Tag: West Bengal

West Bengal

  • Jalpaiguri: জেল থেকে বেরিয়েই যুব তৃণমূল নেতার ৫০ লক্ষ টাকার কালীপুজো! উৎস নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Jalpaiguri: জেল থেকে বেরিয়েই যুব তৃণমূল নেতার ৫০ লক্ষ টাকার কালীপুজো! উৎস নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের কালীপুজো এক সময় খবরের শিরোনামে থাকত। তিনি মাকে ৩০০ ভরি সোনার গয়না পরাতেন। এবার জেল ফেরত জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের কালীপুজো ঘিরে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কেন তৃণমূল নেতার পুজো ঘিরে চর্চা? (Jalpaiguri)

    গত কয়েক বছর ধরে সৈকত ‘যুব ঐক্য’ নাম দিয়ে কালীপুজো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে আসছেন। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) এক দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত হয়ে গত ১৬ অক্টোবর থেকে সৈকত প্রথমে পুলিশ, তার পরে জেল হেফাজতে ছিলেন। এবার সৈকতের নির্দেশ ছিল, পুজো চালিয়ে যাওয়ার। তবে আড়ম্বর না করার কথা বলা হয়েছিল। ১ নভেম্বর সৈকত জামিন পেতেই পুরো সিদ্ধান্ত বদলে যায়। বড় অনুষ্ঠানেরই পরিকল্পনা হয়। প্রায় একশোটি বিমান টিকিট কাটা হয়েছে শিল্পীদের আসা-যাওয়ার জন্য। কলকাতা থেকে নামী শিল্পীদের আনা হচ্ছে। ত্রিপুরা থেকে আসবে মেয়েদের একটি গানের দল। শিল্পী এবং সঙ্গীদের কয়েক জন আসবেন বিমানে। শুধু বিমান ভাড়াতেই লাখ পাঁচেক টাকা খরচ হচ্ছে বলে দাবি। সঙ্গে রয়েছে শিল্পীদের বাকি সঙ্গীদের জন্য ট্রেন ভাড়া। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর তিন দিন টানা সাত জন শিল্পীকে আনতেই প্রায় পঁচিশ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে বলে দাবি। মণ্ডপ তৈরিতে পড়ছে প্রায় আট লক্ষ টাকা। চন্দননগর থেকে আসছে আলোকসজ্জা। মণ্ডপের ভিতরে এক রকম, বাইরে এক রকম এবং মঞ্চে আর এক রকম আলোর সাজসজ্জা থাকছে। জলপাইগুড়ি ফণীন্দ্রদেব স্কুলের মাঠে পুজো এবং সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে বাঁশের কাজ, আলো মিলিয়ে অন্তত পাঁচটি ডেকোরেটর সংস্থা এবং ইভেন্ট পরিচালনা সংস্থা কাজ করছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    জেল থেকে বেরিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার পুজোর আয়োজন। এক তাড়াতাড়ি এতগুলো টাকা জোগাড় হল কী করে? অন্য পুজোর মতো রসিদ ছাপিয়ে বাড়ি-দোকান থেকে চাঁদা তোলা হয় না সৈকতের পুজোয়। টাকার উৎস নিয়ে তৃণমূল নেতা সৈকত বলেন, মানুষের ভালোবাসাতেই সব জোগাড় হচ্ছে। সদস্য চাঁদা রয়েছে। যাঁদের সঙ্গে মানুষ নেই, তাঁরা হিংসে থেকে অনেক কিছু বলতে পারেন। এটা নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কিছু নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, তৃণমূল নেতার পুজোর আয়োজন দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, চাঁদা তুলে এই পুজো করা সম্ভব নয়। এর পিছনে অর্থের জোগান রয়েছে। তৃণমূল নেতাদের কারা এই বিপুল পরিমাণ অর্থের জোগান দিচ্ছেন তার তদন্ত করলেই সব কিছু বেরিয়ে আসবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত সন্তানের রক্তের জন্য সবার হাতে-পায়ে ধরছেন দিশাহারা বাবা!

