Tag: West Bengal

West Bengal

  • Nadia: বিজেপি সাংসদের উদ্যোগ, ৪২ লক্ষ টাকা খরচ করে গড়ে উঠছে বৈদ্যুতিক চুল্লি

    Nadia: বিজেপি সাংসদের উদ্যোগ, ৪২ লক্ষ টাকা খরচ করে গড়ে উঠছে বৈদ্যুতিক চুল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়ে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাসে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিন মাসের মধ্যে তিনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন। সাংসদের হাত ধরে এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবির অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বৈদ্যুতিক চুল্লি পেতে চলেছেন নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস এলাকার বাসিন্দারা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Nadia)

    নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাস একটি ধর্মীয় তীর্থস্থান হওয়ার সুবাদে সারা বছর দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে ওই এলাকায়। পাশাপাশি ধর্মীয় স্থান হওয়ার সুবাদে একটি অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক চুল্লি নির্মাণের মধ্যে দিয়ে মহাশ্মশান গড়ে তোলার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছিলেন এলাকাবাসীরা। গত ১৮ই অগাস্ট ভারত ভুক্তি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে এসে এলাকাবাসীদের দাবি মতো শিবনিবাসে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি গড়ে তোলার আশ্বাস দেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এরই মধ্যে এলাকার উন্নতির স্বার্থে শুকদেব ঘোষ নামের স্থানীয় এক সহৃদয়ক ব্যক্তি বৈদ্যুতিক চুল্লি নির্মাণের জন্য স্বেচ্ছায় জমি দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এমনকী সরকারকে তিনি জমি রেজিস্ট্রি পর্যন্ত করে দেন। মূলত তারই পরিপ্রেক্ষিতে এলাকাবাসীদের দীর্ঘ প্রত্যাশিত বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির কাজ বাস্তবায়িত হতে চলেছে। চূর্ণি নদীর ধারে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির কাজ শুরু হতে চলেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সাংসদ প্রতিশ্রুতি দেওয়ার তিনমাসের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ায় খুব ভালো লাগছে।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, এই এলাকার মানুষের এটা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। গত অগাস্ট মাসে তাঁদের দাবির বিষয়টি জানতে পারি। এরপরই আমি উদ্যোগী হয়ে ৪২ লক্ষ টাকা অনুমোদনের ব্যবস্থা করি। আসলে এই চুল্লিটি তৈরি হলে কৃষ্ণগঞ্জ, শিবনিবাস এলাকা ছাড়াও আশপাশের একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের শবদেহ দাহ করার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: কোচবিহারে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে হামলা, ভাঙচুর করা হল মঞ্চ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Cooch Behar: কোচবিহারে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে হামলা, ভাঙচুর করা হল মঞ্চ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই সংগঠনকে ঢেলে সাজানো ও শক্তিশালী করে তুলতে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। রাজ্যের শাসকদল যেমন দিনহাটা মহকুমার বিভিন্ন স্থানে বিজয়া সম্মিলনী করে চলেছে, তেমনই পিছিয়ে থাকছে না গেরুয়া শিবিরও। বিজেপির সেই বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। বুধবার কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকের আটিয়াবাড়ি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলতলা এলাকায় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানস্থলে এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে, পুলিশি নিরাপত্তায় বিজয়া সম্মিলনী হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Cooch behar)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের আটিয়াবাড়ির বেলতলা এলাকায় বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীর প্রস্তুতি চলছিল। তৃণমূলের একদল দুষ্কৃতী লাঠিসোঁটা নিয়ে বাইকে চেপে সেখানে এসে তাণ্ডব চালাতে থাকে। তারা মঞ্চ ছাড়াও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। অনুষ্ঠানের হাঁড়ি-কড়াই নিয়ে চলে যায়। বিজেপি কর্মীরা তাদের দেখে সেখান থেকে কার্যত পালিয়ে যান। খবর পেয়ে দিনহাটা থানার বিশাল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ পৌঁছতেই দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায়। এরপর পুলিশের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিজেপির পূর্বনির্ধারিত বিজয়া সম্মিলনী সম্পন্ন হয়।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপির দিনহাটা মণ্ডলের সহ-সভাপতি রফিক খান বলেন, ‘সন্ত্রাস করে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা এসে অনুষ্ঠানস্থলে ভাঙচুর করে, দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেয়। দলীয় কর্মী-সমর্থকরা প্রতিবাদ করায় তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।’

