Tag: West Bengal

West Bengal

  • Sukanta Majumdar: নতুন বছরের প্রথম দিনে সুকান্তর হাত ধরে চালু হল বালুরঘাট-শিয়ালদা এক্সপ্রেস

    Sukanta Majumdar: নতুন বছরের প্রথম দিনে সুকান্তর হাত ধরে চালু হল বালুরঘাট-শিয়ালদা এক্সপ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট রেল স্টেশন থেকে পথচলা শুরু হল বালুরঘাট-শিয়ালদা নয়া ট্রেনের। নতুন এই ট্রেনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন রেলমন্ত্রী। আর বালুরঘাট থেকে সবুজ পতাকা নেড়ে উদ্বোধন করলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সোমবার দুপুর ১২ টায় বালুরঘাট স্টেশন থেকে ট্রেনটি চলাচলের শুভ সূচনা হয়। আগামীকাল থেকে নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুসারে প্রতিদিন চলবে এই ট্রেন।

    প্রতিদিন কখন ছাড়বে এই ট্রেন?

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ টা থেকে এই ট্রেনটি বালুরঘাট স্টেশন থেকে রওনা হবে। শিয়ালদা পৌঁছাবে ভোর ৪ টে ২০ মিনিটে। অন্যদিকে, শিয়ালদহ থেকে রাত ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ ছাড়বে। বালুরঘাটে পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮ টায় পৌঁছাবে। এদিনের ভার্চুয়াল উদ্বোধনে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) প্রশংসা করে বলেন, সুকান্ত দাদা লাগাতার লেগে থাকার জন্যই দ্রুত ট্রেনটি চালু করা গেল। এই প্রথম এলএইচবি কোচের নতুন ট্রেনে খুশি জেলাবাসী।

    কী বললেন সাংসদ সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এতদিন পর্যন্ত বালুরঘাট স্টেশন থেকে এলএইচবি কোচের কোনও ট্রেন ছিল না। সাধারণ কামরা নিয়েই রেল চলাচল করে। নতুন এই ট্রেনের প্রতিটি কোচে উচ্চতর গতিতে দক্ষ ব্রেকিংয়ের জন্য একটি “অ্যাডভান্সড নিউমেটিক ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম” রয়েছে, আরও রয়েছে “মডিউলার ইন্টেরিয়র”। এলএইচবি কোচের উন্নত সাসপেনশন ব্যবস্থা প্রচলিত রেকের তুলনায় যাত্রীদের আরও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করে। এলএইচবি কোচের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুরাতন রেকের তুলনায় উচ্চতর ক্ষমতা সম্পন্ন এবং তা একটি মাইক্রোপ্রসেসর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। গরম এবং শীতকালে যাত্রীদের পুরানো কোচের তুলনায় আরও অধিক আরাম দেয় বলে জানা যায়। সব মিলিয়ে অনেক উন্নত পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা। এই প্রথম জেলায় এলএইচবি কোচের ট্রেন আসায় জেলাজুড়ে খুশি বাসিন্দারা। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, বহুদিন ধরে শিয়ালদা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেনের ব্যবস্থা করার দাবি ছিল জেলাবাসীর। আজ কল্পতরু দিবস, শুভ এই দিনে জেলার মানুষের সেই স্বপ্নপূরণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এবিষয়ে বালুরঘাটের এক বিশিষ্ট শিক্ষক অপূর্ব মণ্ডল বলেন, আমাদের মতো প্রান্তিক জেলায় এই ট্রেনটি পাওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। অবশেষে আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হল। আমরা আশা করছি, আগামীতে আরও ট্রেন আমরা পাব। আগামীদিনে প্রান্তিক জেলার তকমা এভাবে ঘুচে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amrit Bharat Express: উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, মালদা থেকে যাত্রা শুরু অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের

    Amrit Bharat Express: উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, মালদা থেকে যাত্রা শুরু অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেই চালু হল অমৃত ভারত এক্সপ্রেস (Amrit Bharat Express)। নতুন বছরের আগে বাংলার বড় প্রাপ্তি এই এক্সপ্রেস ট্রেন। মালদা থেকে বেঙ্গালুরু যাবে এই ট্রেন। শনিবার অযোধ্যা ধাম জংশন স্টেশন থেকে এই ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও আরও ৬টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সূচনা করেন তিনি। মালদা থেকে যাত্রা শুরু করল এই ট্রেন।

