Tag: West Bengal

West Bengal

  • Bengali New Year: অন্যরকম নববর্ষ পালন! প্রকৃতিরক্ষায় যজ্ঞের আয়োজন গেরুয়া শিবিরের

    Bengali New Year: অন্যরকম নববর্ষ পালন! প্রকৃতিরক্ষায় যজ্ঞের আয়োজন গেরুয়া শিবিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রভাত ফেরি, নাচ-গান সহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাস্তাজুড়ে আলপনা। এরকম নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শনিবার সকাল থেকেই বর্ষবরণ (Bengali New Year) উৎসবে মেতে উঠেছিল শিলিগুড়ি। প্রচলিত এই ছন্দের বাইরে গিয়ে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন শিলিগুড়িতে একটু অন্যরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। উত্তরবঙ্গের জল-জঙ্গল এবং প্রকৃতিকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে এদিন বিশাল যজ্ঞের আয়োজন করে গেরুয়া শিবির। 

    যজ্ঞ দেখতে ভিড় প্রচুর মানুষের

    বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন (Bengali New Year) সকাল থেকেই কালীবাড়িগুলিতে ভিড় ছিল ভালোই। ব্যবসায়ীরা নতুন খাতার পুজো দিতে লম্বা লাইন দেন। সেখানে শিলিগুড়ির প্রাচীন আনন্দময়ী কালীবাড়িতে আলাদা করে নজর কাড়ে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উদ্যোগে আয়োজিত এই যজ্ঞ অনুষ্ঠান। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির নেতৃত্ব। এই যজ্ঞ দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। শঙ্কর ঘোষ বলেন, উত্তরের প্রকৃতি আমাদের গর্ব। তা রক্ষা করা আমাদের সকলের কর্তব্য৷ সেই সচেতনতা সকলের মধ্যে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই যজ্ঞের আয়োজন। এই দিনটিতে উৎসবে মাতোয়ারা মানুষের মনে নিজের প্রাকৃতিক সম্পদ, নদী, জঙ্গলকে রক্ষার তাগিদ জাগ্রত করাটা এই অনুষ্ঠানের একটি দিক। যাতে বছরের প্রথম দিন থেকেই প্রতিটি মানুষ নিজের নিজের এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ বাঁচানর জন্য সচেতন হন,, শপথ গ্রহণ করেন। এই বার্তা দিতেই আমরা এদিন হোম-যজ্ঞ করি।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ?

    এক প্রশ্নের উত্তরে শঙ্করবাবু বলেন, বন আইন, পরিবেশ আইন-কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে যেখানে সেখানে হোটেল, রিসর্ট, বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স তৈরি হয়েই চলেছে। এতে বন্যপ্রাণীরা বিপন্ন হয়ে পড়ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্যও বিনষ্ট হচ্ছে। তিস্তা নদীতে ক্র্যাসার নামিয়ে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে পাথর তুলে পাচার করা হচ্ছে। এভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এর প্রতিবাদেই আমি উত্তরবঙ্গের বন ও নদী বাঁচাতে আন্দোলনে নেমেছি। নববর্ষের প্রথম দিন (Bengali New Year) এদিনের যজ্ঞ তারই একটি অঙ্গ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Accident Death: বর্ষশেষে মর্মান্তিক ঘটনা, নাগরদোলার বিয়ারিংয়ে চুল জড়িয়ে মৃত্যু তরুণীর

