Tag: West Bengal

West Bengal

  • Suvendu Adhikari: ‘মোদির জনপ্রিয়তা বাড়ায় উজ্জ্বলা যোজনা বন্ধের ফন্দি আঁটছেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মোদির জনপ্রিয়তা বাড়ায় উজ্জ্বলা যোজনা বন্ধের ফন্দি আঁটছেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উজ্জ্বলা যোজনার জেরে ঊর্ধ্বগামী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার লেখচিত্র। তাই পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের এই যোজনা বন্ধ করার ফন্দি আঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন তিনি। মঙ্গলবার এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ট্যুইট-বাণ হানলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)। এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠিও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    কী বলছেন শুভেন্দু?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত। আতঙ্কিত কারণ পশ্চিমবঙ্গের ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২২টি বাড়ি থেকে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তিনি রাজ্যের মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার মতো প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করছেন। এবার প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার জনপ্রিয়তা টের পেয়ে প্রকল্পটি রাজ্যে বন্ধ করতে তিনি প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন।”

    মুখ্যসচিবকে চিঠি

    রীতিমতো তথ্য দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, উজ্জ্বলা যোজনার প্রথম পর্বে মোট উপভোক্তার ১১ শতাংশ ও দ্বিতীয় পর্বে মোট উপভোক্তার ১৭.২৬ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। আমি এ ব্যাপারে মুখ্যসচিবের হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁকে চিঠি লিখেছি। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখার পর এই রাজ্যে প্রকল্পটি বন্ধ করতে প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন মমতা। ট্যুইটে পশ্চিমবঙ্গে উজ্জ্বলা যোজনার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুুন: ‘পলাতক’ দুই ঋণখেলাপির খোঁজে লন্ডন যাচ্ছেন গোয়েন্দারা!

    চিঠিতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “অনেক গরিব মানুষ এলপিজি সংযোগের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার জন্য তাঁদের নিকটতম পরিবেশকদের সঙ্গে দেখা করলে তৎক্ষণাৎ তাঁদের আবেদনপত্র প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। একটি অযৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা বর্তমানে চালু নেই। এবং কোনও নতুন অ্যাপ্লিকেশনও গ্রহণ করা হচ্ছে না।

    কয়েকজন ডিস্ট্রিবিউটরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তাঁরা আমাকে গোপনে জানিয়েছেন যে, তাঁদের নিজ নিজ জেলার ম্যাজিস্ট্রেটরা নতুন সংযোগের জন্য আর কোনও আবেদন গ্রহণ না করার জন্য মৌখিক নির্দেশ জারি করেছেন। নির্দেশ না মানলে তার ফল ভালো হবে না বলেও তাঁদের শাসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Child Marriage: দেশে কমলেও বাল্য বিবাহ বাড়ছে বাংলায়, ল্যানসেটের রিপোর্টে বাড়ছে উদ্বেগ

    Child Marriage: দেশে কমলেও বাল্য বিবাহ বাড়ছে বাংলায়, ল্যানসেটের রিপোর্টে বাড়ছে উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে এখনও চলছে নাবালিকার বিয়ে (Child Marriage)। তবে সংখ্যাটা আগের চেয়ে ঢের কমেছে। বর্তমানে ভারতে প্রতি পাঁচজন বিবাহিতা নারীর মধ্যে একজন নাবালিকা। প্রতি ছ’ জন পাত্রের একজন নাবালক। গোটা দেশের এই ছবিই উল্টে গিয়েছে বাংলায় এসে। ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এ রাজ্যে পাঁচ লক্ষেরও বেশি নাবালিকা গিয়েছে ছাদনাতলায়, বসেছে বিয়ের পিঁড়িতে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে যেখানে বাল্য বিবাহের হার গড়ে ২৩.৩ শতাংশ, সেখানে বাংলায় ৪২ শতাংশ নাবালিকার বিয়ে হয়ে যায় ১৮-য় পা দেওয়ার আগেই। 