    কোন কোন স্টেশনে দাঁড়াবে এই ট্রেন? (Amrit Bharat Express)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি (Amrit Bharat Express) রবিবার রাতে বেঙ্গালুরু পৌঁছাবে। মালদার পর নিউ ফরাক্কা, রামপুরহাট, বোলপুর, বর্ধমান, অন্ডাল, ডানকুনি, খড়্গপুর, বেলদা, জলেশ্বর, বালাসোর, কটক হয়ে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে থামবে। চাকরির কারণে কিংবা চিকিৎসার প্রয়োজনে বাংলার হাজার হাজার মানুষ বেঙ্গালুরু যান। বিশেষ উত্তরবঙ্গের লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে এই ট্রেন বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠবে বলে রেল কর্তারা মনে করছেন। এমনিতেই মালদা স্টেশন থেকে সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ ছাড়বে। এদিন এই ট্রেনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে খড়্গপুর ডিভিশনে ৬টি স্টেশনে মঞ্চ করে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ডিভিশনের সদর হওয়ায় খড়্গপুর স্টেশনে বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও বাকি পাঁচটি স্টেশনেও ওই অনুষ্ঠান হবে। ট্রেন পৌঁছনোর এক ঘণ্টা আগে থেকেই ওই অনুষ্ঠান শুরু হবে বলে ডিভিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দেশের সর্বপ্রথম অমৃতভারত এক্সপ্রেস বাংলার মাটি দিয়ে যাত্রাপথ শুরু করায় খুশি রাজ্যবাসী।

    এই ট্রেনে যাত্রী সুরক্ষায় বিশেষ নজর!

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অমৃতভারত ট্রেনটি কার্যত দেশে সাধারণের বন্দে ভারত নামে পরিচিত হতে চলেছে। কারণ এতে রয়েছে বন্দে ভারতের মতোই দু’দিকে ইঞ্জিনের সাহায্যে পুশ-পুলের সুবিধা। এর জেরে ইঞ্জিন বদলে সময় নষ্ট হবে না। তবে এই ট্রেনে থাকবে না কোনও বাতানুকূল কামরা। সাধারণ কামরা হলেও প্রতিটি আসনের সঙ্গে থাকছে চার্জিং পয়েন্ট। ট্রেনের শৌচাগারও হয়েছে বন্দে ভারতের আদলে। এমনকী ট্রেনের ভিতরেই পরবর্তী স্টেশনের নাম ও কত বেগে ট্রেনটি ছুটছে তা-ও ডিসপ্লে’তে ফুটে উঠবে। সঙ্গে চলবে ঘোষণাও। যাত্রী সুরক্ষায় প্রতিটি কামরায় থাকছে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাও। অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে (Amrit Bharat Express) মোট ২২টি কোচ থাকবে। ৮টি সাধারণ (জেনেরাল) কোচ, ১২টি দ্বিতীয় শ্রেণির থ্রি টিয়ার স্লিপার কোচ ছাড়া দু’টি কামরা হবে লাগেজ ভ্যান। এতে একসঙ্গে প্রায় ১৮০০ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। ট্রেনের লোকো পাইলটদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে সিটগুলিকে আরামদায়ক করা হয়েছে। এছাড়াও জেনারেল কামরার উপরে সিটে গদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষার দিকেও দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর। এই ট্রেনে ব্যবহার করা হয়েছে ‘কবচ’ প্রযুক্তি। ট্রেনে দুর্ঘটনার আশঙ্কা অবশ্যই কম থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘণ্টায় সর্বাধিক ১৩০ কিলোমিটার বেগে চলবে এই ট্রেন।

    ভাড়া কেমন?

    বন্দে ভারতের মতো এই ট্রেনে পরিষেবা মিললেও তুলনায় অনেক কম হবে ভাড়া। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ মেল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্লিপার এবং দ্বিতীয় শ্রেণির তুলনায় মাত্র ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ বেশি ভাড়া হবে এই ট্রেনে। অন্যান্য মেল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে এক থেকে ৫০ কিলোমিটারের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রার ন্যূনতম টিকিটের দাম ৩০ টাকা (রিজার্ভেশন এবং অন্যান্য চার্জ ছাড়া)। সেখানে অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে (Amrit Bharat Express) এক থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ন্যূনতম খরচ ৩৫ টাকা। রিজার্ভেশন ফি এবং অন্যান্য চার্জ ছাড়াই যাত্রীদের দিতে হবে এই অর্থ। রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ছাড়ের টিকিট এবং বিনামূল্যে পাসের জন্য টিকিট এই ট্রেনগুলিতে গ্রহণযোগ্য হবে না।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google N

