Tag: West Bengal

West Bengal

  • Partha Chatterjee: আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়তেন! আদালতে পার্থর পর্দাফাঁস করল সিবিআই

    Partha Chatterjee: আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়তেন! আদালতে পার্থর পর্দাফাঁস করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক পদে বা শিক্ষাকর্মী হিসেবে কারা চাকরি পাবে, কারা পাবে না… গোটাটাই ঠিক করা হত সম্পূর্ণ পরিকল্পনা মাফিক। শুধু তাই নয়, দফতরের যাঁরা এই বিষয়ে সঙ্গ দিতেন না, তাঁদের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হত। সবটাই হতো রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলনেই। শনিবার আলিপুর আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এমনই দাবি করল সিবিআই। 

    আদালতে সিবিআই-এর দাবি

    শনিবার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পার্থর জামিনের মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই সিবিআইয়ের তরফে জামিনের বিরোধিতা করে জানানো হয়, শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে কাকে নিয়োগ করা হবে, কাকে সরানো হবে, পার্থ সেই প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতেন। যাঁরা এই কাজে তাঁকে সাহায্য করতেন না, তাঁদের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কোপে পড়তে হত। পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হত তাঁদের। সিবিআই জানিয়েছে, পার্থ নিজের বাড়িতে বৈঠক করে অনেককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘‘দুর্নীতির সম্পূর্ণ ছবিতেই রয়েছেন পার্থ। অপরাধ তিনি এমন ভাবে করতেন, যাতে নিজে পিকচারে না থাকেন।’’

    আরও পড়ুুন: ভারতরত্ন পাচ্ছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদি

    শিক্ষা সমাজ তৈরি করে

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করার সময় এদিন সিবিআই-এর সওয়ালে উঠে আসে সামাজিক অবক্ষয়ের উদ্বেগও। সিবিআই আইনজীবী বলেন, ‘‘শিক্ষা এমন একটা বিষয়, যা সমাজ গঠন করে। চিকিৎসক কোনও ভুল করলে রোগীর ক্ষতি হয়। কিন্তু এঁরা যে ধরনের অযোগ্য শিক্ষক এনেছেন, তাতে সমাজ কোন দিকে যাবে, ঠিক নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতেই সেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।’’ বহু ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে বলে জানায় সিবিআই। পার্থের আইনজীবী অবশ্য সিবিআইয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তারপর থেকে জেলই তাঁর ঠিকানা। বহুবার আবেদন করেও মেলেনি জামিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Junput: দিঘার কাছে জুনপুটে হবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, শুরু হয়েছে তৎপরতা

    Junput: দিঘার কাছে জুনপুটে হবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, শুরু হয়েছে তৎপরতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘার কাছে জুনপুটে (Junput) ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হতে চলেছে। ওড়িশার চাঁদিপুর বা অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হলেও এ রাজ্যে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। পূর্ব  ফেব্রুয়ারির শেষে বা মার্চের গোড়াতেই এখান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করার কথা কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিআরডিও-র (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন)। তবে গোড়ায় কিছুই জানতেন না বাসিন্দারা। কয়েক দিন ধরে লঞ্চিং প্যাড তৈরি হচ্ছে, বসেছে বোর্ড।

    এলাকাবাসীদের সরানোর উদ্যোগ (Junput)

    কাঁথি থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে জুনপুট (Junput)। জুনপুটে তৈরি হয়েছে নতুন বোল্ডারের রাস্তা। টিনের ছাউনি দেওয়া লঞ্চিং প্যাডের পাশে বসেছে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থার বোর্ড। তার এক দিকে চলছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর রেডার স্টেশন তৈরির কাজ। এখান থেকে দু’কিলোমিটারের মধ্যেই হরিপুর। ২০০৬ সালে সেখানে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির ঘোষণা হয়েছিল। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা তখন কমিটি গড়ে আন্দোলনে নামেন। পাশে ছিল তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল। শেষে পিছু হটেছিল তদানীন্তন বাম সরকার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য কাঁথি-১ ব্লকের বিরামপুট এবং দেশপ্রাণ ব্লকের চেচড়াপুট গ্রামে এর মধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে এই নিয়ে। সংশ্লিষ্ট দুই ব্লক প্রশাসন এবং ভূমি দফতর সমীক্ষা করে রিপোর্ট কাঁথির মহকুমাশাসকের দফতরে জমা দিয়েছে। ওই দুই গ্রাম থেকে ১৫৫০ জন পূর্ণবয়স্ক এবং ৩৭০ জন নাবালককে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। গবাদি পশুর ক্ষতির আশঙ্কায় সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

    মৎস্যজীবীরা কী বললেন?