    Dakshin Dinajpur: থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত সন্তানের রক্তের জন্য সবার হাতে-পায়ে ধরছেন দিশাহারা বাবা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে তীব্র রক্তসংকট দেখা দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট ব্লাড ব্যাংকে। এই মুহূর্তে জেলার সদর বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। আগের তুলনায় রক্তদান শিবির না হওয়া এবং দিন দিন রক্তের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই সংকট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রক্তদান করতে ব্লাড সেন্টারে যোগাযোগ করার আর্জি জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।

    বালুরঘাট ব্লাড ব্যাঙ্কে প্রতিদিন গড়়ে ৪০-৫০ ইউনিট রক্তের চাহিদা রয়েছে

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলায় দুটি ব্লাড সেন্টার রয়েছে। যার মধ্যে বালুরঘাট ব্লাড সেন্টারে রক্তের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে। বর্তমানে বালুরঘাট ব্লাড সেন্টারে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। যার মধ্যে ২০-২৫ ইউনিট থ্যালাসিমিয়া রোগীদের রক্ত দেওয়া হয়। এছাড়াও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ও মুমূর্ষু রোগীদের বাকি রক্ত দেওয়া হয়। মাসে ১২০০-১৫০০ ইউনিট রক্তের চাহিদা থাকে বালুরঘাটে। এদিকে চাহিদা থাকলেও বর্তমানে ব্লাড ব্যাঙ্কে জোগান নেই বললেই চলে। বেশির ভাগ গ্রুপের নেগেটিভ ও পজেটিভ রক্তের কোনও ইউনিট নেই বললেই চলে। কারও রক্তের প্রয়োজন হলে দূরদূরান্ত থেকে নিয়ে যেতে হচ্ছে ডোনার। ডোনার না নিয়ে গেলে মিলছে না রক্ত। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের বক্তব্য, পুজো পার হওয়ার পর রক্তদান শিবির জেলায় শুরু হয়েছে। তবে রক্তদান শিবির হলেও আগে যে সংখ্যক মানুষ রক্তদান শিবিরে রক্তদান করতেন, তা এখন অনেক কম। যার ফলে রক্তদান শিবির হলেও সেখানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না।

    রোগীর পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাটের চকভৃগুর ব্লাড সেন্টারে রক্ত নিতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, “আমার ছোট্ট ছেলে থ্যালাসিমিয়ায় আক্রান্ত। আজ রক্ত দেওয়ার তারিখ। বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করার পরও মিলছে না রক্ত। সকলের হাতে-পায়ে ধরছি কেউ যাতে রক্তদান করে। কিন্তু রক্ত পাইনি। এদিকে সেম গ্রুপের ডোনার ছাড়া রক্ত পাওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।’ যশাহারের রমাজিৎ পালেরও একই অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, আমার বোন থ্যালাসিমিয়া আক্রান্ত। বালুরঘাট হাসপাতালে এসেও রক্ত পাইনি। অবশেষে আমার এক বন্ধুকে এনে বোনের জন্য রক্ত পেলাম। আগে থ্যালাসিমিয়া আক্রান্তদের সঙ্গে সঙ্গে রক্ত দেওয়া হত। কিন্তু এখন রক্ত ডোনার না আনলে পাওয়া যাচ্ছে না।’ এক কথায় বালুরঘাটে এখন রক্তের জন্য কার্যত হাহাকার। মানিকোরের বাসিন্দা শংকরী উড়াও এসেছিলেন দিদির জন্য রক্ত নিতে। তাঁর দিদি রক্তাল্পতায় ভগছে। রক্তের প্রয়োজন। ব্লাড সেন্টারে এসেও তিনি রক্ত পাননি। পরে ডোনার দিয়ে রক্ত পান।

    দক্ষিণ দিনাজপুর ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কী বললেন?

    রক্তের হাহাকারের কথা স্বীকার করে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দুলাল বর্মন বলেন, ‘পুজোর সময় থেকেই সংকট প্রকট হয়েছে জেলায়। রক্তদান শিবির না হওয়ায় এই পরিস্থিতি। আমরা সবরকমভাবে চেষ্টা করছি রক্তসংকট দূর করার। পাশাপাশি যারা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে তাদের কাছে আবেদন করছি যাতে বেশি করে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।’

    বালুরঘাট ব্লাড সেন্টারের চিকিৎসক কী বললেন?