    Accident Death: বর্ষশেষে মর্মান্তিক ঘটনা, নাগরদোলার বিয়ারিংয়ে চুল জড়িয়ে মৃত্যু তরুণীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বাংলার মানুষ যখন আনন্দে আত্মহারা, ঠিক তখনই বাঁকুড়ায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। নতুন বছরের নতুন সূর্যোদয় দেখা হল না এক তরুণীর। বর্ষশেষে চড়কের মেলায় গিয়েছিল ওই তরুণী। উঠেছিল একটি নাগরদোলায়। কিন্তু এই ওঠাই যে তার শেষ ওঠা হবে, তা কে জানত! নাগরদোলার পিলার ও বিয়ারিংয়ে চুল জড়িয়ে প্রায় ২০ ফুট উপর থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু (Accident Death) হল তার। আনন্দ-উৎসব মুহূর্তে পরিণত হল বিষাদে। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ওই তরুণীর নাম প্রিয়ঙ্কা বাউরি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কলকাতায়। যদিও পথেই তার জীবনের যবনিকা নেমে আসে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার এক্তেশ্বরের গাজন মেলায়। ওই তরুণীর বাড়ি সানবাঁধা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদুল গ্রামে। কয়েকজনের সঙ্গে সে এসেছিল ওই মেলায়। যদিও অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগরদোলায় ওঠার পর তরুণী নাকি সেলফি তুলছিল। আর তখনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উল্লেখ্য, বীরভূমের মেলায় একইভাবে নাগরদোলায় চেপে সেলফি তুলতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন এক যুবক। এক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কিনা, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই নাগরদোলার যান্ত্রিক ত্রুটিবিচ্যুতি ছিল কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানিয়েছেন, নাগরদোলায় চড়া অবস্থায় ওই তরুণীর চুল ছিল খোলা। সেই খোলা চুলই নাগরদোলার বিয়ারিংয়ে জড়িয়ে যায়। ফলে ঝুলতে থাকে ওই তরুণী। এরকম একটা অবস্থায় থাকার ফলে মাথার খুলিও উপড়ে যায় (Accident Death)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর বাবা হিমঘরের কর্মী ছিলেন। এই ঘটনা শোনার পরই তার পরিবার তো বটেই, শোকে মূহ্যমান গোটা গ্রাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gajan Festival: গাজন উৎসবে মহিলারাও সন্ন্যাসী হন, বাণ ফুঁড়ে আরাধনা করেন শিবের

    Gajan Festival: গাজন উৎসবে মহিলারাও সন্ন্যাসী হন, বাণ ফুঁড়ে আরাধনা করেন শিবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কগাজন উৎসবে (Gajan Festival) মাতোয়ারা আরামবাগ মহকুমার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার নীলষষ্ঠীর পুজোর দিন থেকেই আরামবাগের মইগ্রাম, বাতানল, নারায়ণপুর, খানাকুলের ঘন্টেশ্বর ছাড়াও পুরশুড়া ও গোঘাটের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী গাজন উৎসব। কয়েকশো বছরের পুরনো মইগ্রাম, বাতানল ও খানাকুলের ঘন্টেশ্বরে শিবের গাজনে অগণিত ভক্তের ঢল নেমেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে এখানে মহিলারাও সন্ন্যাসী হন। পাশাপাশি চলে বাণ ফোঁড়া। কেবলমাত্র পুরুষরাই বাণ ফোঁড়েন, তেমনটা নয়, মহিলারাও বাণ ফুঁড়ে শিবের আরাধনা করেন।

    ছুটে আসেন বিদেশি পর্যটকরাও

    এই বাণ ফোঁড়া দেখতে শুক্রবার সকাল থেকেই অসংখ্য মানুষের ভিড় জমে ওঠে বাতানল, মইগ্রাম ও ঘন্টেশ্বরের গাজন উৎসবে (Gajan Festival)। তবে আরামবাগের বাতানাল গ্রামের রাত গাজন হল খুবই বিখ্যাত। বহু প্রাচীনকাল থেকেই এই বাতানাল গ্রামের বুড়ো শিবের রাত গাজন দেখতে বহু দূর-দূরান্ত থেকে অগণিত শিবের ভক্ত ও বিদেশি পর্যটক এখানে উপস্থিত হন। এছাড়াও দিনের বেলা দিন গাজনেও প্রচুর বিদেশি পর্যটক আসেন এই গাজনের দিনে। অন্যান্য জায়গার থেকে বাতানাল গ্রামে শিবের গাজন হল প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী। ইংল্যান্ড, রাশিয়া, আমেরিকা ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু বিদেশি আসেন। শুধু তাই নয়, আরামবাগের মুইগ্রাম এলাকাতেও বহু বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটে।

    কী জানালেন উৎসব কমিটির কর্মকর্তারা?