    পূর্ব মেদিনীপুর মৎস্যজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস শ্যামলের মতে, “জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হতে বসেছে। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হলে সামুদ্রিক মাছের ঘাটতি হবেই।” জুনপুটে (Junput) মৎস্যজীবী প্রধান এলাকার বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এতে দূষণ বাড়বে। বিপন্ন হবে জীবন-জীবিকা।

    জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কী বক্তব্য?

    পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তনবীর আফজল মানছেন, “ফেব্রুয়ারি শেষে বা মার্চের গোড়ায় ডিআরডিও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করবে। একটা রকেট ছাড়া হবে বালেশ্বর থেকে। আর একটা জুনপুট থেকে। কীভাবে মাঝ-আকাশে একটা ক্ষেপণাস্ত্র কী করে আরেকটাকে ধ্বংস করে, সেই সংক্রান্ত গবেষণার জন্য জেলার এই জায়গাটি বেছেছে ডিআরডিও। এ জন্য রাজ্য সরকার জমি দিয়েছে। সব রকম সহযোগিতা করা হয়েছে।” মহকুমাশাসক শৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, “ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সময় সাময়িকভাবে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সব নিয়ন্ত্রণ করবে ডিআরডিও। কিছু মানুষকে কয়েক ঘণ্টার জন্য সরে যেতে হবে। ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও রয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ‘ব্যাঙ্ক কর্তা’ পরিচয় দিয়ে গায়েব করল ২০ লক্ষ টাকা, ফের সক্রিয় প্রতারণা চক্র

    Fraud: ‘ব্যাঙ্ক কর্তা’ পরিচয় দিয়ে গায়েব করল ২০ লক্ষ টাকা, ফের সক্রিয় প্রতারণা চক্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্কের কোনও তথ্য ফোনে না- জানানোর জন্য প্রচার করা হলও এক শ্রেণির মানুষ বার বার ভুল করে ফেলছেন। আর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাইবার অপরাধীরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করে দিচ্ছেন। আর অপরাধীদের মূলত টার্গেট  বয়স্কদের। সাইবার অপরাধীদের পাল্লায় পড়ে প্রতারণার (Fraud) শিকার হলেন হুগলির শ্রীরামপুরের ৫৮ বছরের এক মহিলা। প্রতারিত মহিলার নাম মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একটি বিমা সংস্থার কর্মী। প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে ২০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মেয়ে সুনন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায় চক্রবর্তীর নামে বেসরকারি ব্যাঙ্কের শ্রীরামপুর শাখায় যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাতে ফোন নম্বর রয়েছে মৌসুমীর। সুনন্দিতা বলেন, বুধবার বিকেলে মায়ের মোবাইলে পুরুষকণ্ঠে ফোন আসে ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে। বলা হয়, অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে কিছু তথ্য দরকার। অভিযোগ, নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে ‘কাস্টমার আইডি’ জানার অনুরোধ পাঠায় প্রতারক। তা যাচাইয়ের জন্য ওটিপি আসে মৌসুমীর মোবাইলে। সাইবার প্রতারকের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে তিনি ওটিপি বলে দেন। আরও নানা তথ্য হাতিয়ে নেয় সে। মৌসুমীকে বিভ্রান্ত করে মোট ৪৪ বার তাঁর থেকে ওটিপি জেনে নেয় প্রতারক। দেড় ঘণ্টার মধ্যে ১৬ বারে অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৬৯ টাকা তুলে নেওয়া হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরেই ব্যাঙ্কে লেনদেন প্রক্রিয়া বন্ধ করেন সুনন্দিতারা। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশেরও দ্বারস্থ হন। হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েক জন প্রবীণ নাগরিক এ ভাবে প্রতারণার (Fraud) শিকার হয়েছেন। তাঁদের প্রশ্ন, ব্যাঙ্কের তথ্য কী ভাবে পেয়ে যাচ্ছে প্রতারকেরা? যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে চায়নি। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন সংক্রান্ত সব মামলা সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি, আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির

    Ration Scam: রেশন সংক্রান্ত সব মামলা সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি, আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ইডি। রেশনের আটা বিলি ও চাল কেনা সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের দায়ের করা সব ক’টি মামলা এবার সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানো হোক, চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে ইডি। হাইকোর্টে ইডির আবেদন, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের দায়ের করা মামলাগুলির তদন্তভার তুলে দেওয়া হোক সিবিআই-এর হাতে।

    কেন এই আবেদন

    ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) সংক্রান্ত ছ’টি এফআইআর রাজ্যের পুলিশের তদন্তাধীন থাকা সত্ত্বেও পুলিশ অপরাধীকে ধরা তো দূর তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি। উপরন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণ হাতে থাকা সত্ত্বেও তদন্ত বন্ধ করে রেখেছে। হাইকোর্টকে (Calcutta High Court) ইডির অনুরোধ, রেশন সংক্রান্ত যে সমস্ত মামলা রাজ্য পুলিশের তদন্তাধীন ছিল, তা যেন সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবারই হাইকোর্টে এই আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। ইডির অভিযোগ রেশন দুর্নীতির সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা মন্ত্রী জড়িত থাকার কারণে উপযুক্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফে রেশন দুর্নীতির তদন্ত এগিয়েছে এক তরফা ভাবে। 

    আরও পড়ুন: হেমন্ত সোরেনের ৫ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত

    বিস্মিত ইডি

    বাংলায় রেশন সংক্রান্ত (Ration Scam) আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করছে ইডি। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই তারা গ্রেফতার করেছে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী তথা চাল-গমের মিলের মালিক বাকিবুর রহমান এবং বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকেও। রেশন কাণ্ডে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা সন্দেশখালির শাহজাহান শেখকেও খুঁজছে ইডি। রেশন সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের ছ’টি মামলার মধ্যে দু’টি এফআইআর দায়ের হয়েছিল কলকাতায়। বাকি চারটি দায়ের হয় নদিয়া জেলায়। ইডি এই এফআইআরের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছিল। শুক্রবার হাই কোর্টকে তারা জানিয়েছে, ‘‘মামলাগুলির কি অগ্রগতি হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রাজ্য পুলিশের ডি়জিকে চিঠি দিয়েছিল তারা। একই সঙ্গে এই মামলায় যুক্ত থাকা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও চিঠি দেওয়া হয়েছিল ডিজিপিকে। কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই জবাব আসেনি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: ‘ইন্ডি’ জোটে লেগেছে ঠোকাঠুকি! রাহুলকে বহরমপুর স্টেডিয়াম দিল না মমতার প্রশাসন

    Indi Alliance: ‘ইন্ডি’ জোটে লেগেছে ঠোকাঠুকি! রাহুলকে বহরমপুর স্টেডিয়াম দিল না মমতার প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোট (Indi Alliance) একেবারে ঘেঁটে ঘ। বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হবে কি না, তা নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। বুধবার তৃণমূল নেত্রী মমতা জানিয়ে দেন, আগামী লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূল একাই লড়াই করবে। রাহুল গান্ধী না জানিয়ে বাংলায় আসায় উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জেরেই  কয়েকদিন আগে কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর মঞ্চ খুলে দেয় মমতার পুলিশ। এমনকী শিলিগুড়িতে রাহুল গান্ধীর সভার অনুমতি পাওয়া নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। এ বার অধীরের লোকসভা কেন্দ্রেই রাহুলের সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Indi Alliance)

    ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে আবার ২৮ জানুয়ারি বাংলায় আসবেন রাহুল। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বহরমপুরে থাকার কথা তাঁর। রাহুল-সহ কংগ্রেস নেতৃত্বের রাত্রিবাসের জন্য বহরমপুর স্টেডিয়াম চাওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতি প্রশাসন বাতিল করে দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩১ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রশাসনিক সভা রয়েছে বহরমপুর স্টেডিয়ামে। রাজ্য সরকারের সভা পূর্ব নির্ধারিত। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক তাদের জানিয়ে দিয়েছে বহরমপুর স্টেডিয়াম দেওয়া যাবে না। বিকল্প হিসাবে নিকটবর্তী এফইউসি মাঠ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু, কংগ্রেসের দাবি, ওই মাঠে রাহুল এবং তাঁর গোটা টিমের রাত্রিবাসের জন্য পর্যাপ্ত জায়গাই নেই। স্বাভাবিকভাবে বার বার রাহুলের সভা বা কংগ্রেস কর্মীরা মমতার প্রশাসন, পুলিশের বাধার মুখে পড়ায় ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কী বললেন?

    প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, আমরা বহুদিন আগে স্টেডিয়াম চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলাম। এতদিন কিছু বলেনি। কিন্তু, আমাদের কর্মসূচির দুদিন আগে অনুমতি বাতিল করার ঘটনা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের জেলা নেতা অপূর্ব সরকার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত। আর এটা তৃণমূল বাধা দিয়েছে এমন নয়। প্রশাসন মনে করেছে বলেই অনুমতি দেয়নি। আর অন্য কে কোথায় সভা করবে, সেটা তাঁদের দলীয় ব্যাপার। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জোট (Indi Alliance) ভেস্তে দেওয়ার জন্য অধীর চৌধুরীকে দায়ী করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bharat Jodo Nyay Yatra: ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ছেড়ে কেন হঠাৎ দিল্লি উড়ে গেলেন রাহুল, কী কারণ?

    Bharat Jodo Nyay Yatra: ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ছেড়ে কেন হঠাৎ দিল্লি উড়ে গেলেন রাহুল, কী কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় (Bharat Jodo Nyay Yatra) বেরিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার সেই যাত্রা পৌঁছেছিল কোচবিহারে। এখানে বক্সিরহাটে সংক্ষিপ্ত সভা ও জেলা সদরে রোড-শো করেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন রাহুল। তবে কেন তিনি হঠাৎ দিল্লি উড়ে গেলেন, সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। ঘটনাটি ঘিরে ক্রমেই চড়ছে জল্পনার পারদ। কংগ্রেসের একটি সূত্রে খবর, আগামী রবিবার ফের বাংলায় আসতে পারেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সেক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে যাত্রা পথের। রুট থেকে বাদ পড়তে পারে উত্তরবঙ্গের দুই জেলার অংশ বিশেষ।

    রাহুলকে স্বাগত কংগ্রেসের

    এদিন বক্সিরহাটে রাহুলকে স্বাগত জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, মহিলা কংগ্রেসের সদস্য পূজা রায়চৌধুরী, এআইসিসি সদস্য বিশ্বজিৎ সরকার সহ দলের (Bharat Jodo Nyay Yatra) অন্য নেতানেত্রীরা। বক্সিরহাটের পর রাহুলের যাওয়ার কথা ছিল তুফানগঞ্জে, প্রাতরাশ করতে। রাত্রিবাস করার কথা ছিল ফালাকাটায়। কিন্তু রাহুল ও তাঁর ‘ন্যায় যাত্রা’র সঙ্গীরা বক্সিরগঞ্জ থেকে ফেরেন কোচবিহার শহরে। শহর ও লাগোয়া এলাকার রেলগুমটি, মা ভবানী, সদর বাজার, রাজবাড়ি গেট, খাগড়াবাড়ি হয়ে রাজারহাট পর্যন্ত রোড-শো করেন রাহুল।

    ইন্ডিয়া জোট

    তিনি বলেন, “বিজেপি-আরএসএসের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছে। দেশজুড়ে অন্যায় হচ্ছে বলেই আমাদের এই ‘ন্যায় যাত্রা’।” দুপুর দুটো নাগাদ দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন সোনিয়া-তনয়। এআইসিসির সম্পাদক রণজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আগামী রবিবার সকাল ৮টায় আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় পূর্ব নির্ধারিত ক্যাম্প সাইটে আসবেন রাহুল। সেখান থেকে আবার যাত্রা শুরু করবেন তিনি।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভার ঢাকে কাঠি! কেন দেশের মানুষ মোদিকে পছন্দ করেন? নয়া থিম সং বিজেপির

