Tag: West Bengal

West Bengal

  • PM Modi: রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কথা বলবেন সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে, উদ্যোগ বিজেপির

    PM Modi: রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কথা বলবেন সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে, উদ্যোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৬ মার্চ বারাসতের কাছারি ময়দানে সভা করবেন তিনি। সেই সভায় হাজির করানো হবে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের। মুখ ঢেকে আলাদা মঞ্চে বসবেন তাঁরা। বিজেপির এই পরিকল্পনা থেকেই স্পষ্ট, সন্দেশখালির হাতে গরম ইস্যু হাতছাড়া করতে রাজি নয় পদ্ম শিবির। ৬ মার্চ বারাসতে মহিলা সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, মূল মঞ্চের পাশে আলাদা একটি মঞ্চ গড়া হবে। সেখানেই মুখ ঢেকে বসবেন নির্যাতিতারা। জানাবেন তাঁদের নির্যাতনের কথা। দর্শকাসনেও থাকবে মহিলাদের আধিক্য।

    সন্দেশখালিকাণ্ডের আঁচ

    ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। সন্দেশখালিকাণ্ডের আঁচ (PM Modi) যাতে থিতু হয়ে না যায়, তাই সফর বাতিল করেছেন শাহ। বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে সন্দেশখালির আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। তাই এই সময় শাহ বঙ্গ সফরে এলে, তাঁকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন রাজ্য নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে সন্দেশখালি নয়, রাজ্যবাসীর ফোকাসে চলে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই আপাতত বাতিল করা হয়েছে শাহি সফর।

    মমতা সরকারের কড়া সমালোচনা

    ১৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে হয় বিজেপির জাতীয় সম্মেলন। সেদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলায়ও শোনা গিয়েছে সন্দেশখালির কথা। মমতা সরকারের কড়া সমালোচনাও করেন তিনি। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে বিবৃতি দেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। মঙ্গলবার সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, আসানসোলের বিধায়ক বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালেরা। এহেন আবহে প্রধানমন্ত্রীর বাংলা সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিই হোক পাখির চোখ, তাই কি বাতিল শাহি সফর?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সন্দেশখালিতে সভা করতে। এতে অনেক সমস্যা হতে পারে ভেবে জায়গা বদল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সভা করবেন বারাসতেই। সেখানে সন্দেশখালির মহিলাদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব আমরাই।” তিনি বলেন, “সন্দেশখালির মা-বোনেদের সম্মান রক্ষা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Lok Sabha Election 2024: লোকসভা নির্বাচন কবে? চলতি মাসের শেষেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    Lok Sabha Election 2024: লোকসভা নির্বাচন কবে? চলতি মাসের শেষেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের (Lok Sabha Eection 2024) নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগে রাজ্যে আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে মানুষ ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। আতঙ্কের পরিবেশ গ্রাম বাংলায়। বিরোধীদের এই অভিযোগে উদ্বিগ্ন জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই  দ্রুত, সম্ভবত চলতি মাসের শেষের দিকেই রাজ্যে আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একটি অংশ।

    কবে আসছে বাহিনী

    গত লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Eection 2024) দিন ঘোষণার পরে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার অনেক আগেই চলে আসছে কেন্দ্রীয় জওয়ানেরা। এবার রাজ্যে নির্বাচনের সময় মোতায়েনের জন্য রেকর্ড ৯২০ কোম্পানি বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চেয়েছে কমিশন।  ৪ মার্চ রাজ্যে আসছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ৫ মার্চ তারা বৈঠক করবে সব রাজনৈতিক দল, পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে। সূত্রের দাবি, স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল বুথের তালিকা হাতে নিয়েই বৈঠকে বসতে চাইছে তারা। সে জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত স্পর্শকাতর, সংবেদনশীল বুথের তালিকাও চাওয়া হয়েছে জেলা শাসকদের কাছে। 