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    অপরদিকে তৃণমূলের আটিয়াবাড়ি ২ নম্বর অঞ্চল সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, একশো দিনের কাজের টাকা না পেয়ে সেই টাকা সম্পর্কে জানতে গিয়েছিল। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’ অন্যদিকে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, ‘বিজয়া সম্মিলনীর মধ্য দিয়ে বিজেপি কর্মীরা নিজেরাই গন্ডগোল করে। তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। এতে লাভ কিছু হবে না।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: প্রকাশ্যে ছাত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপ, বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন একজন, রোমহর্ষক ঘটনা বীরভূমে

    Birbhum: প্রকাশ্যে ছাত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপ, বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন একজন, রোমহর্ষক ঘটনা বীরভূমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনবহুল এলাকায় মিষ্টির দোকানে বসেছিলেন এক কলেজ ছাত্রী। আচমকা তিনজন এসে প্রকাশ্য দিবালোকে ওই কলেজ ছাত্রীকে কাটারি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম কলেজ ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি সদর হাসপাতালে। হামলাকারী কলেজ ছাত্রীর পূর্ব পরিচিত। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়ার তালতলায়। অভিযুক্ত যুবকের নাম আজিজুল সেখ। তাকে গ্রেফতার করেছে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বর থানার ওলকুণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী তাঁর বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার নিজের কলেজ সাঁইথিয়া অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ে মার্কশিট তুলতে গিয়েছিলেন। কলেজে গিয়ে ছাত্রীটি জানতে পারে তার মার্কশিট অন্য কেউ তুলে নিয়েছে। খোঁজ খবর করে জানা যায়, ছাত্রীরই পূর্ব পরিচিত আজিজুল সেখ জালিয়াতি করে তার মার্কশিট তুলে নেয়। ছাত্রীর বন্ধু বান্ধবরা মিলে অভিযুক্ত যুবককে ধরে তার কাছ থেকে মার্কশিটটি উদ্ধার করে। ওই যুবককে বকাঝকাও করা হয়। এরপরে মেয়েটি যখন বাবার সঙ্গে কলেজ থেকে বেরিয়ে সাঁইথিয়ার তালতলায় এসে বাস ধরার জন্য যায়। বাস দেরিতে আসছে দেখে একটি  মিষ্টির দোকানে তারা ঢোকেন। অভিযুক্ত আজিজুল সেখ তার দুই বন্ধুকে নিয়ে সেখানে কাটারি নিয়ে আচমকা হামলা চালায় ছাত্রীর উপর। ছাত্রীর হাত ও পায়ে আঘাত লাগে। মেয়েটিকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন মিষ্টির দোকানের মালিকও। সেই এলাকার মানুষজন ছুটে এসে অভিযুক্ত যুবকদের ধরে ফেলে ও পুলিশের হাতে তুলে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রীটিকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ও আহত দোকানদারকে সাঁইথিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। সাঁইথিয়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত যুবকটিকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ময়ূরেশ্বরের ছোটতুড়ি গ্রামে। আক্রান্ত ছাত্রীর বাবা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছেলেটি আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিল। কলেজেও এদিন ঝামেলা হয়েছিল। তারপরই এভাবে হামলা চালাবে তা আমরা ভাবতেই পারছি না। কয়েক বছর আগে প্রকাশ্য রাস্তায় সুতপা চৌধুরী নামে এক কলেজ পড়ুয়াকে সুশান্ত চৌধুরী কুপিয়ে খুন করেছিল। এদিনের হামলার ঘটনা সেই ঘটনাকেই স্মরণ করিয়ে দিল।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের কী বক্তব্য?