    কী কারণে দিল্লি ফিরলেন রাহুল? কংগ্রেস সূত্রে খবর, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান রয়েছে শুক্রবার। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাহুল। পরের দিন দিল্লিতে রয়েছে একটি দলীয় অনুষ্ঠান। সেখানেও যোগ দেবেন তিনি। তাই তার পরের দিন আসবেন বাংলায়। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির অন্য একটি সূত্রে খবর, ফালাকাটার পরিকাঠামো রাহুলের রাত্রিবাসের উপযুক্ত নয় বলেই রাজ্য কংগ্রেস নেতাদের জানিয়েছিলেন রাহুলের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন যাঁরা, তাঁরা। তার পরেই প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয় (Bharat Jodo Nyay Yatra)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update: শহরে মরশুমের শীতলতম দিন! এক ধাক্কায় তাপমাত্রা কমল তিন ডিগ্রি 

    Weather Update: শহরে মরশুমের শীতলতম দিন! এক ধাক্কায় তাপমাত্রা কমল তিন ডিগ্রি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কনকনে ঠান্ডায় (Winter in Bengal) জুবুথুবু কলকাতাবাসী। দমদমের তাপমাত্রা (Weather Update) বাঁকুড়ার থেকেও নীচে। আবহাওয়া অফিস বলছে, সোমবার মহানগরে মরশুমের শীতলতম দিন। একদিনেই ৩ ডিগ্রি পারদপতন। ১৫.২ ডিগ্রি থেকে সটান ১২.১ ডিগ্রিতে নামল আলিপুরের পারদ।  গত ১৩ জানুয়ারি তাপমাত্রা ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। আজ বাঁকুড়ার তাপমাত্রা নেমেছে ১১.২ ডিগ্রি। আর দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৮ ডিগ্রি। সল্টলেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৩ ডিগ্রি।

    কাঁপছে কলকাতা

    সোমবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে (Weather Update) ঢেকে ছিল চারিদিক। সঙ্গে রয়েছে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। বেলা বাড়তে রোদের দেখা মিললেও শীতে কাঁপছে শহরবাসী। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এক ধাক্কায় কলকাতার তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গিয়েছে। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকতে পারে। রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ছ’ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। 

    রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    আলিপুর আবহাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে খবর, আগামী চার থেকে পাঁচ দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রার পারদ নীচের দিকেই থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাসও। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। বুধবার হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং মালদহ জেলার কয়েকটি এলাকা। 

    আরও পড়ুন: রামময় অযোধ্যা, মহোৎসবের অনুষ্ঠানে এলেন যজমান নরেন্দ্র মোদি

    উত্তরের আবহাওয়া

    উত্তরের সমতলেও হাড়কাঁপানো ঠান্ডা (Winter in Bengal)। কালিম্পংকেও টেক্কা কোচবিহারের। কালিম্পংয়ের তাপমাত্রা নেমেছে ৮.৫ ডিগ্রিতে। অপরদিকে, কোচবিহারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.১ ডিগ্রি। দিনেও তাপমাত্রা কম। কুয়াশার চাদরে আকাশ ঢেকে যাওয়ায় রোদ ওঠেনি। তাই তাপমাত্রা বাড়তেই পারেনি। দৃশ্যমানতা কম থাকায় গাড়ি চালানো দায়। মঙ্গলবার এবং বুধবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার কয়েকটি এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রয়েছে তুষারপাতের সম্ভাবনাও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: ১০০০ কোটি টাকার বদল! রেশন দুর্নীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ ইডি

    Ration Scam: ১০০০ কোটি টাকার বদল! রেশন দুর্নীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে (Ration Scam) রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইডি। এক দশকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এর মধ্যে জেল হেফাজতে থাকা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya mallick) ১০ হাজার কোটিরও বেশি টাকা রয়েছে বলে ইডি সূত্রের দাবি। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যরও (Shankar Addhya) বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবসা রয়েছে। 