    মইগ্রামের গাজন উৎসব (Gajan Festival) কমিটির সম্পাদক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, নীলষষ্ঠী ও গাজন উৎসবের পৌরাণিক ইতিহাস সবার জানা। শিবকে সন্তুষ্ট করতেই এই গাজন। ভক্তরা নিজেদের উপর শারীরিক অত্যাচার করে শিবের ধ্যান ভঙ্গ করেন। এলাকা ছাড়া দূরদূরান্তের মানুষ উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গেই মইগ্রামে গাজন দেখতে ভিড় জমান। সব মিলিয়ে বলা যায়, আরামবাগ মহকুমার বাসিন্দারা এখন গাজন উৎসবে মেতে উঠেছেন।

    গাজন (Gajan) শব্দের মানে কী ?

    গবেষকদের মতে, গা শব্দের অর্থ হল গ্রাম। এবং জন মানে জনগণ। বিশ্বাস মতে, এই সময় হর কালীর বিবাহ হয়েছিল। শিব হলেন জনগণের দেবতা। গ্রামের জনগণ সবাই দেবতার বিয়েতে বরযাত্রী যাওয়ার উদ্দেশে সমবেত হন। আবার অন্য একটি মত হল, গাজন (Gajan Festival) শব্দটি এসেছে ‘গর্জন’ থেকে। অনেকে বলেন, সন্ন্যাসীদের হুঙ্কারই শিবসাধনায় গাজন নামে প্রচলিত হয়। বাংলার মঙ্গলকাব্যেও গাজনের উল্লেখ মেলে। ধর্মমঙ্গল কাব্যে রাণী রঞ্জাবতী ধর্মকে তুষ্ট করতে গাজন (Gajan Festival) পালন করেছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে। গাজন বা চরক শুধুই শিবের আরাধনা হলেও এই উৎসব পালিত হয় ধর্মরাজকে ঘিরেও। আর দুই দেবতার পুজোতেই জাতপাতের ভেদাভেদ ভেঙে যে কেউ অংশ নিতে পারে। এটাই বাংলার সংস্কৃতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amartya Sen: জমি-বিবাদে অমর্ত্য সেনকে ‘চরমপত্র’! এবার কি তাহলে উচ্ছেদ অভিযানে নামতে চলেছে বিশ্বভারতী?

    Amartya Sen: জমি-বিবাদে অমর্ত্য সেনকে ‘চরমপত্র’! এবার কি তাহলে উচ্ছেদ অভিযানে নামতে চলেছে বিশ্বভারতী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতী বনাম নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) জমি-বিবাদ এবার মারাত্মক দিকে মোড় নিল। এতদিন বিষয়টি আলাপ-আলোচনা বা চিঠি-চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখনও তাই-ই আছে। কিন্তু এবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অমর্ত্য সেনকে যে নোটিশ পাঠিয়েছে, তার বিষয়বস্তু নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা শুরু হয়েছে। অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তীকে ই-মেইল মারফত যে নোটিশ বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার পাঠিয়েছেন, তাতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৯ শে এপ্রিল ১৯৭১ সালের দখলদার উচ্ছেদ আইন অনুযায়ী ‘কড়া পদক্ষেপ’ নেবে কর্তৃপক্ষ। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি এবার সরাসরি উচ্ছেদ অভিযানে নামতে চলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ? 

    কী নিয়ে উভয়পক্ষের এই বিবাদ?

    বিবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে অমর্ত্য সেনের লিজ নেওয়া জমি। অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) দাবি, জমির পরিমাণ ১.৩৮ একর। বিশ্বভারতীর বক্তব্য, জমির পরিমাণ আরও কম এবং সেটা হল ১.২৫ একর। বিশ্বভারতীর অভিযোগ, ওই বাড়তি জমি অমর্ত্য সেন জোর করে দখল করে রেখেছেন এবং তা ভোগদখল করছেন। তাই তা আসলে বিশ্বভারতীর নিজস্ব সম্পত্তি। অন্যদিকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের দাবি, বিশ্বভারতী ঠিক কথা বলছে না। ওই জমি কিনেছিলেন তাঁর বাবা। সেই সংক্রান্ত কাগজপত্রও তাঁর কাছে রয়েছে। 

    কেন পরিস্থিতি জটিল দিকে মোড় নিল?

    বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ শে মার্চ এই বিষয়ে আলোচনার জন্য অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) ডাকা হয়েছিল শুনানিতে। কিন্তু তিনি আসতে পারেননি। আরও কিছুটা সময় চাওয়া হয়েছিল তাঁর পক্ষ থেকে। বিশ্বভারতীর বক্তব্য, আইন মোতাবেক তাঁকে সাতদিনের বেশি সময় দেওয়া যায় না। যেখানে অমর্ত্য সেন চেয়েছিলেন আরও চার মাস সময়। নোটিশে একথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আগামী ১৯ তারিখ চাইলে অমর্ত্য সেনের আইনজীবী হাজির থাকতে পারবেন, এমনকি তিনি চাইলে ই-মেইলে তাঁর বক্তব্য জানাতে পারেন।

    পুলিশ-প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?

    অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) এখন রয়েছেন বিদেশে। তিনি আগামী ১৯ শে এপ্রিলের মধ্যে আসতে পারবেন, এমন সম্ভাবনাও নেই বলেই জানা গিয়েছে। তাই ‘প্রতীচী’ বাড়ি ঘিরে যে কোনও ধরনের গণ্ডগোল হতে পারে, এরকম একটা আশঙ্কা রয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অমর্ত্য সেনের এই বাড়ি ঘিরে যাতে শান্তি বজায় থাকে, তা দেখতে স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mango Cultivation: তীব্র দাবদাহে পোকার আক্রমণ, ঝরে যাচ্ছে আম, দাম কি এবার নাগালে থাকবে?

    Mango Cultivation: তীব্র দাবদাহে পোকার আক্রমণ, ঝরে যাচ্ছে আম, দাম কি এবার নাগালে থাকবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দয়ে পোকার আক্রমণে ঝরে যাচ্ছে আম। মাথায় হাত আমচাষিদের। গত কয়েকদিনের তীব্র দাবদাহের ফলে এই দয়ে পোকার উপদ্রব বেড়েছে। আর যে কারণে মালদার অর্থকারী ফসল আম (Mango Cultivation) ক্ষতির মুখে। চিন্তিত মালদা জেলা উদ্যানপালন ও বাগিচা দফতরের আধিকারিকরা। জরুরি ভিত্তিতে এই পোকার উপদ্রব কমাতে আমচাষিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

    উৎপাদনে ঘাটতির আশঙ্কা উদ্যানপালন দফতরের

    মালদা জেলাতে ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমচাষ (Mango Cultivation) হয়। এই বছর চার লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। দয়ে পোকার আক্রমণের ফলে আম উৎপাদনের যে টার্গেট জেলা উদ্যানপালন ও বাগিচা দফতরের কর্তারা করেছিলেন, তাতে ভাটা পড়তে পারে, এমনই আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এই বছরের শুরুতে আম উৎপাদনে অনুকূল আবহাওয়ার ফলে চাষি থেকে ব্যবসায়ী সকলেই খুশিতে ছিলেন। সময়ের আগেই মালদার আমবাগান মুকুলে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমজনতাও মালদার আমের স্বাদ অল্প খরচে পাবেন, আশা করেছিলেন এমনটাই। কিন্তু গত কয়েকদিনের তীব্র দাবদহ কপালে ভাঁজ ফেলেছে সকলের। 

    কেমন আশঙ্কায় আছেন আমচাষিরা?

