২২ দিনের এবং তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের ছুটি ২৩ দিন। অর্থাৎ জরুরী পরিষেবাকে বাদ দিলে বছরে মোট ৪৫ দিন ছুটি থাকবে। রাজ্য সরকারের দফতরগুলিতে (Holiday List 2024) অবশ্য বেশ কিছু বাতিলও হয়েছে। কারণ দুটো ছুটি একই দিনে পড়েছে।

    নতুন দুটি ছুটি..

    যেমন, ২০২৪ সালের বাংলা নববর্ষ ১৪ এপ্রিল এবং ডঃ বি আর আম্বেদকর এর জন্মদিন একই দিনে। আবার ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন এবং সরস্বতী পুজো একই দিনে পড়েছে। বিরসা মুন্ডার জন্মদিন এবং গুরু নানকের জন্মদিনও ১৫ নভেম্বর একই দিনে (Holiday List 2024) পড়েছে। রথযাত্রা, ভাইফোঁটা সমেত বেশ কিছু ছুটি বাংলার এরকম ভাবে বেশ কিছু ছুটি মারও গিয়েছে। দুটো নতুন ছুটির সংযোজনও হয়েছে ৬ এপ্রিল শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন এবং ১৩ জুলাই কবি ভানু ভক্তের জন্মদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করানোর অপরাধে সিভিককে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার

    Ranaghat: রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করানোর অপরাধে সিভিককে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম সরকারি জায়গায় দলীয় পার্টি অফিস করে নিজের দাপট দেখিয়েছিলেন। প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখায়নি। সেই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই এবার কল্যাণীর এক তৃণমূল কাউন্সিলারের দাদাগিরি দেখলেন রানাঘাটবাসী (Ranaghat)। প্রকাশ্যে রাস্তায় কর্তব্যরত তিন সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। যদিও এই পালোয়ানগিরি দেখিয়ে খুব বেশিক্ষণ তৃণমূল কাউন্সিলারের হিরোগিরি চলেনি। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত কাউন্সিলারকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন,  সিভিকদের কাজে বাধা দেওয়া ও মারধর করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ranaghat)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার কল্যাণী পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার লক্ষ্মী ওরাওঁ গাড়ি করে কৃষ্ণনগরের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁরসঙ্গে আরও দু-তিন জন ছিলেন। রানাঘাটের (Ranaghat) মিশন গেটের কাছে তাঁদের গাড়ি আসার সময় যানজট ছিল রাস্তায়। দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁদের গাড়ি দাঁড় করাতেই প্রথমে রঞ্জিৎ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী গাড়ি থেকে বেরিয়ে গালাগালি শুরু করেন বলে অভিযোগ। শুরু হয় দুই পক্ষের বচসা। এরপরই সিভিকদের প্রকাশ্যেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতাদের দাদাগিরি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ তৃণমূল কাউন্সিলার সহ চারজনকে গ্রেফতার করে।

    আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের কী বক্তব্য?

    আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের বক্তব্য, আমরা রাস্তায় ডিউটিতে ছিলাম। রাস্তায় ব্যাপক যানজট থাকায় তা মুক্ত করার কাজ করছিলাম। ওই সময় ওই গাড়িটি যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আমরা সেটা আটকেছিলাম। এটাই আমাদের অপরাধ। তার জন্য প্রকাশ্যে তারা গাড়ি থেকে আমাদের মারধর করে কাউন্সিলার এবং তাঁর সঙ্গীরা। এ নিয়ে রানাঘাট (Ranaghat) থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্তে নেমে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: রাতে বিছানা-বালিশ নিয়ে ঢোকেন আয়কর প্রতিনিধিরা! ম্যারাথন তল্লাশি বিধায়কের রাইস মিলে

    Bankura: রাতে বিছানা-বালিশ নিয়ে ঢোকেন আয়কর প্রতিনিধিরা! ম্যারাথন তল্লাশি বিধায়কের রাইস মিলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরের রাইস মিলে চলছে আয়কর তল্লাশি। টানা দুদিন ধরেই চলছে এই তল্লাশি। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার সকালেও রাইস মিলে হাজির হন বিধায়ক তন্ময়। তলব করা হয় তাঁর হিসাবরক্ষক অরূপ সামন্তকেও। সূত্রের খবর, দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা।