    কত টাকার বিনিময়

    ইডির (ED) দাবি, গত এক দশকের মধ্যে (২০১২-২০২৩) শঙ্করের এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার ভারতীয় মুদ্রাকে বিদেশি মুদ্রায় বদল করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, এই বিদেশি মুদ্রায় বদলের মাধ্যমেই দুর্নীতির টাকা সরানো হয়ে থাকতে পারে। ইডি সূত্রের দাবি, এই এক হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রায় বদল করা হয়েছে শঙ্করের চারটি সংস্থার মাধ্যমে। তাছাড়া হিরামতি এক্সপোর্ট সংস্থার মাধ্যমে ১১৭ কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রায় বদল করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, শঙ্কর ও তাঁর পরিবারের নামে আটটি এমন সংস্থা থাকলেও নামে-বেনামে প্রায় ৫০টির বেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা খুলে বিদেশে টাকা পাচার করেছিলেন শঙ্কর। তার মধ্যে তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি এবং হিসাবরক্ষকের নামেও সংস্থা রয়েছে। ইডির দাবি, শঙ্করই সংস্থাগুলি নিয়ন্ত্রণ করতেন।

    আরও পড়ুন: চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি! বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা

    কেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ

    ইডির এক কর্তার কথায়, বিদেশি মুদ্রা বিনিময় ব্যবসা সম্পূর্ণ ভাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন। রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে (Ration Scam) ধৃত শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর পরিবারের মালিকানাধীন আটটি সংস্থা-সহ ১০০টিরও বেশি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার তথ্য এবং গত ১০ বছরের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জানার জন্যই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে তদন্তে উঠে আসা সমস্ত নথি-সহ চিঠি দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, দু’টি পন্থায় দুবাই ও অন্য স্থানে পাঠানো হয়েছে ওই টাকা। প্রথমত, নগদ টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়ে ভুয়ো সংস্থায় জমা করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে টাকা পাচার করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Recruitment: মৃত্যুর পর চাকরির চিঠি পেলেন ৪ জন! ৬২ ষাটোর্ধ্বকেও শিক্ষকের নিয়োগপত্র রাজ্যের

    Primary Recruitment: মৃত্যুর পর চাকরির চিঠি পেলেন ৪ জন! ৬২ ষাটোর্ধ্বকেও শিক্ষকের নিয়োগপত্র রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে করতে জীবন শেষ। মৃত্যুর পর ব্যাক্তির নামে ইস্যু হল প্রাথমিকে চাকরির নিয়োগপত্র। একজন নয়, এমন চারজন রয়েছেন, যাঁদের মৃত্যু হয়েছে এবং এতদিন পর নিয়োগপত্র ইস্যু হয়েছে। হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এই নিয়োগ পত্র ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবিপিটিএ এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে। বিজেপির অভিযোগ অকর্মণ্যদের দিয়ে কাজ চললে এমনই হয়।

    প্রবীণদের নিয়োগপত্র

    সম্প্রতি হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন ৬৬ জনের নিয়োগপত্র দেন, যাঁদের সকলেরই বয়স ষাট পেরিয়ে গিয়েছে। চারজনের মৃত্যুও হয়েছে। একদিকে যখন চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এক ঝাঁক তরুণরা, তখন অবসরের বয়স পেরিয়ে যাওয়া প্রবীণ-বৃদ্ধদের হাতে এল চাকরির নিয়োগপত্র। এই বয়সে নিয়োগপত্র কী জন্য হাতে এল, তাও স্পষ্ট নয় প্রবীণদের অনেকের কাছে। এদিকে নিয়োগপত্রে স্কুলের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাই ধোঁয়াশা কাটাতে কেউ ছুটছেন সংশ্লিষ্ট স্কুলে। আবার কেউ ছুটছেন সার্কেল অফিসে। 

    কী বলছেন প্রবীণরা

    নিয়োগপত্র পেয়েছেন এমন একজন হলেন পান্ডুয়ার বাসিন্দা দীনবন্ধু ভট্টাচার্য। তিনি পান্ডুয়া সার্কেলে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে বলেন, ‘সে সময় বামফ্রন্ট সরকার ছিল, আমরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলাম। আমারা চাকরি পাইনি। পরে প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। এখন শিক্ষা সংসদ থেকে নিয়োগপত্র পেয়েছি। কী করে হল জানি না।’ আবার ৭১ বছরের বৃদ্ধ অচিন্ত আদক বলেন, ‘আমরা ৮৩ সালে মামলা করেছিলাম। এখন চাকরি দিচ্ছে, কী করে দিল জানি না। ষাট বছরে তো অবসর হয়, আর এই বয়সে কী করে চাকরি করব?’