    আরও পড়ুন: প্রবল তুষারপাত! সিকিমে আটকে বহু, ৫০০ পর্যটককে উদ্ধার সেনার

    কোথায় মোতায়েন বাহিনী

    কমিশন সূত্রে খবর, যে সমস্ত এলাকায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা আছে সেখানে রুট মার্চ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্পর্শকাতর বুথের উপর নির্ভর করেই লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে আধা সেনা মোতায়েন করা হবে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারদের নিয়ে সশরীরে বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী (Lok Sabha Eection 2024) আধিকারিক। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় যে অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে সেই এলাকাগুলিকে মার্ক করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। কমিশন সূত্রে খবর, এবারের বুথ-তথ্যের সঙ্গে ২০১৯-এর লোকসভা ও ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পরিস্থিতির তুলনা করা হবে। প্রয়োজনে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘ইন্ডি’ জোট কি নামেই? কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনে কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Murshidabad: ‘ইন্ডি’ জোট কি নামেই? কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনে কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ‘ইন্ডি’ জোট নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট বাঁধা নিয়ে জল্পনা চলছে। এই আবহে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর থানার পানিপিয়া এলাকায় এক কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম এনামুল মণ্ডল। এর পরেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনামুলসাহেব ও তাঁর ছেলেরা পঞ্চায়েত ভোটে জোট প্রার্থীদের সমর্থন করেছিলেন। সেই সময় থেকে চলত হুমকি। তারপর ছেলেরা কেরলে কাজে চলে যায়। মঙ্গলবার রাতে এনামুল তাঁর বাড়ির সামনের একটি মুদিখানা দোকানে বসেছিলেন। সেই সময় কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, এরপরেই বাঁশ, লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় এনামুলকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছেন এনামুলকে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা মারধর করে। পরে, এলাকা ছেড়ে ওরা পালায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূলের জেলা (Murshidabad) সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, এটা গ্রাম্য বিবাদ। আর সেটাকেই রাজনীতির রং চড়ানো হচ্ছে। তাই, গ্রামের সাধারণ বিবাদের সঙ্গে যদি রাজনীতিকে জুড়ে দেওয়া হয়, তা হলে সে সব বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া খুব মুশকিল। মৃত্যুর ঘটনা সমর্থন করা যায় না। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। আইন আইনের কাজ করবে। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলকে জড়ানো ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে টেনে-হিঁচড়ে সাংবাদিককে গ্রেফতার করল পুলিশ, প্রতিবাদে সরব মিঠুন-শুভেন্দু

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে টেনে-হিঁচড়ে সাংবাদিককে গ্রেফতার করল পুলিশ, প্রতিবাদে সরব মিঠুন-শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মহিলারা। রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জি জানিয়েছেন এলাকার মহিলারা। এই আবহের মধ্যে এবার সন্দেশখালি থেকে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের এক সাংবাদিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে চর্চা চলছে। আর সন্দেশখালির মানুষের ওপর শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের খবর রাজ্য তথা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে অন্যান্য দিনের মতোই সোমবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা সেখানে ছিলেন। আর সোমবার বিশেষ করে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা সন্দেশখালি গিয়েছিলেন। ফলে, এক ঝাঁক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালিতে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি তুলে ধরছিলেন। বিকেল ৫ টা নাগাদ আচমকাই রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক সন্তু পানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিনা নথিতে গ্রেফতারের বিরোধিতা করলে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। টোটোয় করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার তোলা হবে আদালতে। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই সাংবাদিককে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    গ্রেফতারি নিয়ে পুলিশ কী সাফাই দিলেন?

    বসিরহাটের এসপি হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, এলাকার এক মহিলার বাড়িতে ক্যামেরা নিয়ে ঢুকেছিলেন সন্তু পান ও তাঁর চিত্রগ্রাহক। সেই সময় মহিলার পোশাক ঠিক মতো ছিল না। ফলে তিনি অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। পুলিশের দাবি, ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    প্রতিবাদে সরব মিঠুন-শুভেন্দু

    সাংবাদিকের গ্রেফতারির বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছে সব মহল। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। সন্তু পানের পাশে দাঁড়াতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলের প্রোফাইল ছবি ২৪ ঘণ্টার জন্য কালো করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    প্রেস ক্লাবও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে

    কলকাতা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে এই ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে। প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সাংবাদিক সন্তু পানের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকে তা তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু, কর্তব্যরত অবস্থায় সাংবাদিকের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাচ্ছে প্রেস ক্লাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় বীরভূমের “বেতাজ বাদশা” অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে রয়েছেন। সোমবার বিকেলে তাঁর খাসতালুক বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় ইডি (ED) আধিকারিকরা হানা দেন। অনুব্রত মণ্ডল যে দলীয় কার্যালয়ে বসতেন, সেখানে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। রবিবার বীরভূমের সিউড়ি থেকে অনুব্রতের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরদিনই কেষ্ট গড়ে হানা দিল ইডি। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    তৃণমূল কার্যালয়ের আগে ভূমি দফতরে ইডি (ED)