    রাতে বিছানা-বালিশ নিয়ে ঢোকেন আয়কর প্রতিনিধিরা (Bankura)

    দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তন্ময় ঘোষ পেশায় ব্যবসায়ী। ২০১৫ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়ে বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর পুরসভার কাউন্সিলার হন তিনি। ২০২০ সালের মে মাসে বিষ্ণুপুর পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হলে তাঁকে প্রশাসকমণ্ডলীতে আনা হয়। পাশাপাশি, ওই বছরই তন্ময়কে বিষ্ণুপুর শহরের যুব তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্বও দেওয়া হয়। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় তিনি তৃণমূলের টিকিটের অন্যতম দাবিদার ছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে টিকিট না দিয়ে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় প্রার্থী করে অর্চিতা বিদকে। এর পরই বিজেপিতে যোগ দেন তন্ময়। গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে ওই কেন্দ্র থেকেই জয় পান তন্ময়। কিন্তু এ বছরের অগাস্টে তিনি আবার তৃণমূলে ফেরেন। বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির সেই মঞ্চ থেকেই বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময়কে খাদ্য দফতরের দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত বাকিবুরের সঙ্গে তুলনা টেনে শুভেন্দু বলেছিলেন, বাকিবুরের মতোই এই রাইস মিলকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতি করেছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। অন্যদিক রাইস মিলে আয়কর দফতরের ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান শুরু হয় বুধবার। জানা গিয়েছে, ওইদিনই রাতে আয়কর প্রতিনিধিদের রাইস মিলে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল বিছানা, বালিশ নিয়ে। সেগুলিই ব্যবহার করেছেন আয়কর দফতরের প্রতিনিধিরা। তাঁদের জন্য খাবারও আসছে বাইরে থেকে।

    আয়কর হানা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, এই চালকলের ব্যবসা তন্ময়ের বাবার আমলের। তাই আয়কর দফতর যত চেষ্টাই করুক, আদপে তা টিকবে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পারছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘সামনের বছর শহিদ দিবসে চোরমুক্ত বাংলা দেখবেন’, নন্দীগ্রামে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘সামনের বছর শহিদ দিবসে চোরমুক্ত বাংলা দেখবেন’, নন্দীগ্রামে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহিদ স্মরণে শুক্রবার বিজেপি এবং তৃণমূলের আলাদা সভা ছিল নন্দীগ্রামে। কিন্তু বিজেপির সভা শেষ করতে পুলিশি তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ওই সভায় হাজিরও ছিলেন। তবে, বিজেপির সভা কিছুটা দীর্ঘয়িত হওয়ার অভিযোগ তুলে মঞ্চ থেকে কর্মীদের তাড়া করে নামিয়ে দেয় পুলিশ। শহিদ বেদি থেকে মালাও সরিয়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Suvendu Adhikari)  

    ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর ‘সূর্যোদয়’ অভিযানের ডাক দিয়েছিল রাজ্যের তৎকালীন শাসকদল সিপিএম। রক্তাক্ত অভিযানে প্রাণ গিয়েছিল জমি আন্দোলনের একঝাঁক নেতা-কর্মীর। এখনও বেশ কয়েকজনের হদিশ মেলেনি। তারপর থেকেই প্রতি বছর এই দিনটিতে নন্দীগ্রামের করপল্লিতে শহিদ স্মরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। শুভেন্দু দলে যোগ দেওয়ার পর থেকে বিজেপিও এখন এই কর্মসূচি করে। গত বছর এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এবার অবশ্য পরিস্থিতি ছিল শান্ত। সূত্রের খবর, তৃণমূল-বিজেপির সঙ্গে পুলিশের বৈঠকে প্রথমে সভা করার অনুমতি চায় বিজেপি। সেই মতো শুক্রবার সকাল ৮টায় করপল্লিতে শহিদ বেদিতে স্মরণসভার আয়োজন করার কথা তাদের। এরপর ৯টা নাগাদ সভায় যোগ দেওয়ার কথা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। ১০টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কথা। ৯টা ৪৫ মিনিটে যান শুভেন্দু। যার জেরে সভা দীর্ঘায়িত হয়। শহিদ স্মরণে ভাষণ শেষ হতেই পুলিশ তৎপর হয়ে বিজেপি কর্মীদের তাড়া করে সরিয়ে দেয়। এমনকী মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এমনকী, এরপরে  শহিদ বেদিতে থাকা ফুলের মালা দ্রুত খুলে ফেলা হয়। পরে, সেখানে তৃণমূল শহিদ স্মরণ কর্মসূচি পালন করে। যদিও সময় মতো সভা শেষ না করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। পুলিশ ইচ্ছাকৃত বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করতে এসব করেছে, অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।