    যদিও বালুরঘাট ব্লাড সেন্টারের চিকিৎসক দেবব্রত দে’র দাবি, ‘এখন প্রায় সারা বছরই রক্তসংকট থাকে। কিছু কিছু সময়ে রক্তসংকট বেড়ে যায়। তবে পুজোর পর রক্তদান শিবির শুরু হয়েছে। আশা করছি শিবির আগামীদিনে আরও বাড়বে। এছাড়াও সকলে যাতে রক্তদানে এগিয়ে আসেন। তার আবেদন করছি।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amdanga: প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে চলছে গাছ কাটা, অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতারা

    Amdanga: প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে চলছে গাছ কাটা, অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল মানে সাত খুন মাফ! দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আরাবুল ইসলাম সরকারি জমিতে তৃণমূলের পার্টি অফিস করছেন। এভাবে এলাকায় নিজের দাপট দেখান আরাবুল। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এবার পড়শি জেলা উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙার সাধনপুর পঞ্চায়েতের গজবন্দ গ্রামের মাঠে সরকারি জমিতে থাকা একের পর বড় বড় গাছ কেটে চুরি হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই সরকারি গাছ চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (North 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের মাঠে প্রায় ১৫ বিঘা জলাশয় বিশিষ্ট ঝিল রয়েছে। তার চারদিকে লাগানো রয়েছে বড় বড় গাছ। মূলত, জলাশয়ের শোভা বাড়ানোর জন্যই সরকারি এই গাছগুলিকে লাগানো হয়েছে। আর গাছগুলির পরিচর্যা করে থাকে আমডাঙা ব্লক প্রশাসন। আর সেই গাছ অবাধে চুরি হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, অ়ঞ্চলের কথায় গাছ কাটা হচ্ছে। অঞ্চলে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে, তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই গাছ কাটা চলছে। তাই, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

    স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?

    সরকারি গাছ কাটার বিষয়টি সামনে আসতেই পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে। গাছ কাটার দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান অলোক বাগ। বরং, তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিডিওকে জানানো হয়েছে।

    ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    আমডাঙার বিডিও নবকুমার দাস বলেন, বিষয়টি জানার পরই এই বিষয়ে আমি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। গাছ কাটা রুখতে আমরা যথার্থ চেষ্টা করব। সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তাই, সরকারি গাছ কোনওভাবেই আমরা আর কাটতে দেব না। আর কারা গাছ কেটেছে তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ৩০০ ভরি সোনার গয়নায় কালীমাকে সাজিয়েছিলেন কেষ্ট, এবার কী হবে?

    Anubrata Mondal: ৩০০ ভরি সোনার গয়নায় কালীমাকে সাজিয়েছিলেন কেষ্ট, এবার কী হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় বীরভূম জেলার শেষ কথা ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচার কাণ্ডে তিনি এখন তিহার জেলে রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে কেষ্টহীন অবস্থায় এবারও পুজো হবে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। আর কেষ্ট ছাড়া এবার পুজোয় কেমন আড়ম্বর হবে, তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    অনুব্রতর সময় পুজোর আয়োজন কেমন হত? (Anubrata Mondal)