  • BSF: মানবিক বিএসএফ! সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মেয়ে

    BSF: মানবিক বিএসএফ! সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম লিয়াকত মণ্ডল। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার হরিহরপুরে। বেশ কয়েকবছর আগে বাংলাদেশের এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। মেয়ে এখন বাংলাদেশের নাগরিক। অসুস্থতার কারণে লিয়কত সাহেবের মৃত্যু হয়। বিএসএফের (BSF) সহযোগিতায় মৃত বাবাকে শেষ দেখা দেখতে পেলেন সীমান্তের ওপারে থাকা মেয়ে। সাদা কাপড়ে মোড়া বাবার দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। বিএসএফের মানবিক মুখ দেখলেন সকলে।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (BSF)

    বাবার মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে থাকা মেয়ের কাছে পৌঁছেছিল। কিন্তু, পাসপোর্ট জটে আটকে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে আসতে পারেননি বাংলাদেশের বাসিন্দা মেয়ে। আর দ্রুত পাসপোর্ট ভিসা তৈরি করে তাঁর পক্ষে আসা সম্ভব ছিল না। বিজিবি- বিএসএফের (BSF) কাছে তাঁর কাতর আবেদন ছিল, যেন একবার বাবাকে শেষ দেখা দেখতে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কারণ, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে মেয়ে আসতে চেয়েছিলেন পৈতৃক ভিটেতে। তাঁর ইচ্ছা ছিল, বাবার মৃতদেহ শেষবার দেখার। লিয়াকত সাহেবের পরিবারের লোকজন হরিহরপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে বিষয়টি জানান। পঞ্চায়েত সদস্য মধুপুর ক্যাম্পের বিএসএফ কর্তাদের অনুরোধ করেন, লিয়াকত সাহেবের মেয়েকে যাতে শেষবারের মতো বাবাকে দেখতে দেওয়া হয়। এরপরই বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিজিবি-র মাধ্যমে মেয়েকে দু’দেশের জিরো পয়েন্টে আনার কথা বলা হয়। এরপরই সীমান্তের জিরো পয়েন্টে লিয়াকতের মৃতদেহ আনা হয়। ওপার থেকে মেয়েও আসেন। শেষমেশ বিএসএফের (BSF) সহযোগিতায় জিরো পয়েন্টে লিয়াকত সাহেবের দেহ আনা হয়। বাবাকে শেষ দেখার পাশাপাশি শেষ শ্রদ্ধাও জানান মেয়ে।

    বিএসএফ নিয়ে কী বললেন বাংলাদেশের বধূ?

    লিয়াকত সাহেবের মেয়ে বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে মন ছটফট করছিল। কিন্তু, দুদেশের আইনি জটে সীমান্ত পেড়িয়ে আসা সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু, বিএসএফ (BSF) উদ্যোগী হওয়ায় বাবার সঙ্গে শেষ দেখা করতে পারলাম। বিএসএফের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুর নিয়োগ দুর্নীতি! কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাটে মিলল বিপুল টাকা-গয়না

    Recruitment Scam: পুর নিয়োগ দুর্নীতি! কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাটে মিলল বিপুল টাকা-গয়না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার! তাতেই চাকরি পাওয়ার মাত্র ৬ বছরের মাথায় কোটি কোটি টাকার মালিক। কামারহাটি পুরসভার (Kamarhati Municipality) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তের সম্পত্তির খতিয়ান দেখে চোখ কপালে উঠেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) আধিকারিকদের। গত ৫ অক্টোবর, তাঁর বাগুইআটির অর্জুনপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা নগদ মিলেছে। সেগুলি ছাড়াও, প্রায় ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা মূল্যের আড়াই কেজি সোনা ও হিরের গয়না মিলেছে। পুর নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে ইডি।

    বিপুল সম্পত্তি, বৈভব কীভাবে

    কেন্দ্রীয় এজেন্সির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১৬ সালে কামারহাটি পুরসভায় অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দেন তমাল দত্ত। তারপর থেকে পুর-নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Municipality Jpb Scam) তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। পুরসভার একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের এই বিপুল সম্পত্তি, বৈভব কীভাবে হল, তাঁর আয়ের উৎস কী, জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে,ওই ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ১৩০০০ পাতার নথিও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া এই বিপুল অর্থ এবং গয়নার কোনও নথি দেখাতে পারেননি তমাল। ফলে তা আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই গয়না এবং নগদ বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। 