    আমচাষি রতন ঘোষ জানাচ্ছেন, যেহারে এই পোকার উপদ্রব বেড়েছে, তাতে আমকে বাঁচিয়ে রাখা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঋণ নিয়ে আমচাষ (Mango Cultivation) করেছি। প্রথমে মুকুল ভালো হওয়ায় আশা করেছিলাম, এবার হয়তো ফলন ভালো হবে। দুপয়সার মুখ দেখবো। আজ হতাশ। রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন, দ্রুত এই পোকার উপদ্রব থেকে আমকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করা হোক।  

    কী বলছেন উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক?

    জেলা উদ্যানপালন বাগিচা দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, আমচাষে (Mango Cultivation) পোকার উপদ্রব শুরু হয়েছে। তীব্র দাবদাহও চলছে। এই সময়  সংবেদনশীল পোকা মারার কীটনাশক স্প্রে  করার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া নিম তেল জাতীয় জিনিস জলে মিশিয়ে স্প্রে করলে এই দয়ে পোকার উপদ্রব কমে যাবে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Municipality Corruption: স্বজনপোষণের ঠেলায় পুরসভায় উপচে পড়ছে অস্থায়ী কর্মী, বেতন দিতে নাভিশ্বাস

    Municipality Corruption: স্বজনপোষণের ঠেলায় পুরসভায় উপচে পড়ছে অস্থায়ী কর্মী, বেতন দিতে নাভিশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক সময়ে বেতন দিতে নাভিশ্বাস উঠছে। কোনও মাসেই নাকি সময়ে বেতন হয় না, এমনই জোরালো অভিযোগ ঘিরে তেড়েফুঁড়ে উঠলেন হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারীরা। বুধবার একপ্রস্থ বিক্ষোভ দেখানোর পর বৃহস্পতিবারও পুরসভা চত্বরে চেয়ারম্যানের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বুধবার চেয়ারম্যান অমিত রায় পুরসভায় ঢুকতে গেলে বাধাপ্রাপ্ত হন। তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে হাতাহাতিও হয়। আসলে বেতন ঠিক সময়ে হবে কী করে? প্রতিটি দফতরেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত লোক নেওয়া হয়েছে (Municipality Corruption)। পুরসভার দেওয়ালে কান পাতলে এমনই অভিযোগ শোনা যায়।

    কী বলছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক?

    চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের বক্তব্য, বাম আমল থেকে যেসব অস্থায়ী কর্মী এখানে কাজ করত, তাদের সরানো হয়নি। আবার জনসংখ্যা বাড়ছে, তার সঙ্গে কাজের চাপও বাড়ছে। তাই বাড়তি কিছু লোকও নিতে হয়েছে অস্থায়ী হিসেবে।”

    বর্তমানে চিত্রটা কী? 

    পুরসভা সূত্রে খবর, এখানে প্রায় ২২০০ অস্থায়ী কর্মী (Municipality Corruption)! আর ন্যূনতম মজুরি মাথাপিছু ২৭০ টাকা প্রতিদিন। প্রায় ৬০০ জনের মজুরি রাজ্য পুর উন্নয়ন সংস্থা থেকে আসে। বাকি ওই বিপুল বোঝা পুরসভাকেই টানতে হয়। কিন্তু সেই অর্থে এই পুর এলাকায় কোনও শিল্প না থাকায় পুরকরও তেমন ওঠে না। তাই মাঝে মধ্যেই অনিয়মিত হয়ে পড়ে অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি। 