    তদন্তের দাবি

    এবিটিএ কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহন পণ্ডিতের কথায়, ‘সারা ভারতবর্ষে এই ধরনের ঘটনা হয়নি। অবসরের বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পর চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে তারা এফেক্ট পাবেন। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরই চাকরি চলে যাবে। এবং পঞ্চাশ লাখ টাকা করে পাবে। এ এক অভূতপূর্ব ঘটনা। আমরা তদন্ত চাই বিষয়টার সত্য উদঘাটিত হোক।’ বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, ‘মারা গিয়েছেন এমন লোককেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। বাকিদের কারোরই চাকরির বয়স নেই। এমন একটা অকর্মণ্য সরকার চলছে যাদের কাছে কোনও খবরই নেই কে মারা গেল কে জীবিত আছে। হাইকোর্টে শিক্ষা সংসদের আইনজীবী ছিলেন সেখানে কেন আপডেটেড তথ্য দেওয়া হয়নি? জনগনের টাকা এই ভাবে অপচয় হচ্ছে।’ 

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    প্রবীণ ষাটোর্ধ্ব চাকরি-প্রাপকরা বলছেন, নিয়োগপত্রে সই রয়েছে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন শিল্পা নন্দীর। বিষয়টি নিয়ে তাই যোগাযোগ করা হয়েছিল শিল্পা নন্দীর সঙ্গেও। কিন্তু তিনি কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন। চুপ শিক্ষা সংসদও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ‘তৃণমূল প্রধানের বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান’! বিস্ফোরক সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক

    Sheikh Shahjahan: ‘তৃণমূল প্রধানের বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান’! বিস্ফোরক সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে, এই হামলার মূল হোতা শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) হদিশ পায়নি পুলিশ। যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই আবহের মধ্যে সিপিএমের সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

    ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তৃণমূলের প্রধানের বাড়িতেই শাহজাহান! (Sheikh Shahjahan)  

    সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, ইডি আধিকারিদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোড়াকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মনিকা রায়ের আশ্রয়েই ছিলেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) । আমাদের কাছে খবর আছে ও সন্দেশখালির ছোট কলাগাছি নদী পেরিয়ে কোড়াকাটিতে গিয়েছে। কোড়াকাটির প্রধানের বাড়িতেই সে রাতে ছিল। আমাদের পক্ষ থেকে পুলিশকে নানাভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি। অথচ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করছে না। পুলিশ সব জানে। কী খাচ্ছে, কী করছে সব জানে ন্যাজাট থানার পুলিশ। আমার মনে হয় শেখ শাহজাহান যে টাকা কামিয়েছে সন্দেশখালি থেকে তা তো ও একা ভোগ করেনি। তাই ও ধরা পড়লে অনেক রাঘববোয়ালের নাম যে আসবে এতে কোনও সন্দেহ নেই। শাহজাহান সন্দেশখালিতেই আছে। এখানেই ওর আসল নিরাপত্তা।

    পঞ্চায়েত প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    কোড়াকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনিকা রায় বলেন, নিরাপদ সর্দার তো পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করতে পারেন। পুলিশ তো আর আমার কেনা নয়। পুলিশ এসে আমার বাড়িতে এসে তদন্ত করে দেখতে পারত শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)  ভাই আছে কিনা! আইন আইনের মতো চলবে। আমরা তো নিচুতলার কর্মী। কিন্তু, ভাই (শেখ শাহজাহান) ভাইয়ের মতো এগিয়ে যাবে। ২০ দিন হল আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ভাই আমাদের ফোন করে না। আমরাও ভাইকে ফোন করি না। কোথায় আছে জানি না। নিজের মতোই আছে।ভাইকে আমরা পিতার মতো ভালবাসি। শ্রদ্ধা করি। ও তো জনগণের প্রতিনিধি। গরিব মানুষের পাশে থাকে সর্বদা। আমাদের সবাইকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। উনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন না। উনি নিশ্চয় আইনের আশ্রয় নিয়ে আইনের পথে চলছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share