    সাসপেন্ড তমাল

    উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কামারহাটি পুরসভার এই ইঞ্জিনিয়রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তমালের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিগুলি সম্প্রতি দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত এলে এই নথি আদালতে জমা দেওয়া হবে বলেও ইডি সূত্রের দাবি। হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর তাঁর ফ্ল্যাট এবং বাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। সেই সময়ই পুরনিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক তথ্য সামনে আসে। তদন্তে নেমে তমাল প্রসঙ্গে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে আসে।

    আরও পড়ুন: গুরুদ্বারে প্রার্থনার পর জনসংযোগ! কালীঘাটে পুজো দিলেন শাহ-নাড্ডা

    তমাল-অয়ন যোগ

    পুর নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে তমালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য সামনে আসতে পারে বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের দাবি, গত কয়েক বছরে কামারহাটি পুরসভায় প্রায় ৩০০-র বেশি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে তদন্তে উঠে এসেছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে তমালের জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি ইডি সূত্রের। ওই সূত্রের আরও দাবি, তমাল এবং অয়নের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং তমালের সঙ্গে একাধিক ‘প্রভাবশালী’রও যোগ রয়েছে বলে তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে। ইডি এবং সিবিআই সূত্রের দাবি, শুধু কামারহাটি নয়, রাজ্যের প্রায় ৭০টি পুরসভার বেশ কয়েক জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, আধিকারিক পুর নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah-JP Nadda: আজ রাতে শাহ-র সঙ্গে শহরে নাড্ডা, বৈঠক মঙ্গলবার

    Amit Shah-JP Nadda: আজ রাতে শাহ-র সঙ্গে শহরে নাড্ডা, বৈঠক মঙ্গলবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু অমিত শাহ নন, একইসঙ্গে সোমবার রাতে শহরে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা (Amit Shah-JP Nadda)। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার উপস্থিতি নিয়ে জোর চর্চা বঙ্গ রাজনীতিতে। যদিও দুই নেতাই মূলত আসছেন একটি গুরুদ্বারে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। তাঁরা কালীঘাটে পুজোও দেবেন। এরপরই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের দায়িত্ব ও করনীয় প্রসঙ্গে পাঠ দেবেন শাহ-নাড্ডা।

    কখন আসবেন দুই নেতা

    বিজেপি সূত্রের খবর, সোমবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ একই বিমানে কলকাতায় নামার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডার। এর পরে তাঁদের যাওয়ার কথা নিউ টাউনের একটি হোটেলে। সেখানে মধ্য রাতেই রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এক প্রস্ত বৈঠক সারতে পারেন শাহ-নাড্ডা। বিমান বন্দরে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির দুই শীর্ষ নেতাকে স্বাগত জানাতে যাবেন। 

    কী কী কর্মসূচি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, গুরু গোবিন্দ সিংয়ের পুত্রদের ‘বীরাগাথা’ উদযাপন করতে ২৬ ডিসেম্বর ‘বীর বাল দিবস’ পালন করা হবে। সেই উদযাপনের অংশ হিসেবেই মঙ্গলবার সকালে মহাত্মা গান্ধী রোডের গুরুদ্বারে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা শাহ ও নাড্ডার। ‘বীর বাল দিবসে’র কর্মসূচি সেরে তাঁরা কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যেতে পারেন। সেখানেও দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে থাকার কথা সুকান্ত ও শুভেন্দুর। তাঁদের পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে আলিপুরে জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবন।

    আরও পড়ুন: রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে অযোধ্যায় আসছে নানা উপহার! কী কী থাকছে?