    তৃণমূল নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    ভাষণের শেষে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘এবার আমাদের হাইকোর্টে যেতে হয়নি। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী নামাতে হয়নি। ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। আর পরের বছর যখন শহিদ স্মরণ হবে, তখন পশ্চিমবাংলায় আর এই চোরগুলো থাকবে না। ২৪ সালের ১০ নভেম্বর যখন শহিদ দিবস হবে, চোরমুক্ত বাংলা দেখবেন। আপনাদের কথা দিয়ে গেলাম’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বেশি প্রেম’, মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বেশি প্রেম’, মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এথিক্স কমিটি ইস্যুতে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। হাওড়ায় দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরই তিনি মহুয়াকে তীব্র আক্রমণ করেন।

    মহুয়াকে নিয়ে ঠিক কী বলেছেন অভিষেক?

    টাকার বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রথমবার মুখ খুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছিলেন, ‘এথিক্স কমিটিতে অনেকগুলি অভিযোগ পড়ে রয়েছে। আপনারা দেখেছেন, নতুন সংসদ ভবনে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরি কুকথা বলে কী করে সংসদের গরিমা নষ্ট করেছেন। বিজেপির এমন বহু সাংসদ রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশের শুনানি বকেয়া রয়েছে। কিন্তু, যদি কেউ সরকারের বিরোধিতা করে, সরকারকে প্রশ্ন করতে চায়, আদানির অপকর্ম নিয়ে প্রশ্ন করতে চায়, তাহলে কী করে তাঁকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়’। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার মনে হয় মহুয়া নিজেই নিজের লড়াই লড়ার জন্য যথেষ্ট। আমাকেও এরা ৪ বছর ধরে ডাকছে। আলাদা আলাদা কেসে নাম জড়াচ্ছে। একটা কেসে কিছু পাওয়া না গেলে আরেকটায় জড়াচ্ছে। এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।’

    অভিষেককে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    হাওড়ায় সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘বিষয়টার মধ্যে যখন দুবাই রয়েছে, তখন উনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) তো পাশে দাঁড়াবেনই। দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বিশেষ প্রেম। চোখ দেখাতেও দুবাই যান, পেট দেখাতেও দুবাই যান। খেতেও দুবাই যান। আর কী কী করতে যান আমি জানি না’। মূলত এই প্রসঙ্গে টেনে অভিষেক মহুয়াকে নিয়ে যে কথা বলেছেন, তার যে কোনও গুরুত্ব নেই, তা বোঝাতে চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    মহুয়া ইস্যুতে এনআইএ তদন্তের কেন দাবি জানালেন সুকান্ত?

    মহুয়াকে নিয়ে এথিক্স কমিটির সুপারিশ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, তাতে শুধু খারিজ করার সুপারিশ করেনি কমিটি। তার সঙ্গে বলেছে যে প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করানোর জন্য অর্থাৎ ইডি বা সিবিআইকে দিয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তদন্ত করানোর জন্য বলেছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মহুয়া মৈত্র সাংসদ হিসেবে লোকসভার ওয়েবসাইটের যে লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড পেয়েছেন, তা তিনি দর্শন হিরানন্দানি নামে এক ব্যবসায়ীকে দেন বলে অভিযোগ। তারপর দুবাই থেকে সেই লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লোকসভার ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। সুকান্ত বলেন, একজন সাংসদের লগ ইন আইডি চলে যাচ্ছে অন্য একজনের কাছে। তাও তাঁর পিএ-র কাছে গেলে বুঝতাম। কিন্তু, জানতে পেরেছি, সেই লগ ইন আইডি চলে যাচ্ছে দুবাইয়ে। তৃণমূল কংগ্রেস গ্যারান্টি দিতে পারবে যে এই লগ ইন আইডি দুবাইয়ের কোনও নাগরিক ব্যবহার করেননি বা দুবাইয়ের কোনও নাগরিকের উপস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়নি। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গে সমঝোতা করেছেন মহুয়া মৈত্র। এর এনআইএ তদন্ত হওয়া উচিত’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: আজব কাণ্ড! দুয়ারে রেশনে মিলছে টাকা! কীভাবে জানেন?