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আশির দশকের শেষের দিকে কেষ্টর (Anubrata Mondal) হাত ধরে এই পুজো শুরু হয়। তবে, তখন খুব বেশি জাঁকজমক হত না। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুজোর আড়ম্বর ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। যদি দিন গিয়েছে, জেলা তথা রাজ্য রাজনীতিতে কেষ্টর জমি ততই শক্ত হয়েছে। আর ফি বছর মায়ের পুজোর জাঁকজমক তত বেড়েছে। ২০২০ সালে মাকে সোনার মুকুট, বাউটি, বাজুবন্ধন, কানের দুল, গলার হার, হাতের আংটি, কোমর বিছে মিলিয়ে প্রায় ৩০০ ভরির বেশি সোনার গয়নায় সাজানো হয়েছিল। গত বছর গরু পাচার মামলায় অনুব্রত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলে যায়। এবারও আর পুজোতে তিনি থাকতে পারবেন না। ফলে, পুজোর সেই আড়ম্বরও এবার অনেকটাই ম্লান। দলীয় কার্যালয়ে থাকা মা কালীর বিপুল পরিমাণ গয়নাও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই গয়না দিয়েছিলেন যে ব্যবসায়ী, তাঁকেও আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, কেষ্টদা (Anubrata Mondal) এবার পুজোয় থাকবেন আমরা সকলেই আশা করেছিলাম। কিন্তু, সেটা তো হল না। খারাপ লাগছে। নিয়ম মেনে পুজোর আয়োজন করা হবে। প্রশ্নে তাঁর জবাব, অন্তরের শ্রদ্ধাই বড় কথা, কতটা গয়না দেবীকে পরানো হল, বড় কথা নয়। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর যেটুকু গয়না পরানো হয়েছিল, এ বছর তার থেকেও কম অলঙ্কারে সাজানো হবে কালীকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Titagarh: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এক যুবককে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে খুন, নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Titagarh: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এক যুবককে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে খুন, নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটল বারাকপুরের টিটাগড়ে (Titagarh)। এলোপাথাড়়ি গুলি চালিয়ে এক যুবককে খুন করে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। বুধবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় পুরসভার উড়ানপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মহম্মদ হাসান ওরফে ছোটকা। ১০ দিন আগেই দুই কাউন্সিলারের গন্ডগোলের জেরে টিটাগড়ের পুরানো বাজার এলাকায় আকাশ প্রসাদ নামে এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয়। সনু সাউ নামে তৃণমূল কাউন্সিলারের অনুগামীদের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। তারপর পুলিশ অনেক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছিল। এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়। কিন্তু, ১০ দিনের মধ্যে ফের খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, পুরানো কোনও শত্রুতা জেরেই দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তলাশি চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Titagarh)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোটকার বিরুদ্ধে মাদক মামলা সহ পুলিশের খাতায় একাধিক মামলা রয়েছে। গত ৬ মাস আগে সে জেল থেকে বাড়়ি ফিরে আসে। এরপর সে একটি মাংসের দোকানে কাজ করা শুরু করে। এদিন বিকেলে সে টিটাগড়ের (Titagarh) উড়ানপাড়া এলাকায় বাড়ির কাছেই দাঁড়িয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিকালের দিকে রাস্তায় লোকজন ছিল।   আচমকাই একটি বাইকে তিনজন আসে। তারা খুব কাছ থেকে ওই যুবককে লক্ষ্য দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে আমরা হামলাকারীদের পিছনে ধাওয়া করি। কিন্ত, তারা জোরে বাইক চালিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে বারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    টিটাগড় (Titagarh) পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউ বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ওই যুবক সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ফলে, পুরানো গন্ডগোলের কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: রাজ্যে ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল যুবকের, আতঙ্ক

    Dengue: রাজ্যে ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল যুবকের, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতেও ঘাতকের রূপ নিল ডেঙ্গি (Dengue)। বুধবার সকালে শিলিগুড়ি পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক যুবকের মৃত্যু হয়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই যুবকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের দাবি, এবছর শিলিগুড়িতে ডেঙ্গিতে এটিই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Dengue)

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ নভেস্বর, মঙ্গলবার ২৭ বছর বয়সী ওই যুবককে এখানে ডেঙ্গি শক সিনড্রোম নিয়ে ভর্তি করানো হয় একটি নার্সিংহোমে। পাঁচদিন ধরে জ্বর ছিল। তার আপার ইন্টেস্টিনাল ব্লিডিং হচ্ছিল। হাসপাতালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, প্লেটেলেট কমে যাওয়ায় দুই ইউনিট প্লেটলেট দেওয়া হয়। আমরা তাঁকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। এদিন সকালে ডেঙ্গি শক সিনড্রোমে সেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্ত বলেন, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে এবার প্রথম থেকেই শিলিগুড়ি পুরসভা ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে। গত জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৪২৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর ঘটনা এদিনই প্রথম ঘটল। তবে এবার শিলিগুড়ি শহরে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গতবারের মতো ব্যাপক আকার নেয়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ২৭ বছর বয়সের ওই যুবকের মৃত্যুতে শিলিগুড়ি শহরে ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণের প্রকৃত চেহারা প্রকাশের দাবি তুলেছে বিজেপি। পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপি কাউন্সিলার অমিত জৈন বলেন, শহরে অনেকদিন থেকেই ডেঙ্গি ব্যাপক আকার নিয়েছে। সেই তথ্য গোপন রেখে মেয়র সহ তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড উৎসব নিয়ে ব্যস্ত। তাই অক্টোবর মাসেই দেড়শোরও বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রন্ত হয়েছেন। পুজোর সময়ে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম (ভিসিটি) কাজ করেনি। মশা নিধনে ফগিং, স্প্রে হয়নি। সকলে উৎসব নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অক্টোবর মাসে শিলিগুড়ি শহরের ডেঙ্গি ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে ডেঙ্গির প্রকৃত চিত্র সামনে আনছে না পুরসভা। এদিন ডেঙ্গিতে এক যুবকের মৃত্যু হলেও তা আড়াল করার প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক কী বললেন?

    দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ তুলসী প্রামাণিক বলেন, ওই যুবক ডেঙ্গিতে (Dengue) মারা গিয়েছে, তা এখনই  নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। কারণ তার যে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, তার প্রকৃত কারণ জানতে হবে। অন্য কোনও কারণে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকতে পারে এবং সেই অবস্থাতে সে ডেঙ্গি আক্রান্ত হতে পারে। তাই ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: সেই সিঙ্গুরেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! জমি অধিগ্রহণে গিয়ে এবার ঘাড়ধাক্কা খেল মমতার দফতর

    Singur: সেই সিঙ্গুরেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! জমি অধিগ্রহণে গিয়ে এবার ঘাড়ধাক্কা খেল মমতার দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। নিয়ম মেনে জমি অধিগ্রহণ করে টাটা গোষ্ঠী হুগলির সিঙ্গুরে (Singur) ন্যানো কারখানা তৈরি করছিল। ৯০ শতাংশ কারখানা তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। দো-ফসলি জমি নষ্ট করে শিল্প করা যাবে না, এই অজুহাত দেখিয়ে চাষিদের বন্ধু হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে আন্দোলন শুরু করেছিল তৃণমূল। তৃণমূলের আন্দোলনে পিছু হটতে বাধ্য হয় টাটা গোষ্ঠী। সিঙ্গুর আন্দোলনের উপর ভর করে রাজ্যে বামফ্রন্টকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এরপর এক যুগ কেটে গিয়েছে। এবার সেই সিঙ্গুর, সেই জমির গেরো! আর তাতেই মমতা সরকারের আমলে জুয়েলারি হাবের ভবিষ্যৎ শিকেয়। আপাতত হন্যে হয়ে জমি খুঁজছে হুগলি জেলা প্রশাসন। এলাকার মানুষের বাধায় জুয়েলারি হাব করার জন্য তৃণমূল সরকার সিঙ্গুরে জমি পায়নি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত এই কাজ করা হবে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Singur)

    এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সিঙ্গুরে (Singur) নসিবপুর পঞ্চায়েতে সরকারি খাস জমিতে ০.২৩ একর জমিতে সিঙ্গুর ইমিটেশন জুয়েলারি ক্লাস্টার গড়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, সেখানে ৩৮টি ইউনিট থাকবে। এর মাধ্যমে হাজার পাঁচেক মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজ পাবেন, মিলবে নানা ধরনের সুবিধা। গত মার্চ মাসেই সরকারি কর্তারা জমি মাপতে এলাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে তাঁরা বাধা পান। টাটাদের যেভাবে বাধা দেওয়া হয়েছিল, ঠিক একইভাবে এলাকার মানুষ সরকারি ওই আধিকারিকদের বাধা দেন। ব্লক প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা পৌঁছলেও জট কাটেনি। এলাকার মানুষ সরকারি আধিকারিকদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখিয়ে বলেছিলেন, এই জমি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তা কিছুতেই করতে দেওয়া হবে না। জেলা প্রশাসন বহু চেষ্টা করেও চাষিদের মন জয় করতে পারেনি। আর তাই বছরের প্রায় প্রথম দিক থেকে জমি নিয়ে এই হাব তৈরিতে সমস্যা হলেও বছর শেষেও এই সমস্যা মিটল না। সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টুম্পা ঘোষ বলেন, ‘জায়গাটা নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’ বিরোধীদের বক্তব্য, এই ঘটনা থেকে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে সিঙ্গুরেও মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল। চাষিরাও আর দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল সরকারের উপর আর ভরসা রাখতে পারছে না। এই সিঙ্গুর তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছে, এই সিঙ্গুরই তৃণমূলকে ডোবাবে।

    কী বললেন জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার?

    জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার সুমনলাল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘সিঙ্গুরে (Singur) জুয়েলারি হাবের জন্য আগে যে জমি দেখা হয়েছিল সেখানে কিছু সমস্যা আছে। আমরা নতুন জমি খুঁজছি। আমরাও চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব জমি খুঁজে এই ক্লাস্টারের কাজ চালু করা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উত্তাল বাঁকুড়া, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Bankura: বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উত্তাল বাঁকুড়া, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটি থানার নিধিরামপুর গ্রাম। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মৃতের নাম শুভদীপ মিশ্র। তিনি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের কাছে বুধবার সকালে বটগাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন শুভদীপবাবু। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজনের অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bankura)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভদীপ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হওয়ায় এলাকার মানুষের অনেকটাই কাছের হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ভালো সংগঠক ছিলেন। মাঝে মধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। গত সাতদিন আগে তিনি উধাও হয়ে যান। মঙ্গলবারই বাড়ি ফেরেন। এরপরই এদিন সকালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির কাছে একটি বটগাছের ডালে নাইলন দড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। দেহের সঙ্গে বাঁধা ছিল হাত। প্রকৃত তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ গেলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। পুলিশ কুকুর এনে তদন্তের দাবি জানানো হয়। এভাবে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে দেহ আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ। তার পর ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ দেহ নিতে গিলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। দোষীদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবি তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামের মানুষ। ভাঙচুর করা হয় প্রতিবেশী এক মহিলার বাড়িও। ওই মহিলা-সহ তাঁর পরিবারের তিনজনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা প্রথমে বাধা দেন।খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে যান শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি যান। মৃতের গলা থেকে ফাঁস খুলে দেহ গাড়িতে চাপিয়ে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই শালতোড়ার বিধায়ক পুলিশের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ পাঁজাকোলা করে বিধায়ককে সরিয়ে দেয়।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি বলেন, পরিবারের দাবি, দীপুকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। আমি তদন্তের দাবি জানালে আমাকেও হেনস্তা করেছে পুলিশ। রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। আমরা তদন্তের দাবি থেকে নড়ছি না। এর পর আমরা গঙ্গাজলঘাটি থানা ঘেরাও করব। প্রয়োজনে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করব।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন তিনি ট্যুইট করে স্পষ্ট বলেছেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী শুভদীপের জনপ্রিয়তা মানতে পারেনি তৃণমূল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় খুন করা হয়েছে শুভদীপকে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের আড়াল করবে রাজ্য পুলিশ, সিবিআই তদন্ত চাই’।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের গঙ্গাজলঘাটি-২ নম্বর সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি নিমাই মাজি বলেন, ঘটনা আত্মহত্যা কি না তা তো তদন্তেই বোঝা যাবে। পারিবারিক কারণেই এই ঘটনা বলে আমার ধারণা। প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে ওই যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তার জেরে এই ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়া থেকে হেঁটে অযোধ্যার রামমন্দির পাড়ি দিলেন গোপাল, কুর্ণিশ এলাকাবাসীর

    Nadia: নদিয়া থেকে হেঁটে অযোধ্যার রামমন্দির পাড়ি দিলেন গোপাল, কুর্ণিশ এলাকাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। নিজের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে পায়ে হেঁটে প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার অতিক্রম করে অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দিলেন নদিয়ার (Nadia) চাকদার গোপালবাবু। চলতি মাসের গত ৬ তারিখে রওনা দেন তিনি। বর্তমানে তিনি রয়েছেন শিমলাগড়ে। ৪৫ বছর বয়সে তাঁর এই উদ্যোগ দেখে কুর্ণিশ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

    প্রতিবেশীরা কী বললেন? (Nadia)