    ‘অস্থায়ী কর্মচারীদের অধিকাংশই তৃণমূলের ক্যাডার’, অভিযোগ বিজেপির

    বিরোধী দল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ওই বিপুল সংখ্যক অস্থায়ী কর্মীদের (Municipality Corruption) তৃণমূল আমলেই যে যেরকম পেরেছে ঢুকিয়ে গেছে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ অভিযোগ করেন, এদের মধ্যে অধিকাংশই তৃণমূল পার্টির ক্যাডার। অর্ধেক লোক কাজ করে না, বাড়িতে বসে সারা মাসের মজুরি তুলে নেয়। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। এখানে বেশিরভাগ চোর। আমরা চাইছি অবিলম্বে চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করিয়ে এখানে অ্যামিনিস্ট্রেটর বসানো হোক। 

    প্রায় ২ ঘণ্টা অবস্থানের পর অস্থায়ী কর্মচারী ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনায় বসেন চেয়ারম্যান অমিত রায়। আগামী সোমবারের মধ্যেই মজুরির বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। এরপর অবস্থান ওঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Atm Card: পুকুরপাড়ে বস্তাভর্তি এটিএম কার্ড, ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়

    Atm Card: পুকুরপাড়ে বস্তাভর্তি এটিএম কার্ড, ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা জেলার রতুয়া দুই নম্বর ব্লকের মহারাজপুর এলাকায় বিপুল পরিমাণে এটিএম কার্ড (Atm Card) উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে। পরিত্যক্ত পুকুরের পাড় থেকে এক বস্তা এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে, যার ওজন প্রায় ১০ কেজি। এমনটাই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। এত এটিএম কার্ড কীভাবে এলাকায় পৌঁছল? ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হন স্থানীয়রা। 

    কী করে মিলল এতো এটিএম কার্ড?

    পাড়ারই একটি অল্পবয়সী ছেলে সকালে গিয়েছিল পুকুরপাড়ে। সেখানেই সে ওই মুখবাঁধা বস্তাটি দেখতে পায়। হাইস্কুলের পিছনে একটি গর্তের মধ্যে সেটি ছিল। তারপর সে সেটি বাড়ি নিয়ে আসে। কিন্তু তার দাবি, ভিতরে কী আছে না দেখেই সেটি সে বিক্রি করে দেয়। অন্যদিকে, পড়ে থাকা কিছু এটিএম কার্ডে (Atm Card) পাড়ারই পরিচিতদের নাম দেখে সন্দেহ হয় কয়েকজনের। তারা তেমনই একটি কার্ড নিয়ে হাজির হয় এক যুবকের কাছে, যার বাবার নামে ছিল একটি কার্ড। ওই যুবক তখন পুরো বিষয়টির ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেন। তারপরই ধীরে ধীরে বিষয়টি জানাজানি হয়। 

    কোন ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড?

    মালদার রতুয়া ২ ব্লকের মহারাজপুর এলাকায় রয়েছে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক-এর একটি শাখা। এর ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বস্তাভর্তি এটিএম কার্ড (Atm Card) উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের মতে, এই এটিএম কার্ডগুলির বাতিল হওয়ার সময়সীমা এখনও বাকি রয়েছে। বহু কার্ডেই দেখা যাচ্ছে, এক্সপায়ারি ডেট লেখা রয়েছে ২০২৪, ২০২৫ বা ২০২৬ সাল। গ্রাহকদের নামে তৈরি হওয়া এই এটিএম কার্ড কী করে ফেলে দেওয়া হল, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা। 

    সবই বাতিল এটিএম কার্ড, জানাল কর্তৃপক্ষ

    গোটা ঘটনায় বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এই এটিএম কার্ড (Atm Card) থেকে কোনও গ্রাহকের ক্ষতি হবে না। এটিএম কার্ড তৈরি হলেও কোনও গ্রাহকের কাছে ইস্যু করা হয়নি। তাদের ভাষায়, এগুলি রিজেক্টেড। এ থেকে একটা টাকাও তোলা যাবে না। বাতিল হওয়ার কারণেই এগুলি বস্তার মধ্যে ভরে রাখা ছিল। তাই কীভাবে সেটি ওই জায়গায় গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bridge: ‘উন্নয়নের নমুনা!’ পাকা ব্রিজ ভেঙে পড়ে আছে এক বছর, ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার

    Bridge: ‘উন্নয়নের নমুনা!’ পাকা ব্রিজ ভেঙে পড়ে আছে এক বছর, ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকা সেতু ভেঙে পড়ে রয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুঘাট ব্লকের বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিয়াডাঙা এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, হেলদোল নেই প্রশাসনের। সমস্যায় বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। মাঝেমধ্যেই এই এলাকায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এমনকি মৃত্যুও হয়েছে।

    কীভাবে ভেঙে পড়েছিল ব্রিজ?

    ২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বৈদ্যুতিক সিমেন্টের খুঁটি বহনকারী একটি লরি ওই পাকা ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ব্রিজটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ব্রিজের উত্তর প্রান্তে রয়েছে বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং দক্ষিণ দিকে জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। যদিও ব্রিজটি বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। ফলে ওই এলাকার দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা যাতায়াতে চরম সমস্যায় রয়েছেন এক বছরের বেশি সময় ধরে। বর্তমানে বাঁশের মাচার উপর বৈদ্যুতিক সিমেন্টের খুঁটি ফেলে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের দাবি, প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও পাকা ব্রিজ তৈরি করা হয়নি। তাঁদের প্রশ্ন, এটাই কি উন্নয়নের নমুনা!  

    কী বলছেন জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি ললিতার টিগ্গা বলেন, আমি ওই ব্রিজটির কথা শুনেছিলাম। তবে আজ সবটা ভালো করে জানলাম। দ্রুত ওই ব্রিজটির কাজ করা হবে। এ বিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন এবং অতি দ্রুত যাতে ব্রিজটির মেরামতির কাজ শুরু হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

    ‘দ্বিচারিতা’, বলছে দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপি নেতৃত্ব

    দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপী সরকার বলেন, কাশিয়াডাঙা ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ওই গোটা এলাকাটি আদিবাসী অধ্যুষিত। আমার বিশ্বাস, সেই কারণেই শাসকদল ওই ব্রিজটি সারানোর বিষয়ে নজর দিচ্ছে না। এখানে অন্য কোনও সম্প্রদায় থাকলে এই ঘটনা ঘটত না। এটা এই সরকারের দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। মিডিয়াতেই তো দেখলাম আদিবাসী সেলের সভাপতি এসেছেন। উনাকে বলব, ওই ব্রিজটা একবার ঘুরে আসুন। আদিবাসীদের প্রতি তৃণমূল সরকার যে বঞ্চনা করে, কাশিয়াডাঙা ব্রিজ তার একটা জ্বলন্ত উদাহরণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, তদন্তে রাজি  সিবিআই! রাজ্যকে কড়া বার্তা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, তদন্তে রাজি সিবিআই! রাজ্যকে কড়া বার্তা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার গরমিলের অভিযোগে এবার তদন্তে রাজি কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালত নির্দেশ দিলে এক্ষেত্রে প্রাথমিক অনুসন্ধানে রাজি সিবিআই। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবির বিরোধিতা করে রাজ্য। আগামী সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। 

    আদালতে মামলাকারীদের দাবি

    কেন্দ্রের পাঠানো টাকায় আর্থিক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)জনস্বার্থ মামলা করেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। এ ছাড়াও মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী সুমনশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ঋত্বিক পাল। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তাঁরা।মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার হিসেব দিতে পারছে না রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৩১ মার্চ ক্যাগের রিপোর্টে ওই অসঙ্গতির কথা রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টাকার নয়ছয় হয়েছে বলে দাবি করা হয়। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি।