    Malda: আজব কাণ্ড! দুয়ারে রেশনে মিলছে টাকা! কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী রেশন বন্টন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। একের পর এক দুর্নীতিগ্রস্ত রাইস মিমল মালিক, রেশন ডিলারের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে। এসব ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল, তখন দুয়ারে রেশনে আজব ছবি দেখা গেল মালদার (Malda) পাকুয়ায়। খাদ্য সামগ্রীর বদলে গ্রাহকরা টাকা পাচ্ছেন। সেই টাকা গুনে গুনে দিচ্ছেন খোদ ডিলার নিজেই। দুয়ারে রেশনের এমনই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায় জেলার প্রশাসনিক মহলে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    গ্রাহকদের সুবিধার্ধে দুয়ারে রেশন চালু করেছে রাজ্য সরকার। এক বছর ধরে মালদাতেও (Malda) সে প্রকল্প চলছে। তবে পাকুয়ায় কামাতিপাড়ায় দুয়ারে রেশনের কোনও চিহ্ন নেই। নেই ফ্লেক্স, ফেস্টুন কিংবা খাদ্য সামগ্রী। রেশন ডিলার বিভা রায়ের ছেলে ঝঙ্কারেশ রায় কর্মীর পাশে দাঁড়িয়ে গ্রাহকদের হাতে হাতে দিচ্ছেন নগদ টাকা। এমনই অভিযোগ গ্রাহকদের। তাঁদের দাবি, রেশনের খাদ্য সামগ্রী আটা,চালের মান খুবই নিম্নমানের। তাই, চাল, আটা খোলা বাজারে বিক্রি করতে দিতে হয়। তবে রেশন ডিলার নিজেই রেশন দোকানে বসে আটা, চালের মূল্য ধরে টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। প্রত্যেককে টোকেন দেওয়া রয়েছে। সেই টোকেন নিয়ে ডিলারের কাছে গেলেই মিলছে টাকা। গ্রাহকদের বক্তব্য, আসলে রেশনে যে সামগ্রী দেওয়া হয় তা অত্যন্ত নিম্নমানের। রেশন ডিলার নিজেই তা কিনে নিতে চান। তাই, নিজের সামগ্রী সেখানে বিক্রি করে মূল্য পেয়ে যায়। রেশনে গুণগত মান ভাল দিলে আর আমরা বিক্রি করব না। 

    কী বললেন রেশন ডিলার?

    রেশন ডিলার বিভা রায়ের ছেলে ঝঙ্কারেশ রায় বলেন, নিয়ম মেনেই গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়। গ্রাহকদের কাছ থেকে রেশন কেনা কিংবা তাদের টাকা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। প্রশাসনর পক্ষ থেকে তদন্ত করা হোক। 

    কী বললেন খাদ্য দফতরের আধিকারিক?                                     

    মালদার (Malda) পাকুয়ার কামাতিপাড়ায় ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে যান বামনগোলার ফুড ইন্সপেক্টর মহম্মদ আলমেবাশেরুল। রেশন ডিলারের দোকান এবং গোডাউনেও যান তিনি। তিনি বলেন, রেশনে খাদ্য সামগ্রীর বদলে টাকা দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  বলে জানিয়েছেন খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্তারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                     

  • Kamarhati: ‘কামারহাটি পুরসভায় কাজ হচ্ছে না’, চেয়ারম্যানকে ধমক দিয়ে বললেন সাংসদ সৌগত

    Kamarhati: ‘কামারহাটি পুরসভায় কাজ হচ্ছে না’, চেয়ারম্যানকে ধমক দিয়ে বললেন সাংসদ সৌগত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তোলপাড় কামারহাটি (Kamarhati) পৌরসভা। পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে মাঝেমধ্যেই সিজিও তো ডাকছে ই়ডি। তার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডির তদন্তের মধ্যেই কামারহাটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তকে সাসপেন্ড করল পুর কর্তৃপক্ষ। এই তমালবাবুর বিরুদ্ধে বিপুল সম্পত্তি তৈরির অভিযোগ ওঠে। তমালবাবুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। কিছু নথি ও পাওয়া গিয়েছিল তার কাছ থেকে। এরপরেই তাকে সাসপেন্ড করে দেওয়ার ঘটনায় নিয়োগ দুর্নীতির কোনও ইস্যু রয়েছে কিনা তা নিয়েও গোটা পুরসভা জুড়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এই সব ঘটনা নিয়ে যখন কামারহাটি জুড়ে তোলপাড় চলছে, তখন বিস্ফোরক অভিযোগ করলে দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর কথায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।  প্রকাশ্যে তৃণমূল সাংসদদের বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে কামারহাটি পুর কর্তৃপক্ষ।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল সাংসদ? (Kamarhati)