    প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ওরা খুব চুপচাপ ঘটনাস্থলে এসেছিল। ওদের সঙ্গে ধারাল অস্ত্র ছিল তা কেউ দেখতে পায়নি। আচমকা তারা হামলা চালায়। তবে, মিষ্টি ব্যবসায়ী ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার না করলে বড় বিপদ হতে পারত।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: চালু না হওয়া গোডাউনে চালের বস্তা বোঝাই ট্রাক ঢুকত কার? বালুর জন্মভিটেয় বাকিবুর যোগ

    Jyotipriya Mallick: চালু না হওয়া গোডাউনে চালের বস্তা বোঝাই ট্রাক ঢুকত কার? বালুর জন্মভিটেয় বাকিবুর যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাদ্যমন্ত্রী থাকার সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) খাদ্য দফতরের গোডাউন তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। মন্ত্রীর নির্দেশ মতো তাঁর জন্মভিটে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর ব্লকে গোডাউন তৈরি হয়। কিন্তু, খাতায় কলমে সেই গোডাউন চালু হয়নি। তাতে কী হয়েছে, মাঝে মধ্যে গোডাউনে ট্রাক বোঝাই করে চালের বস্তা ঢুকত। কিছুদিন থাকার পর তা আবার বেরিয়ে যেত। কোথায় তা নিয়ে যাওয়া হত তা কেউ জানেন না। মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর ওই ট্রাক বোঝাই চালের মালিক কারা ছিল তা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। এই গোডাউনে বাকিবুর রহমানের মাল মজুত থাকত কি না তা নিয়ে এলাকাজুড়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

     ঠিক কী অভিযোগ? (Jyotipriya Mallick)

    খাদ্যমন্ত্রী (Jyotipriya Mallick) থাকাকালীন রেশনের চাল মজুতের গোডাউন তৈরি নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, কয়েক কোটি টাকা খরচ করে ৫ হাজার মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন সরকারি গোডাউনটি তৈরি হলেও চালু হয়নি এখনও। নতুন গোডাউন তৈরি হলেও কয়েক মাসের মধ্যে তার অবস্থা জীর্ণ হয়ে পড়ে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছে এই গোডাউনটি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।  জানা গিয়েছে, মন্তেশ্বর ব্লকের পুড়শুড়ি এলাকায় কয়েক বিঘা জমির উপর কয়েক কোটি টাকা সরকারি অর্থ খরচে তৈরি হয়েছে  এই রেশন সামগ্রী মজুতের বিশাল গোডাউন। এই গোডাউনে রেশনের  চাল মজুত করার কথা। আরও জানা গিয়েছে, ৫ হাজার মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন গোডাউনটি কয়েক বছর ধরে তৈরি করে পূর্ত দফতর।  ২০২৩ সালের মার্চ মাসে এই গোডাউনটি খাদ্য দফতরের হাতে হস্তান্তর হলেও এখনও চালু হয়নি। এর মধ্যেই রঙ চটা থেকে প্লাস্টার খসতে শুরু করেছে। গোডাউনে থাকা সাইনবোর্ড খুলে ভিতরে রাখা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গোডাউনে মাঝে মধ্যে ট্রাক বোঝাই করে চালের বস্তা আসত। এখন শুনছি, গোডাউন চালুই হয়নি। তাহলে ওই চালের বস্তাগুলি কাদের ছিল? গোডাউনের ইনচার্জ সুকান্ত মণ্ডল বলেন, চলতি বছরের মার্চ মাসে আমরা গোডাউনটি হাতে পেয়েছি। এখনও চালু হয়নি। তবে, গোডাউনে গাড়ি ঢোকার বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে গোডাউন তৈরি করা হয়েছিল। গোডাউন তৈরিতে কাটমানি খেয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। আমাদের এলাকায় মন্ত্রী থাকেন বলে আমরা গর্ব করতাম। এই মন্ত্রী এত দুর্নীতিগ্রস্ত তা ভাবতে পারছি না। আর অবাক হয়ে যাচ্ছি, গোডাউন চালু না হলেও কী করে সেখানে ট্রাকে করে চালের বস্তা আসত। এর পিছনে বাকিবুর জড়িত কি না তা তদন্ত করে দেখা দরকার।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের জেলা নেতা দেবু টুডু বলেন, বালু দাকে (Jyotipriya Mallick) চক্রান্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। তিনি কোনও দুর্নীতি করেননি। আর গোডাউন নিয়ে বিরোধীরা যে সব অভিযোগ তুলছেন সবই ভিত্তিহীন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: চাকরির হাহাকার রাজ্যে, ধারদেনা করে ৫ লাখ টাকা দিয়ে প্রতারিত শিক্ষিত যুবক!