    ল্যানসেট পত্রিকা

    তামাম বিশ্বে ল্যানসেট পত্রিকার জনপ্রিয়তার অন্যতম প্রধান কারণ তার তথ্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন। এই পত্রিকায়ই তুলে ধরা হয়েছে বাংলায় নাবালিকা বিয়ের করুণ ছবি। ২০১৯-২০-র জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার রিপোর্টেও মিলেছিল বাংলায় বাল্যবিবাহের চোখে জল আনা ছবি। ল্যানসেটের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ১৯৯৩ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ভারতে নাবালিকা বিয়ের হার ৪৯.৪ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ২২.৩ শতাংশ। বাল্য বিবাহ (Child Marriage) রুখতে নানা পদক্ষেপ করছে সরকার। চালু হয়েছে একাধিক প্রকল্পও।

    বাল্য বিবাহ রুখতে নানা প্রকল্প

    ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের বিয়ে দেওয়া না হলে কন্যাশ্রী কিংবা রূপশ্রী প্রকল্পে টাকা মেলে। টিন-এজ মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য রয়েছে নানা প্রকার বৃত্তি। সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে একাধিক। তার পরেও বেড়ি পরানো যায়নি বাল্যবিবাহের পায়ে।

    ল্যানসেটের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে বাল্যবিবাহের ঘটনা তিরিশ বছর আগে ছিল ৩৩ লক্ষের ঘরে। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৬-১৭ লাখে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং ছত্তিশগড়ের পরিস্থিতিও বাংলার চেয়ে ভালো বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত বাংলার চেয়ে ঢের ভালো নীতীশ কুমারের বিহারের পরিস্থিতি।

    রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৪১.৪ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই। একুশ বছর হওয়ার আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসে ২০.১ শতাংশ ছেলে। ২০১৬ সালের বাংলায় বাল্য বিবাহের হার ছিল ৪০.৮ শতাংশ। তার পরে তা পেরিয়েছে একচল্লিশের কোঠা। গোটা দেশে যেখানে বাল্য বিবাহের হার গড়ে ২৩.৩ শতাংশ, সেখানে বাংলায় ৪২ শতাংশ নাবালিকার বিয়ে হয়ে যায় ১৮য় পা দেওয়ার আগেই। বাংলার নীচে রয়েছে বিহার। সেখানে এই হার ৩৮.৭। রাজস্থানে ২১.৩ শতাংশ। ঝাড়খণ্ড ও অসমে এই হার যথাক্রমে ৩১.৫ ও ৩১.৯। জনজাতি অধ্যুষিত ত্রিপুরায় বাল্যবিবাহের হার ৪০.২ শতাংশ। রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, বাংলা, পাঞ্জাব, ত্রিপুরা এবং মণিপুরে ক্রমেই বাড়ছে বাল্যবিবাহ।

    আরও পড়ুুন: মমতার রাজত্বে এ কী হাল! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে সাধুদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ল্যানসেটের রিপোর্টে অতিমারি-উত্তর কাণ্ডের ছবি নেই। এই সময় বাল্য বিবাহ আরও বেড়েছে। তবে ২০০৬ সাল থেকে পরের দশ বছর, এই সময় সীমায় বাল্যবিবাহের হার কমেছিল। ২০১৬ সালের পর ফের তা বেড়েছে। এবং ভারতের অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় তা বেশ বেড়েছে বাংলায় (Child Marriage)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sodepur: বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা! প্রতারকের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ

    Sodepur: বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা! প্রতারকের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুর (Sodepur) এলাকায়। বুধবার প্রতারিতরা  অভিযুক্ত ব্যবসায়ী তপন রায়ের বাড়িতে চড়াও হন। সেখানে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। যদিও ব্যবসায়ী বাড়িতে না থাকায় হতাশ হয়ে ফিরতে হয় প্রতারিতদের। পরে, প্রতারক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Sodepur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তপন রায় সোদপুর (Sodepur) এলাকায় ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস-এর ব্যবসা খুলে বসেন। ওই কোম্পানির নাম করে দুবাই সহ বিদেশে চুক্তিভিত্তিক চাকরি দেওয়ার তিনি টোপ দেন। রীতিমতো পোস্টার ছাপিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তা দেওয়া হয়। সেখানে ভাল মাইনের অফার দেওয়া হয়। পোস্টারে দেওয়া হয় ফোন নম্বর। বেকার ছেলেমেয়েরা পোস্টারের সেই নম্বর দেখে যোগাযোগ করেন। এরপরই চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে টাকার দাবি করেন ব্যবসায়ী। ৬০-৭০ হাজার, এমনকী এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রতারিতদের অভিযোগ। মাসের পর মাস কেটে গেলেও কাউকে বিদেশে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারেননি অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। এরপরই প্রতারকের প্রতারণা সকলের সামনে চলে আসে।

    প্রতারিতরা কী বললেন?