    বিজেপি সূত্রের খবর, ওখানেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেবেন শাহ ও নাড্ডা (Amit Shah-JP Nadda)। ওই বৈঠকে রাজ্য নেতা, মোর্চার পদাধিকারী ছাড়াও এমন কিছু ব্যক্তিকে ডাকা হতে পারে, যাঁদের কাউকে কাউকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হিসেবে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই বৈঠকের পরে নড্ডাদের নিউ টাউনের হোটেলে ফিরে যাওয়ার কথা। সেখানে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতা, পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আবার এক প্রস্ত বৈঠক সারতে পারেন বিজেপির দুই সর্বভারতীয় শীর্ষ নেতা। বৈঠক শেষে মঙ্গলবার বিকেলেই তাঁদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Siliguri: তৃণমূলের চক্রান্তে হচ্ছে না উড়ালপুল! আন্দোলনে বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri: তৃণমূলের চক্রান্তে হচ্ছে না উড়ালপুল! আন্দোলনে বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির শিকার শিলিগুড়ির (Siliguri) এনজেপির কাছে ঠাকুরনগরে প্রস্তাবিত রেল উড়ালপুল। রাজ্য সরকার এনওসি না দেওয়ায় রেল সম্পূর্ণ নিজের খরচে এখানে উড়ালপুল তৈরি করতে পারছে না। ফলে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে নাজেহাল হচ্ছেন। রোগী নিয়ে দীর্ঘক্ষণ রেলগেটে আটকে থাকছে অ্যাম্বুলেন্স। ঘটছে দুর্ঘটনাও। এই উড়ালপুল তৈরির জন্য এনওসির দাবিতে মঙ্গলবার ঠাকুরনগর রেলগেটের পাশে বিক্ষোভ-অবস্থানে বসেন এলাকার বিধায়ক বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায়।

    ঠাকুরনগরে কেন রেল উড়ালপুল দরকার? (Siliguri)

    শিলিগুড়ির (Siliguri) ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই রেলগেটে এলাকার মানুষ নিত্যদিন নাকাল হন। এনজেপি দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ঘনঘন এই গেট বন্ধ হয়। দুপারে মানুষকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাতে তীব্র যানজট তৈরি হয়। সাহুডাঙ্গি সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের সহজে শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই রেলগেটই ভরসা। এই রেলগেট দিয়ে পাঁচটি জেলার মানুষের শিলিগুড়িতে যাতায়াত। সেই সব মানুষদের সঙ্গে পর্যটকরাও এই রেলগেটে আটকে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এই এলাকায় উড়ালপুলের দাবি দীর্ঘদিনের। আজও এখানে রেল উড়ালপুল না হওয়ায় স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ বাড়ছে।

    উড়ালপুল তৈরির উদ্যোগ নেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ

    সাংসদ হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে মানুষের এই দুর্ভোগ বন্ধ করতে  উদ্যোগ নেন বিজেপির ডাঃ জয়ন্ত রায়। বিষয়টি তিনি রেলমন্ত্রীর নজরে আনেন। সবকিছু বিবেচনা করে রেলের পক্ষ থেকে ঠাকুরনগরে সম্পূর্ণ নিজের খরচে উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রায় এক বছর আগে রেল মন্ত্রক থেকে এনওসি চেয়ে জলপাইগুড়ি জেলাশাসককে চিঠি দেওয়া হয়। অজানা কারণে জেলাশাসক তথা রাজ্য সরকার এনওসি দিচ্ছে না বলে জানান সাংসদ জয়ন্ত রায়।

    এনওসির দাবিতে বিজেপি বিধায়কের বিক্ষোভ অবস্থান

    ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় এনওসির দাবিতে মঙ্গলবার ঠাকুরনগর রেলগেটের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন। তিনি বলেন, জেলাশাসকের সঙ্গে আমরা একাধিকবার দেখা করেছি। রেলের চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করলেও তিনি এনওসি কেন দিচ্ছেন তা নিয়ে কোনও কথা বলেননি। এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। কেননা এখানকার সাংসদ, বিধায়ক ও পঞ্চায়েত সব বিজেপির। সেই রাগেই তৃণমূল উড়ালপুল তৈরি করতে দিতে চাইছে না। এবার এনওসি আদায়ের জন্য যতদূর যেতে হয় আমরা যাব। 

    কী বলছে তৃণমূল?

    স্থানীয় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায়ও স্বীকার করেছেন, এখানে রেল উড়ালপুলের দরকার। তিনি বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। আমরাও এনজেপিতে রেল আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। জলপাইগুড়ি জেলাশাসক এনওসি দিচ্ছেন না, বিষয়টি আমার জানা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: উলট পুরাণ, তৃণমূলের ডাকাবুকো নেতারাও খুন হওয়ার আশঙ্কায় কমিশনারেটের দ্বারস্থ!