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    এদিন আদালতে (Calcutta High Court) রাজ্যের যুক্তি ছিল, ক্যাগের রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে যায়। সেখান থেকে যায় বিধানসভায়। তারপর তা নিয়ে আলোচনা হয় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-তে। খরচ নিয়ে সেখানেই এখন বিষয়টি আলোচনার স্তরে রয়েছে। ফলে এ নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এর পাল্টা হিসেবে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব রাজ্যের কাছে জানতে চান, পিএসিতে কী হয় তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে? না কি, সরাসরি সময়সীমা বেঁধে দিয়ে সেখান থেকে রিপোর্ট চাইবে আদালত? মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে আদালত হস্তক্ষেপ করতেই পারে। তখন রাজ্যের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘তা হলে কী এই মামলার শুনানি বন্ধ রাখব? না কি পিএসি থেকে কখন রিপোর্ট আসবে তার জন্য বসে থাকব?’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adeno Virus: শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও কি অ্যাডিনোয় আক্রান্ত? নয়া ভ্যারিয়েন্ট চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের

    Adeno Virus: শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও কি অ্যাডিনোয় আক্রান্ত? নয়া ভ্যারিয়েন্ট চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি বাচ্চাদের উপর। কিন্তু কোভিড পরবর্তী সময়ে ঠিক ততটাই জোরাল হয়েছে অ্যাডিনোভাইরাসের প্রভাব। এই ভাইরাসের হানায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনও। কলকাতার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে শিশু ওয়ার্ডে প্রায় সমস্ত বেড ভর্তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এবার বাড়ির খুদের পাশাপাশি, বড়দের শরীরেও বাসা বাঁধছে অ্যাডিনো ভাইরাস (AdenoVirus)।  ভ্যারিয়েন্ট বদলে (Variant Change) শক্তিশালী হচ্ছে অ্যাডিনো।

    বড়রাও আক্রান্ত!

    চিকিৎসকের অনেকে বলছেন, করোনার মতো অ্যাডিনো ভাইরাসও ভ্যারিয়েন্ট বদলে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। শিশুদের নিয়ে যখন চিন্তার শেষ নেই, তখন বড়দের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে নতুন উদ্বেগ। চিকিৎসকদের চেম্বারে অনেকেই আসছেন, যাঁরা প্রায় এক মাসের উপর কাশির সমস্যায় ভুগছেন। শিশুদের পাশাপাশি বড়দের শরীরেও বাসা বাঁধছে অ্যাডিনো ভাইরাস। অনেকের কাশি সারছে না, কারণ ধরা যাচ্ছে না। বড়দেরও অ্যাডিনো ভাইরাস কি না, জানার জন্য টেস্ট করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কেউ অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা জানতে PCR টেস্ট করাতে হয়। বেসরকারি সংস্থায় যে টেস্টের খরচ ৯ থেকে ২০ হাজার টাকা। স্বাভাবিকভাবেই যা অনেকের পক্ষেই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই সচেতনতার উপরেই জোর দিতে বলছেন চিকিৎসকরা।

    আরও পড়ুন: টিকাকরণ কর্মসূচির কারণে প্রাণ বেঁচেছে প্রায় ৩৪ লক্ষ ভারতীয়র, বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশিকা

    সচেতনতা প্রচারে স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কোনও অসুস্থ শিশু, পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলে, অভিভাবকদের কাছ থেকে অসুস্থতা প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানার কথা বলা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা বুঝে শিশুটির চিকিৎসা বাড়িতে রেখে হবে না, হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন রয়েছে, তার সিদ্ধান্ত নেবেন মেডিক্যাল অফিসাররাই। স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেবেন। যদি কোনও শিশু অসুস্থ থাকে, তাহলে তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসকদের অনুমতি ছাড়া ফার্মাসিস্টরা যেন কোনও ওষুধ না দেন। ল্যাবরেটরিতে শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানো হবে। শিশু অসুস্থ হলে যে বাড়িতে রাখা যাবে না, তাও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। শিশু জ্বরে আক্রান্ত হলেই কাছের কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিংবা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। অসুস্থ শিশুকে কোনও ভাবেই, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share