    কামারহাটিতে (Kamarhati) তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। মঞ্চে উপস্থিত গোপাল সাহার পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, কামারহাটি পুরসভায় ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। কোন অর্ডার পাস হচ্ছে না। মানুষ কোন পরিষেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন। পরিষেবা দেওয়াটা সবার আগে দরকার। এই পুরসভায় এত কাউন্সিলর আছে, নিজেদের মধ্যে অন্য গল্প না করে নাগরিক পরিষেবা যাতে আরও উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত।  এমনকী পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার জন্য ধমক দেন। সাসপেন্ড হওয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি কি মহাপুরুষ। তিনি নেই বলে কাজ হবে না, এটা তো চলতে পারেনা।

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, সৌগত দা আমাদের অভিভাবক। তিনি পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও ধমক দেননি। তার নির্দেশ মেনে আগামী দিনে পুরসভা পরিচালনা করা হবে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন,, আমাদের মতো কোনও বিরোধী দল এই অভিযোগ করছে না। তৃণমূল দলের সাংসদ প্রকাশ্যেই বলছে কামারহাটি পুরসভা কোনও কাজ করছে না। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হয় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: “পুলিশ আধিকারিক আমার গলা টিপে ধরেছিলেন”, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের

    Bankura: “পুলিশ আধিকারিক আমার গলা টিপে ধরেছিলেন”, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটির নিধিরামপুর গ্রামে ফের নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিল। বুধবার স্থানীয় বিজেপি কর্মী শুভদীপ মিশ্র ওরফে দীপুর বটগাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তাল হয় ওই গ্রাম। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামে যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ও শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। এমনকী সত্যনারায়ণবাবুর গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠল এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। রীতিমতো বিজেপি বিধায়কের গায়ে হাত তুলে দাদাগিরি দেখানোর চেষ্টা করেন ওই পুলিশ আধিকারিক। কর্মীদের বিক্ষোভে পুলিশ আধিকারিক কিছুটা চুপসে যান। যদিও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধায়কের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bankura)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটি থানার নিধিরামপুর গ্রামে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় স্থানীয় বিজেপি কর্মী তথা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পঞ্চায়েত প্রার্থী শুভদীপ মিশ্র ওরফে দীপুর। বাড়ির অদূরে নিধিরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে বটগাছের ডালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে দাবি তুলে শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির নেতৃত্বে প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। পরে ঘটনার সিবি আই তদন্তের দাবিতে বিজেপি কর্মীরা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বৃহস্পতিবার নিধিরামপুর গ্রামে যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। সঙ্গে ছিলেন শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি ও ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। গ্রামে হাজির থাকা উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের কাছে ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিধায়করা। এক পুলিশ আধিকারিক উত্তেজিত হয়ে বিজেপি বিধায়কের গায়ে হাত দিয়ে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনেই ওই পুলিশ আধিকারিক দাদাগিরি দেখাতে শুরু করেন। বিধায়কের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন বলে কর্মীদের অভিযোগ। আর তাতেই ছাতনার ওই আক্রান্ত বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন। শুরু হয় প্রবল বচসা। পরে, দুপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    পুলিশের হাত তোলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ আধিকারিককে আমরা কিছু প্রশ্ন করি। ওই পুলিশ আধিকারিক ভয় দেখিয়ে আমার গলা টিপে ধরেছিলেন। তখনই আমি ক্ষোভ জানাই। ধমকে, চমকে আমাদের ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, পুলিশের তদন্ত নিয়ে গ্রামবাসীরা সন্দিহান। তাই, সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন। পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রকৃত তদন্ত করবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছে। আর বিধায়কের গায়ে পুলিশ আধিকারিকের হাত তোলা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিধায়ককে আঙুল তুলে কথা বলতে পারেন না পুলিশ। সেখানে বিধায়কের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share