    Barrackpore: উলট পুরাণ, তৃণমূলের ডাকাবুকো নেতারাও খুন হওয়ার আশঙ্কায় কমিশনারেটের দ্বারস্থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকার সাধারণ মানুষকে যাদের রক্ষা করার কথা, ভাটপাড়া এলাকার তৃণমূলের সেই ডাকাবুকো জনপ্রতিনিধিরা চরম আতঙ্কে ভুগছেন। প্রকাশ্যে পোস্টার গলায় ঝুলিয়ে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে তাঁরা নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। মূলত দলেরই অন্য গোষ্ঠীর (সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অনুগামী) দিকে তাঁরা আঙুল তুলেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বারাকপুরের (Barrackpore) পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘কয়েকজন এসে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ শুনেছি। সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।

    নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের (Barrackpore)

    পাশাপাশি জগদ্দল, ভাটপাড়া অঞ্চলে নতুন করে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ তুলে সোমবার বিকেলে বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে গলায় ফেস্টুন ঝুলিয়ে মৌন প্রতিবাদ জানালেন জগদ্দল বিধানসভা অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। সেখানে জগদ্দলের তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনে মাস্টারমাইন্ডকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। ওই দলে ছিলেন নিহত তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবের মা নীলম দেবীও। গত কয়েক মাসে জগদ্দল, ভাটপাড়া অঞ্চলে খুন এবং আক্রান্তদের ছবি সহযোগে গলায় ফেস্টুন ঝুলিয়ে বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তোলেন, এবার টার্গেট কি আমি? বিক্ষোভকারীদের তরফে ছয় জনের একটি প্রতিনিধিদল পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায়, সেখানে শাসক দলেরই লোকজন অশান্তির আশঙ্কায় পুলিশ কমিশনারের অফিসে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    বিক্ষোভকারী জনপ্রতিনিধি কী বললেন?

    বিক্ষোভকারীদের দলে ছিলেন জগদ্দল বিধানসভার অধীন ভাটপাড়া পুরসভার ১৮ জন কাউন্সিলার, চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯৮ জন সদস্য, দুজন জেলা পরিষদ সদস্য এবং সাত জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ ওই এলাকার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলার বিপ্লব মালো বলেন, ২০১৯ সাল পরবর্তী সময়ে যেভাবে বিজেপির বাহিনী (সেই সময় অর্জুন সিং বিজেপিতে ছিলেন) ভাটপাড়া, জগদ্দল জুড়ে অশান্তি পাকিয়েছিল, একই ভাবে গত ছয়-আট মাস ধরে নতুন করে অশান্তি পাকিয়ে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। সম্ভাব্য কিছু জায়গার নাম আমরা পুলিশ কমিশনারকে দিয়েছি, যেখান থেকে দুস্কৃতীরা বেরিয়ে অশান্তি পাকাচ্ছে। পুলিশ কমিশনার আশ্বাস দিয়েছেন যারা জড়িত তাদের সকলকেই ধরা হবে’।

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘দলের কর্মীরা আতঙ্কিত। তাই তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। আমি এতে অন্যায়ের কিছু দেখছি না। আশা করি মেঘনা জুটমিল লাইন সহ যে যে এলাকা থেকে অশান্তি পাকানো হচ্ছে, পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • COVID-19: ফের মানতে হবে কোভিড বিধি! করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    COVID-19: ফের মানতে হবে কোভিড বিধি! করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধীরে ধীরে ফের দেশে বাড়ছে কোভিড (COVID-19) সংক্রমণ। লকডাউনের পরিস্থিতি যাতে ফের ফিরে না আসে, তাই আগে থেকেই কোভিড নিয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সব রাজ্যের কাছে চিঠি পাঠাল দিল্লি। সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব সুধাংশু পন্থ চিঠি পাঠিয়েছেন সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। নির্দেশিকায় আসন্ন উৎসবের মরশুমে সতর্ক হতে বলার পাশাপাশি জানাল, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে কি না, নজর রাখতে হবে। 

    কেন নির্দেশিকা

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বর্তমানে যে সংশোধিত গাইডলাইন রয়েছে কোভিড (COVID-19) নিয়ে, তা মেনে চলার উপর প্রতিটি রাজ্যকে জোর দিতে বলা হয়েছে। দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরলের সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতি। দক্ষিণের এই রাজ্যে হঠাৎ করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার গ্রাফ সামান্য বেড়ে গিয়েছে। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে ৭৯ বছরের এক মহিলার নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তিনি জেএন.১-এ আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লি থেকে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এক মহিলা। তাঁর শরীরেও ধরা পড়েছিল করোনা ভাইরাসের জেএন.১ উপপ্রজাতি। তাই, রাজ্যগুলিকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের হানায় পাকিস্তানে খতম লস্কর জঙ্গি হাবিবুল্লা