    নদিয়ার (Nadia) চাকদা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ঘোষপাড়ার বাসিন্দা অরিন্দম সিংহরায়। এলাকায় তিনি গোপাল নামেই পরিচিত। তিনি ছাড়া পরিবারে রয়েছেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধা মা। গোপালবাবু এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। প্রতিবেশীরা বলেন, পায়ে হেঁটে অতটা পথ যাওয়া যায়, তা আমরা ভাবতেই পারছি না। নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য তাঁর এই উদ্যোগকে আমরা কুর্ণিশ জানাই। তিনি যেন সুস্থ এবং স্বাভাবিকভাবে পবিত্র রাম মন্দির দর্শন করে বাড়ি ফিরে আসতে পারেন, এটাই আমরা চাই।

    প্রতিদিন ৩০ কিলোমিটার করে হাঁটছেন গোপালবাবু

    গোপালবাবু বলেন,  ২০০৮ সাল থেকেই আমার মনের ভেতরে অযোধ্যার রাম মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। পায়ে হেঁটে অযোধ্যায় গিয়ে রামের পবিত্র চরণ ধূলিতে পদার্পণ করার ইচ্ছে মনে মনে ভেবে রেখেছিলাম। পরবর্তীকালে সেই ইচ্ছার কথা এলাকাবাসীর কাছে প্রকাশও করেছিলাম। প্রতিবেশীরাও আমাকে উৎসাহ দিয়েছিলেন। এবার সেই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যেই পথ চলা শুরু করেছি। তিনি বলেন, প্রতিদিন ৩০ কিলোমিটার হাঁটার পরিকল্পনা রয়েছে। পথ চলতি মানুষেরও এই দুদিনে উৎসাহ অনেক উৎসাহ পেয়েছি। কেউ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন, কেউ বা আবার আমাকে খাওয়ানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ফলে, রাস্তায় থাকা, খাওয়ার অভাব এখনও হয়নি।  রাস্তায় পরিচিত অপরিচিতরা ডেকে নিয়ে গিয়ে থাকার জায়গা দিচ্ছেন, খাওয়ার সুব্যবস্থাও করছেন তারা। কেউ আবার অনলাইনে আর্থিক সাহায্য করছেন। ৯০ দিনে অযোধ্যা মন্দিরে প্রবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। যে রাস্তা ধরে আমি যাচ্ছি তাতে প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার বা তার বেশি পথ আমাকে যেতে হতে পারে। গোপাল বাবুর এই উৎসাহ এবং উদ্যোগ দেখে প্রতিবেশীরাও সাধুবাদ জানিয়েছেন।  তবে গোপালবাবু জানিয়েছেন তিনি পায়ে হেঁটে অযোধ্যায় রওনা দিলেও বাড়ি ফেরার সময় ট্রেনে করে বাড়ি ফিরবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী মামলার হুঁশিয়ারি দিলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থামবে না’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী মামলার হুঁশিয়ারি দিলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থামবে না’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বাজার এলাকায় বিজয়া সম্মেলনীতে উপস্থিত হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্য সরকারের একের পর এক মন্ত্রীরা সবাই জেলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতিগ্রস্তদের আড়াল করছেন। নিজের মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের আগলে রাখতে এবং নির্দোষ প্রমাণ করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু, যতই ভয় দেখাক না কেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থামবে না। রাজ্য সরকারের যে পাহাড় সমান দুর্নীতি, সেই দুর্নীতির মুখোশ এবার সাধারণ মানুষের সামনে খুলে গিয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার রাজনীতিতে অবদান হল অশিক্ষিত লোকেদের রাজনীতিতে আনা। মুখ্যমন্ত্রী এই মন্ত্রে বিশ্বাস করেন “কাজের সময় কাজী, আর কাজ ফুরালেই পাজি”। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে বলছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন, তাদেরকে জেরা করা প্রয়োজন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলছেন, তিনি কিছু জানেন না। দশ বছর ধরে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক চুরি করে যাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী জানেন না এই কথা বললে আর কেউ বিশ্বাস করবে না।

    দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    আগামী লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় পদ্ম ফোটাতে মরিয়া প্রচেষ্টা শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। কর্মীদের চাঙা করতে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) এদিন বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি প্রার্থী ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করবে। মানুষ এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে আর দেখতে চাইছে না। বিজেপি একমাত্র পারবে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়ে তুলতে। তাই, জোটবদ্ধ হয়ে কর্মীদের এখন থেকে লড়াই করার ডাক দিলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share