    প্রতারিতদের বক্তব্য, বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করার পর চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাই ব্যবসায়ীর কাছে। কিন্তু, কোনও টাকা ফেরত পাইনি। শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত, কিন্তু বাস্তবে টাকা ফেরত দেননি।  আমাদের মতো এরকম বহু বেকার ছেলেমেয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারিত হয়েছে। এরপরেই এদিন আমরা প্রতারিত বাড়িতে যাই। বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাই। তাঁর স্ত্রী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। তাঁর সম্পর্কে তিনি জানেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি অফিসারদের ওপর হামলার অর্থ ভারতের সংবিধানের ওপর হামলা। বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না। ইডি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, রাজ্য সরকারের ভুয়ো কোনও সংস্থা নয়। বুধবার গঙ্গাসাগরে গিয়ে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি গঙ্গাসাগরের মেলার খরচ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন তিনি।

    মেলার ২০০ কোটি কোথায় যায়, প্রশ্ন সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেলা উদ্বোধনে এসে বলেছিলেন, গঙ্গাসাগর মেলায় কেন্দ্রীয় কোনও সাহায্য মেলে না। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বুধবার বলেন, মেলার সাহায্য পেতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাতে হবে। উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগাতে হবে। এখানে মেলা দেখে মনে হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, হেলিকপ্টার সার্ভিসটা কোথায়? ১৯ কোটি টাকা কোথায় যায়, সেটার কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। আর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গঙ্গাসাগর মেলা করতে ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়. সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত এদিন বলেন, ২০০ কোটি টাকা কোথায় যায়, সেটা খোঁজ নিয়েছেন? মুখ্যমন্ত্রীর ছবির পিছনে সব টাকা কি খরচ হয়ে যায়?

    ইডি-র ওপর হামলা নিয়ে সরব সুকান্ত

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আগামীকাল ইডি-র ওপর হামলার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করার কর্মসূচি রয়েছে রাজ্য বিজেপির। ইডি ভারতীয় সংবিধানের দ্বারা পরিচালিত হয়। লোকসভায় ও রাজ্যসভায় আইন প্রণয়ন করে নিয়োগ করা হয়েছে। ইডি অফিসারদের ওপর হামলা মানে ভারতবর্ষের সংবিধানের উপর হামলা। এই হামলা ভারতবর্ষের সর্বভৌমত্বের উপর হামলা। বিচ্ছিন্নবাদী মানসিকতা, পশ্চিমবঙ্গকে ভারতবর্ষ থেকে আলাদা করার মানসিকতা। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বিজেপি লড়ছে। যারা ইডি অফিসারদের ওপর হামলা করেছে, তাদেরকে তো গ্রেফতার করতে পারবে না, বরং তাদেরকে ‘বঙ্গরত্ন পুরস্কার’ দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হার্মাদরা তো ভোটে জেতায়। মুখ্যমন্ত্রী কি জনতার ভোটে জেতে! তৃণমূল সরকার যে কাজ করছে সেটি ভারতবর্ষের সংবিধানের ওপর আক্রমণ, ভারতবর্ষের সর্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ। ইডি উপর যেভাবে আক্রমণ হয়েছে, যেভাবে আইন ভাঙা হয়েছে আমরা ছেড়ে কথা বলবো না। সময় আসছে বিজেপি সরকার তৈরি হবে। যে বাড়ির তালা ভাঙা যায়নি, সেই বাড়িতে বুলডোজার চলবে।

    গঙ্গাসাগরে সুকান্ত

    দলীয় একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে বুধবার গঙ্গাসাগরে পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে গঙ্গাস্নান করেন তিনি। গঙ্গাস্নানের পর তিনি কপিলমুনির মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। এরপর গঙ্গাসাগর মেলা চত্বর ঘুরে দেখেন তিনি। শুধুমাত্র এ রাজ্যই নয়, ভিন রাজ্য থেকেও এই মুহূর্তে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন গঙ্গাসাগরে। গঙ্গাসাগরে বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: তৃণমূলের মহুয়ার বিরুদ্ধে তৈরি রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সিবিআই, কেন জানেন?