    কেন্দ্রের পরামর্শ

    আসন্ন উৎসবের মরশুমের কথা মাথায় রেখে জনস্বাস্থ্যের দিকটি নজর রাখা উচিত। রোগ যাতে না ছড়ায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতির উপর নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যে গাইডলাইন রয়েছে, তা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো কোনও অসুস্থতা বা শ্বাসজনিত কোনও অসুস্থতার উপর জেলাস্তরে নজরদারি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিতভাবে সেই তথ্য ইন্টিগ্রেটেড হেল্থ ইনফরমেশন পোর্টালে তোলার জন্য বলা হয়েছে। জোর দিতে বলা কোভিড পরীক্ষার গাইডলাইনের উপরেও। জেলাস্তরে যাতে নির্দিষ্ট অনুমাতে আরটি-পিসিআর ও অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কোনও নমুনায় করোনার সংক্রমণ ধরা পড়লে, সেটি সঙ্গে সঙ্গে জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য বলা হয়েছে। যাতে কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঢুকে পড়েছে কি না, তা আগে ভাগে শনাক্ত করা যায়। প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে কি না, তাও দেখে নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র।

    সতর্কবার্তা হু-এর

    দেশগুলিকে কোভিড (COVID-19) সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। বিশ্বে কোভিড কেসের বাড়বাড়ন্ত ঠেকানোর জন্য আগেভাগেই সতর্ক হতে বলা হয়েছে দেশগুলিকে। পাশাপাশি জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য শেয়ার করতেও বলা হয়েছে।  সামনেই বর্ষশেষের উৎসবের মরসুম। ভিড় হবে। তাই সেই সময় অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেনে চলতে বলা হয়েছে কোভিড বিধি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mumbai Mail: কাপলিং খুলে বিপত্তি মুম্বই মেলে, দুটি কামরা নিয়ে ছুটল ইঞ্জিন

    Mumbai Mail: কাপলিং খুলে বিপত্তি মুম্বই মেলে, দুটি কামরা নিয়ে ছুটল ইঞ্জিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে ফরাক্কা স্টেশনের কাছে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস চালকের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। রেল লাইনের ওপরে উঠে যায় ট্রাক। চালক জুরুরি ব্রেক কষায় চাকায় আগুল লেগে যায়। তবে, এই ঘটনার জের মিটতে মিটতেই অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল মুম্বই মেল (Mumbai Mail)। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-খড়্গপুর শাখার বীরশিবপুর স্টেশনে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Mumbai Mail)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত প্রায় সাড়ে ন’টা নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব রেলে উলুবেড়িয়া স্টেশন থেকে আপ মুম্বই মেল (Mumbai Mail) ছাড়ে। ছাড়ার ঠিক পরেই ট্রেনের কাপলিং খুলে যায় বীরশিবপুর স্টেশনের কাছে। ট্রেনের কাপলিং খুলে দু’টি কামরা নিয়েই গন্তব্যের দিকে রওনা দেয় মুম্বই মেল। বাকি কামরা পড়ে থাকে বীরশিবপুর স্টেশনেই। এই দুর্ঘটনার ফলে হাওড়া-খড়্গপুর শাখার আপ লাইনে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। যাত্রী দুর্ভোগ চূড়ান্ত। অবশেষে চার ঘণ্টারও বেশি সময়ের প্রচেষ্টার পর রাত দেড়টা নাগাদ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয় মুম্বই মেলটি। যাত্রীরা বলেন, জোরে শব্দ করে ট্রেনটি কিছু দূর গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। আচমকা ট্রেন কেন দাঁড়িয়ে গেল দেখতে দেখি, ট্রেনের দুটি কামরা সহ ইঞ্জিন নেই। যদিও  দু’টি কোচ নিয়ে ইঞ্জিন এগিয়ে গিয়ে থেমে গিয়েছে। বাকি কামরাগুলো পিছনেই রয়ে গিয়েছে। ফলে, চরম আতঙ্কিয় হয়ে পড়েছিলাম। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে খবর পেয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে এসে কাপলিং মেরামতের কাজ শুরু করেন।

    রেল আধিকারিক কী বললেন?

    দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারি আদিত্য কুমার চৌধুরী বলেন,  এই দুর্ঘটনার ফলে ট্রেন চলাচলে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। আর কাপলিং খুলে গেলেও বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ অটোমেটিক ব্রেক লক হয়ে যায়। রেল কর্মীরা গিয়ে দ্রুত মেরামতির কাজ করেছেন। তবে কী ভাবে এবং কেন এই ঘটনা ঘটল তা জানতে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Malda: জন্মদিনে নিমন্ত্রণ করা হয়নি! বাড়িতে এসে তাণ্ডব চালালেন তৃণমূল নেতার ছেলে

    Malda: জন্মদিনে নিমন্ত্রণ করা হয়নি! বাড়িতে এসে তাণ্ডব চালালেন তৃণমূল নেতার ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলের দাদাগিরি। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হতেই শোরগোল মালদা (Malda) জেলা জুড়ে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। প্রতিবেশী আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকে সদ্য প্রসূতিকে মারধর ও ভাঙচুর করার অভিযোগ। বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় দলবল নিয়ে হামলা করার অভিযোগে নাম জড়াল মালদার পুরাতন মালদা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার বশিষ্ঠ ত্রিবেদীর ছেলে সুতিম ত্রিবেদীর বিরুদ্ধে।

    কেন হামলা? (Malda)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদা (Malda) পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী অমরেশ দত্তের ছোট ছেলে অভিষেক দত্তের জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলেকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। এটাই অপরাধ।  সেই জন্মদিনে অনুষ্ঠানে আইনজীবীর বড় ছেলে অর্কপ্রভ দত্ত ও তার স্ত্রী এবং অন্যান্য আত্মীয়রা আসেন। হঠাৎ অতর্কিতভাবে তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলে সুতিম ত্রিবেদী দলবল নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। অভিষেক দত্ত নামে আক্রান্ত যুবক বলেন, আমার জন্মদিনে কেন নিমন্ত্রণ করা হয়নি তা জানতে চান। আমি নিমন্ত্রণ করিনি বলে ঝামেলা করা শুরু করে। বাড়িতে থাকা সমস্ত খাবার ফেলে দেয়। আমাদের উপর চড়াও হয়। তৃণমূল নেতার ছেলে বলে যা খুশি করবে। জানা গিয়েছে, আইনজীবীর বড় ছেলে অর্কপ্রভ দত্ত ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী মন্ডলকে বাবার বাড়িতে রেখে আসলে, সেখানে গিয়ে রাত্রি ১ টা নাগাদ প্রথমে পেটে লাথি ও চুলের মুঠি ধরে তাঁর স্ত্রী কে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। আরে এই গোটা ঘটনা নিয়ে মালদা থানায় দারস্থ হয়েছেন আইনজীবীর পরিবার।  অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও ঘটনার তদন্তে নেমেছে মালদা থানার পুলিশ।

    তৃণমূল কাউন্সিলার কী সাফাই দিলেন?

     এদিকে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলার বশিষ্ঠ ত্রিবেদী বলেন, মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে আমার ছেলের বিরুদ্ধে। এরকম কোনও ঘটনায় ঘটেনি। ওইদিন রাতে সেখানে একজন পুরসভার অস্থায়ী কর্মী মারা গিয়েছিল, সে কারণে গোটা এলাকা শোকোস্তব্ধ ছিল। যারা অভিযোগ করছে তারাই মাইক বাজিয়ে সেখানে পার্টি করছিল। আর তাতেই স্থানীয়রা বাধা দিতে যায় এবং গন্ডগোল হয়। এখন আমার ছেলের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করছে, অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে আইন আইনের পথে চলবে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

     যদিও পাল্টা সাফাই জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসুর, ঘটনাটি শুনেছি। প্রশাসনিক যদি কোনও অভিযোগ হয়ে থাকে, তাহলে দলের যে কোনও স্তরের নেতা কর্মী যাই হোক না কেন প্রশাসন সঠিক ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই ঘটনাকে নিয়ে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছে মালদা (Malda)  বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অনুষ্ঠানে কে কাকে ডাকবে সে তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, সেখানে গিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলার এর ছেলের এই সমস্ত করাটা ঠিক হয়নি। আসলে তৃণমূলের এটাই কালচার। সারা রাজ্য জুড়ে চলছে। অভিযোগ হয়েছে পুলিশ তদন্ত করবে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share