    Fraud: চাকরির হাহাকার রাজ্যে, ধারদেনা করে ৫ লাখ টাকা দিয়ে প্রতারিত শিক্ষিত যুবক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের হাতে এরাজ্যে কাজ নেই। আগে টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের ধরে কিছুটা সরকারি চাকরি হলেও নিয়োগ-দুর্নীতি সামনে আসতেই এখন সরকারি নিয়োগও খুব কম হচ্ছে। ফলে, ভালো চাকরি পাওয়ার আশায় শিক্ষিত অনেক বেকার ছেলেমেয়ে খপ্পরে পড়ে প্রতারণার (Fraud) শিকার হচ্ছেন। শুধু সরকারি নয়, টাকার বিনিময়ে বেসরকারি চাকরি পেতেও মরিয়া হয়ে উঠেছেন শিক্ষিত বেকার যুবকরা। এরকমই একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এক যুবকের প্রায় ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানা এলাকায়। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সুদীপ ভট্টাচার্য। উত্তর ২৪ পরগণার নিমতা থানার ২ নম্বর শ্রীকৃষ্ণপল্লিতে তাঁর বাড়ি। বর্ধমান শহরের বাদামতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Fraud)

    পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে শক্তিগড় থানার গাংপুরের যুবক অর্ঘ্য দাস একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। পরের দিন তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র চাওয়া হয়। তারপর নানা অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়। চাকরি পাওয়ার আশায় ওই বেকার যুবক প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দেন। তিনি বাবা-মা এবং পরিচিতদের কাছ থেকে ধারদেনা করে ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৫৮ টাকা প্রতারকদের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করেন। কিন্তু, চাকরি হয়নি। উল্টে আরও ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জমা করার জন্য বলা হয়। টাকা জমা না করলে চাকরি হবে না বলে তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। বারবার টাকা চাওয়ায় সন্দেহ হয় অর্ঘ্যের। প্রতারিত (Fraud) হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি ঘটনার কথা জানিয়ে গত ১২ অক্টোবর শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। শক্তিগড় থানা ঘটনার কিনারা করতে সাইবার থানা থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য নেয়। অভিযুক্তদের ফোন নম্বর এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে সাইবার থানা জানতে পারে, কলকাতার বিরাটি থানা এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় অর্ঘ্যর দেওয়া টাকা জমা পড়েছে। ব্যাঙ্কের নথি দেখে সেটি সুদীপের বলে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। তাঁর অ্যাকাউন্টে ৪ দফায় টাকা জমা পড়ার নমুনা পান তদন্তকারীরা। তারপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এর পিছনে বড় প্রতারণা (Fraud) চক্র কাজ করছে। এর সঙ্গে অনেকেই রয়েছে। কারণ, এতবড় চক্র একজনের পক্ষে চালানো সম্ভব নয়। টাকা কার কার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আমরা একজনকে ধরতে পেরেছি। ৬ দিনে হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই চক্রের সঙ্গে যারা রয়েছে তাদের সকলকে ধরা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘কেষ্ট’র জেলযাত্রা দেখেও শিক্ষা হয়নি! তাঁরই কায়দায় বিরোধীদের হুঁশিয়ারি কাজল শেখের