    তৃণমূল কার্যালয়ে যাওয়ার তার আগে ইডির (ED) তিন আধিকারিক বোলপুর মহকুমা ভূমি সংস্কার দফতরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা বিএলআরও-র সঙ্গে কথা বলেন। একটি সূত্রে খবর, অফিসে বসে কেষ্ট মণ্ডলের তৃণমূল কার্যালয় যে জমির উপর তৈরি তার কাগজপত্র দেখেন। আশপাশের জায়গার হিসাব নেন। কার্যালয়ের আশপাশের দোকানগুলি সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন তাঁরা। বস্তুত, অনুব্রত গরুপাচার মামলায় গ্রেফতারের আগে তাঁর বাড়ির কাছে ঝাঁ চকচকে দলীয় কার্যালয় তৈরিতে খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। যা নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতি বছর ওই কার্যালয়ে জাঁকজমকভাবে কালী পুজো করতেন কেষ্ট। ওই কার্যালয়ে কালীপুজোর সময় মূর্তিতে যে সোনার গয়না পরানো হয়, সে নিয়েও চর্চা ছিল জেলা জুড়ে। এত গয়নার টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন ইডি আধিকারিকরা সেই কার্যালয়ে হানা দিতেই নতুন করে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এদিন বিকেলে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে ইডির (ED) একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। আধিকারিকেরা গাড়ি থেকে নেমেই কার্যালয়ের মাপজোক শুরু করে দেন। ওই কার্যালয়ের বিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। আশপাশের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কার্যালয় যে বিল্ডিংয়ে সেখানে দোকান ভাড়া নেওয়ার সময় কার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছিলেন, কে ভাড়া দিয়েছিলেন এবং ভাড়ার টাকা কাকে দিতে হয়, সব বিষয় নিয়ে ইডি আধিকারিকরা কথা বলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তো’’! বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছেন নেত্রী

    Sandeshkhali: ‘‘টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তো’’! বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছেন নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে প্রশাসন, অন্যদিকে দল। ‘জোড়া অস্ত্রে’ সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ‘ক্ষত’ মেরামতিতে নেমেছে শাসকদল। গত কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দল বাড়ি বাড়ি ঘুরে সন্দেশখালির সাধারণ বাসিন্দাদের ক্ষোভ-অভিযোগের কথা শুনছিল। রবিবার থেকে সেখানে শিবিরও বসিয়েছে প্রশাসন। তৃণমূল টাকা পাইয়ে দিচ্ছে। সমর্থন করবেন তো? সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের নাকি এ কথাই বলা হচ্ছে, এমনই অভিযোগ উঠল শাসকদলের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মাধ্যম ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? (Sandeshkhali)

    প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ  দীপিকা পোদ্দারকে দেখা যাচ্ছে। তিনি সন্দেশখালির এক মহিলার বাড়ি গিয়ে বলছেন, “আপনাকে তো টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনি তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তো?” এমনিতেই সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখ, তাঁর শাগরেদ উত্তম সর্দার ও শিবপ্রসাদ হাজরা (শিবু)দের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে চলতি মাসের শুরুতে উত্তপ্ত হয়েছিল সন্দেশখালি। তার পর থেকেই স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রশমনে নেমেছে শাসকদল। উত্তম-শিবুরা যাঁদের জমির লিজ়ের টাকা দেননি বলে অভিযোগ, তাঁদের পাওনা টাকা মেটাতে শুরু করেছে তৃণমূল। তার জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন শাসকদলের প্রতিনিধিরা। অভিযোগ, তাঁরাই ভোটে সমর্থনের বিনিময়ে এইভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    গত দু’বছর ইজারার টাকা, ভেড়ির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আছে। যাঁদের টাকা ফেরত পাওয়ার কথা, তাঁদের টাকা ফেরত দেবে দল। সেই মতো স্থানীয়ভাবে একটি কমিটিও গঠন করেছিল তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, সেই দলে রয়েছেন সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ হালদার, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অষ্টমী সর্দার এবং তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের নেতা মহেশ্বর সর্দার। সেই দলে দীপিকা কী করে এলেন, তা নিয়ে শাসকদলের অন্দরে ধন্দ তৈরি হয়েছে। ভিডিও প্রসঙ্গে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দায়িত্বপ্রাপ্ত আর এক তৃণমূল নেতা বলেন, “ওই মহিলা সদস্যকে এ রকম কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident)  গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা। তৃণমূলের আর এক নেতা পলাতক শেখ শাহজাহানের সাগরেদ ছিল শিবু। শনিবার ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সন্দেশখালিকাণ্ডে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করেছে পুলিশ। তাতে নাম রয়েছে শিবু ও বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারের। মামলা রুজু হয়েছে খুনের চেষ্টার ধারায়ও। আগেই গ্রেফতার হয়েছিল উত্তম। এদিন ধরা পড়ল শিবুও।