    Mahua Moitra: তৃণমূলের মহুয়ার বিরুদ্ধে তৈরি রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সিবিআই, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লোকসভার এথিক্স কমিটির কাছে মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে তৈরি রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সিবিআই। টাকার বিনিময় প্রশ্নকাণ্ডে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়াকে। লোকসভার এথিক্স কমিটির সুপারিশে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। খারিজ করা হয় সাংসদপদও।

    রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সিবিআই

    লোকসভার সচিবালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বাংলার তৃণমূল নেত্রী। এই মামলায় লোকসভার জেনারেল সেক্রেটারির হলফনামা তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই পরিস্থিতিতেই এথিক্স কমিটির রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন সিবিআই আধিকারিকরা। রিপোর্টটি খতিয়ে দেখতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। লোকসভার সচিবালয়ের কাছে এই মর্মে আবেদনও করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার লিখিত আবেদন এসে পৌঁছেছে লোকসভার সচিবালয়ে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়নি সিবিআইয়ের হাতে।

    কোন শর্তে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই 

    উল্লেখ্য, লোকসভার সচিবালয় ওই রিপোর্ট সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিলেই দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অনুচ্ছেদ ১৭এ-র অধীনে মহুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিবিআইকে চিঠি দিয়েছিলেন লোকপাল। তার পরেই (Mahua Moitra) এথিক্স কমিটির রিপোর্ট চেয়ে লোকসভার সচিবালয়কে চিঠি দেওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে।

    আরও পড়ুুন: ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাটে’র আগে মোদি-বিন জায়েদের রোড শো, কী বললেন আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট?

    ব্যবসায়ী হিরানন্দানিকে সংসদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন মহুয়া। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে আদানিদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলেছিলেন সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে লেখা চিঠিতে নিশিকান্ত জানিয়েছিলেন, হিরানন্দানি গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষায় ঘুষ নিয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে লেখা চিঠিতে নিশিকান্ত লোকসভার ওয়েবসাইটে মহুয়ার লগইন শংসাপত্রগুলির আইপি অ্যাড্রেসগুলি অন্য কেউ অ্যাক্সেস করেছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে বলেন।

    নিশিকান্তর অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে লোকসভার এথিক্স কমিটি। পরে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করে ওই কমিটি। সেই মতো সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই বহিষ্কার করা হয় মহুয়াকে। দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ। প্রসঙ্গত, হিরানন্দানিকে সংসদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন বলে কবুল করলেও, ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন মহুয়া (Mahua Moitra)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Abhijit Ganguly: ‘‘সম্পত্তির হিসেব কি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারবেন অভিষেক?’’ প্রশ্ন বিচারপতির

    Abhijit Ganguly: ‘‘সম্পত্তির হিসেব কি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারবেন অভিষেক?’’ প্রশ্ন বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এত সম্পত্তির উৎস কী? প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Justice Abhijit Ganguly)। অভিষেক তাঁর সম্পত্তির শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক বলেও দাবি করেছেন তিনি। সোমবার সন্ধেয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। তিনি জানান, শুধু অভিষেক নন, নেতাদের কার কত সম্পত্তি রয়েছে? কোন নেতার সম্পত্তির উৎস কী? তা জানতে চান সাধারণ মানুষ।

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “একজন নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এত সম্পত্তি কোথা থেকে আসে? তাঁর সম্পত্তি কত, সেটা কি একটি হলফনামা তৈরি করে কি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবেন অভিষেক?” অভিষেককে (Abhishek Banerjee) সম্পত্তির খতিয়ান সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে অনুরোধ করার সময় বিচারপতি বলেন, “আমরা দেখতে চাই। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা দেখতে চাই, যে কার কত সম্পত্তি আছে। কে কত সম্পত্তি করেছেন। কার সম্পত্তি করার কতটা উৎস ছিল।” এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “এটা কি করতে পারবেন? পারবেন বলে মনে হয় না।”