    Birbhum: ‘কেষ্ট’র জেলযাত্রা দেখেও শিক্ষা হয়নি! তাঁরই কায়দায় বিরোধীদের হুঁশিয়ারি কাজল শেখের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘চড়াম-চড়াম’, ‘নকুল দানা’ সহ আরও কত কী! তৃণমূলের বীরভূম (Birbhum) জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দৌলতে বঙ্গ রাজনীতিতে এই সব শব্দের আমদানি হয়েছিল। গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত এখন তিহার জেলে রয়েছেন। তাতেও যে অনুব্রতহীন বীরভূমে শাসক নেতাদের তেজ একটুকুও কমছে না, তা প্রমাণ করলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। এখন তিনিও সেই অনুব্রতের ঢঙে হুঁশিয়ারি দেওয়া শুরু করেছেন।

    ঠিক কী বলেছেন কাজল শেখ? (Birbhum)

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। ধীরে ধীরে তপ্ত হতে শুরু করেছে বাংলার মাটিও। এরই মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের সুরেই বীরভূমে (Birbhum) দাঁড়িয়ে হুমকির সুর শোনা গেল কাজল শেখের গলায়। তিনি বললেন, ‘খেলা হবে অপেক্ষা করুন।’ এদিন কাজল বললেন, ভোটের আগে বহিরাগতরা বীরভূমে এলে তাদের কোথায় পাঠাতে হবে, সেটা আমি ঠিক সময়ে দলীয় কর্মীদের জানিয়ে দেব।’ বীরভূমের রামপুরহাটে দলের শ্রমিক সংগঠনের একটি সভা ছিল। সেখানেই রণংদেহি মেজাজে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখার সময় দলের কর্মীদের উদ্দেশে কাজল বলেন, ‘ভোটের সময় অন্য রাজ্য থেকে প্রতিবারই আসে। ওরা আসবে। আমাদের আজকের প্রজন্মের তরুণ ভাইদের টাকার লোভ দেখিয়ে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করবে। আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করবে। তাই আমি আমার ভাইয়ের বলব তোমরা একজোট হও, সব সময় চোখ খোলা রেখো, ঘুমিয়ে থেকো না। তাদের সকলকেই নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে হবে। তবে কোথায় পাঠাতে হবে সেটা এখন বলব না। সময় এলে ঠিক বলে দেব।’ কেষ্টর ঢঙে তাঁর এই হুঁশিয়ারি নিয়ে এখন জেলাজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, জেলায় অনুব্রত বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত কাজল। তিহারে যাওয়ার পর থেকে দলের সংগঠনের রাশ কাজলের হাতে চলে আসে। দিন দিন কোণঠাসা হয়ে প়ড়ছে কেষ্ট অনুগামীরা। দলীয় কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে কেষ্টর নাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে গঙ্গাভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে জমি, ভিটে! আতঙ্কিত বাসিন্দারা, প্রশাসন কী করছে?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে গঙ্গাভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে জমি, ভিটে! আতঙ্কিত বাসিন্দারা, প্রশাসন কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত এক সপ্তাহ ধরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই গঙ্গায় তলিয়ে যাচ্ছে জমি। ভেঙে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি। ভিটেছাড়া হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। প্রাণ হাতে করে গ্রাম ছাড়ছেন লোকজন। এরকম একটা অবস্থায় কী করছে প্রশাসন? তাদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য? (Murshidabad)

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গত সপ্তাহ থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে ২২টি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে সংখ্যাটি অনেক বেশি। ভাঙন রুখতে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। ২০-২৫ নৌকা ভর্তি বালির বস্তা দিলে কিছুটা কাজ হত। সেখানে দুনৌকা বালির বস্তা নিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ফলে, এলাকাবাসী নৌকা ঘিরে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন। পরে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, আমাদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এখানে বালির বস্তা দিচ্ছে। আমাদের তো মনে হচ্ছে এতে আরও সমস্যা বাড়ছে। আমাদের মা-বোনরা সবাই বারান্দায় ঘুমচ্ছে। খেয়াল রাখছে এই বুঝি হয়ত বাড়ি ভেঙে পড়ে গেল নদীর জলে। বালির বস্তার জায়গায় যদি পাথর ফেলা হতো তাহলে হয়ত ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হত। বারংবার এই দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও সুরাহা হয়নি।

    পঞ্চায়েত সমিতি কর্মাধ্যক্ষ কী বললেন?

    পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মইমুর শেখ বলেন, পাথর ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করার মতো অর্থ আমাদের নেই। ফলে, তা আমরা করতে পারব না। বালির বস্তা দিয়ে আমরা যতটা পারছি ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করছি। গত সপ্তাহে দুনৌকা বালি দেখে এলাকার মানুষ ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। এখন পর্যাপ্ত বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন মোকাবিলা করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: লক্ষ্মীপুজোর পর শুরু হয় ‘দুর্গাপুজো’, মেতে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    Durga Puja 2023: লক্ষ্মীপুজোর পর শুরু হয় ‘দুর্গাপুজো’, মেতে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা কয়েকদিন পর কালীপুজো শুরু। তার আগেই উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘির সিঙ্গারদহ গ্রামের বাসিন্দারা মেতে ওঠেন দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2023)। রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষরা এই পুজো করেন। লক্ষ্মীপুজোর পর শুরু হয় ‘দুর্গাপুজো’। চারদিন ধরে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা।

    দশমীর আটদিন পর শুরু হয় এই পুজো (Durga Puja 2023)

    উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘির সিঙ্গারদহের বাসিন্দারা দশমীর আটদিন পর দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) আনন্দে মেতে ওঠেন। এখানে ‘সোনামতি কুম্ভরানি’ হিসেবে পূজিত হন দেবী দুর্গা। করণদিঘির অন্যত্র যখন বিষাদের সুর, তখনই দেবীর বোধনকে কেন্দ্র করে উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভেসে গিয়েছে গোটা গ্রাম। দুর্গাপুজোর সঙ্গে এই পুজোর মিল রয়েছে অনেকটাই। যেমন দুর্গাপুজোর মতোই সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত দেবী পূজিত হন এখানে। পুজোকে কেন্দ্র করে মেলাও বসে গ্রামে। মায়ের কাছে প্রার্থনা জানাতে দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় এখানে। প্রচলিত আছে পশু বলিও। কয়েকশো বছর আগে এই পুজো শুরু হয়েছিল। পুজোর প্রায় এক সপ্তাহ পর এই পুজো শুরু হওয়ায় এই গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রামগুলিতে এর গুরুত্বই আলাদা। তাই এখানকার পুজোতে ভক্তির টানে ছুটে আসেন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। মায়ের নামে বেশ কয়েক বিঘা জমি আছে। জমির ফসলের লাভ থেকে এই পুজো হয়।

    পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য?

    পুজো কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত সিনহা বলেন, সঠিক কবে এই পুজো শুরু হয়েছিল, তা জানা নেই। তবে, কয়েক পুরুষ ধরেই এই পুজো হয়ে আসছে। এই পুজোয় (Durga Puja 2023) প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয়স্বজনরা এসে ভিড় করেন। শুধু তাই নয়, এই পুজো দেখতে পাশের বিহার, বাংলাদেশ এবং নেপালের মানুষও সামিল হন। পুজোকে কেন্দ্র করে বিশাল মেলা হয়। মায়ের কাছে মানত রাখেন। দুর্গাপুজো নয়, আমরা সারা বছর এই পুজোর জন্যই মেতে অপেক্ষায় থাকি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণধর্ষণের শিকার, পূর্ব মেদিনীপুরের ১১ বছরের নাবালিকার (11 years old girl) গর্ভপাতে সন্মতি (Abortion Permission) দিল মেডিক্যাল বোর্ড। এরপরই ওই নাবালিকার যত দ্রুত সম্ভব গর্ভপাত করানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। সেই কারণে তমলুক হাসপাতালে পরিকাঠামো না থাকায় এসএসকেএম হাসপাতালে ওই নাবালিকাকে নিয়ে আসতে বলেছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ

    পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরে। জানা গেছে, তমলুকের বাসিন্দা, ওই ১১ বছরের মেয়ে যে ছ’মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছে, তা নাকি জানতেই পারেননি বাবা-মা! জানতে পারার পরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁদের। তাই তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন চলতি মাসের ১৬ তারিখে। আবেদন করেন, ২৪ সপ্তাহের ভ্রূণ গর্ভপাত করাতে চান মেয়ের। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি হয়। তাতে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন নাবালিকার বয়স নিয়ে। মেয়েটির পরিবারের আইনজীবী আদালতে জানান, মেয়েটি একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। এখন সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। তবে সেই নাবালিকা সন্তান জন্ম দেওয়ার মতো মানসিক বা শারীরিক অবস্থায় নেই। ২৪ সপ্তাহের পরে গর্ভপাতের নজির বিরল, তবে এক্ষেত্রে নাবালিকার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আদালত অনুমতি দিক। 

    আরও পড়ুন: বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানোতেই জোর বিশেষজ্ঞ মহলের! কেন জানেন?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    পাড়ায় খেলতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় বছর এগারোর ওই কিশোরী। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত তিনজনও নাবালক। রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের সাহায্যে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। তার পর থেকে নাবালিকা এখন হোমে রয়েছে। সে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে বেশ দুর্বল। তাছাড়াও একটি ১১ বছরের মেয়ের পক্ষে সন্তানের জন্ম দেওয়া ও দায়িত্ব নেওয়া প্রায় অসম্ভব। তার মেডিক্যাল রিপোর্টও বলছে, বয়স কম হওয়ায় গর্ভস্থ সন্তানের ওজন কম রয়েছে এবং অন্য সমস্যাও বেশ কিছু রয়েছে। তমলুক হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে দেখা গিয়েছে গর্ভপাতের প্রয়োজন রয়েছে। এরপরই আদালত (Calcutta High Court) এই রায় দেয়।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • CV Ananda Bose: “মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে দিল্লি যাচ্ছি”! তির্যক মন্তব্য রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে দিল্লি যাচ্ছি”! তির্যক মন্তব্য রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, আজ সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই জেলায় জেলায় ঘুরছেন রাজ্যপাল। ভোটে নিহত বা আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। গিয়েছেন হাসপাতালেও। জানা যাচ্ছে, সেই রিপোর্টই তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা দিতে পারেন। 

    কেন হঠাৎ দিল্লি যাত্রা?

    নির্বাচনের আগে থেকেই সক্রিয় দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। নিজেকে গ্রাউন্ড জিরো রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলে অভিহিত করেছেন সিভি আনন্দ বোস। নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন ভোট সন্ত্রাসের করুণ কাহিনি। ভোটের দিনেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। তার আগে আরও ১৯ জনের প্রাণ গিয়েছে এই ভোটকে কেন্দ্র করে। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের বলি হিসেবে উল্লেখ করেছে মাত্র ১০ জনকে। আর ভোটের দিন প্রাণ হারিয়েছেন মাত্র ৩ জন। ময়দানে নেমে এই বৈপরীত্যও প্রত্যক্ষ করছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেছেন, “এই হিংসাশ্রয়ী ভোট দেখার পর রাজ্যপাল হিসেবে যা করার করব।” একই সঙ্গে দিল্লি রওনা হওয়ার আগে রাজ্যপালের তির্যক মন্তব্য “একটু মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে আমি দিল্লি যাচ্ছি।” রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়িয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিতে পারেন রাজ্যপাল। 

    আরও পড়ুন: আজ গান্ধীনগর থেকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন এস জয়শঙ্কর

    রবিবার সন্ধ্যায় রাজভবন থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছয় রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) কনভয়। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন সাংবাদিকরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে আসেন রাজ্যপাল। মুখে ছিল স্মিত হাসি। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি রাজ্যে ৩৬৫ ধারা জারির সুপারিশ করতে দিল্লি যাচ্ছেন? রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদন জানাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে? জবাবে রাজ্যপাল বলেন, তিনি একটু মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে চান, তাই দিল্লি পাড়ি। নিজের ব্যক্তিগত কিছু কাজও রয়েছে বলে জানান তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share