    শাহজাহান কোথায়?

    তবে শনিবার সন্ধে পর্যন্ত শাহজাহানের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, “ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শিবপ্রসাদকে (ডাক নাম শিবু। এই নামেই সবাই চেনেন শিবপ্রসাদকে)। রবিবার তাঁকে হাজির করানো হবে আদালতে।” শনিবারই আদালতে সন্দেশখালির এক বধূর গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে শিবু ও উত্তমের বিরুদ্ধে (Sandeshkhali Incident) গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এর পরেই বসিরহাটের পুলিশ জানিয়ে দেয়, কাউকে ছাড়া হবে না। এর পরে পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে একই কথা বলেন রাজ্য পুলিশের ডিআইজি রাজীব কুমার। এরই কিছুক্ষণ পরে গ্রেফতার করা হয় শিবুকে।

    শিবুর গুণপনা

    তৃণমূল নেতা শিবুর গুণপনার শেষ নেই। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এই নেতা স্থানীয়দের জমি দখল করে ভেড়ি বানিয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে লিজের টাকা দিত না। তৃণমূল নেতা হওয়ায়, তাকে কেউ ঘাঁটাতেও সাহস পেতেন না। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের বৈঠকের অছিলায় গ্রামের সুন্দরী মহিলাদের কখনও তৃণমূল পার্টি অফিসে, কখনওবা নিজের খামারবাড়িতে নিয়ে যেত শিবু। কেউ যেতে না চাইলে বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে দিত। শিবুর ডাকে মহিলারা উপস্থিত হলে কিছুক্ষণ পার্টির কর্মসূচি নিয়ে কথা হত। পরে বাছাই করা (অভিযোগ, যাঁকে যেদিন মনে ধরত শিবুর) কয়েকজনকে থেকে যেতে বলত শিবু ও তার অনুগামীরা। তারপর তাঁদের ওপর হত নির্যাতন।

    আরও পড়ুুন: ফের ভাঙছে কংগ্রেস! বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সপুত্র কমল নাথ?

    ৭ ফেব্রুয়ারির শিবুদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মহিলারা। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূলের তৎকালীন অঞ্চল সভাপতি উত্তমের বাড়ি। শিবুর বাগানবাড়ি ও মুরগির খামারও ভাঙচুর করা হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় মুরগির খামারে (Sandeshkhali Incident)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly Murder: রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার, পড়ে রয়েছে গণেশ মূর্তি, হুগলির শিশু খুনের নেপথ্যে কে?

    Hooghly Murder: রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার, পড়ে রয়েছে গণেশ মূর্তি, হুগলির শিশু খুনের নেপথ্যে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর আটেকের শিশুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য হুগলির কোন্নগরের (Hooghly Murder) আদর্শনগর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন শিশুটির ঘরে জোরে জোরে চলছিল টিভি। কী ব্যাপার জানতে ঘরে ঢুকেছিল তাঁর খুড়তুতো দিদি। সে-ই প্রথম রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে।