    সুপ্রিম দুয়ারে আবেদন

    এর আগেও দুর্নীতির তদন্ত আটকানোর জন্য রাজ্য সরকার কতো টাকা খরচা করছেন সুপ্রিম কোর্ট গিয়ে তার হিসাব চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এদিন সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন তিনি। রাজ্য সরকার একাধিক মামলায় অর্থ খরচ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে মামলার তদন্ত আটকাতে চাইছেন বলে দাবি করেন বিচারপতি। আগামী দিনে তিনি বিষয়টি অফিসিয়ালি জানতে চাইবেন বলেও জানান। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার এখন মাঝে মাঝে মনে হয়, একদল চোর বিরাট বিরাট উকিলদের দাঁড় করিয়ে আবেদন করছেন, আমরা চৌর্যবৃত্তি করে বাঁচি। আমাদের সম্পত্তি সব চৌর্য বৃত্তি করে করা। যদি এটা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমাদের জীবন এবং জীবিকার অসুবিধা হবে। সেটা ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করবে। সুতরাং আমাদের অবাধে চুরি করতে অধিকার দেওয়া হোক।” 

    আরও পড়ুন: অভিষেকের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ কর্মসূচিতে খরচ কোটি-কোটি, উৎস কী? আয়করকে চিঠি শুভেন্দুর

    লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় আগেও প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘তিনি একজন সাংসদ, অথচ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। এটা দেখে আশ্চর্য হলাম।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission Of India: আইনশৃঙ্খলার সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাতে হবে, জেলায় নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের 

    Election Commission Of India: আইনশৃঙ্খলার সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাতে হবে, জেলায় নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024)। ভোটের সময় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটুক, চায় না জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission Of India)। তাই এখন থেকেই নজরদারি শুরু করে দিল তারা। সব জেলা প্রশাসনের কাছে নির্দেশ, আইনশৃঙ্খলার সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাতে হবে কমিশনকে। জেলায় জেলায় কোনও হিংসার ঘটনা ঘটলেই রিপোর্ট দিতে হবে। সম্প্রতি  রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকেই জেলাশাসকদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছে কমিশন

    কমিশন সূত্রের দাবি, ৫ জানুয়ারি থেকে রিপোর্ট পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে জেলাশাসকদের। সাধারণত, ভোটের ছ’মাস আগে থেকে আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট নিতে শুরু করে কমিশন (Election Commission Of India)। তাতে গত নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় জেলায় পরিস্থিতির তথ্য দেওয়ার কথা। এ ছাড়াও ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু করে প্রতি সপ্তাহের সবিস্তার তথ্য পাঠাতে হবে। পাশাপাশি, অতীতের কোন ভোটে কোনও বুথে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে থাকলে, সেই তথ্যও জানানোর কথা জেলা-কর্তাদের। ভোট বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণ আইনশৃঙ্খলা ছাড়াও, জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, অস্ত্র উদ্ধার, অতীতের ভোটগুলিতে গোলমাল পাকানো ব্যক্তিদের এখনকার তথ্য ইত্যাদি সবই জানাতে হবে প্রতি সাত দিন অন্তর।

    আরও পড়ুন: বিশ্ব অর্থনীতির ট্র্যাকে পয়লা নম্বরেই থাকবে ভারত! পূর্বাভাস রাষ্ট্রপুঞ্জের

    ভোট প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক

    বছরের শুরুতেই লোকসভা ভোট প্রস্তুতি নিয়ে জেলাশাসক দের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। নির্ভুল ভোটার তালিকা যাতে তৈরি হয় সে বিষয়েও জেলাশাসকদের ফের সতর্ক করলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রগুলির কী পরিস্থিতি, নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইন অনুযায়ী স্কুলগুলির পরিকাঠামো ঠিকঠাক আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: কার্জন গেট নাকি মমতা জমানার আগে ছিলই না, সায়নীর দাবি শুনে হাসাহাসি

    Burdwan: কার্জন গেট নাকি মমতা জমানার আগে ছিলই না, সায়নীর দাবি শুনে হাসাহাসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম ভারতীয় রাকেশ রোশন চাঁদে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলায় জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেত্রীকে নিয়ে ব্যাপক ট্রোল করা হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই বর্ধমানের (Burdwan) কার্জন গেট চত্বরে প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বেফাঁস মন্তব্য করলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।

    ঠিক কী বলেছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী? (Burdwan)

    যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ বর্ধমানে (Burdwan) দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাড়়ি বাড়ি গিয়ে মানুষদের বোঝান। ১২ বছর আগে কী ছিল রাজ্যে। কার্জন গেট দেখিয়ে বলেন, ছিল এই গেট? ছিল এই আলো, ছিল এই ধপধপে রাস্তা? যদিও নেত্রী বক্তব্য রাখার সময় এক দলীয় স্থানীয় নেতা তাঁর কাছে এসে কানে কানে কিছু বলার চেষ্টা করেন। সম্ভবত, তিনি কার্জন গেট সম্পর্কে যে তথ্য দিচ্ছেন তা ঠিক নয়, সেই তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু, যুব সভানেত্রী তাঁর বক্তব্যে অনড় থাকেন। যদিও নেত্রী এই বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চে থাকা তৃণমূল নেতারা নিজেদের মধ্যে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করেন। দলীয় কর্মী-সমর্থকরা অনেকেই হাসাহাসি শুরু করে দেন।

    কার্জন গেট তৈরির ইতিহাস কী?

    বিজয় চাঁদ মহাতাবের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষ্যে, বর্ধমানের মহারাজা ১৯০৩ সালে জিটি রোড এবং বিসি রোডের সংযোগস্থলে এই বিশাল তোরণটি তৈরি করেছিলেন। ১৯০৪ সালে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জনের সফরের সময় তোরণটি ‘কার্জন গেট’ নামকরণ হয়। স্বাধীনতার পরবর্তী যুগে, এর নামকরণ করা হয়েছিল ‘বিজয় তোরণ’। তোরণ বানানোর দায়িত্বে ছিল ‘ম্যাকিনটশ বার্ন’ কোম্পানি। বার্ন কোম্পানিতে সেই সময় বহু বিদেশি স্থপতি, প্রযুক্তিবিদ যুক্ত ছিলেন, যারা সম্পূর্ণ ডিজাইন ও পরিকল্পনা করেন। ১৯০৩ সালে ছোটলাট লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার বোর্ডিলিয়ন সাহেবের উপস্থিতিতে বিজয় চাঁদের রাজ্যাভিষেক ঘটে। সেই বছরেই তোরণের পরিকল্পনা এবং কাজ শুরু। পরের বছর ১৯০৪-এ বর্ধমান পরিদর্শনে আসেন লর্ড কার্জন। স্টার গেট অফ ইন্ডিয়ার দ্বারোদঘাটন করে, সেই পথ দিয়েই তাঁর শহরে প্রবেশ। পরবর্তী সময়ে ইংরেজদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য বিজয়চাঁদ গেটের নাম বদলে ‘কার্জন গেট’ রাখেন।

    বিরোধীরা কটাক্ষ করেছে?

    আগে ইতিহাস জানুন তারপর মঞ্চ থেকে বক্তব্য দেবেন, কটাক্ষ বিরোধীদের। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছিলেন সায়নী ঘোষ। কার্জন গেট যখন তৈরি হয়, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম হয়নি। সিপিএম নেতা দীপঙ্কর দে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গীতজ্ঞ, ভালো ছবি আঁকেন বলে জানতাম। তিনি কার্জন গেটের প্রতিষ্ঠাতা জানা ছিল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: কাশ্মীরে পারদ মাইনাস ৫ ডিগ্রির নীচে! তাপমাত্রা কমল কলকাতাতেও

    Weather Update: কাশ্মীরে পারদ মাইনাস ৫ ডিগ্রির নীচে! তাপমাত্রা কমল কলকাতাতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের সঙ্গেই ঠান্ডার প্রবেশ ঘটেছে বাংলায়, তা টের পাচ্ছেন শীতপ্রেমীরা। বছরের শুরুতে তাপমাত্রার পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার কলকাতার তাপমাত্রা আরও কমেছে। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রবল ঠান্ডার কবলে সমগ্র উত্তর ভারতও। সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশা। সব থেকে খারাপ অবস্থা জম্মু ও কাশ্মীরে। সেখানকার বেশিরভাগ হ্রদের জল বরফ হয়ে গিয়েছে। এদিন শ্রীনগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

    বঙ্গে শীতের দাপট

    দক্ষিণ বঙ্গের শীতবিলাসীরাও বেশ খুশি। পারদ নেমেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণ বঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা আরও কমেছে। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকতে পারে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি বেড়েছে কুয়াশার পরিমাণও। ভোর হতেই চার দিক কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে। যদিও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার আস্তরণ সরে গিয়ে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। 

    শীত দীর্ঘস্থায়ী নয়

    তবে এই শীত দীর্ঘস্থায়ী নয়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে, বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশ সংলগ্ন এলাকায় বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। তা ছাড়া রাজ্যের পূর্ব দিক থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস বঙ্গে প্রবেশ করার কারণে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর হাওয়া দফতর। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সাতটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘সংযুক্ত মোর্চা বৈঠক’-এ বসছে রাজ্য বিজেপি, কী কী নিয়ে আলোচনা?

    উত্তর ভারতে শীতের দাপট

    উত্তর ভারতে ঝোড়ো ইনিংস চালাচ্ছে শীত। আগামী দুদিন পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ ও উত্তর রাজস্থানের কিছু অংশে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। দিল্লির তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির নীচে। পাঁচ জানুয়ারি পর্যন্ত দিল্লি, হরিয়ানা ও পঞ্জাবের কিছু অংশে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী সাতদিন দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাত ডিগ্রির আশপাশে থাকতে পারে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকতে পারে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: তৃণমূলের তোলাবাজির রাজনীতির বলি দলেরই কর্মী, টাকা না পেয়ে পিটিয়ে খুন

    Panihati: তৃণমূলের তোলাবাজির রাজনীতির বলি দলেরই কর্মী, টাকা না পেয়ে পিটিয়ে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলতেন বিরোধীরা। তোলা না দিলেই হামলা করার অভিযোগ উঠত শাসক দলের বিরুদ্ধে। এবার সেই তাদের তৈরি ফাঁদে পড়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক তৃণমূল কর্মীর। তোলার টাকা না দেওয়ায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হল। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটির (Panihati) ঘোলা থানার অপূর্বনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অভিজিৎ বিশ্বাস। এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে তিনি পরিচিত। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ঘোলা থানায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে, ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Panihati)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটির (Panihati) অপূর্বনগরে ওই তৃণমূল কর্মীর চানাচুরের কারখানা রয়েছে। দল করার পাশাপাশি তিনি ব্যবসা করতেন। বাদল মণ্ডল ও তাঁর লোকজন এলাকায় অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। এই বাদল মণ্ডল অভিজিৎ বিশ্বাসের কাছে ২ লক্ষ টাকা তোলা চান বলে অভিযোগ। বেশ কিছুদিন ধরে তোলা চাওয়া নিয়ে অভিজিতের সঙ্গে তাদের ঝামেলা হয়েছে। অভিজিৎবাবুর স্ত্রী মৌ বিশ্বাস বলেন, এলাকার কিছু দুষ্কৃতী আমার স্বামীকে হুমকি দিত। তোলার টাকা চাইত। কয়েকদিন ধরে ওকে বাড়ি থেকে বের হতে দিইনি। রবিবার বাবাইদা বলে এক তৃণমূলে ওকে ডেকেছিল বলে আমার স্বামী গিয়েছিলেন। পরে, মেয়ের জন্য কিছু জিনিসপত্র কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তাতে আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। পরে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    তৃণমূল কর্মীর দাদা কী বললেন?

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, অভিজিৎ আমার মামার ছেলে। রবিবার রাতে বাইকে করে আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। পাড়ার কাছে বাদল, অর্জুন সহ কয়েকজন আমাদের পথ আটকায়। আমি অভিজিৎকে কথা না বলে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু, ও শুনল না। আমি বাইক থামাতে পাশের গলি থেকে সাত-আট জন বেরিয়ে এসে আমাকে বেধড়ক মারতে শুরু করে। আমি মাথায় চোট পাই। অভিজিৎ ছুটে পালাতে গেলে ওকে ঘিরে ধরে। আমি সেখান থেকে কিছুটা দূরে চলে যাই। এরপর ঘটনাস্থলে ফিরে গিয়ে দেখি, ভাইকে ওরা বেধড়ক মারছে। ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করছে। আশপাশের লোকজন আসতেই হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বাদল ও তাঁর লোকজন এলাকায় দুষ্কৃতীরাজ কায়েম করে রেখেছে। অভিজিতের কাছ থেকে তোলার টাকা না পেয়ে ওরা এই কাজ করেছে। আমরা এই ঘটনা তীব্র নিন্দা করছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক  শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share