    খুনিদের কঠোর সাজার দাবি

    শিশুটির বাবার অভিযোগ, ছেলেকে পাশবিকভাবে হত্যা করেছে কেউ। ছেলের খুনিদের কঠোর সাজা দাবি করেছেন তিনি। ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ ওই ব্যক্তি। বলেন, “বাড়ির সিঁড়ির কাছে একটি থান ইট ছিল। সেটি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। ঘরে একটি গণেশমূর্তি ছিল। সেটি দিয়েও আঘাত করা হয়েছে। রান্নাঘরে যে সবজি কাটার ছুরিটি ছিল, সেটি ঘরেই মিলেছে রক্তমাখা ও বেঁকে যাওয়া অবস্থায় (Hooghly Murder)।” তিনি বলেন, “বাড়িতে যে ভলিউমে টিভি চলছিল, তা কোনও বাড়িতেই চলে না। তাঁর ছেলেও কখনও এত ভলিউম দিয়ে টিভি চালাত না।”

    ‘শীঘ্রই অপরাধীদের ধরা হবে’

    পুলিশ জানিয়েছে, খুনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস বলেন, “ঘর থেকে কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে। শ্রীরামপুরের হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হয়ে যাবে। মৃতের পরিবার ও এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শীঘ্রই অপরাধীদের ধরা হবে।”

    আরও পড়ুুন: পাক রাজনীতিতে সক্রিয় আইএসআই, গাঁটছড়া বাঁধছে পিটিআই-পিপিপি!

    কানাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান আচ্ছালাল যাদব বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কেউ খুন করে পালিয়ে গিয়েছে। বালকের মা-বাবা বাইরে কাজ করেন। সেই সময় তাঁর বাবা বাড়িতে ছিলেন না।” পুলিশ সূত্রে খবর, বালকের মাথার পিছনে ভারী ও ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন রয়েছে। দেহের একাধিক জায়গায় কোপানো হয়েছে। দেহ উদ্ধারের সময় ফুল ভলিউমে চলছিল টিভি। চন্দননগর কমিশনারেটের কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, “ফরেন্সিক দলকে বলা হয়েছে নমুনা সংগ্রহ করবে…আশা করছি, তাড়াতাড়ি খুঁজে আমরা পাব, ঘটনাটি কে ঘটিয়েছে। শিশুটির দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। এদিন ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা (Hooghly Murder)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Sandeshkhali: “আমার শিশুকে ছুড়ে ফেলেছিল পুলিশই!” বিস্ফোরক সন্দেশখালির সেই মহিলা

    Sandeshkhali: “আমার শিশুকে ছুড়ে ফেলেছিল পুলিশই!” বিস্ফোরক সন্দেশখালির সেই মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে যে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর কোল থেকে তাঁর শিশুকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে, তাঁর বাড়িতে গেলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। শনিবারই ওই বাড়িতে (Sandeshkhali) মেডিক্যাল টিম পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে।

    কী বললেন চেয়ারপার্সন?

    কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস বলেন, “ওঁরা খুব ভয়ে ভয়ে রয়েছেন। বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না। আমরা শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ওঁরা যেহেতু বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না, তাই খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। ওঁদের বাড়িতে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর দিয়ে এসেছি ওঁদের। প্রতিদিন সকালে ফোন করে খবর নেব বলে জানিয়েছি।”

    পুলিশে ভরসা নেই!

    তুলিকার কথায় (Sandeshkhali) যে শিশুটির পরিবার বিশেষ ভরসা পাচ্ছেন না, তা স্পষ্ট তার মায়ের কথায়ই। তিনি বলেন, “আমি ওদের বিশ্বাস করতে পারছি না। যারা আমার বাচ্চাকে ফেলে দিয়েছে, তারা কী তদন্ত করবে?” তিনি বলেন, “আমরা ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। কমিশনের লোকজন চলে গেলে কী হবে? সব কথাই কমিশনের লোকজনকে জানিয়েছি।” ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত এদিন তাদের ছবি কমিশনের সদস্যদের দেখান ওই মহিলা।

    আরও পড়ুুন: “মমতা দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না”, তোপ দিলীপের

    কী বলেছেন ওই মহিলা?

    সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে ওই বিজেপি কর্মীর দিদি বলেন, “ওরা আমার ভাইকে খুন করবে বলে রাত তিনটের সময় তুলে নিয়ে যেতে এসেছিল পুলিশ-প্রশাসন সঙ্গে নিয়ে। ওদের দলে ২৫-৩০ জন ছিল। আমার ভাই বিজেপি করে বলে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশের কাছে কী অভিযোগ জানাব? পুলিশ তো নিজেই ছিল এখানে। সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জ থানার বড়বাবুরা ছিলেন। শিশুটিকে পুলিশ নিজেই ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। তৃণমূলের লোকজন আমাদের তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিচ্ছে।” শিশুটির (Sandeshkhali) মা বলেন, “মুখে কালো কাপড় বেঁধে পুলিশ এসেছিল। স্বামীর নাম ধরে ডাকছিল। দরজা না খোলায় গালাগালি করেছিল। সন্দেশখালি থানার একজন আধিকারিক ছিল। ওরা আমার কোল থেকে বাচ্চাটাকে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। আমার চুলের মুঠি ধরে টেনেছিল। এক পুরুষ পুলিশ কর্মী তো আবার আমার নাইটি ধরেও টেনেছিল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “মমতা দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না”, তোপ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “মমতা দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না”, তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না।” শনিবার সকালে দিল্লির উড়ান ধরার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে কথাগুলি বললেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    প্রসঙ্গ: বালুর মন্ত্রীত্ব

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রায় তিন মাস আগে গ্রেফতার করা হলেও, মন্ত্রীত্ব কেড়ে নেওয়া হয় শুক্রবার। এ প্রসঙ্গেই দিলীপ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করতে পারেন না। উনি ভাবছেন যদি বেল পেয়ে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এসে আবার মন্ত্রী হবেন। আবার কাকে করবেন, সে কি করবে, সে থাকবে না চলে যাবে এই চিন্তা-দুশ্চিন্তায় তিনি কাউকে দায়িত্ব দেন না।” বিজেপির এই সাংসদ (Dilip Ghosh) বলেন, “কেষ্ট জেলে থাকলেও পদে থাকেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে থাকলেও মন্ত্রী থাকেন। এটা তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ করার ধরন।”

    প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি

    সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে জাতীয় এসসি কমিশন। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেখানে পৌঁছেছে এবং টিএমসির লোকজন যেভাবে অত্যাচার করছে এর থেকে বাঁচার কোন রাস্তা নেই। যে সরকার মানুষকে সুশাসন দেবে তারা যদি লুটপাট, খুনখারাপি করে তাহলে মানুষের যাওয়ার রাস্তা থাকে না। প্রত্যেকে এখান থেকে মুক্তির রাস্তা খুঁজছেন। কেউ রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছেন, কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছেন, কেউ কোর্টে যাচ্ছেন। দেখা যাক কোন রাস্তাটা ঠিক থাকে।”

    প্রসঙ্গ: আধার কার্ড বাতিল 

    পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে একাধিক ব্যক্তির আধার কার্ড বাতিল প্রসঙ্গে বিজেপির এই সাংসদ বলেন, “অনেক জায়গায় চিঠি এসেছে। আমরা জানি, পশ্চিমবঙ্গে বহু ধরনের কার্ড আছে যেগুলি ভুয়ো। রেশন কার্ড, আধার কার্ড, জবকার্ড লক্ষ লক্ষ, একটা-দুটো নয়, ৬২ লক্ষ রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। সাড়ে ১৪ লক্ষ জবকার্ড আছে যেটা ভুয়ো, আধার কার্ড ভুয়ো। যাদের কাছে নথি নেই তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে, বাতিলও করছে। এ ব্যাপারে অথরিটি সঙ্গে যোগাযোগ করুন যাঁরা সমস্যায় পড়ছেন।”

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির অশান্তির আবহে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী! মার্চের প্রথম সপ্তাহে বারাসতে সভা?

    আধার কার্ড বাতিলকে বিজেপির চক্রান্ত বলে দাবি তৃণমূলের। এদিন সে প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “শাসক দল যদি বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে, অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে এসে জোর করে আধার কার্ড বানিয়ে দেয়, নথি ছাড়া ভোটার লিস্টে নাম তুলে দেয়, তারা তো ভোটার হতে পারে না। সরকারের দায়িত্ব আছে বিদেশিদের আলাদা করা এবং দেশে ফেরত পাঠানো।”

    প্রসঙ্গ: কোথায় শাহজাহান

    শিবু হাজরা গ্রেফতার না হওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “শিবু হাজরা বলুন বা শেখ শাহজাহান প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবাই জানে কে কোথায় রয়েছেন। মিডিয়াকে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন কিন্তু পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ পুলিশ ওঁদের বাঁচিয়ে রেখেছে, পুলিশই ওঁদের তৈরি করেছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share